10/01/2025
আমি গত এক বছর ধরে ইস্তিগফার করছি। আমি ২০২৩ এর রমাদান থেকে ইস্তিগফার করা শুরু করি। প্রথম প্রথম আমি দিনে ১০০০ বার ইস্তিগফার করতাম। এখন দিনে ২০ হাজার/২৫ হাজার বার ইস্তিগফার করি৷
ফলাফল : আমি কোনো কিছু ভাবার সাথে সাথেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা সেটা কবুল করে নেন।
আমি উমরাহ যেতে চেয়েছিলাম। আল্লাহ একদিনের মধ্যে আমার ভিসার ব্যবস্থা করে দেন। ট্রাভেল এজেন্টও অবাক হয়ে গিয়েছিলো কারন ভিসা আসতে কমপক্ষে ৫ দিন লাগে।
আমার জীবনে ইস্তিগফারের আরো অনেক অনেক অলৌকিক গল্প আছে। আমি কিছু চাইলেই সেটা কবুল হয়ে যায় সাথে সাথে। আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে শেষ করতে পারবো না।
বিঃদ্রঃ নির্দিষ্ট সংখ্যায় ইস্তিগফার করলে বিশেষ ফজিলত আছে এমন ভাবা যাবে না৷ টার্গেট রাখতে পারেন যে আমি দিনে এতোবার ইস্তিগফার করবো। তবে এতোবারই করতে হবে বা এতোবার করলেই দু'আ কবুল হবে এমন ভাবলে বিদআত হবে। বরং যতো ইচ্ছা করতে পারেন ইনশাআল্লাহ।
#সংগৃহীত
অনেকের সুবিধার্থে add করলাম :
আল্লাহ মহান। ক্ষমাশীল। তার দয়া ও ক্ষমার কোনো সীমা নেই। ইস্তিগফার পাঠে বান্দার অভাব মোচন হয়। পাপাচার ক্ষমা করা হয়। রিজিকে আসে পরিপূর্ণ বরকত। জীবনে প্রশান্তি লাভের জন্য বেশি বেশি ইস্তিগফার পাঠ করা যায়।
ইস্তেগফার কি? ***
ইস্তিগফার আরবি শব্দ। এর অর্থ ক্ষমা প্রার্থনা করা। মহান আল্লাহ হলেন ‘গাফির’ (ক্ষমাকারী), ‘গফুর’ (ক্ষমাশীল), ‘গাফফার’ (সর্বাধিক ক্ষমাকারী)। ইস্তিগফার মানে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা। আল্লাহর দরবারে নতিস্বীকার করা। ভুল-ত্রুটি ও অন্যায় অপরাধগুলো ক্ষমা করতে কাকুতি-মিনতি করা। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষ্পাপ হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিন ৭০ থেকে ১০০ বার ইস্তিগফার করতেন।
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-এর বিবরণে আছে রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি লাগাতার তওবা-ইস্তিগফার করবে, মহান আল্লাহ সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করে দেবেন।’ (আবু দাউদ ১৫১৮)
কি কি পড়লে ইস্তেগফার হবে:
যেকোনো একটিতেই হবে,
*******১(ছোট ইস্তেগফার)
ব্যস্ততার মাঝেও এটি পড়া অসম্ভব নয় উঠতে বসতে সর্বদা মুখে লেগে রাখা যাবে ইন শা আল্লাহ্:
أَستَغْفِرُ اللهَ
উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লাহ।
অর্থ: আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
*******২
أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি।
অর্থ: আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তার কাছেই (তওবাহ করে) ফিরে আসি।
******৩
أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণ: আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।
অর্থ: আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তার দিকেই ফিরে আসছি। "
***** ৪ (সায়েদুল ইস্তেগফার)
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْت
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আনতা রব্বি। লা ইলাহা ইল্লা আনতা। খালাকতানি ওয়া আনা আবদুকা। ওয়া আনা আলা আহদিকা। ওয়া ওয়া’দিকা মাসতাতা’তু। আউজু বিকা মিন শাররি মা-সানাআ’তু। আবুয়ু লাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা। ওয়া আবুয়ু লাকা বি জাম্বি। ফাগফিরলি। ফা ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনবা ইল্লা আনতা।
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমার প্রভু, আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ বা মাবুদ নেই; আপনিই আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি আপনারই গোলাম, আর আমি আছি আপনার প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকারের ওপর আমার সাধ্যমতো; আমি আপনার কাছে পানাহ ও আশ্রয় চাই আমার অনাসৃষ্টির অকল্যাণ এবং অপকার ও ক্ষতি হতে। আমি স্বীকার করছি আমার প্রতি আপনার সব নিয়ামত, আরও স্বীকার করছি আপনার সমীপে আমার সকল অপরাধ; সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দিন, আর অবশ্যই আপনি ছাড়া ক্ষমা করার আর কেউ নেই (নাসায়ি ৫৫২১, বুখারি ও মুসলিম)