22/12/2024
জান্নাতুল শবনম (ডি-৫৫)
"I would never fall in love until I found her"~ এই এক ফিলোসফি ফলোও করতে করতে প্রায় দুই যুগ কেটে গেছে, কিন্তু আমার আর সেই ইউটোপিয়ান "তাকে" পাওয়া হয় নি।
তারপর হঠাৎ আমার জীবনে আসে এক "কবিতার মতো মেয়ে"। জীবনে আসে বললে ভুল হবে। এখনো কিছুই হয়নি দ্বিপাক্ষিক; এবং ভুগছি যোগাযোগহীনতায়। শুধু অনলাইনেই তার সাথে রোজ একপাক্ষিক সাক্ষাৎ হয়।
কয়েকবছর আগে সৌভাগ্য ক্রমে তার সাথে অল্প বিস্তর যোগাযোগ এবং কথা বলার সুযোগও হয়েছিলো। কথা ছিলো অল্প কিন্তু ভালোলাগা ছিলো অনন্ত , সুধীন দত্ত হয়তো এমন পরিস্থিতিকেই বলেছিলেন, "একটি কথার দ্বিধাথরথর চূড়ে ভর করেছিলো সাতটি অমরাবতী।"
তার সাথে কথা বলে তখনই আন্দাজ করতে সক্ষম হয়েছিলাম এই অমরাবতী যতটা না রাবীন্দ্রিক তার চেয়ে বেশি জীবনানান্দিক। মোদ্দা কথা সে রবীন্দ্রনাথের সেই "সাধারণ মেয়ে" নয়, সে জীবনানন্দের "সুচেতনা", যে এক দূরতম দ্বীপ, যাকে জয় করে নিতে হলে হতে হবে শক্ত নাবিক।
... জেনেছি এই প্রেম যত গভীর, যাতনা তত গভীরতর। তবু হেঁটেছি দীর্ঘ পথ, দেখেছি তার পাখির নীড়ের মতো চোখ, ক্লান্ত আমি তাই মনে মনে আশ্রয় কল্পনা করেছি তার কাছে এই নিরাশ্রয়ের শহরে, এই নারীকে ভালোবেসেই বুঝতে চেয়েছি নিখিল বিষ কত মধুর।
এইভাবে মনে মনে হেঁটে হেঁটে তার দিকে কতদূর চলে গেছি ঠিক নেই,
তবে এতটুকু জানি আমার আর ফিরবার পথ নেই।
তাকে জানাতে চেয়েছি বহুবার, কথায়, কবিতায় কখনোওবা গানে, তার কাছে গিয়ে হয়ে গেছে মাথা নত, হারিয়ে ফেলেছি সব তার মানে। তাই আজকে দূর থেকেই জানাচ্ছি ভালোবাসি মেয়ে তোমাকে, অবচেতন, চেতন কিংবা সজ্ঞানে।
......
'হেঁটেছি সুদীর্ঘ পথ;শুধু কাঁটা রক্তাক্ত দু পায়
তোমার দুয়ারে এসে অনিশ্চিত, নির্বাক, চিন্তিত।
তুমি কি আমাকে স্থান দিতে সক্ষম, মুকুর?'