02/09/2024
ঘুরতে কে না ভালোবাসে। তবে সময়ের অভাবে অনেকেই ঘুরতে যেতে পারেন না। তবে চাইলে আপনি ঢাকার মধ্যেই ঘুরে আসতে পারেন। আমাদের খুব কাছেই মাওয়া ঘাটের পদ্মার পাড়। পদ্মা নদী ভ্রমণ এবং ইলিশ মাছের স্বাদ নিতে চাইলে মাওয়া ঘাট হতে পারে আপনার জন্য একটি আদর্শ ভ্রমণের স্থান। নৌকা বা ট্রলার ভাড়া করে উন্মুক্ত পদ্মার বুকে কাটিয়ে দিতে পারেন অনেকটা সময়। আর যদি বেশি সময় থাকে তবে নদীর বুকে সূর্যাস্তও উপভোগ করতে পারেন, যা কি না আপনার স্মৃতির পাতায় অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। মাওয়া ফেরিঘাটের উত্তর দিকে নদীর পাড় দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চলে যাওয়া যায় অনেক দূরে। নদীর পাড় দিয়ে হাঁটার সময় একপাশে থাকবে রুপালি পদ্মা আর অন্যপাশে থাকবে সবুজে ঘেরা গ্রাম। ইচ্ছে করলেই ঢুকে পড়া যায় গ্রামের ভেতরে। ছায়া সুনিবিড় গাছগাছালিতে ঢাকা চমৎকার একটি গ্রাম দেখে নেওয়া যাবে ঘণ্টাখানেক পায়ে হেঁটেই। নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি গ্রামকে গ্রাম হিসেবেই পাবেন এখানে। শহরের কোলাহল আর যান্ত্রিকতামুক্ত এই গ্রাম অবশ্যই সবার ভালো লাগবে।
নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি পদ্মার ইলিশের জন্যও মাওয়া ঘাট বিখ্যাত। তাজা ইলিশ মাছ ভাজা খাওয়ার স্বাদ বোঝা যায় এখানে এলেই। এ ছাড়া এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে পদ্মার বুকে আমাদের স্বপ্নের সেতু। আগামীকাল উদ্বোধন হচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এটি শুধু আমাদের দেশে নয়, এশিয়া মহাদেশের মধ্যেই বড় সেতুর তালিকায় স্থান পেয়েছে। যার ওপরের স্তরে তৈরি করা চার লেনের সড়কপথ এবং নিচে এক লেনের রেলপথ। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দেশের সবচেয়ে বৃহৎ এই সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে সড়কপথে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকা এবং আশপাশের জেলার যোগাযোগে ইতিহাস রচিত হতে যাচ্ছে। সেই সেতুর উদ্বোধন নিয়ে তাই সবার বাঁধভাঙা উচ্ছ¡াস। প্রতিদিন দূর-দূরান্তের হাজার হাজার দর্শনার্থী পদ্মাপাড়ে ভিড় করছেন সেতুটি একনজর দেখার জন্য। স্বপ্নের সেতুর দুই প্রান্তে এখন উৎসবের আমেজ। চাইলে আপনিও সাক্ষী হয়ে থাকতে পারেন স্মরণীয় এই মুহূর্তের।
ঢাকা থেকে যেভাবে যাবেন
ঢাকার গুলিস্তান থেকে সারা দিনই পাবেন মাওয়া যাওয়ার বাস। ইলিশ, গাঙচিল পরিবহন এবং এভারেস্ট পরিবহন আছে মাওয়া যাওয়ার জন্য।