24/03/2022
একজন আলেমার বিয়ে হল একজন ইঞ্জিনিয়ারের সাথে।
বিয়ের প্রথম রাতেই স্ত্রী স্বামীকে বললেন– আমরা আমাদের দাম্পত্য জীবন ইসলামিক শরীয়াহ মোতাবেক পরিচালনা করবো ইন শা’আল্লাহ। স্বামীও তার নববিবাহিতা স্ত্রীর প্রস্তাব সাদরে গ্রহণ করলেন।
বিয়ের কিছুদিন পর। স্ত্রী স্বামীর কাছে দাবি করলেন–
শরীয়া’হ মোতাবেক আপনি আমাকে আলাদা বাসায় রাখতে বাধ্য এবং আমি আপনার বৃদ্ধ পিতামাতার সেবা–দেখাশোনা করতে বাধ্য নই। সুতরাং আমার জন্য আলাদা বাসা দেখুন। আমি এই বাসায় আর থাকব না।💔
স্বামী বেচারার মসিবত। দৌড়ে গেলেন মুফতী সাহেবের কাছে।
হুজুর! এই এই অবস্থা!!!
হুজুর বললেন আপনার স্ত্রী যা বলেছেন সবই সত্যি। কিন্তু যেই শরীয়া’হ আপনার স্ত্রীকে এই অধিকার দিয়েছে সে একই শরীয়া’হ আপনাকে আরেকজন মেয়েকে বিয়ে করার অনুমতিও দিয়েছে। আপনি চাইলে আরেকজনকে বিয়ে করে সেই স্ত্রীকে এই বাসায় রেখে দিতে পারেন, যে আপনার মাতা–পিতার দেখাশুনা করবেন আবার এই বাসায়ও থাকবেন।🥰
স্বামী বাসায় ফিরে স্ত্রীকে জানিয়ে দিলেন–
সাফ কথা ;
প্রিয়তমা ! আমি তোমার সব শর্ত পূরণে রাজি। আলাদা বাসা তুমি পাচ্ছো।
তবে শরীয়াহ বিবেচনায় আমি আরেকটি বিয়ে করার অধিকার রাখি। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দ্বিতীয় স্ত্রী ঘরে তুলবো। আমি বরং তাঁকে এই বাসায় রেখে দিবো। সে আব্বু-আম্মুর সেবা করবে। তুমি ভিন্ন বাসায় থাকলে।😊
তখনই স্ত্রী বলে উঠলেন–
সুইটহার্ট !!
বাদ দাও তো ২য় বিয়ের কথা🥰
আমিই বাবা মা'র দেখাশোনা করব। এটা হক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক্ব।
আর আমার আলাদা বাসাও লাগবে না।
তুমি না ঢং বুঝ না!🤐
সংগৃহীত