19/06/2023
🌹 #ভগবান_জগন্নাথের_লীলা🌹
🛑 #জগন্নাথদেবের_রথযাত্রার_মাহাত্ম্য🛑
ভবিষ্যোত্তর পুরাণে বলা হয়েছে, “যেসব মানুষ উৎসাহের সঙ্গে শ্রীকৃষ্ণের রথের শােভা বৃদ্ধি করে, পুরুষােত্তম শ্রীকৃষ্ণ তাদের মনের অভিলষিত বস্তু দান করেন।"
শ্রীকৃষ্ণরথশােভাং যে প্রকুর্বন্তি প্রহর্ষিতাঃ
তেষাং মনোেরথাবাপ্তিং যচ্ছতে পুরুষােত্তমঃ
✔️রথযাত্রাকালে সাফল্যমণ্ডিত করতে প্রত্যেকেরই সামর্থ্যের সমাহৃত হওয়া খুবই দরকার। কালচক্রে আয়ুষ্কাল অতিক্রান্ত হয়ে যায়। আমাদের মনােরথের নানা অভাব থেকে যায়। যার ফলে জীবনরথের সদ্গতি ঠিক থাকে না ।
👉কিন্তু রথযাত্রা মাহাত্ম্যে বলে, “যে ব্যক্তি তার সামর্থ্য অনুসারে শ্রীকৃষ্ণের রথের সম্পূর্ণ শােভা বৃদ্ধি করেন, সূর্যচন্দ্রাদি গ্রহগণ তার বাঞ্ছিত পূরণ করেন ।"
শ্রীকৃষ্ণরথসংশােভাং য করােতি স্বশক্তিতঃ
বাঞ্ছিতং তস্য যচ্ছস্তি নিত্যং সূর্যাদয়াে গ্রহাঃ
🚩আরও বলা হয়েছে, “কলিযুগে যে ব্যক্তি সুকৃতি লাভের অভিলাষে জগন্নাথের রথ উৎসব মহিমা প্রচার করেন, তিনি
রত্নময় পর্বত ও সমুদ্র, ফলফুলময় অরণ্য, সবজিশস্যময় ক্ষেত্র পূর্ণ সপ্তদ্বীপা বসুন্ধরা দানের ফল লাভ করেন।”
রথােৎসবস্য মাহাত্মং কলৌ বিতনুতে হি যঃ
পুণ্যবুদ্ধ্যা বিশেষেণ লােভেনাপ্যথবা নরঃ
সপ্তদ্বীপসমুদ্ৰান্তা রত্নধান্যসমন্বিতা
সশৈলপুস্পাঢ্যা তেন দত্তা মহী ভবেৎ
👉কলিযুগের পৃথিবীতে সব স্থানেই কলহ দ্বন্দ্ব অশান্তি লক্ষ্য করা যায় । রথযাত্রা মাহাত্ম্যে বলা হয়েছে, “প্রভু জগন্নাথ রথে চড়ে যে যে স্থান দর্শন করেন, সেই সেই স্থান স্বর্গের মতাে সুন্দর স্থানে পরিণত হয়।”
যং যং দামােদরঃ পশ্যেদুত্থিতে ধরণীধরঃ
তং তং প্রদেশ রাজেন্দ্র সর্বং স্বর্গায় কল্পয়েৎ
🚩কলিযুগের মানুষ আমরা স্বভাবতই মন্দবুদ্ধি, আমাদের মধ্যে সদ্গুণ প্রকাশিত হয় না। কিন্তু আমরাও তাে সৎ হতে চাই ।রথযাত্রা মাহাত্ম্যে বলা হয়েছে, “কৌতূহল বশত রথের উপরে জগন্নাথকে দর্শন করলে চণ্ডাল প্রভৃতি লােকও দেবগুণ সম্পন্ন হতে পারে।"
রথস্থং যে নিরীক্ষন্তে কৌতুকেনাপি কেশবম্
দেবতানাং গণঃ সর্বে ভবন্তি শ্বপচাদয়ঃ
🚩পিতামাতা, পিতামহ, শ্বশুর প্রমুখ পূজনীয় ব্যক্তিরা পুত্র পৌত্র এমনকি জামাতা বা দৌহিত্রের কাছেও আশা করেন
যে, যদি আমাদের কর্মদোষে ভাগ্যদোষে নরকযাতনা পাই তাহলে আমাদের বংশধরেরা পুণ্য-সুকৃতি করে কৃষ্ণভক্তি
যাজন করে আমাদের উদ্ধার করবে, আমাদের সদ্গতি দান করবে।
'
✔️কিন্তু এরকম প্রায় শােনা যায় না কেউ বলে যে, ‘কন্যা, নাতনী, স্ত্রী বা পুত্রবধূর সুকৃতি বলে আমরাও বৈকুণ্ঠগতি লাভ করব ।
👉রথযাত্রা মাহাত্ম্যে বলা হয়েছে,“রথযাত্রা পরায়ণা নারীজাতিরও মুক্তিলাভ হয়, মেয়েরা রথ মহােৎসবে ভক্তিপূর্ণভাবে জগন্নাথের সেবায় যুক্ত হলে তারা
পিতৃকুল, মাতৃকুল ও পতিকুলকে বৈকুণ্ঠলােকে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়।”
স্রিয়ােহপি মুক্তিমায়ান্তি রথযাত্রাপরায়ণাঃ
পিতৃ-মাতৃ-ভর্তৃকুলং নয়স্তি হরিমন্দির
👉এই জগতে লােক রাজা হতে চায়, সুখভােগ করতে চায়, স্বর্গসুখ পেতে চায় । রথযাত্রা মাহাত্ম্যে বলা হয়েছে, “জগন্নাথদেবের রথের সামনে ভগবদ্ মহিমা গান করা,
🚩ভগবানের নাম কীর্তন করা, বিচিত্র মধুর সুরে বাজনা বাজানাে, এ সমস্ত যিনি করবেন, তিনি বহুদিন স্বর্গলােকে
থেকে রাজারূপে এই পৃথিবীতে অবতীর্ণ হবেন।”
যে রথাগ্রে প্রকুর্বন্তি গীতবাদ্যাদি মানবাঃ
দেবলােকাৎ পরিভ্রষ্টা জায়ন্তে মণ্ডলেশ্বরাঃ
👉এই দুঃখময় জগতে যদিও আমরা বাস করছি, জন্ম-মৃত্যুর মাঝখানে আধিব্যাধি আঘাত নানাবিধ নরকসম যন্ত্রণায়
পতিত হচ্ছি, তবুও অন্তরে আশা করে থাকি কবে আসবে সেদিন--যেদিন আমার দুঃখময় জীবনের অবসান হবে?'
✔️রথযাত্রা মাহাত্ম্যে বলা হয়েছে, “ভক্তিভরে জগন্নাথের রথ মহােৎসব দর্শন করে যিনি আনন্দিত হন, চতুর্দশ ইন্দ্রের
রাজত্ব যাবৎ তাঁকে নারকীয় যাতনা ভােগ করতে হয় না।”
রথােৎসবে মুকুন্দস্য যেষাং হর্ষোহপি জায়তে
তেষাং ন নারকী পীড়া যাবদিন্দ্রাশ্চতুর্দশ
♂️আমাদের মতাে জড় সংসারবদ্ধ জীবদের শান্তি আনন্দ সুখ ও ভগবদ্ভক্তিময় জীবন দান করতে কলিযুগ-পাবনাবতারী শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু অসংখ্য ভক্ত নিয়ে নীলাচল পুরীর সুবিস্তীর্ণ রাজপথে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসবে,জগন্নাথের প্রীতি বিধানার্থে, জগন্নাথের সেবায় কায়মনােবাক্য অর্পণপূর্বক যে শিক্ষাদর্শ রেখেছেন,
✅সেই মঙ্গলময় শিক্ষাদর্শে প্রভাবিত হয়ে জগৎগুরু শ্রীল প্রভুপাদ সারা বিশ্বে রথযাত্রা মহােৎসব প্রচলন করলেন যাতে মানুষ বুঝতে পারে সারা জগৎবাসীর একমাত্র আরাধ্য প্রভু জগন্নাথ কৃষ্ণ।
✳️আর সেই প্রভুপাদের অনুগ জনেরা সারা পৃথিবীর নগর শহর গ্রামে রথযাত্রা
মহােৎসব অনুষ্ঠান করছেন। পতিতপাবন শ্রীজগন্নাথ, ভক্তিবলদাতা শ্রীবলরাম, অশুভ মানসিকতা থেকে আমাদের রক্ষয়িত্ৰী শ্ৰীসুভদ্রাদেবী এবং ভক্তিবিঘ্ন অমঙ্গল বিনাশকারী শ্রীসুদর্শন--
❤️যারা মন্দির থেকে বাইরে এসে রথােপরি উপবিষ্ট হয়ে প্রতীক্ষমান ভক্তবর্গকে দৃষ্টি দান করে থাকেন। আর ভগবৎ দর্শনের অপেক্ষায় সমগ্র পথ জুড়ে ভক্তরা গান করে থাকেন__
“জগন্নাথ স্বামী নয়নপথগামী ভবতু মে”
_____