23/10/2022
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ বলেছেন, সর্বোত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদনে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) জন্য বাংলাদেশকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন চুল্লি দেওয়া হবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে (আরএনপিপি)বসানো চুল্লি একটি উচ্চশক্তির চুল্লি হিসেবে কাজ করবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য আগামী বছরের অক্টোবরে তাজা পারমাণবিক জ্বালানি আসবে’।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে লিখাচেভ এসব কথা বলেন।
১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার (ইউএস) ব্যয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে রাশিয়ান ঠিকাদার কোম্পানি রোসাটম।
প্রধানমন্ত্রী পাবনা জেলার রূপপুরে নির্মিত ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিটের চূড়ান্ত চুল্লি স্থাপনের উদ্বোধনের একদিন পর এই বৈঠক হয়। আরএনপিপির দুটি ইউনিটের প্রতিটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট।
রোসাটম মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে, তারা আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার(আইএইএ) মহাপরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে তাজা পারমাণবিক জ্বালানি আনুষ্ঠানিকভাবে আনতে চান।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়াও বাংলাদেশে পারমাণবিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করতে আগ্রহী’। তিনি উল্লেখ করেন যে, তারা আরএনপিপির জন্য বাংলাদেশি জনশক্তিকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।
এছাড়া তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে পারমাণবিক শাসনের অবকাঠামো নির্মাণে রাশিয়া সহায়তা দিচ্ছে’।
লিখাচেভ প্রধানমন্ত্রীকে আরএনপিপির কাজের উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালেও পুরোদমে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখার জন্য রাশিয়াকে বিশেষ করে রোসাটম ডিজিকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে রাশিয়ার সহায়তার প্রশংসা করেন।
শেখ হাসিনা রোসাটম প্রধানকে বলেন, ‘রাশিয়া আরএনপিপির জনশক্তি উন্নয়নে জোর দিতে পারে, যাতে বাংলাদেশি কর্মীরা স্বাধীনভাবে প্ল্যান্ট পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে সক্ষম হতে পারে’।
তিনি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার বিষয়েও জোর দেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান, রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান এবং ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতিতস্কি উপস্থিত ছিলেন।