DraftBox

DraftBox DraftBox is the online platform of Arts and Entertainment. DraftBox publishes life stories and inspi
(4)

ড্রাফটবক্স অনলাইনের একটি লেখালিখি এবং বিনোদনের প্লার্টফর্ম। ড্রাফটবক্সে জীবনের গল্প, ভালবাসার চিঠি, হৃদয়ের অনুভূতি এবং মোটিভেশনাল লেখা প্রকাশ করা হয়। সেই সাথে মানুষকে বিনোদন দিতে মিউজিক ভিডিও, কবিতা আবৃত্তি এবং মোটিভেশনাল ভিডিও পাবলিশ করা হয়।

ড্রাফটবক্স সমস্ত ভিডিও কন্টেন্টের সত্ত্বাধিকারী। ড্রাফটবক্সের অনুমতি ছাড়া কোথাও কোনো ভিডিও পাবলিশ করা যাবে না।

আপনি আপনার মিউজিক ভিডিও, কবিতা আবৃত্তির ভিডি

ও এবং মোটিভেশনাল ভিডিও ড্রাফটবক্সে পাঠাতে এবং শেয়ার করতে পারেন।

ড্রাফটবক্স লেখালিখির গ্রুপঃ www.facebook.com/groups/draftboxofficial/

ড্রাফটবক্স ইউটিউব চ্যানেলঃ www.youtube.com/channel/UCKv--fQ7ud9uRXEMdNm65RQ/


-ড্রাফটবক্স
(আপনার মনের ডাকবাক্স)

15/10/2023

এক গর্ভবতী স্ত্রী তার স্বামীকে জিগ্যেস করলো, “তোমার কি মনে হয়, ছেলে হবে না মেয়ে হবে ?”
স্বামী – যদি ছেলে হয় তাহলে ওকে আমি অঙ্ক পড়াবো, ওকে নিয়ে রোজ খেলতে যাবো, মাছ কিভাবে ধরতে হয় সেটা শেখাবো…
স্ত্রী- আর যদি মেয়ে হয় ?
স্বামী - আর যদি মেয়ে হয় তাহলে তাকে কোন কিছু শেখানোর দরকার নেই।
স্ত্রী- কেন ?

স্বামী - কারন, আমার মেয়ে আমাকে দ্বিতীয়বার নতুন করে সবকিছু শেখাবে… কি পরতে হবে…কিভাবে খেতে হবে… কোথায় কি বলতে হবে না বলতে হবে… একদিক থেকে দেখলে সে আমার দ্বিতীয় মায়ের মতই…আমি তার জন্য কিছু করতে পারি আর নাই পারি সে আমাকে চিরদিন নিজের হিরো মনে করবে… … যখন আমি কোন কিছু করতে তাকে নিষেধ করবো সে আমাকে বুঝতে চেষ্টা করবে। আর সবসময় তার স্বামীর সঙ্গে আমার তুলনা করবে। সে যে বয়সেই পৌঁছাক, সারাজীবন এটাই চাইবে যে আমি তাকে একটা Baby Doll এর মতই ভালবাসি। মেয়ে বলেই সে আমার জন্য পুরো সংসারের সাথে ল'ড়াই করবে, যখন কেউ আমাকে দুঃখ দেবে সে তাকে কোনদিন ক্ষমা করবে না।

স্ত্রী- তার মানে হচ্ছে, তোমার মেয়ে তোমার জন্য যা কিছু করবে তা তোমার ছেলে করতে পারবে না ?
স্বামী- সেটা না… এমন হতে পারে আমার ছেলেও এসব করতে পারে… কিন্তু সে শিখবে। আর মেয়ে এই সব গুন নিয়েই পৃথিবীতে জ'ন্ম নেবে।
স্ত্রী- কিন্তু সে তো চিরকাল আমাদের সাথে থাকবে না।
স্বামী- কিন্তু আমরা তার মনের ভেতরেই থাকবো। এতে কোন কিছু যায় আসে না সে কোথায় গেল না গেল…কারন মেয়েরা সবসময় বিনাশর্তে ভালবাসা আর দেখাশোনার জন্যই জন্ম নেয়। একটা কথা মনে রাখবে মেয়ে ভাগ্য সবার হয় না… যে ঘর সৃষ্টিকর্তার পছন্দ সে ঘরেই মেয়ের জন্ম হয়।। ❤️🌼

-সংগৃহীত

 াধারণ_মেয়ের_গল্পআমি এক সাধারণ মেয়ে | আমার রূপও নেই, গুণও নেই | পড়াশুনায় তো সামনের সারিতে কোনদিনই আসতে পারি নি....আঁ...
29/12/2022

াধারণ_মেয়ের_গল্প

আমি এক সাধারণ মেয়ে | আমার রূপও নেই, গুণও নেই | পড়াশুনায় তো সামনের সারিতে কোনদিনই আসতে পারি নি....আঁকা, গান, সবেতেই নিতান্ত সাধারণ‌ | নামে চিত্রাঙ্গদা হলেও নাচে কখনো চিত্রাঙ্গদার রোল পাইনি, পিছনে সখীর রোলেই আমার স্থান | সুন্দরী মায়ের রাগ, প্রতিষ্ঠিত বাবার হতাশার মাঝেই কুরূপা আমার বেড়ে ওঠা | বাড়িতে অতিথি এসে যখন সবার সামনেই আমার সাধারণত্বের প্রতি ইঙ্গিত করত, ভয়ে ভয়ে চেয়ে দেখতাম মায়ের মুখে অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে | বাবা এখুনি আসছি বলে উঠে চলে যেত | আর সেদিন রাতে খাওয়াটা আর জুটত না তার বদলে বকাতেই পেটটা ভরিয়ে নিতে হত..... আমার মনের খবর রাখার চেষ্টা কেউ করেনি |

আমার বাবা-মা দু'জনেই দেখতে দারুণ সুন্দর ছিল | আমার রোগা, বেঁটে, নন গ্ল্যামারাস লুক দেখে ছোটবেলায় অনুষ্ঠান বাড়িতে সবাই মাকে ডেকে বলত একে কি বন থেকে কুড়িয়ে এনেছিস ? আমার দুচোখ জলে ভরে আসত | আমি কোন না কোন অছিলায় ওখান থেকে সরে যেতাম | রাত্রে বাড়িতে এসে ওদের মধ্যে অবধারিত ঝগড়া হতো, ঝগড়ার কারণটা আমি বুঝতে পেরে ভয়ে সিঁটিয়ে যেতাম |আত্মীয় থেকে পাড়া প্রতিবেশী সবাই আমাকে এটা বুঝিয়ে দিতে কসুর করত না, যে আমি বাবা-মার চেয়ে কতটা সাধারণ | মায়ের মসৃণ পেলব ত্বক, পাতলা শরীর, সাটিন সিল্ক চুলের পাশে আমার শ্যামলা অমসৃণ ত্বক, ম্যাগি নুডলসের মতো ঝাঁকড়া চুল, ভারী শরীর যে কতটা বেমানান তা কিশোরী হবার সঙ্গে সঙ্গে আমি নিজেও বুঝতে পারছিলাম | ছোটবেলার রোগা শরীরটা কিশোরী হবার সঙ্গে সঙ্গে ভারী হচ্ছিল আর পাল্লা দিয়ে মায়ের রাগটাও ক্রমাগত বাড়ছিল | আমার সঙ্গে প্রয়োজন ছাড়া বাবা-মা কেউ কথা বলত না ! একা একা আয়নার সামনে দাঁড়ালে আয়নার উল্টোদিকে থাকা অবয়বটা আমায় বুঝিয়ে দিত আমি কতটা সাধারণ, আমিও আস্তে আস্তে নিজের সাধারণত্বকে মেনে নিচ্ছিলাম | যেদিন মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরানোর পর বাড়িতে এসে বললাম, আমি আর্টস নিয়ে পড়ব, সেদিন বাবা ভীষণ রাগান্বিত হয়ে গাড়ি নিয়ে নার্সিংহোমে বেরিয়ে গেল | মা নিজের এনজিওর কাজে না গিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বাড়িতেই বসে রইল, সারাদিন কিচ্ছু খেল না |
আমি কিন্তু খেয়েছিলাম, উপোস করে কি করব ? আমি তো কোনদিনই ওদের শো-কেসের সাজানো ট্রফি বাচ্চা হতে পারব না !

রাতে বাবা-মা আমার ঘরে এসে বলল, ফার্স্ট ডিভিশন পেয়েছিস বলে ভেঙে পড়ছিস কেন ? তোর উপর আমাদের কত আশা, তুই সায়েন্স নে .... জয়েন্ট দে... নার্সিংহোমটা দেখতে হবে তো ! আমি টপ কোচিং, মাস্টার সব লাগিয়ে দেব তোর জন্য | তুই কোন চিন্তা করিস না | তোর মা কিটি পার্টি আর এন জি ও-র কাজ দু'বছরের জন্য স্টপ করে দেবে ... পুরো সময়টা তোকে দেবে ! তুই প্লিজ সায়েন্সটা নে... সেদিনই প্রথম দৃঢ়গলায় বলেছিলাম না | ওই একটা শব্দের পর মা-বাবা দু'বছর আমার সঙ্গে ভালো করে কথা বলে নি | ওদের বিরোধিতা করেছিলাম তাই কোনও মাস্টারও জোটেনি.... অথচ রেজাল্টটা ! শুনলে চমকাবেন না, যে মেয়েটা কোন পরীক্ষাতে টপ করতে পারে নি, সে কিনা এইচ এসে গোটা স্কুলের টপার..... বেস্ট অফ ফোর নিয়ে স্কোর ৩৭৬, স্কুলের বন্ধুরা বলল, ' বেড়ালের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়েছে, কুঁতিয়ে কুঁতিয়ে পাস করত সে কিনা টপার | ' 'টিচাররা নিশ্চয়ই চোখে ঠুলি পড়ে খাতা দেখেছে ....' বেশ রাগত স্বরেই সায়েন্সের দেবারতি বলে উঠল, ওর দোষ নেই, ও বরাবর ফার্স্ট গার্ল বলে কথা | শুধু মধুরিমা ম্যাডাম আমায় ডেকে বলেছিলেন, নিজের সিদ্ধান্তে স্থির থেকে এগিয়ে যাও ..... সাফল্য তোমার মুঠোয় আসবেই |

বাবা-মাও চমকে উঠেছিল | কিন্তু নিজেদের ইগোকে আড়াল করে আমায় কাছে ডাকতে পারে নি | আমি ছোট থেকেই দারুণ ঘর সাজাতে পারি | ওটাই আমার প্যাশন | মা-বাবা দেখত আমার ঘরটা খুব সুন্দর করে সাজানো, ওরা জানত ওটা আমার আয়া রুমিনির কাজ | আমি ইতিমধ্যেই ইন্টিরিয়র ডিজাইনিং নিয়ে পড়ার জন্য মুম্বইয়ের একটা কলেজে স্কলারশিপের আবেদন করেছি | আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি কনফার্মেশন মেলটা পেয়ে যাব | কাল রাতে বাবা-মায়ের গোপন কথোপকথন শুনেছি | ওরা আমার বিয়ে দিতে চায়, যদিও আঠারো হতে আমার এখনো মাস তিনেক বাকি ! মাকে বলল, বাবার নার্সিংহোমের ডাক্তার প্রতুল গুপ্তকে টাকায় মুড়ে দিয়ে আমার জন্য কিনে নেবে | এফ আর সি এসের বিনিময়ে প্রতুল আমায় বিয়ে করতে রাজি | আমার মতামত ? আমার আবার মতামত কি ? আমি তো কেবল একটা মেয়েমানুষ | এটাও বাবা মাকে বলেছে আমি শুনেছি |

পনের দিন পর, এক রবিবার দেখলাম বাবা-মা দু'জনেই বিকেলে বাড়িতে আছে | চল আজ সবাই আহেলিতে ডিনারে যাব, তোর তো বেঙ্গলি ফুড পছন্দ, তোর এমন রেজাল্টটা সেলিব্রেট করতে হবে না | মাও সায় দিল | আমি মনে মনে হাসলাম | জিন্স আর একটা সিম্পল অফ হোয়াইট কুর্তিতে রেডি হয়ে বেরিয়ে এলাম | মা ভায়োলেট শাড়ি, ডায়মন্ড ইয়ারিংসে গ্ল্যামার ছড়াচ্ছে | আগে থেকে বুক করা টেবিলে বসতেই স্যার, বলে প্রতুল হাজির | আমায় বলল হাই, চিত্রাঙ্গদা | ওর নজর আমার মায়ের দিকে ... বাবা আমাকে কিছু বলতে যাওয়ার আগে আমি হাল্কা হেসে উঠে দাঁড়ালাম, সরি প্রতুলবাবু, আমি তো আপনাকে বিয়ে করতে পারব না | প্রতুলের মুখ লাল হয়ে গেছে, স্যার আপনি আমাকে এভাবে অপমান নাও করতে পারতেন | হতভম্ব বাবা-মার মুখের সামনে আমি একটা পেপার এগিয়ে দিলাম | এটা আমার ইন্টিরিয়র ডিজাইনার ট্রেনিংয়ের স্কলারশিপ | কাল সকাল ছটায় ফ্লাইট, মুম্বই যাচ্ছি | আপাতত ট্রেনিং শেষ হওয়া অবধি আমি ওখানেই থাকব .....

দশ বছর পরে ইতালিতে ইন্টিরিয়র ডিজাইনিংয়ের একটা সেমিনারে যোগ দিতে এসেছেন চিত্রাঙ্গদা বাসু | সঙ্গে ওর বাবা-মাও আছেন | আজ ডাঃ বাসুকে সবাই চিত্রাঙ্গদার নামেই চেনেন.....বাবার নতুন নার্সিংহোমের ইন্টিরিয়রটা এবার ওই করেছে | ভারতের সমস্ত বড় বড় হোটেল, নামীদামী বাংলোর ইন্টিরিয়র ডিজাইনিংয়ের কথা উঠতেই কোটিপতিদের চিত্রাঙ্গদার ' সিম্পলি স্টাইল ' কোম্পানির কথাই মনে পড়ে | 'এটা সেই সাধারণ মেয়ের কাহিনী যে নিজেকে নয়, সবার বাড়িকে অসাধারণ সাজে সাজাতে চেয়েছিল......' বক্তৃতা শেষে দীপ্ত পদক্ষেপে স্টেজ থেকে নেমে এলেন চিত্রাঙ্গদা | আত্মবিশ্বাসী মেয়েটার আগুনের আড়ালে সাধারণ মেয়েটা কখন যেন আত্মগোপন করেছে ....

-সংগৃহীত

24/12/2022
29/11/2022

আপনি চাইলেই পারেন আপনার বাবা মায়ের শৈশব কালটা নিজের চোখে দেখতে।এই পৃথিবীর সব থেকে মধুরতম,আনন্দদায়ক ঘটনার মধ্যে এটি একটি স্বর্গীয় সুখের ঘটনা।আমি মনে করি যারা এটা নিজের চোখে দেখতে পান, তারা এই পৃথিবীর সব থেকে বড় সৌভাগ্যবান।

অবাক হলেন তাই না?ভাবছেন বাবা মায়ের শৈশব দেখবেন কী করে?সে কথায় পরে আসছি।তার আগে একটি বার নিজের ছোটো বেলাটা মনে করুন তো।দেখবেন কত কথা মনে পড়ছে।আমিও খুব মিস করি সেই সোনালী দিন গুলো।বড় আফসোস হয়,যদি ফিরে পেতাম সে দিন গুলো।কিন্তু উপায় নেই।বড় বেলা এসে ছোটোবেলাটাকেই হারিয়ে দেয়।খুব মন খারাপ করে।আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞেস করে,

অতীতের কিছু ফিরে পেতে চাইলে তুমি কোন জিনিসটা ফিরে পেতে চাইবে?

বলব,

সেই ছোটো বেলাটায় ফিরতে চাই।একবার সেই ছোট্টটি হয়ে বাবা মায়ের হাত ধরে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে দুর্গা ঠাকুর দেখতে যেতে চাই।

আচ্ছা আমার এই মনের ইচ্ছে কখনো পূরণ হবে?জানি কোনো দিন হবে না। "বৃথা আশা মরিতে মরিতেও মরে না।"

ছোটো বেলায় আমার মাকে বলতে শুনেছি,

"নিজে যা পাইনি,নিজের যা হয়নি তা যদি আমার ছেলে মেয়েরা করে দেখায়,ওটাই আমার পাওয়া।" মায়ের ইচ্ছে ছেলে মেয়ে দুজনেই শিক্ষক হোক।আমরা সেই ইচ্ছে পূরণ করেছি।মায়ের অপূর্ণ ইচ্ছে মা যদি আমাদের মধ্যে দিয়ে পূরণ করে নিতে পারে,তাহলে আমরাও ছোটোবেলাটাকে ফিরিয়ে আনতে পারি আমাদের বাবা মায়ের মধ্যে দিয়েই।নিজের চোখেই দেখতে পারি আমাদের বাবা মায়ের শৈশব।

কীভাবে?

দেখবেন বয়স বাড়লে আপনার বাবা মাও আপনার বাচ্চা ছেলেটি বা মেয়েটির মত হয়ে যায়।একটা বয়সের পর বাবা মা আবদার করবে আপনার কাছে,যেমনটি আপনি ছোটো বেলায় করতেন।যে খাবারটা খেতে মানা,সেই খাবারটার প্রতি বেশী লোভ থাকবে।হয়তো আপনার বাবা সুগারের পেশেন্ট,দেখবেন আপনাকে লুকিয়ে ফ্রিজ থেকে মিষ্টি বের করে একটা মিষ্টি খেয়ে বসে আছে।আপনি জিজ্ঞেস করলে,সত্যি বলবে না,মিথ্যেই বলবে।ভাবুন তো ছোটো বেলায় কত খাবার এভাবেই লুকিয়ে খেয়েছি।মা জিজ্ঞেস করলে বলতাম,না খাইনি তো।কখনো কখনো স্নান করিয়ে দিতে হবে,সাবান মাখিয়ে দিতে হবে।আপনাকে কাছে পেতে চাইবে আপনার বাবা মা।রাতে ঘুমানোর সময় আপনাকে বলবে কাছে শুয়ে থাকতে,যেমনটা আমরা ছোটো বেলায় চাইতাম।বয়স বাড়লে বাবা মায়েরা বাচ্চা ছেলে মেয়ের মতই হয়ে যায়।তাই বলব,একটু সময় বাবা মাকে দিন।পুজোর দিন গুলোতে একদিন বাবা মাকে সঙ্গে নিয়ে বেরোন।বসে গল্প করুন।ছোটো ছোটো ঘটনা বাবা মায়ের সাথে শেয়ার করুন।দেখবেন শৈশব কাকে বলে।ফিরে পাবেন নিজের ছোটো বেলাকেও।একে একে সব মনে পড়বে।এই মধুর দিন দেখার জন্য বেশিদিন আপনি হাতে পাবেন না।

সেদিন আমার এক খুব কাছের জন'কে বলতে শুনলাম,"জানো দাদা,রোজগারটা আরো একটু বাড়াতে হবে।বাবা মাকে বিমানে চড়াতে চাই।আকাশ পথে ঘোরাতে চাই।"

মুগ্ধ হয়েছিলাম তার কথায়‍।সত্যিই তো এই ইচ্ছেটুকুই দরকার।মনের মধ্যে এই সদিচ্ছা থাকলে ভগবান রোজগার ঠিক বাড়িয়ে দেবেন।মনে মনে বললাম,ভাই তোর এই ইচ্ছে যেন ঈশ্বর পূরণ করেন।আর এগুলোর মধ্যে দিয়েই আমরা দেখে নিতে পারি বাবা মায়েদের শৈশব,আমাদের অপূর্ণ ইচ্ছেও পূরণ হয়ে যায় তাতে।আর তার জন্য চাই একটা সুন্দর মানসিকতা।বয়স্ক বাবা মাকে শুধু একটু সময় দিন,দেখবেন আপনার পৃথিবী স্বর্গের চেয়েও সুন্দর তখন।

কলমে:সরজিৎ ঘোষ। Sarajit Ghosh

28/11/2022

ছোটোবেলায় আব্বুর উপর একটা ক্ষোভ ছিলো। সবসময় কেমন একটা রাগী রাগী ব্যাপার ছিলো আব্বুর মধ্যে৷ ক্লাস ফোরের পর আর বাইরে খেলতে দেননি। কোনো বান্ধবীর বাসায় যেতে পারিনি কোনোদিন৷ এই দুইটাই ছিলো আব্বুর প্রতি ক্ষোভের বড়ো কারণ৷

একদম ভদ্রসভ্য মেয়ে বলতে যা বোঝায় আমি ছিলাম আগাগোড়া তাই। কিন্তু আমারও মাঝেমধ্যে একটু বাউন্ডুলে হতে ইচ্ছে করতো। আমারও একটু ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করতো। বিশেষত, যে সময়টায় খেলা বন্ধ করে দিলো সেই সময়টায় ভয়ানক কষ্ট হতো আমার। এত একলা লাগতো! অথচ ইন্টারেও আব্বুর সাথে ব্যাডমিন্টন খেলেছি আমি। যদিও পারতাম না, তবুও আব্বু আগ্রহ নিয়ে খেলতেন আমাদের সাথে। গত ফুটবল বিশ্বকাপের আগের বিশ্বকাপটা কবে হলো? সেবার আমি আর আব্বু হৈহৈ করে খেলা দেখেছিলাম। এমনিতে ফুটবল ভালো লাগে না আমার। কোনো স্পেসিফিক পছন্দের দলও নেই। আব্বুরও নেই। তবে ম্যারাডোনাকে পছন্দ করতেন আগে। যা হোক, খেলা দেখার সময় মজার একটা ব্যাপার হতো আমাদের মধ্যে। আমি যেদিন যে দল সাপোর্ট করতাম আব্বু তার উল্টোটা করতেন। কারণ, সেইম দল করলে মজা নেই। এরপর আমার দল জিতে যাচ্ছে যাচ্ছে টাইপ ব্যাপার হলে আবার এই দলে চলে আসতেন। বলতেন, আমি তো এই দলেই ছিলাম। তুই নিলি বলে আমি ওই দলে গেলাম।

এত কিছুর পরও নষ্ট হয়েছিলাম আমি। এখন ভাবি, যদি আব্বুর শাসন না থাকতো, কোথায় যেতাম আমি? আব্বুকে দুপুরে বাসায় ফিরতে দেখলেই দৌড়ে বই নিয়ে বসতাম। নো ম্যাটার সময় কয়টা। দুপুর একটা হোক বা দুইটা, বইটা নিয়ে বসতাম। অন্য সময় কী করতাম সেটা বিষয় না। ওটা কেবল ভয় থেকেই করতাম, তা না। আব্বুকে খুশি করার জন্যও করতাম আসলে।

এখন বুঝি, এখন আমার মধ্যে, সুমির মধ্যে যেটুকু ভালো তা আব্বুর ওই রাগের কারণে। আমাদের কি মধ্যবিত্ত বলা যায়? একটা সময় তাই ছিলাম বোধহয়। এরপর বোধহয় নিম্ন মধ্যবিত্তেই নেমে গিয়েছিলাম। তবে মধ্যবিত্ত হোক বা নিম্নমধ্যবিত্ত, তার চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, আমরা যেখানটায় ছিলাম সেই জায়গাটা। আমাদের বাড়ির পাশেই গুচ্ছগ্রাম ছিলো৷ গুচ্ছগ্রাম জানেন তো? এরশাদ সরকারের আমলে প্রত্যেককে কিছু পরিমাণ জমি দিয়েছিল। আমার সঙ্গে যারা ছিলো, আমরা যারা একসঙ্গে খেলতাম, তারা কেউই বলার মতো কেউ কিছু হয়নি। আমিও কেউ হইনি আসলে। তবু মন্দের ভালো বলতে যা বোঝায় আমি তাই হয়েছি। আমার সময়কার কেউ এসএসসিও পেরোয়নি। আমাদের মধ্যে কখনো বন্ধুত্ব হয়নি। আমার কোনো বন্ধু ছিলো না। এখন বুঝি, বন্ধু হওয়ার মতো কেউ ছিলোও না আমার। পরিবেশের প্রভাবে আমরা ভিন্ন কিছুও হতে পারতাম। হইনি আলহামদুলিল্লাহ!

ওই একটা জায়গা থেকে আজকে আমি যেটুকু ভালো, যেটুকু অর্জন আমার সে আসলে ওই আব্বুর রাগের জন্যই। বারবার আব্বুর কথা আসছে কেন? আমার মা আসলে একটা মাটির মানুষ। মাকে আমরা ভীষণ ভীষণ ভালোবাসি, কিন্তু ভয় পাই না৷ আমার মা শাসন করতে জানেন না। তবু কেন যেন কোনোদিন মায়ের মুখের ওপর কোনো কথা বলতে পারিনি আমরা দু বোনই। মায়ের মতো যদি আব্বুও হতেন, আমরা সত্যি সত্যিই ভেসে যেতাম।

আব্বু কি সারাক্ষণ আমাদের সঙ্গে হম্বিতম্বি করতেন? মোটেই না। উদাহরণ তো দিলামই। সবসময় যা দিয়েছেন, বেস্টটা দিয়েছেন। খাবার হোক বা অন্য কোনো জিনিস, আব্বু তার লেভেলের বাইরে গিয়ে দিয়েছেন। আব্বু ব্যালেন্স করতে জানতেন। ব্যালেন্স করাটা জরুরি ভীষণ।

কোনো ছেলে কাজিনের সাথে মেশাও পছন্দ করতেন না আব্বু। তিনি নিজে ওদের ভীষণ ভালোবাসতেন কিন্তু আমাদের হাতাহাতি, মারামারি, গলাগলি পছন্দ করতেন না। একদম শৈশবের কথা বলছি আমি। মোট কথা, বেশ শাসনের সঙ্গে বড়ো হয়েছি আমরা। এখন বুঝি, আমার সদা হাস্য আব্বুটা কেন অমন রাগী রাগী একটা ভাব নিয়ে চলতেন। আব্বু ভীষণ বিচক্ষণ ছিলেন। কেমন যেন, মানুষের চেহারার সূক্ষ্ম এক্সপ্রেশন দেখে বুঝে যেতেন অনেক কিছু। আব্বু বুঝতেন, এই পৃথিবীটা তার মেয়েদের জন্য মোটেই সেইফ না। তিনিসহ মাত্র দুই তিনটা পুরুষ ছাড়া তার মেয়েরা কোনো পুরুষ, ছেলে, বালকের কাছে সেইফ না। এই দুই তিনটা মানুষ ছাড়া আর কারো কাছে কোনোদিন ছাড়েননি আমাদের। আমার বান্ধবীরা সবাই এসএসসি পরীক্ষা দিতে একাই যেত। আর আব্বু? চাকরিই ছেড়ে দিয়েছিলেন, আমাকে আনা নেওয়া করার জন্য। এতগুলো দিন তো আর ছুটি দেবে না। আমার খুব ইচ্ছে করতো, সবার মতো আমিও একা যাই। আমি তো বড়ো হয়েছি নাকি? কিন্তু আব্বু জানতেন, এই দেশে পাঁচ বছরের বাচ্চা বা আশি বছরের বুড়ি কেউ সেইফ না এদেশে। পনের বছরের কিশোরী তো হট কেক।

আব্বুর প্রতি সেই ক্ষোভ শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায় রূপ নিয়েছে আরো সাত বছর আগে। সেই দূরত্ব ভেঙে গিয়েছে আজ থেকে সাত বছর আগে। কিন্তু সেটা আর বোঝাতে পারিনি আমি। আল্লাহ আমাকে সময় বা সুযোগ কোনোটাই দেননি।

আমরা ভাবি, আমাদের বাবা-মায়েরা আমাদের বোঝেন না একদম, ভীষণ ব্যাকডেটেড তারা৷ কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, তাদের মতো এত ভালো কেউ বোঝেন না আমাদের। আমরা ভাবি, আমরা সব বুঝি। কিন্তু আমরা আসলে কিছুই বুঝি না। বয়স তাদের যতখানি শিখিয়েছে, তারা যতখানি দেখেছেন আমরা ততখানি দেখিনি, শিখিওনি। আমাদের প্রতি ভালোবাসা তাদেরকে যতখানি কনসার্ন করে, আমরা নিজেরাও আমাদের নিয়ে ততখানি কনসার্ন হতে পারিনি। কারণ, আসলেই তারা আমাদের চাইতে ভালো জানেন, বোঝেন এবং আমাদের ভালো আমাদের চাইতেও বেশি তারা চান।

যাদের বয়স কম তাদের বলছি; আপনি যদি শাসনে থাকেন, আপনার যদি মনে হয় আপনার বাবা-মা বেশি বেশি করেন তো আল্লাহকে থ্যাংক্স দিন। একবার আলহামদুলিল্লাহ বলুন। কারণ আপনার বাবা-মা আপনার জন্য অন্য অনেক বাবা-মায়ের চাইতে বেশি কনসার্ন৷ এই রেসের যুগে তারা ছোটা বাদ দিয়ে আপনার পেছনে পড়ে আছেন যদিও আপনার মনে হচ্ছে, আপনি বড়ো হয়ে গেছেন। কিন্তু ট্রাস্ট মি, এমন একদিন আসবে যেদিন আপনি এই শাসনটা খুঁজে বেড়াবেন কিন্তু কোত্থাও আর পাবেন না। মানু্ষটাই যে আর থাকবে না। থাকবে শুধুই আফসোস আর আফসোস।

আপনারা যারা বাবা-মা আছেন, আপনাদের বলব, দেখছেনই তো চারিপাশে কী হচ্ছে। কেবল মেয়ে সন্তানের বাবা-মা হলেই না। মেয়েদের বেলায় অবশ্যই এক্সট্রা কনসার্ন থাকতে হবে। কিন্তু ছেলে সন্তানও সেইফ না। ছেলেদের সঙ্গেও অনেক অ্যাবিউজের ঘটনা ঘটে। সন্তানের চাইতে গুরুত্বপূর্ণ তো কেউ হয় না! সন্তানের জন্য আপাতদৃষ্টিতে একটু টক্সিক হোন। এটার দরকার আছে খুব। আপনার সন্তানের জন্যই দরকার আছে। একদম ছোট্টো বাচ্চাকেও যার তার কাছে দেবেন না। আমি নিজেই রাস্তাঘাটে পর্যন্ত বাচ্চা দেখলেই আদর করি৷ আমার মুখে এ কথা মানায় না। তবু বলব, নিজের বাচ্চার সেইফটি আপনার নিজেকেই দেখতে হবে। আর কেউ দেখবে না। আজকে ফুটফুটে আয়াতকে মেরে ফেলল। কালকে সেইম ঘটনা যে আপনার আমার সাথে ঘটবে না, তা কিন্তু কেউ বলতে পারে না। শুধুই কী মেরে ফেলা? আমি জানি, আমার এই পোস্ট যারা পড়ছেন, তাদের অনেকেই ছোটোবেলায় অ্যাবিউজের শিকার হয়েছেন। নিজে কতখানি ট্রমার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন একবার মনে করুন। আমাদের বাচ্চারা যেন এই ট্রমার মধ্য দিয়ে না যায় সেই খেয়ালটা যেন আমরা রাখি৷ একটু না হয় টক্সিকই হই। অতো আধুনিক হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তাছাড়াও নিজের ছেলে সন্তানটি যেন বড়ো হয়ে অন্য কারো ট্রমার কারণ না হয়, সে শিক্ষাটা দেওয়ারও তো দরকার আছে।

রব্বির হাম হুমা ক্বমা রব্বাইয়ানি সাগিরা...

মনের মধ্যে বিশ্বাস, ভরসা থাকলে সম্পর্কের নাম দিতে  হয় না। ভালোবাসা কখনো  নাম দিয়ে  হয় না! ভালোবাসা  ভেতর থেকে হয়ে যায়। ক...
26/11/2022

মনের মধ্যে বিশ্বাস, ভরসা থাকলে সম্পর্কের নাম দিতে হয় না। ভালোবাসা কখনো নাম দিয়ে হয় না! ভালোবাসা ভেতর থেকে হয়ে যায়।

কেউ আপনাকে সারাদিন ভালোবাসি ভালোবাসি বললেই সে আপনাকে ভালোবাসে বুঝায় না! ভালোবাসা বুঝা যায় আপনার প্রতি তার বিশ্বাস ভরসা আচরণ আর আন্তরিকতায়।

ভালোবাসা কোনো দলিল-চুক্তি নয়। ভালোবাসা বসন্তের মৃদু বাতাসের মতো। হৃদয়কে শীতল করে দেয়,তবুও ধরা যায় না! ছুঁয়া যায় না!
ভালোবাসা ফুলের গন্ধের মতো শুকতে ভালো লাগে। তবুও দেখা যায় না!

হাজার বার ভালোবাসি ভালোবাসি বলেও একজন আরেকজনের প্রতি বিশ্বাস, ভরসা আসে না। অনুভুতি শূন্য সম্পর্কে জড়িয়ে বছরের পর বছর ভালোবাসার নাম করে কাটিয়ে দেওয়ার চেয়ে। এক সেকেন্ড কাউকে বিশ্বাস করে, ভরসা করে,অনুভব করে পাশে থাকতে পারাটা ভাগ্যের ব্যাপার।

আমি বিশ্বাস ভরসা দিয়ে নামহীন সম্পর্ক গড়তে চাই!যেখানে কোনো পেরেশানি নেই। পাওয়া না পাওয়ার হিসেবে নেই। ডিপ্রেশন নেই। যেখানে বিশ্বাস আছে, ভরসা আছে, আন্তরিকতা আছে,অনুভূতি আছে । যেখানে ভালো থাকা যায়। ভালো রাখা যায়।

দিনশেষে কপালে থাকলে পরিস্থিতিই সম্পর্কের নাম দিবে। তবে, আগে ভাগে সম্পর্কের নাম দিয়ে প্যারা নিতে আমি রাজি নয়। আমি চাই ভালো থাকার জন্য সম্পর্ক ভালো থাকা হোক। ভালো থাকার মধ্যে শুধু আনন্দটাই হোক।কোনো প্রকার প্যারা না আসুক।

21/11/2022

শিক্ষনীয় গল্প;
২৪ বছরের যুবক ট্রেনের জানালার পাশে বসে আছে। সমস্যা হচ্ছে সে আচরণ করছে শিশুর মতো। যা দেখছে তাতেই মুগ্ধ হচ্ছে। যা দেখছে সব কিছু নিয়েই তার কৌতূহল!
সে তার বাবাকে বলছে, “দেখো দেখো বাবা গাছগুলো সব পেছনে চলে যাচ্ছে!” তার বাবা কিছু না বলে শুধু একটু হাসলো। অন্য পাশের এক দম্পতি করুণ চোখে ২৪ বছর বয়স্ক যুবকের কথা শুনছে।
যুবক আবারও বললো, “দেখো বাবা মেঘগুলো আমাদের সাথে সাথে দৌড়াচ্ছে! ওরা কোন স্টেশনে থামবে?”
তার বাবা শুধু একটু হাসলেন। কিছু বলছেন না।

সেই দম্পতি যুবকের কথা শুনে বিব্রত হয়ে তার বাবাকে বললো, “আচ্ছা আপনি ওকে ভালো কোনো ডাক্তার দেখান না কেন? এত বয়সে এসে এখনো বাচ্চাদের মতো আচরণ করছে!”
তার বাবা হেসে উত্তর দিলেন, “ডাক্তার দেখিয়েছি। আসলে আমরা এখন হাসপাতাল থেকেই বাসায় ফিরছি। আমার ছেলেটা জন্ম থেকেই অন্ধ ছিলো। আজই প্রথম সে পৃথিবীটা দেখার সুযোগ পেলো!”

শিক্ষনীয় : প্রতিটি মানুষের আচরণ এবং জীবনের পেছনে একটা গল্প থাকে। আমরা সেই গল্প না শুনে মানুষগুলোকে ভুল বুঝি, নিজের মতো করে উল্টাপাল্টা গল্প বানাই তাদের সম্পর্কে। কাউকে না জেনে তাকে নিয়ে কথা বললে একদিন তোমাকেও বিব্রত হতে হবে। তার জীবনটা হয়তো তোমার কল্পনার চেয়েও কঠিন। তাই কারো সম্পর্কে মন্তব্য করার আগে আমাদের সত্যটা জেনে নিতে হবে। এটাই ভদ্রতা।

সংগৃহীত পোস্ট।

19/11/2022

২য় স্ত্রী এর সাথে কাটানো এক সুন্দর মুহূর্তে স্ত্রী বলে উঠলো।

স্ত্রীঃ আচ্ছা। তোমার প্রথম স্ত্রী কেন তোমাকে ছেড়ে চলে গেলো?🤔

তোমার মতো এমন রোমান্টিক হাসবেন্ডকে কিভাবে ছেড়ে চলে গেলো? আমি তো তোমার মধ্যে খারাপ কিছু খুজে পাই না।

স্বামীঃ চুপ করে রইলো।
আর মনে মনে ভাবতে লাগলো-
(তার সাথে যা যা করার জন্য সে চলে গিয়েছে বিয়ের পর ওই কাজগুলো ভুলেও আমি তোমার সাথে করিনি।

যেমনঃ অবহেলা করতাম,সময় দিতাম না, মূল্যায়ন করতাম না, সে কিছু বললেই বিরক্ত বোধ করতাম রেগে কখনো হাত তুলতে তেরে যেতাম, আর কখনো বা হাত তুলেই ফেলতাম, বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলতাম)

তারপর স্বামী হঠাৎ দীর্ঘনিঃশ্বাস ছেড়ে বললো- জানি না।
হয়তো আমাকে তার ভালো লাগতো না তাই।

আমাদের সমাজটা আসলেই এমন প্রথম মানুষটিকে আমরা মূল্যায়ন করতে পারি না, আর সে চলে গেলে তারপর আসা মানুষটিকে অনেক মূল্যায়ন করি।

কারন তখন আমরা বুঝি যে, আমারও অনেক ভুল ছিল। তাহলে কেন আমরা প্রথম মানুষটির জন্য একটু সময় নিয়ে সেই ভুলগুলো সুধরে নেই না?

আসলে কি! মানুষ দাঁত থাকতে দাতের মর্ম বুঝবে না, এটাই স্বাভাবিক। অভাবের তাড়নায় কোন নারী সংসার ছেড়ে যায় না। সংসার ছাড়ে ভালোবাসা ও প্রাপ্য সম্মানের অভাবে।

যেখানে ভালোবাসা নেই, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, বোঝাপড়ার অভাব সেখানে কোন নারীই থাকতে চায় না।
সংগ্রহিত পোস্ট

14/11/2022

🍀 কথা বার্তায়ে হন পারদর্শী 🍀

মানুষের কথোপকথন বা পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার গোপন রহস্য আসলে কী - তা কখনোই মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়নি। কথোপকথনকে আরও ধারালো ও উন্নত করতে পারলে সবদিকেই সফল হওয়া যায়।

নিজ বাড়ি থেকে শুরু করে অফিসের বোর্ডরুম কিংবা বৈশ্বিক পরিসরে যেকোনো ধরণের সমস্যার সমাধান বা দ্বন্দ্বের অবসানে একটি কার্যকর কথোপকথনের কোন বিকল্প নেই।

১. আগে নিজে বোঝার চেষ্টা করুন:

আমাদের মধ্যে অনেকেই প্রতিনিয়ত `ট্রান্সমিট মোড` বা কথা বলার মোডে থাকে। এবং তাদের পক্ষে সেই মোড পরিবর্তন করে `রিসিভিং মোড` অর্থাৎ অন্যের কথা শোনার মোডে যাওয়াটা অনেক কঠিন মনে হয়।

এই পরিবর্তন করতে না পারাই ব্যক্তিগত এবং পেশাদার সম্পর্কগুলোয় সমস্যা তৈরি হওয়ার অন্যতম কারণ। বইটিতে, বেশ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাতটি অভ্যাসের কথা তুলে ধরা হয়।
আর এ ব্যাপারে স্টিফেন কোভি বলেছেন, অন্য কেউ আপনাকে বুঝবে এটা আশা করার আগে আপনি অন্যকে বোঝার চেষ্টার করুন। আর এ জন্য অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন।
অন্য ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা এবং নিজের মতামত দেয়ার আগে বা চ্যালেঞ্জ করার আগে তারা কী বলছে সেটা পুরোপুরি বোঝার চেষ্টা করা বেশ জরুরি।

২. আপনি যে বুঝতে পেরেছেন সেটা প্রকাশ করুন:

যদি আপনি অন্য ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি বুঝতে পারেন, তাহলে সেটা প্রকাশ করুন। আপনি কি শুনেছেন বা বুঝেছেন সেটা তাকে বলুন।

কিছু যুক্তিসঙ্গত প্রতিক্রিয়া দিতে পারেন, যেমন "ঠিক বলেছেন" বা "আমি আপনার জায়গায় হলে এতো ভাল থাকতে পারতেন না।" -এই কথাগুলো এটাই ব্যাখ্যা করে যে আপনি এই কথোপকথনের তরঙ্গে ভাসছেন।

যখন অপর ব্যক্তি বুঝতে পারে যে আপনি তাকে বুঝতে পারছেন, তখনই আপনি তাকে কিছু পরামর্শ দিতে পারেন, অথবা তার কোন বক্তব্য বা ভাবনাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন।
তবে সেটা অবশ্যই তখন করবেন, যখন আপনি তার বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পাবেন।
আপনি যে ব্যক্তির সাথে কথা বলছেন তার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা বেশ জরুরি - সেটা তার কথা শোনার মাধ্যমে, তার প্রয়োজনকে শ্রদ্ধা করার মাধ্যমে বা সেটাকে বোঝার মাধ্যমে হতে পারে।
এভাবে আপনি একটি সংযোগ তৈরি করেন যার মাধ্যমে প্রকৃত যোগাযোগ প্রবাহিত হতে পারে।

৩. সৃজনশীল সমাধানে পৌঁছাতে সহযোগিতা করা:

এডি এবং পিটার `সৃজনশীল কথোপকথন` নামে একটি পদ্ধতির কথা উল্লেখ করেছেন যেটা কিনা একজনের ব্যাপারে আরেকজনের মধ্যে নতুন চিন্তাভাবনা এবং বোঝাপড়া তৈরি করতে সাহায্য করে।

এজন্য অন্য মানুষের কথার সাথে নিজেকে জড়িয়ে নেয়া এবং আপনি তাকে কতোটুকু বুঝতে পেরেছেন সেটা প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।

এটি মানুষের মধ্যে কখনও কখনও নতুন অন্তর্দৃষ্টি জাগিয়ে তোলে যেটা কিনা আলাদাভাবে হয় না।
এছাড়াও, আপনি যদি আপনার বোঝাপড়ার বিষয়টি প্রকাশ করেন, তাহলে সেটি অপর ব্যক্তিকে আরও খোলামেলা হতে, ভাগ করে নিতে, আরও বেশি নিরাপদ ও স্বাধীন বোধ করতে সাহায্য করে।
যা তাদের নিজেদের চিন্তাধারাগুলোকে অন্বেষণ করতে সহায়তা করে।

এছাড়া আপনার মধ্যেও এমন নতুন কিছু তৈরি করা সম্ভব যা আগে বিদ্যমান ছিল না এবং যেটা আপনাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতেও সাহায্য করবে।

৪. অভ্যাসে বিরতি নিন:

আমরা আমাদের বেড়ে ওঠার পরিবেশ থেকেই নিজেদের কথোপকথনের অভ্যাস পেয়েছি। অনেক সময় আমরা নিজেদের সেই কথোপকথনের ব্যাপারে সচেতন থাকিনা।
অনেক সময় আমরা অন্যের কথার মাঝখানে কথা বলতে শুরু করি বা অপ্রাসঙ্গিক অন্য কোন আলাপের দিকে চলে যাই।

এতে কোন কথারই কোন মানে থাকেনা। এবং কথোপকথন তার রেশ হারায়। চেষ্টা করুন কখন এই সমস্যাটি হয়, এটার কোন প্যাটার্ন থাকলে সেটা বের করার।

এই অভ্যাসকে চ্যালেঞ্জ করে মানুষের কথা শোনার এবং তা বোঝার উপর গুরুত্ব দিতে হবে।

৫. সমালোচনার জন্য শুনবেন না:

কিছু লোক শুধুমাত্র একটি উদ্দেশ্যেই অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনে আর তা হল অন্যের সমালোচনা করতে এবং বিরোধী পক্ষকে পাল্টা তীরের ছুঁড়ে ঘায়েল করতে।
রাজনীতির জগতে আমরা প্রতিদিন এমন কিছু দেখি, যেখানে মানুষ বিভিন্ন দল গঠন করে এবং এই বিভাজন নিয়ে কথা চালিয়ে যায়।

মনে রাখতে হবে, আপনার কথা শোনার কারণ যেন অন্যকে ঘায়েল করা না হয় - এজন্য একটি যুক্তির দুটি দিক সম্পর্কেই ভালভাবে শুনে তা বোঝার চেষ্টা করতে হবে।

৬. অনুশীলন নিখুঁত করে তোলে:

এডি এবং পিটার দুজন ব্যক্তিকে নিয়ে একটি অনুশীলনের আয়োজন করে যেখানে ওই দুই ব্যক্তির সেটাই প্রথম দেখা।

অনুশীলনের সময় দুইজনকে দুটি ভিন্ন দায়িত্ব দেয়া হয়। একজনকে বলা হয় নিজের অনুভূতি ব্যাখ্যা করতে, এবং অপরজনকে বলা হয় সেই কথা শুনে বুঝতে।

এর মাধ্যমে তাদের এমন একটি বিষয় খুঁজে বের করতে বলা হয় যার ব্যাপারে দুজনই ভিন্নমত পোষণ করে।

এটি সেই ব্যক্তিদের বুঝতে সাহায্য করে যে, কারও কান ধার পাওয়াটা কতো বিরল এবং আশ্চর্যজনক একটি উপহার।

এই দক্ষতাটি বন্ধুদের সাথে অনুশীলনের চেষ্টা করতে পারেন যাতে আপনি যখন সত্যি সত্যি কোন দ্বন্দ্ব বা মতবিরোধের মুখে পড়বেন, তখন সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে উৎরে যেতে পারেন।

৭. যোগাযোগের জন্য আপনি কোন মাধ্যমটি চান সেটা বেছে নিন:

মুখোমুখি যোগাযোগকে আদর্শ হিসেবে ধরা হয়। এরপর আপনি যতোই সেখান থেকে সরে আসবেন, আপনার যোগাযোগের মাধ্যমটি ততোই সংকীর্ণ হতে থাকবে।

উদাহরণস্বরূপ টেলিফোনে, আপনার শারীরিক কোন উপস্থিতি নেই - সেখানে আপনার কণ্ঠ দিয়েই সব কাজ করতে হবে।

আবার যখন আপনি কাউকে ক্ষুদে-বার্তা পাঠান সেখানে কোন শব্দও থাকেনা, থাকে শুধু লিখিত কথা।

এবং যদি আপনি টুইটার এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলিতে নাম পরিচয় গোপন করে কিছু পোস্ট করেন, সেখানে যোগাযোগের মাধ্যমটি আরও সংকীর্ণ থাকে।
কেননা সেখানে ব্যক্তির পরিচয় ছদ্মনাম দ্বারা লুকানো থাকায় তার কথোপকথন অপমানজনক এবং অবমাননাকর হতে পারে।

তাই যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রতিটি মাধ্যমের ক্ষমতা বুঝতে পারাটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
তবে কার্যকর কথোপকথনের জন্য যখন যেখানে সম্ভব মুখোমুখি যোগাযোগের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে

স্ত্রী রাইসার গা থেকে আসা মাছের আর ঘামের গন্ধ আমার আজ বেশ বিরক্ত লাগছে।অথচ বিয়ের আগে যখন আমরা কোন উদ্যানে বা রেস্টুরেন্ট...
10/11/2022

স্ত্রী রাইসার গা থেকে আসা মাছের আর ঘামের গন্ধ আমার আজ বেশ বিরক্ত লাগছে।
অথচ বিয়ের আগে যখন আমরা কোন উদ্যানে বা রেস্টুরেন্টে দেখা করতাম মনে হতো যেন ফুল পরীদের রাজ্য থেকে কোন মিষ্টি,ছোট্ট পরী এসে আমার সামনে বসে আছে।যার সমস্ত শরীর থেকে আসছে তাজা সহস্র গোলাপের সুরভী আর সেই সুরভীতে আমি বিমোহিত হয়ে রয়েছি।আমার সমস্ত নিঃশ্বাস যেন সেই সুঘ্রাণ শুষে নিতে চাইছে।
তবে কি সব পারফিউমের যাদু ছিল!!
তার চুলের দিকে এবার ভালো করে লক্ষ্য করলাম।
একি তার অমন সজারুর কাঁটার মতো সোজা,চকচকে,মসৃণ চুলগুলো কোথায়!!
এতো অর্ধেক সোজা অর্ধেক এঁকেবেঁকে থাকা পাটের মতো শক্ত হয়ে রয়েছে,যা একত্রিত করে প্যাচিঁয়ে রাখার মতো কিছু যাকে খোপা বললে খোপার অবমাননা হবে।কেননা,রাইসাকে আমি খোপা করা অবস্থায় দেখেছিলাম একবার।আহা!কি সুন্দর করে ১০০টি ক্লিপ লাগানো গোছানো খোপা আর তাতে ঠাঁই পেয়েছে গোলাপগুচ্ছ। গোলাপগুলোও হয়তো সেদিন নিজেকে এমন সুন্দর খোপায় ঠাঁই দিতে পেরে ধন্য মনে করছিলো।
তবে কি সব ছিলো স্ট্রেইটনারের কেরামতি!!
আমার আর রাইসার ১বছরের প্রেমের পর বিয়ের আজ ৩ মাস হলো।
প্রথম ১ মাস সে রান্না ঘরে ঢুকেনি,কাজটাজও তেমন একটা করেনি যা করার আমার মা আর বুয়া ছিল তারাই করতো।
মা গ্রামে আর বুয়া ছুটিতে যাওয়ায় সব ভার এসে পরলো এবার রাইসার উপর।
আমার আবার গুড়া মাছ খুব পছন্দ।কমদামে পাওয়ায় কাল ৫ কেজি গুড়ামাছ কিনে এনেছিলাম।বেচারি রাইসার এগুলো কাটতে কাটতেই আজ আসল রুপ বেরিয়ে এলো।
মনে হচ্ছে ধোকা,সবই ধোকা!
রাগে গজগজ করতে করতে বেরিয়ে গেলাম মাথায় ঘুরতে থাকলো বিয়ের দিন আত্মীয়দের বলা অগণিত কথা
"রাফিদের বউটা কি সুন্দরটাই না হয়ছে"
"আরে রাফিদ তো পুরা পরী ঘরে তুলতেছে বিয়ে করে"
"আহা মেয়েতো নয় যেন ফুটন্ত ফুল"
আজ সবকিছুকে মিথ্যা আর মেকাআপের যাদু মনে হচ্ছে।
এমন সময় পাশের ফ্ল্যাটের রাত্রি ভাবির সাথে লিফটের ভেতর দেখা।
দেখেই চমকে ওঠলাম!শুনেছিলাম ভাবির নাকি ৭ মাস আগে সিজারে বেবিও হয়েছে কিন্তু একি ভাবিকে দেখে তো বুঝাই যাচ্ছে না যে একটা ৭ মাসের বাচ্চা আছে।মনে হচ্ছে যেন,গালের ভেতর থেকে আলোর রিফ্লেকশন আসছে..আর ঠোঁটের নিচের তিলটা সত্যিই মায়াবী লাগছে।যখন আমাকে দেখা মাত্রই হাসলো তিলটা কিছুটা প্রসারিত হয়ে হাসিকে এক অপরুপ মাত্রা এনে দিল।আর কোন পারফিউমের ঘ্রাণ না পেলেও এক হালকা সুন্দর ভালো লাগার সুবাস ভেসে আসছিলো।এসব ভাবতে ভাবতেই লিফট ৮ তলা থেকে ২ তলায় পৌঁছে গেলো আর ভাবিও নেমে গেল।
মনটা কেমন খারাপ হয়ে গেলো!!
পরক্ষণেই নিজেকে ধমকে বললাম:
"ছিহ কি ভাবছি এসব আমার বউ আছে"
আবার বউয়ের গায়ের মাছের গন্ধ মনে পরে গেলো।
আমরা বাঙালীরা মাছ খেতে ভালোবাসি কিন্তু মাছের গন্ধকে নয়।
রাত্রি ভাবির কথা এখনও মন থেকে যাচ্ছে না।
আসলে মানুষের নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতিই থাকে তিব্র আর্কষণ।
আমি যখন বুঝতে পারলাম আমার ভাবনাগুলো ঠিক নয়,নিষিদ্ধ ভাবনা তখনি তা আমায় আরোও বেশি করে যেন টানছে।
এবার তো মাথায় আরোও একটা দুষ্টু বুদ্ধি এসে চাপলো!রাত্রি ভাবির রান্নাঘরে উঁকি মেরে দেখতে হবে ভাবিকে কেমন দেখায়!আমার বউয়ের মতো নাকি সত্যিই অপরুপা।
মাথা বলছিলো করিস না আর মন বলছিলো কর নাহলে আফসোস থাকবে।
আর আমি বলছিলাম,আমি মনের কথা শুনি,তাছাড়া আমার দৃঢ় বিশ্বাস ভাবি আসলেই সুন্দর দেখতে কেননা আমার ভাবির সাথে ছাদেও দেখা হয়েছিল।ভাবি গোসল করে কাপড় শুকাতে এসেছিলো সেদিন তো মেকআপ করা ছিল না তবুও বেশ সুন্দরই লেগেছিল।
মনের এই অস্থিরতা কমাতে পাইপ বেয়ে ওঠে গেলাম ২ তলায় ভাবির রান্নাঘরের জানালার পাশে।
এমন পাইপ বেয়ে ওঠার অভিজ্ঞতা আমার আগেরও আছে অবশ্য। রাইসার জন্য ওর বাসায় পাইপ বেয়ে ওঠে ফুল দিয়ে এসেছিলাম ১ দিন।
সে যাইহোক,রান্নাঘরের জানালা দিয়ে উঁকি দিতেই আমি যা দেখলাম রাসেল ভাই বিশ্বাস করেন আমি মোটেও তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না.....

ভাবি বুয়ার সাথে রান্নাঘরে বসেই বাচ্চার জন্য হয়তো রান্না করছে।দেখে মনে হলো খিচুড়িই হবে।ভাবির কপাল দিয়ে টপটপ করে ঘাম বেয়ে পরছে!
রান্নাঘরে বসে থেকে ভাবি কিছুটা কালসেটে হয়ে গিয়েছে আর চুলগুলো শক্ত করে বাঁধা থাকায় তার আসল সৌন্দর্য হারিয়েছে।
কি অদ্ভুত ভাবিকেও দেখতে নরমাল লাগছে।আর ছাদে দেখা সেই সতেজতা এই রান্নাঘরের ধোয়ায় চাপা পরে গিয়েছে।
আহামরি কিছুই নেয়!
তবে হ্যাঁ খিচুড়িতে সব ঠিকঠাক আছে নাকি,বাচ্চা ঠিকভাবে খেতে পারবে নাকি এসব নিয়ে ভাবির উৎকন্ঠা দেখে ভাবির মাঝে যে মাতৃত্বের দিকটা ফুটে ওঠেছে তা যেন সমস্ত সৌন্দর্যকে হার মানায়।

এবার পাশের বাথরুমের পাইপ ধরে নিচে নামতে যাবো তখন বাথরুমের থেকে পুরুষকন্ঠ শুনতে পেয়ে থেমে গেলাম।ভাবির বরের গলা বলে মনে হচ্ছে।কার সাথে যেন কথা বলছে...
ঘটনা কি বুঝতে থেমে গিয়ে কথা শোনায় মনোযোগ দিলাম।ওপাশ থেকে শোনা যাচ্ছে:
"অহ রিটা তোমার মতো সুন্দরী আমি আর দ্বিতীয়টা দেখিনি জানো,আর আমার রাত্রিকে দেখো কেমন কালসেটে দেখাচ্ছে একটু আগেও রান্নাঘরে গিয়ে দেখে আসলাম,তখনই আজ অফিসের ফর্সা,গ্লেমারাস সুন্দরী রিটার কথা মনে পরলো"
তার মানে সবই সন্তুষ্টির অভাব!আমরা যখন কারো সাথে সবসময় থাকি,তাকে দেখি তখন তার প্রতি আগ্রহ কমে যায়!

এসব ভাবতেই হাত পিছলে সোজা গিয়ে পরলাম নিচে আর নিজেকে আবিষ্কার করলাম হাসপাতালের বিছানায়।
অনেকদিন হাসপাতালে থেকে এবার বাসায় ফিরে বউএর সেবা যত্নের পর এবার আমি কিছুটা সুস্থ।

রাইসা যখন আমার সেবায় ব্যস্ত হয়ে নিজের চুল,চেহারা ঠিক করতে ভুলে যায়,নিজের ঘাম মুছতে ভুলে যায় তখন তার দিকে মনের দৃষ্টি খুলে এই প্রথম ওকে দেখছি আর বড্ড বেশি অনুভব করছি।যতই অনুভব করছি অনুভবে তাকে আরোও বেশি মায়াবী লাগছে।তার ঘামগুলো নিজ হাতে মুছে দিতে ইচ্ছা করছে...
আনমনে নিজেই নিজেকে বলতে লাগলাম:
"মেয়েরাও মানুষ।মেয়ে পরিচয় হওয়ার আগের পরিচয় তারাও মানুষ.. তারাও ঘামে,তারাও অগোছালো থাকে।তাদের হরিণী চোখ বা চকচকে গাল বলতে কিছু নেই সবই আইলাইনার বা হাইলাইটার।এসব শখে ব্যবহারযোগ্য যা হয়তো ৩-৪ ঘন্টা নিজেকে অপ্সরা বানিয়ে রাখতে পারে কিন্তু দিনশেষে তারাও পরিশ্রমী মানুষের মতো দেখতে।সকলেই সাধারণ। আর কি অদ্ভুত আমি যেই গোছানো রাইসাকে ভালোবাসতাম সেই রাইসাকে না পেয়ে আমি রাত্রি ভাবির সৌন্দর্যের কদর করতে থাকলাম।তবে কি দোষটা আমার চোখের!রাইসার শখের সাজুগুজুর প্রেমে পরেছিলাম কি!তবে হ্যাঁ এইবার এই সাধারণের মাঝে অসাধারণত্ব আমাকে খোঁজে নিতে হবে রাইসার থেকে,তবেই না আমি ওকে ভালোবাসি"

গল্পঃসাধারণ
নওরীন খান

09/11/2022

আপনি কি অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ!?
কয়েকটা পয়েন্টের মাধ্যমে জেনে নিন -

- আপনার থেকে কেউ কিছু চাইলে আপনি "না" বলতে পারেন না; অনেক সময় সাধ্যের বাহিরে গিয়েও চেষ্টা করেন।

- আপনি খুব দ্রুতই মানুষকে "বন্ধু" ভাবতে শুরু করেন, সবাইকেই গুরুত্ব দেন।

- আপনি সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করেন এবং ভাবেন আপনি তাদের জন্য যেমনটা করেন, তারাও আপনার জন্য করবেন।

- কেউ আপনার ক্ষতি করলেও আপনি তাকে কিছু বলতে পারেন না।

- আপনি অনেক কষ্টে থাকলে একাই সময় কাটান কিন্তু কাউকে সেটা বলেন না, বুঝতেও দেন না।

- আপনি অনেক সেনসিটিভ, তাই কাছের মানুষের ছোট ছোট পরিবর্তনেও অনেক বেশী দু:খ পান।

- অন্য কেউ আপনাকে তাদের স্বার্থে ব্যবহার করলেও আপনি বুঝতে পারেন না কারণ আপনি কারও সাথে এমনটা করেন না।

- নিজের আবেগের বহিঃপ্রকাশ করতে গেলে আপনি প্রায়ই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

- আপনি কারও সাথে ইচ্ছাকৃত খারাপ ব্যবহার করতে পারেন না কারণ আপনার বিবেক আপনাকে বাঁধা দেয়।

- আপনি অন্যদের পাশে থাকার চেষ্টা করেন সব সময় কিন্তু দিন শেষে নিজেই একাকীত্বে ভোগেন।
, 💖আমার মোন বোলছে আপনিও এমন 💖

08/11/2022

'আমি তো মাছ গোশত ছাড়া ভাতই খেতে পারি না। শাক সবজি দিয়ে ভাত খাওয়া যায় নাকি!' নাক চোখ কুঁচকে কথাটা বললো জিনিয়া।

টিফিন টাইম চলছে। টিফিন বক্স থেকে সাদা ভাত আর কুমড়ো ভাজির তরকারি বের করে খেতে বসেছে আলিয়া।

জিনিয়া পিজ্জার টুকরায় কামড় দিয়ে চিবাতে চিবাতে আলিয়াকে প্রশ্ন করলো, 'রোজ রোজ সবজি খেতে খারাপ লাগে না তোমার?'

তাকে অপমান করার জন্যই প্রশ্নটা করেছে জিনিয়া, আলিয়া টের পায় সে কথা৷ অপমান গায়ে না মেখে আলিয়া হেসে উড়িয়ে দিয়ে জবাবে বললো, 'বরং সবজি না হলেই খারাপ লাগে।'

আলিয়ার হাসিমুখ দেখে জিনিয়া ভেংচি কেটে পাশে থাকা বান্ধবীদের সঙ্গে চাপা স্বরে গজগজ করে বলে উঠলো, 'মেয়েটার সবকিছু নিয়ে অহংকার। কোনোকিছুতেই তার অপমানবোধ হয় না। ওর মা তো লোকের বাসায় কাজ করে, বাবাও নাই। এত অহংকার আসে কোথা থেকে ওর?'

পাশ থেকে বান্ধবীরা জিনিয়ার কথায় সায় দিয়ে বললো, 'একদম ঠিক বলেছিস।'

আলিয়া ক্লাসে ফার্স্ট গার্ল। দরিদ্র পরিবারের মেয়ে, তারউপর যথেষ্ট মেধাবী, স্কুলের শিক্ষকদের কাছেও খুব প্রিয় ছাত্রী সে। এসব কারণেই আলিয়াকে প্রচন্ড হিংসা করে জিনিয়া। সুযোগ পেলেই তাকে ছোট করে কথা শোনাতে ভুল হয় না জিনিয়ার।

গতকাল জিনিয়ার জন্মদিন ছিলো। সেই উপলক্ষে আজ ক্লাসের বন্ধুদের জন্য কেক নিয়ে এসেছে সে। সবাইকে কেক দিলেও আলিয়াকে দিলো না।

'কেকের মধ্যে তো সবজি দেওয়া নেই৷ তুমি তো আবার সবজি ছাড়া খেতে পারো না। তাই তোমাকে দিলাম না। কিছু মনে করো না আলিয়া।'

জিনিয়ার কথায় আশেপাশের সবাই অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো। জিনিয়ার এসব আচারণ আলিয়াকে পীড়া দিলেও হজম করে নেয় সে৷
হাসিমুখে উত্তর দেয় বুদ্ধিমতী আলিয়া, 'খুব ভালো করেছো তুমি। কেক আমার তেমন পছন্দ না। জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইলো। গতকাল স্কুল বন্ধ ছিলো, তাই শুভেচ্ছা জানাতে পারিনি বলে তুমিও কিছু মনে করো না জিনিয়া।'

আলিয়া কেক খেতে খুব ভালোবাসে। তার মা যেসব বাসায় কাজ করেন, ওসব বাসায় বার্ষিকী জাতীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলে সেখান থেকে পাওয়া কেকের টুকরোগুলো আলিয়ার জন্য তিনি যত্ন করে নিয়ে আসেন৷ আলিয়া তখন তার মায়ের সঙ্গে মজা করে কেক খায়। আজ জিনিয়ার আনা কেক দেখে আলিয়ার খাওয়ার ইচ্ছে হলেও সেই ইচ্ছে ভেতরেই চেপে রাখলো সে।

আলিয়াকে বারবার অপমান করতে গিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় আরও রেগে যায় জিনিয়া। আলিয়া কেন তার কথায় কষ্ট পেয়ে মন খারাপ করে না, এটাতেই তার যত ক্ষোভ। অতি আদর আহ্লাদে বড় হওয়া জিনিয়া অন্যকে ছোট করতে পারলেই যেন আনন্দ পায়। সঙ্গের বন্ধুরাও তার এমন আচারণকে প্রতিনিয়ত উসকে দেয়।

বছর খানেক পরেই মাধ্যমিক শেষ হবে আলিয়া জিনিয়ার। ক্লাসে ভীষণ অমনোযোগী জিনিয়াকে নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই শিক্ষকদের। বাসায় টিউটর থাকলেও পড়াশোনা নিয়ে ততটা মাথা ব্যথা নেই তার। মেয়ে কষ্ট পাবে ভেবে বাবা মা'ও কখনো কড়া স্বরে শাসন করেন না। মেয়েও তাই বাবা মায়ের নরম গলার শাসনকে কখনো পাত্তাই দেয় না।

প্রি-টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট আউট হলে শিক্ষকগণ স্পষ্ট স্বরে জানিয়ে দিলেন টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো না হলে তারা জিনিয়ার জন্য কিছুই করতে পারবেন না। এবার আর জিনিয়ার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া হবে না তবে।

এর আগে এমন কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন জিনিয়া হয়নি। এতদিন শ্রেণী পরীক্ষার রেজাল্ট কার্ডে বাবা মাকে পটিয়ে স্বাক্ষর করাতে তার খুব একটা বেগ পোহাতে হয়নি। কিন্তু এবার সে কী করবে, ভেবে পায় না।

সঙ্গের বন্ধুরাও জিনিয়ার থেকে আজকাল খুব দূরত্ব বজায় রেখে চলছে। এতদিন পাশে থাকা সেই বন্ধুরাই এখন আড়ালে আবডালে তাকে ফেলুয়া বলে টিটকারি মারে। বিষন্নতা আর হতাশায় ছেয়ে যায় জিনিয়ার মন। এমন পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়ায় আলিয়া।

'এখনো তো অনেকদিন বাকি আছে জিনিয়া। আমরা ততদিন স্কুলে তাড়াতাড়ি এসে একসঙ্গে পড়াশোনা করতে পারি। অফ পিরিয়ডগুলোকেও কাজে লাগাতে পারি৷ একে অপরকে সহযোগিতা করলে আমরা অবশ্যই আরও বেশি ভালো করব, দেখবে।'

আলিয়ার এমন কোমল স্বরের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায় জিনিয়া। এতদিন বন্ধুদের সঙ্গে গল্প গুজব আর তামাশা করে পার করা সময়গুলো সে এখন আলিয়ার সঙ্গে পড়াশোনা করে কাটায়৷ স্কুল এবং বাড়ি দু'জায়গাতেই দিন দিন মনোযোগী হয়ে ওঠে জিনিয়া। তার এমন পরিবর্তনে খুশি শিক্ষক ও পরিবার। পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ দেখে খুশি টিউটরও।

টেস্ট পরীক্ষার খুব বেশিদিন বাকি নেই আর৷ আগের মতো ওতটা ভয় এখন আর জিনিয়া পায় না। কেননা তাকে সাহস দেওয়ার জন্য এখন আলিয়াও আছে। আজ আলিয়ার জন্মদিন৷ টিফিন টাইমে টিফিনবক্স থেকে সবজি আর সাদা ভাত বের করে খেতে বসেছে সে।

জিনিয়া পাশে এসে বললো, 'আমি কী আজ তোমার সঙ্গে সবজি দিয়ে ভাত খেতে পারি আলিয়া?'

আলিয়া অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো জিনিয়ার মুখের দিকে। তারপর হেসে বললো, 'অবশ্যই।'

খাওয়া শেষ হলে জিনিয়া দৌড়ে গিয়ে ব্যাগ থেকে একটা বড় আকারের বক্স নিয়ে এসে আলিয়াকে দিয়ে বললো, 'তোমার টিফিন তো অর্ধেকটা আমিই খেয়ে ফেলেছি৷ তাই এটা তোমার জন্য।'

আলিয়া অবাক স্বরে প্রশ্ন করে, 'কী আছে এর ভেতরে?'

'খুলেই দেখো।'

আলিয়া বক্সটা খুলতেই দেখে একটা চকলেট কেক। তার উপর রাখা আছে ছোট্ট একটা চিরকুট। তাতে লেখা, 'শুভ জন্মদিন আলিয়া। আমরা কী বন্ধু হতে পারি?'

আলিয়া খুশিতে গদগদ হয়ে জিনিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো, 'অনেক ধন্যবাদ তোমায়। অবশ্যই আমরা বন্ধু হতে পারি। কিন্তু তুমি জানলে কী করে আজ আমার জন্মদিন?'

'সেদিন স্যারের টেবিলে তোমার জন্ম নিবন্ধনের কাগজটা দেখেছিলাম।'

জিনিয়া খুশি হয়ে আবার বললো, 'তাহলে আজ থেকে আমরা বন্ধু তো?'

আলিয়া হেসে বলে, 'একদমই তাই।'

জিনিয়া তাড়া দিয়ে বললো, 'এবার তাড়াতাড়ি কেকটা কাটো। টিফিন টাইম শেষ হয়ে যাবে তো।'

জিনিয়া কাটা কেকের একটা টুকরো তুলে আলিয়ার মুখে দিয়ে জিজ্ঞেস করলো, 'কেমন হয়েছে খেয়ে বলো।'

খাওয়া শেষ করে আলিয়া হেসে বললো, 'খুব সুন্দর হয়েছে।'

'আমার আম্মু তৈরি করেছে। বলেছি আমার প্রিয় বন্ধুর জন্মদিন।'

'খুব খুশি হয়েছি আমি। এর আগে কখনো আমার জন্মদিনে কেউ কেক এনে দেয়নি। সংসারে অভাব থাকলে বার্ষিকী উদযাপন হয় নাকি!'

আলিয়ার কথাগুলো বিষন্নতা জাগায় জিনিয়ার ভেতরে। নিজেকে সামলে নিয়ে হেসে বললো, 'তোমাকে দেখে তো মনে হচ্ছে তুমি কেক খেতে ভীষণ পছন্দ করো। তবে কী সেদিন মিথ্যে বলেছিলে?'

আলিয়া মাথা নেড়ে বললো, 'হুম।'

'খুব পাঁজি মেয়ে তুমি। এবার তাড়াতাড়ি এই টুকরোটা শেষ করো। বাকিটা বাসায় গিয়ে মায়ের সঙ্গে সাবাড় করো।'

হাতে থাকা কেকের টুকরো খাওয়া শেষ করে আলিয়া বললো, 'কেকটা দারুণ হয়েছে খেতে।'

'ভেতরে সবজি দেওয়া আছে যে।'

জিনিয়ার কথা শুনে অবাক হয় আলিয়া। 'সত্যি?'

হেসে উঠলো জিনিয়া৷
'মজা করেছি আমি।'

'তুমিও কিন্তু কম পাঁজি মেয়ে নও।' আলিয়ার কথায় আবার হেসে ওঠে জিনিয়া৷

জীবনের চলার পথটা আরেকটু মসৃণ করার জন্য বন্ধুর প্রয়োজন। ভালো বন্ধু পেতে হলে প্রথমে নিজের ভালো মানসিকতা গড়া প্রয়োজন। আর ভালো বন্ধু হতে গেলে বন্ধুর বিপদে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন৷ জীবনে একজন ভালো বন্ধু থাকা ভীষণ প্রয়োজন।

গল্প: বন্ধু।
লেখা: মাহফুজা রহমান অমি।

Address

Mirpur
1203

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when DraftBox posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category

DraftBox

ড্রাফটবক্স অনলাইনের একটি লেখালিখি এবং বিনোদনের প্লার্টফর্ম। ড্রাফটবক্সে জীবনের গল্প, ভালবাসার চিঠি, হৃদয়ের অনুভূতি এবং মোটিভেশনাল লেখা প্রকাশ করা হয়। সেই সাথে মানুষকে বিনোদন দিতে মিউজিক ভিডিও, কবিতা আবৃত্তি এবং মোটিভেশনাল ভিডিও পাবলিশ করা হয়।

ড্রাফটবক্স সমস্ত ভিডিও কন্টেন্টের সত্ত্বাধিকারী। ড্রাফটবক্সের অনুমতি ছাড়া কোথাও কোনো ভিডিও পাবলিশ করা যাবে না।

আপনি আপনার মিউজিক ভিডিও, কবিতা আবৃত্তির ভিডিও এবং মোটিভেশনাল ভিডিও ড্রাফটবক্সে পাঠাতে এবং শেয়ার করতে পারেন।

ড্রাফটবক্স লেখালিখির গ্রুপঃ www.facebook.com/groups/draftboxofficial/

Nearby media companies