Da'wah E-lallah

Da'wah E-lallah Stay in Islam and get Happiness

21/10/2023
19/04/2023

নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেন 🍁

12/04/2023

আগামীকাল রাত থেকে লাইলাতুল ক্বদর তালাশ করুন। যদি
লাইলাতুল কদর পেয়ে যান তবে সে রাত্রের আমল
হবে টানা ৮৩ বছর ৪ মাসের সমান। কারন এই রাত হাজার
মাস ইবাদত করার চেয়েও উত্তম। ছোট ছোট কিছু
আমল প্রতি রাতে করতে পারেন।
১) সূরা ইখলাস (কুলহু আল্লাহু আহাদ) বেশিবেশি
বুঝে বুঝে পড়বেন। তিনবার পড়লে একবার পুরো
কোরআন পড়ার সাওয়াব পাবেন। (সহীহ বুখারি
৫০১৫)
২) মসজিদে/ অন্য কোথাও নিজে সাধ্যের
আলোকে প্রতিরাতে ২ টাকা হলেও দান করুন। যদি
রাতটি লাইলাতুল ক্বদর হয় তবে আপনি লিটেরালি ৮৩
বছর টানা ২ টাকা দানের সাওয়াব পাবেন। বোনেরা
আপনার ভাই/হাজবেন্ডের মাধ্যমে টাকা পৌছাতে
পারেন।
৩) কয়েক পৃষ্টা কোরআন তেলোয়াত করুন।
রাতের বেলায় যে ১০০ আয়াত কোরআন পাঠ
করবে তাঁকে সারারাত তাহায্যুদ পড়ার সাওয়াব দিবেন।
(সহিহুল জামে ৬৪৬৮)
সূরা কদর থেকে সর্বশেষ সূরা নাস পর্যন্ত পড়তে
পারেন। কম সময়ে অতি সহজে ১০০ আয়াত পূর্ন
করতে পারবেন।
৪) সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি বেশি পাঠ করবেন। কারন
এটি একবার পাঠ করা আল্লাহর রাস্তায় পাহাড় পরিমান স্বর্ণ
দান করার চেয়েও উত্তম। [তাবরানি ফিল কাবির:
(৭৭৯৫)]
৫) বেশি দুরুদ, ইস্তেগফার ও অন্যান্য যিকির
করবেন।
৬) মসজিদে ফরয নামায পড়তে গেলে বাসা
থেকে ওযু করে যাবেন। তাহলে পুরোপুরি একটি
কবুলযোগ্য হজ্বের সাওয়াব পাবেন। (মিশকাত ৭২৮)
বোনেরা আপনার পরিচিত সবাইকে আমলটিতে
উদ্বুদ্ধ করুন। ইনশাআল্লাহ, আপনি সমান সাওয়াব
পাবেন।
৭) আর বিশেষ করে লাইলাতুল কদরের ছোট্ট এই
দোয়াটি পড়বেন।
"আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা'ফু
আন্নি"...
অর্থঃ হে আল্লাহ তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা পছন্দ কর।
তাই আমাকে ক্ষমা করো। (আহমাদ ৬/১৮২)
৮) কিছু সময় পিতামাতার খেদমত করতে পারেন।
৯) কয়েক রাকাত নফল সালাত আদায় করবেন।
সেহরির পূর্বে অন্তত দুই রাকাত তাহায্যুদ পড়বেন।
১০) সুন্দর করে দু রাকাত সালাত পড়ে আল্লাহর
কাছে ক্ষমা চাইবেন। তওবা করবেন।
রামাদানের এই শেষ দশ রাতের একটা মুহূর্তকেও
অপচয় করবেননা। কারন রাতটি যদি শবে ক্বদর হয়ে
যায় তবে আপনি অনেক সাওয়াব থেকে বঞ্চিত
হবেন। আল্লাহ আমাদেরকে আমল করার তাওফিক
দান করুক।

28/03/2023

নিজেকে অন্যদের সাথে তুলনা করবেন না...।
🎙️নোমান আলি খান 🤎

27/03/2023

নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন 🌲🍁

24/03/2023

সূরা আল- বাকারাহ্।
🍁আয়াত : ১৮৪-১৮৬🍁

12/12/2022

সূরা ইয়াসিন ( ফজরের পর)!!
পড়লে সগিরা গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
__[তিরমিযী- ২৮৮৭, সহীহ ইবনে হিব্বান - ২৫৭৪]
🔘 সূরা ওয়াক্বিয়া ( মাগরিবের পর) পড়লে
রিযিকের পেরেশানি দূর হয়ে যায়। অভাব থাকেনা।
______[ বাইহাকী - ২৪৯৭]
🔘 সূরা মূলক ( এশার পর অথবা রাতে ঘুমানোর আগে) পড়লে
কবরের আ-যা-ব থেকে বাচা যাবে। পাঠকারীর জন্যে সুপারিশ করতে থাকবে যতক্ষণ তাকে মাফ না করা হয়।
______[তিরমিযী - ২৮৯০]
🔘 সূরা বাকারা ( যে কোন সময়) পড়লে
যে ঘরে পাঠ করা হয় সেখানে শয়তান থাকেনা।
__[তাফসির ইবনে কাসির ১ম খন্ড / পৃ : ১২৩-১২৪]
🔘 সূরা ইখলাস , ফালাক্ব, নাস (প্রতি ফরয সলাতের পর একবার করে। আর ফজর আর মাগরিবের পর ৩ বার করে পড়া। রাতে ঘুমানোরর আগে পড়ে শরীর মাসেহ করা।)
শয়তান, জাদু টুনার প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
____[তাফসিরে তাওযিহুল কোরআন ৩য় খণ্ড / ৭৬০ পৃ, আবু দাঊদ ২/৮৬, নং ১৫২৩; তিরমিযী, নং ২৯০৩; নাসাঈ ৩/৬৮, নং ১৩৩৫]
🔘আয়তুল কুরসি (প্রতি ফরজ সলাতের পর একবার। রাতে ঘুমানোর আগে।)
যে পড়ে তার আর জান্নাতের মাঝে শুধু মৃত্যু বাধা থাকে।
____[তাবরানী কাবীর - ৭৪০৮]
🔘 সূরা কাহাফ পারলে সবটা পড়া। আর নাহলে ১ম ১০ আয়াত ও শেষের ১০ আয়াত।
( বৃহস্পতিবার মাগরিবের পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে একবার পড়া।)
দা-জ্জা-লের ফিতনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
___[তাফসিরে তাওযিহুল কোরআন ২য় খন্ড / ২৫০ পৃ, মুসলিম হাদীস নং ৮০৯;তাফসীরে ইবনে কাসীর-৩/৭৯]
🔘 সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত। ( ফজর আর মাগরিবের পর) পড়লে
৭০ হাজার ফেরেশতা রহমত পাঠাতে থাকে সকালে পড়লে সন্ধ্যা পর্যন্ত। আর সন্ধ্যায় পড়লে সকাল পর্যন্ত। সে দিন মারা গেলে শ-হী-দি মর্যাদা পাবে।
_______ তিরমিযী - ২৯২২]

06/11/2022

ফিতানাময় দুনিয়ায় চলার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নসীহ।।
🎙️আবু তুহা মুহাম্মদ আদনান

28/10/2022

যে আমলে অনেক সওয়াব পাওয়া যায়💥

24/10/2022

আল্লাহর কাছে ভাংগা হৃদয়ের মূল্য অনেক বেশি 🪷

24/10/2022

দুঃখ তো তোমার থাকবেই নারী...।।

18/10/2022

আসুন সহীহ্ হাদিসের আলোকে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই ৮টি আমল করার চেষ্টা করি।

গুরুত্বপূর্ণ আমল গুলো হলো....।

● (১) দুই হাতের তালু একত্রে মিলিয়ে সূরা ইখলাস, সূরা

ফালাক ও সূরা নাস পড়ে তাতে ফুঁ দিবে : তারপর দুই হাতের তালু দ্বারা দেহের যতোটা অংশ সম্ভব মাসেহ করবে। মাসেহ আরম্ভ করবে মাথা, মুখমণ্ডল ও দেহের সামনের দিক থেকে। (এভাবে ৩ বার করবে।)

--(বুখারি-৫০১৭)।

• (২) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসী পড়বে শয়তান সারা রাত তার নিকটে যাবে না।

-(বুখারি-২৩১১)।

● (৩) রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত (আ-মানার রাসূলু-) তেলাওয়াত করবে এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে। -(বুখারি- ৪০০৮)।

(৪) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) বলেছেন, রাতে (কুল ইয়া আইয়্যু হাল কা-ফিরুন) (অর্থাৎ সূরা কা-ফিরুন) পাঠ করা শির্ক থেকে মুক্তি পেতে উপকারী। _(সহীহ তারগীব-৬০২)।

• (৫) একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার সাহাবাদের বললেন, তোমাদের কেউ কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়তে অসমর্থ হবে? এতে সকলকে বিষয়টি ভারী মনে হলো। বলল, একাজ আমাদের মধ্যে কে পারবে, হে আল্লাহর রাসূল?! তিনি বললেন, সূরা ইখলাস হল এক তৃতীয়াংশ কুরআন। ---(বুখারী- ৫০১৫)

(৬) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন তখন তাঁর ডান হাত তাঁর গালের নীচে রাখতেন, তারপর এ দো‘আটি বলতেন।

اللهم باسمك أموت وأخيا

(আল্লাহুম্মা বিস্মিকা আমুতু ওয়া আহ্‌ইয়া)।

‘হে আল্লাহ্! আপনার নাম নিয়েই আমি মরছি (ঘুমাচ্ছি) এবং আপনার নাম নিয়েই জীবিত (জাগ্রত) হবো।' -(বুখারি-৬৩২৪)।

● (৭) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) হযরত আলী এবং ফতেমা (রাঃ)- কে বলেন, আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছু বলে দিবো না যা তোমাদের জন্য খাদেম অপেক্ষাও উত্তম হবে? যখন তোমরা তোমাদের বিছানায় যাবে, তখন তোমরা ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্, এবং ৩৪ বার আল্লাহু আকবার বলবে, তা খাদেম অপেক্ষাও তোমাদের জন্য উত্তম হবে।

---(বুখারী-৩৭০৫)।

● (৮) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) বলেন, যে ব্যাক্তি প্রত্যেক রাতে তাবারকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক (সূরা মূলক) পাঠ করবে এর মাধ্যমে মহিয়ান আল্লাহ্ তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবেন। (নাসাই - শাইখ আলবানি (রঃ) হাদিসটাকে হাসান সহিহ বলেছেন এছাড়াও তিরমিজি-২৮৯০)।

আল্লাহ্ পাক আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফীক দিন, আ-মী-ন।

16/10/2022

ধার্মিক কিন্তু জাহান্নামী।।
🎙️Mufti Menk

08/10/2022

*ভয়ংকর হিসাব*

আপনি ঘুমাচ্ছেন,
কিন্তু আমলের ফেরেশতা আপনার আমল নামায় গুনাহ লিখে যাচ্ছে।
আপনি নামাজ পড়ছেন,আমল করছেন,
তাও ফেরেশতা আপনার আমল নামায় গুনাহ লিখে যাচ্ছে।

আপনি খাচ্ছেন, পড়াশোনা করছেন কিংবা চুপচাপ বসে আছেন,
তবুও আপনার আমল নামায় গুনাহ লিখা হচ্ছে।

কিন্তু কেন??? অপরাধটা কি???

কারণ আপনি এখন কিছু না করলেও অনেকগুলো নন-মাহররমের চোখ আপনার ফেসবুকে আপলোড দেওয়া ছবি দেখে যাচ্ছে।

আপনার Tik Tok,
Likee তে আপলোড করা ভিডিও দেখে যাচ্ছে।

যখনই কেউ একজন আপনার ছবি-ভিডিও দেখছে, আমলের ফেরেশতা আপনার আমল নামায় গুনাহ লিখে দিচ্ছেন।

আপনি যদি মারাও যান তবুও আমলের ফেরেশতা আপনার আমল নামায় গুনাহ লিখেই যাবেন।

সহজ কথায় ছবি-ভিডিও গুলো আপনার জন্য গুনাহে জারিয়া হিসেবে কাজ করছে।

আবার আপনি হয়তো কোন গান কিংবা মুভির লিংক শেয়ার করেছেন,
আপনার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে যতজন সেটা শুনেছে কিংবা দেখেছে সমপরিমাণ গুনাহ আপনার একাউন্টেও জমা হয়ে গেছে।

কি ভয়ংকর হিসাব!!!

প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,
‘যে ব্যক্তি মানুষকে নেক কাজের দাওয়াত দেবে সে ওই লোকদের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে; যারা তার দাওয়াত পেয়ে নেক কাজ করবে অথচ তাদের সওয়াবের সামান্যও হ্রাস পাবে না।

অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি মানুষকে গুনাহের কাজের দাওয়াত দেবে সে ওই লোকদের সমপরিমাণ গুনাহ পাবে, যারা তার দাওয়াত পেয়ে গুনাহের কাজ করবে। অথচ তাদের গুনাহ হ্রাস পাবে না।’
(মুসলিম, হাদিস : ৬৯৮০)

লাখ লাখ মানুষকে জাহান্নামি বানাচ্ছে- Facebook, Tik tok, Likee তে যারা সস্তা সেলিব্রিটি হওয়ার আশায় নেচে-গেয়ে ভিডিও আপলোড করেন, তাদের স্মরন করিয়ে দিতে চাই---

আপনি মারাও গেলেও কিন্তু ইন্টারনেটে আপনার ভিডিও গুলো থেকে যাবে। তখন যতো মানুষ এই ভিডিও গুলো দেখবে কবরে আপনাদের আযাব ততোই বাড়তে থাকবে!

সুতরাং এখনই ভেবে দেখুন,
হারাম ভিডিও কি আরো বানাবেন?
নাকি আযাব হতে বাঁচতে, সব হারাম ভিডিও ডিলিট করে দিবেন?

যে কোনো মূহুর্তে মালাকুল মউত আপনার সামনে হাজির হয়ে যাবে।
তখন কিন্তু খুব বেশি দেরি হয়ে যাবে........

অন্য দিকে কেউ হয়তো এই সামাজিক মাধ্যম গুলোতে অন্যদের দীনের দাওয়াত দিচ্ছে, শিক্ষা মূলক পোস্ট দিচ্ছে,কুরআন-হাদীসের কথা শেয়ার করছে কিংবা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আমল শেয়ার করছে। তাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একদম উল্টো হতে থাকবে।

যতজনই তাদের মাধ্যমে কোনভাবে উপকৃত হচ্ছে কিংবা নতুন কিছু শিখে আমল করছে,অটোমেটিকেলি তাদের একাউন্টেও সমপরিমাণ নেকি সওয়াব জমা হয়ে যাচ্ছে।

কি সুন্দর হিসাব সুবহানাল্লাহ!
মৃত্যুর পরও তাদের এসব কাজ তাদের জন্য সদকায়ে জারিয়া হিসেবে কাজ করবে, তাদের কবর হবে শান্তিময়। ইন শা' আল্লাহ।

আচ্ছা আমরা কি চাইব এমন কিছু দুনিয়াতে করে যেতে,
যা কিনা মৃত্যুর পর কবরে আমাদের কষ্ট-আযাব প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে দিবে?

নাকি আমরা এমন কিছু রেখে যেতে চাইব,
যা প্রতিনিয়ত আমাদের নেকির পাল্লা ভারি করে দিয়ে আমাদের কবরটাকে শান্তিময় করতে থাকবে?

সিদ্ধান্ত টা কিন্তু আমাদের।
আল্লাহ তাআলা সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করুন।আমিন🥺😔

08/10/2022

ঈদে মীলাদুন্নবী

প্রশ্ন: ঈদে মীলাদুন্নবী পালন করা কি জায়েয?

উত্তর: ঈদে মীলাদুন্নবী পালন করা বেদআত।

নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হল;

ঈদে মীলাদুন্নবী নামে ইসলামে কোন ঈদ নেই। যদি বলা হয়, ঈদে মীলাদুন্নবী নামে ইসলামে ঈদ রয়েছে তাহলে ইসলামে একটি নতুন বিষয় সংযোজন করা হল। আর দ্বীনী বিষয়ে নতুন সংযোজনের নামই হচ্ছে বেদআত। আর বেদআত পরিত্যাজ্য।

হাদীসে এসেছে, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়া সাল্লাম বলেন

من أحدث في أمرنا هذا ما ليس فيه فهو رد

যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীনী বিষয়ে এমন কিছু আবিষ্কার করল যা দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত নয় তাহলে তা অগ্রহণযোগ্য হবে।

ঈদে মীলাদুন্নবী এর কথা হাদীসে আসেনি। হাদীসে এসেছে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার কথা।

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ كَانَ لأَهْلِ الْجَاهِلِيَّةِ يَوْمَانِ فِى كُلِّ سَنَةٍ يَلْعَبُونَ فِيهِمَا فَلَمَّا قَدِمَ النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ قَالَ كَانَ لَكُمْ يَوْمَانِ تَلْعَبُونَ فِيهِمَا وَقَدْ أَبْدَلَكُمُ اللهُ بِهِمَا خَيْراً مِنْهُمَا يَوْمَ الْفِطْرِ وَيَوْمَ الأَضْحَى

আনাস রা. বলেন, জাহেলী যুগের লোকদের বছরে দুটি (ঈদের) দিন ছিল। যাতে তারা খেলাধুলা করতো। যখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনায় এলেন তখন বললেন, তোমাদের দুটি (ঈদের) দিন ছিল, যাতে তোমরা খেলাধুলা করতে। আল্লাহ তাআলা সে দুটি দিনের বদলে তারচে উত্তম দুটি (ঈদের) দিন তোমাদেরকে দান করেছেন। আর সে দুটি (ঈদের) দিন হচ্ছে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। -সুনানে নাসায়ী, হাদীস: ১৫৫৬, আলমুস্তাদরক, হাদীস: ১০৯১, মুসনাদে আহমদ, হাদীস:১২০২৫, ইমাম হাকিম ও যাহাবী রহ. এ হাদীসকে সহীহ বলেছেন।

রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগমন, জন্ম অবশ্যই বিশ্বের জন্য রহমত। সকল মুসলমান তার আগমনে আনন্দিত ও খুশিতে আত্মহারা। এটাই স্বাভাবিক। আমরাও আনন্দিত।
কিন্তু সে আনন্দ ও খুশী সেভাবেই প্রকাশ করতে হবে যেভাবে ইসলাম সমর্থন করে। এমন কোন পন্থায় সে আনন্দ প্রকাশ করা যাবে না, যা ইসলাম সমর্থন করে না।

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের জন্ম দিনকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করেননি। সাহাবায়ে কেরাম রা. গ্রহণ করেননি। কোন তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ী পালন করেননি। পালন করেননি কোন ইমামও। তাহলে আমি আপনি কেন তার জন্মদিনকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করব।
ইসলাম মনচাহি চলার নাম নয়; বরং ইসলাম হচ্ছে সেভাবে চলার নাম যেভাবে ইসলাম বলে।

ইসলাম ঈদ পালন করার নিয়ম শিখিয়েছে। ঈদুল ফিতরে রয়েছে নামায, ঈদুল আযহায় রয়েছে নামায। কিন্তু ঈদে মীলাদুন্নবীতে তো কোন নামায বা অন্য কিছু নেই। এর থেকেও বোঝা যায় যে, ঈদে মীলাদুন্নবী বলতে ইসলামে কিছু নেই।

বারই রবীউল আউয়ালই রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মদিন নিশ্চিত করে বলা যায় না

রাসূলের জন্ম সমবার। এটি হাদীসে এসেছে। কিন্তু সেটি কত তারীখ ছিল, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। সে বিষয়ে রয়েছে একাধিক বক্তব্য।
তাই বার রবীউল আউয়ালকেই রাসূলের জন্মদিন বলা যায় না। অন্য তারীখও হতে পারে রাসূলের জন্মদিন। সুতরাং যারা বারই রবীউল আউয়াল ঈদে মীলাদুননবী পালন করেন তারা কীভাবে নিশ্চিত হলেন যে, বারই রবীউল আউয়ালই রাসূলের জন্মদিন।

রাসূলে জন্ম তারীখের ব্যাপারে একাধিক বক্তব্য রয়েছে। কারো মতে রবীউল আউয়াল মাসের ২ তারীখ। কারো মতে ৮ তারীখ। কারো মতে ১০ তারীখ। কারো মতে বার তারীখ। -দেখুন সীরতে খাতামুল আম্বিয়া, পৃ: ১০

সফিয়্যুল্লাহ মোবারকপুরী সাহেব বলেছেন রবীউল আউয়াল মাসের ৯ তারীখ রাসূলের জন্মদিন। - আর রহীকুল মাখতুম, পৃ: ৫৪

কারো মতে রাসূলের জন্ম হচ্ছে রবীউল আউয়াল মাসের ৮ তারীখ থেকে ১২ তারীখের কোন একদিন। আরো দেখুন সীরতুন নবী, পৃ: ৬১, সীরতুল মুস্তফা, পৃ: ৫১, হয়রত মুহাম্মদ মুস্তফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমকালীন পরিবেশ ও জীবন, পৃ: ১৬৭

জন্মদিন পালন করতে গিয়ে মৃত্যু দিবসে আনন্দ-ফুর্তি করছেন না তো?

রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মৃত্যু কারো কারো মতে বার রবীউল আউয়াল। -আর রহীকুল মাখতুম, পৃ:৪৬৯
যারা বার রবীউল আউয়ালে ঈদে মীলাদুন্নবী পালন করছেন তারা তো আবার নিজেদের অজান্তে রাসূলের মৃত্যুর জন্য খুশি প্রকাশ করছেন না তো।

রাসূলের জন্মদিন উপলক্ষে প্রতি সমবার রোযা রাখুন

রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমবার জন্ম গ্রহণ করেছেন। এ দিনে তিনি রোযা রাখতেন।
হাদীসে এসেছে

وَسُئِلَ عَنْ صَوْمِ يَوْمِ الاِثْنَيْنِ قَالَ ্র ذَاكَ يَوْمٌ وُلِدْتُ فِيهِ وَيَوْمٌ بُعِثْتُ أَوْ أُنْزِلَ عَلَىَّ فِيهِ

আল্লাহর রাসূলকে সমবার দিনের রোযা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে। তখন তিনি বলেছেন, এটি এমন দিন, যাতে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এ দিনেই আমি নবুওয়তপ্রাপ্ত হয়েছি। -সহীহ মুসলিম, হাদীস: ২৮০৪

ঈদে মীলাদুন্নবীর সূচনা

এই আমলের সূচনা হয়েছে ৬০৪ হিজরীতে। বাদশাহ মোযাফফর উদ্দীন এবং উমর ইবনে দিহইয়া আবুল খত্তাব এটির সূচনা করেন। তাই এটি বেদআত।

এতে তিনটি কাজ শুরু করা হয়। (১)রাসূলের জন্ম তারিখ ১২ই রবীউল আওয়াল ঠিক করা হয়। (২) আলেম ওলামাদের জমা করার চেষ্টা করা হয়। (৩) মানুষকে তবারক দিয়ে আল্লাহর রাসূলের জন্য দোআ করা হয়।
দেখুন; ইখতিলাফে উম্মত আওর সীরাতে মুস্তাকীম, মাওলানা মুহাম্মাদ ইউসূফ লুধিয়ানভী রহ. পৃষ্ঠা: ৭৮ রাহে সুন্নত, সরফারাজখান সফদার রহ. পৃষ্ঠা: ১৬২

দরুদ শরীফ পাঠ করা ইনফিরাদী আমল। সম্মিলিতভাবে দরুদ শরীফ পাঠ করার নিয়মতান্ত্রিক আয়োজন করা বেদআত।

খাবার খাওয়ানো ভাল কাজ। কিন্তু এর জন্য দিন নির্দিষ্ট করা বেদআত।

এই অনুষ্ঠানের শরয়ী কোন ভিত্তি নেই। কিন্তু এটিকে ওয়াজিব মনে করা হয়। না করলে তাদেরকে গোস্তাখে রাসূল মনে করা হয়। তাই এটি বেদআত।

বিশেষ সময়ে দোআ করাকে জরুরি মনে করা বেদআত। জরুরি মনে না করলে বেদয়াত নয়।

07/10/2022

Surah Kahf 😍

06/10/2022

ফরজ_নামাজ_আদায়ের_পর_গুরুত্বপূর্ণ_সুন্নত_আমলগুলো_নিয়মিত_আদায়_করছেন_তো_ইং_শা_আল্লাহ্?

⭕ সঠিক সময়ে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ গুরুত্বের সহিত আদায় করুন এবং নামাজের পরে নিয়মিত সুন্নত আমলগুলো পাঠ করুন, এতে আমলনামা হবে পরিপূর্ণ, জান্নাতটা হবে সুসজ্জিত ইং-শা-আল্লাহ্।

🔸 ১ বার “আল্ল-হু আকবার” পাঠ করা। -[বুখারীঃ- ৮৪২]

🔹 ৩ বার “আস্তাগফিরুল্লহ” পাঠ করা।-[মুসলিমঃ- ১৩৬২]

🔸 ১ বার “আল্ল-হুম্মা আংতাস সালাম, ওয়া মিনকাস্ সালাম, তাবারকতা ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইক্বরম”
পাঠ করা। -[মুসনাদে আহমাদঃ- ২২৪৬১]

🔹 ১ বার “আয়াতুল কুরসী” পাঠ করা। -[নাসাঈঃ- ৯৮৪৮]

🔸 “সুবহা-নাল্ল-হ” “আলহামদুলিল্লাহ” “আল্ল-হু আকবার” ৩৩+৩৩+৩৩ বার পাঠ করে, ১ বার “লা ইলাহা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু লা- শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালা হুল হামদু ওয়াহুয়া 'আলা কুল্লি শাইইন ক্বদীর" পাঠ করা।
-[সহীহ মুসলিমঃ- ১৩৮০]

🔹 প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর একাধিকবার পাঠ করা “আল্লহুম্মা আ'ইন্নি 'আলা জিকরিকা, ওয়া শুকরিকা, ওয়া হুসনি 'ইবাদাতিকা। -[আবু দাউদঃ- ১৫২২]

🔸 ফজর এবং মাগরিবের ফরজ নামাজের পর ৭ বার "আল্ল-হুম্মা আজিরনী মিনান নার" পাঠ করা।
-[সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈঃ- ৯৮৫৯]

🔹 ফজর এবং মাগরিবের নামাজের পর ৩ বার "আঊযুবিল্লাহিস সামিয়্যিল 'আলীমি মিনাশ শাইত্বনির রজীম" পাঠ করে, “সূরা হাশরের” শেষ ৩ আয়াত পাঠ করা। -[ সুনানে তিরমিযিঃ- ১৩৭২]

🔸 ফজর নামাজ আদায় করার পর ১ বার "আল্ল-হুম্ম ইন্নি আসআলুকা, 'ঈলমান নাফি'য়ান, ওয়া রিজক্বন ত্বয়্যিবান, ওয়া 'আমালান মুতাক্বব্বালা" পাঠ করা।
-[ইবনে মাজাহঃ- ৯২৫]

🔹 ফজর এবং মাগরিবের নামাজের পরে ৩ বার "রদ্বীনা- বিল্লাহি রব্বা-, ওয়াবিল ইসলামি দ্বীনা- ওয়াবি মুহাম্মাদিন রসূলা-" পাঠ করা। -[সুনানে আবু দাউদঃ- ৫০৭৪]

🔸 ফজর নামাজের পর ৩ বার পাঠ করা,“সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবিহামদিহী 'আদাদা খলক্বিহী, অরিদ্ব নাফসিহী অযিনাতা 'আরশিহী, অমিদা-দা কালিমা-তিহ্”।
-[সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ২৭২৬]

🔹 ফজর এবং মাগরিবের নামাজের পর ১ বার “সাইয়্যেদুল এস্তেগফার” পাঠ করা। -[মিশকাতঃ- ২৩৩৫]

⭕ জিনের আছর, বদনজর, কুফরী কালাম, জাদু টোনা এবং বিষধর প্রাণীর ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে রাসূল সল্লল্লহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজর এবং মাগরিবের নামাজের পর নিম্নোক্ত দোয়াগুলো পাঠ করতেন।

🔸 সূরা “ইখলাস”, “ফালাক” এবং “নাস” ১ বার করে পাঠ করে উভয় হাত একত্র করে ফুঁ দিয়ে সম্পূর্ণ শরীর ৩ বার মাসেহ করা। ফজর এবং মাগরিবের নামাজের পর প্রতিটি সূরা ৩ বার করে পাঠ করে অনুরূপভাবে মাসেহ করা। -[আবু দাউদঃ- ১৫২৩]

🔹 ফজর এবং মাগরিবের নামাজের পর ৩ বার পাঠ করা “আ'উযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত্তা-ম্মা-তি, মিং- শাররি মা খলাক্ব”। -[তিরমিযিঃ- ৩৫৫৯]

🔸 ফজর এবং মাগরিবের নামাজের পর ৩ বার পাঠ করা, “বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা- ইয়াদুররু মা'আসমিহী, শাইউং ফিল আরদ্বী ওয়ালা- ফিসসামা-ই, ওয়াহুওয়াস সামি'উল 'আলীম”। -[তিরমিযিঃ- ৩৩৩৫]

🔹 ফজর এবং মাগরিবের নামাজের পর ৭ বার পাঠ করা “হাসবিয়াল্ল-হু লা- ইলা-হা ইল্লাহু, 'আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়াহুয়া রব্বুল 'আরশীল 'আযীম”। -[আবু দাউদঃ- ৩২১]

⭕ (') ⬅️ এই চিহ্নটি দ্বারা আরবী হরফ “আইনের” উচ্চারণ উদ্দেশ্যে। তাই এই চিহ্নের জায়গাগুলোতে গলার ভিতর থেকে “আইনের” উচ্চারণ হবে।

মহান আল্লাহ্ তা'য়ালা আমাদের সকলকে নিয়মিত আমলগুলো করার তাওফিক দান করুন, আমিন।

05/10/2022

যৌবনকালে ইবাদতের গুরুত্ব 💥🍁

01/10/2022

আল্লাহ ❤️

30/09/2022

ফজর নামাজের শেষে আমল 💥

27/09/2022

"তুমি ভেতর থেকে ভেঙে পড়েছো?
সেটা কাউকে বুঝতে দিও না, কারণ লোকে ভেঙে যাওয়া বাড়ির ইট পর্যন্ত খুলে নিয়ে যায়।"

ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺃَﺷْﻜُﻮ ﺑَﺜِّﻲ ﻭَﺣُﺰْﻧِﻲ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ

"আমি তো আমার দুঃখ ও অস্থিরতা আল্লাহর সমীপেই নিবেদন করছি!"
~(সূরা ইউসুফ, আয়াত ৮৬)।

বিপদে-মুসিবতে যখন কেউ মানুষের সাথে কিছু শেয়ার না করে শুধু আল্লাহর কাছেই চোখের পানি ফেলে, তখন আল্লাহ্ ভীষণ খুশি হন!!

সবচেয়ে বড় স্বস্তি এটাই যে, "আল্লাহ যার ভালো চান, তাকে দুঃখ কষ্টে ফেলেন!"

ইনশাআল্লাহ 💥
27/09/2022

ইনশাআল্লাহ 💥

26/09/2022

সুবহানাল্লাহ 💥

সৃষ্টিকর্তার কাছে জানতে চাইলাম, 'আমাকে অথৈ সাগরে কেনো ফেললেন?'আল্লাহ তা'আলা জবাবে বললেন, ' কারণ তোমার শত্রুরা সাঁতার জান...
26/09/2022

সৃষ্টিকর্তার কাছে জানতে চাইলাম, 'আমাকে অথৈ সাগরে কেনো ফেললেন?'
আল্লাহ তা'আলা জবাবে বললেন, ' কারণ তোমার শত্রুরা সাঁতার জানে না।'
এরপর আর কোনো অভিযোগ থাকতে পারে!?

নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা উত্তম পরিকল্পনাকারী, উত্তম রক্ষাকর্তা এবং উত্তম সাহায্যকারী।

حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ

‘হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল’
অর্থাৎ, আমার জন্য আমার আল্লাহই যথেষ্ট।

[সূরা আল-ইমরান:১৭৩]🌸

নাজাতের পথ🍁
26/09/2022

নাজাতের পথ🍁

যারা দ্বীনের পথে চলে না, তাদের সুখের কোনো অন্ত নেই, কিন্তু,দ্বীনের পথে চলার পরেও রব কেন আমাকে এতো কষ্ট দিচ্ছেন?রব কি আমা...
24/09/2022

যারা দ্বীনের পথে চলে না, তাদের সুখের কোনো অন্ত নেই, কিন্তু,দ্বীনের পথে চলার পরেও রব কেন আমাকে এতো কষ্ট দিচ্ছেন?রব কি আমার ওপর অসন্তষ্ট? না কি আমার পূর্বের পাপের শাস্তি এসব? হুজুর বলছিলেন, ইবলিস আল্লাহর কাছ থেকে যা কিছু চেয়ে নিয়েছিল তন্মধ্যে একটি ছিল,তার অনুসারীদের যেন সুখ- সম্পদের অভাব না হয়।আল্লাহ সূরা তাওবাহ'র ৮২ নং আয়াতে বলেন,’অতএব, তারা সামান্য হেসে নিক এবং তারা তাদের কৃতকর্মের বদলাতে অনেক বেশি কাঁদবে। আর

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি বলেছেন, ‘আল্লাহ যখন কোনো বান্দার অকল্যাণ চান,তখন তার পাপগুলো রেখে দিয়ে কিয়ামতের দিন তার প্রাপ্য পূর্ণ করেন।[১]

অপর এক হাদিসে এসেছে,‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো মুসিবতে পড়লে হা- হুতাশ করতেন না।সঙ্গে সঙ্গে নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন।(ইবনে কাসির]

ধৈর্য অবলম্বনের ফজিলত অনেক। ইমাম যাইনুল আবেদীন (র.) ধৈর্যশীলদের মর্যাদা ও ফজিলত সম্পর্কে একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন।ইমাম ইবনে কাসির তার তাফসিরে হাদিসটি উল্লেখ করেছে,‘,কিয়ামতের দিন একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করবেন,‘ধৈর্যশীলরা কোথায়? আপনারা বিনা হিসাবে জান্নাতে চলে যান। ঘোষণা শুনে একদল লোক বেহেশতের পথে রওনা করবে।ফেরেশতারা বলবেন,‘আপনারা কারা?কোথায় যাচ্ছেন? ’তারা বলবে,‘আমরা ধৈর্যশীল বান্দা;জান্নাতে যাচ্ছি।’ফেরেশতারা বলবেন,‘এখনো তো হিসাব - নিকাশ হয়নি। ধৈর্যশীল বান্দারা বলবে,‘আমাদের হিসাবের আগেই জান্নাতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ এবার ফেরেশতারা বলবেন,‘তাহলে আপনারা তো খুবই মর্যাদাবান ও আমলদার বান্দা।আমাদের সেই আমল সম্পর্কে বলুন,যার বিনিময়ে এ গৌরবময় ফলাফল অর্জন করেছেন।’ তারা বলবে দুনিয়ার জীবনে আমরা সবরের জীবনযাপন করেছি।আল্লাহর পথে চলতে গিয়ে এবং আল্লাহর বিধান মানতে গিয়ে অনেক ধরনের ত্যাগ ও বিপদের সম্মুখীন হয়েছি। এর বিনিময়ে আমরা কখনো অভাব-অভিযোগ করিনি।সবসময় ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি।’ এসব শুনে ফেরেশতারা বলবেন,‘ মারহাবা! আপনাদের আমলের যথার্থ প্রতিদানই আপনারা পেয়েছেন।’ এদের সম্পর্কেই আল্লাহ তাআলা বলেছেন,‘ধৈর্যশীলদের তাদের প্রতিদান বিনা হিসেবে দেয়া হবে। [২]

অথচ, আল্লাহ এই দুঃখের বিনিময়ে কত নিয়ামত ঘোষণা দিয়ে রেখেন আমাদের জন্য। এই দুর্বল ঈমান নিয়ে আমরা কি এই পুরষ্কার অর্জন করতে পারব?এই দুনিয়ার সামান্য ভোগ-বিলাসের জন্য এখন আফসোস করছি,অথচ, আমার রব সবরের বিনিময়ে জান্নাতে আমার জন্য কত বড় নেয়ামত রেখে দিয়েছেন।

‘ইয়া মুকল্লিবাল ক্বুলুব,সাব্বিত ক্বলবি 'আলা দ্বীনিক।’

—————————————

[১) তিরমিজি, ২৩৯৬
[২] সূরাঃ যুমার,১০

24/09/2022

শুরাইহ আল ক্বাদী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন:-

'কোন বিপদে পড়লে আমি চারবার আল্লাহর প্রশংসা করি।

প্রথম প্রশংসা এই কারণে যে— যে বিপদ আমার ওপর আপতিত হয়েছে তা এরচেয়েও বেশি করুণ হতে পারতো আমার জন্যে, কিন্তু আল্লাহর অপার অনুগ্রহে তা হয়নি।

দ্বিতীয় প্রশংসা এই কারণে যে— এই বিপদে ধৈর্য্য ধারণ করার তাওফিক তিনি আমাকে দান করেছেন।

তৃতীয় প্রশংসা করি, কারণ— বিপদে পড়ামাত্র আমি পড়তে পারি 'ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন'। অর্থাৎ— আমরা আল্লাহর এবং তাঁর কাছেই আমরা ফিরে যাবো।' বিপদে এটা পড়ার কারণে আল্লাহর কাছে আমি বিশেষ পুরস্কার লাভের আশা রাখতে পারি।

চতুর্থ প্রশংসা করি এই কারণে যে— যে বিপদ আমার ওপর আপতিত হয়েছে তা অন্তত আর যা-ই হোক আমার ঈমানকে হুমকির মুখে ফেলেনি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া'তায়ালা ইচ্ছা করলে আমাকে ঈমানের পরীক্ষাতেও ফেলতে পারতেন।

[ সিয়ারু আলামীন নুবালা। ৪/১০৫। ইমাম যাহাবী রাহিমাহুল্লাহ।]

24/09/2022

হারানো ভালবাসার ওপর থেকে মায়া কাটানোর উপায়?💥

🎙️আবরারুল হক আসিফ

Address

Mymensingh

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Da'wah E-lallah posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Da'wah E-lallah:

Videos

Share


Other Digital creator in Mymensingh

Show All

You may also like