Bhoot Ashor

Bhoot Ashor It's a first digital Platform Studio in Naogaon.

12/10/2023


New Horror movie full movie in hindi dubbed
Indian horror movie 3 full movie in hindi dubbed || South Indian horror movie hindi full movie in hindi dubbed || South Indian horror movie hindi dubbed

hindi dubbed movie aranmanai 3,
2022,new Hindi movie 2022 latest,new hindi movie 2021 full movie bollywood, New Released Full Hindi Dubbed Movie 2022, New South Indian Movies Dubbed In Hindi 2022 Full, New Released South Movie 2022, New South Hindi Dubbed Full Movie 2022, New Released Movie 2022, New South Movie 2022, New South Movie 2022 Hindi Dubbed, South Movie, New Hindi Movie 2022, South Indian Movies Dubbed In Hindi 2022 Full, New South Indian Movies 2022, New Hindi South Movie 2022, Movies 2022 Hindi Dubbed, South Ka New Movies 2022, New Movie 2022, New Bollywood Movie 2022, New Hindi Full Movie 2022, Hindi Full Movie 2022, Latest South Movie 2022, New South IndianNew South Indian Movies Dubbed In Hindi 2022, South Indian Movies Dubbed In Hindi 2022, South Indian Movies 2022, NEW SOUTH MOVIE new bollywood movies 2022 full movie in hindi hd, new hindi dubbed movies, hindi movies, dubbed movies, new, hindi dubbed movie, latest movies, new full hindi movie 2022, south indian movies dubbed in hindi full movie 2022 new, sauth indian movie in hindi dubbed full 2022 new hd, new tamil movies 2022 full movie hindi dubbed, doraemon new movie 2022 in hindi full movie, new hollywood movies 2022 full md movies 2022, hindi dubbed movie, new full hindi movie 2022, south indian movies dubbed in hindi full movie 2022 new, sauth indian
andrea death scene in

Movies Dubbed In Hin di2022Full Movie2022 Hindi Dubbed Full Movie202 2

Movie2022 Movie2022Hindi Dubbed

24/04/2023

আজকের গল্প- অভিশপ্ত মটরগাড়ি

19/04/2023

গল্প নং-০১👉 জ্যান্ত লাশ
লেখক- মারুফ আহমেদ খান।
স্টুডিও রুপান্তর - Rj Rifat
গল্পপাঠে- তোহা,শিমুল ও রিফাত।

প্রতিশোধ পর্ব-৩ (শেষ পর্ব)আরো এক গ্লাস পানি খেয়ে একটা লম্বা করে শ্বাস নিলো জিসান। অতঃপর বলতে শুরু করলো,'ইরা মারা যাওয়ার ...
19/04/2023

প্রতিশোধ

পর্ব-৩ (শেষ পর্ব)

আরো এক গ্লাস পানি খেয়ে একটা লম্বা করে শ্বাস নিলো জিসান। অতঃপর বলতে শুরু করলো,
'ইরা মারা যাওয়ার এক সপ্তাহ পর এক সকালে গ্রামে আবার হৈচৈ পড়ে গেলো। ইরা যে তেঁতুল গাছে ফাঁস নিয়েছিলো! সেই একই তেঁতুল গাছের একই ডালে রহিম আত্মহত্যা করেছে। রহিম আমাদের ফ্রেন্ডসার্কেলের একজন। খবরটা শুনে ছুটে চলে যায় আমরা, গিয়ে দেখি রহিম সেই একই ডালে ঝুলে আছে। ঘাড় একপাশে কাত করা, মুখের জিব্বা অনেকটা বেরিয়ে আছে আর চোখ দুটো খোলা। রহিমের চোখ দুটো যেনো কোটর ছেড়ে ঠিকরে বেরিয়ে আসতে চাইছে। হুবহু ইরার মত রহিমের লাশের অবস্থা হয়েছে। ঘন্টাখানেকের মধ্যে পুলিশ এসে রহিমের লাশ নিয়ে গেলো। আচমকা রহিমের আত্মহত্যাতে গ্রামবাসী ধারণা করে নিলো ইরার জন্যে রহিম আত্মহত্যা করেছে। ইরার সাথে রহিমের সম্পর্ক ছিলো আর ইরার পেটের বাচ্চাটা আর কারো নয়! বরং রহিমের। যেহেতু ইরা আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছে তাই রহিম সেটা মেনে নিতে না পেরে নিজেও আত্মহত্যা করে নিয়েছে। ইরা আর রহিমকে নিয়ে গ্রামের লোকজন আরো রসকস মিশিয়ে নানা রকম গল্প বানাতে লাগলো। রহিমের আত্মহত্যাকে সাধারণভাবে নিলো গ্রামের মানুষ। কিন্তু রহিমের মৃত্যুর তিন দিন পরে যখন সেই তেঁতুল গাছের, সেই একই ডালে তানিয়ার মৃতদেহ ঝুলতে দেখা গেলো! তখন গ্রামবাসির টনক নড়লো। ইরার মৃত্যুর পর আরো দুটো একই ঘটনা ঘটলো। এটা নরমাল কোনো আত্মহত্যা না সেটা গ্রামবাসি বুঝে গেলো। সবাই ধারণা করে নিলো এই দুটো মৃত্যুর পিছনে ইরার হাত আছে। এই ধারণাটা পুরো গ্রামে ছড়িয়ে যেতে খুব বেশি সময় লাগলো না। গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লো, গ্রামের প্রত্যেকটা মানুষ ভয়ে আছে। সন্ধ্যার পরে কেউ আর ঘর থেকে বের হয়না। গ্রামের প্রতিটা বাড়ির চালে রাতের বেলা ইটের টুকরা আর ঢিল পড়তে থাকে। পুরো গ্রামে অশরীরী আতঙ্ক বিরাজ করতে লাগলো। রাতের বেলা বাড়ির চালের উপর ঢিল কোনো মানুষ ছুড়ছে নাকি ইরা রহিম আর তানিয়ার প্রেতাত্মারা ছুড়ছে সেটা কেউ জানেনা। রাতের বেলা তাই কেউ বেরিয়ে এসে দেখার সাহস করেনি। তানিয়ার মৃত্যুর তিনদিন পরের ঘটনা। রাতের বেলা, রাত আনুমানিক দুইটা আড়াইটা হবে! নিহা তার মায়ের সাথে ঘুমিয়ে আছে। ঐ রাতের বেলা ওদের দরজায় পরপর দুটো টোকা পড়লো আর পরপর দুটো ডাক দিলো,
'নিহা বেরিয়ে আয়, আমি ইরা তোকে নিতে আসছি।'
দুইবার ডাক শেষ হতেই নিহা বিছানা থেকে নেমে গেলো, চোখ দুটো বন্ধ করা ওর। ঘুম থেকে পুরোপুরি জাগ্রত হয়নি নিহা। ঘুমের ঘোরে ঢুলু ঢুলু পায়ে হেঁটে দরজার কাছে এসে দাঁড়ালো, অতঃপর দরজা খুলে যখন বেরিয়ে যাবে! ঠিক তখনই নিহার মা এসে তাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে রুমের মধ্যে টেনে দরজাটা ঠাস করে লাগিয়ে দিলো। নিহাকে রুমে নিয়ে দরজা লাগানোর সাথে সাথে বাইরে প্রচন্ড জোরে ঝড়ো হাওয়া শুরু হলো, একই সাথে রাগে কেউ গজরাতে লাগলো। এভাবে বেশ খানিকটা সময় চলার পর ঝড় থেমে গেলো আর গোঙাতে গোঙাতে কেউ নিহাদের বাড়ি থেকে চলে গেলো। এদিকে নিহা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে, তাকে তার মা বিছানায় শুইয়ে দিয়ে সারারাত নিহার মা ওর পাশে বসে থাকলো। এভাবে কেটে গেলো রাত। পরেরদিন সকালে এই ঘটনা পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়লো। এতদিন সবাই ধারণা করেছিলো এইসব আত্মহত্যার পিছনে ইরার হাত আছে। ইরা ই সবাইকে রাতের বেলা ডেকে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলছে। এতদিনের ধারণা নিহার মায়ের কথাতে সত্যি প্রমানিত হলো। কিন্তু রাতের বেলা নিহার সাথে কী কী ঘটেছে, ইরা তাকে ডেকেছিলো সেসবের কিছুই নিহা জানেনা। কোনোকিছুই তার মনে নেই। গ্রামের মানুষ এবার আরো আতঙ্কের মধ্যে পড়ে গেলো। এই বিপদ থেকে কীভাবে তারা মুক্ত হবে তার কিছুই বুঝতে পারছে না কেউ কিন্তু এভাবে তো আর চলতে পারেনা। এই আতঙ্ক নিয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়, সকলেই এর একটা সমাধান চাই। গ্রামের মাতব্বরেরা আলোচনা করে একটা ওঝাকে ডেকে আনলো। সেই ওঝা তাদেরকে জানালো,
'ইরার আত্মাকে আটকানো অনেকটা কঠিন, তবে অসম্ভব কিছু নয়। আমি তেঁতুল গাছটা তাবিজ করে বন্ধ করে দিয়েছি, ইরার প্রেতাত্মা আর কখনো গাছ থেকে গ্রামে এসে কারো কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।'
ওঝার কথায় সবাই যেনো প্রাণ ফিরে পেলো। মানুষের মনে যে ভয় আর আতঙ্ক জমে ছিলো! ওঝার কথায় তা দুর হয়ে গেলো। এরপর কেটে গেলো এক সপ্তাহ। গ্রামের আর কোনো অঘটন ঘটেনি। মানুষ নিশ্চিন্তে আগের মত বসবাস করতে লাগলো। আস্তে আস্তে ইরার কথা সবাই ভুলে যেতে লাগলো। কিন্তু খুব বেশিদিন গ্রামের মানুষ স্বাচছন্দে বসবাস করতে পারলো না। এক সকালে সেই ওঝার লাশ তেঁতুল গাছের ডালে ঝুলতে দেখে গ্রামে সেই ভয় আর আতঙ্ক আবার ফিরে এলো। সবাই বুঝে গেলো ইরাকে আটকানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এমন অবস্থায় কী থেকে কী করবে সেটা কেউ বুঝতে পারছে না। ইরাকে আটকানোর কারণে প্রাণ গেলো ওঝার, আবার যদি কেউ তাকে আটকানোর চেষ্টা করে তাহলে তারও যে ওঝার মত পরিনত হবে! সেটা কারো বুঝতে বাকি রইলো না। ওঝার মৃত্যুর দুইদিন পরে নিহার মৃতদেহ ঝুলতে দেখা গেলো তেঁতুলগাছে। নিহাকেও বাঁচতে দিলো না ইরা। গ্রামে এই পর্যন্ত যে কজন মারা গেছে ওঝা ছাড়া প্রত্যেকজনই যুবক যুবতী, একজনও বয়ষ্ক লোক নেই। তাহলে ধারণা করা যায় যুবক যুবতী ই ইরার টার্গেট। কিন্তু ইরা কেনো এদেরকে মারছে? ইরার সাথে কী করেছে এই মানুষগুলো? নাকি কোনো কারণ ছাড়াই ইরা এদেরকে মৃত্যুর ডাক ডেকে নিয়ে করুণভাবে মারছে? সবকিছু কেমন ধোয়াশা লাগছে। তবে ইরা এখন রক্ত মাংসের মানুষ নয়, বরং ভয়ানক এক প্রেতাত্মা। আর প্রেতাত্মারা করতে পারেনা এমন কোনো কাজ নেই কিন্তু তাই বলে শুধু যুবক যুবতীদেরকেই কেনো? অন্যন্য বয়ষ্ক মানুষদেরকে মারছে না কেনো? কেমন যেনো জট পাকিয়ে যাচ্ছে সবকিছু। সবাই যখন বুঝতে পারলো ইরা শুধু যুবক যুবতীদেরকে মারছে! তখন প্রায় যুবক ছেলেমেয়েরা গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে লাগলো। এর ভিতরে রিয়াদের মালেশিয়া যাওয়ার সব ব্যবস্থা হয়ে গেছে। কয়েক দিনের মধ্যেই রিয়াদ বিদেশে পাড়ি দিলো। আমি আর সারা বাদে গ্রামে আর আমাদের বয়সি একটা ছেলেমেয়েও নেই, যে যেখানে পারছে সবাই চলে গেছে। আমারও চাকরী হয়ে গেলো এই কোম্পানীতে। আমার চাকরী হওয়াতে সারার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দিলাম, উনারাও রাজি হয়ে গেলো। চাকরী না হলে হয়তো রাজি করাটা অনেক কঠিন হয়ে যেতো। যেহেতু সবাই রাজি তাই কোনো রকম অনুষ্ঠান ছাড়াই বিয়ে হয়ে যায়। তারপর শুরু হয় অনেক কাহিনি। যা তার বন্ধু
জিসানের মুখে সব কথা শুনে সুমন একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলতে লাগলো,
'ইরা মেয়েটার জন্য আমার খুব খারাপ লাগছে। সরল বিশ্বাসে মেয়েটা যাকে জীবনের থেকে বেশি ভালোবাসলো! যাকে নিজের দেহমন উজাড় করে দিলো, দিনশেষে সেই মানুষটাই তাকে ধোঁকা দিলো। সরল বিশ্বাসে ভালোবাসার অপরাধে জীবন গেলো ইরার। অতচ কতই না স্বপ্ন দেখেছিলো তাকে নিয়ে, বেঁচে থাকার স্বপ্ন, ঘর বাঁধার স্বপ্ন, সবকিছুই বিফলে গেলো তার। তবে শেষ পর্যন্ত রিয়াদ তার প্রাপ্য শাস্তিটা পেয়েছে, যদিও সেটা আরো আগে পাওয়ার কথা ছিলো। রিয়াদের সাথে যেটা হয়েছে একদম ঠিকই হয়েছে, আরো অনেক কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত ছিলো তার। একটা নীরিহ মেয়েকে মেরে ফেললো, কম কষ্ট নিয়ে ইরা দুনিয়া থেকে যায়নি। আপন মানুষের কাছে প্রতারিত হয়ে মরার আগেই প্রতিনিয়ত মরেছে ইরা।'
এ পর্যন্ত বলে থামলো সুমন। তারপর জিসানের দিকে তাকিয়ে বললো,
'কিন্তু কিছু বিষয় এখনো আমার কাছে পরিষ্কার হলো না ভাই।'
'কী বিষয় ভাই'
'প্রথমমত ইরা তো মারা গেলো! তারপর তার অতৃপ্ত আত্মা নিজের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ফিরেও এলো কিন্তু রিয়াদকে না মেরে অনেকগুলো নিরীহ মানুষকে মেরে ফেললো। এই কেসের সাথে যাদের কোনো হাত ই নেই, ইরার মৃত্যুর জন্য তারা কোনোভাবেই দায়ি নয়, তাদেরকে কেনো মারলো? রিয়াদকে মেরে ফেললেই তো ইরার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়া হয়ে যেতো। আর দ্বিতীয়ত, ইরা অতৃপ্ত আত্মা হয়ে ফিরে আসে, আমরা যতদুর জানি এসব নেগেটিভ এনার্জির প্রচুর শক্তি থাকে। এরা চাইলে যা কিছু করতে পারে। ইরার এত শক্তি থাকা স্বত্তেও রিয়াদকে মারতে তার তিন বছর অপেক্ষা করতে হলো কেনো? সে চাইলে তো রিয়াদ যেখানে ছিলো সেখানেই তাকে মেরে ফেলতে পারতো কিন্তু সেটা সে না করে বরং তিন বছর অপেক্ষা করলো। এটা কেনো?'
সুমনের কথার প্রতিউত্তরে জিসান বললো,
'ইরা কেনো নিরীহ মানুষগুলোকে মারলো বা কেনো জিসানের জন্য তিন বছর অপেক্ষা করলো তার কোনো সঠিক উত্তর আমার কাছে নেই। আপনার কাছে যেমন ধোঁয়াশা লাগছে! তেমনি আমাদের কাছেও ধোঁয়াশা লাগছে। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর একমাত্র ইরা ই দিতে পারবে কিন্তু সেটা জানা তো আর আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ইরা নিজে থেকে এসে আমাদের কাছে রহস্য খোলসা করে যাবেনা, তাই কিছু রহস্য রহস্যই থাকুক। সবকিছু জানতে নেই, প্রকৃতি আমাদের সবকিছু জানায় না। তাই যতটুকু আমরা জানি ততটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে আমাদের।'
'তা অবশ্য ঠিক বলেছেন, সবকিছু জানার অধিকার আমাদের নেই। তবে এই রহস্যটা পরিষ্কার হলে মনে শান্তি পাইতাম। সেটা তো আর হলো না, মনের মধ্যে খসখসানিটা রয়েই যাবে আজীবন। তবে ভাই আপনি যদি কোনোদিন এই রহস্য জানতে পারেন! তবে অবশ্যই আমাকে জানাবেন।'
'জানতে পারলে অবশ্যই জানাবো আপনাকে।'
এরপর আরো কিছুক্ষণ গল্প করলো তিনজন মিলে। গল্প শেষে সুমন তার হাতের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বললো,
'এখন আমাকে যেতে হবে ভাই, রাত তো অনেক হলো ফিরে না গেলে সবাই আবার টেনশন করবে।'
'আপনি রাতটা এখানেই থাকতে পারেন ভাইয়া। এখানে ফাঁকা অনেক রুম আছে, এত রাতে না গিয়ে বরং থেকে যাওয়াই ভালো। বাড়িতে ফোন করে জানিয়ে দেন আপনি এখানে থাকছেন।' সুমনকে উদ্দেশ্য করে বললো সারা।
'না ভাবি আমার থাকলে হচ্ছেনা, একটু দরকারী কাজও আছে আমার।'
'তাহলে আপনি চলে যান ভাই'
অতঃপর জিসান আর সারার থেকে বিদায় নিয়ে রিসোর্ট থেকে বেরিয়ে গেলো সুমন। জিসান সারার দিকে তাকিয়ে বললো,
'তুমি রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও আমি আসছি।'
'এই রাতের বেলা আবার কোথায় যাবে তুমি?'
'ম্যানেজারের সাথে একটু কথা বলতে হবে, কালকে যে আমরা এখান থেকে চলে যাবো! সেটা উনাকে জানাতে হবে তো।'
'আচ্ছা ঠিক আছে, তুমি তাহলে কাজ সেরে তাড়াতাড়ি আসো আমি রুমে গেলাম।'
'আচ্ছা'
চেয়ার ছেড়ে উঠে রুমের দিকে পা বাড়ালো সারা। রুমে এসে ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াশরুমে যেতে লাগলো। ওয়াশরুমের দরজা খুলে কমোডের উপর ইরাকে দেখে ভয়ে জমে গেলো সারা। সারা দেখলো ইরা কমোডের উপর বসে আছে, চুলগুলো তার এলোমেলো। ঘাড় একপাশে কাত করা, জিব্বাটাও ঝুলে আছে আর ইরার ঠিকরে বের হয়ে আসা চোখ জোড়া তার দিকে তাকিয়ে আছে। ইরার ঠোঁটের কোনে রহস্যময় এক হাসি, সারাকে দেখে যেনো মুখ বেঁকিয়ে হাসলো ইরা। সারা আর নিতে পারলো না, চোখ বন্ধ করে জোরে একটা চিৎকার দিলো। সারার চিৎকারের শব্দ শুনে ছুটে চলে এলো জিসান। এসে দেখলো ওয়াশরুমের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে হাত দিয়ে চোখ দুটো ঢেকে থরথর করে কাঁপছে সারা। জিসান দৌঁড়ে এসে সারাকে বুকের সাথে জাপটে ধরলো।
'সারা কী হয়েছে তোমার? এভাবে কাঁপছো কেনো? তুমি কী ভয় পেয়েছো?'
নিজেকে জিসানের বুকে দেখে ঢুকরে কেঁদে উঠলো সারা। তারপর কাঁপাকাঁপা কন্ঠে সারা বললো,
'ঐ কমোডের উপরে আমি ইরাকে বসে থাকতে দেখেছি জিসান, খুব ভয়ংকর লাগছিলো দেখতে। আমার দিকে তাকিয়ে যেনো বিদ্রুপের হাসি হাসলো সে। আমার খুব ভয় লাগছে জিসান, ইরা হয়তো আমাকে মেরে ফেলতে এসেছে।'
এটা বলে আবারো অঝোরে কাঁদতে লাগলো সারা। জিসান ওকে কোনো রকমে শান্ত করে বললো,
'তুমি ইরাকে কমোডে বসে থাকতে দেখোনি সারা, ওটা তোমার মনের ভুল ছিলো। এতক্ষণ ধরে যে আমরা ইরাকে নিয়ে গল্প করলাম! এজন্য তোমার হ্যালোসিনেশন হয়েছে।'
'না আমি ইরাকে সত্যিই দেখেছি আর ও আমাকে মারতে এসেছে জিসান।'
'ও তোমাকে কেনো মারতে আসবে? তুমি কী ইরার কোনো ক্ষতি করেছো? ইরার মৃত্যুর জন্য কী কোনোভাবে তুমি দায়ি?'
'না।' মাথা নাড়িয়ে ছোট করে উত্তর দিলো সারা।
'তাহলে ইরা কেনো তোমাকে মারতে আসবে? বা আমাদেরকে মারতে আসবে? ইরার মৃত্যুর জন্য রিয়াদ দায়ি ছিলো আর তাকে সে মেরে ফেলেছে। ইরার প্রতিশোধও নেওয়া হয়ে গেছে তবে শুধু শুধু তোমাকে কেনো মারতে আসবে বোকা মেয়ে? ভয় পেয়ো না সারা, তোমার কিছু হবেনা, আমি তো আছি তোমার সাথে।'
সারা চোখ মুছে জিসানকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।
'এবার আমাকে ছেড়ে ফ্রেশ হয়ে এসো, ঘুমাতে হবে তো।'
'না ছাড়বো না, ছাড়তে ইচ্ছে করছে না তোমাকে।'
'ঠিক আছে, ফ্রেশ হয়ে এসো তারপর সারারাত জাপটে ধরে থেকো।'
'হিহিহি আচ্ছা।'
হাসলো সারা। সারা হাসলে জিসানের খুব ভালো লাগে। হাসলে সুন্দরও লাগে সারাকে, ইচ্ছে করে অনন্তকাল তার দিকে তাকিয়ে থাকি। কথাটা ভেবে মুচকি হেসে বিছানায় এসে বসলো জিসান। সারা ফ্রেশ হয়ে এলে জিসান ফ্রেশ হলো। তারপর তারা নিজেদের দাম্পত্য জীবন যাপন শুরু করতে লাগলো।

(সমাপ্ত)

প্রতিশোধপর্ব-২সারা পাগলের মত বলে যাচ্ছে রিয়াদ আত্মহত্যা করেনি বরং ইরা ই তাকে মেরে ফেলেছে। সারাকে উদ্দেশ্য করে জিসান বললো...
14/03/2023

প্রতিশোধ

পর্ব-২

সারা পাগলের মত বলে যাচ্ছে রিয়াদ আত্মহত্যা করেনি বরং ইরা ই তাকে মেরে ফেলেছে। সারাকে উদ্দেশ্য করে জিসান বললো,
'তুমি একটু শান্ত হও প্লিজ। হতেও তো পারে রিয়াদ আসলেই আত্মহত্যা করেছে!'
'বোকার মত কথা বলছো কেনো জিসান? ও যদি আত্মহত্যা ই করবে! তবে বিদেশ থেকে দেশে কেনো আসবে? রিয়াদ তো বিদেশেই আত্মহত্যা করতে পারতো, শুধু শুধু দেশে আসার তো কোনো মানেই হয় না। যখন ও দেশে আসছে তখন বেঁচে থাকার জন্যেই আসছে। মরার জন্যে আসেনি। যেহেতু ও আত্মহত্যা করার জন্য দেশে আসেনি, সেহেতু ওর মৃত্যুর পিছনে ইরার ই হাত আছে।'
সারার কথা শুনে চিন্তায় পড়ে গেলো জিসান। সারার কথাগুলো ফেলে দেওয়ার মত নয়, ওর কথাতে যথেষ্ট যুক্তি আছে। জিসান কিছু বলতে যাবে তার আগেই সুমন সারাকে উদ্দেশ্য করে বললো,
'এই ইরাটা কে ভাবি? আর সব থেকে বড় কথা একটা মেয়ে একটা ছেলেকে কিভাবে মেরে ফেলবে? মেয়ের থেকে ছেলের গায়ে তো শক্তি বেশি।'
'ভাইয়া, ইরা আমার বান্ধবী আর হ্যাঁ আপনার কথা ঠিক একটা মেয়ের থেকে একটা ছেলের গায়ে অনেক শক্তি কিন্তু কোনো শক্তিই ইরাকে কাবু করতে পারবে না।'
'ঠিক বুঝলাম না।'
'ইরা আমার বান্ধবী কিন্তু সেটা ছিলো'
'এখন নেই?'
'না'
'কেনো?'
'কারণ সে মৃত, তিন বছর আগে ইরা মারা গেছে।'
'হোয়াট! একটা মৃত মানুষ কিভাবে একজনকে মেরে ফেলতে পারে? কী যা তা বলছেন আপনি?'
'আমি ঠিকই বলছি ভাইয়া। আপনার কাছে এটা অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই সত্যি। ইরা মারা গেলেও ওর আত্মা অতৃপ্ত হয়ে রয়ে গেছে। বেশ কয়েক জনকে ও মেরে ফেলেছিলো ঠিক যেভাবে ইরা মারা গেছিলো সেভাবে। আর আজ রিয়াদকেও মেরে ফেলেছে।'
সারার কথা শুনে সুমন বললো,
'পুরো ঘটনাটা আমাকে একটু খুলে বলবেন? আমি ঠিক বুঝতে পারছি না একটা মৃত মানুষ কিভাবে জীবিত মানুষদেরকে মেরে ফেলতে পারে।'
'আমি আপনাকে বলছি'
পাশ থেকে জিসান জবাব দিলো।
'আচ্ছা বলুন।'
'সেদিন ছিলো শনিবার। বিকালের দিকে আমরা বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম। তখনই আট নয় বছরের একটা ছেলে দৌঁড়ে এসে আমাদেরকে খবর দেয়, ইরা তেঁতুল গাছে ফাঁস দিয়েছে। কথাটা শুনে প্রচন্ড অবাক হই, আমরা যতদুর জানি ইরা আত্মহত্যা করার মত মেয়ে না। তাহলে আত্মহত্যা কেনো করলো? ইরা যে তেঁতুল গাছটাতে ফাঁস দেয়! সেটা অনেক পুরনো একটা তেঁতুলগাছ আর গাছটাও অনেক বড়। আমাদের গ্রামের ভিতরেই গাছটা কিন্তু উত্তর মাঠে, মানে গাছটা একটা ফাঁকা মাঠের মধ্যে। এই গাছটা ওখানে কে লাগিয়েছে তা গ্রামের কেউ জানেনা। আর ফাঁকা মাঠের সেই তেঁতুল গাছটাতে ইরা ফাঁস দিয়েছে শুনে আমরা আর সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না। ছুটে চলে গেলাম সেই তেঁতুল গাছটার কাছে ইরাকে দেখতে। আমরা যখন সেখানে পৌঁছালাম, তার আগেই গ্রামের প্রায় সব মানুষ সেখানে পৌঁছে গেছে। দেখলাম বিশাল বড় সেই তেঁতুল গাছের ছোট্ট একটা চিকন ডালে নিজের ওড়না বেঁধে ফাঁস দিয়েছে ইরা। যেহেতু এটা একটা আত্মহত্যা তাই পুলিশের ভয়ে গাছ থেকে ইরার লাশটা কেউ নামায়নি। গাছের ডালে ইরার লাশটা ঝুলছে আর গ্রামের মানুষ গোল হয়ে সেই দৃশ্য দেখছে। ইরার মাকে দেখলাম তেঁতুল গাছের গোড়ায় বসে আর্তনাদ করে কাঁদছে, কাঁদতে কাঁদতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে। গাছের ডালে ঝুলে থাকার কারণে ইরার ঘাড়টা বেঁকে গেছে, জিব্বাটাও অনেকটা বের হয়ে আছে। চোখ দুটো কোটর ছেড়ে যেনো ঠিকরে বেরিয়ে আসবে এমন অবস্থা, খোলা চোখ দুটোর দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকা যাচ্ছেনা। ভয় লাগছে, বিভৎস্য দেখাচ্ছে ইরার লাশটাকে। এর মধ্যে কেউ একজন পুলিশকে খবর দিয়েছে। জানতে পারলাম খুব শিগ্রই পুলিশ চলে আসবে। পুলিশ আসলে তারপরে ইরার লাশ গাছ থেকে নামানো হবে আর ততক্ষণ পর্যন্ত লাশ ঝুলতে থাকবে। ইরা ঠিক কখন এসে এই গাছে ফাঁস দিয়েছে সেটা বলতে পারছি না, তবে অনেকে বলাবলি করছে দুপুরের দিকে হয়তো ফাঁসটা দিয়েছে। দুপুরের আগেও কেউ কেউ নাকি ইরাকে দেখেছিলো। গাছের ডালে ঝুলতে থাকা ইরার লাশটার দিকে একবার তাকালাম আর তাকিয়েই বুকের ভিতর কেমন যেনো ধক করে উঠলো। দ্বিতীয় বার আর তাকানোর সাহস পেলাম না। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকাতেও আর ইচ্ছে করলো না। বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আসতে আসতে পথে সারার সাথে দেখা হলো আমার। অনেকগুলো মানুষের সাথে সারাও ইরাকে দেখতে যাচ্ছে। পথে আমাকে দেখে দাঁড়িয়ে গেলো সারা, কাঁপা কাঁপা কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
'তুমি কী ইরাকে দেখতে গিয়েছিলে?'
'হ্যাঁ। তুমিও যাচ্ছো?'
'হুম'
'তোমাকে যেতে হবে না সারা, আমার সাথে বাড়ি ফিরে চলো।'
'কেনো?'
'ভয় পাবে তুমি।'
'ইরাকে কী ভয়ংকর দেখতে লাগছে?'
'অনেকটা সেইরকম, ইরার লাশ এখনো গাছের ডালে ঝুলছে, পুলিশ আসবে তারপর নামাবে।'
'আমি একটু যাই না জিসান? দেখে আসি! সবাই তো যাচ্ছে আর সেখানে তো অনেক মানুষ আছে।'
'আচ্ছা যেতে চাইলে যাও।'
কথাটা বলে আমি হাঁটতে শুরু করলাম। পিছন থেকে সারা ডাক দিলো,
'জিসান শোনো না।'
'হুম বলো।'
'সর্বপ্রথম কে দেখেছিলো ইরার লাশটা তেঁতুল গাছের ডালে ঝুলছে?'
'মাঠে কিছু মানুষ কাজ করছিলো, তারা বিশ্রাম নিতে তেঁতুল গাছের ছায়ায় যায়। পরে তাদের ভিতর থেকে কেউ একজন ইরাকে দেখতে পায় গাছের ডালে ঝুলছে। এরপর গ্রামে খবর দেয় তারা, পরে দেখা যায় মেয়েটা আমাদের গ্রামের মেয়ে ইরা।'
'আচ্ছা তুমি তাহলে যাও জিসান'
'ওখানে বেশিক্ষণ থেকো না, পুলিশ এসে নানা রকম প্রশ্ন করতে পারে, যেহেতু তুমি ইরার বান্ধবী তোমাকেও জিজ্ঞেস করতে পারে কিছু।'
'পুলিশে প্রশ্ন করলে কী হবে?'
'ভয় পেয়ে কী না কী বলে ফেলবা উল্টোপাল্টা তার থেকে ওখানে থাকার দরকার নেই। লাশ দেখে তাড়াতাড়ি চলে এসো।'
'আচ্ছা ঠিক আছে।'
সারা চলে গেলো ইরাকে দেখতে আর আমি সোজা বাড়ি চলে এলাম। বাড়িতে এসে কিছু ভালো লাগছে না, পরিবেশটা কেমন যেনো থমকে গেছে। বাড়িতে বসে জানতে পারলাম পুলিশ এসে গাছ থেকে ইরাকে নামিয়ে থানায় নিয়ে গেছে। পোস্টমার্টম করা হবে ইরাকে। ইরার বাবা মা এবং গ্রামের মাতব্বর গোছের কয়েকজন পুলিশকে অনেক বলার পরেও তারা লাশ দিয়ে যায়নি। এটা পুলিশ কেস এজন্য পোস্টমর্টম করা হবে বলে নিয়ে গেছে। ইরার লাশটা তারপরের দিন বিকালের দিকে একটা ভ্যান গাড়িতে করে পাঠানো হয়েছে গ্রামে। পাটিতে মোড়ানো ছিলো ইরার লাশ, সেই পাটি রক্তে ভিজে গেছে। গ্রামের মানুষ দ্বিতীয় বার জড়ো হলো ইরাদের বাড়িতে, তাকে দেখতে। কেউ কেউ লাশ দেখে ভয়ে শুকিয়ে গেলো। এমনকি জিসানও ভয় পেয়ে যায়। আতংকিত অবস্থায় একটি যায়গায় বসে পড়ে।

(পর্বতীতে বাকি ও শেষ অংশ)

প্রতিশোধপর্ব - ১মধ্যরাত। খট করে একটা শব্দ হলো আর সাথে সাথে দরজা খুলে একটা মেয়ে বাইরে বেরিয়ে এলো। ঢুলু ঢুলু পায়ে সামনের দ...
13/03/2023

প্রতিশোধ

পর্ব - ১

মধ্যরাত। খট করে একটা শব্দ হলো আর সাথে সাথে দরজা খুলে একটা মেয়ে বাইরে বেরিয়ে এলো। ঢুলু ঢুলু পায়ে সামনের দিকে হেঁটে চলেছে মেয়েটা। তার চোখ দুটো বন্ধ করে রাখা। মেয়েটার হেলেদুলে হেঁটে চলা এবং চোখ বন্ধ থাকাতে খুব ভালো ভাবেই বুঝা যাচ্ছে সে ঘুমের ঘোরে হেঁটে চলেছে। মেয়েটার কী তবে ঘুমের ভিতরে হাঁটার অভ্যাস আছে? কিন্তু সে যাচ্ছে কোথায়? ঢুলু ঢুলু পায়ে হাঁটতে হাঁটতে বেশ অনেকটা দুরে চলে এসেছে মেয়েটা। জায়গাটা বেশ নির্জন। হঠাৎ একটা ঝাকুনি দিয়ে মেয়েটার ঘুম ভেঙে গেলো। নিজেকে এমন একটা জায়গায় দেখে বেশ অবাক হলো সে, বুঝতে পারছে না সে এখানে কিভাবে এলো! আকাশে পূর্নিমার বিশাল বড় চাঁদ থাকাতে চারপাশ বেশ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। মেয়েটা ঘুরে ঘুরে চারপাশ দেখে বুঝার চেষ্টা করলো সে আসলে কোথায় আছে! কোন জায়গায় আছে। মেয়েটা একটা রাস্তার মাঝ বরাবর দাঁড়িয়ে আছে, রাস্তার দুই পাশে গাছপালা মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে। নিজেকে এমন একটা নির্জন জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বেশ ভয়ও পাচ্ছে মেয়েটা। হঠাৎ সামনের দিকে তাকিয়ে মেয়েটার মুখ থেকে একটা আর্তনাদ বেরিয়ে এলো। ভয়ে রিতিমত কাঁপছে সে। কিন্তু কী দেখে এত ভয় পাচ্ছে সে? মেয়েটার বেশ খানিকটা দুরে একটা বিশাল তেঁতুল গাছ তার বিশাল ডালপালা ছড়িয়ে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটা তেতুলগাছটার দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলতে লাগলো,
'এই তেঁতুলগাছটা এখানে কিভাবে এলো?'
বলতে বলতে মেয়েটা ঢুকরে কেঁদে উঠলো। এই বিশাল তেঁতুল গাছটা যে কিছুক্ষণ আগেও এখানে ছিলো না সেটা মেয়েটা জানে এবং এই তেঁতুল গাছটাকে মেয়েটা খুব ভালোভাবে চেনে। মেয়েটা ভয়ে থরথর করে কাঁপছে আর দরদর করে ঘামছে। মেয়েটা এবার এখান থেকে দৌঁড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নিলো। সে ঘুরে যেই দৌঁড়াতে যাবে! কিন্তু এ কী! সে তো জায়গা থেকে এক চুলও নড়তে পারছে না। মনে হচ্ছে তা পা দুটো কেউ শক্ত করে চেপে ধরে রেখেছে। নিজের জায়গা থেকে নড়তে পারছে না দেখে মেয়েটা এবার আরো ভয় পেতে লাগলো। সে কী করবে! এখান থেকে কিভাবে পালাবে তার কিছুই সে বুঝতে পারছে না। এই রাতের বেলা নিজেকে বড্ড অসহায় মনে হচ্ছে তার। তেঁতুলগাছ থেকে লিকলিকে এক জোড়া লম্বা হাত মেয়েটার দিকে আসতে দেখে ভয়ে জমে গেলো মেয়েটা। লম্বা হাত দুটো এসেই মেয়েটার পা দুটো খপ করে চেপে ধরলো আর সাথে সাথে একটা হ্যাচকা টান দিয়ে মেয়েটাকে তেঁতুলগাছটার গোড়ার কাছে নিয়ে এলো। গাছের উপরে তাকাতেই ভয়ে চিৎকার করে উঠলো মেয়েটা। সে দেখলো চিকন একটা ডালে গলায় ওড়না দিয়ে একটা মেয়ে ঝুলে আছে। তার মাথাটা একপাশে কাঁত হয়ে আছে, জিব্বাটা বেশ খানিকটা ঝুলে আছে আর সেই জিব্বা থেকে ফোঁটা ফোঁটা তাজা রক্ত পড়ছে। মেয়েটার চোখ দুটো খোলা, মুখে ক্রু হাসি আর সে নিচের মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে। তারপর আচমকা গাছের ডালে ঝুলতে থাকা মেয়েটা উধাও হয়ে গেলো। এদিকে নিচের মেয়েটা থরথর করে কেঁপে চলেছে, হয়তো কিছু একটা ঘটবে সেটা ভেবে প্রচন্ড ভয় পাচ্ছে কিন্তু জায়গা থেকে এক চুলও নড়তে পারছে না। যদি পারতো! মেয়েটা হয়তো পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতো। উপরে তেঁতুলগাছের ডাল থেকে একটা লাল ওড়না ক্রমশ নিচের দিকে নেমে আসছে। ওড়নাটার একটা মাথা উপরে গাছের ডালে বাঁধা আর একটা মাথা নিচে নামছে। মেয়েটা বুঝতে পারছে এবার ঠিক ওর সাথে কী হতে চলেছে। কান্না জড়িত কাঁপা কাঁপা কন্ঠে অদৃশ্য কাউকে উদ্দেশ্য করে মেয়েটা বলতে লাগলো,
'আমার ভুল হয়ে গেছে ইরা, আমাকে তুই ক্ষমা করে দে। আমাকে মারিস না, বাঁচতে দে আমাকে। আমি জানি, আমি তোর সাথে অন্যায় করেছি কিন্তু তখন বুঝতে পারিনি, আমাকে প্লিজ মাফ করে দে আর এখান থেকে যেতে দে আমাকে'
কথাগুলো বলতে বলতে কান্নার জোর বেড়ে গেলো মেয়েটার। ইরা নাম করে কাকে সে উপরের কথাগুলো বললো সেটা না জানলেও, গাছের ডালে যে মেয়েটার লাশ ঝুলছিলো সেই যে ইরা সেটা কিছুটা হলেও ধারণা করা যায়। কিন্তু কেনো এই মেয়েটাকে মারতে চায় সেটা একটা রহস্য। ইরা নামের মেয়েটাকে যে নিচের এই মেয়েটা খুব ভালোভাবে চেনে! সেটা বুঝতে পারা যাচ্ছে। কিন্তু ইরা নামের মেয়েটা এই মেয়েটার কথার কোনো জবাব দিলো না। অপরদিকে ওড়না ক্রমশ নিচে নামতে নামতে মেয়েটার গালার কাছে চলে এসেছে। তারপর আচমকা মেয়েটার গলা পেচিয়ে উপরের দিকে নিয়ে যেতে লাগলো লাল ওড়নাটা। গালায় ফাঁস লাগাতে প্রচন্ড ছটফট করতে লাগলো মেয়েটা। ছটফট আর গোঙাতে গোঙাতে ক্রমশ উপরের দিকে উঠে যেতে লাগলো।
ওয়াশরুম থেকে গোসল করে এসে সারা দেখে জিসান এখনো ঘুমিয়ে আছে। কেউ যে এত ঘুমাতে পারে সেটা জিসানকে না দেখলে সারা কখনো জানতোও না। গুটিগুটি পায়ে জিসানের বেডের কাছে এসে ভেজা চুল থেকে পানি ছিটিয়ে দিতে লাগলো ওর মুখে। মুখে পানি পড়তেই ঘুম ভেঙে গেলো জিসানের। তাকিয়ে দেখে সারা ওর দিকে তাকিয়ে মিটিমিটি হাসছে।
'এটা কী করলে? কত আরামে ঘুমাচ্ছিলাম আর তুমি ঘুমটাই ভেঙে দিলে?'
'তো কী করবো নবাব! আমরা এই রিসোর্টে ঘুরতে আসছি আর তুমি এসেই পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছো। বলি যদি ঘুমাবা তাহলে এখানে কেনো নিয়ে আসছো আমাকে? বাড়িতে থেকেই রাত দিন চব্বিশ ঘন্টা ঘুমাইতা।'
'আসলে জার্নি করে আসছি তো তাই ক্লান্ত এজন্য ঘুমটা একটু বেশিই আসছে'
জিসানের কথায় সারা একগাল হেসে উত্তর দিলো,
'আমি তোমার 'বউ' গার্লফ্রেন্ড না যে আমাকে ভুজুংভাজুং বুঝাবা আর আমি সেটা মেনে নেবো। তোমাকে আমি হাড়ে হাড়ে চিনি আর কী বললে? জার্নি করে এসেছো? জার্নি কী তুমি একা করেছো! আমি করি নাই? আর সব থেকে বড় কথা আমরা এখানে আসছি কালকে সো জার্নির কথা আর একবারও বলবা না। বললে কিন্তু খবর আছে। এখন তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে আসো নাস্তা করতে হবে।'
'আমি এখনই যাচ্ছি আমার মিষ্টি বউ'
বিছানা থেকে কিছুতেই এখন উঠতে ইচ্ছে করছে না জিসানের কিন্তু তবুও উঠতে হচ্ছে। আর ঘন্টা দুই ঘুমাতে পারলে বেশ শান্তি পেতো সে। তবে সেটা অন্তত এখানে আর সম্ভব নয়। বিছানা থেকে নেমে ওয়াশরুমে যেতে যেতে বিড়বিড় করে বলতে লাগলো,
'কেন যে প্রেম করে বিয়ে করেছিলাম! জীবনে শান্তিতে থাকতে গেলে অন্তত প্রেম করে বিয়ে করতে নেই। প্রেম করে বিয়ে করেছো বা মরেছো। জীবনটা হয়ে যাবে জেলখানা আর তুমি হয়ে যাবে তার কয়েদী এবং সেই জেলখানার জেলার হবে তোমার প্রেয়শী বউ।'
জিসানের বিড়বিড় করতে করতে চলে যাওয়া দেখে
সারার হাত পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ করে তাকে বিছানায় শুইয়ে দেওয়া হয়েছে। জিসানের দিকে তাকিয়ে সারা বললো,
'তুমি কী এখনো আমার কথা বিশ্বাস করছো না?'
'কী কথা?'
'যেটা আমি বললাম'
'সারা তোমার কোনো ভুল হচ্ছে। তুমি যা ভাবছো সেটা না। হতে পারে পানির নিচে কোনো কাঁটাওয়ালা গাছে তোমার হাতটা আটকে গেছিলো আর হাতে যে আঁচড়ের দাঁগ সেটা সেই গাছের-ই কাঁটায় এমনটা হয়েছে।'
জিসানের কথায় প্রচন্ড রেগে গেলো সারা, চিৎকার করে বললো,
'তুমি বুঝতে কেনো চাইছো না মাঝ নদীতে পানির নিচে কাঁটাওয়ালা গাছ কিভাবে আসবে? আর সব থেকে বড় কথা এটা নদী, কোনো পুকুর টুকুর না যে পানির নিচে কোনো গাছপালা থাকবে। তুমি বিশ্বাস করো জিসান, ওটা একটা হাত ছিলো। হিম শীতল ঠান্ডা একটা হাত, যেনো দীর্ঘদিন ওটা কোনো ফ্রিজের ভিতর রাখা ছিলো। আমার হাতটা পানির নিচ থেকে সেই হাতটাই ধরে রেখেছিলো আর এই আঁচড়ে দাঁগ! এটা ঐ হাতটার নখের আঁচড়ের দাগ।'
'কিন্তু সারা! পানির নিচে হাত কোথা থেকে আসবে? এটা তো কোনো হন্টেডপ্লেস না।'
'আমি জানিনা, আমি কিচ্ছু জানিনা। শুধু জানি আমি এখানে আর একটা মুহূর্তও থাকতে চাই না। তুমি আমাকে এখান থেকে নিয়ে চলো জিসান, এখানে আমার খুব ভয় করছে।'
'কী বলছো সারা? আমাদের তো এখনো আরো পাঁচদিন থাকার কথা।'
'হ্যাঁ থাকার কথা ছিলো কিন্তু আমরা থাকবো না। আমার মনে হচ্ছে এখানে বড়সড় কোনো ঘাপলা আছে, আমি এখানে থাকতে চাই না। আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি জিসান, তোমার সাথে অনেক বছর কাটাতে চাই। প্লিজ আমাকে এখান থেকে নিয়ে চলো।'
জিসান কী করবে বুঝতে পারছে না। তবে এটা বুঝতে পারছে সারা খুব ভয়ে আছে আর সে একবার যখন বলেছে এখানে থাকবে না, তখন হাজার চেষ্টা করেও তাকে রাখা যাবেনা। তাই চলে যাওয়াটাই শ্রেয় মনে করলো জিসান।
'ঠিক আছে, তুমি যখন থাকতে চাইছো না তখন আমরা এখানে আর থাকবো না। কালকে সকালেই চলে যাবো।'
'কালকে কেনো? আজকেই নয় কেনো জিসান?'
'আজকে তো যাওয়া যাবেনা সারা, কাল সকালের ট্রেনে আমরা চলে যাবো।'
'অনলাইনে আজকের টিকিট-টা কাটো, তাহলে তো আমরা রাতের ট্রেনেই চলে যেতে পারি।'
'রাতে যাওয়াটা ঠিক হবেনা, তাছাড়া একটা রাতের ই তো ব্যাপার। আমি টিকিট কেটে রাখবো, কালকে ভোরেই রওনা দেবো আমরা।'
'সত্যি তো কালকে আমাকে নিয়ে যাবে?'
'হুম সত্যি। এখন তুমি একটু বিশ্রাম করো।'
'তুমি কোথায় যাবে?'
'আমি বারান্দায় আছি।'
'আচ্ছা ঠিক আছে।'
সারার কপালে একটা চুমু দিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ালো জিসান। ভালো লাগছেনা কিছু, এখানে আসার উদ্দেশ্য ছিলো সারার সাথে কিছু সুন্দর মূহুর্ত কাটানো কিন্তু এখন সেটা হিতে বিপরীত হয়ে গেলো। পকেট থেকে সিগারেটের প্যাকেট বের করে তার ভিতর থেকে একটা সিগারেট বের করে দুই ঠোঁটের মাঝখানে রাখলো। অতঃপর ম্যাচের আগুন দিয়ে সিগারেট জ্বালিয়ে টানতে শুরু করলো। লম্বা করে কয়েকটা টান দিয়েও মাথা হালকা হলো না জিসানের। কেমন যেনো ভারি হয়ে আছে মাথাটা। সারার কথাগুলো বড্ড বেশি ভাবাচ্ছে তাকে, কিছুতেই যেনো হিসাব মিলাতে পারছে না।
'আচ্ছা, সারার হাত কী আসলেই কোনো হাত এসে চেপে ধরেছিলো? কিন্তু সেটা কিভাবে সম্ভব! নাকি কোনো গাছপালাতে আটকে গেছিলো? কিন্তু সারার কথাটাও ফেলে দেওয়ার মত নয়। মাঝ নদীর পানির নিচে কোনো গাছ থাকার কথা নয়। তবে কী সে? তা কীভাবে হয়!'
কিছু একটা ভেবে জিসানের শিরদাঁড়া বেয়ে একটা শীতল স্রোত নেমে গেলো। ঝিরিঝিরি ঠান্ডা হাওয়ার মাঝেও দরদর করে ঘামছে জিসান।
'না এখানে আর থাকা যাবেনা। কালকেই এখান থেকে চলে যেতে হবে। এখানে থাকাটা রিস্কি আমাদের জন্যে।'
কথাগুলো বিড়বিড় করে বলে সিগারেটে শেষ টান দিলো জিসান। তারপর সিগারেটের ফিল্টারটা দুই আঙ্গুল দিয়ে দুরে ছুড়ে দিলো। বারান্দা থেকে রুমে এসে দেখে সারা একইভাবে শুয়ে আছে কিন্তু এখনো ঘুমায়নি। হয়তো প্রচন্ড ভয়ের কারণে তার চোখে ঘুম নেই। কাছে এসে জিসান জিজ্ঞেস করলো,
'ঘুমাওনি?'
'না। ঘুম আসছে না।'
'ওহ'
সারা আর কিছু না বলে চুপ করে থাকলো।
'আচ্ছা তুমি তাহলে এখানে শুয়ে থাকো আমি বাইরে থেকে একটু ঘুরে আসি।'
'বাইরে মানে! কোথায়?'
'দুরে কোথাও না, একটু নিচে যাবো।'
'নিচে কী?'
'নিচে কিছুনা, এমনেই বাইরে গেলে যদি একটু ভালো লাগে! তাছাড়া এভাবে রুমে বসে থাকতে বোর লাগছে। এখানে এসে যে এভাবে বসে থাকতে হবে সেটা তো আগে ভাবিনি।'
'বুঝতে পারছি তোমার সমস্যাটা। আচ্ছা চলো আমিও তোমার সাথে নিচে যাবো।'
'তোমার তো শরীর খারাপ, তার থেকে এখানে শুয়ে বিশ্রাম নাও।'
'না আমার একা থাকতে ভয় লাগছে।'
'আচ্ছা চলো তাহলে।'
সারাকে সাথে নিয়ে রিসোর্টের বাইরে এলো জিসান। চারপাশে গাছপালা আর দুরে পাহাড়ও দেখা যাচ্ছে। জায়গাটা খুবই সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ।
'জায়গাটা সুন্দর না?'
জিসানের কথায় সারা একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে উত্তর দিলো,
'আমার কাছে কোনোকিছুই এখন আর সুন্দর লাগছে না। এখান থেকে যেতে পারলেই বাঁচি।'
'তুমি সেই একটা বিষয় নিয়ে পড়ে আছো। কেনো এত ভয় পাচ্ছো সারা?'
'আমি কেনো এত ভয় পাচ্ছি সেটা তোমার অজানা নয় জিসান। আমি প্রাণপনে চাই আমার মনের ধারণাটা যেনো মিথ্যা প্রমানিত হোক। প্রতিনিয়ত এই আতঙ্ক নিয়ে বেঁচে থাকাটা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে আমার কাছে। সব ভুলে যখন একটু ভালো ছিলাম, তখন আবার এই ঘটনা ঘটলো আমার সাথে। ভয় না পেয়ে আমি কী করবো জিসান?'
জিসানকে জড়িয়ে ধরে ঢুকরে কেঁদে উঠলো সারা। নিজের স্ত্রীকে আলতো করে বুকের সাথে চেপে ধরে শান্তনা দিতে দিতে জিসান বলতে লাগলো,
'ভয় পেওনা সারা ভয়ের কিছু নেই। আমাদের সাথে কিছু হবেনা। তাছাড়া কাল সকালেই এখান থেকে চলে যাচ্ছি আমরা। তবে আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে লতা জাতীয় কিছু তোমার হাতে জড়িয়ে গেছিলো।'
'ওটা হাত হোক বা অন্যকিছু আমরা এখানে থাকছি না এটাই আমার শেষ কথা।'
'আমাদের প্লান ছিলো এই রিসোর্টে আমরা সাতদিন থাকবো। তাই পুরো পেমেন্ট পরিশোধ করেছিলাম আগেই কিন্তু দূভাগ্যবসত আমাদের থাকা হলো দুইদিন, বাকি পাঁচদিনের পেমেন্ট ওরা ব্যাক দিবেনা।'
'তুমি টাকার কথা ভাবছো! ভয়ে যে আমি মরে যাচ্ছি, সে কথা কী একবারো ভাবছো না?'
'আহা রেগে যাচ্ছো কেনো বউ? তোমার কথা ভাবছি বলেই তো দুইদিন থেকে চলে যাচ্ছি।'
'হইছে আর ঢং করতে হবে না।'
সারার কথার জবাবে জিসান কিছু বললো না।

২য় পাঠ পরে....

22/02/2023

গল্প পড়ার মাঝে যে আলাদা একটা ভালো লাগা কাজ করে তা বলতে হয়না। যারা গল্প পড়তে ভালোবাসেন আজ তাদের জন্য....
* উপন্যাস- দুর্গেশনন্দিনী (১ম খন্ড)
* লেখক- বম্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

>>>( ১ থেকে ৫ পরিচ্ছেদ)

Address

Par-Naogaon BGB Camp Road
Naogaon

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bhoot Ashor posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Bhoot Ashor:

Videos

Share


Other Broadcasting & media production in Naogaon

Show All