পুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ - নিয়ামতপুর, নওগাঁ

  • Home
  • Bangladesh
  • Naogaon
  • পুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ - নিয়ামতপুর, নওগাঁ

পুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ - নিয়ামতপুর, নওগাঁ The official page of Satsang, Niamatpur, Naogaon

মানুষ যদি ভগবানের বাঁধনে বাঁধা না থাকে,
তাহলে শয়তানের বাঁধনে বাঁধা পড়বেই,
কোন না কোন রকমে।
[আলো.প্র.২/১৮]

-----শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বলেছেন, “মা আমার দীপান্বিতা”। মা-কালীর মধ্যে তিনি নিজের মাকেই প্রত্যক্ষ করেছেন। একবার ছাত্রবস...
31/10/2024

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বলেছেন, “মা আমার দীপান্বিতা”। মা-কালীর মধ্যে তিনি নিজের মাকেই প্রত্যক্ষ করেছেন। একবার ছাত্রবস্থায় তিনি এক সঙ্গীর সাথে দক্ষিণেশ্বরে ভবতারিনীমন্দিরে যান। তখন দ্বিপ্রহরের পূজা সাঙ্গ হয়েছে। উপস্থিত সবাইকে প্রসাদ বিতরণ করা হ’চ্ছে। শ্রীশ্রীঠাকুর প্রসাদ পাওয়ার আগেই মন্দিরের দরজা বন্ধ হ’য়ে গেল। তখন আর প্রসাদ দেওয়া হবে না। কিন্তু ঠাকুর তখন ক্ষুধার্ত। প্রসাদ না পেয়ে অভিমানে তিনি মন্দিরের বারান্দায় একটি গাছের ছায়ায় যেযে শুয়েছেন। ধীরে ধীরে ঘুমিয়েও পড়লেন। তারপর স্বপ্ন দেখছেন মা আসছেন, শ্যামা, এলোকেশী, সিঁথিতে সিঁদুর, লালপেড়ে শাড়ী পরা। তাঁর এক হাতে এক গ্লাস জল, আর এক হাতে একটা রেকাবীতে বরফি সন্দেশ। এই রূপ বর্ণনা করতে করতে শ্রীশ্রীঠাকুর বহুবার বলেছেন, “দেখতে একেবারে ঠিক আমার মায়ের মত।” মা এসে আস্তে আস্তে ব’সে শ্রীশ্রীঠাকুরের মাথাটি কোলে নিয়ে তাঁর মুখের কাছে সন্দেশ ধ’রে আদর ক’রে বলছেন, ‘খা’। ঠাকুর অভিমানভরে বলছেন, “না, আমি খাব না। তখন আমার খিদে পেয়েছিল। কিন্তু তখন আমাকে প্রসাদ দেওয়া হ’ল না কেন ? আমি আর খাব না।” তখন মা স¯শ্নেহ হেসে বললেন, “অত লোকের সামনে কি আমি আসতে পারি ?” এর পর মা ব’সে ব’সে পরম আদরে ঠাকুরকে ঐ সন্দেশ আর জল খাওয়ালেন। ঘুম ভেঙ্গে উঠে শ্রীশ্রীঠাকুর বোধ করছেন যে তাঁর খিদে বা পিপাসা কিচ্ছু নেই। কিছু পরে তিনি দক্ষিণেশ্বর থেকে কলকাতায় চ’লে এলেন। ভেতরটা তাঁর এমনই হ’য়ে ছিল যে কলকাতা পর্য্যন্ত হেঁটে আসার পরেও তাঁর কোন খিদে বা পিপাসার বোধ ছিল না।
এ মা কি রহস্যবৃতা ভয়ঙ্করী শিলামূর্ত্তিমাত্র ? যার সে উপলব্ধি নেই, তার কাছে তাই। কিন্তু উপলব্ধিবান ব্যক্তিত্বের কাছে তিনি চির¯শ্নেহময়ী সন্তানমঙ্গলবিধায়িনী জননী।
তাই, ইং ১৯৫৬ সালের ২রা নভেম্বর দেওয়ালির দিনে পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র অনবদ্য এক ছন্দে প্রদান করলেন এক মহাবাণী
“আজ দীপালি,
মা আমায় দীপান্বিতা,
মা আমার জীবন-আলোক,
মায়ের এক হাতে অসৎ-নিরোধী অসি,
অন্য হাতে বর ও অভয়
বাৎসল্যের পরম আশ্রয়,
তাই মা শিবানী, শুভানী,
আমার মা কল্যাণী কালী,
সত্তার সাত্বত সম্বেগ
অস্তিত্বের অমৃত-উৎস
জীবনের যোগ-নর্ত্তনা,
সেই এই যে
আমার মা।”
ইষ্টানুগ মাতৃভক্তি যার জীবনে অটুট থাকে, পূজার বেদীতে প্রতিষ্ঠিতা প্রতিমা তার কাছে স্বীয় গর্ভধারিণীরই প্রতিরূপ হ’য়ে ধরা পড়েন। মা-কালী তার কাছে আর কালোরূপা থাকেন না। তিনি হয়ে পড়েন “দীপ অন্বিতা” (দীপান্বিতা), উজ্জ্বলবরণা।
দানবনিধনার্থে তাঁর মহাভৈরবী রুদ্রমূর্ত্তি দেখে তাঁর সন্তান কখনও ভয় পায় না। সন্তান তো জানে, এ আমার মা, দুষ্টকে শাসন করছেন। তাঁর ঐ রূপ দেখে আতঙ্কগ্রস্ত হয় পাপীরা। অপরাধবোধ যাদের আছে, তারাই মায়ের ভয়াল মূর্ত্তিতে ভয় পায়। যেমন সিংহী যখন গর্জ্জন করে, মানুষের বা অন্যান্য পশুদের তখন ভয়ে প্রাণ শুকিয়ে যায়। কিন্তু ঐ সিংহীর বাচ্চাটি মনের আনন্দে মায়ের কাছেই খেলা করে, মা হাঁটলে মায়ের পায়ে পায়েই ঘুরতে থাকে। তার বুক কাঁপে না। কারণ, সে জানে এ তো আমার মা।
সুত্র : শ্রীশ্রীঠাকুরের দৃষ্টিতে দেবদেবী।

16/10/2024

প্রশ্নঃ লক্ষ্মীপূজা মানে কি?

◾শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- লক্ষ্মী কথার root-meaning -ই ( ধাতুগত অর্থই ) হল আলোচন, to see keenly ( তীক্ষ্ণদৃষ্টিতে দেখা ), দর্শন, জ্ঞান এইসব।

[ দীপর. ২/১৪৮ ]

◾শ্রীশ্রীঠাকুরঃ- লক্ষ্মী কথা এসেছে লক্ষ্-ধাতু থেকে। তার মানে আলোচনা, চিহ্নীকরণ, অঙ্কন, জ্ঞান, দর্শন এইসব গুন যাদের আছে তারাই লক্ষ্মী। মেয়েদের সব দিক দিয়ে দক্ষ করে তুলতে হয়, যাতে তারা মূর্তিমতী লক্ষ্মীরূপে গড়ে উঠতে পারে।
[ আ.প্র. ১৫/৩৩ ]

★★★★★★★★

অর্থাৎ লক্ষ্মীপূজা করা তখনই সার্থক হয়, যদি মায়েরা লক্ষ্মীর চলনে চলে। লক্ষ্মী যে চলা, বলা, আচরণে লক্ষ্মী আখ্যা বা পূজার অধিকারিণী হয়েছিল প্রতিটি সংসারে মায়েদের তেমনতর হয়ে ওঠা চাই।
"কালী পূজা লক্ষ্মী পূজা
যতই তুমি করো না,
নিজে লক্ষ্মী না হলে মা
কিছুই হবে না।।"

# #লক্ষীপূজা করা তখনই সার্থক হয়,যদি সেই মায়েরা লক্ষীর চলনে চলে | লক্ষী আক্ষা বা পূজার আধিকারিনী হয়েছিল প্রতিটি সংসারে মায়েদের তেমনতর হয়ে ওঠা চাই |

~~~লক্ষ্মী-পূজা~~~
শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূল চন্দ্র বলেন—মায়েদের লক্ষ্মী
পূজা করা মানে ব্যক্তিগত ভাবে তারা ত্রক ত্রকটি
লক্ষ্মী হ'য়ে উঠুক ৷ শুধু মুখে মুখে ' লক্ষ্মীস্ত্বং সর্ব্ব-
ভূতানাং" ব'লে মন্ত্রপাঠ করলেই হবে না ৷মন্ত্রের
অর্থগুলি অনুশীলনের ভিতর দিয়ে চরিত্রে মূর্ত্ত
ক'রে তোলা চাই ৷ তিই লক্ষ্মী শব্দের অর্থ ব্যাখ্যা
করার সময় তিনি শব্দটির ধাতুগত অর্থের উপর
দাঁড়িয়েছেন ৷লক্ষ্মী ত্রসেছে লক্ষ্-ধাতু থেকে ,অর্থ-
অঙ্কন,চিহ্রীতকরণ,জ্ঞান,দর্শন,আলোচনা ৷শ্রীশ্রী
ঠাকুর কাছে ধাত্বর্থ অঙ্কন মানে কী জিজ্ঞাসা করায় তিনি বলেছেন,, 'মনে ত্রঁকে রাখা' ; আর চিহ্নীতকর
ণ মানে বলেছিলেন,'চিনে (জেনে)রাখা '৷ লক্ষ্মীর
গুণের মধ্যে ত্রই মনে রাখা বা বিষয় ও ব্যাপারগুলি
জেনে বুঝে ঠিক রাখার প্রকৃতি আছেই ৷তাহ'লে
ধাতুগত সমস্ত অর্থ নিয়ে ভাবলে লক্ষ্মী মানে বলা
যায় —যিনি দেখেন ,আলোচনা করেন গুণাগুণ
বিচার করে যেখানে যেটি যেমনতর প্রযোজ্য তাকে
সম্যকভাবে চিহ্নিত ক'রে রাখেন ৷
মেয়েদের গুনের কথা অনেক জান থাকলেও
প্রকৃত লক্ষ্মী মেয়ে বলতে কী বোঝায় সেম্পর্কে
আমাদের ধারনা খুব পরিস্কার নয় ৷শ্রীশ্রী ঠাকুরকে
জিজ্ঞাসা করায় তিনি লক্ষ্মী-শব্দের ধাতুগত অর্থকে ভিত্তি করে তিনি ছন্দবদ্ধ ভাষা

.🐚শ্রীশ্রীঠাকুরের আদর্শের দৃষ্টিতে মহালয়া🐚    ▪◾▪◾▪◾▪◾▪◾▪◾▪আশ্বিন মাসের অমাবস্যা তিথিতে পিতৃপক্ষের অবসান এবং দেবীপক্ষের ...
02/10/2024

.🐚শ্রীশ্রীঠাকুরের আদর্শের দৃষ্টিতে মহালয়া🐚
▪◾▪◾▪◾▪◾▪◾▪◾▪
আশ্বিন মাসের অমাবস্যা তিথিতে পিতৃপক্ষের অবসান এবং দেবীপক্ষের শুরুর দিনটিকে বলা হয় মহালয়া। পিতৃযান বা পিতৃলোক থেকে আত্মারা মর্ত্ত্যলোকের মহান আলয়ে সম্মিলিত হন, সেই বিশ্বাসে পিতৃ-মাতৃহারা সনাতন ধর্মের মানুষেরা তাঁদের তৃপ্তির ও শান্তির জন্য তিল-জল সহ মন্ত্রোচ্চারণ করে বিগত ঊর্দ্ধতন পিতৃ-মাতৃ পুরুষদের গোত্র উল্লেখ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন,--যাতে তাঁরা লিঙ্গদেহের নিরাশ্রয় নিরালম্ব বায়ুভূতের কষ্টদায়ক ভোগ কাটিয়ে অচিরেই পিণ্ডদেহ ধারণ করতে পারেন।--সাথে ‘আব্রহ্মভুবনল্লোকা’ মন্ত্রে সকল জীবের তৃপ্তির প্রার্থনা জানান হয়। r

এক্ষেত্রে মনে রাখা উচিত বংশে যদি সগোত্রে, সপিণ্ডে এবং প্রতিলোম বিবাহ হয়, তাহলে কোন মন্ত্রে, কোন দানে পিতৃ পুরুষদের আত্মা তৃপ্ত হবে না। তাঁরা পিণ্ডদেহ ধারণ করতে পারবেন না।o

প্রামাণ্য স্মৃতিগ্রন্থ মনু সংহিতার বিধান অনুযায়ী ব্রহ্মযজ্ঞ, দেবযজ্ঞ, ঋষিযজ্ঞ, পিতৃযজ্ঞ ও নৃযজ্ঞ ইত্যাদি নামের পঞ্চ মহাযজ্ঞ অর্থাৎ বিশ্বাত্মার অন্তর্ভূক্ত সকলের মঙ্গল স্থাপনের লক্ষ্যে বাস্তব কর্মের নিত্য-উদযাপনের যে নিত্য তর্পনের বিধান বিদ্যমান, তার মধ্যে পিতৃযজ্ঞ অন্যতম। y

আমরা সারাবছর সেসব ভুলে এই একটি দিন বিগত আত্মাদের স্মরণ করে হিন্দুত্ব রক্ষা করতে চেষ্টা করি। উক্ত ব্রাত্যদোষ থেকে মুক্তি পাবার বিধান দিলেন যুগ-পুরুষোত্তম পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ইষ্টভৃতি মহাযজ্ঞ পালনের মাধ্যমে।r

গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, ইষ্টকে নিবেদন না করে খাদ্য খেলে চোর হতে হয়। ইষ্টকে নিবেদন করার বাসনা নিয়ে শুদ্ধ বাজার করতে হবে, মন্দিরে ভোগ রান্নার ন্যায় শুচিশুদ্ধ ভাবে রান্না করতে হবে। শুদ্ধ চিত্তে নিবেদন করে প্রসাদ স্বরূপ তা খেতে হবে। না হলে চোর হতে হবে।o

শ্রীশ্রীঠাকুর তাই আমাদের খাদ্য গ্রহণের পূর্বে নিবেদন করার বিধান দিলেন।–নিবেদন-ভূমিতে খাদ্য এবং জল দিয়ে বলতে হয়—পরলোকগত পিতৃপুরুষ, আত্মীয়স্বজন, গুরুভাই ও আব্রহ্মস্তম্ব প্রত্যেকে যেন অন্ন পাকে পরিতৃপ্ত হয়ে, সন্দীপ্ত হয়ে জীবন-যশ ও বৃদ্ধিতে পরিপোষিত হয়ে স্মৃতিবাহী চেতনা লাভ করে পরমপিতা তোমারই চরণে যেন সার্থকতা লাভ করে।–এইভাবে গণ্ডুষ করতে হয়। y

শ্রীশ্রীঠাকুর নিদেশিত উক্ত নিত্য তর্পণের বিধান মেনে চললে আত্মশুদ্ধি হয়, নিরালম্ব বায়ুভূতে কষ্ট পেতে হয় না। পূর্বপুরুষরাও তৃপ্ত হন। f

এ বিষয়ে শ্রীশ্রীঠাকুর বলেছেন, ‘‘আপুরমান ইষ্টে কারও যদি প্রকৃত টান জন্মে, এবং তাই নিয়ে যদি সে বিগত হয় তবে সে মহান জীবন লাভ করবেই। আবার এ জীবনে যে যতই হোমরা-চোমরা হোক না কেন, সে যদি সুকেন্দ্রিক না হয়, প্রবৃত্তিই যদি তার জীবনের নিয়ামক হয়, তবে ঐ বিচ্ছিন্ন বিকেন্দ্রিকতা তার মৃত্যুকালীন ভাবভূমি ও পরজন্মকে যে অপগতিতে অপকৃষ্ট করে তুলবে, তাতে সন্দেহ কমই।’’ o
(আঃ প্রঃ ১১/১৮.০৩.১৯৪৮)

আয়াহি বরদে দেবি! ধৃতিকৃতিবিভাব‍রে !
অচ্ছেদ্যশ্রেয়নিষ্ঠে ! চ ইষ্টার্থং পরিবেদনি !
তত্ত্বজ্ঞানবিবেকনী ত্বং দীপ্তকৃতিমণ্ডিতে !
ধীবিনায়িনি ভাবার্থৌ, বিভূতিবিভবান্বিতে !
ধর্মবিধায়িত্রি! দেবি !কৃতিযজ্ঞনিয়োজিকে !
সত্তাচারসুপালিকে !
বোধিকারিণ‍্যৈ তে নমঃ ।।y

-------শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
(আর্যকৃষ্টি)
(বাণী-১৮৪)

সকলকে সৎ-অন্বেষণা অফিশিয়াল পেইজের
পক্ষে মহালয়ার অনেক প্রীতি শুভেচ্ছা।
~~~~~~~শুভ মহালয়া~~~~~~~

প্রিয়পরমের শুভ ১৩৭ তম আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে রা নন্দিত জয়গুরু
16/09/2024

প্রিয়পরমের শুভ ১৩৭ তম আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে রা নন্দিত জয়গুরু


12/09/2024

ইষ্টপ্রান ভক্তপ্রান ভাই ও বোনদের জানায় রা নন্দিত জয়গুরু। আজ পুন্য তালনবমী তিথি। শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের শুভ 137 তম আবির্ভাব তিথি

03/09/2024

Highlight

 #আগমনীর_প্রেক্ষাপটে১৯৪৬ সালের কথা।বিংশ শতাব্দীর অত্যুন্নত ব্রিটিশ রাজত্বকাল। বাংলার রাজধানী কলিকাতা মহানগরীর বুকে অভিশপ...
02/09/2024

#আগমনীর_প্রেক্ষাপটে
১৯৪৬ সালের কথা।বিংশ শতাব্দীর অত্যুন্নত ব্রিটিশ রাজত্বকাল। বাংলার রাজধানী কলিকাতা মহানগরীর বুকে অভিশপ্ত আগস্টে হিন্দু-মুসলমানের সাম্প্রদায়িক প্রত্যক্ষ সংগ্রামের নাটকীয় বীভৎস লীলা।তৎকালীন ঘরে-বাইরে নানা বিপদ-আপদ ও ঝঞ্ঝাটের দরুন শ্রীশ্রীঠাকুরের স্বাস্থ্য কিছুদিন যাবৎ ভালো যাচ্ছিল না। রক্তচাপ ও হৃৎপিণ্ডের দুর্বলতা জনিত নানান উপসর্গে তিনি খুবই কষ্ট পাচ্ছিলেন।এই অবস্থায় চিকিৎসক,আত্মীয়-স্বজন ও শিষ্যদের অনুরোধে তাঁকে বায়ু পরিবর্তনের জন্য কোন স্বাস্থ্যকর স্থানে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ হলো।এই জন্য কৈলোরে একটি বাড়ি ভাড়াও করা হয়েছিল কিন্তু শ্রীশ্রীঠাকুর স্বয়ং বৈদ্যনাথধামে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন তাই সেখানে যাওয়াই স্থির হলো।
১৯৪৬ সালের ৩০সে আগস্ট বিকালবেলা হটাৎ শ্রীশ্রীঠাকুর সুশীলচন্দ্র বসুকে বললেন-"আমি দেওঘর যাবো।আজই আপনি রওনা হয়ে কলকাতায় গাড়ি রিজার্ভের ব্যবস্থা করে রওনা হয়ে যান,বাড়ি ঠিক করার জন্য।"
তাঁর এই কথাতে তখনও আপামর ভক্তগন কেউই বুঝতে পারিনি যে,তিনি তাঁর প্রিয়তম জন্মভূমি এবং তাঁরই সৃষ্ট আশ্রম ত্যাগ করে চিরতরে চলে যাওয়ার উদ্যোগ করছেন।তাঁকে প্রশ্ন করলেন সুশীল দা-"গাড়ি রিজার্ভ করতে হবে কোন ক্লাসের এবং কত লোকের জন্য আর দেওঘরে যে বাড়ি ঠিক করার কথা বললেন সেই বাড়িই বা কিরূপ হবে এবং কত লোকের বাসোপযোগী হওয়া দরকার?
উত্তরে শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন-"যত বড় বাড়ি পান যাতে বহুলোকের স্থান হতে পারে এরূপ বাড়ি ভাড়া করবেন।কারন,কারন আমার সঙ্গে এরা সকলেই যাবে।আর ট্রেনে upper ক্লাস এর এবং third ক্লাস এর গোটা বগী রিজার্ভ করুন।
সুশীল চন্দ্র বসু সেই রাতেই বীরেন মিত্র ও রাজেন মজুমদারকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় গেলেন। পরদিন
E. I. রেলওয়ে স্টেশনের general ম্যানেজারের সাথে দেখা করে তাকে প্রয়োজনের কথা জানাতে তিনি বললেন -"আপনার upper ক্লাস রিজার্ভেশন হতে পারে কিন্তু থার্ড ক্লাসের বগি রিজার্ভেশন হবে না।
সুশীল দা বললেন-"কেন হবে না? মহাত্মাজী সারা ভারত পরিভ্রমন করেন third class বগি রিজার্ভ করে,তা হয় কি করে?
তিনি বললেন-"exception has been made in case of Mahatma Gandhi".
সুশীলচন্দ্র বসু-"if exception has been made in one case,why it should not be done in Sree Sree Thakur's case also"?
কথাবার্তা এবং আলোচনার পর তিনি নিমরাজি মতো হলেন।শ্রীভোলানাথ সরকার ও রাজেন্দ্রনাথ এর উপর এই ভার দিয়ে সুশীল বসু ও বীরেন্দ্রলাল মিত্র ৩১ আগস্ট রাতের ট্রেনে রওনা হয়ে তার পরদিন সকালবেলা দেওঘর পৌঁছে ইষ্টপ্রাণ সৎসঙ্গী সুরেন্দ্রনাথ সেনকে নিয়ে বাড়ির অনুসন্ধানে বের হলেন। তার কাছ থেকে সন্ধান পাওয়া গেল-শহরের একপ্রান্তে "বড়াল বাংলো" নামে একটি প্রকাণ্ড বাড়ি আছে তাতে এককালে ময়মনসিংহের মহারাজা আচার্য শশীকান্ত চৌধুরী বসবাস করতেন।বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখানে কিছুদিন বাস করেছেন। এই বিশাল বাড়ি এবং তার সংলগ্ন বিস্তীর্ন প্রাঙ্গণ দেখে পছন্দ হওয়াতে তত্ত্বাবধায়ককে বাড়ি ভাড়া বাবদ ১০০ টাকা অগ্রিম দিয়ে সুশীলদা তাকে অনুরোধ জানালেন- এক্ষুনি লোক লাগিয়ে একদিনের মধ্যে সমস্ত বাড়িটা চুনকাম করে দিতে হবে, দরকার হলে ডে-লাইট জ্বালিয়ে কাজ করে দিতে হবে" ।
এতগুলো লোক আসবে এদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা কি হবে এই চিন্তা করে স্থানীয় "রামকৃষ্ণ ভান্ডার" থেকে সব জিনিস-চাল,ডাল,মশলা এবং কয়লার দোকান থেকে কয়লা ইত্যাদি সংগ্রহ করে আনা হলো। অনুরূপভাবে চিড়ে,গুড় ইত্যাদি সংগ্রহ করে রাখা হল কেননা ক্ষুধার্ত যাত্রীদল এলেই তাদের কিছু আহার্যের প্রয়োজন হবে, রান্নাবান্না করে খেতে অনেক দেরি হয়ে যাবে। পয়লা সেপ্টেম্বর ১৯৪৬,শ্রীশ্রীঠাকুর সবাইকে নিয়ে আশ্রমের বিশিষ্ট কর্মীগণসহ ঈশ্বরদী থেকে নির্দিষ্ট সময়ে রিজার্ভ বগিতে রওনা হলেন।বগিতে এত ভিড় হয়েছিল যে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।নৈহাটির সৎসঙ্গীরা ঠাকুর আসছেন জানতে পেরে তাদের খাবারের যথেষ্ট আয়োজন করেছিলেন এবং সকলকে আহার্য দান পরিতৃপ্ত করেছিলেন। ব্যান্ডেলে ওই রিজার্ভ বগি মোঘলসরাই প্যাসেঞ্জারের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হল।ট্রেন পরদিন সকাল ন'টায় দেওঘরে স্টেশনে এসে পৌছালো।সুশীলদা শ্রীশ্রীঠাকুর ও অন্যান্য সকলকে নিয়ে স্টেশন থেকে বড়াল-বাংলোয় নিয়ে এলেন।
১৯৪৭সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গ বিভাগ হল। তার এক বছর আগেই যখন কেউ কল্পনাও করতে পারেনি যে দেশ এভাবে অপ্রত্যাশিতভাবে বিভক্ত হবে তখন পরমদয়াল শ্রীশ্রীঠাকুরের দৃষ্টিতে সেটা বোধহয় ধরা পড়েছিল তাই তিনি ঐরূপ দুদৈব সংঘটিত হওয়ার আগেই তার প্রিয় জন্মভূমি এবং বহু বাধা বিঘ্নের ভেতর দিয়ে গড়ে তোলা আশ্রম হঠাৎ ত্যাগ করে চলে এলেন সুদূর দেওঘরে।
কপর্দকশূন্য অবস্থা থেকে,যে বিরাট আশ্রম তিনি গড়ে তুলেছিলেন যার মূল্য হবে প্রায় দেড় কোটি টাকা-তাঁর সেই অতি সাধের আশ্রম তিনি এমনভাবে ত্যাগ করে চলে আসায় তাঁর মনে এতটুকু বিকার দেখা গেল না! শ্রীশ্রীঠাকুরের এই ত্যাগের মূর্তি দেখে সেদিন সবাই বিস্মিত হয়েছিলেন।তারপরেও কোনদিনও এরজন্য বিন্দুমাত্র আক্ষেপ করতে তাঁকে দেখা যায়নি।এটা যেন একটা অতি তুচ্ছ ব্যাপার। এমন নিঃস্পৃহতা এবং অনাসক্ততা শুধু তাঁর পক্ষেই সম্ভব।
‌স্বাস্থ্যের কারনে শ্রীশ্রীঠাকুর তখন পাবনা থেকে বৈদ্যনাথ ধাম গিয়েছিলেন এবং পরে ভারত বিভাগের পরে পাবনা পূর্বপাকিস্তানের("বর্তমানে বাংলাদেশ) অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তিনি বৈদ্যনাথ ধামেই রয়ে গেলেন।এটা অনেকের ধারণা, কিন্তু তাঁর কার্যকলাপ, কথাবার্তা পর্যালোচনা করলে স্পষ্টই বোঝা যায় যে শ্রীশ্রীঠাকুর নিজ প্রজ্ঞাবলে, ভারতের নেতৃবৃন্দের অদূরদর্শীতার দরুন,তৎকালীন রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতিতে বাংলার ভবিষ্যৎ আগে থেকেই প্রত্যক্ষ করেছিলেন এবং প্রাণান্ত চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হন।হিন্দু সম্প্রদায়ের সংখ্যালঘুত্ব দূর করে ভারত-বিভাগ আন্দোলন নাকচ করার চেষ্টা করেছিলেন আপ্রাণ ভাবে। ডাক্তার শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী, ব্যারিস্টার এন.সি. চ্যাটার্জী প্রমুখ বাংলার তদানীন্তন বিশিষ্ট নেতাগনকে তিনি এজন্য অবিরাম যে প্রেরণা ও বুদ্ধি দিয়েছিলেন তা অনেকেরই সুবিদিত। নেতৃবৃন্দের উদাসীনতা ও সহযোগিতার জন্য উপস্থিত বিপদ থেকে রক্ষা করতে অবশেষে তিনি শুধুমাত্র পাবনার হিন্দু সংখ্যা বৃদ্ধি করে জন্মভূমিকে পাকিস্তানের কবল থেকে বাঁচানোর জন্য উঠেপড়ে লাগলেন।কিন্ত বিধি প্রতিকূল।হিন্দুই হিন্দুর শত্রু হয়ে দাঁড়ালো। পারিপার্শ্বিক হিন্দু জমিদারগনের প্রবল বিরুদ্ধতায় তাঁর সবরকম চেষ্টা ব্যর্থ হলো। অনন্যপায় হয়ে শ্রীশ্রীঠাকুর আর্যধর্ম, ও কৃষ্টি রক্ষার উদ্দেশ্যে বাল্য ও কৈশোরে অতিপ্রিয় ক্রীড়াভূমি, যৌবন ও পৌঢ় দশার সাধনক্ষেত্র-সারা ভারতের গৌরব-তাঁর অতি সাধের হিমাইতপুরের সেই সৎসঙ্গ মহাপ্রতিষ্ঠান ত্যাগ করতে বাধ্য হলেন।
‌ কি নিদারুণ মনদুঃখে শ্রীশ্রীঠাকুর পাবনা ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন তা তাঁর পরবর্তীকালে অনেক কথার মধ্যেই বেশ বুঝতে পারা যায়!কথাপ্রসঙ্গে একদিন বড় দুঃখ করে তিনি বলছিলেন-"চেষ্টা করেছিলাম প্রানপণ যাতে হিমাইতপুর না ছাড়তে,কিন্তু অত্যাচারিত হলাম ভীষণ,পারলাম না কিছুতেই।বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিল, মানুষ খুন করে ফেলল ওখানকার সব লোকের বিরুদ্ধতার জন্য পারলাম না। সকলের ভালো করতে গিয়ে আমি একেবারে জাহান্নমে গেলাম"।
আর একদিন বলেছিলেন-"আমরা হিন্দুরাই পাকিস্তানের স্রষ্টা। আমরা আরো চেষ্টা করেছি যাতে আমরা সকলেই মুসলমান হয়ে যাই।পাকিস্তান হওয়ায় হিন্দু মুসলমান উভয়েরই কি ভীষণ ক্ষতি না হল।হিন্দুরা চলে আসায় মুসলমানদের কি লাভ হয়েছে?হিন্দু culture মুসলিম culture এর মধ্যে তো কোনো পার্থক্যই নেই। উভয় সম্প্রদায়ের prophets -রা তো সেই এক অদ্বিতীয়ের একই বার্তাবাহী"।
শ্রীশ্রীঠাকুর এই প্রসঙ্গে আরো বললেন-"আত্মরক্ষা করার মতো সাহস,বীর্য, প্রস্তুতি ও সংহতি যদি না থাকে সেটা কিন্তু একটা অপরাধ।শয়তানি বুদ্ধি ও পশুবলের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করার মধ্যে ধর্ম নেইকো। অহিংসার মধ্যে আমরা যদি দুর্বলতার প্রশয় দিই, হিংসাকে নিরস্ত করার মত শক্তি ও সংহতি যদি আয়ত্ত না করি তাহলে তা দিয়ে পরক্ষে হিংস্রতাকে উৎসাহিত করা হয়।আমরা বলি মেরোও না আর অন্য কেউ তোমাকে মারতে সাহস পায় এমনতরো প্রস্তুতিহীন হয়েও থেকো না বরং নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচান। আত্মরক্ষার প্রস্তুতি প্রতিষ্ঠা না করে অন্যের হাতে নির্বিরোধী মৃত্যুবরণ করাটা যদি অহিংসা হয়,তাহলে আত্মহত্যা একটা বড় ধরনের অহিংসা।
কথা বলতে বলতে বলতে শ্রীশ্রীঠাকুরের চোখ মুখ লাল হয়ে উঠল।তারপর ক্ষোভের সঙ্গে বললেন আপনারা বুঝেও যেমন প্রচন্ডভাবে লাগা দরকার তা কিন্তু লাগেননি আমি অনেকদিন আগে থেকেই কিন্তু আভাস দিয়ে আসছি অনেকদিন আগেই আমি স্বস্তিসেবক তৈরীর কথা বলেছিলাম!"
এদিকে আশ্রমে ধীরে ধীরে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকল।এক একটি কামরায় এক একটি পরিবারেরও ঠাঁই দিয়ে কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছেনা।তবুও মাসে ৪০০০ টাকা লাগছে বাড়িগুলোর ভাড়া দিতে।টাকা সংগ্রহ করতে শ্রীশ্রীঠাকুর একদিন নিজেই খালি পায়ে সৎসঙ্গীদের দোরে দোরে ভিক্ষা করতে বেড়িয়ে পড়লেন।যারা এসেছে কপর্দকশূন্য হয়ে তাদের থাকার জায়গা, খাওয়ার ব্যবস্থা,রোগীর পরিচর্যা সব শ্রীশ্রীঠাকুর নিজের কাঁধের উপরে তুলে নিলেন।ভাবতেও অবাক লাগে যার কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি হিমাইতপুর আশ্রমে অন্য লোকজন লুট করছে- #সেই_তিঁনি_দেওঘরে_ভিক্ষায়_রত।
পরবর্তীকালে 'রঙ্গন ভিলা' বাড়িটা ভাড়া নেওয়া হল। একদিন সন্ধ্যাবেলায় 'বড়াল বাংলা'র ডানদিকের আমগাছের তলায় শ্রীশ্রীঠাকুর চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে আছেন।এমন সময় 'রঙ্গন ভিলা'র মালিক একজন ভদ্রলোককে সঙ্গে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হলেন।তাদের দেখে খুশি হয়ে শ্রীশ্রীঠাকুর বিনীতভাবে জিজ্ঞাসা করলেন-"কেমন আছেন?কুশল তো?"
ভদ্রলোকটি বললেন-তাহার এক আত্মীয়ের টনসিল হয়েছে সেজন্য ডাক্তারের উপদেশ এখানে চলে আসার জন্য,তাই আপনি যদি আমার বাড়িটা খালি করে দেন তবে খুব ভালো হয়।শ্রীশ্রীঠাকুর ব্যথিত কণ্ঠে বললেন-"দেখুন দাদা ভারতের প্রায় ৫০ হাজার লোক আমার মুখের দিকে চেয়ে আছে,তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সবই আমার উপর নির্ভর করছে।আমার অবস্থা যে কেমন সেই শুধু বোঝে প্রাণ যার আমাতে বলিদান।এখানে লোকের অবস্থা এমন যে তারা যদি এক মুঠো ভাতের সঙ্গে একটা লঙ্কা পোড়া পায় তাহলে পরম তৃপ্তির সঙ্গে আহার করতে পারে কিন্তু তাও জোটে না।এমন আমার অবস্থা যে আপনি যদি বাড়িখানা নাও দিতেন তাহলেও আমাকে জোর করে বাড়ি অধিকার করে নিতে হতো। ভেবে দেখুন এখন যদি আমার বাড়ি ছেড়ে দিতে হয় তাহলে আমরা কি ভীষণ বিপদে পড়বো। আমি ব্রাহ্মণ সন্তান,আমার সংসার ছিল,আমার বাড়ি ছিল, আমি কোনদিন চিন্তাও করিনি কখনো আপনাদের কাছে শিয়াল কুকুরের মত একটু আশ্রয়ের জন্য এরকম ভাবে আমাকে প্রার্থনা করতে হবে।আমার এই অপরাগতার বিরুদ্ধে আপনাদের কাছে যে আমি নালিশ করতে পারলাম এই আমার তৃপ্তি। আপনাকে আমি আশীর্বাদ করছি আপনি সুদীর্ঘজীবী হন,দীর্ঘকাল সুখে শান্তিতে থাকুন,আপনি ধনী হন, রাজরাজেশ্বর হন,আর আপনার কাছে আমরা যেন আশ্রয় নিয়েই থাকতে পারি। টাকা দিয়েই হোক আর যাই করেই হোক আপনি অসময়ে আমাদের আশ্রয় দিয়েছেন,আর আপনাদের প্রয়োজনের সময় আমি যে বাড়িটা ছেড়ে দিতে পারছিনা এর থেকে আমার কাছে লজ্জার আর কি থাকতে পারে।আমি আমার নিজের কথা বলিনা এখানকার প্রত্যেকটি মানুষ আপনার চেয়ে লাখগুন বিপন্ন আমরা ওখান থেকে নিরাশ হয়ে এসেছি। আপনি দয়া করে আশ্রয় দিয়েছেন বলেই কোনোরকমে আছি। এর বেশি আর কি বলতে পারি। দেখুন আমি পাশের 'এশিয়াটিকা হাউস' ভাড়া নেওয়ার চেষ্টা করছি,সেটা পেলেই আপনার বাড়ি ছেড়ে দেবো তবে কবে ছেড়ে দিতে পারব ঠিক কথা দিতে পারছিনা"।কথাগুলো শ্রীশ্রীঠাকুর যেন এক নিঃশ্বাসেই বলে গেলেন।বাড়ির মালিক আর কিছু বললেন না।
কালের নিয়ম হয়ত এমনই।প্রেরিত পুরুষ যারাই এই ধরাধামে অবতীর্ণ হয়েছেন তাঁরা যেখানেই পা দিয়েছেন সেখানেই পবিত্র লীলাক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মথুরা থেকে বৃন্দাবন যাত্রা,হজরত রসূলের মক্কা থেকে মদিনা গমন,পরমদয়াল শ্রীশ্রীঠাকুরের পাবনা ছেড়ে দেওঘর আগমন যেন বারেবারেই একই সূত্রে বাধা পড়েছে!ভারী অবাক ব্যাপার!তাঁরা যেখানে গেছেন সেখানেই মানুষ ছুটেছে বাঁচার তাগিদে।শুরু হয়েছে নতুন করে গুছিয়ে নিয়ে পথ চলা।যোগ্যতা হয়তো এমনি করেই তৈরী হয় পরমদয়ালের সান্নিধ্যে থাকতে থাকতে।তবে জন্মস্থান ত্যাগের দুঃখ থাকলেও প্রাণের সবটুকু ভালোবাসা নিয়েই শ্রীশ্রীঠাকুর চলে এসেছিলেন প্রবাসে -বৈদ্যনাথধামে।বৃহত্তর সমাবেশে আবার সেই সবটুকু ভালবাসাই বেঁধে রেখে এসেছিলেন স্বদেশের মাটিতে-হিমাইতপুরে।নিয়ে এলেন সবটুকু ভালোবাসা-রেখেও এলেন সবটুকুই।পূর্ন থেকে পূর্ন নিলে পূর্ণই থেকে যায়।
তাই দিনটি বিহারবাসী মহাসমারহে পুরুষোত্তমের পবিত্র আগমনের বন্দনা করে।উৎসব আনন্দে মেতে থাকে।এমন দিনে আবালবৃদ্ধবনিতা পদব্রজে শোভাযাত্রায় বেরিয়ে এই আনন্দ উৎসবে গা ভাসায়।।
©অমিয়_মৃধা। (তথ্য সূত্র-মানসতীর্থ পরিক্রমা,শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র) ( #ছবি-রোহিনী রোডের এই পথ ধরেই শ্রীশ্রীঠাকুর পাবনা হয়ে বৈদ্যনাথ ধাম থেকে বড়াল বাংলোতে এসে ওঠেন)

26/08/2024

জয়গুরু 🙏

,                   #প্রসঙ্গ_জন্মঅষ্টমী 🚩🌼🌺  ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি  🌺🌼        জন্মাষ্টমী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম...
26/08/2024

, #প্রসঙ্গ_জন্মঅষ্টমী 🚩
🌼🌺 ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি 🌺🌼

জন্মাষ্টমী ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়। এর অপর নাম কৃষ্ণাষ্টমী , গোকুলাষ্টমী , অষ্টমী রোহিণী , শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী ইত্যাদি। জন্মাষ্টমী সনাতন ধর্মলম্বীদের অন্যতম
প্রধান উৎসব। বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয়।r

পুরনো পুঁথি, শাস্ত্র বর্ণনা এবং জ্যোতিষ শাস্ত্রের গণনা অনুসারে কৃষ্ণের জন্মর তারিখ হল o খ্রীষ্টপূর্ব ৩২২৮ সালের ১৮ জুলাই দেবকী এবং বাসুদেবের কোল আলো করে জন্মগ্রহণ করেন।

শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন বাবা মায়ের ছিলেন অষ্টম সন্তান। তিনি ছিলেন মথুরার যাদব বংশের বৃষ্ণি গোত্রের। আমরা বর্তমান সময়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের যেসব ফটো দেখি একটার সাথে অন্যটার কোন মিলy নেই। সমাজে প্রচলিত আছে শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ। কিন্তুু যুগপুরুষোত্তম পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বললেন ;

শ্রীশ্রীঠাকুরঃ শ্রীকৃষ্ণকে আমি এতবার দেখেছি, কিন্তু প্রত্যেকবারই দেখেছি, গায়ের রং কালাে নয়, গৌরবর্ণ তিনি-বৌসন্ধার রং যেমন হয়, অমনি রং। দুর্বা ঘাস চাপা দিয়ে রাখলে যেমন হয়, তেমনি। মিষ্টি মনােমােহন চেহারা। r
[আ.প্র.২২/২৪৭] ।

একবার আলোচনা প্রসঙ্গে কেষ্টদা শ্রীশ্রীঠাকুরকে বললেন, শ্রীকৃষ্ণকে অনেকে বলেছেন শুদ্ধo জ্ঞানস্বরূপ, আবার শ্রীঅরবিন্দ বলেছেন তিনি প্রত্যেকের অন্তর চৈতন্যস্বরূপ।y

#শ্রীশ্রীঠাকুর--- হ্যাঁ। জ্ঞান বললেই প্রশ্ন আসে কিসের জ্ঞান? মানুষ জ্ঞানস্বরূপকে ধরেই প্রকৃত জ্ঞানের অধিকারী হতে পারে। তাই জ্ঞানস্বরূপ স্বয়ং দয়া করে মানুষের জ্ঞানের বিষয়ীভূত হয়ে আবির্ভূত হন, যাতে মানুষ তাঁকে জেনে সার্থক হতে পারে। তিনি হলেন knowledge incarnate ( মূর্তিমান জ্ঞান ) অর্থাৎ incarnation of knowledgeable in flesh and blood ( জ্ঞানের রক্তমাংসসঙ্কুল বিগ্রহ )। 'ব্রহ্মবিৎ ব্রহ্মৈব ভবতি'।r

ব্রহ্ম তো সর্বত্র আছেন, কিন্তু তাঁকে যিনি জানেন, দেখেন, বোঝেন সেই বেত্তাপুরুষের জীবনই সার্থক। তাঁকেই বলে ব্রহ্মবিৎ। 'ব্রহ্মবিৎ ব্রহ্মৈব ভবতি' মানে ব্রহ্মজ্ঞ পুরুষ ব্রহ্মের মত হন' নয়, এর মানে হল 'তিনি ব্রহ্মই হন'। পুরুষোত্তমকেo স্বচ্চিদানন্দস্বরূপও বলা হয়। সচ্চিদানন্দস্বরূপ কথাটা বড় সার্থক কথা। তিনি প্রত্যেকের অন্তরে চৈতন্যস্বরূপ অর্থাৎ চেতনাস্বরূপ এটাও বোঝা যায়।
[ আলোচনা প্রসঙ্গে - ১১দশ খন্ড। ]y

পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র

জয়গুরু শুভ ভাদ্র মাসের শুভেচ্ছাশ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের জন্ম মাস ভাদ্র মাস
17/08/2024

জয়গুরু শুভ ভাদ্র মাসের শুভেচ্ছা
শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের জন্ম মাস ভাদ্র মাস

10/08/2024

সেরা এনগেজার হওয়ার জন্য এবং আমার সাপ্তাহিক এনগেজমেন্ট লিস্টে আসার জন্য ধন্যবাদ! Köùsîk Bârmâñ, Mangal Das, Pramatha Dasgupta, Dutta Sucheta Saha, Gobinda Hazra, Bishal Saha, Annapurna Chakravarty, Piyalee Chowdhury, Partho Kundu, Krishna Sanyal, Jhotan Das, Jharna Datta, Arjoo Dutta, Bire Thami, Partha Dey, Jyotirmoy Sarkar, Mohitangshu Bhowmick, Sourav Nama, Debu Hazra, Manoranjan Debnath, Joyonto Barman, Gour Chandra, Debu Sumitra Baidya, Mangalmay Mondal, Johar Malakar, Purnima Dey Chakraborty, Sima Barmon, Sampat Sarkar, Montu Karmakar, Abhijit Chanda Abhi, Tuna Barik, Shatabdi Barman, Debobroto Adhya, চিরঞ্জীৎ দাস, Rájü Møñdàl, Sandip Roy, Santu Bhunia, Soumyabrata Dey, Ananda Mridha

07/08/2024

জয়গুরু
হে ঈশ্বর তুমি রক্ষা করো আমরা তোমারে লইয়াছি স্মরণ পড়ুক ঝরে প্রভু তোমার আশীষ তাতেই হোক মোদের ধন্য জীবন

31/07/2024

যেথায় থাকিস্ হোসনা বেহুস,
করতে সন্ধ্যা প্রার্থনা
হ'বিই তাতে কর্ম নিপুণ
শক্তি পাবে বর্দ্ধনা।
-----শ্রী শ্রী ঠাকুর।

31/07/2024

ইষ্টপ্রাণ সকল দাদা ও মায়েদের জানাই রাধা-নন্দিত জয়গুরু 🙏🙏

"জয়গুরু" "জীবনে দীক্ষা-গুরুর প্রয়োজনীয়তা কেন? • শ্রীশ্রীঠাকুরঃ সদ্‌গুরু ধরলে তার চৌদ্দপুরুষ (ত্রিকোটিকুল) উদ্ধার হয়। [সা...
31/07/2024

"জয়গুরু"

"জীবনে দীক্ষা-গুরুর প্রয়োজনীয়তা কেন? •

শ্রীশ্রীঠাকুরঃ সদ্‌গুরু ধরলে তার চৌদ্দপুরুষ (ত্রিকোটিকুল) উদ্ধার হয়। [সাত্বত কথা/১৭৮]

শ্রীশ্রীঠাকুরঃ শাস্ত্রে বলে, সদ্‌গুরু লাভ করলে ত্রিকোটি কুল উদ্ধার হয়। [আ.প্র.৪/১১০] •

যে যুক্ত নয়, তার যুক্তি জঞ্জালেই যোজিত হয়ে থাকে প্রায়শঃ। [আচার-চর্য্যা-১/৪৩৩]

শ্রীশ্রীঠাকুরঃ বাইবেলে একটা কথা আছে-He who is not with me, is against me (যে আমার পক্ষে নয়, সে আমার বিপক্ষে)। [দীপর.৩/১৩]

শ্রীশ্রীঠাকুরঃ মানুষ যদি ভগবানের বাঁধনে বাঁধা না থাকে, তাহলে শয়তানের বাঁধনে বাঁধা পড়বেই, যে-কোন না কোন রকমে। [আলো.প্র.২/১৮]

যে সুকেন্দ্রিক নয়, সে ছন্নছাড়া। যে প্রিয়পরমে সঙ্গতিশীল নয়কো, সে তাঁর বিরুদ্ধে।

শ্রীশ্রীঠাকুরঃ সদ্‌গুরু বা পুরুষোত্তমকে পেয়েও যারা দীক্ষা না নেয় তারা কিন্তু ঠকে যায়। তিনি তো আর নিত্য আসেন না। পেয়েও ছেড়ে দেওয়া মানে মন, মায়া, কাল ও প্রবৃত্তির ঘানিতে আরো শত সহস্রবার ঘোরা। [আ.প্র.৩/১৩৫]

শ্রীশ্রীঠাকুরঃ পুরুষোত্তমের সংবাদ যাদের কাছে যেয়ে পৌঁছায়নি, তারা বরং blessed (আশিসপুষ্ট)। কিন্তু যারা সংবাদ পেয়েও তাঁকে গ্রহণ করল না তারা ভাগ্যহীন। [দীপর.১/১৩৭]

দেবীদাঃ ঠাকুর! দীক্ষার কথা এত জোর দিয়ে বলেন কেন?

শ্রীশ্রীঠাকুরঃ দেখি যে কয়টা লোককে বাঁচাতে পারি। [আলোচনা, ভাদ্র/ ১৪০৪/৬০৬ পৃ.]

ধরে দাঁড়াও,-ছেড়ে দাঁড়ালে পড়েও যেতে পার। [শাশ্বতী-৮৭১]

প্রশ্নঃ দীক্ষা না নিয়ে নিয়ম-বিধি মেনে চললে হয় না?

শ্রীশ্রীঠাকুরঃ ওতে অনেক ফাঁক থাকে। তার উপর নির্ভর করা যায় না। Married wife (বিবাহিত স্ত্রী) ও kept (রক্ষিতা)-র মধ্যে যতখানি ফারাক, initiated (দীক্ষিত) ও admirer (গুণগ্রাহী)-এর মধ্যে ফারাক প্রায় ততখানি। [আলো.প্র.৯/১৮] •

শ্রীশ্রীঠাকুরঃ প্রজাপতি দক্ষ যেমন শিবকে অস্বীকার করায় তা ছাগমুন্ড হয়ে গেল। ইষ্টহীন দক্ষতার দশা এই হয়। [আ.প্র.২০/৩৪৪]

রাবণ মস্ত বীর, মহাপন্ডিত ও সহাসাধক তার সবকিছু ব্যর্থ হল, স-বংশ ধ্বংস হল জীবনে গুরু না-থাকায়! •

শ্রীশ্রীঠাকুরঃ মানুষ যতক্ষণ disciple (শিষ্য) না হয়, ততক্ষণ discipline (শৃঙ্খলা) আসে না। [আ.প্র.১৫/২৩৫] •

শ্রীশ্রীঠাকুরঃ যে concentric থাকে, সে সবকিছুর মধ্যে থাকে, গুঁড়ো-গুঁড়ো হয় না। নইলে যে যতই বড় হোক সংসারের চাকার পেষণে গুঁড়ো হয়ে যেতে পারে। [আ.প্র.২০/২৬০]

স্টীমারের কাছে যে নৌকা থাকে তাতে ঢেউ লাগে না। ঢেউ লাগে দূরের নৌকাগুলিতে।- পুণ্যপুঁথি, শ্রীশ্রীঠাকুর।

আমি বেঁচে থাকতে চাই আপনাদের মধ্যে। আপনারাই আমাকে বয়ে নিয়ে বেড়াবেন যুগ যুগ ধরে বংশপরম্পরার ভিতর দিয়ে প্রত্যেকে তার স্ব স্ব জীবন ও চরিত্রে। এই আমার মস্ত আশা। আমাকে এইভাবে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আপনারা গ্রহণ করুন। নইলে আমার কথাগুলো প্রাণ পাবে না। সেগুলি শূন্যে হাহাকার করে ফিরবে। সূত্র- [আঃপ্রঃ ১৮, ২২/১৪/৪৯] - ৷৷


"পুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র"

30/07/2024

শুভ সকাল
সকলকে রাধা নন্দিত
🙏জয়গুরু 🙏

29/07/2024

সকলকে জয়গুরু
আর মাত্র ১০মি. বাকি আসুন প্রার্থনা করি।

Joyguru
29/07/2024

Joyguru

Address

Niamatpur, Dhaka
Naogaon
6530

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when পুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ - নিয়ামতপুর, নওগাঁ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to পুরুষোত্তম শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সৎসঙ্গ - নিয়ামতপুর, নওগাঁ:

Videos

Share