MawaNews-24

MawaNews-24 জনপ্রিয় মাওয়া এরিয়াকে কেন্দ্র করে আমাদের বিভিন্ন বার্তা প্রেরণ করা হবে তাই আমাদের এই পেজটিকে লাইক করে রাখুন।

ঘুরতে কে না ভালোবাসে। তবে সময়ের অভাবে অনেকেই ঘুরতে যেতে পারেন না। তবে চাইলে আপনি ঢাকার মধ্যেই ঘুরে আসতে পারেন। আমাদের খু...
02/09/2024

ঘুরতে কে না ভালোবাসে। তবে সময়ের অভাবে অনেকেই ঘুরতে যেতে পারেন না। তবে চাইলে আপনি ঢাকার মধ্যেই ঘুরে আসতে পারেন। আমাদের খুব কাছেই মাওয়া ঘাটের পদ্মার পাড়। পদ্মা নদী ভ্রমণ এবং ইলিশ মাছের স্বাদ নিতে চাইলে মাওয়া ঘাট হতে পারে আপনার জন্য একটি আদর্শ ভ্রমণের স্থান। নৌকা বা ট্রলার ভাড়া করে উন্মুক্ত পদ্মার বুকে কাটিয়ে দিতে পারেন অনেকটা সময়। আর যদি বেশি সময় থাকে তবে নদীর বুকে সূর্যাস্তও উপভোগ করতে পারেন, যা কি না আপনার স্মৃতির পাতায় অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মাওয়া ফেরিঘাটের উত্তর দিকে নদীর পাড় দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চলে যাওয়া যায় অনেক দূরে। নদীর পাড় দিয়ে হাঁটার সময় একপাশে থাকবে রুপালি পদ্মা আর অন্যপাশে থাকবে সবুজে ঘেরা গ্রাম। ইচ্ছে করলেই ঢুকে পড়া যায় গ্রামের ভেতরে। ছায়া সুনিবিড় গাছগাছালিতে ঢাকা চমৎকার একটি গ্রাম দেখে নেওয়া যাবে ঘণ্টাখানেক পায়ে হেঁটেই। নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি গ্রামকে গ্রাম হিসেবেই পাবেন এখানে। শহরের কোলাহল আর যান্ত্রিকতামুক্ত এই গ্রাম অবশ্যই সবার ভালো লাগবে।

নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি পদ্মার ইলিশের জন্যও মাওয়া ঘাট বিখ্যাত। তাজা ইলিশ মাছ ভাজা খাওয়ার স্বাদ বোঝা যায় এখানে এলেই। এ ছাড়া এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে পদ্মার বুকে আমাদের স্বপ্নের সেতু। আগামীকাল উদ্বোধন হচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এটি শুধু আমাদের দেশে নয়, এশিয়া মহাদেশের মধ্যেই বড় সেতুর তালিকায় স্থান পেয়েছে। যার ওপরের স্তরে তৈরি করা চার লেনের সড়কপথ এবং নিচে এক লেনের রেলপথ। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দেশের সবচেয়ে বৃহৎ এই সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে সড়কপথে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকা এবং আশপাশের জেলার যোগাযোগে ইতিহাস রচিত হতে যাচ্ছে। সেই সেতুর উদ্বোধন নিয়ে তাই সবার বাঁধভাঙা উচ্ছ¡াস। প্রতিদিন দূর-দূরান্তের হাজার হাজার দর্শনার্থী পদ্মাপাড়ে ভিড় করছেন সেতুটি একনজর দেখার জন্য। স্বপ্নের সেতুর দুই প্রান্তে এখন উৎসবের আমেজ। চাইলে আপনিও সাক্ষী হয়ে থাকতে পারেন স্মরণীয় এই মুহূর্তের।

ঢাকা থেকে যেভাবে যাবেন

ঢাকার গুলিস্তান থেকে সারা দিনই পাবেন মাওয়া যাওয়ার বাস। ইলিশ, গাঙচিল পরিবহন এবং এভারেস্ট পরিবহন আছে মাওয়া যাওয়ার জন্য।

মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরে জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট ‌‘প্রজেক্ট হিলশা। মাওয়া ঘাটের দীর্ঘদিনের ইলিশ খাওয়ার রীতির সঙ্গে অত্যাধুনিক...
02/09/2024

মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরে জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট ‌‘প্রজেক্ট হিলশা। মাওয়া ঘাটের দীর্ঘদিনের ইলিশ খাওয়ার রীতির সঙ্গে অত্যাধুনিক এ রেস্টুরেন্ট নতুন এক সংযোজনই বলা চলে। তাইতো, উদ্বোধনের ক’দিনের মাথায় এটি হয়ে ওঠেছে ভোজনরসকিদের আড্ডা খানা। দল বেঁধে মানুষ ছুটে আসেন প্রজেক্ট হিলশা’তে। কেউ খাচ্ছেন ইলিশ পাতুরি, কেউ সরষে ইলিশ। বাদ যাচ্ছে না ইলিশ ভাঁজাও। ইলিশের চৌদ্দ পদ নিয়ে এ এক এলাহি কাণ্ড।

বলা হচ্ছে প্রজেক্ট হিলশা পদ্মার পাড় তো বটেই, দেশের সবচেয়ে বড় রেস্টুরেন্ট। যুগোপযোগী ইন্টেরিয়রের সঙ্গে বাঙালি ভোজ, এই রেস্টুরেন্টকে করে তুলেছে আরও আকর্ষণীয়। তবে দামে কিছু চড়া ভাব থাকলেও খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ নেই কারও।

এ রেস্টুরেন্টের আরেকটি আকর্ষণ হচ্ছে ওপেন কিচেন। আপনি চাইলেই মাছ বাছাই করে কিনে দিতে পারবেন। রান্নাবান্নাও হবে চোখের সামনে। ভরদুপুরে খেতে বসলে থাই গ্লাস ভেদ করে হালকা রোদের ঝিলিক পরবে ইলিশ ভর্তি প্লেটে। সন্ধ্যা নামলেই মিহি হলদে রংয়ে আলোয় ছেয়ে যাবে পুরো প্রজেক্ট। সঙ্গে ইলিশের হরেক রকম পদের স্বাদে হারিয়ে যাবেন কোন এক কল্প লোকে।

এতো বড় রেস্টুরেন্ট। শুধু কি ইলিশই পাওয়া যায়? হাসি মুখে উত্তর হবে ‘না’। ইলিশের হরেক পদের সঙ্গে থাকছে থাই আর ইন্ডিয়ান ফুড। মেনু দেখে পছন্দ সই যেকোনো পদই অর্ডার করা যাবে। আছে কোমল পানীয় ও বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস।
প্রজেক্ট হিলশা রেস্তোরাঁর ম্যানেজার প্রসেনজিৎ ঢাকা পোস্টকে জানান, এই রেস্তোরাঁয় একসঙ্গে ৩৫০ জনেরও অধিক লোক একসঙ্গে বসে খাবার খেতে পারেন। আপাতত প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রেস্তোরাঁ খোলা রাখা হয়। প্রজেক্ট হিলশায় বাংলা, ইন্ডিয়ান, থাই, কন্টিনেন্টাল খাবার পাওয়া যায়। গ্রাহকরা এখানে এসে খাবার খেতেও পারবেন, আবার নিয়েও যেতে পারবেন।

ইলিশের যত পদ

কী নেই? রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ ইলিশ দিয়ে যত রকমের পদ তৈরি করা সম্ভব, সবই রেখেছেন প্রজেক্ট হিলশায়। সামনে ইলিশের সব রকমের পদ দিয়ে বুফে করারও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। কি আছে পদের তালিকায়, চলুন দেখে নেওয়া যাক-

১। হিলশা পাতুরি

২। সরষে ইলিশ

৩। ভাপা ইলিশ

৪। হিলশা ডু পিৎজা

৫। হিলশা মালাইকারি

৬। হিলশা ভুনা

৭। পদ্মা পাড়ের ইলিশ।

৮। হিলশা স্মোক

৯। হিলশা খিচুরি

১০। হিলশা ডিম ভাঁজা

১১। হিলশা ডিম কোরমা

১২। হিলশা ডিমকারী

১৩। হিলশা লেজ ভাঁজা

ইলিশ ছাড়া আর কী?

নাম প্রজেক্ট হিলশা হলেও এখানে বিফ ও চিকেনের আইটেম পাওয়া যায়। এমনকি ভাত খিচুরির পাশাপাশি রাখা হয়েছে রুটিও। অন্যান্য পদের মধ্যে আছে বাফেলো ইউংস (২০০ টাকা), গরুর টিক্কা কাবাব (৩০০ টাকা), নান (৯০ টাকা থেকে শুরু), বিফ ভুনা (৩০০ থেকে শুরু), সফট ড্রিংক (৪৫ টাকা শুরু), ফলের জুস (১৫০ টাকা শুরু)সহ আরও অনেক পদ।

শুধু খাবারের দাম হিসাব করলেই হবে না। এখানে গুণতে হবে ১৫% ভ্যাট ও ১০ % সার্ভিস চার্জ।

বিশাল এই রেস্টুরেন্টের নকশাও খুব সহজে সবার নজর কাড়বে। বিশেষ করে খাবারের স্বাদ, মান ও পরিবেশ নিয়ে ভোজন রসিকদের উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। এখানে রান্না হয় কাচঘেরা পরিচ্ছন্ন কিচেনে। বাইরে থেকে অতিথিরা দেখতে পারেন খাবার তৈরির পুরো প্রক্রিয়া। উন্নতমানের মশলা ব্যবহার করে টাটকা মাছ দিয়েই প্রতিটি আইটেম রান্না করা হয়।

Mawa Resort, Munshiganj (মাওয়া রিসোর্ট, মাওয়া) ঢাকা থেকে মাত্র ৩৮ কিলোমিটার দক্ষিণে বিক্রমপুরের লৌহজং উপজেলার মাওয়া-ভাগ্...
02/09/2024

Mawa Resort, Munshiganj (মাওয়া রিসোর্ট, মাওয়া)

ঢাকা থেকে মাত্র ৩৮ কিলোমিটার দক্ষিণে বিক্রমপুরের লৌহজং উপজেলার মাওয়া-ভাগ্যকুল রাস্তার কান্দিপাড়া গ্রামে নির্মিত মাওয়া রিসোর্ট (Mawa Resort) যেন প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্যমন্ডিত একটি অন্য রকম পর্যটন কেন্দ্র। প্রকৃতির সৌন্দর্যে ভরপুর, নিরাপদ আর নির্জন পরিবেশে ভ্রমণের জন্য এটি হতে পারে অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। এটি গড়ে উঠেছে একেবারে পদ্মার পাড়ে। অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা এই রিসোর্টটি এরই মধ্যে দেশি-বিদেশি আগন্তুক ও পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। ভ্রমণ পিয়াসু মানুষ প্রতিদিনই ছুটে যাচ্ছেন মাওয়া রিসোর্টে।

মাওয়া পুরাতন ফেরিঘাট থেকে মাত্র ৫০০ গজ দূরে মাওয়া-ভাগ্যকূল রাস্তার কান্দিপাড়ায় নির্মিত মাওয়া রিসোর্টটি যেন নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত একটি অন্যরকম পর্যটন কেন্দ্র। নির্জন পরিবেশ আর সবুজে ঘেরা এ স্থানটি নানা দিক থেকেই ভিন্নতা লাভ করেছে। পর্যটন কেন্দ্রটির প্রধান ফটকে ঢুকতেই নজরে পড়ে বিশাল একটি দীঘি। দীঘির চারদিকে সারি সারি নারিকেল আর সুপারি গাছে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দীঘিতে রয়েছে দুটি বাঁধানো পাকা ঘাট। দীঘির জলে ঘুরে বেড়ানোর জন্য রয়েছে আধুনিক বোট। পাড়ে রয়েছে একটি ক্যাফেটেরিয়া। এতে চাহিদামত খাবার পাওয়া যায়। পুকুরের পূর্ব প্রান্তে থাকার জন্য রয়েছে সারি সারি ১৮টি কটেজ। ৫টি সিঙ্গেল ৪টি ডাবল ও একটি সুইট রয়েছে এখানে। কটেজে যাওয়ার সময় লাল, সাদা আর সবুজ রঙের দৃষ্টিনন্দন কাঠের সেতুগুলো বাড়তি সৌন্দর্যের জোগান দেয়। রাতে নির্জন গ্রামের রাশি রাশি জোনাক পোকার ম্লান আলোর আভায় রংবেরংয়ের বৈদ্যুতিক বাতিগুলোকে বড়ই অসহায় মনে হয়। পিকনিক কিংবা ছবির শুটিং করার জন্যও এটি হতে পারে একটি আকর্ষণীয় কেন্দ্র। রিসোর্টের কটেজগুলো ইটের দেয়ালে তৈরি করা হয়েছে। গোলপাতা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ছাদ। বাঁশের চটা দিয়ে নানান আল্পনা দিয়ে তৈরি করা সিলিং। ঘরের ভেতরেও রয়েছে আধুনিক আসবাবপত্র, বাথরুম আর দৃষ্টিনন্দন কারুকাজ। আপাতত ২৩ বিঘা জায়গাজুড়ে এটি করা হয়েছে।

প্রতিদিনই পদ্মাপাড়ের এ ঘাটে বেড়াতে আসেন ঢাকা ও আশপাশের শত শত মানুষ। আর ছুটির দিন এখানে ছুটে আসেন বিভিন্ন পেশার হাজার হাজার মানুষ।

খরচ

রিসোর্টের প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ১০০/- টাকা।

রুম ভাড়া
শুধু দিনের বেলার জন্যে রুমের ভাড়া ৪০০০ টাকা থেকে শুরু। আর রাতে থাকতে চাইলে ভাড়া পরবে ৪৫০০ টাকা থেকে ১২০০০ টাকা পর্যন্ত।

যোগাযোগ
ফোনঃ ০১৭১১৬৭৬০৫৮, ০১৭৫৫৫৯২৫৮৫, ০১৭৫৫৫৯২৫৮৪, ০১৭১১০৫৭৯৪৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ওয়েবসাইটঃ https://mawaresort.com
ফেইসবুক পেইজঃ https://www.facebook.com/mawaresortbd

কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে মাওয়া বাস সার্ভিসে অথবা নিজের সাথে নেওয়া গাড়ি করে। সাথে গাড়ি থাকলে যেতে সময় লাগবে ১ ঘন্টার মতো। সেক্ষেত্রে যাওয়ার পথে আপনাকে দুই জায়গায় মোট ৬০ টাকা টোল দিতে হবে। গাড়ি রাখার জন্য লৌহজং থানা প্রাংগনে আছে সুবিধা মত অনেক জায়গা। লৌহজং থানা মসজিদ ঘাট পর্যন্ত সরাসরি আসতে পারবেন ঢাকার গুলিস্থান থেকে ছেড়ে আসা গাংচিল অথবা ইলিশ পরিবহনে। মিরপুর ১০, ফার্মগেট , শাহবাগ থেকে যেতে পারেন স্বাধীন পরিবহন এ। আপনি মাওয়া চৌরাস্তা পর্যন্ত যেতে পারেন “ইলিশ পরিবহন”" এভারেস্ট পরিবহন" "গাংচিল পরিবহন" পরে রিক্সা অথবা অটোরিক্সাতে ১৫ মিনিটের পথ।

Address

Mawa
Munshiganj
1256

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MawaNews-24 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share