দৈনিক বিবিয়ানা

দৈনিক বিবিয়ানা দৈনিক বিবিয়ানা পড়ুন বিজ্ঞাপন দিন

শায়েস্তাগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেদুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদশায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুরে ঢাকা...
11/03/2020

শায়েস্তাগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে
দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অলিপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধভাবে গড়ে উঠা প্রায় দুই শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। বুধবার বিকাল ৪টায় এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমি আক্তারের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কর্মকর্তা, শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে ৪ লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনার রয়েছে সরকারের। মহাসড়ককে ৪ লেনে উন্নয়নের কাজ অচিরেই শুরু হবে। তাই প্রায় ১৫ দিন আগে সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ অবৈধ স্থাপনা সরানোর নির্দেশ দিয়ে মাইকিং করে। এরই অংশ হিসেবে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে মহাসড়কের উভয় পাশের প্রায় ২ শতাধিক দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমি আক্তার জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ৪লেনে উন্নত করার জন্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। নিষেধ দেয়ার পরও দোকানপাট নিয়ে বসাতে অলিপুর মহাসড়কের উভয় পাশের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

বাহুবলে কৃষি জমি থেকে মাটিউত্তোলন ॥ ২ লাখ টাকা জরিমানাবাহুবল  প্রতিনিধি ॥ বাহুবলে কৃষি জমি থেকে এক্সেবেটর দিয়ে মাটি পাচা...
11/03/2020

বাহুবলে কৃষি জমি থেকে মাটি
উত্তোলন ॥ ২ লাখ টাকা জরিমানা
বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবলে কৃষি জমি থেকে এক্সেবেটর দিয়ে মাটি পাচারের দায়ে এক্সেবেটর ও দুই ট্রাক্টর জব্দ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খৃস্টফার রিছিল হিমেল উপজেলার সাতপাড়িয়া গ্রামের হাওরে অভিযান চালিয়ে এক্সেবেটর ট্রাক্টর আটক করেন। বিকালে কৃষি জমি থেকে মটি পাচারের দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ট্রাক্টর চালক উপজেলার বরইউড়ি গ্রামের আব্দাল মিয়ার ছেলে মোজাহিদ মিয়া ও হরিতলা গ্রামের ঈমান আলীর ছেলে হান্নান মিয়াকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা এবং এক্সেবেটর মালিক উপজেলার শংকরপু গ্রামের আআজগর আলীর ছেলে ওয়াছির মিয়াকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। রিপোর্ট লেখাকালে জরিমানার টাকা আদায়ের প্রক্রিয়া চলছিল।

হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজে৩ কোটি ১৭ লাখ টাকায় ২টিভবন ও বাস সার্ভিসের উদ্বোধনহবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্...
11/03/2020

হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজে
৩ কোটি ১৭ লাখ টাকায় ২টি
ভবন ও বাস সার্ভিসের উদ্বোধন
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজে দেশরত্ন শেখ হাসিনা একাডেমিক কাম পরীক্ষা হলের ৪র্থ ও পঞ্চম তলা এবং ড. এম.এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের উদ্বোধন করেছেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির। গতকাল বুধবার দুপুরে এই দুই প্রকল্পের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন তিনি। পরে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা ভাড়ায় বাস সার্ভিসের উদ্বোধন ও কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য। বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ এলিয়াছ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসার শাহনাজ পারভীন, ব্যাবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ইলিয়াছ বখত চৌধুরী জালাল, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ আব্দুল হাকিম, ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সৈয়দা রকিবুন্নাহার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল আজাদ রাসেল, কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন সেতু প্রমুখ। পরে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ ও কলেজের আভ্যন্তরীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির। হবিগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার সরকার জানান, ১ কোটি ৭২ লাখ টাকা ব্যয়ে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজ দেশরত্ন শেখ হাসিনা একাডেমিক কাম পরীা হল এর ৪র্থ ও ৫ তলা এবং ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের ৪র্থ ও ৫ তলার উর্দ্ধমুখী সম্প্রসারণ করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমপি আবু জাহির বলেন, এক সময় হবিগঞ্জ জেলাকে অবহেলিত বলতেন পার্শ্ববর্তী জেলার বাসিন্দাগণ। কিন্তু বিগত ১০ বছরে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক উন্নতি সাধিত হয়েছে। এজন্য হবিগঞ্জ এখন আলোকিত জেলায় পরিচিতি লাভ করেছে। এখানে আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ এবং শীঘ্রই প্রতিষ্ঠা হতে যাচ্ছে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

নবীগঞ্জে হাম রুবেলাটিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২০নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হাম রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২০ উপলক্ষে নবীগঞ্জ উপজেলা ...
11/03/2020

নবীগঞ্জে হাম রুবেলা
টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২০
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হাম রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২০ উপলক্ষে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক অবহিত করন সভা অনুষ্টিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যেগে আয়োজিত সভায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে, ইপি আই মেডিকেল কেনোলজিস্ট আবুল ফয়েজ সৈয়দ তোয়াহা’র পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সুমাইয়া মুমিন। বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শাহাদাত হোসেন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ চম্পক কিশোর সাহা সুমন, প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি মহিতোষ দাশসহ প্রমুখ। অনুষ্টান শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন, হাসপাতাল জামে সমজিদের ঈমাম হাফেজ শামছুল ইসলাম। গীতা পাঠ করেন প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি মহিতোষ দাশ। সভায় আগামী ১৮ মার্চ ২০২০ইং তারিখ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত ১ সপ্তাহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্টানে ও ২৮মার্চ থেকে ১১এপ্রিল পর্যন্ত ২য় ও ৩য় সপ্তাহে নিয়মিত স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র সমুহে হাম রুবেলা টিকা দেয়া অনুষ্টিত হবে। এতে সকলকে টিকা দেয়া ও সহযোগীতা করার জন্য আহবান জানানো হয়েছে।

হবিগঞ্জে ফসলি জমির উর্বর মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়!কমছে উর্বরতা, ফসল উৎপাদনেব্যবহৃত হচ্ছে সার ও কিটনাশকহবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ সরক...
10/03/2020

হবিগঞ্জে ফসলি জমির উর্বর মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়!
কমছে উর্বরতা, ফসল উৎপাদনে
ব্যবহৃত হচ্ছে সার ও কিটনাশক
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হবিগঞ্জে প্রতিনিয়ত ফসলি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি পাচার হচ্ছে ইট ভাটাগুলোতে। এতে কৃষি জমিগুলো উর্বরতা কমায় ফসল উৎপাদনে ব্যবহার করতে হচ্ছে অতিমাত্রায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশক। তবু পাওয়া যাচ্ছে না কাংঙ্খিত ফলন। জমির মালিক বলছে ধানের ন্যয্যমূল্য না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে মাটি। ভাটা মালিকদের দাবি কৃষক বিক্রি করছে তাই কিনছেন তারা। জানা যায়, হবিগঞ্জে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে অন্তত শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। এসব ভাটায় ইট তৈরী করতে ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলি জমির উপরিভাবের উর্বর মাটি। জেলা সদর, চুনারুঘাট ও বাহুবল উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন এক্সেভেটর দিয়ে শত শত গাড়ি মাটি নেয়া হচ্ছে ইটভাটায়। বিভিন্ন সময় প্রশাসনের অভিযানে জেল-জরিমানা করা হলেও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে ফসলি জমি থেকে মাটি বিক্রি। কৃষকদের দাবি- ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে মাটি বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। এছাড়া নিচু জমি নয়, যেসব জমিতে পানি উঠছে না বা চাষাবাদের অনুপযোগী সেগুলোতে চাষাবাদের উপযোগী করে তুলতে তারা বিক্রি করছেন মাটি। এ ব্যাপারে কৃষক আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘এক বিগা (২৭/৩২ শতক) জমিতে ধান চাষ করলে ৮/১০ হাজার টাকা ধান পাওয়া যায়। আর ওই জমির মাটি বিক্রি করলে পাওয়া যায় ২৫/৩০ হাজার টাকা। টাকা সংসার চালাতে চাষাবাদ না করে মাটি বিক্রি করতে হচ্ছে।’ সদর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের শিক্ষক অনিল মাস্টার বলেন, ‘আমার অনেকগুলো জমি উঁচু হয়ে গেছে। সেই জমিগুলোতে পানি উঠে না। তাই জমি নিচু করে চাষাবাদের উপযোগী করে তুলতে ইট ভাটায় মাটি বিক্রি করতে হচ্ছে।’ মোহাম্মদ সাজিদুল মিয়া নামে এক কৃষক বলেন, ‘আমার জমির চারপাশের মালিকরা মাটি বিক্র করায় আমার জমি অনেক উঁচু হয়ে গেছে। ফলে আমার জমিতে এখন আর পানি উঠে না। তাই বাধ্য হয়ে মাটি বিক্রি করতে হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘এছাড়া বর্তমানে ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়া যায় না। তাই অনেক জমি পতিত পরে রয়েছে। সেগুলো থেকে কিছু মাটি বিক্রি করতে হচ্ছে।’ এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইট ভাটা মালিক বলেন, ‘অনেক কৃষক জমির মাটি বিক্রি করতে আমাদের কাছে আসেন। ফলে আমরা কিনি। কোন জমির মালিক বলতে পারবে না আমরা জোর করে মাটি আনছি।’ ‘ফসলি জমি থেকে মাটি ক্রয়-বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ তাহলে আপনার কেন আইন অমান্য করছেন’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর সরকারকে প্রচুর পরিমাণ টেক্স দিয়ে আমরা ব্যবসা করি। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসনকেও টাকা পয়সা দিয়ে ম্যানেজ করতে হয়।’ বাহুবল উপজেলা ব্রিকস ফিল্ড মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহীন মিয়া বলেন, ‘অনেক কৃষক আমাদের কাছে এসে বলেন আমার জমিটা উচু হয়ে গেছে। আপনারা আমাদের মাটি কিনে আমাদের জমিটা বাঁচান। তাদের অনুরোধে অনেক সময় ভাটা মালিকরা ফসলি জমি থেকে মাটি কিনেন। না হলে কোন ভাটা মালিক ফসলি জমি থেকে মাটি কিনেন না।’ এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)-এর হবিগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ‘ফসলি জমি থেকে প্রতিনিয়ত মাটি বিক্রির কারণে দিন দিন উৎপাদন কমে যাচ্ছে। ফলে দেখা দিতে পারে খাদ্য সংঙ্কট। পাশাপাশ হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশও। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।’ হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক তমিজ উদ্দিন খাঁন বলেন, ‘ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি অত্যন্ত উর্বর। এই উর্বর মাটি বিক্রির কারণে অধিক হারে কমে গেছে উৎপাদন। ফলে অর্জিত হচ্ছে না লক্ষমাত্রা।’ তিনি বলেন, ‘উপরের যে উর্বর মাটি বিক্রি হচ্ছে। সেই মাটি পুণরায় তৈরী হতে সময় লাগে ৩/৪ বছর। কিন্তু অনেক কৃষক না জেনে মাটি বিক্রি করছেন আবার অনেকে জেনেও বিক্রি করছেন। এ ব্যাপারে আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘প্রতিনিয়ত মাটি বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। যখন যেখানে খবর আসে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে সেখানেই অভিযান চালানো হয়।’

হবিগঞ্জে জাতীয় দূর্যোগপ্রশমন দিবস উদযাপনহবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ ১০ মার্চ (বাসস) ‘দূর্যোগ ঝুকি হ্রাসে পূব প্রস্থতি, ...
10/03/2020

হবিগঞ্জে জাতীয় দূর্যোগ
প্রশমন দিবস উদযাপন
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ ১০ মার্চ (বাসস) ‘দূর্যোগ ঝুকি হ্রাসে পূব প্রস্থতি, টেকসই উন্নয়নে আনবে গতি’ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে হবিগঞ্জে জাতীয় দূর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মঙ্গলবার দুপুরে বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলে র‌্যালি, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও মহড়ার আয়োজন করা হয়। হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম, জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের অধ্যক্ষ সৈয়দা রওশন সুলতানা। পরে ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট ও স্কাউটদের অংশগ্রহণে ভূমিকম্প ও অগ্নি নির্বাপনের উপর মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিব্রন্দ।

কাগাপাশা ইউপির ৫নং ওয়ার্ডআওয়ামীলীগের কমিটি গঠনপ্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ বানিয়াচং উপজেলার ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী...
10/03/2020

কাগাপাশা ইউপির ৫নং ওয়ার্ড
আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ বানিয়াচং উপজেলার ৬নং কাগাপাশা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কাগাপাশা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম খাঁন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোপিকা রঞ্জন রায়ের পরিচালনায় বিকাল ৩টায় গত ৮ মার্চ রবিবার কাগাপাশা ইউনিয়ন কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ এরশাদ আলী, ইউপি আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মজিদ, জেলা ছাত্রলীগ সাবেক সহ-সভাপতি মুহিবুর রহমান ও মোঃ লুৎফুর রহমান চৌধুরী, জেলা যুবলীগ নেতা আমজাদ আহমদ চৌধুরী, ইউপি আওয়ামীলীগ নেতা শাহাব উদ্দিন শাহা প্রমুখ। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পিন্টু চন্দ্র দাশকে সভাপতি ও শেখ গোলাপ মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কাগাপাশা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

হবিগঞ্জে করোনা ভাইরাস বিষয়কমতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিতহবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ করেনাভাইরাস ও তার প্রতিকার নিয়ে গতকাল দুপুরে জেলা প্...
10/03/2020

হবিগঞ্জে করোনা ভাইরাস বিষয়ক
মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ করেনাভাইরাস ও তার প্রতিকার নিয়ে গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে এতেম আরও উপস্থিত ছিলেন, এডিসি অমিতাভ পরাগ তালুকদার, এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি) মর্জিনা আক্তার, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সাধারণ সম্পাদক সায়েদুজ্জামান জাহির, হবিগঞ্জ জনতার এক্সপ্রেস সম্পাদক ফজলুর রহমানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক। মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক জানান, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশও ব্যাপক পস্থতি সৃহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে হবিগঞ্জেও প্রস্থত রাখা হয়েছে ৫০টি শয্যা। নিষিদ্ধ করা হয়েছে বড় ধরণের সভা সমাবেশসহ বড় বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান। এছাড়াও করোনাভাইরাস সম্পর্কে সার্বণিক যে কোনো তথ্য জানতে এবং জানাতে চালু করা হয়েছে হটলাইন। জেলা প্রশাসক আরও জানান, হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ৫০টি শয্যা তৈরি করা হয়েছে। যেকোন সময় ওই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিলে দ্রুত টিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। এবং সন্দেহজনক কাউকে পেলে তাৎণিক তাকে নিবির পর্যবেণের মাধ্যমে আইসোলেশনে রাখা হবে। এছাড়াও করোনাভাইরাস সম্পর্কে গুজব না ছড়িয়ে সবাইকে সচেতন হয়ে চলারও পরামর্শ দেন তিনি।

নবীগঞ্জে হত্যা মামলারমৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতারনবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জে হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী স...
01/03/2020

নবীগঞ্জে হত্যা মামলার
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জে হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী সুন্দর আলী বাহিনীর প্রধান সুন্দরকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৯। গতকাল ১ মার্চ রবিবার সকাল ৯ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুন্দর আলীকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। নবীগঞ্জ উপজেলার ক্রাইমজোন হিসাবে খ্যাত ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের মৃত আফছার উল্লার পুত্র সুন্দর আলী। জানাযায়, বিগত ২০০৮ ইংরেজী সালের ২২শে জুন নবীগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর গ্রামের মৃত আফতাব মিয়ার পুত্র কৃষক আবুল মিয়াকে দিবালোকে হত্যা করে সুন্দর ও তার বাহিনীর লোকজন। এঘটনায় ৮জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরই প্রেেিত হবিগঞ্জের আদালতে ২০১৭ ইংরেজী সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী আবুল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সুন্দর আলী সহ ৭ জনকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ হয়। এরপর থেকে সুন্দর দেশের বিভিন্ন স্থানে পলাতক ছিল। গতকাল রবিবার সকালে গোপন সুত্রে খবর পেয়ে সিপিসি-২ (শ্রীমঙ্গল ক্যাম্প) র‌্যাব-৯ এর কোম্পানী অধিনায়ক এএসপি মোঃ আব্দুল খালেক এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটের সময় আসামী গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করে সুন্দরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে এশটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তার গ্রেফতারের খবরের এলাকায় শান্তির নিশ্বাস ফিরে এসেছে।

মাধবপুরে পিকাপ ট্রাকমুখোমুখি সংঘর্ষে, চালক নিহত, আহত ২মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ ঢাকা সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর ত্রিমুখি সংঘর্ষে চ...
01/03/2020

মাধবপুরে পিকাপ ট্রাক
মুখোমুখি সংঘর্ষে, চালক নিহত, আহত ২
মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ ঢাকা সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর ত্রিমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দুইজন। গতকাল রবিবার সকাল ১১টার দিকে মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার রতনপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত ব্যক্তি হলো শরিয়তপুরের বাহেরচর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে রফিক মিয় (৩০)। খবর পেয়ে মাধবপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নিহত ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে। শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনিরুজ্জাম চৌধুরী জানান, দূর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকাগামী ট্রাক ও দুইটি পিকাপ ওভারটেক কারার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রফিক মিয়ার লাশ শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানায় রয়েছে।

নবীগঞ্জে জাতীয় বীমা দিবস উপলক্ষের‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্টিতস্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘‘বীমা দিবসে শপথ করি, উন্নত দেশ গড়ি’’ এই ...
01/03/2020

নবীগঞ্জে জাতীয় বীমা দিবস উপলক্ষে
র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত
স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘‘বীমা দিবসে শপথ করি, উন্নত দেশ গড়ি’’ এই স্লোগান দিয়ে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় প্রথম জাতীয় বীমা দিবস পালিত হয়েছে। ১ লা মার্চ রবিবার সকাল ১০ টায় সারা দেশের ন্যায় নবীগঞ্জ উপজেলায় প্রথম জাতীয় বীমা দিবস পালন উপলক্ষে নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রাঙ্গন হতে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন পুনরায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে এসে সমাপ্ত হয়। র‌্যালী শেষে উপজেলা পরিষদের অডোটরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার সভাপতিত্বে উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম। উক্ত আলোচনা সভায় আমন্ত্রীত অতিথিদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ৯নং বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবু সিদ্দিক সহ অন্যান্যরা।

আগামীকাল শাখা বরাক, বৃহস্পতিবার খোয়াই নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরুস্টাফ রিপোর্টার ॥ সাংবাদিক সম্মেলন আহবান করা ...
01/03/2020

আগামীকাল শাখা বরাক, বৃহস্পতিবার খোয়াই
নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু
স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাংবাদিক সম্মেলন আহবান করা হয়েছিল নবীগঞ্জের শাখা বরাক নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান সম্পর্কে অবগত করানো জন্য। কিন্তু সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের মুখে জেলা প্রশাসক থেমে থাকা হবিগঞ্জের পুরাতন খোয়াই নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পুনরায় চালুর জন্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার নবীগঞ্জের শাখা বরাক নদী ও বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জের পুরোনা খোয়াই নদীর তীরে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে । গতকাল বিকেল ৪টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান জানান, মঙ্গলবার শাখা বরাক নদীর তীরে ১০১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। স্থাপনার মধ্যে কাচা, পাকা ও আধা পাকা বাড়ী ঘর রয়েছে। উপস্থিত কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক জেলা প্রশাসককে জানান, হবিগঞ্জের শহরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পুরনো খোয়াই নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ। সাবেক জেলা প্রশাসক উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছিলেন। শহরের দক্ষিানাংশ(মাছুলিয়া) থেকে উচ্ছেদ শুরু হলে জনগন আশা করেছিলেন এ অভিযান উত্তরাংশে গিয়ে শেষ হবে। কিন্তু বর্তমানে এ অভিযান বন্ধ থাকায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সাংবাদিকরা খোয়াই নদী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান কী কারনে বন্ধ রয়েছে জানতে চাইলে জবাবে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, প্রয়োজনীয় ফান্ড না থাকায় এতো দিন অভিযান বন্ধ ছিল। সম্প্রতি পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় এর জন্য ২৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ফান্ড দিয়েছে। স্থাপনা ভাংগন কাজে শ্রমিকসহ অন্যান্য কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে। ইতিপূর্বে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও অবৈধ দখলদারকে তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। অবৈধ স্থাপনার মধ্যে মসজিদ মন্দির স্কুলসহ ৫টি প্রতিষ্টানও রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, কিছু লোক উচ্চ আদালত থেকে আদেশ এনে তারা স্থাপনা তৈরী করেছেন। আদালতের আদেশ থাকায় তা উচ্ছেদ করা যাচ্ছেনা। এগুলো উচ্ছেদের আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্রয়োজনে অধিগ্রহন আইনে এসব স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো জানান, আগামী ৯ মার্চ খোয়াই রিভার সিষ্টেম উন্নয়ন প্রকল্পটি প্রি-একনেকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এদিকে হবিগঞ্জ শহরে প্রধান সড়কসহ আনাচেকানাচে পোস্টা, লিফলেট, ব্যানার যত্রতত্রভাবে ঝুলিয়ে রাখার কারণে শহরের সৌন্দোর্য্য নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আর্কষণ করলে তিনি আগামী আইনশৃঙ্খলা সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জনান। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অমিতাভ পরাগ তালুকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মর্জিনা বেগম, স্থানীয় সরকার শাখার উপ পরিচালক মো: নূরুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত, প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন, সাধারন সম্পাদক সাইদুজ্জামান জাহির, সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তাফা রফিক, শামীম আহছান, রুহুল হাসান শরীফ, শোয়েব চৌধুরী, সাংবাদিক শাহ ফকরুজ্জামান,রাশেদ আহমদ খান, নুরুজ্জামান চৌধুরী শওকত, সিরাজুল ইসলাম জীবন প্রমুখ।

কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনার অনেকদিন পার হলেও আজ পর্যন্তক্ষতিপূরণ পায়নি হবিগঞ্জের নিহতের পরিবারগুলোহবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ প্রায় সা...
29/02/2020

কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনার অনেকদিন পার হলেও আজ পর্যন্ত
ক্ষতিপূরণ পায়নি হবিগঞ্জের নিহতের পরিবারগুলো
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ প্রায় সাড়ে ৩ মাস অতিবাহিত হলেও রেলমন্ত্রীর ঘোষিত অনুদান ১ লাখ টাকা এখনও পায়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারগুলো। এ অবস্থায় অর্থ সংঙ্কটে হতাহতের অনেক পরিবারই মানবেতর জীবন-যাপন করছে। শুধু তাই নয়, আদৌ অনুদানের টাকা পাবেন কি-না তা নিয়েও তাদের মনে দেখা দিয়েছে সংশয়। জানা যায়, গত বছরের ১২ নভেম্বর ভোররাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মন্দবাগ স্টেশনের রেল ক্রসিংয়ে ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ও ‘তূর্ণা নিশীতা ট্রেনে’র মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ ঘটে। এতে নারী-শিশুসহ ১৬ জন নিহত ও প্রায় শতাধিক যাত্রী আহত হন। নিহতদের মধ্যে ছিল হবিগঞ্জের ৯ জন। দূর্ঘটনার পরদিন সকালে পরিদর্শনে এসে নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে ১ লাখ টাকা সরকারি অনুদানের ঘোষণা দেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। কিন্তু ঘটনার প্রায় সাড়ে ৩ মাস অতিবাহিত হলেও মন্ত্রীর ঘোষিত সেই অনুদাদের টাকা এখনও পায়নি নিহতদের পরিবার। এ অবস্থায় বানিয়াচংয়ের নিহত আল আমীন ও আদিবা আক্তারের পরিবারসহ অনেক পরিবারই অর্থ সংঙ্কটে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এছাড়াও ওই দূর্ঘটনায় আহতদের পরিবারগুলোর অবস্থা আরও নাজুক। একই পরিবারের একাধিক উপার্জনক্ষম ব্যক্তি পঙ্গু হয়ে ঘরে বসে থাকায় পরিবারগুলোতে দেখা দিয়েছে চরম অর্থ সংঙ্কট। ফলে একদিকে যেমন খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তাদের, অপরদিকে নিতে পারছেন না উন্নত চিকিৎসা। এ অবস্থায় আহতদের অনেকই চিরদিনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণের দিকে ধাবিত হচ্ছেন। কেউ কেউ আবার ধার-দেনা করে টাকা এনে চিকিৎসার ব্যয়বহন করলেও বাড়ছে ঋণের বোঝা। এ বিষয়ে বানিয়াচং উপজেলার গুণই গ্রামের নিহত আল আমীনের স্ত্রী ফুলবানু বলেন, “আমার স্বামী পেশায় একজন রাজমিন্ত্রী ছিলেন। তার রোজগারের আয় দিয়েই চলতো আমাদের সংসার। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে ৩ শিশুসন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছি।” তিনি বলেন, “ঘটনার পর হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৫ হাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা দেয়া হয়েছিল। এছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে কিছু মানুষ যৎসামান্য সহযোগিতা করেছেন। ওই টাকা দিয়ে আমার মাতৃত্বজনিত রোগের চিকিৎসার ব্যয় নির্বাহ করেছি। বর্তমানে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছি। কেউ আমাদের কোন খোঁজ-খবর দিচ্ছে না। শুনেছি মন্ত্রী মহোদয় ১ লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু সে টাকা আমরা এখনও পাইনি।” একই উপজেলার টাম্বুলিটুলা মহল্লার সোহেল মিয়ার দুই বছরের মেয়ে আদিবা আক্তার দূর্ঘটনায় মারা গেছেন। এছাড়া গুরুত্বর আহত হয়ে ঘরবন্ধি হয়ে আছেন তিনি ও তার স্ত্রী। তিনি জানান, দীর্ঘ সাড়ে তিনমাস ধরে কোন কাজ করতে না পারায় পরিবারের অভাব অনটন বেড়েই চলেছে। তাছাড়া টাকার অভাবে তার ও তার স্ত্রীর চিকিৎসা করাতে পারছেন না। জানতে চাইলে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুন খন্দকার বলেন, “ঘটনার পরপরই বানিয়াচংয়ের নিহতদের পরিবারের যাবতীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করেছি। তবে এখনও এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি।” জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, “কিছুদিন পূর্বে মন্ত্রণালয় থেকে আমাকে টেলিফোনে জানানো হয়েছিল নিহতদের পরিবারের লোকজনকে ঢাকায় নিয়ে অনুষ্ঠানিকভাবে সরকারির অনুদানের এক লাখ টাকা দেয়া হবে। এ লক্ষে দিন-তারিখও নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে অনিবার্য কারণবশত অনুষ্ঠানটি স্থগিত হয়ে যায়। তবে আমি আশা করছি খুব তাড়াতারি অনুষ্ঠানিকভাবে অনুদানের টাকা নিহতদের পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হবে।” উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মন্দবাগ স্টেশনের রেল ক্রসিংয়ে উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীতা ট্রেনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় হবিগঞ্জের নারী-শিশুসহ ৯ জন নিহত হন ও ২৫ জন আহত হন। নিহতরা হলেন- হবিগঞ্জ শহরতলীর আনোয়ারপুর গ্রামের মৃত হাসান আলীর ছেলে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আলী মো. ইউসুফ (৩২), বানিয়াচং উপজেলার মদন মোরাদ গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে আল আমিন (৩৪), একই উপজেলার টাম্বুলিটুলা মহল্লার সোহেল মিয়ার মেয়ে আদিবা আক্তার (২), হবিগঞ্জ শহরতলীর বহুলা গ্রামের আলমগীর মিয়ার ছেলে ইয়াসিন মিয়া (১২), চুনারুঘাট উপজেলার পীরেরগাও গ্রামের মৃত আব্দুল হাশেমের ছেলে ও হবিগঞ্জ সরকারী বৃন্দাবন কলেজের ছাত্র আশিকুর রহমান সুজন (২৫), একই উপজেলার উলুকান্দি গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (২২), চুনারুঘাট উপজেলার আমরোড এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সালামের স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৬২), নবীগঞ্জ উপজেলার বনগাও গ্রামের হারুণ মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম (২৬) ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামের আজমত উল্লার ছেলে রিপন মিয়া (২৬)।

বড়লেখার লন্ডন প্রবাসীর বাগানবাড়ি থেকেনবীগঞ্জের তরুণীর লাশ উদ্ধারস্টাফ রিপোর্টার ॥ মৌলভীবাজারের বড়লেখায় লন্ডন প্রবাসীর বা...
29/02/2020

বড়লেখার লন্ডন প্রবাসীর বাগানবাড়ি থেকে
নবীগঞ্জের তরুণীর লাশ উদ্ধার
স্টাফ রিপোর্টার ॥ মৌলভীবাজারের বড়লেখায় লন্ডন প্রবাসীর বাগানবাড়ি থেকে সাহিদা বেগম নামে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার লন্ডন টাওয়ার হ্যামলেটস সিটির সাবেক কাউন্সিলর জয়নাল চৌধুরীর বড়লেখার বাগান বাড়ির দু’তলা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে বাড়ীর মালিক জয়নাল চৌধুরী ও ২ কেয়ারটেকারের সন্ধান মিলছে না। এ তরুণীর মৃত্যুকে ঘিরে এলাকায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা পৌরশহরের আল আমিন মার্কেট ও ফাতেমা হাউজের সত্ত্বাধিকারী জয়নাল চৌধুরী ব্রিটিশ নাগরিক। দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে তিনি লন্ডনে বসবাস করেন। দেশে আসলে উপজেলার দাসেরবাজার ইউনিয়নের ধর্মদেহী গ্রামের বিলাসবহুল বাড়ি এবং পাশেই পানিশাইল গ্রামে তার নির্মিত অত্যাধুনিক দু’তলা বাগান বাড়িতে থাকেন। এ বাড়িতে দুজন কেয়ারটেকার সপরিবারে বসবাস করে। স্থানীয়রা জানায়, জয়নাল চৌধুরী বাগান বাড়িতে অবস্থানকালে প্রায়ই অজ্ঞাত নারী-পুরুষের আনাগোনা দেখতে পায়। সাহিদা বেগম নামে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার এক তরুণী সেখানে থাকতেন। বুধবার রাতের যেকোনো সময় ওই তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনার আগের দিন পর্যন্তও জয়নাল চৌধুরীকে ওই বাগানবাড়িতে দেখা গেলেও ঘটনার পর থেকে তার আর কোনো সন্ধান মেলেনি। তার সঙ্গে গা ঢাকা দিয়েছে বাড়ির কেয়ারটেকাররা। মনোরঞ্জন বিশ্বাস নামে পানিসাইল গ্রামের এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার সকালে জয়নাল চৌধুরীর বাগান বাড়িতে ঘাস কাটতে গিয়ে সদর দরজার ডান পাশের গ্লাস লাগানো রুমে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। তরুণীর রহস্যজনক লাশ দেখে তিনি লোকজনকে জানান। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় থানার এসআই শরীফ উদ্দিন ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গেইট ও দরজা তালাবদ্ধ দেখতে পান। স্থানীয় ইউপি সদস্যকে নিয়ে তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে দু’তলার পশ্চিম দক্ষিণের বেডরুমে মেঝের উপর চিত অবস্থায় এক তরুণীর লাশ দেখতে পান। রাত ১টায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জয়নাল চৌধুরীকে বাগান বাড়ী থেকে বেরিয়ে যেতে দেখেন। মনোরঞ্জন সকাল ৮ টায় ঘাস কাটতে গিয়ে বাড়ীর নিচ তলার কক্ষে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। সন্ধ্যায় লাশটি দু’তলায় কিভাবে গেল এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। জয়নাল চৌধুরীর বাগান বাড়িতে আমির আলী ও অনন্ত বিশ্বাস নামে দু’জন কেয়ারটেকার সপরিবারে বসবাস করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে তাদের কোন সন্ধান মিলছে না। এতে তরুণীর মৃত্যুর রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। বড়লেখা থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক শুক্রবার সন্ধ্যায় জানান, লন্ডন প্রবাসীর বাড়ির ভেতর থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নারীর গলায় চন্দ্রাকৃতির চিহ্ন (দাগ) রয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। জয়নাল চৌধুরীকে বাড়িতে পাওয়া যাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনও বন্ধ। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করছে।

27/02/2020

হবিগঞ্জে প্রশাসনের অনুমতি না পেয়েও গভীর
রাতে ইজতেমা আয়োজনের চেষ্টা সাদ পন্থীদের
পুলিশের হস্তক্ষেপে পন্ড ॥ শহর জুড়ে ছিল দিনভর উত্তেজনা
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জ শহরে সাদ পন্থীদের ঘোষিত ৩ দিনব্যাপী ‘জেলা ইজতেমা’র জন্য প্রশাসন অনুমতি না দিলেও তারা গভীর রাতে ইজতেমাস্থলে অবস্থান নিয়ে প্যান্ডেল নির্মাণের চেষ্টা করে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তাদের এই চেষ্টা পন্ড হয়ে যায়। পরে সাদ পন্থীরা চলে যায় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পাইকপাড়ায় আর বিরোধী পক্ষ অবস্থান নেয় হবিগঞ্জ শহরের মার্কাজ মসজিদে। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে দিনভর উত্তেজনা থাকলেও পুলিশের হস্তক্ষেপে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হবগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতান মাহমুদপুর এলাকায় ২৭ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত তিন দিনের জেলা ইজতেমার কর্মসূচি ঘোষণা করে সাদ পন্থিরা। তারা ইজতেমা আয়োজনে ছিল বন্ধপরিকর। অপরদিকে কোন মূল্যে ইজতেমা প্রতিহত করার ঘোষনা দেয় অপরপ। এ নিয়ে আন্দোলন ও পাল্টা আন্দোলন শুরু হয় সমগ্র জেলা জুড়ে। ইজতেমা নিয়ে দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে দাড়ালে জেলা প্রশাসন সাদ পন্থিদের ইজতেমার আবেদন খারিজ করে দেয়।
কিন্থ বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সাদ পন্থীদের শতাধিক মুসল্লী ইজতেমা স্থলে গিয়ে প্যান্ডেল তৈরির চেষ্টা করে। বিষয়টি হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ জানতে পেরে সেখানে গিয়ে তাদের আয়োজন ভন্ডুল করে দেয়। পরে সেখানে অবস্থানরত সকল মুসল্লিদেরকে বের করে দেয় পুলিশ। সাদ পন্থীরা চলে যায় পাইকপাড়া এলাকায়। সাদ পন্থীদের এই প্রচেষ্টার খবর জানতে পেরে হবিগঞ্জ জেলা বেফাক সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লা আকিলপুরীর নেতৃত্বে শত শত সাদ বিরোধী মুসল্লী হবিগঞ্জ মার্কাজ মসজিদে অবস্থান নেয়। এ নিয়ে চলতে থাকে দিনভর উত্তেজনা। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের তৎপরতার জন্য আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা বেফাক সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লা আকিলপুরী প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘স্ব-ঘোষিত আমীর মাওলানা সাদ দীর্ঘদিন ধরে তাবলীগ জামায়াত ও বিশ্ব ইজতেমায় বিশৃড়খলা সৃষ্টির অপতৎপরতা করছেন। এরই মাঝে তার অনুসারীরা হবিগঞ্জে বিতর্কিত ইজতেমা আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে অনাকাড়িখত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। জেলা প্রশাসন তাদের ইজতেমা আয়োজনের আবেদন খারিজ করার পরও তারা যে চেষ্টা করে তা নিন্দনীয়। তারা দেশের আইনকেও অমান্য করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি মাসুক আলী জানান, বুধবার দিবাগত গভীর রাতে একদল মুসল্লী সুলতান মাহমুদপুর এলাকায় ইজতেমার স্থলে অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের তৎপরতা থাকায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা শহীদের৪র্থ মধত্যুবার্ষিকী আজহবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ভাষা সৈনিক ও সাবেক সমা...
24/02/2020

সাবেক মন্ত্রী মোস্তফা শহীদের
৪র্থ মধত্যুবার্ষিকী আজ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ভাষা সৈনিক ও সাবেক সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী চুনারুঘাট-মাধবপুর থেকে ৬ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ২১শে পদকপ্রাপ্ত এডভোকেট এনামুল হক মোস্তফা শহীদ এর ৪র্থ মধত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে তার পরিবারের পক্ষ থেকে চুনারুঘাট উপজেলার কুঠিরগাঁও গ্রামে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী তিনি ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগ নেতা এনামূল হক মোস্তফা শহীদ ২৮ মার্চ ১৯৩৮ সালে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কুঠিরগাঁও গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হবিগঞ্জের সরকারী বধন্দাবন কলেজ থেকে বিএ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রী লাভ করেন। পেশাগত জীবনে তিনি একজন আইনজীবী হলেও দেশ ও জাতির কল্যাণ রাজনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিনে। তিনি আওয়ামীলীগের জন্মলগ্ন থেকেই এর কার্যক্রমের সাথে সরাসরি জড়িত। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দলকে সু-সংগঠিত করেন। এনামূল হক এলাকার বিভিন্ন শিা ও সমাজকল্যাণমূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। এলাকার বেশ কিছু স্কুল কলেজ স্থাপনে তিনি অগ্রণি ভূমিকা পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ভারত থেকে সিএনসি স্পেশাল ট্রেনিং গ্রহণ করেন। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তিনি সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং ইয়ূথ ক্যাম্পের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিভিন্ন সেক্টরে সিভিল এফেয়ার্স এডভাইজার হিসেবে কাজ করেন। ষাটের দশকে পাকিস্তানী সামরিক জান্তা ও আইয়ূব শাহীর বিরুদ্ধে গণ আন্দোলনে তিনি তাঁর এলাকায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলন এবং ঊনসত্তরের গণঅভুত্থানে তিনি স্মরণীয় ভূমিকা রাখেন। তিনি বাংলাদেশের সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ৮০’র দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তাঁর অনন্য ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। তিনি প্রথম জীবনে একজন শিক্ষক ছিলেন। ভাল অভিনয় করার পাশাপাশি বেশ কিছু গ্রন্তু রচনা করেন তিনি। এনামূল হক ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনসহ হবিগঞ্জ-৪ (নির্বাচনী এলাকা-২৪১) (চুনারুঘাট-মাধবপুর), ১৯৭৩, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পঞ্চম জাতীয় সংসদে তিনি ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সপ্তম জাতীয় সংসদে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে এবং ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে শপথ নেন এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। এ সময় তিনি চা শ্রমিকদের রেশন চালুসহ সামাজিক নিরাপত্তা বলয় শক্তিশালী করতে বলিষ্ট ভূমিকা রাখেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখার জন্য ২০১৩ সালে এনামুল হক মোস্তফা শহীদ হবিগঞ্জের ১ম ব্যাক্তি হিসাবে একুশে পদক লাভ করেন।

দিনারপুর কলেজের ভবন ও ভুমিদাতাপরিবারকে অবমূল্যায়নের অভিযোগসংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জের দিনারপুর কলেজে চরম অবমূল্যায়নের শিকার ‘ভ...
24/02/2020

দিনারপুর কলেজের ভবন ও ভুমিদাতা
পরিবারকে অবমূল্যায়নের অভিযোগ
সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জের দিনারপুর কলেজে চরম অবমূল্যায়নের শিকার ‘ভবন ও ভুমিদাতা’ পরিবার। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহল, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে বইছে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড়। জানা যায়, প্রায় ২০ বছর পূর্বে দিনারপুর কলেজের (২য় পৃষ্টায় দেখুন) ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপিত হয়। কিন্তু তহবিল না থাকাসহ নানা জটিলতার কারণে কলেজটি চালু করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর কলেজের ভুমিটি পরিত্যক্ত ছিল। একপর্যায়ে গাবদেব গ্রামের দানশীল ব্যাক্তি আব্দুর রউফ চৌধুরী সুরুজ মিয়াসহ ভুমিদাতারা তাদের ভূমি ফেরত চাইলে ৩ মাসের মধ্যে ভবন নির্মানের প্রতিশ্রুতি দেয় কলেজ বাস্তবায়ন কমিটি। এমন কঠিন মুহূর্তে এগিয়ে আসেন লন্ডন প্রবাসী সমাজসেবক আবুল কাশেম চৌধুরী। তিনি প্রায় ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে কলেজের মূল ভবনটি নির্মান করে দেন। এরপর থেকেই বিভিন্ন ভাবে অবমূল্যায়নের শিকার হতে থাকে ‘ভবন ও ভুমিদাতা’ পরিবার গুলো। গত রবিবার কলেজের সম্প্রসারিত ভবনের উদ্বোধন করেন শিক্ষামšী¿ ডাঃ দিপু মনি। ওই অনুষ্ঠানেও ‘ভবন ও ভুমিদাতা’ পরিবারের সদস্যদের দাওয়াত করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহল, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে বইছে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অন্যতম ভুমিদাতা মধত হাজী আব্দুস সামাদের পুত্র লন্ডন প্রবাসী জামাল আহমেদ জানান, চরম অবমূল্যায়নের শিকার হচ্ছেন তারা। কলেজের ভাল-মন্দ কোন বিষয়েই তাদেরকে জানানো হয় না। এমনকি শিক্ষামন্ত্রীর অনুষ্ঠানেও তাদের পরিবারের কাউকে দাওয়াত করা হয়নি। বিষয়টি তাদের চরমভাবে ব্যথিত করেছে। অপর ভুমিদাতা আব্দুর রউফ চৌধুরী সুরুজ মিয়ার পুত্র জালাল চৌধুরী ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে জানান, কলেজের ভবন দাতাদের নামফলক থাকলেও ভুমিদাতা হিসেবে তার পিতার কোন নামফলক নেই। শুধুমাত্র প্রিন্সিপালের কক্ষে দায়সারা ভাবে একটি সাইনবোর্ড সাঁটানো আছে। তাও পড়ে আছে অযত্ন-অবহেলায়। শুধু তাই নয়, নামটিও অশুদ্ধভাবে লিখে রাখা হয়েছে। এতেই বুঝা যায় ভুমিদাতাদের প্রতি কতটা উদাসীন তারা। কলেজের মূল ভবনদাতা লন্ডন প্রবাসী সমাজসেবক আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কলেজের কঠিন দুঃসময়ে সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছিলাম। উদ্দেশ্য ছিল এলাকায় উচ্চু শিক্ষার প্রসার ঘটুক। কিন্তু আমাদের চরমভাবে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। অন্য দুটি ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও আজও পর্যন্ত আমার দেয়া মূল ভবনটির কোন আনুষ্ঠানিকতাই হয়নি। এমনকি শিক্ষামšী¿র অনুষ্ঠানে নামটি পর্যন্ত উচ্চারণ করতেও নির্লজ্জ কৃপনতা দেখানো হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘যদিও নাম আমাদের মূখ্য উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু তারপরও অবমূল্যায়ন আর উদাসীনতার সংস্কৃতি চর্চা হলে ভবিষ্যতে মানুষ সামাজিক কর্মকান্ডে চরমভাবে নিরুৎসাহিত হবে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশ ও সমাজ।’ তিনি আরো বলেন, ‘দিন আনে দিন খায় এমন মানুষও সাধ্য অনুযায়ী সহযোগীতা করে কলেজ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেছে। অথচ সেইসব সাধারণ মানুষকেও আজ অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। এ অবস্থায় সচেতন মানুষসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সর্বস্থরের এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে।’ প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে গজনাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শাহনেওয়াজ বলেন, ‘ভবন ও ভুমিদাতা পরিবারের প্রতি অসম্মান ও অবমূল্যায়নের বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। ভবন ও ভুমি দিয়ে যারা সহযোগীতা করেছেন তাদের ভূমিকা অপরিসীম। তাদের যথার্থ মূল্যায়ন করা উচিত। কলেজের একজন অন্যতম উদ্যোক্তা হিসেবে আমি বিষয়টির প্রতিকার দাবি করছি।’ জানতে চাইলে কলেজ বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুর রহমান মুকুল বলেন, ‘অবমূল্যায়ন করার কোন সুযোগই নেই। এমন মানষিকতা আমরা লালন করি না। তবে হয়তো মনের অজান্তে কোথাও খানিকটা দূরত্ব তৈরি হয়ে থাকতে পারে। এমনটি হয়ে থাকলে তা খুবই দুঃখজনক। আমরা নিশ্চয়ই এ দূরত্ব কমিয়ে আনার চেষ্টা করব।’ এদিকে, সোমবার দিবাগত রাতে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে কলেজ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ডাঃ আব্দুল হাইয়ের সাথে বার-বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।

Address

Central Plaza
Nabiganj
3370

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when দৈনিক বিবিয়ানা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category


Other Newspapers in Nabiganj

Show All