Odhikar tv

Odhikar tv অধিকার টিভি-গণ মানুষের কথা বলে

08/12/2025

হাজারও শিশু ছাত্র জনতার তাজা রক্তের বিনিময়ে
বিনিময়ে কি পেয়েছি ?
নয়া স্বাধীনতা?
আরোপ্রত্যাশা ছিল।
হয়নি ,তবে হবেই।

বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে এসেছিলেন বিপ্লবে অংশ নিতে,হাসিনার বাহিনীর গু/লি/তে শহীদ হওয়ার পর সেই পতাকা দিয়েই তাকে ঢেকে রাখা হয়।
জুলাইয়ে আমরা অনেক কিছু হারিয়েছে -আমাদেএ সহযোদ্ধা,ভাই বোন ,বাবা মা ,দাদীর বয়সী মানুষ ও হাসিনার বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পায়নি।

28/11/2025

১৯৭১ থেকে ২০২৪ – প্রতিটা অভ্যুত্থান, প্রতিটা আন্দোলনে নারীরা ছিলো রক্ত, ঘাম আর ত্যাগের নাম।
আজ সেই নারীদের নিয়েই যখন অনলাইনে গালি, অশ্লীল কমেন্ট ছড়ায়, তখন এটা শুধু নারীর অপমান না, এটা আমাদের ইতিহাস আর মা- বোনদের রক্তের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা।

নারীর প্রতি সম্মানে আসল বীরত্ব - ঘৃণা আর হেয় করা শুধুমাত্র কাপুরুষত্বের পরিচয় বহন করে।

গুড নিউজ। এদিকে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করাফজলুর রহমান আন্তর্জাতিক আদালত অবমাননার জন্য ফেঁসে যাচ্ছেন। খুনির পক্ষে তার ব...
26/11/2025

গুড নিউজ।
এদিকে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবী করা
ফজলুর রহমান আন্তর্জাতিক আদালত অবমাননার জন্য ফেঁসে যাচ্ছেন। খুনির পক্ষে তার বরাবরের অবস্থান বিএনপির রাজনীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এটা এখন দিবালোকের মতো সত্য।

23/11/2025

বর্তমান বাস্তবতায় যখন নিজের কর্মী বলে কিছু থাকে না। নির্বাচনের আগে কর্মী আর কার্তিক মাসে বাড়ি পাহারাদার ODG সাহেব উভয়ের উপর বেশি আত্মবিশ্বাস দেখাতে নেই।

গোটা সিলেটে নৌকার প্রচারণা ও আওয়ামী লীগের দলীয় কর্সূচীতে সরব থেকে অর্থের যোগানদাতা বিএনপি নেতা আনিসুল হক। ভাটি অঞ্চলের ড...
23/11/2025

গোটা সিলেটে নৌকার প্রচারণা ও আওয়ামী লীগের দলীয় কর্সূচীতে সরব থেকে অর্থের যোগানদাতা বিএনপি নেতা আনিসুল হক। ভাটি অঞ্চলের ডন আওয়ামী লীগ দলীয় পলাতক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও নুরুন্নবী শাওনের ঘনিষ্ট সহচর এবং ব্যবসায়িক পার্টনার। তিনি আবার জেলা কৃষকদলের আহবায়ক, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য।

বিগত ১৭ বছর ছবি নির্ভর আন্দোলন আর আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে বীরদর্পে ব্যবসার ইতিহাস সবার মুখে মুখে। রাজনৈতিক হলফনামায় দিয়েছেন ভূয়া তথ্য। কোন মামলার আসামী না হলেও তথ্য দিয়েছেন তিনি ৫টি মামলার আসামী। সবই ভূয়া। সুনামগঞ্জে বিগত ১৭ বছর বিএনপির দলীয় কর্মসূচী দমনের নেপথ্যে আওয়ামী লীগ এমপি রতনের সহচর আনিস দলের অভ্যন্তরে আতংক তৈরীর নেপথ্য কারিগর। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাকে দলের মনোনয়ন দিয়ে গোটা সিলেট বিভাগে চাঞ্চল্য তৈরী করেছে বিএনপি।

সচেতন মহলের জিজ্ঞাসা এভাবেই কি বিএনপি নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের স্বপ্ন দেখছে?

অবস্থাডা দেখুন।
18/11/2025

অবস্থাডা দেখুন।

17/11/2025

বাটপা//রেরা ১০০১ জন ভুয়া মনগড়া নাম দিয়ে শিক্ষকদের তালিকা বানিয়ে নামে বেনামে আইডি দিয়ে প্রপাগাণ্ডা চালাচ্ছে হাসিনার পক্ষে! এদের একটা গান্ডুকে ( ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এবং ঢাবির সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লাভলু মোল্লাকে) কিছুক্ষণ পূর্বে যেভাবে আটক করে ঢাবির শিক্ষার্থীরা।

সাবেক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা লাভলু ফেসবুকে " ডোন্ট কেয়ার" পোস্ট দিয়ে এভাবে ভয়ে শিক্ষার্থীদেরকে দরজা খুলে দেয়নি দীর্ঘক্ষণ!

এই ভীতুর ডিমরাই নাকি আবার আপাকে ফিরিয়ে আনবে! এই বাটপা//রদের বাপেরা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতার বিভিন্ন হোটেলে ৯ মাস খেয়ে ঘুমায়ে পার করেছিলো এবং যুদ্ধ শেষে কৃষক শ্রমিকের অর্জিত স্বাধীনতা ছিনতাই করে রাষ্টকে ভারতের হাতে ন্যাস্ত করতে দ্বিধা করে নাই।
#জুলাই৩৬
#হাসিনার_ফাঁ_সী

শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা
17/11/2025

শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা

15/11/2025

চাদপুর -৫ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মুমিনুল হক বলেছেন ৫-৭ টা খারাপ আওয়ামী লীগ বাদে বাকিদের পাশে থাকবেন তিনি।

তার মতে ৫/৭ জন আওয়ামী লীগ খারাপ?এই ভিডিও চাদপুর এর ৪ আগষ্ট এর।

একজনকে হত্যা ,ছাত্র এবং ছাত্রীদের উপর হামলা ,আহত করা এই স ন্ত্রাসীদের ৫/৭ জন বাদে বাকি সবাই এই প্রার্থীর আত্মীয় নাকি?

বিএনপি জুলাই বিপ্লবের অন্যতম প্রথম সারির দল। তাদের এই অবস্থান হলে আম

প্রায় ২০০-৩০০ লীগ স ন্ত্রাসী সেদিন হ ত্যা কান্ড চালায় চাদপুর শহরে।

তাদের ৫/৭ জন বাদে বাকিদের পাশে দাড়িয়েছেন নাকি এই এমপি প্রার্থী ,সাথে সম্পত্তি দেখভাল এর দায়িত্ব ও নিয়েছেন এমন অভিযোগ আছে!

উনি যদি জুলাই বিপ্লবকে ধারন করেন উনি এই বক্তব্যর জন্য ক্ষমা চাবেন এবং লীগ পুনর্বাসন বন্ধ করবেন।

হা-য়েনারা আবার থাবা মারতে একাট্টা। ওদের রুখে দিন।
14/11/2025

হা-য়েনারা আবার থাবা মারতে একাট্টা। ওদের রুখে দিন।

জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়ন বিষয়ে জাতির উদ্দেশে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ভাষণবিসমিল্লাহির রহমানের রহিমপ্রিয় দেশবাসী, শ...
13/11/2025

জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ বাস্তবায়ন বিষয়ে জাতির উদ্দেশে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ

বিসমিল্লাহির রহমানের রহিম

প্রিয় দেশবাসী, শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, ছাত্র-ছাত্রী, নারী-পুরুষ, নবীন-প্রবীণ সবাইকে আমার সালাম জানাচ্ছি।

আসসালামু আলাইকুম।

গত বছর আগস্ট মাসে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিবলে আমরা অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছিলাম। এরপর আমরা এখন আমাদের মেয়াদে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে উপনীত হয়েছি।

আমাদের সরকারের ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব ছিল মূলত তিনটি। হত্যাকাণ্ডের বিচার করা, একটি জবাবদিহিমূলক ও কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কারের আয়োজন করা এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।

আমরা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশে সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের বিচারকাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এই বিচারের উদ্দেশ্যে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের প্রথম রায় শীঘ্রই দিতে যাচ্ছে।

ট্রাইব্যুনালে আরও কয়েকটি মামলার বিচার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সাধারণ ফৌজদারি আদালতগুলোতেও জুলাই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কিত কিছু বিচারকাজ শুরু হয়েছে। আমরা একইসাথে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো গুমের মতো নৃশংস অপরাধের বিচারকাজ শুরু করেছি।

আমি আনন্দের সঙ্গে আপনাদের জানাতে চাই যে সংস্কারের ক্ষেত্রেও আমরা ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছি। অন্তর্বর্তী সরকার নিজ উদ্যোগে বা বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করেছে। কিছু প্রস্তাবিত সংস্কারের কাজ এখনও চলমান আছে। অধ্যাদেশের মাধ্যমে বা বিদ্যমান আইন সংশোধন করে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, বিচার ব্যবস্থাপনা, আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, ডিজিটালাইজেশন সম্প্রসারণ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে বিভিন্ন সংস্কার সম্পন্ন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সুশাসনের জন্য এসব সংস্কার বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি। আশা করি, আগামী নির্বাচিত সরকার সংসদে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এসব সংস্কার গ্রহণ করবে।

আমাদের আরেকটি গুরুদায়িত্ব হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান। আমি ঘোষণা করেছি যে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচন উৎসবমুখর, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য আমরা সব প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।

আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আমরা সঠিকভাবে পালন করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি।

প্রিয় দেশবাসী,

রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের প্রস্তাব তৈরির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিরলসভাবে গত প্রায় নয় মাস ধরে কাজ করেছে। এসময় কমিশন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা করেছে। অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ধৈর্য্যসহকারে রাজনৈতিক দলগুলো কমিশন কর্তৃক উত্থাপিত বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন। মতের পার্থক্য থাকলেও তা কমিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন। অনেক বিষয়েই ঐকমত্যে আসতে পেরেছেন। দেশবাসী সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে এই পুরো কার্যক্রম দেখতে পেরেছেন। এটি বাংলাদেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে তো বটেই, পৃথিবীর অনেক দেশের জন্য এক অভূতপূর্ব ঘটনা। এটি ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্যও আশাব্যঞ্জক। আমি ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের এবং রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃবৃন্দকে গণতান্ত্রিক চর্চার এই আসাধারণ আয়োজনকে সফল করার জন্য আবারও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

ঐকমত্য কমিশনের প্রণীত জুলাই সনদে সংবিধান বিষয়ক ৩০টি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। এটি একটি ঐতিহাসিক অর্জন। কিছু প্রস্তাবে সামান্য ভিন্নমত আছে। বাকি অল্প কিছু প্রস্তাবে আপাতদৃষ্টে মনে হয় অনেক দূরত্ব আছে, যা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে খতিয়ে দেখলে দেখা যায় যে, এসব প্রস্তাবগুলোর ক্ষেত্রেও আসলে মতভিন্নতা খুব গভীর নয়। কেউ সংস্কারটা সংবিধানে করতে চেয়েছেন, কেউ আইনের মাধ্যমে করতে চেয়েছেন। কিন্তু সংস্কারের প্রয়োজনীতা, নীতি ও লক্ষ্য নিয়ে কারো মধ্যে মতভেদ নেই। কাজেই রাজনৈতিক দলগুলোর প্রকাশ্য বক্তব্য যতখানি পরস্পরবিরোধী অবস্থান আছে বলে মনে হয়, জুলাই সনদ সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করলে ততখানি মত পার্থক্য দেখা যায় না। এটি আমাদের অনন্য অর্জন। এতে জাতি এগিয়ে যেতে সাহসী হবে।

এসব বিবেচনায় রেখে এবং রাজনৈতিক দলগুলো কর্তৃক স্বাক্ষরিত জুলাই সনদকে মূল দলিল হিসেবে ধরে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার আজকের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ অনুমোদন করেছে। এটি বিরাট খবর। প্রয়োজনীয় স্বাক্ষর শেষে এটি ইতোমধ্যে গেজেট নোটিফিকেশন করার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই আদেশে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিধান গ্রহণ করেছি। এর মধ্যে রয়েছে সনদের সংবিধান বিষয়ক সংস্কার প্রস্তাবণার ওপর গণভোট অনুষ্ঠান এবং পরবর্তী সময়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত।

আমরা সকল বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনের মতো গণভোটও ফেব্রুয়ারির প্রথমার্থে একইদিনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংস্কারের লক্ষ্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হবে না। নির্বাচন আরও উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী হবে। গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে উপযুক্ত সময়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা হবে।

জুলাই সনদের আলোকে আমরা গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্নও নির্ধারণ করেছি।

আমি প্রশ্নটি এখন আপনাদের সামনে পাঠ করে শোনাচ্ছি। প্রশ্নটি হবে এরকম:

“আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?”

ক) নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।

খ) আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষ বিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।

গ) সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকার-সহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।

ঘ) জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।”

গণভোটের দিন এই চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে আপনি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে আপনার মতামত জানাবেন।

গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট ‘হ্যাঁ’ সূচক হলে আগামী সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়ে একটি সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠিত হবে। এই প্রতিনিধিগণ একইসাথে জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পরিষদ তার প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ হতে ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে। সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হবার পর ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতে উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। এর মেয়াদ হবে নিম্নকক্ষের শেষ কার্যদিবস পর্যন্ত।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা অনুসারে সংবিধানে জুলাই জাতীয় সনদ অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটিও আজকে অনুমোদিত আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রিয় দেশবাসী,

অভ্যুত্থানের পর দায়িত্ব গ্রহণ করে অর্থনীতিকে গভীর গহ্বর থেকে উদ্ধার করা ছিল আমাদের জন্য একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। গত ১৫ মাসে আমরা সেই চ্যালেঞ্জ উৎরাতে সক্ষম হয়েছি। রপ্তানি, বৈদেশিক বিনিয়োগ ও রিজার্ভসহ অর্থনীতির সবগুলো সূচকে দেশ ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। লুট হয়ে যাওয়া ব্যাংকিং খাত ইতোমধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে। ব্যাংকিং খাতকে আরও শক্তিশালী করতে নানামুখী পদক্ষেপ চলমান রয়েছে।

অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক বিনিয়োগ হ্রাস পেলেও বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রথম বছরে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ অর্থাৎ এফডিআই ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি বৈশ্বিক প্রবণতার বিপরীতে এক অনন্য অর্থনৈতিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

আগামী সপ্তাহে ডেনমার্কভিত্তিক মায়ার্স্ক গ্রুপের মালিকানাধীন এপিএম টার্মিনালস বি.ভি.-এর সঙ্গে লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল প্রকল্পে ৩০ বছরের কনসেশন চুক্তি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে। এই চুক্তির আওতায় ইউরোপীয় এই কোম্পানি ৫৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে। এটি এযাবৎকালে বাংলাদেশে ইউরোপের সর্বোচ্চ একক বিনিয়োগ। লালদিয়া হবে দেশের প্রথম বিশ্বমানের গ্রিন পোর্ট।

প্রিয় দেশবাসী,

প্রায় দেড় যুগ ধরে আমাদের জনগণ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন। তাঁরা আজ আসন্ন নির্বাচনে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। আগামী ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে অভ্যুত্থানের স্বপক্ষের রাজনৈতিক দলগুলিকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তা না হলে জাতি এক মহাবিপদের সম্মুখীন হবে। এ সম্পর্কে আমি আগেও একাধিকবার আমার আশঙ্কা প্রকাশ করেছি।

ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ২০২৪-এর জুলাইয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি শির উঁচু করে দাঁড়িয়ে দেশবাসী যে ঐক্য গড়ে তুলেছিল, আমরা জীবিতরা যেন অল্পস্বল্প ভিন্নমত ও লঘু বিবাদে জড়িয়ে তার মর্যাদা ক্ষুন্ন না করি।

১৩৩ শিশু, শত শত তরুণ-তরুণী, নারী-পুরুষের মৃত্যু, হাজার হাজার মানুষের অঙ্গহানির যে আত্মত্যাগ সেটিকে আমাদের সম্মান জানাতেই হবে।

দেশের আপামর জনগণ সামান্য যা চায় তা হচ্ছে, এই অগুনিত হতাহতের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা সবাই যেন ভিন্নমতের প্রতি সহিষ্ণুতা দেখাই। দলীয় স্বার্থ অতিক্রম করে, সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষা ও জাতীয় চাওয়াকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরি। তাই আমি আশা করি আমাদের এই সিদ্ধান্ত জাতির বৃহত্তর স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলো মেনে নেবে। একটি উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচনের দিকে জাতি এগিয়ে যাবে। এর মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশে প্রবেশ করব।
আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছালাম।

মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমাদের আশা মহান আল্লাহ পূরণ করুন।

আল্লাহ হাফেজ।

সবাইকে ধন্যবাদ।

26/10/2025

জুলাই অভ্যুত্থান। মিরপুর ১০ পয়েন্ট।
ঢাকার অনেকগুলি পয়েন্ট যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো।

প্রতিপক্ষ, হাসিনার পুলিশলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও সেনাবাহিনীর ছোট একটা অংশ।

আরেকপক্ষে ছিলো মুক্তিকামী জনতা ও সেনাবাহিনী।

কে ঠিক করেছিলো সেই পয়েন্টগুলি?
কারা নিয়ন্ত্রণ করতো পরবর্তী কর্মসূচি?
কারা সেই অপরিনামদর্শী যোদ্ধা যারা মৃত্যুকে জয় করে নিয়েছিলো?


#জুলাই_অভ্যুত্থান

Address

House#09, Road#08, Kallyanpur
Mirpur
2017

Telephone

+8801737299774

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Odhikar tv posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category