01/03/2020
আগামীকাল শাখা বরাক, বৃহস্পতিবার খোয়াই
নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু
স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাংবাদিক সম্মেলন আহবান করা হয়েছিল নবীগঞ্জের শাখা বরাক নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান সম্পর্কে অবগত করানো জন্য। কিন্তু সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের মুখে জেলা প্রশাসক থেমে থাকা হবিগঞ্জের পুরাতন খোয়াই নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পুনরায় চালুর জন্য প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার নবীগঞ্জের শাখা বরাক নদী ও বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জের পুরোনা খোয়াই নদীর তীরে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে । গতকাল বিকেল ৪টায় জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্টিত সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান জানান, মঙ্গলবার শাখা বরাক নদীর তীরে ১০১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। স্থাপনার মধ্যে কাচা, পাকা ও আধা পাকা বাড়ী ঘর রয়েছে। উপস্থিত কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক জেলা প্রশাসককে জানান, হবিগঞ্জের শহরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পুরনো খোয়াই নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ। সাবেক জেলা প্রশাসক উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছিলেন। শহরের দক্ষিানাংশ(মাছুলিয়া) থেকে উচ্ছেদ শুরু হলে জনগন আশা করেছিলেন এ অভিযান উত্তরাংশে গিয়ে শেষ হবে। কিন্তু বর্তমানে এ অভিযান বন্ধ থাকায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সাংবাদিকরা খোয়াই নদী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান কী কারনে বন্ধ রয়েছে জানতে চাইলে জবাবে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, প্রয়োজনীয় ফান্ড না থাকায় এতো দিন অভিযান বন্ধ ছিল। সম্প্রতি পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় এর জন্য ২৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা ফান্ড দিয়েছে। স্থাপনা ভাংগন কাজে শ্রমিকসহ অন্যান্য কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে। ইতিপূর্বে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও অবৈধ দখলদারকে তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। অবৈধ স্থাপনার মধ্যে মসজিদ মন্দির স্কুলসহ ৫টি প্রতিষ্টানও রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, কিছু লোক উচ্চ আদালত থেকে আদেশ এনে তারা স্থাপনা তৈরী করেছেন। আদালতের আদেশ থাকায় তা উচ্ছেদ করা যাচ্ছেনা। এগুলো উচ্ছেদের আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্রয়োজনে অধিগ্রহন আইনে এসব স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো জানান, আগামী ৯ মার্চ খোয়াই রিভার সিষ্টেম উন্নয়ন প্রকল্পটি প্রি-একনেকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এদিকে হবিগঞ্জ শহরে প্রধান সড়কসহ আনাচেকানাচে পোস্টা, লিফলেট, ব্যানার যত্রতত্রভাবে ঝুলিয়ে রাখার কারণে শহরের সৌন্দোর্য্য নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আর্কষণ করলে তিনি আগামী আইনশৃঙ্খলা সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জনান। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অমিতাভ পরাগ তালুকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মর্জিনা বেগম, স্থানীয় সরকার শাখার উপ পরিচালক মো: নূরুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত, প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন, সাধারন সম্পাদক সাইদুজ্জামান জাহির, সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তাফা রফিক, শামীম আহছান, রুহুল হাসান শরীফ, শোয়েব চৌধুরী, সাংবাদিক শাহ ফকরুজ্জামান,রাশেদ আহমদ খান, নুরুজ্জামান চৌধুরী শওকত, সিরাজুল ইসলাম জীবন প্রমুখ।