MD ZIHAN ISLAM SAGOR

MD ZIHAN ISLAM SAGOR কথায় আছেনা দশের লাঠি একের বোঝা, সবাই সবাইকে সাপোর্ট করলে 10k একদম সোজা

18/05/2024

MD ZIHAN ISLAM SAGOR's broadcast

01636-678170 WHATSAPP CONTRACT NOW
11/04/2024

01636-678170 WHATSAPP CONTRACT NOW

26/02/2024

😢😢😢😢😢💔

21/09/2023

I gained 40 followers, created 160 posts and received 1,069 reactions from June to September! Thank you all for your continued support. I could not have done it without you. 🙏🤗🎉

কথায় আছেনা দশের লাঠি একের বোঝা, সবাই সবাইকে সাপোর্ট করলে 10k একদম সোজা

19/09/2023

এমন একজন ব্যক্তি যাকে পুরো পৃথিবী ছিনে তার নামটা কি কেউ জানলে কমেন্ট বক্সে বলে যান

 #গল্প থেকে ভালোবাসায়!এই অদ্ভুত ব্যাপারটা কেন আমার সঙ্গেই ঘটল! ভোর থেকে ঠায় দাঁড়িয়ে আছি। অচেনা উত্তেজনায় সঙ্গে অনিশ...
08/09/2023

#গল্প থেকে ভালোবাসায়!
এই অদ্ভুত ব্যাপারটা কেন আমার সঙ্গেই ঘটল! ভোর থেকে ঠায় দাঁড়িয়ে আছি। অচেনা উত্তেজনায় সঙ্গে অনিশ্চয়তা জুড়ে দিল সকালটা। কোনোমতে জ্যাকেটটা গায়ে চাপিয়ে, মোবাইল ফোন আর মানিব্যাগ নিয়ে ভোরে বেরিয়ে পড়েছি। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় মা পেছন থেকে ডেকেছিলেন কিছু মুখে দেওয়ার জন্য।

সেদিকে ফিরে তাকানোর অবস্থায় ছিলাম না। মায়ের ‘কোথায় যাচ্ছিস?’ এর জবাবে ‘আসছি মা’ বলে দ্রুত সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসি। বাইরে ইজিবাইক বা রিকশার কোনোটিই না পেয়ে হাঁটতে শুরু করি।

পকেট থেকে মুঠোফোন বের করে বারবার গ্যালারিতে সেভ করা ইমেজটা দেখতে থাকি। জুম করে যতবার দেখি অন্য রকম ভালো লাগা ছুঁয়ে যায়। তারপরও সরাসরি পত্রিকার পাতায় নিজের নামটা দেখতে উন্মুখ হয়ে আছি।

২.
কলেজে পড়ার সময় থেকেই টুকটাক গল্প লেখার চেষ্টা করতাম। কিন্তু বিজ্ঞানের জটিল-কঠিন পাঠ্যবইয়ের বাইরে অন্য কিছু ভাবার সময় ছিল না। অধিকাংশ গল্প তাই পরিণতি পায়নি। মাঝখানের সময়টাতে লেখালেখির বিষয়টা মাথাতেই আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর যখন একটু ফুরসত পেলাম, তখন অসমাপ্ত গল্পগুলো নিয়ে আবার বসলাম। তখনকার ভাবনার সঙ্গে মিলিয়ে কয়েকটা লিখেও ফেললাম। সেখান থেকেই একটা গল্প পত্রিকায় পাঠিয়েছিলাম।

পাঠানোর পর থেকে প্রতিদিন ভোরে মুঠোফোনে পত্রিকার প্রতিটি পৃষ্ঠা তন্নতন্ন করে নিজের নামটা খুঁজেছি। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে সেই গল্পটা আজ ছাপা হয়েছে। মুঠোফোনে ই-পেপার সংরক্ষণ করেছি, তবু কাগজের ওপর ছাপার অক্ষরে পড়ার জন্য তর সইছে না। টানা এক ঘণ্টার বেশি সময় স্টলে দাঁড়িয়ে আছি পত্রিকার জন্য।

অথচ আজ নাকি পত্রিকাটি এখানে পাওয়া যাবে না! শহর থেকে আনাতে হবে।

৩.
কেবল একটা পত্রিকা কেনার জন্য পঁচিশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শহরে এসেছি। অথচ ব্যাপারটা মোটেও অস্বাভাবিক বা বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে না। বাস থেকে নেমে হন্তদন্ত হয়ে পত্রিকা স্টলের দিকে যাই। আশপাশে মানুষের তেমন ভিড় নেই। পত্রিকার স্টলে একজন বৃদ্ধ বসে আছেন। নিতান্ত অনিচ্ছার সঙ্গে পত্রিকার পাতা ওল্টাচ্ছেন। আমার কেবলই মনে হচ্ছে, তিনি বোধ হয় আমার গল্পটাই খুঁজছেন! আমি স্টলে পৌঁছানোর ঠিক আগে একটা মেয়ে রিকশা থেকে নেমে কয়েকটি ম্যাগাজিন আর একটা পত্রিকা কিনে নিয়ে যায়।

আমার ছুটে যাওয়া দেখে পত্রিকা বিক্রেতা ফোকলা দাঁত বের করে বলে, ‘বুঝছি, আজ মনে হয় লটারির ড্র হইছে। আইছেন নাম্বার মিলাইতে। বাঁধব না। লটারি জিতা অত সুজা না। আজ তামাতি কাউরে জিততি দেখি নাই।’ লোকটার কথায় কোনো ভাবান্তর হলো না। আমি পত্রিকা চাইতেই উনি আরেক প্রস্থ হেসে দিলেন। ‘পত্রিকা তো আইজ আর পাইবেন না। একটা কপি ছিল, ওই আপায় নিছে।’ মেয়েটি ততক্ষণে চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়েছে। আমি প্রায় দৌড়ে তার পিছু নিলাম। কাছে গিয়ে ডাকতেই আমার দিকে তাকিয়ে থমকে দাঁড়াল। আমার বুকের ভেতরেও মোচড় দিয়ে উঠল। ফারিহা! অপ্রস্তুত কণ্ঠে জানতে চাইলাম—

‘তুমি এখানে?’
‘আমি পত্রিকা কিনতে এসেছিলাম। তুমি?’
‘আমিও। আজকের পত্রিকায়...।’
‘তোমার গল্প আছে।’
‘আমাকে থামিয়ে ও বলে।’
‘তুমি কীভাবে জানলে?’

‘আমরা যখন এক ব্যাচে পড়তাম, প্রায়ই তোমার খাতাপত্র ঘাঁটতাম। কেন করতাম জানি না। তবে ভালো লাগত। একদিন একটা খাতায় কিছু অসমাপ্ত লেখা পাই। কয়েক লাইন পড়েই ভালো লেগেছিল। তোমার অনুপস্থিতির এক ফাঁকে লেখাগুলোর ছবি তুলে রেখেছিলাম। তারপর থেকেই অপেক্ষা করেছিলাম আজকের দিনটার জন্য।’

‘তার মানে, তুমি আমার আগে থেকেও অপেক্ষায় আছ?’

‘হ্যাঁ, আমার বিশ্বাস ছিল। সঙ্গে...’
বাকি কথাটুকু বলার প্রয়োজন হয় না। তার আগেই আমি ওর চোখের ভাষা পড়ে নিয়েছি। সেখানে ভালোবাসার রঙিন বর্ণগুলো খেলা করছে। একটা গল্প কত কিছুই না দিল। স্বস্তি, বিশ্বাস, প্রেরণা আর সবচেয়ে মূল্যবান ফারিহার ভালোবাসা!

 #এক বিকালের গল্প---কি ব্যাপার! আজো আপনি এখানে?---জানেন তো। সময় বদলে গেলেও প্রিয় অভ্যাসগুলো আগের মতোই রয়ে যায়।---তার মান...
19/08/2023

#এক বিকালের গল্প

---কি ব্যাপার! আজো আপনি এখানে?
---জানেন তো। সময় বদলে গেলেও প্রিয় অভ্যাসগুলো আগের মতোই রয়ে যায়।
---তার মানে আপনি প্রতিদিনই এখানে আসেন। তাই তো?
---জ্বি!
---পার্কে তো আরো অনেক বেঞ্চ রয়েছে। কিন্তু আপনি শুধু এই বেঞ্চটাতে বসেন কেন ?
---বিকাল বেলাটা আমার কাছে খুবই প্রিয় একটা মুহূর্ত। এখানে এসে চোখ দুটো বন্ধ করে অনুভূতির কান দিয়ে কারো পায়ের শব্দ অনুভব করি। পার্কের এই জায়গাটা কিন্তু একটু নির্জন। তাই না?
---হুমম। সেই জন্য তো আপনাকে জিজ্ঞেস করলাম এতো বেঞ্চ থাকতে এই নির্জন জায়গায় এসে কেন বসেন? মানুষের ভিড়ের মাঝে আপনার থাকতে ভালো লাগেনা?
---একা থাকতে খুব ভালোবাসি।অভ্যাসহয়ে গেছে। দেখুন না আপনি ছাড়া কিন্তু এখানে আমার সাথে অন্য কেউ কথা বলতে আসেনি। আমি কিন্তু তাতে একটু মন খারাপ বা কখনো নিঃসঙ্গ অনুভব করিনি।
---সত্যি বলতে আপনার সাথে কথা বলতে ভালোই লাগছে। আপনার কথাগুলোর শুনতে খুবই ভালো লাগে। আচ্ছা আপনি মুখটাকে সবসময় গম্ভীর করে রাখেন কেন? আপনি যদি হেসে কথা বলতেন তাহলে আরো ভালো লাগতো আপনাকে।
---সব হাসিই কি লোক চক্ষুতে ধরা দিতে হবে? সব কষ্টেই কি চোখের জলে সেই কষ্টটার প্রমাণ মেলাতে হবে?
হৃদয়ের মাঝেও তো হাসির বাণ বয়ে যেতে পারে। নেমে আসতে পারে অশ্রুর ঝর্ণা।
সেটা দৃষ্টিগোচর হওয়া কি খুব জরুরি?
---বাহ্! আপনি তো কবিদের মতো করে কথা বলেন দেখছি। আপনি কি কবিতা লিখেন?
---একসময় শব্দের মায়াজালে মনের কথাগুলো দিয়ে প্রতিটি পাতায় অনুভূতিতে ছেয়ে দিতাম। কিন্তু এখন সব এলোমেলো লাগে।
---কেন? আমাকে কি বলা যেতে পারে?
একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে
---এক কাপ কফি হয়ে যাক!
--হুমম। মন্দ হয়না। চলুন হাটতে হাটতে আপনার কথা শুনা যাক।
---আপনার অনেক ধৈর্য আছে বলতে হবে।
---কেন?
---এই যে, আমার সাথে বসে আমার বকবকানি শুনছেন।
---আরে নাহ্। আপনার কথাগুলো শুনতে আমার খুবই ভালো লাগছে। আজকের বিকালটা আমার কাছে অনেক অনেক ভালো লাগছে।
---জানেন আমাদের ভালো লাগার,ভালোবাসার জিনিসগুলোকে আমরা সবসময় আঁকড়ে ধরে রাখতে পারিনা।অদৃশ্য বুলেটের আঘাতে কোনো একসময় সব ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। আর আস্তে আস্তে একাকীত্বের চারদেয়ালে আমরা বন্ধিভাবে জীবন কাটায়।
---আপনার কথাগুলো খুবই রহস্যময়।
---আমরা প্রতিটি মানুষই একটা জটিল ধাধায় বেড়ে উঠি। সেখানে আমাদের কথাগুলো তো খুবই সাধারণ কিছু শব্দের বন্ধনে আবদ্ধ। আমাদের চিন্তাধারাই সেগুলোকে রহস্যময় করে তুলে।
---হুম! সেটা অবশ্য ঠিক বলেছেন।
---চলুন কফি খাওয়া যাক।
---ও! হ্যা চলুন।
কিছুক্ষণ পর.....
---আমি কিন্তু আপনার কথার প্রেমে পড়ে গেছি।আপনি সত্যিই খুব সুন্দরভাবে কথা বলেন।
---আর কিছুক্ষণ আমার সাথে থাকুন,আমার প্রেমে পড়ে যাবেন। সত্যি বলতে কাউকে ভালো লাগা যখন শুরু হয়,তাকে ভালোবাসার হৃদয়ে একটা জায়গা আপনাআপনি সৃষ্টি হয়। শুধু অপেক্ষা থাকে কিছু অনুভূতির, প্রত্যাশা থাকে সঠিক সময়ের।
---হঠাৎ করে পাওয়া জিনিসগুলো খুব সহজেই মনের অজান্তেই হারিয়ে যায়। সেটা জানেন তো?
---পাওয়ার আগেই যদি সংশয় মনে থাকে তাহলে সেটা কাছে টেনে নিয়ে হারানোর ভয়ে কেন হৃদয় অস্থির হয়ে উঠবে?
কি প্রয়োজন ক্ষনিকের তরে কাউকে আপন করার?
---সারাজীবন পাশে থাকতে পারবেন তারই বা কি নিশ্চয়তা আছে? যতক্ষণ বেঁচে আছেন ততক্ষণ তো সেই মানুষটার পাশে থাকা যায়। নিজের মতো করে ভালোবাসা যায়। রাখা যায়না কি বিশ্বস্ততা দুটি হাত,যেখানে এসে সব দু:খ-কষ্ট বিলীন হয়ে যায়।
---খামখেয়ালি মনে ভালোবাসাই বা থাকে কি করে? প্রতিটি মুহূর্তে যেখানে নিঃশ্বাসের দ্বার বন্ধ হয়ে আসে।
---আচ্ছা যদি বলি আমি আপনাকে ভালোবেসে ফেলেছি তাহলে কি আপনি আমাকে ফিরিয়ে দিবেন?
---সন্ধ্যা হয়ে আসছে। আমাকে বাসায় ফিরতে হবে। আর আকাশটাও কালোমেঘে ঢেকে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে বৃষ্টি হতে পারে।চলুন যাওয়া যাক।
---আপনি কিন্তু কথাটাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন।আসলে আপনার মুখোমুখি উত্তর দেওয়ার সাহস নেই। তাই চলে যেতে চাইছেন।
---সময়টা এখন খুবই বেমানান।প্রশ্নগুলোকে ফ্রেমে বন্ধি করে রাখাই ভালো।হয়তো কোনো অসময়ে একটিবারের জন্য আবারো স্মৃতিতে ফিরে আসা যাবে।
---আপনি আসলে যতোটা রহস্যময় ঠিক ততোটাই ভিতুর ডিম।
---নিজের ভিতর লুকিয়ে থাকা সত্তাটাকে মাঝেমাঝে লুকিয়ে রাখা খুব বড় অন্যায় নয়।
এখন আর থাকা সম্ভব হচ্ছেনা। আমাকে যে এবার যেতেই হবে।বাই।
--উহু...বাই না বলুন আসি। বিদায়ের মুহূর্তগুলো খুব যন্ত্রণাদায়ক। আরঅপেক্ষা সেটা তো চিরন্তন। চাইলে এসে হাতের মুঠোতে ধরা দেয়।
আচ্ছা আবার কবে দেখা ?
---হয়তো কাল বা পরশু, হয়তো কোনো একদিন।
---অপেক্ষায় থাকবো কিন্ত। আসবেন তো?
---কথা দিতে পারছি না। তবে অভ্যাসগুলো তো সহজে বদলানো যায়না।
ভালো থাকবেন..
---আপনিও ভালো থাকবেন
আর নিজের খেয়াল রাখবেন।
---------
পথদুটো আলাদা হয়ে গেছে। বদলে গেছে গন্তব্য। হয়তো শেষটায় গিয়ে সন্ধি হবে।যেখান থেকে শেষটার শুরু।

 #আমি ও উপন্যাসআচ্ছা নিবেদিতা, কেমন হতো যদি আমি হতাম একটি প্রেমের উপন্যাস?রাত জেগে কাঁথা মুড়ি দিয়ে ফোনের স্বল্প আলোতে আম...
17/08/2023

#আমি ও উপন্যাস

আচ্ছা নিবেদিতা, কেমন হতো যদি আমি হতাম একটি প্রেমের উপন্যাস?
রাত জেগে কাঁথা মুড়ি দিয়ে ফোনের স্বল্প আলোতে আমাকে পড়তে। গভীর মনযোগ দিয়ে পড়তে। মাঝখানের এক-দুইটা লাইন বাদ দিয়ে অন্য লাইনে চলে যেতে। বেশকিছু লাইন পড়ার পরে বুঝতে পাড়তে দুটো লাইন বাদ পরেছে। বিরক্তির সাথে আবার ফিরে যেতে সেই দুই লাইনে।
সপ্তম পৃষ্ঠার সবচেয়ে আবেগী লাইনটা পড়ে তোমার চোখে নোনা জলের ছোট খাটো ঝর্ণার সৃষ্টি হতো। এক ফোটা নোনা জল তোমার গাল গড়িয়ে পরত লাইনটির একটি শব্দের উপর। তুমি জল মুছতে গিয়ে শব্দটাই মুছে দিতে! নীল হয়ে পরে থাকত মুছে যাওয়া শব্দটির স্থানটি। ঠিক সেভাবে যেভাবে তোমার চোখের জল নীল করেছে একটি কিশোরকে।
ছাব্বিশতম পৃষ্ঠায় রয়েছে উপন্যাসটির সবচেয়ে সুন্দর লাইনটি। এই লাইনটিতে আশ্রয় নেই কোন আবেগের। বাস্তব ধর্মী একটি লাইন। তোমার জীবনধারার বহিঃপ্রকাশ করে এই একটা লাইন। একটি কিশোরের দেওয়া হলদে রাঙ্গা নোটবুকটায় যত্ন করে লিখে রাখতে লাইনটি।
প্রত্যেকটি লাইন তুমি আঙ্গুল দিয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে পড়তে। আমি অনুভব করতাম তোমার উষ্ণ স্পর্শ। ভালোই হতো যদি হতাম একটি উপন্যাস! আঙ্গুল দিয়ে মার্ক করে পড়তে পড়তে ছিষট্টিতম পৃষ্ঠায় এসে বাচ্চা মেয়েটার মতো খিল খিল করে হাসতে। এই পৃষ্ঠাটি সার্থক। তোমার অপরূপ হাসি দেখে আমি হতাম মুগ্ধ।
এভাবেই হাসি কান্না আর তোমার স্পর্শের মাঝে একটা সময় শেষ হয়ে যেত উপন্যাসটি। তুমি চোখে জল নিয়ে বলতে ইস! উপন্যাসটি যদি আরো একটু বড় হতো।
বইটি তুমি অবহেলায় এককোণে রেখে ঘুমিয়ে যেতে। ঠিক সাত দিন পরে বইটিকে গ্রাস করত শহরের যতো ধূলাবালি। নীল স্থানের শব্দটি তেমনই রয়ে যাবে। যেমন রেয়ে গেছে সেই কিশোর ছেলেটি! অনেক দিন পর তুমি বইটি হাতে নিবে। যত্ন করে ধূলাবালি সরিয়ে পড়া শুরু করবে। সপ্তম পৃষ্ঠার সাত নম্বর লাইনের মুছে যাওয়া নীল শব্দটিতে এসে থেমে যাবে। মনে করতে চাবে শব্দটি। কিন্তু মনে পরবে না! মনে করতে না পারার বিরক্তিতে বইটিকে আবার ছুড়ে ফেলে দিবে।
জী ধন্যবাদ

 #অবুঝ ভালোবাসা2011 সাল তখন ক্লাস নাইনে পড়ি ,সবে মাত্র গোঁফের রেখা স্পষ্ট হতে শুরু করেছে ।সারাদিন স্কুল আর বন্ধুদের সহি...
16/08/2023

#অবুঝ ভালোবাসা

2011 সাল তখন ক্লাস নাইনে পড়ি ,
সবে মাত্র গোঁফের রেখা স্পষ্ট হতে শুরু করেছে ।
সারাদিন স্কুল আর বন্ধুদের সহিত আড্ডা দেওয়াই ছিল দৈনন্দিন রুটিন ।
ভালবাসা কি সেটা নিয়ে তেমন কিউরিসিটি ছিল না !
বন্ধুদের অনেকেই দেখতাম প্রেম করে ,
হাত কাটে , চিরকুট লিখে , ফোনে কথা বলে ইত্যাদি !
সেদিন ছিল বুধবার (07-10-2011) তাকে আমি প্রথম দেখি আমাদের ক্লাসের সামনে নিম গাছে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে আর কার সাথে যেন কথা বলতেছে আর হাসতেছে !

আমি লক্ষ করলাম হাসলে ওর বাম গালে অনেক সুন্দর একটা টোল পরে । যা আমাকে ঐ দিন বেশি মুগ্ধ করেছিল ।
তারপর থেকে যতই দিন যেতে থাকল আমার ততই মেয়েটিকে ভাল লাগতে থাকে! কথাটা আমি আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু বিলাস কে জানাই ,

বিলাস হয়তো ক্লাসের কারো সাথে কথাটা শেয়ার করে আর পরে , বিশেষ করে আমার আল-আমিন চাচার গার্লেফ্রন্ড অর্থাৎ যাকে আমি স্যার -ম্যাডামদের সামনেই চাচি ডাকতাম!

উনি আমাকে বলতেছে যে ''পছন্দ করো বল না কেন?''
আমি বললাম কেমন করে বলব ? মেয়ে ক্লাস সিক্সে পড়ে যদি স্যারের কাছে বিচার দেয় ! এটা এমনিতেই বললাম।

আসলে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে স্যারের কাছে বিচার দিলেও স্যার আমাকে কিছু করবে না (কারন তখন আমরাই ছিলাম স্কুলের মাথা যা বলতাম তাই করতাম)
যাই হোক , পরের দিন চাচি আমাকে বলল আজকে মেয়েকে তোমার কিছু বলতেই হবে । আমি কিছুক্ষণ ইতস্তত করে পরে বললাম আচ্ছা বলব ।
চাচি মেয়েকে আমাদের ক্লাসরুমের দক্ষিনের জানালায় এনে দাঁড় করালো । আর বলল নীল তোমায় কিছু বলতে চায় ।
আর চাচি বলল এবার বলো আমি পাশেই আছি ।
কি বলব বুঝেছিলাম না ।।
ঐ দিকে মেয়েটা বার বার জিজ্ঞাসা করছে কি বলবেন বলেন ??
-না মানে .....(আমি)
-কি না মানে ?(মেয়ে )
-না মানে বলছিলাম কি ....
-কি এত না মানে করছেন ? বলেন কি বলবেন ?
-আসলে হয়েছে কি ! কালকে বলি ?
-না আজকেই বলেন , না হলে আমি গেলাম !
-এই শুনো ,
-আমি না তোমাকে খুব পছন্দ করি ! একদমে চোখ বন্ধ করে বলে ফেললাম ।
বলেই সেখান থেকে চলে আসলাম ।
কিছুদিন পর .....
-এইযে শুনছেন ?(মেয়ে )
তাকিয়ে দেখি ঐ মেয়েটি ,
-আপনি তো অনেক সুন্দর গান করেন !
-আমি সুন্দর গান করি কে বলছে তোমায় ?(আমি)
-কেউ বলেনি , আমি দেখছি ঐযে সেদিন স্যারের সাথে আপনাদের ক্লাসে গানের প্রেকটিস করছিলেন ।
-ওহ্
-আচ্ছা সেদিন জানি কি বলছিলেন ?
-কি বলছিলাম শুনতে পাওনি ?
-হ্যাঁ শুনেছি তো !
-তো উত্তর টা কি ?
জবাবে কিছু বলছে না মাথা নিচু করে আছে ! হয়তো লজ্জা পেয়েছে ।
-কি হল ? কিছু বলো !
-কি বলব ?
-ভালবাসি তোমায় ! এইটা বলো ।
-না পারব না ।
-না বলতে হবে ।
মেয়েটি দৌড়ে চলে গেল !
বহু কষ্টে মেয়ের ফুফুর ফোন নাম্বার জোগাড় করলাম !
কিন্তু এখন ফোন করব কি দিয়ে ?? আমার তো ফোন নেই আর বাসার ফোন দিয়ে কথা বলা যাবে না ।
কয়েকদিন পর সে আমাকে পছন্দ করে বলছে । কিন্তু কথা খুব কম হতো ওর সাথে কারন এই স্কুলেই তার খালাত বোন পড়ত ।
তারপর একটা ফোন কিনলাম ! শুধু ওর সাথে কথা বলার জন্য ।
সম্পর্কটা বেশ ভালই ছিল ।
কিন্তু ফোনেও কথা বলা সমস্যা !
ওর সাথে প্রথম আমার ফোনে কথা হয়েছিল ৩৭
সেকেন্ড ।
পরে আর একদিন ৫৩ সেকেন্ড ।
এই দুইদিন ।
প্রতিদিন স্কুল ছুটির পর তাকে বলে আসতাম ''যাচ্ছি'' !!
সেও আমাকে বলেই যেত !
এইভাবেই আমি ক্লাস টেনে উঠলাম ।
কিন্তু হঠাৎ কি জানি হলো সে বলল আমার সাথে সম্পর্ক রাখবে না ।
আমি স্কুলের পিছনে গিয়ে খুব কেঁদেছিলাম !
বিলাস আমাকে ওদের ক্লাসে গিয়ে তাকে অনেক বুঝাইছে কিন্তু লাভ হয়নি ।।
ও আমাকে ডিরেক্ট বলে দিছে আমার সাথে কোন সম্পর্ক রাখতে চায় না !!
কিন্তু কেন তা আমি আজও জানি না ।।
আমি বার বার জিজ্ঞাসা করেছিলাম কেন সম্পর্ক রাখতে চাওনা ?
সে আমাকে কিছু বলে নি ।।
আমার মতো আরো অনেকেই এই প্রশ্নটাই করে থাকেন ,,
কেন ছেড়ে গেলে ?? আমার কি দোষ ছিল ??
যারা চলে যায় তারা একটা কথাই বলে যায় ''আমি জানি না''
কেন এই কথা বলে তারাই জানে ! আর উপরওয়ালাই জানে ।।।।

[গল্পটি ইন্টারনেট হতে সংগ্রহিত]

 #গল্প  #স্বপ্ন কে ছুয়ে দেখার অপেক্ষা আগামীকাল থেকে অবন্তীর ফাইনাল এক্সাম। মন না চাইলেও রাত ২টায়ও তাকে দেখা যাচ্ছে গভীর...
02/08/2023

#গল্প #স্বপ্ন কে ছুয়ে দেখার অপেক্ষা
আগামীকাল থেকে অবন্তীর ফাইনাল এক্সাম। মন না চাইলেও রাত ২টায়ও তাকে দেখা যাচ্ছে গভীর মনোযোগে বইয়ে মুখ ডুবিয়ে থাকতে।

মাঝরাতে হঠাৎ মুঠোফোনের শব্দে বই থেকে মুখ তোলে অবন্তী। ফোনের স্ক্রিনে চোখ রাখতেই একটি অপরিচিত নম্বর চোখে পড়ে।

—এত রাতে কে ফোন দিল...

নিশ্চিত, ক্লাসের কেউই হবে...

এটা ভেবেই ফোনটি রিসিভ করে অবন্তী।

‘হ্যালো’ বলতেই ওপাশ থেকে একটি মোটা গলা ভেসে আসে...

—হ্যালো...

অবন্তীর কাছে গলার স্বরটি অপরিচিত মনে হয়...

—কে বলছেন?

—আমি তমাল...

—ওহ, তমাল মামা! এত রাতে কী মনে করে?

গম্ভীর গলায় জবাব,

—মামা! আমি তমাল; কিন্তু আপনার মামা নই। আমি আরেকজন তমাল, আমাকে চিনবেন না।

—কাকে চান?

—এত সময় যখন আপনার সঙ্গে কথা বলছি, ধরে নিন আপনাকেই চাইছি।

—স্টুপিড!

বলেই ফোন কেটে দিল অবন্তী। মনোযোগী হয়ে পড়া শুরু করল। কিন্তু কী আশ্চর্য! বারবার কেন যেন ওই কণ্ঠটাই কানে বাজছে!

ইস্! কী অসম্ভব সুন্দর কণ্ঠ লোকটির।

অনেকটা আরজে নীরবের মতো।
কথাগুলো ভাবতেই হঠাৎ আবার মুঠোফোনটি বেজে ওঠে। অবন্তী এবার ঠিক করল, কলটি আর রিসিভ করবে না। কিন্তু কী অদ্ভুত, এত রাতে নির্লজ্জের মতো লোকটা কেন যে বারবার কল করেই যাচ্ছে!

মুঠোফোনটি বেজেই চলেছে...মিশ্র প্রতিক্রিয়া অবন্তীর। শেষ পর্যন্ত কলটি রিসিভ করল...

‘হ্যালো’ বলতেই...

—কী ব্যাপার, রেখে দিলেন কেন?

—এত রাতে অচেনা একজন মেয়েকে বিরক্ত করতে লজ্জা করছে না আপনার! অসভ্য একটা লোক আপনি।

—প্লিজ! দয়া করে এভাবে বলবেন না। আমি বাজে ছেলে নই। এটুকু বিশ্বাস রাখতেই পারেন। আপনি আমার পরিচয়টুকু দেওয়ার সুযোগ দিন...

আমি তমাল। বুয়েটে সিভিলে পড়ছি, তিতুমীর হলে থাকি। সামনে টার্ম ফাইনাল প্রিপারেটি লিভের গ্যাপে আছি। রাত জেগে পড়তে পড়তে হঠাৎ এক বন্ধুকে কল দেব ভেবে ডিজিট ভুলে কলটি আপনার নম্বরে চলে যায়। আমার কী দোষ বলুন, আপনার কণ্ঠে জাদু আছে। যে কেউ আপনার সঙ্গে কথা বললে অবচেতন মনে চাইবে আরেকবার কথা শুনতে!

—দেখুন, কাল আমার ফিজিওলজির কার্ড এক্সাম। এমনিতেই আমি খুব টেনসড। দয়া করে আর বিরক্ত করবেন না। আপনাদের মতো ছেলেরা মেয়েদের ইমপ্রেস করায় খুব পটু।

কথাগুলো বলেই কলটি কাটল অবন্তী। ফোনটি রাখার কিছু সময় পর মুঠোফোনের মেসেজ রিংটোন বেজে উঠল...

‘ফিজিওলজির কার্ড এক্সাম! তার মানে মেডিক্যাল স্টুডেন্ট! ডাক্তারদের মেজাজ এত রুড হলে চলবে? আবার বিরক্ত না করে পারব না হয়তো। এতটা বকাঝকা আগামী দিন আর করবেন না আশা রাখব। শুভ রাত্রি। ’

কী রকম যেন এক অদৃশ্য ভালোলাগার শিহরণের মধ্য দিয়ে সময় কেটে যায় অবন্তীর। অবচেতন মন কেন যেন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ফোনের জন্য! খাবার টেবিল থেকে পড়ার টেবিল—সারাটা সময় মুঠোফোনটি ওর সঙ্গেই আছে।

বাড়ির কারোরই ব্যাপারটা দৃষ্টি এড়ায় না। এমনিভাবে এক সপ্তাহ শেষে একদিন রাত প্রায় সাড়ে ১২টায় সেই প্রতীক্ষিত নম্বরটি ফোন স্ক্রিনে ভেসে ওঠে।

অবন্তী ফোন রিসিভ করতেই সম্ভাষণের বদলে চমত্কার ভরাট কণ্ঠের আবৃত্তি শোনা যায়...

‘পাইনি বলে আজও তোমায় বাসছি ভালো রানি...

মধ্যসাগর এপার-ওপার করছে কানাকানি...’

ফোনের ওপাশ থেকে ভদ্রলোকের কবিতা পড়া শুনে অবন্তী যেন ভালোলাগার বিস্ময়ে ভাষা হারিয়ে ফেলে!

—কী ব্যাপার, কথা বলবেন না? কেমন লাগল কবিতাটা? আজ কিন্তু হঠাৎ করে ফোন কাটা যাবে না!

—অসাধারণ! খুব ভালো কবিতা আবৃত্তি করেন তো আপনি!

—সত্যি, আপনার ভালো লেগেছে? ধন্য আমি! আমি তো ভয় পাচ্ছিলাম, এই বুঝি অভদ্র-অসভ্য বলে কল কেটে দেবেন!

এর পর থেকে শুরু ওদের একসঙ্গে পথচলা। সময় গড়িয়ে সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টা পেরিয়ে সপ্তাহ থেকে মাস ছুঁয়ে যায়...

সকাল-বিকেল কিংবা মাঝরাতে ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকে চ্যাটিং ঘণ্টার পর ঘণ্টা...ভালোলাগার অনুভূতিটা কখন যেন ভালোবাসা হয়ে মন জুড়ে বসে...

দেখতে দেখতে সময় কেটে যায়...কাছে আসার আকুল তৃষ্ণায় মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে...দীর্ঘ এক বছর পর তমাল আর অবন্তী পহেলা ফাল্গুনের এক বিকেলে পাবলিক লাইব্রেরিতে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয়...

পাবলিক লাইব্রেরির রাস্তা দিয়ে ভেতরে প্রবেশের সময় এদিক-সেদিক তাকিয়ে মনের অজান্তেই কাউকে খুঁজে যায় অবন্তী। ঠোঁটের কোণে তখনো একচিলতে হাসি...

হঠাৎ মুঠোফোনে মেসেজ রিংটোন বাজতেই অবন্তী চোখ রাখে স্ক্রিনে। ছোট্ট একটা মেসেজ,

‘আসছি অবন্তী, শাহবাগে আমি...। ’

হাঁটতে হাঁটতেই রিপ্লাই করে অবন্তী...

‘স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখার অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছি’...

পাবলিক লাইব্রেরিতে প্রবেশ করে কিছুটা দূর থেকেই তমাল দেখে, অবন্তী সিঁড়ির একপাশে চুপচাপ বসে আছে। মেয়েটি...মেয়েটি আসলেই সুন্দরী...হলুদ রঙের শাড়িতে ওকে একটু বেশিই মানিয়েছে।

অবন্তী তমালকে বলেছিল কালো রঙের পাঞ্জাবি পরতে অথচ ও পরে এসেছে সাদা রঙের ক্যাজুয়াল শার্ট।

সিঁড়ি বেয়ে অবন্তীকে পাশ কাটিয়ে একটু দ্রুতই পাবলিক লাইব্রেরির ভেতর চলে যায় তমাল। এর একটু পরই অবন্তীর পেছনে এসে দাঁড়ায়...

হঠাৎ করেই ডেকে ওঠে অবন্তী বলে...

অবন্তী পেছন ফিরে তাকাতেই ভীষণ চমকে ওঠে! একি, তমালের পাশে রূপক কেন!

এই ছেলেটা অবন্তীর ক্লাসমেট। দীর্ঘ দুই বছর ধরে ওকে বিরক্ত করে যাচ্ছে...একে দেখলেই অবন্তীর ভীষণ রাগ হয়।

অবন্তী কোনো প্রশ্ন করার আগেই তমাল বলে ওঠে, ‘রূপক আমার ছোট ভাই। ওর ধারণা ছিল, তুমি নাকি ভালোবাসতেই জানো না। ওর সঙ্গে আমি চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, তোমাকে ভালোবাসতে শেখাব আমি। তোমার সঙ্গে সম্পর্কের শুরুটাই ছিল একটা জেদ। তোমাকে আমি শুধু বোঝাতে চেয়েছিলাম, ভালোবাসার অনুভূতিটা কেমন হয়...ভালোবাসা আসলে কী...’

দীর্ঘ সময় নির্বাক হয়ে তমালের কথাগুলো শোনে অবন্তী। চোখ দুটি কখন যেন নিজের অজান্তেই অশ্রুসজল হয়ে ওঠে...

তমালের কথার প্রত্যুত্তরে অবন্তী শুধু একটি কথাই বলে...‘তমাল, আপনি আমাকে ভালোবাসতে শিখিয়েছেন? আমার কল্পনায় যে ভালোবাসা ছিল তা আসলে ভালোবাসা নয়, শুধুই প্রতারণা। ভালোবাসা কী, তা হয়তো আর এ জন্মে বোঝা হলো না...’

কথাগুলো শেষ করেই অবন্তী হাঁটতে শুরু করে, পাবলিক লাইব্রেরির গেট থেকে বেরিয়ে দ্রুত রিকশা নেয়। রিকশা চলতে শুরু করে সন্ধ্যার আবছা আলো-আঁধারি পথ ধরে। রিকশা এগিয়ে যায় সামনে...

পেছনে পড়ে থাকে অনেক কল্পনায় আঁকা কিছু স্বপ্ন...

স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণায় এত দিনের রঙিন স্বপ্নে বিভোর দুটি চোখ বেয়ে অপমানের, দুঃখের আর হতাশার জল গড়িয়ে পড়ে। তবু মন মানে না। নিজের মনকে বিশ্বাস করতে পারে না।

শাহবাগ পেরিয়ে রিকশা বাংলা একাডেমির সামনে যেতেই একটি মোটরবাইক অবন্তীর রিকশার সামনে এসে থামল...

চমকে উঠল অবন্তী। বাইক থেকে নেমে তমাল রিকশার সামনে দাঁড়াল...

‘আপনি আমার পিছু নিয়েছেন কেন? ভালোবাসা কী, তা শেখাতে চেয়েছিলেন! আমি তো ভালোবাসতে শিখে গেছি...’

কথাগুলো বলতে গিয়ে রাগে-অপমানে কেঁদে ফেলল অবন্তী।

তমাল হাত জোড় করে ওর রিকশার সামনে দাঁড়াল...‘ক্ষমা করে দাও অবন্তী...আমিও যে ভালোবাসতে শিখে গেছি তোমার পাশে থেকে...তোমার অভিমানী চোখ বলে দিয়েছে, আমি কতটা অপরাধী...নিজের অজান্তেই ভালোবেসে ফেলেছি তোমায়... তোমাকে ছাড়া থাকতে পারব না...প্লিজ! ফিরিয়ে দিয়ো না। ’

স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখার অপেক্ষাআগামীকাল থেকে অবন্তীর ফাইনাল এক্সাম। মন না চাইলেও রাত ২টায়ও তাকে দেখা যাচ্ছে গভীর মনোযোগে ...
02/08/2023

স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখার অপেক্ষা

আগামীকাল থেকে অবন্তীর ফাইনাল এক্সাম। মন না চাইলেও রাত ২টায়ও তাকে দেখা যাচ্ছে গভীর মনোযোগে বইয়ে মুখ ডুবিয়ে থাকতে।

মাঝরাতে হঠাৎ মুঠোফোনের শব্দে বই থেকে মুখ তোলে অবন্তী। ফোনের স্ক্রিনে চোখ রাখতেই একটি অপরিচিত নম্বর চোখে পড়ে।

—এত রাতে কে ফোন দিল...

নিশ্চিত, ক্লাসের কেউই হবে...

এটা ভেবেই ফোনটি রিসিভ করে অবন্তী।

‘হ্যালো’ বলতেই ওপাশ থেকে একটি মোটা গলা ভেসে আসে...

—হ্যালো...

অবন্তীর কাছে গলার স্বরটি অপরিচিত মনে হয়...

—কে বলছেন?

—আমি তমাল...

—ওহ, তমাল মামা! এত রাতে কী মনে করে?

গম্ভীর গলায় জবাব,

—মামা! আমি তমাল; কিন্তু আপনার মামা নই। আমি আরেকজন তমাল, আমাকে চিনবেন না।

—কাকে চান?

—এত সময় যখন আপনার সঙ্গে কথা বলছি, ধরে নিন আপনাকেই চাইছি।

—স্টুপিড!

বলেই ফোন কেটে দিল অবন্তী। মনোযোগী হয়ে পড়া শুরু করল। কিন্তু কী আশ্চর্য! বারবার কেন যেন ওই কণ্ঠটাই কানে বাজছে!

ইস্! কী অসম্ভব সুন্দর কণ্ঠ লোকটির।

অনেকটা আরজে নীরবের মতো।
কথাগুলো ভাবতেই হঠাৎ আবার মুঠোফোনটি বেজে ওঠে। অবন্তী এবার ঠিক করল, কলটি আর রিসিভ করবে না। কিন্তু কী অদ্ভুত, এত রাতে নির্লজ্জের মতো লোকটা কেন যে বারবার কল করেই যাচ্ছে!

মুঠোফোনটি বেজেই চলেছে...মিশ্র প্রতিক্রিয়া অবন্তীর। শেষ পর্যন্ত কলটি রিসিভ করল...

‘হ্যালো’ বলতেই...

—কী ব্যাপার, রেখে দিলেন কেন?

—এত রাতে অচেনা একজন মেয়েকে বিরক্ত করতে লজ্জা করছে না আপনার! অসভ্য একটা লোক আপনি।

—প্লিজ! দয়া করে এভাবে বলবেন না। আমি বাজে ছেলে নই। এটুকু বিশ্বাস রাখতেই পারেন। আপনি আমার পরিচয়টুকু দেওয়ার সুযোগ দিন...

আমি তমাল। বুয়েটে সিভিলে পড়ছি, তিতুমীর হলে থাকি। সামনে টার্ম ফাইনাল প্রিপারেটি লিভের গ্যাপে আছি। রাত জেগে পড়তে পড়তে হঠাৎ এক বন্ধুকে কল দেব ভেবে ডিজিট ভুলে কলটি আপনার নম্বরে চলে যায়। আমার কী দোষ বলুন, আপনার কণ্ঠে জাদু আছে। যে কেউ আপনার সঙ্গে কথা বললে অবচেতন মনে চাইবে আরেকবার কথা শুনতে!

—দেখুন, কাল আমার ফিজিওলজির কার্ড এক্সাম। এমনিতেই আমি খুব টেনসড। দয়া করে আর বিরক্ত করবেন না। আপনাদের মতো ছেলেরা মেয়েদের ইমপ্রেস করায় খুব পটু।

কথাগুলো বলেই কলটি কাটল অবন্তী। ফোনটি রাখার কিছু সময় পর মুঠোফোনের মেসেজ রিংটোন বেজে উঠল...

‘ফিজিওলজির কার্ড এক্সাম! তার মানে মেডিক্যাল স্টুডেন্ট! ডাক্তারদের মেজাজ এত রুড হলে চলবে? আবার বিরক্ত না করে পারব না হয়তো। এতটা বকাঝকা আগামী দিন আর করবেন না আশা রাখব। শুভ রাত্রি। ’

কী রকম যেন এক অদৃশ্য ভালোলাগার শিহরণের মধ্য দিয়ে সময় কেটে যায় অবন্তীর। অবচেতন মন কেন যেন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ফোনের জন্য! খাবার টেবিল থেকে পড়ার টেবিল—সারাটা সময় মুঠোফোনটি ওর সঙ্গেই আছে।

বাড়ির কারোরই ব্যাপারটা দৃষ্টি এড়ায় না। এমনিভাবে এক সপ্তাহ শেষে একদিন রাত প্রায় সাড়ে ১২টায় সেই প্রতীক্ষিত নম্বরটি ফোন স্ক্রিনে ভেসে ওঠে।

অবন্তী ফোন রিসিভ করতেই সম্ভাষণের বদলে চমত্কার ভরাট কণ্ঠের আবৃত্তি শোনা যায়...

‘পাইনি বলে আজও তোমায় বাসছি ভালো রানি...

মধ্যসাগর এপার-ওপার করছে কানাকানি...’

ফোনের ওপাশ থেকে ভদ্রলোকের কবিতা পড়া শুনে অবন্তী যেন ভালোলাগার বিস্ময়ে ভাষা হারিয়ে ফেলে!

—কী ব্যাপার, কথা বলবেন না? কেমন লাগল কবিতাটা? আজ কিন্তু হঠাৎ করে ফোন কাটা যাবে না!

—অসাধারণ! খুব ভালো কবিতা আবৃত্তি করেন তো আপনি!

—সত্যি, আপনার ভালো লেগেছে? ধন্য আমি! আমি তো ভয় পাচ্ছিলাম, এই বুঝি অভদ্র-অসভ্য বলে কল কেটে দেবেন!

এর পর থেকে শুরু ওদের একসঙ্গে পথচলা। সময় গড়িয়ে সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টা পেরিয়ে সপ্তাহ থেকে মাস ছুঁয়ে যায়...

সকাল-বিকেল কিংবা মাঝরাতে ফোন, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকে চ্যাটিং ঘণ্টার পর ঘণ্টা...ভালোলাগার অনুভূতিটা কখন যেন ভালোবাসা হয়ে মন জুড়ে বসে...

দেখতে দেখতে সময় কেটে যায়...কাছে আসার আকুল তৃষ্ণায় মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে...দীর্ঘ এক বছর পর তমাল আর অবন্তী পহেলা ফাল্গুনের এক বিকেলে পাবলিক লাইব্রেরিতে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেয়...

পাবলিক লাইব্রেরির রাস্তা দিয়ে ভেতরে প্রবেশের সময় এদিক-সেদিক তাকিয়ে মনের অজান্তেই কাউকে খুঁজে যায় অবন্তী। ঠোঁটের কোণে তখনো একচিলতে হাসি...

হঠাৎ মুঠোফোনে মেসেজ রিংটোন বাজতেই অবন্তী চোখ রাখে স্ক্রিনে। ছোট্ট একটা মেসেজ,

‘আসছি অবন্তী, শাহবাগে আমি...। ’

হাঁটতে হাঁটতেই রিপ্লাই করে অবন্তী...

‘স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখার অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছি’...

পাবলিক লাইব্রেরিতে প্রবেশ করে কিছুটা দূর থেকেই তমাল দেখে, অবন্তী সিঁড়ির একপাশে চুপচাপ বসে আছে। মেয়েটি...মেয়েটি আসলেই সুন্দরী...হলুদ রঙের শাড়িতে ওকে একটু বেশিই মানিয়েছে।

অবন্তী তমালকে বলেছিল কালো রঙের পাঞ্জাবি পরতে অথচ ও পরে এসেছে সাদা রঙের ক্যাজুয়াল শার্ট।

সিঁড়ি বেয়ে অবন্তীকে পাশ কাটিয়ে একটু দ্রুতই পাবলিক লাইব্রেরির ভেতর চলে যায় তমাল। এর একটু পরই অবন্তীর পেছনে এসে দাঁড়ায়...

হঠাৎ করেই ডেকে ওঠে অবন্তী বলে...

অবন্তী পেছন ফিরে তাকাতেই ভীষণ চমকে ওঠে! একি, তমালের পাশে রূপক কেন!

এই ছেলেটা অবন্তীর ক্লাসমেট। দীর্ঘ দুই বছর ধরে ওকে বিরক্ত করে যাচ্ছে...একে দেখলেই অবন্তীর ভীষণ রাগ হয়।

অবন্তী কোনো প্রশ্ন করার আগেই তমাল বলে ওঠে, ‘রূপক আমার ছোট ভাই। ওর ধারণা ছিল, তুমি নাকি ভালোবাসতেই জানো না। ওর সঙ্গে আমি চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, তোমাকে ভালোবাসতে শেখাব আমি। তোমার সঙ্গে সম্পর্কের শুরুটাই ছিল একটা জেদ। তোমাকে আমি শুধু বোঝাতে চেয়েছিলাম, ভালোবাসার অনুভূতিটা কেমন হয়...ভালোবাসা আসলে কী...’

দীর্ঘ সময় নির্বাক হয়ে তমালের কথাগুলো শোনে অবন্তী। চোখ দুটি কখন যেন নিজের অজান্তেই অশ্রুসজল হয়ে ওঠে...

তমালের কথার প্রত্যুত্তরে অবন্তী শুধু একটি কথাই বলে...‘তমাল, আপনি আমাকে ভালোবাসতে শিখিয়েছেন? আমার কল্পনায় যে ভালোবাসা ছিল তা আসলে ভালোবাসা নয়, শুধুই প্রতারণা। ভালোবাসা কী, তা হয়তো আর এ জন্মে বোঝা হলো না...’

কথাগুলো শেষ করেই অবন্তী হাঁটতে শুরু করে, পাবলিক লাইব্রেরির গেট থেকে বেরিয়ে দ্রুত রিকশা নেয়। রিকশা চলতে শুরু করে সন্ধ্যার আবছা আলো-আঁধারি পথ ধরে। রিকশা এগিয়ে যায় সামনে...

পেছনে পড়ে থাকে অনেক কল্পনায় আঁকা কিছু স্বপ্ন...

স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণায় এত দিনের রঙিন স্বপ্নে বিভোর দুটি চোখ বেয়ে অপমানের, দুঃখের আর হতাশার জল গড়িয়ে পড়ে। তবু মন মানে না। নিজের মনকে বিশ্বাস করতে পারে না।

শাহবাগ পেরিয়ে রিকশা বাংলা একাডেমির সামনে যেতেই একটি মোটরবাইক অবন্তীর রিকশার সামনে এসে থামল...

চমকে উঠল অবন্তী। বাইক থেকে নেমে তমাল রিকশার সামনে দাঁড়াল...

‘আপনি আমার পিছু নিয়েছেন কেন? ভালোবাসা কী, তা শেখাতে চেয়েছিলেন! আমি তো ভালোবাসতে শিখে গেছি...’

কথাগুলো বলতে গিয়ে রাগে-অপমানে কেঁদে ফেলল অবন্তী।

তমাল হাত জোড় করে ওর রিকশার সামনে দাঁড়াল...‘ক্ষমা করে দাও অবন্তী...আমিও যে ভালোবাসতে শিখে গেছি তোমার পাশে থেকে...তোমার অভিমানী চোখ বলে দিয়েছে, আমি কতটা অপরাধী...নিজের অজান্তেই ভালোবেসে ফেলেছি তোমায়... তোমাকে ছাড়া থাকতে পারব না...প্লিজ! ফিরিয়ে দিয়ো না। ’

রাগারাগি ছাড়া,,,,,,, ভালোবাসা শোভা পায় না!!! রাগের মাঝেই না বলা, ভালোবাসা খুজে পাওয়া যায় ।
01/08/2023

রাগারাগি ছাড়া,,,,,,, ভালোবাসা শোভা পায় না!!! রাগের মাঝেই না বলা, ভালোবাসা খুজে পাওয়া যায় ।

লােকে ঠিকই বলে পৃথিবীতে কেউ কারাের নয়; কিছুটা মায়া আর বাকিটা অভিনয়৷ People rightly say that no one in the world belong...
08/07/2023

লােকে ঠিকই বলে পৃথিবীতে কেউ কারাের নয়; কিছুটা মায়া আর বাকিটা অভিনয়৷
People rightly say that no one in the world belongs to anyone; A bit illusion and the rest is acting

21/06/2023

আমাদের নেত্রকোনা জেলা

কোটি কোটি শুকরিয়া আমার রবের প্রতি যিনি আমাকে ঘুম নামক মৃ'ত্যু থেকে জাগিয়ে সকাল দেখান।আলহামদুলিল্লাহ!🖤
14/06/2023

কোটি কোটি শুকরিয়া আমার রবের প্রতি যিনি আমাকে ঘুম নামক মৃ'ত্যু থেকে জাগিয়ে সকাল দেখান।
আলহামদুলিল্লাহ!🖤

Address

Mymensingh Baghara

Telephone

+8801636678170

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MD ZIHAN ISLAM SAGOR posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category