SKC ইসলামের আলো

SKC ইসলামের আলো মহান আল্লাহ একমাত্র সর্বশক্তিমান

02/12/2024

আল্লাহ তা‘আলার বাণী: (ثُمَّ ٱسۡتَوَىٰٓ إِلَى ٱلسَّمَآءِ) অতঃপর তিনি আসমানের প্রতি মনোযোগী হলেন। (আল বাকারা: ২: ২৯)

22/11/2024
22/11/2024

اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَّعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ, وبَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِْيدٌ مَجِيْدٌ
উচ্চারনঃ
আল্লাহুম্মা সল্লি-আলা মুহাম্মাদি ওয়া’ আলা-আলি মুম্মাদিন কামা সল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া’ আলা-আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামিদুম্মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিঁ ওয়া আলা-আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাকতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া’ আলা-আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্মাজীদ।

অর্থ
হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ (সঃ) ও তাঁর বংশধরের প্রতি রহমত নাযিল করুন। যেমন রহমত নাযিল করেছিলেন ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তাঁর বংশধরের উপর। নিশ্চয় তুমি প্রশংসনীয় ও মর্যাদাবান। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর বংশধরের প্রতি বরকত নাযিল করুন। যেমন বরকত নাযিল করেছিলে ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম ও তাঁর বংশধরের প্রতি। নিশ্চয় তুমি প্রশংসনীয় ও মর্যাদাবান।

Send a message to learn more

মহান আল্লাহ দ্রুত সুস্থ্যতার সহিত নেক হায়াত দান করুক । আমীন
17/11/2024

মহান আল্লাহ দ্রুত সুস্থ্যতার সহিত নেক হায়াত দান করুক । আমীন

15/11/2024

বর্তমান সময়ে প্রতি এক কিলোমিটারে একটি করে মাহফিল অনুষ্ঠিত হলেও মানুষ দিন সম্পর্কে অজ্ঞ, এর কারণ কি হতে পারে?

ছবির প্রথমজন শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ হাফিজাহুল্লাহ যতটুকু জানি মাহফিল শেষ করে হাদিয়ার জন্য কখনো দাড়িয়ে অপেক্ষা ক...
12/11/2024

ছবির প্রথমজন শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ হাফিজাহুল্লাহ যতটুকু জানি মাহফিল শেষ করে হাদিয়ার জন্য কখনো দাড়িয়ে অপেক্ষা করেন না।মাহফিল থেকে কত টাকা দিলেন তা কখনো দেখেন না।

দ্বীতিয়জন শায়খ ড.ফয়জুল হক হাফিজাহুল্লাহ,মাহফিল থেকে হাদিয়া দিলে খামটা বের করে টাকা গননা করে নেন,কেনো জানেন?মাহফিল কমিটি টাকা বেশি দিলো কিনা সেটা দেখার জন্য।গননার পর যদি দেখেন কমিটি বেশি টাকা দিয়েছে তখন তিনি অতিরিক্ত টাকাগুলো মাহফিল কমিটিকে ফিরিয়ে দেন।

আল্লাহর কসম করে বলছি,মাহফিলের জগতে থেকে ওনাদের মত এরকম করে চলা আমার জন্য,আমাদের অনেকের জন্য জিহাদের মাঠে গিয়ে যুদ্ধ করার চেয়েও আরো কঠিন।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে মুখলিস দাঈ হওয়ার তাওফিক দান তরুন,আমিন।

ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন! মুনতাহা আর বেঁচে নেই, পাশের ঘরের মরজিনা হত্যা করে পাশের খালে পুতে রাখে, মুনতাহার ...
10/11/2024

ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন!
মুনতাহা আর বেঁচে নেই, পাশের ঘরের মরজিনা হত্যা করে পাশের খালে পুতে রাখে, মুনতাহার লাশ উদ্ধার 😪😪😪

আপনার সন্তানের সামনে হাত তুলে আল্লাহর কাছে  দু'আ করুন।যখন আপনি দেখবেন আপনার সন্তানের মন খারাপ বা সে কোন কারনে হতাশ, তখন ...
07/11/2024

আপনার সন্তানের সামনে হাত তুলে আল্লাহর কাছে দু'আ করুন।

যখন আপনি দেখবেন আপনার সন্তানের মন খারাপ বা সে কোন কারনে হতাশ, তখন তার সামনে হাত তুলে আল্লাহর কাছে দু'আ করুন। এতে আপানার সন্তান উৎসাহ পাবে, সাহস পাবে।

যদি দেখেন আপনার সন্তান কোন কারনে উত্তেজিত বা রাগান্বিত, তাহলে তার সামনে তার জন্য দু'আ করুন যা আপানার সন্তানের অন্তরে প্রশান্তি এনে দিবে এবং সে দুশ্চিন্তা মুক্ত হবে।

আপানার সন্তান যখন কোন কারনে খুশি থাকবে, হাত তুলে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করুন। এটা দেখে আপানার সন্তান শিখবে কোন কারনে খুশি হলে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করতে হয়।

যখন আপনি দু'আ করবেন একটু জোরে জোরে দুয়া করুন , যেন আপনি যা বলছেন সেটি আপানার সন্তান শুনতে পায়।

এই বিষয় গুলো আপনার সন্তানকে আল্লাহর সম্পর্কে অধিক সচেতন করে তুলবে। সে বুঝতে শিখবে যে, জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত, প্রতিটা সময় আল্লাহ কাছে হাত পেতে সাহায্য চাইতে হয়, শুকরিয়া আদায় করতে হয়।

এর পর যখনি আপনার সন্তান আনন্দে অথবা কষ্টে মধ্যে দিয়ে দিন পার করবে তখনি এই অভ্যাসটির কারনে আপানার সন্তানকে আল্লাহর কাছে হাত পেতে সাহায্য চাইবে, এমনকি যখন সে বৃদ্ধ হবে তখনো আপনার শিখিয়ে দেওয়া এই অভ্যাস টি তার মধ্যে থেকে যাবে।

এই ছোট কাজটিও এক ধরনের ইবাদাত কারণ আপনি আপনার সন্তানের সামনে ছোট বড় যা করবেন সবই সে দেখেছে এবং শিখছে তাই আপনার সন্তানের সামনে সেটাই করুন যেটা তাকে আল্লাহকে চিনতে, জানতে এবং তাকে ভয় পেতে শিখাবে।

- যায়িদ হাসান ইসমাইল

06/11/2024

News

বাড়ির বাইরে বোরকা পরলেও বাড়িতে মাহরাম-নন মাহরাম মেইনটেইন করা এবং পর্দা রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। কী করণীয়?

প্রশ্ন: দ্বীনের বুঝ আসার পর থেকেই পর্দা করি আলহামদুলিল্লাহ।‌ তবে আমি বাড়িতে কোনভাবেই নন মাহরাম মেইনটেই করতে পারছি না।‌ আব্বু বা পরিবারের অন্য সদস্যরা পর্দার ব্যাপারে অতটা গুরুত্ব দেয় না। তারা বাইরে বোরকা পরে বের হওয়াকেই পরিপূর্ণ পর্দা মনে করে।
তবে আমি চেষ্টা করি, মাহরাম-নন মাহরাম মেইনটেইন করার। কিন্তু বাড়িতে চাচাতো, ফুফাতো,‌ দুলাভাইদের প্রায়ই যাতায়াত করার কারণে কোনো মতেই তা সম্ভব হচ্ছে না।
আমার প্রশ্ন হলো, আমি বাড়িতে নন মাহরাম মেইনটেইন না করতে পারলেও কোথাও বেড়াতে গিয়ে কি তা করতে পারব? যদি কোনো নন মাহরাম আমাকে দেখতে চায়, তাহলে তার সামনে যাওয়া কি আমার জায়েজ হবে যদিও আমি বাড়িতে নন মাহরাম মেইন টেইন করতে পারছি না?
উত্তর:
ইসলামে মাহরাম-নন মাহরাম-এর মাঝে সম্পর্কের ক্ষেত্রে হালাল-হারামের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষ নারী সকলের ক্ষেত্রে ঘরে-বাইরে সর্বত্র এই বিধান মেনে চলা করা ফরজ।

একজন নারীর জন্য তার পিতা, ভাই, ভাতিজা (ভাইয়ের ছেলে), ভাগিনা (বোনের ছেলে), দাদা, চাচা, মামা, নিজের শশুর, দাদা শ্বশুর, নানা শ্বশুর প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ মাহারম (যাদের সাথে চিরতরে বিবাহ নিষিদ্ধ)।‌ সুতরাং তাদের সাথে পর্দা করা আবশ্যক নয়। কিন্তু সর্বাবস্থায় তাদের সামনেও পোশাক-আশাক ও চলাফেরায় শালীনতা বজায় রাখা অপরিহার্য।

অপরপক্ষে, চাচাতো, মামাতো, ফুফাতো ও খালাতো ভাই, দুলাভাই বা ভগ্নিপতি, দেবর, ভাসুর এবং তাদের ছেলেগণ ইত্যাদি সবাই নন মাহরাম‌ (যাদের সাথে বিয়ে বৈধ)। তাদের সামনে পরিপূর্ণ পর্দা করা ফরজ। অর্থাৎ তাদের সামনে মুখমণ্ডল এবং দুই হাতের কব্জি সহ পূর্ণাঙ্গ শরীর পর্দাবৃত করতে হবে। তাদের কারো সাথে নির্জনতা অবলম্বন করা, কোথাও ঘুরতে যাওয়া, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তাদের কারো শরীর স্পর্শ করা, তাদের সামনে বেপর্দা হওয়া, তাদের সাথে হাসি-মজাক ও খোশ গল্প করা, নিষ্প্রয়োজনীয় চ্যাটিং, অডিও-ভিডিও কল ইত্যাদি জায়েজ নেই। এগুলো উভয়ের জন্য ফিতনা এবং গুনাহের কারণ।
তবে একান্ত দরকারে পর্দা সহকারে নন মাহরাম ব্যক্তির সাথে প্রয়োজনীয় কথা বলা জায়েজ আছে।‌ কিন্তু কথা বলার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে নারী সুলভ কোমল কন্ঠ পরিহার করতে হবে। (এ বিষয়ে সূরা আহযাব-এর ৩২ নাম্বার আয়াতের তাফসির পড়ুন।)
প্রয়োজন বোধে পর্দা সহকারে তাদের সামনেও যাওয়া যাবে। তবে নির্জনতা অবলম্বন করা যাবে না এবং যেন কোন ধরনের ফিতনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
এই বিষয়গুলো বাড়ির বাইরে যেমন মেনে চলা আবশ্যক তেমনি বাড়িতে থাকা অবস্থাতেও আবশ্যক।‌ এ ক্ষেত্রে ঢিল দেওয়ার কোন সুযোগ নেই।

দুঃখজনক বাস্তবতা হলো, অনেক মেয়ে আছে, যারা বাড়ির বাইরে বোরকা পরিধান করে কিন্তু বাড়িতে থাকা অবস্থায় পর্দার প্রয়োজন অনুভব করে না অথবা মাহরাম নন-মাহরাম মেনটেইন করে না। এটি মারাত্মক ভুল। বরং আল্লাহর বিধান অনুযায়ী সর্বত্রই তাকে পর্দার বিধান মেনে চলতে হবে। এতে আল্লাহ তাকে আখিরাতে মহাপুরষ্কারে ভূষিত করবেন ইনশাআল্লাহ।

বাড়িতে থাকা অবস্থায় পরিবারের সদস্যগণ যদি পর্দা করার ক্ষেত্রে সাহায্য না করে তারপরেও নিজে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে পর্দা রক্ষা করার। যে আল্লাহকে ভয় করে অবশ্যই আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন।
অতএব বাড়ির বাইরে যেভাবে পর্দা এবং মাহরাম মেনটেন করেন ঠিক একইভাবে বাড়িতে থাকা অবস্থাতেও তা করার চেষ্টা করবেন। কথায় বলে, ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়।

সম্ভব হলে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদেরকে পর্দা করা এবং মাহরাম-নন মাহরমের বিষয়ে মহান আল্লাহর বিধানগুলো বোঝানোর চেষ্টা করবেন। পাশাপাশি আল্লাহর কাছে দুআ করবেন, তিনি যেন ইসলামের বিধানগুলো সঠিকভাবে মেনে চলতে সাহায্য করেন এবং সব ধরনের ফিতনা-ফ্যাসাদ থেকে হেফাজত করেন।
নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকওয়াবান, সত্যবাদী ও একনিষ্ঠ বান্দাদেরকে সাহায্য করে থাকেন।
আল্লাহ তৌফিক দান করুন। আমিন।
-আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদি আরব

02/11/2024

প্রশ্ন: নিজ বাড়িতে প্রবেশের পূর্বে কী কী আমল করতে হয়?

উত্তর:
নিজ বাড়িতে প্রবেশের পূর্বে সুন্নত সম্মত আমল সমূহ হল, বাড়িতে প্রবেশের বিশেষ দুআ পাঠ, আল্লাহর জিকির-আজকার করা, সালাম প্রদান ও মিসওয়াক করা।

নিম্নে এ সংক্রান্ত আয়াত ও হাদিস পেশ করা হল:

◈ ১) বাড়িতে প্রবেশের দুআ পাঠ করা:

হাদিসে বাড়িতে প্রবেশের যে দুআ বর্ণিত হয়েছে তা হল:
«بِسْمِ اللَّهِ وَلَجْنَا، وَبِسْمِ اللَّهِ خَرَجْنَا، وَعَلَى اللَّهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا»
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি ওয়ালাজনা, ওয়া বিস্‌মিল্লাহি খারাজনা, ওয়া ‘আলাল্লাহি রাব্বিনা তাওয়াক্কালনা।
অর্থ: “আল্লাহ্‌র নামে আমরা প্রবেশ করলাম, আল্লাহ্‌র নামেই আমরা বের হলাম এবং আমাদের রব আল্লাহ্‌র উপরই আমরা ভরসা করলাম। অতঃপর ঘরের লোকজনকে সালাম দিবে।" [আবু দাউদ ৪/৩২৫, ৫০৯৬-আল্লামা ইবনে বায রহ. তার তুহফাতুল আখইয়ার গ্রন্থে পৃষ্ঠা ২৮ এর সনদকে হাসান বলেছেন]

◈ ২) বাড়িতে প্রবেশের সময় দুআ পাঠের পাশাপাশি অন্যান্য জিকির-আজকার করা:
সহিহ হাদিসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
إِذَا دَخَلَ الرَّجُلُ بَيْتَهُ، فَذَكَرَ اللَّهَ عِنْدَ دُخُولِهِ وَعِنْدَ طَعَامِهِ، قالَ الشَّيْطَانُ: لا مَبِيتَ لَكُمْ، وَلَا عَشَاءَ
“যখন কোন ব্যক্তি তার গৃহে প্রবেশ করে প্রবেশের সময় ও খাবারের সময় আল্লাহকে স্মরণ করে তখন শয়তান (নিজ সঙ্গীদেরকে) বলে, তোমাদের কোনো রাত কাটানোর জায়গা নেই, তোমাদের রাতের কোনও খাবার নেই।” [সহিহ মুসলিম, হা/২০১৮।]

◈ ৩) বাড়িতে প্রবেশের সময় সালাম দেয়া সুন্নত:
আল্লাহ তাআলা বলেন,
فَإِذَا دَخَلْتُم بُيُوتًا فَسَلِّمُوا عَلَىٰ أَنفُسِكُمْ تَحِيَّةً مِّنْ عِندِ اللَّـهِ مُبَارَكَةً طَيِّبَةً
"অতঃপর যখন তোমরা গৃহে প্রবেশ কর, তখন তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম বলবে। এটা আল্লাহর কাছ থেকে কল্যাণময় ও পবিত্র দুআ।" (সূরা নূর: ৬১)

◈ ৪) মিসওয়াক করা:
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বর্ণনা করেন,
أَنّ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ كَانَ إِذَا دَخَلَ بَيْتَهُ بَدَأَ بِالسِّوَاكِ
"নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে প্রবেশের পর সর্ব প্রথম মিসওয়াক করতেন।" [সহিহ মুসলিম, হা/২৫৩]
এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, ঘরে পরিবার-পরিজনের কাছে যাওয়ার পর প্রথমে নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে নেয়া, বিশেষ করে দাঁতের পরিচ্ছন্নতা ও মুখের দুর্গন্ধ দূর করা উচিৎ।

উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব

01/11/2024

ইসলামের দৃষ্টিতে মহিলাদের খেলাধুলা এবং খেলাধুলার ক্ষেত্রে ইসলামি মূলনীতি
▬▬▬▬◈◯◈▬▬▬▬
প্রশ্ন: ইসলামের দৃষ্টিতে মহিলারা কি খেলাধুলা করতে পারবে? খেলাধুলার ক্ষেত্রে ইসলামি মূলনীতি কী?
উত্তর:
শারীরিক সুস্থতা, মানসিক বিকাশ, হালাল বিনোদন ইত্যাদি উদ্দেশ্যে শরীরচর্চা করা এবং কিছু খেলাধুলা উপকারী। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, খেলাধুলার ফলে মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো সচল থাকে এবং শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। ফলে আল্লাহর রহমতে সবল দেহ, সচল মন এবং বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব হয়। এতে মানসিক দিক থেকেও উপকৃত হওয়া যায়।
বিশেষ করে বর্তমান প্রেক্ষাপটে শহুরে জীবনে নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোর ও যুবক-যুবতীরা অধিকাংশই খেলাধুলা বলতে বোঝে অনলাইন ভিডিও গেম বা মোবাইল গেইম অথচ এগুলো স্বাস্থ্যের পক্ষে যেমন ক্ষতিকর তেমনই মানসিক বিকাশের পথেও বড় বাধা।
সুতরাং শরিয়তের গণ্ডির মধ্যে থেকে শিশু-কিশোর ও নারী-পুরুষ সকলের জন্য কিছু শরীর চর্চা করা ও হালাল খেলাধুলা করা নাজায়েজ নয়।

তবে এ ক্ষেত্রে কতিপয় ইসলামি মূলনীতি মেনে চলা আবশ্যক। যেমন:

১. খেলাধুলা অবশ্যই হালাল হতে হবে। যেমন: হাঁটা বা দৌড়, সাঁতার কাটা, ঘোড় দৌড়, বিভিন্ন ধরণের শারীরিক কসরত ইত্যাদি।
২. খেলাধুলার পিছনে অতিরিক্ত সময় ব্যয় না করা। কারণ একজন ইমানদার ব্যক্তির জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৩. খেলাধুলার কারণে নামাজ, রোজা, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার, জ্ঞানচর্চা ইত্যাদি ক্ষেত্রে অবহেলা প্রদর্শন না করা।
৪. খেলাধুলায় সীমাতিরিক্ত মত্ত না থাকা-যার কারণে স্বামী-সন্তান, পরিবার ও পেশাগত দায়-দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অবহেলা পরিলক্ষিত হয়।
৫. খেলাধুলায় এত সময় ব্যয় না করা যার ফলে চাকুরী বা জীবিকা অর্জনের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে।
৬. এমন পোশাক পরিধান করা জায়েজ নাই যার কারণে পর্দা লঙ্ঘিত হয় বা শরীরের গোপন অঙ্গ ও লজ্জা স্থানগুলো অন্যের সামনে দৃশ্যমান হয়।
৭. শরীর চর্চা বা খেলাধুলার ক্ষেত্রে মিউজিক ব্যবহার করা জায়েজ নাই।
৮. খেলাধুলায় বাজি বা জুয়া না থাকা।
৯. খেলাধুলাকে অর্থ উপার্জন এবং জীবিকার পেশা হিসেবে গ্রহণ না করা।
১০. মার্শাল আর্ট তথা জুডো, কারাতে, কুংফু ইত্যাদিতে প্রশিক্ষককে সম্মান প্রদর্শনার্থে মাথা বা শরীর ঝুঁকিয়ে বাউ (Bow) না করা।
উপরোক্ত শর্তাবলীর পাশাপাশি মহিলাদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত শর্ত হল,
১১. অবশ্যই তা সম্পূর্ণ ফিতনা-ফ্যাসাদ মুক্ত নিরাপদ পরিবেশে হতে হবে।
১২. পরপুরুষের সহবস্থান মুক্ত পর্দাবৃত স্থানে হতে হবে।
১৩. নির্জনে নন মাহরাম ব্যক্তির নিকটে অবস্থান করা যাবে না ইত্যাদি।

❂ মহিলাদের খেলাধুলার বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে বিশ্বনন্দিত ফকিহ, দাঈ ও আলেম শাইখ বিন বায রাহ. বলেন,
“পবিত্র শরীয়ত লঙ্ঘন করে না এমন ক্ষেত্রে মহিলাদের খেলাধুলায় কোনও ক্ষতি নেই। যেমন: তারা এমন সংরক্ষিত স্থানে অধিক পরিমাণে হাঁটবে যেখানে পরপুরুষরা মহিলাদের সাথে মেশে না এবং পরপুরুষরা তা দেখতে পায় না। অথবা বাড়িতে মহিলাদের মাঝে বা মহিলাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের জন্য নির্ধারিত স্থানে সাঁতার কাটবে-যেখানে তাদেরকে পরপুরুষরা দেখে না এবং সেখানে পরপুরুষদের কোনও সংযোগ নাই।
তিনি আরও বলেন, যে সব খেলাধুলা নারীদের জন্য নির্ধারিত এবং যাতে ইসলাম নিষিদ্ধ কোনও কিছু নেই, নারী-পুরুষ সহবস্থান নেই বরং নারী-পুরুষ সংশ্রব মুক্ত ও পর্দাবৃত স্থানে খেলাধুলায় কোন দোষ নেই- চাই তা হাঁটা, সাঁতার কাটা বা এ জাতীয় খেলাধুলা যাই হোক না কেন। অনুরূপভাবে (এ সকল শর্ত সাপেক্ষে) তাদের মধ্যে খেলাধুলার প্রতিযোগিতা করাও দূষণীয় নয়।” [শাইখের অফিসিয়াল ওয়েব সাইট]
আল্লাহু আলাম।
▬▬▬▬◈◯◈▬▬▬▬

উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

01/11/2024

সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

"আহলে হাদীস তো খুব পুরোনো মসলক। চার ইমামের যুগ থেকেই চলে আসছে।"- রাসায়েল ও মাসায়েল ১ম খন্ড, ১৪৫ পৃষ্ঠাশাইখ সাইয়েদ আবুল আ...
24/10/2024

"আহলে হাদীস তো খুব পুরোনো মসলক। চার ইমামের যুগ থেকেই চলে আসছে।"

- রাসায়েল ও মাসায়েল ১ম খন্ড, ১৪৫ পৃষ্ঠা
শাইখ সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদী [রাহিমাহুল্লাহ]

🍁আহলেহাদীছ-এর সংজ্ঞা 🍁

(১) আহলেহাদীছগণ সর্বাবস্থায় পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছকেই তাদের যথার্থ পথ প্রদর্শক হিসাবে গণ্য করেন (২) সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে তাঁরা বিগত কোন একজন মুজতাহিদের রচিত নির্দিষ্ট উছুলের দিকে ফিরে যান না বরং সর্বাবস্থায় প্রথমে কুরআন, অতঃপর হাদীছ, অতঃপর ছাহাবায়ে কেরামের আছার, অতঃপর আহলে সুন্নাতের অনুসরণীয় প্রথম যুগের মুজতাহিদগণের রায় সমূহ নিরপেক্ষভাবে যাচাই করে তার আলোকে সমস্যার সমাধান প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকেন (৩) তাঁরা 'খবরে ওয়াহেদ' পর্যায়ের ছহীহ হাদীছকে কিয়াসের উপরে স্থান দিয়ে থাকেন (৪) তাঁরা সকল যুগের সকল আহলে সুন্নাত বিদ্বানকে শ্রদ্ধা করে থাকেন, কিন্তু কোন একজন নির্দিষ্ট মুজতাহিদের মাযহাব (School of thought)-এর তাকলীদ করেন না (৫) তাঁরা যুগ সমস্যার সমাধানে ইজতিহাদ বা শরীয়ত গবেষণার দুয়ার সকল যুগের সকল শরীয়ত অভিজ্ঞ যোগ্য আলিমের জন্য উন্মুক্ত বলে মনে করেন।

এক্ষণে উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলির আলোকে আমরা আহলে হাদীছ-এর নিম্নরূপ সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে পারি। যেমন "যারা সর্বাবস্থায় পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ হ'তে সরাসরি অথবা তার ভিত্তিতে প্রদত্ত ফায়ছালাকে সকল ব্যাপারে চুড়ান্ত সমাধান হিসাবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেন ও নিঃশর্তভাবে তা গ্রহণ করেন, তাঁদেরকে 'আহলেহাদীছ' বলা হয়।"

24/10/2024

আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আকীদা হচ্ছে,
১১- ঈমান বাড়ে ও কমে। কারণ ঈমান কথা ও কাজের সমষ্টিগত নাম। কথা ও কাজ কম বেশি হয়। সুতরাং ঈমান বাড়ে ও কমে। সেজন্য কুরআনে কারীমে ও রাসূলের হাদীসে ঈমান বাড়ে ও কমে বলা হয়েছে।

Address

Road No/03, Block/J
Mirpur
1216

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when SKC ইসলামের আলো posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to SKC ইসলামের আলো:

Videos

Share