https://www.youtube.com/channel/UCv3llWJHcVUhNq0_RiA660A

Naeem's Civil Note, Dhaka (2025)

21/12/2024

সব পথরই কি কন্সন্ট্রাকশন কাজে ব্যবহার করা যাবে?

21/12/2024

আজ ২১ ডিসেম্বর বছরের সবচেয়ে ছোট দিন।
এদিন পালিত হয় 'বিছানা না গোছানো দিবস'। একটু পরেই তো আবার লেপ-কম্বল মেলতে হবে। তাইতো ভাঁজ করে লাভ কী? 😺🐸

21/12/2024

কংক্রিটের ফ্লেক্সুরাল স্ট্রেংথ টেস্টঃ
====================
ফ্লেক্সুরাল স্ট্রেংথ টেস্ট হল কংক্রিট, বিটুমেন বা অন্যান্য উপাদানের বাঁকানোর (bending) সময় লোড-বহন ক্ষমতা নির্ধারণের একটি পদ্ধতি। এই পরীক্ষা উপাদানের নমনীয় শক্তি (Flexural Strength) বা মর্টার বা কংক্রিটের টেনসাইল শক্তি পরিমাপ করে। এটি রাস্তা, সেতু এবং অন্যান্য কাঠামোর নকশায় ব্যবহৃত হয়।

ফ্লেক্সুরাল স্ট্রেংথ টেস্টের উদ্দেশ্য

কংক্রিট বা অন্যান্য উপাদানের নমনীয় শক্তি পরিমাপ।
উপকরণের স্থায়িত্ব এবং লোড-বহন ক্ষমতা নির্ধারণ।
কাঠামোর ডিজাইন এবং লোডিং অবস্থার জন্য উপযুক্ততা যাচাই।
পরীক্ষার যন্ত্রপাতি

টেস্টিং মেশিন: ফ্লেক্সুরাল লোড প্রয়োগের জন্য।
প্রিজম স্যাম্পল: সাধারণত ১৫০ মিমি × ১৫০ মিমি × ৭৫০ মিমি আকারের।
লোডিং অ্যাপারেটাস: একক লোড বা দুই পয়েন্ট লোডিং মেথড।
ডায়াল গেজ: নমুনার বিকৃতি পরিমাপের জন্য।
পরীক্ষার প্রক্রিয়া

১. নমুনা প্রস্তুত করা
কংক্রিট প্রিজম সঠিকভাবে ঢেলে এবং নির্ধারিত আকারে কিউর করা হয়।
নমুনাটি ২৮ দিনের জন্য পানি বা আর্দ্র অবস্থায় কিউরিং করা হয়।
২. পরীক্ষার সেটআপ
টেস্টিং মেশিনে নমুনাটি স্থাপন করা হয়।
দুই পয়েন্ট লোডিং মেথডে নমুনার দুই প্রান্তে সাপোর্ট এবং মাঝখানে দুটি লোডিং পয়েন্ট প্রদান করা হয়।
লোড ধীরে ধীরে এবং নিয়মিত হারে প্রয়োগ করা হয়।
৩. লোড প্রয়োগ করা
নমুনায় ক্রমাগত লোড দেওয়া হয় যতক্ষণ না এটি ভেঙে যায়।
লোড ভাঙার সময়ে রেকর্ড করা হয়।
৪. ফলাফল নির্ধারণ
ফ্লেক্সুরাল স্ট্রেংথ গণনা করতে নিচের সূত্রটি ব্যবহৃত হয়:

Flexural Strength (R) = P × L/ b × d2

যেখানে,

R = ফ্লেক্সুরাল স্ট্রেংথ (MPa)
P = ভাঙার সময়ের লোড
L = সাপোর্টের মধ্যবর্তী দৈর্ঘ্য (mm)
b = প্রিজমের প্রস্থ (mm)
d = প্রিজমের গভীরতা (mm)
ফ্লেক্সুরাল স্ট্রেংথের আদর্শ মান

সাধারণ কংক্রিট: 3 - 5 MPa।
উচ্চ-শক্তির কংক্রিট: 5 MPa বা তার বেশি।
ব্যবহার

রাস্তা নির্মাণে:
রাস্তার কংক্রিটের টেনসাইল শক্তি যাচাই।
সেতু নির্মাণে:
সেতুর স্থিতিশীলতা এবং নমনীয়তা নিশ্চিত করা।

ল্যাবরেটরি টেস্ট:
নির্মাণের পূর্বে উপকরণের গুণমান পরীক্ষা।

সুবিধা
কংক্রিটের টেনসাইল শক্তি নির্ধারণে কার্যকর।
কাঠামোর স্থায়িত্ব এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে সহায়ক।
বিভিন্ন লোডিং শর্তের অধীনে কংক্রিটের পারফরম্যান্স পরীক্ষা।

সীমাবদ্ধতা
পরীক্ষাটি ল্যাবভিত্তিক এবং বাস্তব পরিবেশ পুরোপুরি অনুকরণ করে না।
নমুনার আকার এবং আর্দ্রতা ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারে।

21/12/2024

ভাইভার বেসিক প্রিপারেশন দেখে নিতে পারো আশাকরি কাজে দিবে। বিশেষ করে যারা এবার ডিপ্লোমা ৮ম পর্ব শেষ করেছো৷ তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ!

মনে করো হঠাৎ করে তোমার ভাইভা পড়ে গেলো। কোন রকম প্রিপারেশন না থাকে তাহলে নিম্নোক্ত পয়েন্টগুলো ফলো করতে পারো আশাকরি কাজে দিবে,

১. যে কোম্পানিতে যাবে তার প্রফাইলটা ভালো করে চোখ বুলিয়ে যাবে।

২. নিজের সম্পর্কে বলতে দিবে এটা ১০০% সুন্দর করে সাজিয়ে বলবে।

৩. ড্রেস কোড নিজের মতো করে পরিপাটি করে নিবে।

৪. কোন ডিপার্টমেন্টে এ ভাইবা দিতে যাবে। ঐ ডিপার্টমেন্ট কি? কাজ কি? ছোট খাটো বিষয়গুলো গুগল করে যাবে।

৫. বেসিক কিছু টার্ম গুগল করে চোখ বুলিয়ে যাবে।

৬. কথা বলার সময় চোখের দিকে তাকিয়ে নির্ভয়ে কনফিডেন্সের সাথে কথা বলবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৭. রেফারেন্স যদি কেউ থাকে তার নাম পদবী স্বরণ থাকে যেনো।

৮. সিনিয়রদের সাথে আগে পরামর্শ করে যাবে। ঐ ডিপার্টমেন্ট সম্পর্কে।

৯. সিভি প্রিন্ট করে নিয়ে যেতে যেন ভুল না হয়।

১০. আর আত্নবিশ্বাসী থাকবে। প্রশ্ন উল্টা পাল্টা আসতেই পারে। তোমার সাইকোলজি পরীক্ষা করার জন্য। সময় বুঝে সঠিক তথ্য দেবার চেষ্টা করবে।

সবার জন্য শুভ কামনা!

21/12/2024

প্রোক্টর কমপ্যাকশন টেস্টঃ
===============
প্রোক্টর কমপ্যাকশন টেস্ট হল একটি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষা, যা মাটির সর্বোচ্চ ঘনত্ব (Maximum Dry Density বা MDD) এবং সেই ঘনত্ব অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা (Optimum Moisture Content বা OMC) নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়। এই পরীক্ষা রাস্তা, বাঁধ এবং অন্যান্য নির্মাণ কাজের জন্য মাটির কমপ্যাকশন বৈশিষ্ট্য যাচাই করতে গুরুত্বপূর্ণ।

প্রোক্টর কমপ্যাকশন টেস্টের উদ্দেশ্যঃ

মাটির সর্বোচ্চ ঘনত্ব এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা নির্ধারণ।
মাটির লোড-বহন ক্ষমতা উন্নত করার জন্য সঠিক কমপ্যাকশন মান নির্ধারণ।
প্রকল্প এলাকায় মাটি ব্যবহারের উপযোগিতা যাচাই।
প্রোক্টর টেস্টের ধরণ

স্ট্যান্ডার্ড প্রোক্টর টেস্ট:
মাটিতে কম শক্তি প্রয়োগ করা হয়।
সাধারণ নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত।
মডিফাইড প্রোক্টর টেস্ট:
মাটিতে বেশি শক্তি প্রয়োগ করা হয়।
বিমানবন্দর রানওয়ে এবং ভারী লোড বহনকারী কাঠামোর জন্য ব্যবহৃত।
যন্ত্রপাতি

মোল্ড (Mold): ১০০০ মি.লিটার ক্ষমতার।
রামার (Rammer): স্ট্যান্ডার্ডের জন্য ২.৫ কেজি, মডিফাইডের জন্য ৪.৫ কেজি।
ব্যালেন্স: সঠিক ওজন পরিমাপের জন্য।
ওভেন: মাটি শুকানোর জন্য।
স্প্যাটুলা এবং ট্রে।
পরীক্ষার প্রক্রিয়া

১. মাটি প্রস্তুত করা
মাটি শুকিয়ে বড় কণাগুলো (৪.৭৫ মিমি এর বেশি) অপসারণ করা হয়।
মাটিতে বিভিন্ন মাত্রায় পানি মিশিয়ে আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
২. মোল্ডে মাটি ভরাট করা
মোল্ডটি তিন বা পাঁচটি স্তরে ভরা হয়।
প্রতিটি স্তরে রামারের সাহায্যে নির্দিষ্ট সংখ্যক আঘাত দিয়ে মাটি কমপ্যাক্ট করা হয়।
স্ট্যান্ডার্ড প্রোক্টর: প্রতি স্তরে ২৫টি আঘাত।
মডিফাইড প্রোক্টর: প্রতি স্তরে ৫৬টি আঘাত।
৩. মোল্ড থেকে মাটি বের করা
কমপ্যাক্ট মাটির ঘনত্ব এবং আর্দ্রতা পরিমাপের জন্য মাটি মোল্ড থেকে বের করা হয়।
৪. শুকনো ঘনত্ব নির্ধারণ করা
মোল্ডে ভরা মাটির ওজন মাপা হয়।
মাটির আর্দ্রতা নির্ধারণ করতে ওভেনে শুকানো হয়।
শুকনো ঘনত্ব (Dry Density) বের করতে নিচের সূত্রটি ব্যবহার করা হয়:
Dry Density = Bulk Density/ 1+ Moisture Content

পরীক্ষার ফলাফলঃ

১. গ্রাফিকাল উপস্থাপনা
x-অক্ষ: আর্দ্রতার শতাংশ (% Moisture Content)।
y-অক্ষ: শুকনো ঘনত্ব (Dry Density, gm/cm³)।
গ্রাফের শীর্ষবিন্দু থেকে সর্বোচ্চ শুকনো ঘনত্ব (MDD) এবং আদর্শ আর্দ্রতা (OMC) নির্ধারণ করা হয়।

২. ফলাফল বিশ্লেষণ
MDD: মাটি কতটা ঘন করা যায় তা বোঝায়।
OMC: মাটির সর্বোচ্চ ঘনত্বের জন্য প্রয়োজনীয় পানি।

প্রোক্টর টেস্টের ব্যবহার

রাস্তা এবং বাঁধ নির্মাণে।
স্ল্যাব ভিত্তি এবং ভিত্তি স্তর নকশায়।
মাটির শক্তি উন্নয়নে সঠিক পানি ও কমপ্যাকশন পদ্ধতি নির্ধারণ।

21/12/2024

গ্রেডেশন টেস্ট এর বিস্তারিতঃ
=================
গ্রেডেশন টেস্ট হল নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত উপকরণ যেমন বালি, পাথর, বা কংক্রিটের উপাদানগুলোর আকারের বন্টন (particle size distribution) নির্ধারণের একটি পরীক্ষা। এটি নিশ্চিত করে যে উপকরণটি নির্মাণে ব্যবহারের জন্য মানসম্মত কি না।

নিচে গ্রেডেশন টেস্টের বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হলো:

গ্রেডেশন টেস্টের উদ্দেশ্যঃ
কংক্রিট বা রাস্তার কাজের জন্য উপযুক্ত উপকরণ নির্বাচন করা।
উপকরণের আকারের বন্টন সঠিক কি না তা যাচাই করা।
কংক্রিট, অ্যাসফাল্ট মিক্সচার বা রাস্তার স্তরে উপকরণের
কার্যকারিতা নিশ্চিত করা।
মিক্স ডিজাইনের জন্য উপকরণের আকার নির্ধারণ।
প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি

সিভ সেট (Sieve Set): বিভিন্ন আকারের জালের (mesh) চালনি।
ওজন মাপার যন্ত্র: উপকরণের ওজন সঠিকভাবে মাপার জন্য।
মেকানিক্যাল শেকার: চালনিগুলোতে উপকরণ ঝাঁকানোর জন্য।
ওভেন: উপকরণ শুকানোর জন্য।
ট্রে এবং ব্রাশ: পরীক্ষার সময় পরিষ্কার করার জন্য।

পরীক্ষার প্রক্রিয়াঃ
১. নমুনা প্রস্তুত করা
উপকরণ শুকনো এবং নির্দিষ্ট ওজনের (সাধারণত ৫০০ গ্রাম থেকে ৫ কেজি)।
ওভেনে শুকিয়ে আর্দ্রতা সরিয়ে নেওয়া হয়।

২. চালনি (Sieve) সেটআপ করা
চালনিগুলো আকার অনুযায়ী সাজানো হয়, যেখানে বড় গর্ত উপরে এবং ছোট গর্ত নিচে।
সাধারণ চালনিগুলোর আকার:
40 mm, 20 mm, 10 mm, 4.75 mm, 2.36 mm, 1.18 mm, 600 µm, 300 µm, 150 µm।

৩. উপকরণ ঝাঁকানো (Sieving Process)
শুকনো উপকরণ সিভ সেটের উপরে রাখা হয়।
মেকানিক্যাল শেকার বা হাতে চালনিগুলো ঝাঁকানো হয় (সাধারণত ১০-১৫ মিনিট)।

৪. চালনিতে থাকা উপকরণের ওজন মাপা
প্রতিটি চালনিতে আটকে থাকা উপকরণ আলাদা করে ওজন করা হয়।
নিচের ট্রেতে জমা হওয়া উপকরণেরও ওজন নেওয়া হয়।

৫. আকারের বন্টন নির্ধারণ
প্রতিটি চালনিতে থাকা উপকরণের ওজন শতাংশ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।
গ্রাফে আকারের বন্টন প্রদর্শন করা হয়।

গ্রেডেশন টেস্টের ফলাফল নির্ধারণঃ
১. কিউমুলেটিভ শতাংশ গণনা
প্রতিটি চালনিতে জমা হওয়া উপকরণের ওজনের শতকরা হার নির্ণয় করা হয়।
কিউমুলেটিভ পার্সেন্টেজ ফাইনার (Cumulative Percentage Finer) বের করা হয়।

২. গ্রাফ তৈরি
x-অক্ষ: চালনির আকার (log scale)।
y-অক্ষ: কিউমুলেটিভ শতাংশ।

৩. গ্রেডেশন অনুযায়ী শ্রেণিবিন্যাস
ওয়েল গ্রেডেড: সব আকারের কণার সুষম মিশ্রণ।
পুয়ারলি গ্রেডেড: কিছু নির্দিষ্ট আকারের কণার আধিক্য।
গ্যাপ গ্রেডেড: কিছু আকার সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।

গ্রেডেশন টেস্টের ধরণঃ
কোর্স এগ্রিগেটের জন্য: পাথর বা বড় কণার উপকরণ।
ফাইন এগ্রিগেটের জন্য: বালি বা ছোট কণার উপকরণ।
ফুলার গ্রেডেশন (Fuller’s Curve): মিক্সচারের আদর্শ আকার নির্ধারণ।

গ্রেডেশন টেস্টের ব্যবহার ও মানদণ্ডঃ
রাস্তা নির্মাণ:
উপকরণ সঠিকভাবে কমপ্যাক্ট এবং স্থিতিশীল হওয়া নিশ্চিত করা।
কংক্রিট:
ফাঁকা স্থান (voids) কমানো এবং শক্তি বৃদ্ধি করা।
ড্রেনেজ উপকরণ:
পানির প্রবাহ নিশ্চিত করা।

সুবিধাঃ
মিক্স ডিজাইন সঠিকভাবে নির্ধারণ।
উপকরণের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা।
নির্মাণ কাজের গুণগত মান বাড়ানো।

সীমাবদ্ধতাঃ
সময়সাপেক্ষ এবং সতর্কভাবে করতে হয়।
মেকানিক্যাল শেকার না থাকলে নির্ভুলতা কমে যেতে পারে।

21/12/2024

ক্যালিফোর্নিয়া বেয়ারিং রেশিও (CBR) টেস্ট এর বিস্তারিতঃ
====================================
ক্যালিফোর্নিয়া বেয়ারিং রেশিও (CBR) টেস্ট হল মাটির শক্তি এবং রাস্তা নির্মাণে ভিত্তি স্তরের লোড বহন করার ক্ষমতা নির্ধারণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। এটি প্রধানত সড়ক নির্মাণ ও রেলওয়ের সাবগ্রেড উপাদানের উপযুক্ততা মূল্যায়নের জন্য ব্যবহৃত হয়। নিচে এই পরীক্ষার বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলোঃ

CBR টেস্টের উদ্দেশ্যঃ
মাটির লোড-বহন করার ক্ষমতা নির্ধারণ করা।
রাস্তার সাবগ্রেড, সাববেস, এবং বেস লেয়ারের নকশা নিশ্চিত করা।
উপকরণের স্তরের মান এবং কার্যকারিতা যাচাই করা।

CBR টেস্টের প্রক্রিয়াঃ
১. স্যাম্পল প্রস্তুতকরণ
মাটি শুকিয়ে সঠিক আর্দ্রতা মিশিয়ে (Proctor compaction test অনুযায়ী) নমুনা প্রস্তুত করা হয়।
প্রস্তুতকৃত নমুনা একটি সিলিন্ডার টেস্ট মোল্ডে রাখা হয়।
নমুনাটি নির্ধারিত আর্দ্রতায় এবং ঘনত্বে কমপ্যাক্ট করা হয়।

২. প্লাঞ্জার প্রবেশ করানোর পদ্ধতি
একটি ধাতব প্লাঞ্জার (diameter: 50 mm) মাটির উপর প্রয়োগ করা হয়।
প্লাঞ্জার ১.২৫ mm প্রতি মিনিটের হারে মাটিতে ঢুকতে থাকে।
বিভিন্ন প্রবেশতার স্তরে (pe*******on level) লোড পরিমাপ করা হয়। সাধারণত ২.৫ mm এবং ৫ mm স্তরে লোড নেওয়া হয়।

৩. লোডের মান পরিমাপ
প্লাঞ্জার প্রবেশ করার সময় লোড একটি ডায়াল গেজের মাধ্যমে পরিমাপ করা হয়।
লোডের মান গ্রাফ আকারে লিপিবদ্ধ করা হয়।

CBR এর গণনা পদ্ধতিঃ
CBR এর মান নির্ণয় করার জন্য নিচের সূত্রটি ব্যবহার করা হয়:

CBR (%) = (মাপা লোড (Test Load)/ স্ট্যান্ডার্ড লোড (Standard Load) × 100

স্ট্যান্ডার্ড লোডঃ
২.৫ mm প্রবেশতার জন্য: ১৩৭০ কেজি।
৫ mm প্রবেশতার জন্য: ২০৫৫ কেজি।

উদাহরণঃ
যদি ২.৫ mm প্রবেশতার সময় লোড হয় ৪০০ কেজি, তাহলে

CBR = ( 400/1370) × 100 = 29.2 %

CBR টেস্টের ধরণ
ল্যাবরেটরি টেস্ট:
মাটি মোল্ডে কমপ্যাক্ট করে পরীক্ষা করা হয়।

ফিল্ড টেস্ট:
সরাসরি প্রকল্প এলাকায় পরীক্ষা করা হয়।
CBR টেস্টের ব্যবহার ও মানদণ্ড
CBR > 80%: চমৎকার মানের উপাদান (বেস লেয়ার)।
CBR 20%-80%: মাঝারি মানের মাটি বা সাববেস।
CBR < 20%: দুর্বল মানের মাটি, যা উন্নয়ন প্রয়োজন।

CBR টেস্টের সুবিধাঃ
সহজ এবং নির্ভরযোগ্য।
রাস্তা ও রেলপথের নকশায় সঠিক ডেটা প্রদান করে।
বিভিন্ন স্তরের মাটির উপযোগিতা দ্রুত নির্ণয় করে।

CBR টেস্টের সীমাবদ্ধতাঃ
শুধুমাত্র লোড-বহন ক্ষমতা নির্ধারণ করে, রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য নয়।
আর্দ্রতা এবং ঘনত্ব পরিবর্তনের সাথে ফলাফল পরিবর্তিত হতে পারে।

20/12/2024

রিইনফোর্সমেন্টের কাজে কভার ব্লক ব্যবহার করা হয়?
=================================
রিইনফোর্সমেন্টের কাজে কভার ব্লক ব্যবহার করার প্রধান কারণ হলো স্টিল রড বা রিইনফোর্সমেন্টকে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা এবং কাঠামোগত শক্তি প্রদান করা। নিচে বিস্তারিত কারণগুলো উল্লেখ করা হলো:

১. রডকে ক্ষয় বা মরিচা (Corrosion) থেকে রক্ষা করা:
কংক্রিটের বাইরে থাকা পরিবেশে আর্দ্রতা, পানি, এবং রাসায়নিক পদার্থ সরাসরি রডের সংস্পর্শে এলে তা মরিচা ধরতে পারে।
কভার ব্লক রডকে কংক্রিটের মধ্যে নির্দিষ্ট গভীরতায় ধরে রাখে, যা রডকে এই ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে সুরক্ষা দেয়।
২. কাঠামোর স্থায়িত্ব বৃদ্ধি:
রড এবং কংক্রিটের মধ্যে ভালো সংযোগ নিশ্চিত করতে কভার ব্লক ব্যবহৃত হয়।
এটি কাঠামোর স্থায়িত্ব বাড়ায় এবং লোড বহনে সক্ষম করে।
৩. অগ্নি প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:
কংক্রিট একটি অগ্নি প্রতিরোধী উপাদান। কভার ব্লক রডকে কংক্রিটের মধ্যে গভীরে ধরে রাখে, যা অগ্নিকাণ্ডের সময় রডকে গলতে বা দুর্বল হতে বাধা দেয়।
৪. সঠিক অবস্থান নিশ্চিত করা:
কভার ব্লক রডকে নির্ধারিত স্থানে ধরে রাখে, যাতে রড শাটারিং বা কাঠামোর বাইরে চলে না যায়।
এটি কাঠামোর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৫. প্রকৌশলগত নীতিমালা অনুসরণ:
রডের জন্য নির্ধারিত কভারিং (যেমন: ২০ মিমি, ২৫ মিমি) নির্মাণ নীতিমালার অংশ। কভার ব্লক এই নিয়ম মেনে কাজ সম্পন্ন করতে সাহায্য করে।
৬. পরিবেশগত ক্ষতি থেকে সুরক্ষা:
বিশেষত লবণাক্ত পানি বা রাসায়নিক পরিবেশে রডের টেকসই স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে কভার ব্লক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৭. শাটারিংয়ে ভারসাম্য বজায় রাখা:
ঢালাইয়ের সময় রডকে সঠিক স্থানে ধরে রাখতে কভার ব্লক ব্যবহৃত হয়, যা শাটারিং প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করে।
সাধারণ কভার ব্লকের সাইজ:
কভার ব্লকের সাইজ কাঠামোর ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে:

স্ল্যাবের জন্য: ২০-২৫ মিমি
বিমের জন্য: ২৫-৩০ মিমি
কলামের জন্য: ৩০-৪০ মিমি
ফাউন্ডেশনের জন্য: ৪০-৭৫ মিমি

20/12/2024

টিচার হিসাবে নতুন সেমিষ্টারের জন্য প্রস্তুতি!

20/12/2024

সাধারণ ইটের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করি পরিবেশ বান্ধব ইট।

20/12/2024

স্টিরাপের বিস্তারিত আলোচনাঃ
===================
স্টিরাপঃ কলাম বা বীমের প্রধান রড গুলোকে খাচাঁর মধ্যে আটকে রাখার জন্য প্রধান রডের ডায়ার চেয়ে কম ডায়ার রড দিয়ে নির্মিত বিভিন্ন আকৃতির বন্ধনিকে প্রকৌশলীক ভাষায় স্ট্রীরাপ,টাই,শেয়ার রিইনফোর্সমেন্ট,ওয়েব রিইনফোর্সমেন্ট, আর প্রচলিত ভাষায় চুড়ি,রিং ইত্যাদি বলে থাকে।

দেয়ার কারনঃ উল্লম্ব বিভক্তি প্রতিরোধ করার জন্য এবং অনুদৈর্ঘ্য স্টিল বারকে স্থিতিশীল রাখতে স্টিরাপ সরবরাহ করা হয়। স্টিরাপ বক্রীয় বিভক্তি ও তির্যক প্রসারণ ফাটল ধরতে প্রতিরোধ করে।

স্ট্রীরাপ এর পরিমাপঃ সহজে বোঝার জন্য একটা রেক্টেংগুলার বীমের স্ট্রীরাপ ধরে হিসেব করি।আমরা বই পুস্তকে স্ট্রীরাপের দৈর্ঘ্য বের করা শিখেছি ২(গভীরতা+প্রস্থ) + ৩০ সেঃমিঃ তাই না?? বাস্তবে এই পরিমাপে রড কর্তন করলে তা কখনোই মিলবে না

★স্ট্রীরাপ রডের কাটিং দৈর্ঘ্যে বাস্তব ভিত্তিক হবে সুত্র = ২(বীমের গভীরতা +বীমের প্রস্খ্য) +(২* হুক) - হুকের বেন্ড রিডাকশন।
বীমের প্রকৃত গভীরতা = বীমের গভীরতা -(২*ক্লীয়ার কভার)-(২* ব্যবহৃত রডের ডায়ার অর্ধেক)
তদ্রুপ প্রস্থটাও একি রকম হবে।

★বেন্ডের জন্য বিয়োগঃ স্ট্রীরাপ তৈরীর সময় হুক সহ ৫ টি " কোন" তৈরী হয় এই কোন করার সময় রড বেন্ড বরাবর বৃদ্ধি পেয়ে বেড়ে যায় একে রডের এলোংগেশন বলে।

★গুরুত্বপূর্ন তথ্যঃ স্ট্রীরাপ তৈরীর সময় হুক বা ডেভেলপমেন্ট লেন্থ এর পরিমাপ সুত্র ১০ ডি তবে বীম বা স্টেইট রডের ক্ষেত্রে ১২ ডি যেখানে ডি মানে ব্যবহৃত রডের ডায়া সে হিসেবে ডায়ার ১০ বা ১২ গুন কিন্তু কোড অনুসারে এটা ৭৫ মিমি নির্ধারিত এটা ব্যপার নয় একটা ধরলেই হবে।
বেন্ড বা হুকের জন্য রড এর প্রসারন ধরা হয়
৪৫ ডিগ্রির জন্য ১ ডি [ ডি = রডের ডায়া]
৯০ ডিগ্রির জন্য ২ ডি
১৩৫ ডিগ্রির জন্য ৩ ডি
১৮০ এর জন্য ১ ডি।
এই তথ্য মনে রাখতে হবে যেখানেই রড বেন্ড হবে সেখানেই এই হারে রিডাকশন।

★উদাহরনঃ ধরি একটি বীমের গভীরতা ৪৫০ মিমি, প্রস্খ্য ৩০০ মিমি,ক্লিয়ার কভার ২৫ মিমি এবং স্ট্রীরাপ রডের ডায়া ৮ মিমি তাহলে একটি স্ট্রীরাপ রডের দৈর্ঘ্য বের করুন।

★সলিউশনঃ স্ট্রীরাপ রডের কাটিং দৈর্ঘ্য হবে = ২(বীমের গভীরতা + বীমের প্রস্খ্য) +(২* হুক) - হুকের বেন্ড রিডাকশন।.........(১) নং সুত্র

★তার পুর্বে বের করতে হবে
বীমের প্রকৃত গভীরতা b = বীমের গভীরতা -(২*ক্লীয়ার কভার)-(২* ব্যবহৃত রডের ডায়ার অর্ধেক) [মান বসিয়ে]
=৪৫০ মিমি - (২*২৫মিমি)-(২*৮মিমি/২)
= ৩৯২ মিমি
অনুরুপ
বীমের প্রকৃত প্রস্থঃ a = ৩০০ -(২*২৫)-(২*৮/২)
= ২৪২ মিমি
হুক এর দৈর্ঘ্য ১০ ডি মানে ১০ * ব্যবহৃত রডের ডায়া = (১০*৮) মিমি বা ৮০ মিমি

★ বেন্ড এর জন্য রড বৃদ্ধি
এই স্ট্রীরাপে চিত্র মত ৯০ ডিগ্রি বেন্ড ৩ টি এবং ১৩৫ ডিগ্রি বেন্ড ২ টি আমরা সুত্রে শিখেছি ৯০ এর জন্য ২ ডি আর ১৩৫ এর জন্য ৩ ডি তাহলে
৯০ এর জন্য ৩টি বেন্ড *২*৮মিমি = ৪৮ মিমি
১৩৫ এর জন্য ২টি বেন্ড *৩*৮মিমি= ৪৮মিমি
এবার সব মান পেয়ে গেলাম সেই মোতাবেক
স্ট্রীরাপ রডের কাটিং দৈর্ঘ্য হবে = ২(বীমের গভীরতা + বীমের প্রস্খ্য) +(২* হুক) - হুকের বেন্ড রিডাকশন।[ মানগুলো বসিয়ে পাই]
=২(৩৯২+২৪২)+(২*১০*৮)-(৪৮+৪৮)
= ১৩৩২ মিমি অর্থাৎ প্রতিটি স্ট্রীরাপ রডের দৈর্ঘ্য হবে ১৩৩২ মিমি

20/12/2024

বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ একদম কাছ থেকে দেখা। অবশ্যই সেফটি ব্যারিয়ারের মধ্যে থেকে!

20/12/2024

কন্সট্রাকশন সাইট সুপারভিশনের বেসিক বিষয়গুলো যা জানা জরুরিঃ
======================================
কন্সট্রাকশন সাইট সুপারভিশন হলো নির্মাণ কাজের তদারকি এবং পরিচালনা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা নিশ্চিত করে যে কাজ সঠিক মান, সময় এবং বাজেট অনুযায়ী সম্পন্ন হচ্ছে।

মূল দায়িত্বসমূহ:
১. প্রকল্পের পরিকল্পনা তদারকি:
নির্মাণ কাজের পরিকল্পনা, ডিজাইন এবং অঙ্কন অনুসারে কাজ হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করা।
শিডিউল অনুযায়ী কাজের অগ্রগতি নিশ্চিত করা।

২. উপকরণ এবং সরঞ্জাম ব্যবস্থাপনা:
নির্মাণে ব্যবহৃত উপকরণের মান যাচাই করা (যেমন: সিমেন্ট, রড, বালু)।
প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি ঠিকমতো ব্যবহার হচ্ছে কিনা দেখা।

৩. কর্মীদের তদারকি:
সাইটে মজদুর, মিস্ত্রি এবং প্রকৌশলীদের কাজ সঠিকভাবে পরিচালনা করা।
কাজের নিরাপত্তা এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

৪. কাঠামোগত গুণমান নিশ্চিতকরণ:
নির্মাণ কাজ প্রকৌশল নীতিমালা এবং স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী সম্পন্ন হচ্ছে কিনা তা যাচাই করা।
প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলো (যেমন: কংক্রিট স্ল্যাম্প টেস্ট, রডের টেনসাইল টেস্ট) করা।

৫. নিরাপত্তা তদারকি:
সাইটের নিরাপত্তা বিধি মানা হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা।
সাইটে দুর্ঘটনা এড়াতে পূর্ব সতর্কতা নেওয়া।

৬. প্রগতি রিপোর্ট তৈরি:
দৈনিক, সাপ্তাহিক বা মাসিক কাজের রিপোর্ট তৈরি এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে উপস্থাপন করা।

৭. সমস্যা সমাধান:
সাইটে উদ্ভূত যেকোনো সমস্যা দ্রুত সমাধান করা (যেমন: নকশা সংক্রান্ত সমস্যা, উপকরণ ঘাটতি)

৮. বাজেট এবং ব্যয় নিয়ন্ত্রণ:
কাজের খরচ নির্ধারিত বাজেটের মধ্যে রাখার চেষ্টা করা।
অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়ানো।

৯. পরীক্ষা ও হস্তান্তর:
কাজ শেষ হওয়ার পরে পুরো নির্মাণকাজ পরীক্ষা করে তা মালিকের কাছে হস্তান্তর করা।

20/12/2024

কংক্রিট ঢালাইের প্রস্তুতিঃ
===============
কংক্রিট ঢালাইয়ের প্রস্তুতি সঠিকভাবে করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি নির্মাণ কাজের গুণগত মান ও স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। ঢালাইয়ের প্রস্তুতির ধাপগুলো নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো:

১. স্থান প্রস্তুতি (Site Preparation)
(ক) পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা:

ঢালাইয়ের স্থান থেকে ময়লা, ধূলা, গাছপালা, ইটের টুকরা বা যেকোনো আবর্জনা পরিষ্কার করুন।
নিশ্চিত করুন স্থান শুকনো এবং সমান।
(খ) শাটারিং (Shuttering):

কাঠ, স্টিল বা প্লাস্টিকের শাটারিং ব্যবহার করে কাঠামো তৈরি করুন।
শাটারিং ফাঁক বা লিকপ্রুফ হতে হবে যাতে কংক্রিট বের হয়ে না যায়।
শাটারিংয়ের অভ্যন্তরে তেল বা গ্রীজ ব্যবহার করুন যাতে কংক্রিট জমে যাওয়ার পর এটি সহজে খুলে ফেলা যায়।
(গ) বেস লেভেল চেক করা:

নিশ্চিত করুন জায়গার লেভেল সঠিকভাবে ঠিক আছে এবং প্রয়োজনীয় ঢাল (Slope) আছে।
২. রিইনফোর্সমেন্ট রড স্থাপন (Reinforcement Placement)
(ক) রডের গ্রেড:

সঠিক গ্রেডের রড (Fe 415, Fe 500) ব্যবহার করুন।
রড পরিষ্কার এবং মরিচা মুক্ত থাকতে হবে।
(খ) রড কাটিং এবং বাঁধাই (Cutting & Binding):

সঠিক মাপ অনুযায়ী রড কেটে নিন।
বেঁধে রাখার জন্য বাইন্ডিং ওয়্যার (Binding Wire) ব্যবহার করুন।
(গ) কভার ব্লকের ব্যবহার:

রডের চারপাশে কাঠামোগত কংক্রিটের সুরক্ষার জন্য কভার ব্লক রাখুন।
সাধারণত ২০-৫০ মিমি কভার দেওয়া হয়।
৩. উপকরণ প্রস্তুতি (Material Preparation)
(ক) সিমেন্ট:

ভালো মানের সিমেন্ট ব্যবহার করুন (যেমন: OPC বা PPC)।
সিমেন্টের মেয়াদ পরীক্ষা করুন।
(খ) বালু:

মাঝারি দানার এবং পরিষ্কার নদীর বালু ব্যবহার করুন।
ময়লা ও মাটি মুক্ত হতে হবে।
(গ) খোয়া:

পরিষ্কার এবং সঠিক আকারের পাথর (খোয়া) ব্যবহার করুন (২০ মিমি বা ১০ মিমি)।
(ঘ) পানি:

পানির গুণগত মান ভালো হতে হবে; এটি পানির মানের জন্য উপযোগী (Potable Water) হতে হবে।
(ঙ) মিশ্রণ অনুপাত:

সঠিক মিক্সিং রেশিও (যেমন: ১:২:৪ বা ১:১.৫:৩) ব্যবহার করুন।
১ = সিমেন্ট
২ = বালু
৪ = খোয়া
৪. কংক্রিট মিশ্রণ (Concrete Mixing)
(ক) ম্যানুয়াল মিক্সিং (Hand Mixing):

প্রথমে বালু ও সিমেন্ট মিশিয়ে নিন।
এরপর খোয়া এবং পানি যোগ করে ভালোভাবে মেশান।
(খ) মেশিন মিক্সিং (Machine Mixing):

কংক্রিট মিক্সার মেশিন ব্যবহার করুন।
উপকরণ নির্ধারিত পরিমাণে দিয়ে ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি করুন।
(গ) রেডিমিক্স কংক্রিট (RMC):

বড় প্রকল্পের জন্য রেডিমিক্স কংক্রিট সরাসরি ব্যবহার করা যায়।
৫. ঢালাইয়ের আগে প্রস্তুতি (Pre-pouring Preparation)
প্ল্যাটফর্ম পানি ছিটিয়ে ভিজিয়ে নিন যাতে কংক্রিট শুষ্ক অবস্থায় না থাকে।
শাটারিং সঠিকভাবে স্থাপন হয়েছে কিনা চেক করুন।
রডের অবস্থান এবং কাঠামো ঠিক আছে কিনা যাচাই করুন।
৬. ঢালাই কার্যক্রম (Pouring Process)
(ক) পর্যায়ক্রমে ঢালাই:

কংক্রিট ধাপে ধাপে ঢালুন এবং প্রতিটি স্তর সমানভাবে বসান।
সরাসরি উচ্চতা থেকে ঢালাই করবেন না।
(খ) কম্প্যাকশন (Compaction):

ভাইব্রেটর মেশিন ব্যবহার করে কংক্রিট ভালোভাবে কম্প্যাক্ট করুন।
নিশ্চিত করুন কোনো ফাঁকা বা বুদবুদ নেই।
(গ) লেভেলিং:

কাঠামোর উপরের অংশ সঠিক লেভেলে সমান করুন।
৭. ঢালাইয়ের পর কার্যক্রম (Post-pouring Activities)
(ক) কারিং (Curing):

ঢালাইয়ের ২৪ ঘণ্টা পরে কারিং শুরু করুন।
পানি ছিটিয়ে ঢালাইকে ভেজা রাখুন কমপক্ষে ৭-২৮ দিন।
(খ) শাটারিং অপসারণ:

নির্ধারিত সময় শেষে শাটারিং খুলুন।
স্ল্যাব: ১৪-২১ দিন
কলাম: ৭-১০ দিন
(গ) ফিনিশিং কাজ:

ফিনিশিং পৃষ্ঠ মসৃণ করুন।
৮. মান যাচাই (Quality Check)
স্ল্যাম্প টেস্ট এবং কম্প্রেসিভ স্ট্রেংথ টেস্টের মাধ্যমে কংক্রিটের গুণমান নিশ্চিত করুন।

20/12/2024

নির্মাণ কাজে রিইনফোর্সমেন্ট(রড) চেনার উপায়ঃ
===============================
নির্মাণ কাজে রিইনফোর্সমেন্ট রড বা স্টিল বার চেনার জন্য নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে পারেন:

1. রডের চিহ্ন বা মার্কিং
বেশিরভাগ রডের গায়ে মিল মার্কিং বা কোড থাকে, যা কোম্পানির নাম বা আইএসআই (ISI) স্ট্যান্ডার্ড নির্দেশ করে।
উদাহরণ: SAIL, TATA, BSRM, KSRM ইত্যাদি।

2. ডায়ামিটার (Diameter) পরীক্ষা
রডের আকার চেনার সহজ পদ্ধতি হলো ডায়ামিটার মাপা। সাধারণ ডায়ামিটার:
৬ মিমি (mm)
৮ মিমি
১০ মিমি
১২ মিমি
১৬ মিমি
২০ মিমি ইত্যাদি।

3. গ্রেড পরীক্ষা
রডের মান চেনার জন্য গ্রেড চেক করতে হয়। যেমন:
Fe 415: সাধারণ নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত।
Fe 500: বেশি শক্তিশালী নির্মাণে।
Fe 550/600: ভারী নির্মাণকাজ।

4. রডের প্যাটার্ন বা রিব (Rib Pattern)
রডের পৃষ্ঠে থাকা রিব বা খাঁজগুলো লক্ষ্য করুন। এগুলো গ্রিপ বা আঁকড়ে ধরার জন্য সাহায্য করে।
মানসম্পন্ন রডের রিব প্যাটার্ন সঠিকভাবে নির্মিত এবং সমান থাকে।

5. ওজন পরীক্ষা
নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্যের জন্য রডের ওজন চেক করুন।

6. মোচড় বা নমন ক্ষমতা
রড মোচড় দিলে যদি ভেঙে যায় বা ফাটল দেখা দেয়, তবে তা নিম্নমানের।
ভালো মানের রড নমনীয় এবং সহজে ভাঙে না।

7. রঙ ও ফিনিশিং
গুণগত রড সাধারণত চকচকে ধূসর রঙের হয় এবং জং বা দাগ কম থাকে।
নিম্নমানের রডে মরিচা বা অনুজ্জ্বল ফিনিশিং দেখা যায়।

8. তাপ সহনশীলতা
স্ট্যান্ডার্ড রড তাপের মধ্যে স্থিতিস্থাপক থাকে। এটি পরীক্ষাগারে পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করা হয়।

9. ল্যাব টেস্ট (প্রয়োজনে)
টেনসাইল স্ট্রেংথ টেস্ট (Tensile Strength Test)।
বেন্ড টেস্ট এবং রিকোয়েল টেস্ট।
এসব পরীক্ষা নিশ্চিত করে রডের শক্তি ও নমনীয়তা।

10. বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড নির্বাচন
ব্র্যান্ডের মানের ওপর বিশ্বাস রাখুন। বাজারে পরিচিত ব্র্যান্ডের রড কিনুন।

20/12/2024

SPT টেস্ট ও বিয়ারিং ক্যাপাসিটি নির্নয় বিস্তারিতঃ

Standard Pe*******on Test (SPT) কি?

গতিশীল অথবা স্থীর লোড প্রয়োগের মাধ্যমে মাটির পেনিট্রেশন প্রতিবন্ধকতা পরিমাপ করতে যে পরীক্ষা করা হয় তাকে Pe*******on Test বলে। সাধারণত বালি মাটির
ভারবহন ক্ষমতা নির্ণয়ের জন্য যে পরীক্ষা করা হয় তাকে Standard Pe*******on Test (আদর্শ পেনিট্রেশন পরীক্ষা) বলে।

কেন করা হয় ??
===========
মাটির পেনিট্রেশন প্রতিবন্ধকতা পরিমাপ এবং বালি মাটির ভারবহন ক্ষমতা নির্ণয়ের জন্য Standard Pe*******on Test করা হয়।

Standard Pe*******on Test পদ্ধতি
=========================
এ পরীক্ষার জন্য পেনিট্রোমিটার নামক স্পিলিট ব্যারেল নমুনা সংগ্রাহক ব্যবহার করা হয়। একটি 50 mm বাহিরের এবং 35 mm
ভিতরের ব্যাস বিশিষ্ট ফাঁপা স্টীল পাইপকে স্পিলিট ব্যারেল বা স্পিলিট স্পুন নমুনা সংগ্রাহক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এর দৈর্ঘ্য 60 cm এর কম নয়।
প্রথমে মাটিতে 55 mm থেকে 150 mm ব্যাস বিশিষ্ট একটি গর্ত করা হয় এবং ড্রিল রডের সাথে স্পিলিট ব্যারেল নমুনা সংগ্রাহকটি যুক্ত করে গর্তের নিচের প্রান্তে স্থাপন করা
হয়। তারপর 65 kg ওজনের হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে নমুনা সংগ্রাহকটিকে মাটির অভ্যন্তরে কমপক্ষে 60 cm প্রবেশ করানো হয়। হাতুড়িকে 75 cm উপর হতে মিনিটে 30
বার হয়। প্রথম 15 cm প্রবেশ করাতে আঘাতের সংখ্যা হিসাব করা হয় না। বাকি 30 cm প্রবেশ করাতে আঘাতের সংখ্যা হিসাব করা হয়। এ 30 cm প্রবেশ করাতে আঘাতের
সংখ্যাকে পেনিট্রেশন রেজিস্ট্যান্স (Pe*******on Resistance) বলে। একে N দ্বারা প্রকাশ করা হয়।

SPT value এর Correction করার কারণঃ
===========================
সূক্ষ্ম বালি বা পলিযুক্ত বালি মাটি পানি তলের নিচে অবস্থিত হলে Pe*******on Resistance বেশি পাওয়া যায়। টারজাগী এবং
পেক বলেছেন, যদি Pe*******on Resistance এর মান 15 এর বেশি হয় তবে নিম্নের সূত্রের সাহায্যে একটি সমতুল্য পেনিট্রেশন রেজিস্ট্যান্স এর মান নির্ণয় করা হয়।
সমতুল্য পেনিট্রেশন রেজিস্ট্যান্স, Ne = 15+½(N-15)

SPT থেকে বিয়ারিং ক্যাপাসিটি নির্ণয়ঃ
=======================

এস.পি.টি বা স্ট্যান্ডার্ড পেনিট্রেশন টেষ্ট থেকে মাটির বিয়ারিং ক্যাপাসিটি নির্ণয় করা যায়।

’s সুত্র:

ফুটিং এর চওড়া চার ফুট বা এর চেয়ে কম হলে
Qa = (N/4) *K

ফুটিং এর চওড়া চার ফুটের বেশি হলে
Qa = (N/6)[(B+1)/B]2*K

’ সুত্র:

চওড়া চার ফুটের কম হলে
Qa = (N/2.5) * K

ফুটিং এর চওড়া চার ফুটের বেশি হলে
Qa = (N/4)[(B+1)/B]2* K
Qa: এলাওয়াবল বিয়ারিং ক্যাপাসিটি (কিলো পাউন্ড / স্কয়ারফুট )[ kips/ft2]
N: ফুটিং এর তলার এস.পি.টি সংখ্যা
B: ফুটিং এর চওড়া (ফুট হিসাবে)
K = 1 + 0.33(D/B) ≤1.33
D: মাটির উপরিভাগ থেকে ফুটিং এর তলার দুরত্ব বা গভীরতা (ফুট হিসাবে)

উদাহরণ-০১: এস.পি.টি নম্বর ১০, ফুটিং এর চওড়া তিন ফুট এবং ফুটিং এর তলা মাটির উপরিভাগ থেকে দুই ফুট নিচে আছে। তাহলে বিয়ারিং কত ?
উত্তর:
Meryerhof's অনুসারে
K = 1+0.33(D/B) = 1+0.33*(2/3) = 1.22
Qa = (N/4) * K = (10 /4) *1.22 = 3.05 kips/ft2
Bowles’ অনুসারে:
Qa = (N/2.5) * K = (10 /2.5) *1.22 = 4.88 kips/ft2
এখান থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে কমটা নেয়াই ভাল, সুতরাং ক্যাপাসিটি 3.05 kips/ft2

উদাহরণ-০২: এস.পি.টি নম্বর ২০, ফুটিং এর চওড়া আট ফুট এবং ফুটিং এর তলা মাটির উপরিভাগ থেকে চার ফুট নিচে আছে। তাহলে বিয়ারিং কত ?
Meryerhof's অনুসারে
K = 1+0.33(D/B) = 1+0.33*(4/8) = 1.17
Qa = (N/6)[(B+1)/B]^2 * K = (20/6)[(8+1)/8]^2 *1.17 = 4.94 kips/ft2
Bowles’ অনুসারে:
Qa = (N/4)[(B+1)/B]^2 * K = (20/4)[(8+1)/8]^2 *1.17 = 7.40 kips/ft

এখান থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে কমটা নেয়াই ভাল, সুতরাং ক্যাপাসিটি 4.94 kips/ft2

লেখাটা অনেক দামী সম্পদ হবে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের কাছে ।
(টাইমলাইনে শেয়ার করে রাখুন-যেকোন সময় কাজে আসতে পারে)

20/12/2024

ভবন নির্মাণে কেন পাইলিং এর প্রয়োজনীয়তা এবং বিবেচ্য বিষয়গুলো আলোচনা করা হলোঃ
====================================
১) স্থাপনার ঘূর্ণন মোমেন্ট এবং তির্যক ফোর্স প্রতিরোধ করার জন্য।
২) নরম মাটি বা বালি ভরাট করা জায়গায় ভার বহন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে।
৩) পাইল সহজেই অধিক ভারী স্থাপনার লোড বহন করতে পারে।
৪) ভবনের লোড সমূহ যেমন ডেড লোড, লাইভ লোডসহ অন্যান্য লোড সমূহের চাপে ভবনের নিচের মাটি সরে যাওয়া প্রতিরোধ করে ।
৫) ভবনের লোডকে নরম বা সংকোচনশীল মাটি বা পদার্থের মধ্য দিয়ে মাটির শক্ত স্তরে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে ।
৬) ভবনের উচ্চতা বেশি হলে উইন্ড লোড অথবা আর্থকোয়েক লোড প্রতিরোধ করের লক্ষে অনেক সময় পাইলিং করা হয়।এতে করে মাটির অনেক গভীরে ভবনের ভিত্তিকে পৌঁছানো সম্ভব হয় ।
৭) ভূমিকম্পের মত প্রতিকুল পরিস্থিতিতে পাইলিং বেশ কার্যকর ফল দেয়। এতে কাঠামো স্থিতিশীল এবং ঝুকিমুক্ত থাকে ।
** কি কি বিষয় বিবেচনা করে পাইলিং করতে হয়:-
১) মাটির ধরন বা গুণাগুণ ।
২) নির্মাণ কাজের পদ্ধতি ।
৩) স্ট্রাকচার থেকে আগত লোডে ধরন ।
৪) নির্মাণ উপকরণ ।

20/12/2024

সিমেন্টের মাঠ পরিক্ষা বিস্তারিতঃ
=====================
নিম্নে কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করা হলো যেগুলোর মাধ্যমে আপনি সরাসরিই সিমেন্ট ভালো-খারাপ বুঝতে পারবেন।

1. ভালো মানের সিমেন্টের ব্যাগে হাত প্রবেশ করালে ঠাণ্ডা অনুভূত হবে। কিন্তু বর্তমানে সিমেন্ট ফ্যাক্টরিতে সিমেন্ট প্রস্তুতের পরপরই সরবরাহ করা হয় বলে সিমেন্টের ব্যাগ গরম থাকে।

2.এক মুঠো সিমেন্ট হাতে নেয়ার পর হাতের তালুতে একটি স্তুপ তৈরি করা হলে যদি তা অপরিবর্তিত থাকে তবে তা ভাল সিমেন্ট।

3. এক মুঠো সিমেন্ট নিয়ে পানিতে ফেললে তা যদি সাথে সাথে পানিতে তলিয়ে যায় এবং কোন অংশ পানিতে ভেসে না থাকে তবে বুঝতে হবে ঐ সিমেন্ট ভালো মানের।

4. ভাল মানের সিমেন্ট হাতের মধ্যে নিয়ে মুষ্টি বন্ধ করে পানির ট্যাপের নিচে ধরলে অথবা কিছু পানি মুষ্টির উপর ঢাললে যাতে করে মুঠোর ফাঁক দিয়ে পানি প্রবেশ করে সিমেন্ট ভিজতে পারে তখন হাতের ভেতর তাপমাত্রা বাড়ছে বলে অনুভূত হবে।

5. দু-আংগুলের মাঝে সিমেন্ট নিয়ে ঘর্ষণ করলে যদি রেশমের মত মসৃণ অনুভূত হয় তাহলে ঐ সিমেন্ট ভালো বলে গণ্য হবে।

Naeem's Civil Note

21/12/2024

21/12/2024

21/12/2024

21/12/2024

21/12/2024

21/12/2024

21/12/2024

20/12/2024

20/12/2024

20/12/2024

20/12/2024

20/12/2024

20/12/2024

20/12/2024

20/12/2024

20/12/2024

20/12/2024

20/12/2024

Address

Telephone

Website

Alerts

Contact The Business

Shortcuts

Share

Category