Gazi Humayun Kabir ofisial

Gazi Humayun Kabir ofisial আমরা মন্দ কিছুর আলোচনা অন্যের মাঝে কল্পনা করি, ভালো কিছুর আলোচনা নিজের মধ্যে কল্পনা করি

আসসালামু আলাইকুম,
গাজী হুমায়ুন কবির অফিসিয়াল পেইজে আপনাকে স্বাগতম।

আমরা মন্দ কিছুর আলোচনা অন্যের মাঝে কল্পনা করি, ভালো কিছুর আলোচনা নিজের মধ্যে কল্পনা করি । তাই আমাদের উচিত সবসময় সত্য কথা বলা এবং সত্যের পথে চলা। সত্য কথা কে প্রশ্রয় দেওয়া এবং সবাইকে সত্য কথা বলার পরামর্শ দেওয়া।

বিস্তারিত জানতে আমাদের পেজে মেসেজ করুন।

>>>>>> ঈদ মোবারক
17/06/2024

>>>>>> ঈদ মোবারক

07/06/2024

জিলহজ্জ মাসের আমল
লিখেছেন মুফতি আরিফ বিন হাবিব

১. চুল, নখ, মোচ ইত্যাদি না কাটা
২. ঈদের দিন ছাড়া বাকি নয় দিন রোযা রাখা
৩. বিশেষভাবে নয় তারিখের রোযা রাখা
৪.বেশি বেশি যিকির করা
৫.তাকবীরে তাশরীক
৬.কুরবানী করা।
৭.সামর্থবানরা হজ্জ করা এ মাসের শ্রেষ্ঠ আমল।


বিস্তারিত
এক.
চুল, নখ, মোচ ইত্যাদি না কাটা।

প্রমাণ-১
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏
‏ مَنْ رَأَى هِلاَلَ ذِي الْحِجَّةِ وَأَرَادَ أَنْ يُضَحِّيَ فَلاَ يَأْخُذَنَّ مِنْ شَعْرِهِ وَلاَ مِنْ أَظْفَارِهِ
উম্মু সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক যিলহাজের নতুন চাঁদ দেখেছে এবং কুরবানীর নিয়াত করেছে সে যেন নিজের চুল ও নখ (কুরবানী পূর্ব পর্যন্ত) না কাটে।
তিরমিজি-১৫২৩

প্রমাণ-২
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنّ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ قَالَ: إِذَا رَأَيْتُمْ هِلَالَ ذِي الْحِجّةِ، وَأَرَادَ أَحَدُكُمْ أَنْ يُضَحِّيَ، فَلْيُمْسِكْ عَنْ شَعْرِهِ وَأَظْفَارِهِ

উম্মে সালামা রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমরা যিলহজ্বের চাদ দেখবে,(জিলহজ মাস শুরু হবে) তখন তোমাদের মধ্যে যে কুরবানী করবে সে যেন তার চুল নখ না কাটে।
সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৯৭৭

লক্ষনীয়-১
কুরবানী যারা করবে না তাদের জন্যও এ আমল রয়েছে।
‎ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِرَجُلٍ: «أُمِرْتُ بِيَوْمِ الْأَضْحَى عِيدًا جَعَلَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ لِهَذِهِ الْأُمَّةِ» فَقَالَ الرَّجُلُ: أَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ أَجِدْ إِلَّا مَنِيحَةً أُنْثَى أَفَأُضَحِّي بِهَا؟ قَالَ: «لَا، وَلَكِنْ تَأْخُذُ مِنْ شَعْرِكَ، وَتُقَلِّمُ أَظْفَارَكَ، وَتَقُصُّ شَارِبَكَ، وَتَحْلِقُ عَانَتَكَ، فَذَلِكَ تَمَامُ أُضْحِيَّتِكَ عِنْدَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ

আবদুল্লাহ্ ইব্ন আমর ইব্ন আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ব্যক্তিকে বললেন: কুরবানীর দিনকে ঈদের দিন করার জন্য আমাকে আদেশ করা হয়েছে। আল্লাহ্ তা‘আলা এই উম্মতের জন্য একে সাবস্ত্য করেছেন। তখন ঐ ব্যক্তি বললো: যদি আমি দুধপান করার জন্য অন্যের দান করা পশু ব্যতীত অন্য কিছু না পাই, তা হলে কি আমি তা-ই কুরবানী করবো? তিনি বললেন: না, কিন্তু তুমি তোমার চুল, নখ কেটে ফেলবে এবং গোঁফ ছোট করবে এবং তোমার নাভীর নিচের পশম কামাবে; এটাই হবে আল্লাহ্‌র নিকট তোমার কুরবানীর পূর্ণতা।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৪৩৬৫

লক্ষনীয়-২
ছোট বাচ্ছাদের চুল ও না কাটার চেষ্টা করা।
ওলীদ বিন মুসলিম বলেন, আমি মুহাম্মাদ বিন আজলানকে যিলহজ্বের দশকে চুল কাটা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি বললেন, আমাকে নাফে রাহ. বলেছেন-

أَنّ ابْنَ عُمَرَ، مَرّ بِامْرَأَةٍ تَأْخُذُ مِنْ شَعْرِ ابْنِهَا فِي أَيّامِ الْعَشْرِ فَقَالَ: لَوْ أَخّرْتِيهِ إِلَى يَوْمِ النّحْرِ كَانَ أَحْسَنَ
আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. এক নারীর নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। মহিলাটি যিলহজ্বের দশকের ভেতর তার সন্তানের চুল কেটে দিচ্ছিল। তখন তিনি বললেন, যদি ঈদের দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে তবে বড় ভাল হত।
মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস ৭৫২০

দুই.
ঈদের দিন ছাড়া বাকি নয় দিন রোযা রাখা।

প্রমাণ-১
যিলহজ্বের প্রথম দশক তথা নয় যিলহজ্ব পর্যন্ত রোযা রাখতে চেষ্টা করি। হাদীস শরীফে এসেছে,

‎، عَنْ هُنَيْدَةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ امْرَأَتِهِ، عَنْ بَعْضِ، أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ تِسْعَ ذِي الْحِجَّةِ وَيَوْمَ عَاشُورَاءَ وَثَلاَثَةَ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ أَوَّلَ اثْنَيْنِ مِنَ الشَّهْرِ وَالْخَمِيسَ ‏
হুনাইদাহ ইবনু খালিদ (রহঃ) তার স্ত্রী হতে এবং তিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কোন এক স্ত্রী সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যিলহাজ্জ মাসের নয় তারিখ পর্যন্ত, আশূরার দিন, প্রত্যেক মাসে তিনদিন, মাসের প্রথম সোমবার ও বৃহস্পতিবার সওম রাখতেন।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২৪৩৭

প্রমাণ-২
হাফসা রা. থেকে বর্ণিত আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেন-

أَرْبَعٌ لَمْ يَكُنْ يَدَعُهُنّ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ: صِيَامَ عَاشُورَاءَ، وَالْعَشْرَ، وَثَلَاثَةَ أَيّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ، وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْغَدَاةِ

চারটি আমল নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো ছাড়তেন না। আশুরার রোযা, যিলহজ্বের প্রথম দশকের রোযা, প্রত্যেক মাসের তিন দিনের রোযা, ফজরের আগে দুই রাকাত সুন্নত নামায। সুনানে নাসায়ী, হাদীস ২৪১৫

তিন.
বিশেষভাবে নয় তারিখের রোযা রাখা

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ، أَحْتَسِبُ عَلَى اللهِ أَنْ يُكَفِّرَ السّنَةَ الّتِي قَبْلَهُ، وَالسّنَةَ الّتِي بَعْدَهُ

আরাফার দিনের (নয় যিলহজ্বের) রোযার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা করি যে, (এর দ্বারা) আগের এক বছরের এবং পরের এক বছরের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিবেন।
সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৬২

জেনে রাখা ভালো,
উক্ত হাদীসে বর্ণিত ইয়াওমে আরাফা দ্বারা যিলহজ্বের নয় তারিখ উদ্দেশ্য। এই তারিখের পারিভাষিক নাম হচ্ছে ইয়াওমে আরাফা। কেননা এই রোযা আরাফার ময়দানের আমল নয় বরং আরাফার দিন তো হাজ্বীদের জন্য রোযা না রাখাই মুস্তাহাব। আবু দাউদের বর্নাটি লক্ষ করুন,

‎ عَنْ أُمِّ الْفَضْلِ بِنْتِ الْحَارِثِ، أَنَّ نَاسًا، تَمَارَوْا عِنْدَهَا يَوْمَ عَرَفَةَ فِي صَوْمِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ بَعْضُهُمْ هُوَ صَائِمٌ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ لَيْسَ بِصَائِمٍ ‏.‏ فَأَرْسَلَتْ إِلَيْهِ بِقَدَحِ لَبَنٍ وَهُوَ وَاقِفٌ عَلَى بَعِيرِهِ بِعَرَفَةَ فَشَرِبَ

আল-হারিস কন্যা উম্মুল ফাদল (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আরাফাহর দিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওম পালন করেছেন কিনা এ নিয়ে কতিপয় লোক তার নিকট বিতর্ক করেন। তাদের কেউ বললেন, তিনি সওম রেখেছেন, আবার কতিপয় বললেন, তিনি সওম রাখেননি। সুতরাং আমি তাঁর কাছে এক পেয়ালা দুধ পাঠালাম, তখন তিনি তাঁর উষ্ট্রীর পিঠের উপর আরাফাহতে অবস্থান করছিলেন। তিনি দুধটুকু পান করলেন।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২৪৪১

আরাফার দিন আল্লাহর রাসূল রোযা রাখেননি। একারণে ফকীহগণ হাজ্বীদের জন্য আরাফার দিন রোযা না রাখা উত্তম বলেছেন।

চার.
বেশি বেশি যিকির করা

আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

مَا مِنْ أَيّامٍ أَعْظَمُ عِنْدَ اللهِ وَلَا أَحَبّ إِلَيْهِ الْعَمَلُ فِيهِنّ مِنْ هَذِهِ الْأَيّامِ الْعَشْرِ، فَأَكْثِرُوا فِيهِنّ مِنَ التّهْلِيلِ وَالتّكْبِيرِ وَالتّحْمِيدِ
আল্লাহ তাআলার নিকট আশারায়ে যিলহজ্বের আমলের চেয়ে অধিক মহৎ এবং অধিক প্রিয় অন্য কোনো দিনের আমল নেই। সুতরাং তোমরা এই দিনগুলোতে বেশি বেশি লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার এবং আলহামদু লিল্লাহ পড়।
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৫৪৪৬

পাচ.
তাকবীরে তাশরীক
যিলহজ্ব মাসের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখকে পরিভাষায় আইয়ামে তাশরীক বলে।

কুরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

وَ اذْكُرُوا اللهَ فِیْۤ اَیَّامٍ مَّعْدُوْدٰتٍ
তোমরা নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহকে স্মরণ কর। সূরা বাকারা-২০৩

ইবনে আব্বাস রা. বলেন, এখানে اَیَّامٍ مَّعْدُوْدٰتٍ দ্বারা উদ্দেশ্য- আইয়ামে তাশরীক।
(দ্র. সহীহ বুখারী, বাবু ফাদলিল আমাল ফী আইয়ামিত তাশরীক; মারিফাতুস সুনানি ওয়াল আছার, হাদীস ১০৮৭২)

আল্লাহর বড়ত্ব ও প্রশংসা

اللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ لَا إِلَهَ إِلّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ اللهُ أَكْبَرُ وَلِلهِ الْحَمْدُ

৯ যিলহজ্ব ফজর হতে ১৩ যিলহজ্ব আসর পর্যন্ত মোট তেইশ ওয়াক্তের নামাযের পর একবার করে তাকবীরে তাশরীক বলা ওয়াজিব। জামাতে নামায পড়া হোক বা একাকি, পুরুষ বা নারী, মুকীম বা মুসাফির সকলের উপর ওয়াজিব। এমনকি ৯ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত কোনো নামায কাযা হয়ে গেলে এবং ঐ কাযা এই দিনগুলোর ভিতরেই আদায় করলে সে কাযা নামাযের পরও তাকবীরে তাশরীক পড়বে। পুরুষগণ তাকবীর বলবে উচ্চ আওয়াজে আর নারীগণ নিম্নস্বরে।

ছয়.
কুরবানী করা।
আব্দুল্লাহ ইবনে কুরত রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

إنّ أَعْظَمَ الْأَيّامِ عِنْدَ اللهِ يَوْمُ النّحْرِ، ثُمّ يَوْمُ الْقَرِّ
নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন ইয়াওমুন নাহর-দশ যিলহজ্ব। তারপর ইয়াওমুল কার-এগার যিলহজ্ব; যেদিন মানুষ মিনায় অবস্থান করে। সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৭৬৫

বিদায় হজ্বে ইয়াওমুন নাহরের ভাষণে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-

أَلَا إِنّ أَحْرَمَ الْأَيّامِ يَوْمُكُمْ هَذَا
জেনে রাখো, তোমাদের এ দিন (ইয়াওমুন নাহর) সবচেয়ে সম্মানিত দিন। -সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩৯৩১

সাত.
সামর্থবানগন হজ্জ করা এ মাসের শ্রেষ্ঠ আমল।
এ মাসের সবচেয়ে প্রধান আমল হল হজ্ব। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

وَ لِلهِ عَلَی النَّاسِ حِجُّ الْبَیْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ اِلَیْهِ سَبِیْلًا وَ مَنْ كَفَرَ فَاِنَّ اللهَ غَنِیٌّ عَنِ الْعٰلَمِیْنَ
মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ গৃহের হজ্ব করা তার জন্য অবশ্যকর্তব্য। আর যে এই নির্দেশ পালন করতে অস্বীকার করবে তার জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ দুনিয়াবাসীদের প্রতি সামান্যও মুখাপেক্ষী নন।
সূরা আলে ইমরান-৯৭

ফজীলত।
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন

مَنْ حَجّ لِلهِ فَلَمْ يَرْفُثْ وَلَمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَيَوْمِ وَلَدَتْهُ أُمّهُ
যে ব্যক্তি একমাত্র অল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ্ব করে এবং কোনো অশ্লীল কাজ বা গুনাহে লিপ্ত হয় না, সে সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুর ন্যায় নিষ্পাপ হয়ে বাড়ী ফেরে। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১৫২১
© M***i Arif Bin Habib H.

মুফতী আরিফ বিন হাবিব

❝তাবলীগের মাওলানা সা'দ সাহেবের গুমরাহীর বিরুদ্ধে দারুল-উলুম-দেওবন্দের সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত! দেওবন্দের মুহতামিম ও শা...
09/02/2024

❝তাবলীগের মাওলানা সা'দ সাহেবের গুমরাহীর বিরুদ্ধে দারুল-উলুম-দেওবন্দের সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত! দেওবন্দের মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস আল্লামা আবুল কাসিম নূমানী হাফিঃ এর সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত❞।

মিরপুর আরজাবাদ মাদ্রাসায়- আওলাদে রাসূল, আমিরুল হিন্দ আল্লামা সাইয়িদ আরশাদ মাদানী হাফি.।

25/01/2024

ইজ‌তিমা সম্পর্কীয়
১০টি প্রশ্নের উত্তর বাতিলকে রুখতে জেনে রাখুন।

১. প্রশ্ন : ইজ‌তিমা কী?
উত্তর : 'ইজ‌তিমা' (الاجتماع) শব্দ‌টি মূলত আরবী। উর্দূ ও ফারসীতে এর বহুল ব‌্যবহার র‌য়ে‌ছে। যার অর্থ হ‌লো, সভা, সম্মেলন, মাহ‌ফিল, সমা‌বেশ, জনসমাগম। দাওয়াত ও তাবলী‌গের আহ্বা‌নে সর্বস্ত‌রের মুসলমান‌দের জন‌্য উন্মুক্ত বা‌র্ষিক বৃহৎ স‌ম্মে‌ল‌নটি ইজ‌তিমা না‌মে প‌রি‌চিত।‌

২. প্রশ্ন : এটা‌কে 'বিশ্বইজ‌তিমা‌' বলা হয় কেন?
উত্তর : তাবলী‌গের দাফত‌রিক কাগজপ‌ত্রে এটি 'টঙ্গী ইজ‌তিমা', 'বিশ্ব ইজ‌তিমা' নয়। যে‌হেতু স্বাগ‌তিক বাংলা‌দেশসহ বি‌শ্বের বহু দে‌শের মুসলমা‌নেরা এতে অংশগ্রহণ করে থা‌কে, সে‌হেতু মি‌ডিয়া ও জনগণের কা‌ছে বিশ্বইজ‌তিমা না‌মে খ‌্যা‌তি লাভ ক‌রে‌ছে।

৩. প্রশ্ন : ইজ‌তিমা আয়োজ‌নের উদ্দেশ‌্য কি?
উত্তর: এর উদ্দেশ‌্য হ‌লো ‌বিশুদ্ধ তাওহীদ, রিসালত ও আখিরা‌তের আলোচনার মাধ‌্যমে মুসলমান‌দেরকে আত্মসং‌শোধ‌নে উদ্বুদ্ধ করা এবং দীনী দাওয়া‌তের জিম্মাদা‌রি সম্প‌র্কে সবাইকে সচেতন করা।

৪. প্রশ্ন : এখা‌নে কী কী কর্মসূ‌চি পালন করা হয়?
উত্তর : মৌ‌লিকভা‌বে এখা‌নে ৩‌টি কাজ করা হয়।
১. বয়ান :
প্রতি‌দিন ফজর, জোহর, আসর ও মাগ‌রি‌বের নামা‌যের প‌রপরই মিম্বর থে‌কে আ'ম বয়ান হয়।
২. তা'লীম : প্রতিদিন সকাল ১০টা হ‌তে কিতা‌বের তা'লীম ও সূরা কেরা‌তের মশক হয়।
৩. তাশকীল : প্রত্যেক বয়ান ও তালীম শে‌ষে তাশকীল হয়।

৫. প্রশ্ন : তাশকীল মা‌নে কি?
উত্তর : তাশকীল মা‌নে তা‌লিকা তৈ‌রি করা।যারা আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়ার জন‌্য নগদে বা বা‌কি‌তে তৈ‌রি হয় এবং নিজ‌ নিজ এলাকায় দাওয়া‌তের কাজ করার জন‌্য যারা সম্মত হয়, তাদের তা‌লিকা প্রস্তুত করা। যারা নগ‌দে তৈ‌রি হয়, তা‌রা দীন শেখা ও শেখা‌নোর জন‌্য দে‌শে বি‌দেশে ছ‌ড়ি‌য়ে প‌ড়েন।

৬. প্রশ্ন : কিছু‌লোক ব‌লে, ইজ‌তিমা না‌কি বিদআত, এতে যাওয়া যা‌বে না। কথাটা কি ঠিক?
উত্তর : না, কথাটা ঠিক নয়। লোকজন‌কে একত্র ক‌রে দীনী কথা শোনা‌নোর ভু‌রি ভু‌রি নজীর নবী‌জির [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] সীরা‌তে পাওয়া যায়। যে আম‌লের নজীর হাদী‌সে ও সীরা‌তে আছে, সেটা কী ক‌রে বিদআত হয়?
তা ছাড়া ইজ‌তিমায় সম্পা‌দিত কাজগু‌লোর সবই কুরআন সুন্নাহ দ্বারা প্রমা‌ণিত, সেকাজগু‌লো বিদআত হ‌বে কেন?
দীনী ইজ‌তিমা করা বিদআত হ‌লে প্রচ‌লিত যে‌কো‌নো ওয়াজ মাহ‌ফিল, সভা-স‌ম্মেলন করা বিদআত হ‌য়ে যায়। খোদ ইজ‌তিমা‌কে বিদআত দাবীকারীগণও বহু ইজ‌তিমা ও মাহ‌ফিল ক‌রে থা‌কে, অথচ এগু‌লো‌কে কেউ বিদআত ব‌লে‌ প‌রিহার ক‌রেনি।

৭. প্রশ্ন : সেখা‌নে গে‌লে ইবাদত আম‌লের ফযীলত না‌কি বে‌ড়ে যায়, কথাটা কি ঠিক?
উত্তর : টঙ্গী মা‌ঠের কো‌নো আলাদা ফযীলত নেই। এ মাঠ‌কে ফযীল‌তের ম‌াঠ ম‌নে করা মারাত্মক ভুল।
হাঁ, এখা‌নে দু‌টি কথা আছে।
বড় জামাআতে নামায পড়ার কার‌ণে নামা‌যের সওয়াব বৃ‌দ্ধি পা‌বে। জামাআতের বড় হ‌লে সওয়াব বৃ‌দ্ধি পাওয়া হাদীস দ্বারা প্রমা‌ণিত।
তা ছাড়া দাওয়া‌তের এ মেহনত যে‌হেতু ইকাম‌তে দী‌নের অংশ, সে‌হেতু এটা‌কে কেউ য‌দি সে হিসা‌বে গ্রহণ ক‌রে এবং স‌র্বোচ্চ কুরবানী পেশ করার নিয়তও স‌ঙ্গে রা‌খে, তা হ‌লে বহু উলামা‌য়ে কেরাম জিহাদ ফী সাবী‌লিল্লাহ'র হাদীসও এতে প্রয়োগ ক‌রে থা‌কেন। সে হিসা‌বে নফল ইবাদত ও ব‌্যয় করা, দানসদাকা করার সওয়াবও এতে বৃ‌দ্ধি পা‌বে। ত‌বে‌ সেটা কখ‌নোই মা‌ঠের কার‌ণে নয়, কেবলই নিয়‌তের কার‌ণে! নবী‌জি সা. ব‌লে‌ছেন :
إنما الأعمال بالنيات.
নিয়‌তের মান বরকত।

৮. প্রশ্ন : অ‌নেক দুষ্ট‌লোক এটা‌কে 'টঙ্গী পা‌ড়ের পিক‌নিক" ব‌লে টিটকারী ক‌রে, এ সম্প‌র্কে কি বল‌বেন?
উত্তর : এটা পিক‌নিক হয় কীভা‌বে বু‌ঝি না! ‌সেখা‌নে থাক‌া, খাওয়া, টয়লেট, গোসল ও রাত কাটা‌নো কত কষ্টকর, ভুক্ত‌ভোগী মাত্রই জা‌নেন। পিক‌নিক তো হয় আনন্দফু‌র্তির সা‌থে। এ পিক‌নিকে ‌লোক‌দের আন‌াও যে কত ক‌ঠিন, যারা কাজ ক‌রেন, তারা বল‌তে পার‌বেন।
জিহা‌দের দীর্ঘসফ‌রে জরুর পাকসাক ক‌রে খে‌তে হ‌বে, বা‌ড়ি থে‌কে খাবার নেওয়ার স‌ু‌যোগ নেই। সেটাও কি তা হ‌লে পিক‌নিক?

আস‌লে দী‌নের প‌থে ঘর ছে‌ড়ে কাজ করার সুন্নাতটাই দীর্ঘদিন থে‌কে প‌রিত‌্যাক্ত হ‌য়ে আছে। এজন‌্য জীবনের আব‌শ্যিক স্বাভা‌বিক কাজও নতুন ব‌লে ম‌নে হয়। নবী‌জির সীরাত ও সালা‌ফের কর্মজীবন সম্প‌র্কে স‌চেতন মানুষ কখ‌নো এরূপ আপ‌ত্তি কর‌তে পা‌রে না।
তা ছাড়া, রান্নাবান্না ক‌রে খাওয়া য‌দি পিক‌নিক হ‌য়ে থা‌কে, তা হ‌লে আমরা প্রতি‌দিনই তো বা‌ড়ি‌তে পিক‌নি‌ক ক‌রি। দু একটা পিক‌নিক না হয় আল্লাহর সন্তু‌ষ্টির জন‌্য মা‌ঠে হ‌লো, তা‌তে আপ‌ত্তির কি আছে?
যারা একে পিক‌নিক ব‌লেন, তা‌দের প্রতি দাওয়াত রইল তারা যেন পিক‌নিক ক‌রে হ‌লেও দী‌নের এ গুরুত্বপূর্ণ কাজটি ক‌রেন।

৯. প্রশ্ন : আখে‌রি মুনাজা‌তে অংশগ্রহণ করা কেমন? অ‌নে‌কেই ব‌লেন, স‌ম্মি‌লিত মুনাজাত জা‌য়েয নেই।
উত্তর : সমস‌্যা সংক‌টে প্রয়োজ‌নে আল্লাহর কা‌ছে একাকী বা এক‌ত্রে দুআ করা উভয়টা জা‌য়িয আছে। এর বহু দৃষ্টান্ত হাদীস ও সীরা‌তে র‌য়ে‌ছে। সালাতুল ইস‌তিসকা, সালাতুল কসূফ, জানাযা, কুনু‌তে না‌যিলা, ইত‌্যা‌দি ঘটনা ইজ‌তিমায়ী দুআর দলীল।
টঙ্গী ইজ‌তিমার কাজ শে‌ষে আগত মুসলমান এবং সারা‌বি‌শ্বের মুসলমান‌দের প‌ক্ষে এবং বা‌তিল জা‌লিম‌দের বিপ‌ক্ষে দুআ করা হয়, এতে আপ‌ত্তির কারণ আমার বোধগম‌্য নয়।
ত‌বে প্রত্যেক ফরয নামা‌যের প‌রে নিয়‌মিত স‌ম্মি‌লিত দুআ করা‌ এবং একে আব‌শ্যিকের মত ক‌রে নেওয়ার ব‌্যাপা‌রে বিজ্ঞ অ‌নেক মুফতীর দ্বিমত আছে। এটা তো আর সেরূপ নয়! এখা‌নে নামাযের শে‌ষে স‌ম্মি‌লিত মুনাজাত করা হয় না।

১০. প্রশ্ন : ইজ‌তিমায় মাইকে আযান দেওয়া হয় না কেন? ইমাম সা‌হেব মাইকে কেরাত প‌ড়েন না কেন?
উত্তর : তাবলী‌গের সবকাজ পরামর্শক্রমে করা হয়। কো‌নো জি‌নিস জা‌য়েয হওয়ার প‌রেও পরামর্শ ছাড়া তা চালু করার নিয়ম এখা‌নে নেই। তাবলীগ সকল ক্ষে‌ত্রে সীরাত ও সালা‌ফের আচর‌ণের কাছাকা‌ছি থাক‌তে চেষ্টা ক‌রে। অপারগতায় আধু‌নিক যন্ত্রপা‌তি ও উপায় উপকরণ ব‌্যবহার ক‌রে।
তাবলী‌গের মারকায বা ইজ‌তিমাগু‌লো‌তে মাইকব‌্যবহার খুবই সী‌মিত। বি‌শেষক‌রে নামা‌যের‌ কেরাত ও আযা‌নে। ত‌বে তারা কখ‌নোই মাইকে আযান দেওয়া বা কেরাত পড়া‌কে নাজা‌য়েয ম‌নে ক‌রেন না। বরং সীরাত ও সালা‌ফের নাহাজ থে‌কে দূ‌রে ম‌নে করেন। তাকবী‌রে আওয়াজ উচ্চ করার জন‌্য 'মুকা‌ব্বির' ব‌্যবহার প্রমা‌ণিত। আর মাইকের নামও 'মুকাব্বিরুস সাওত'।‌কিন্তু কেরা‌তের শব্দ জামাআতের শেষ পর্যন্ত পৌঁছা‌নোর জন‌্য 'মুঈদ' ব‌্যবহার সালা‌ফের জীব‌ন থে‌কে প্রমাণিত নয়। তাই কেরা‌তে উচ্চ আওয়া‌জের ব‌্যবস্থা করা হয় না। আল্লাহু আ'লামু।

মুহাম্মাদ সাইফুদ্দীন গাজী
২৪জানুয়ারী, ২০২৪

রাজনীতির কাছে জীবনের মূল্য কত তুচ্ছ!!!  ছিঃ ছিঃ এই কি উন্নত জাতি আমরা?  নিজের বিবেকের কাছেই আজ আমরা বিবেকহীন 😭কতিপয় লোকঃ...
06/01/2024

রাজনীতির কাছে জীবনের মূল্য কত তুচ্ছ!!! ছিঃ ছিঃ এই কি উন্নত জাতি আমরা? নিজের বিবেকের কাছেই আজ আমরা বিবেকহীন 😭

কতিপয় লোকঃ ভাই আগুন লেগেছে,
আপনি বের হোন তাড়াতাড়ি প্লিজ!!!
ভুক্তভোগিঃ আমার স্ত্রী মারা গিয়েছে, সন্তান মারা গিয়েছে, আমি বেঁচে থেকে কি করবো,,,,?
এভাবেই জীবনের পরিসমাপ্তি হলো এক বাবার। ঘৃণা নিয়ে চিরতরে বিদায় নিলো বাবাটি এই অসভ্য পৃথিবী হতে!!!!!!

ছবিতে তার জ্বলন্ত দেহ ট্রেনের জানালায় ঝুলে আছে।
যশোর থেকে ছেড়ে আসা বেনাপোল এক্সপ্রেসে আজ রাত নয়টায় ঢাকার পোস্তগোলায় আগুন লাগলে, মরার আগে এক বাবার শেষ কথা।

নৃশংসতা ও বর্বরতার শেষ কোথায়,,,,,?

এসব আগুন সন্ত্রাসী হায়েনাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।

আসসালামু আলাইকুম ও রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু সম্মানিত অভিভাবক বৃন্দ আজ আমাদের মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের বাৎসরিক পরীক্ষা...
09/12/2023

আসসালামু আলাইকুম ও রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু
সম্মানিত অভিভাবক বৃন্দ আজ আমাদের মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের বাৎসরিক পরীক্ষা নাজেরা ও হেফজ বিভাগের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা শুরু হয়েছে আলহামদু লিল্লাহ।
তারিখ : ৭/১২/২০২৩

15/11/2023
15/11/2023

জ্বিন-জাদুতে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ:

১। শরীরে জ্বর থাকা, কিন্তু থার্মোমিটারে না উঠা।
২। কোনো কারণ ছাড়াই কান্না আসা..
৩। প্রায়সময় কাজে মন না বসা, নামায যিকর ক্লাসে মন না বসা।
৪। প্রায়শই শরীর দুর্বল থাকা, ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব লাগা।
৫। চেহারা ধুসর/হলুদ হয়ে যাওয়া।
৬। বুক ধড়পড় করা, দমবন্ধ অস্বস্তি লাগা।
৭। অহেতুক মেজাজ বিগড়ে থাকা।
৮। আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের সাথে দেখা হলেই ভালো না লাগা।
৯। অতিরিক্ত চুল পড়া। শ্যাম্পুতে কাজ না করা।
১০। পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়া।
১১। বিভিন্ন সব অসুখ লেগে থাকা, দীর্ঘদিন চিকিৎসাতেও ভালো হয় না। (সর্দিকাশি, মাথাব্যথা ইত্যাদি)
১২। হাত-পায়ে মাঝেমধ্যেই ব্যাথা করা, পুরো শরীরে ব্যাথা দৌড়ে বেড়ানো।
১৩। ব্যবসায় ঝামেলা লেগে থাকা।
১৪। যে কাজে অভিজ্ঞ সেটা করতে গেলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়া।
১৫। স্বপ্নে উঁচু থেকে পড়ে যেতে দেখা, মৃত মানুষ দেখা। অথবা স্বপ্নে কাউকে মরে যেতে দেখা।
১৬। নিদ্রাহীনতা: যার জন্য সারারাত শুধু বিশ্রাম নেয়াই হয়, ঘুম হয়না
১৭। উদ্বিগ্নতা: যেজন্য রাতে বার বার ঘুম ভেঙে যাওয়া।
১৮। বোবায়ধরা: ঘুমের সময় কেউ চেপে ধরেছে, নড়াচড়া করতে পারছে না। প্রায়ই এমন হওয়া
১৯। ঘুমের মাঝে প্রায়শই চিৎকার করা, গোঙানো, হাসি-কান্না করা
২০। ঘুমন্ত অবস্থায় হাটাহাটি করা
২১। স্বপ্নে পানি, পাহাড়া, অচেনা যায়গা ইত্যাদি দেখা।
২২। ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর দূর্বল থাকা এবং ব্যাথা থাকা।
২৩। স্বপ্নে যা দেখা হয় কিছুদিন পর সেটাই হওয়া।
২৪। ঘুমের মধ্যে শরীর ঝাকি দিয়ে ঘুম ভাঙ্গা।
২৫। দীর্ঘ মাথাব্যথা (চোখ, কান, দাত ইত্যাদি সমস্যার কারণে নয়, এমনিই)
২৬। ইবাদত বিমুখতা: নামাজ, তিলাওয়াত, যিকির আযকারে আগ্রহ উঠে যাওয়া। মোটকথা, দিনদিন আল্লাহর থেকে দূরে সরে যাওয়া
২৭। মেজাজ বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকা, কিছুতেই মন না বসা..
২৮। ব্যাপক অলসতা; সবসময় অবসন্নতা ঘিরে রাখা
২৯। মৃগীরোগ
৩০। শরীরের কোনো অংঙ্গে ব্যাথা কিংবা বিকল হয়ে যাওয়া। ডাক্তাররা যেখানে সমস্যা খুজে পেতে বা চিকিতসা করতে অপারগ হচ্ছে।
৩১। স্বপ্নে কোনো প্রাণিকে আক্রমণ করতে বা ধাওয়া করতে দেখা। বিশেষতঃ কু। কুর, বি।ড়া ল, ইঁ। দু। র, উট, সিংহ, শি।য়াল, সা। প (*)
৩২। প্রচন্ড অসুস্থ অথচ মেডিকেল টেস্টে ধরা না পড়া।
৩৩ । প্রচন্ড অরুচি। দিনদিন প্রচন্ড স্বাস্থ্যহানি ঘটা।
৩৪। মাঝে মাঝে শরীর ঝাকুনি বা খিচুনী দিয়ে সেন্সলেস হয়ে যাওয়া।
৩৫। পঞ্চইন্দ্রীয়ের কোনো একটি দুর্বল

04/11/2023

আলহামদুলিল্লাহ
মাওলানা রফিকুল ইসলাম আল মাদানী অল্প কিছুক্ষণ আগেই জালিমের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন

 #বায়তুল মাকদাসের ইতিহাস (সেই ৫হাজার বছর   পূর্ব থেকে বর্তমান পর্যন্ত) #মসজিদুল আকসা মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র ও সম্মানিত ...
20/10/2023

#বায়তুল মাকদাসের ইতিহাস (সেই ৫হাজার বছর পূর্ব থেকে বর্তমান পর্যন্ত)

#মসজিদুল আকসা মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র ও সম্মানিত স্থান। মুসলমানদের প্রথম কেবলা। হাজার হাজার নবী-রাসূল [আলাইহিমুস সালাম]-এর আগমনের পুণ্যভূমি। সকল মুসলিমের প্রাণের কেন্দ্রস্থল বাইতুল মাকদিস। নিম্নে সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরা হলো।

#মসজিদুল আকসা অর্থ দূরবর্তী মসজিদ। আবূ যার (রাজি:) বলেন: আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! পৃথিবীতে সর্বপ্রথম কোন মসজিদ তৈরি করা হয়েছে? তিনি বললেন, মসজিদে হারাম। আমি বললাম, অতঃপর কোনটি? তিনি বললেন, মসজিদে আকসা। আমি বললাম, উভয় মসজিদের (তৈরির) মাঝে কত বছর ব্যবধান ছিল? তিনি বললেন, চল্লিশ বছর।
অধিকাংশ তাফসীরকারের মতে, আদম আলাইহিস - সালাম কাবাঘর নির্মাণের ৪০ বছর পর মসজিদুল আকসা ‍তৈরি করেন অথবা নবী ইবরাহীম আলাইহিস- সালাম কাবাঘর পুনঃসংস্কারের ৪০ বছর পর মসজিদুল আকসা ‍তৈরি করেন।
ইবরাহীম (আ:) থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্ত ঐতিহাসিক ঘটনা

#ইবরাহীম (আলাইহিস -সালাম) এর পুত্র ইসহাক আলাইহিস সালাম এখানেই বসবাস করতেন। পরে ইসহাক আলাইহি সালাম-এর পুত্র ইয়াকুব (আ:) ও তাঁর ১২ পুত্র বসবাস করছেন। অতঃপর তাঁর ১২ সন্তান থেকে ১২টি গোত্রের আবির্ভাব ঘটে; এরা সকলেই বানী ইসরাঈল তথা (ইয়াকুবের) সন্তান। উল্লেখ্য, নবী ইয়াকুব আলাইহিস সালাম এর নামই হচ্ছে ইসরাঈল।
অতঃপর নবী সুলায়মান (আলাইহিস -সালাম) মসজিদুল আকসা পুনঃসংস্কার করেন ১০০৪ খ্রিস্টপূর্বে। অনেকে মনে করেন সুলায়মান (আলাইহিস -সালাম) প্রথম মসজিদুল আকসা তৈরি করেছেন, কিন্তু এটা ভুল তথ্য। কারণ ইবরাহীম (আলাইহিস -সালাম) আর সুলাইমান (আলাইহিস -সালাম)-এর মাঝে প্রায় ১০০০ বছরের পার্থক্য।

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন: সুলায়মান ইবনু দাঊদ (আলাইহিস -সালাম) যখন বায়তুল মাকদিস নির্মাণ করলেন, তখন তিনি আল্লাহর কাছে তিনটি বস্তু চাইলেন: তিনি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলেন এমন ফয়সালা, যা তাঁর ফয়সালার মোতাবেক হয়। তা তাকে প্রদান করা হলো। আর তিনি আল্লাহর নিকট চাইলেন এমন বিশাল রাজ্য, যার অধিকারী তার পরে আর কেউ হবে না। তাও তাকে দেওয়া হলো। আর যখন তিনি মসজিদ নির্মাণের কাজ সমাপ্ত করলেন; তখন তিনি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলেন, যে-ব্যক্তি তাতে শুধু সালাতের জন্য আগমন করবে, তাকে যেন পাপ থেকে ওই দিনের মতো মুক্ত করে দেন, যে-দিন সে তার মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল।
নবী সুলায়মান (আলাইহিস -সালাম)-এর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই বনী ইসরাঈল তথা ইয়াহুদীদের মধ্যে বিচ্যুতি এবং তাদের হুকুমত ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় বিভক্তি দেখা দেয়। তা ছাড়া তারা অগণিত নাফরমানিতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে, তাদের কাছে প্রেরিত অসংখ্য নবী-রাসূলদের তারা হত্যা করে। দাউদ (আলাইহিস -সালাম) ও সুলায়মান (আলাইহিস -সালাম) ১০১০-৯৩১ খ্রি.পূ. পর্যন্ত বায়তুল মাকদাস শাসন করেছেন।
সুলায়মান (আলাইহিস -সালাম) খ্রি.পূ. ৯৩১ সালে ইন্তেকাল করেন।

বর্তমান বিকৃত তাওরাতের রাজন্যবর্গ ও শাসকদের প্রথম পুস্তিকায় সুলায়মান (আলাইহিস -সালাম)-এর ওপর মিথ্যা অপবাদ আরোপ করা হয়েছে এভাবে যে, তিনি মহান আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি বর্জন করে মূর্তিপূজা করতেন। নাউযুবিল্লাহ।
আর এ কারণেই ইয়াহুদীরা আল্লাহর গযবে পতিত হয় এবং বায়তুল মাকদাসের মতো পবিত্র ভূমি থেকে বিতাড়িত হয়। নিম্নে বাইতুল মাকদাস ও ইয়াহুদীদের উপর বিভিন্ন জাতির আধিপত্যের ইতিহাস সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।

ইহূদীদের উত্থান-পতনের ইতিহাস

১. আরামীয়দের আধিপত্য: নবী সুলাইমান (আলাইহিস -সালাম) মৃত্যুর কিছুদিন পর (খ্রি.পূ. ৮৭৪- খ্রি.পূ. ৮৫৩ সালের মধ্যে) আরামীয় সেনাবাহিনী বাইতুল মুকাদ্দাসে যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং সেখানকার সকল ইয়াহুদী নেতাকে হত্যা করে সমস্ত ধনসম্পদ লুট করে।
২.আশুরীয়দের আধিপত্য: ৮৫৯-৮২৪ খ্রি.পূ. পর্যন্ত ইয়াহুদীদের উপর আশুরীয়দের আধিপত্যের সূত্রপাত ঘটে।
৩. বাবেলীয়দের আধিপত্য: বাদশা বাখতু নাসর, যিনি শাম ও ফিলিস্তিনকে নিজ শাসনাধীনে আনার জন্য খ্রি.পূ. ৫৯৭ সালে প্রথম বার এবং খ্রি.পূ. ৫৮৬ সালে দ্বিতীয় বার সেখানে আক্রমণ করেছিলেন। বিরাট সংখ্যক ইয়াহুদীদের হত্যা করেন এবং বন্দিদেরকে বাবিলের (ব্যাবিলনের) খাবূর নদীর কাছে নাইবূর এলাকায় নির্বাসিত করেন।
৪.ইরানীদের আধিপত্য: পারস্য-সম্রাট সাইরাস বাবেল নগরী দখল করে খ্রিস্টপূর্ব ৫৩৯ সালে, বাখতুন নাসরের বন্দিদেরকে এবং যেসব ইয়াহুদী বাবেলে বসবাস করত, তাদেরকে আল কুদসে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেন এবং তাদের উপাসনালয় সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করার অনুমতি দেন। সেই প্রথম ইরানী, যে না কি ইয়াহুদীদের লালনপালন করেন।
৫. গ্রিকদের আধিপত্য: গ্রিকসম্রাট ইস্কান্দার আলেকজান্ডার খ্রি.পূ. ৩৩১ সালে মিশর, শাম ও ফিলিস্তিনে সামরিক অভিযান পরিচালনা করে ইরানীদের উৎখাত করেন। এতে ইয়াহুদীরাও গ্রীকদের অধীনে চলে আসে।
৬. রোমীয়দের আধিপত্যে: রোম-সম্রাট বোম্বেই খ্রি. পূ. ৬৪ সালে সিরিয়া দখল করেন। পরের বছর তিনি আল-কুদস দখল করেন। ইনজিলসমূহের বিবরণ অনুসারে রোম-সম্রাট দ্বিতীয় হেরোডিস খ্রি.পূ. ৪ সাল থেকে ৩৯ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ইয়াহুদীদের শাসন করেন এবং তার যুগেই ঈসা (আলাইহিস -সালাম) জন্মগ্রহণ করেন।
৭. রোমান সম্রাট তিতুস ৭০ খ্রিস্টাব্দে আল-কুদসে আক্রমণ করে সেখানকার হাজার হাজার ইয়াহুদীকে হত্যা এবং তাদের বাড়ি-ঘর ধ্বংস করেন। ঠিক এ সময় ইয়াহুদীরা মদীনায় হিজরত করে।
৮. রোমান সম্রাট হাদরিয়ান ১৩২থেকে ১৩৫ খ্রিস্টাব্দে বাইতুল মাকদিস থেকে ইয়াহুদীদের উচ্ছেদ করেন। সবশেষে আবার রোমান সম্রাট হেরাক্লিয়াস ইয়াহুদীদেরকে শাস্তি দেন এবং আল-কুদসে যে ইয়াহুদী ছিল, তাদের সেখান থেকে বহিষ্কার করেন; আর এভাবে খ্রিস্টানদের পক্ষ থেকে এ শহর ইয়াহুদীদের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত হয় ।
ইয়াহুদী জাতি নিজেদের ‘আল্লাহ কর্তৃক নির্বাচিত জাতি’ হিসেবে গণ্য করে। নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করে, অন্যান্য জাতিকে হীন এমনকী চতুষ্পদ জন্তু বলে গণ্য করে; অথচ তাদের মধ্যে জগতের সকল নিকৃষ্ট ও জঘন্য কার্যকলাপ বিদ্যমান। তারা সেই আদিকাল থেকেই পৃথিবীর বুকে নানান অশান্তি, যুদ্ধবিগ্রহ বাঁধাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
ইয়াহুদী এমন একটি জাতি, যাদের নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বহুসংখ্যক নবী ও রাসূল হত্যার ইতিহাস। তারা নবী ইয়াহইয়া (আলাইহিস -সালাম)-কে হত্যা করেছে, নবী যাকারিয়া (আলাইহিস -সালাম)-কে করাত দিয়ে চিরে দুই টুকরা করে ফেলেছে। ঈসা (আলাইহিস -সালাম)-কেও হত্যার দাবি করেছিল।
ইয়াহুদীরা পবিত্র ও সচ্চরিত্রা নারী মরিয়ম [আলাইহাস সালাম]-এর ওপর ব্যভিচারের জঘন্য অপবাদ আরোপ করেছিল। উল্লিখিত সংক্ষিপ্ত ইতিহাস থেকে জানা যায়–ইয়াহুদীরা আল্লাহর নানাবিধ নাফরমানি ও নবী-রাসূলদের হত্যা করার কারণে তাদের উপর লানত বর্ষিত হয়েছিল। যার কারণে তারা আর তাদের বসতবাড়ি এবং বায়তুল মাকদাস ফিরে পায়নি।
ইসলামী যুগ
শেষ নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) মদীনায় হিজরতের এক বছর পূর্বে রাতেরবেলায় মসজিদুল হারাম থেকে মসজিদুল আকসায় সফর করেন, যাকে ইসরা বলা হয়। অতঃপর সেখানে রাসূল (সাঃ) নবী-রাসূলদের নিয়ে ইমামতি করে সালাত আদায় করেন। সালাত শেষে ঊর্ধ্বাকাশে গমন করেন, যাকে মিরাজ বলা হয়। বাইতুল মাকদাস মুসলমানদের প্রথম কেবলা ছিল, যা হিজরতের ১৭ মাস পর কাবার দিকে কেবলা ঘুরে যায়।
খুলাফায়ে রাশেদার যুগ
দ্বিতীয় খলীফা উমার ইবনুল খাত্তাব (রাজিঃ) ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে অর্থাৎ হিজরী ১৮ সালে যখন আল-কুদস ও ফিলিস্তিন জয় করেন। তখন খ্রিস্টানরা খলীফার কাছে শর্তারোপ করেছিল যে, কোনো ইয়াহুদী যেন সেখানে বসবাস না করে এবং তিনিও তাদের ইচ্ছার প্রতি ইতিবাচক সাড়া দেন এবং এ বিষয়টি তাদের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিপত্রে লিপিবদ্ধ করেন। তখন থেকে ১৩৪৩ হিজরী অর্থাৎ ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত পাশ্চাত্যের হাতে তুর্কী উসমানী খিলাফতের পতন না হওয়া পর্যন্ত বাইতুল মাকদাস ইয়াহুদী মুক্ত ছিল। প্রায় ১৮০০ বছর ইয়াহুদীরা ‍বাইতুল মাকদিসে বসবাসের সুযোগ পায়নি। উল্লেখ্য যে, উমার -এর যুগে ১৮-৪০ হিজরী পর্যন্ত মোট ২২ বছর বাইতুল মাকদাস মুসলিমদের অন্যতম প্রদেশ ছিল। আলহামদুলিল্লাহ।
উমাইয়া (৪১ হিজরী থেকে ১৩২ হিজরী) শাসনামলের ৯০ বছর: এই নব্বই বছর পুরোটাই বাইতুল মাকদাস মুসলমানদের হাতে ছিল। উমাইয়া শাসনামলে বাইতুল মাকদাসে উল্লেখযোগ্য কর্ম হলো, বর্তমান স্থাপনাটি উমাইয়া যুগেই নির্মিত। উমাইয়া খলীফা আবদুল মালিক ৬৯০ খ্রিস্টাব্দে মসজিদ পুনর্নির্মাণ ও সম্প্রসারণ করেন। সেই সঙ্গে তিনি ‘কুব্বাত আস-সাখরা’ নির্মাণ করেন।
আব্বাসীয় (১৩২-৬৫৬ হিজরী) শাসনামলের ৫২৪ বছর: আব্বাসীয় শাসনামলের ৫২৪ বছরের মধ্য ৩৬০ বছর বাইতুল মাকদাস মুসলমানদের দখলেই ছিল। অতঃপর আব্বাসীয় শাসনামলের শেষের দিকে ৪৯২ হিজরী মোতাবেক ১০৯৯ খ্রিস্টাব্দে খ্রিস্টান ক্রুসেডাররা বাইতুল মাকদাস দখল করে নেয় এবং হাজার হাজার মুসলিমদের হত্যা করে। আর এর পিছনে তৎকালীন মিথ্যা ফাতেমী দাবিদার মিশরের শীআ শাসকগোষ্ঠী ক্রুসেডারদের আহ্বান করে এবং ফিলিস্তিন দখলের আমন্ত্রণ জানায়। এর ফলে অতি সহজে খ্রিস্টান ক্রুসেডাররা বাইতুল মাকদাস দখল করে নেয়।

মুসলিম বীর গাজী সালাহউদ্দীন আইয়ুবী (রাহিঃ) ভালোভাবেই শীআদের নেফাকী আর সুন্নীদেরকে হত্যার ইতিহাস জানতেন। তাই তিনি দেখলেন বাইতুল মাকদাস উদ্ধার করতে হলে–আগে শীআদের উচ্ছেদ করতে হবে, কারণ তারাই ক্রুসেডারদের উৎসাহ প্রদান করছে। অবশেষে ৫৬৭ হিজরী মোতাবেক ১১৭১ খ্রিস্টাব্দে মিশরের মাটি থেকে শীআদের উৎখাত করেন। অতঃপর ৫৮৩ হিজরী মোতাবেক ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম বীর সিপাহসালার সুলতান সালাহউদ্দীন আইয়ুবী  হিত্তিন প্রান্তরে ক্রুসেডারদের পরাজিত করে পুনরায় জেরুযালেম শহর ও বাইতুল মাকদাস মুসলমানদের অধিকারে নিয়ে আসেন। আলহামদুলিল্লাহ।
মামলুকীদের (৬৪৮ হিজরী থেকে ৯২৩ হিজরী) শাসনামলে ২৭৫ বছর: এই ২৭৫ বছর পুরোটাই বাইতুল মাকদাস–সুন্নী মামলুকী মুসলমানদের হাতেই ছিল, যদিও তারা খ্রিস্টান ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে জিহাদরত ছিলেন।

উসমানীয় (৯২৩ হিজরী থেকে ১৩৪৪ হিজরী) শাসনামলের ৪০০ বছর প্রায় পুরোটাই বাইতুল মাকদাস মুসলমানদের দখলে ছিল। অটোমান বা উসমানীয় শাসনের শেষদিকে ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে ‍ইংরেজরা ফিলিস্তিনে অনুপ্রবেশ করে এবং ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে। অল্প সময়ের মধ্যে ইয়াহুদীরা ফিলিস্তিনে স্থায়ীভাবে বসতি স্থাপন করে। ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমিতে ইয়াহুদীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুসলমানদের সঙ্গে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দাঙ্গা নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়। এসময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদীরা অন্যায়ভাবে মুসলমানদের ফিলিস্তিন ভূমিকে মুসলমান ও ইয়াহুদীদের মধ্যে ভাগ করে দেয়। ফলে ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে ১৫ মে বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে জায়নবাদী অবৈধ ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

অবৈধভাবে গড়ে ওঠা রাষ্ট্র ইসরায়েল ১৯৬৭ খ্রিস্টাব্দে ‘মসজিদুল আকসা’ জবরদখল করে নেয় এবং জায়নবাদী ইসরায়েল একের পর এক মুসলিম–অধ্যুষিত এলাকা দখল করে ইয়াহুদী বসতি সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে এবং হত্যা-গুম চালিয়ে যাচ্ছে। হে আল্লাহ! তুমি ইয়াহুদীদের ধ্বংস করো এবং ফিলিস্তিন ও বাইতুল মাকদাস মুসলমানদের হাতে ফিরিয়ে দাও।

তথ্যঃ
১-আল-আনিসুল জালিল বি তারীখিল কুদুস, আবদুর রাহমান বিন মুহাম্মাদ মুজিরুদ্দীন: ১/২৭২-২৭৫
২- আল কামেল ফিত-তারিখ—ইবনুল আসির: ১০/৩৭, সালাহউদ্দীন আয়্যুবী ওয়া কাযাউ আলা ফাতেমিঈন—সাল্লাবী: ১৬৩-২০৩
৩-মুখতাসার ফি আখবারিল বাশার, ইমাদুদ্দীন ইসমাঈল বিন আলী: বিস্তারিত ৩য় খণ্ড।
৪-সহীহ বুখারী: ৩৩৬৬ তাফসীরে কুরতুবী: ৪/১৩৮, ফাতহুল বারী (নবীদের ঘটনা) ৬/৪০০-৪১০
৫-রাজন্যবর্গ ও শাসকদের ১ম পুস্তিকা, ইসসাহ ১১:১-২
৬-আযরার পুস্তিকা, অধ্যায় ৬:৩-৭, অধ্যায় ১:৭-১১
৭- দানিয়ালের পুস্তিকা, অধ্যায় ১১:৫
৮- মথির ইঞ্জিল পৃ. ২

হাসিমুখে শহীদ সন্তানের লাশ কাধে নিলেন মা🌹ইতিহাসে সাক্ষী হয়ে রইলেন এই ফিলিস্তিনি মা🇵🇸❤️আল্লাহু আকবার।🇵🇸তুমি এই জামানার শ্...
15/10/2023

হাসিমুখে শহীদ সন্তানের লাশ কাধে নিলেন মা🌹

ইতিহাসে সাক্ষী হয়ে রইলেন এই ফিলিস্তিনি মা🇵🇸❤️
আল্লাহু আকবার।🇵🇸
তুমি এই জামানার শ্রেষ্ঠ মা

আজ বেফাকের কাউন্সিলরে যার পদবী ঘোষণার সময়  উপস্থিত লোক সব থেকে বেশি উৎফুল্ল ও আনন্দিত হয়েছেন তিনি হলেন আমাদের ভবিষ্যৎ ...
07/10/2023

আজ বেফাকের কাউন্সিলরে যার পদবী ঘোষণার সময় উপস্থিত লোক সব থেকে বেশি উৎফুল্ল ও আনন্দিত হয়েছেন তিনি হলেন আমাদের ভবিষ্যৎ আকাবির শাইখুল হাদীস ইবনে শাইখুল হাদীস আল্লামা মাহফুজুল হক সাহেব। আল্লাহ তার হায়াতের মধ্যে বরকত দান করুক।

শায়খ আহমদ উল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ খুবই অসুস্থ। আবারও হাসপাতালে ভর্তি।কয়েকদিন পূর্বে হাসপাতাল ভর্তি হওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হ...
06/09/2023

শায়খ আহমদ উল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ খুবই অসুস্থ। আবারও হাসপাতালে ভর্তি।

কয়েকদিন পূর্বে হাসপাতাল ভর্তি হওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হলে হাসাপাতাল থেকে ফিরে বাসায় ছিল।
কিন্তু অসুস্থ আবার বেড়ে যাওয়ায় আজকে আবারো হাসপাতালে ভর্তি হলেন

আল্লাহতায়ালা শায়েখকে দ্রুত সুস্থতার নেয়ামত দান করুন। আমিন।

এ কেমন রাজাকার , যার জন্য লাখো মানুষের বুকফাটা আর্তনাদ ?বেইমানদের কাছে তিনি নিন্দিত কিন্তু ইমানদারদের কাছে তিনি নন্দিত ।...
15/08/2023

এ কেমন রাজাকার , যার জন্য লাখো মানুষের বুকফাটা আর্তনাদ ?
বেইমানদের কাছে তিনি নিন্দিত কিন্তু ইমানদারদের কাছে তিনি নন্দিত ।
কোটি মোমিনের হৃদয় রাজ্যের বাদশাহর শেষ বিদায়তো এমনই হওয়ার কথা । এমন জীবন তুমি করেছো গঠন, মরনে হাসিলে তুমি কাঁদিল এ ভুবন।

বিশ্ববরেণ্য মুফাসসিরে কুরআন, আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী (রহঃ)কিছুক্ষণ পূর্বে ইন্তেকাল করেছেন! 😭ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্ন...
14/08/2023

বিশ্ববরেণ্য মুফাসসিরে কুরআন, আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী (রহঃ)
কিছুক্ষণ পূর্বে ইন্তেকাল করেছেন! 😭

ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন, হেফাজতের নতুন সিদ্ধান্ত কে২০২১ সালে সরকারের চাপে পড়ে বিলুপ্ত করা হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির সকল নেতৃ...
05/08/2023

শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন, হেফাজতের নতুন সিদ্ধান্ত কে

২০২১ সালে সরকারের চাপে পড়ে বিলুপ্ত করা হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটির সকল নেতৃবৃন্দকে কমিটিতে পুনর্বহালের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত এসেছে। বিগত দুই বছর ধরে হেফাজতের জন্য দীর্ঘ জেল জুলুম সয়ে আসা ত্যাগী নেতাদের যথাযথ মূল্যায়নে হেফাজতের সাহসী এই পদক্ষেপ যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয় তাহলে আবারো হেফাজত মূলধারায় নিয়ামক শক্তির ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।

মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে আমল করার তৌফিক দান করুন।  আমিন
02/08/2023

মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সকলকে আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন

আবুল ফযল ফয়যি, মীর জাফর, মীর সাদিক নামগুলো কতই না সুন্দর এবং অর্থবহ নাম। কিন্তু এ লোকগুলো নামের অর্থের মর্যাদা ধরে রাখত...
18/07/2023

আবুল ফযল ফয়যি, মীর জাফর, মীর সাদিক নামগুলো কতই না সুন্দর এবং অর্থবহ নাম। কিন্তু এ লোকগুলো নামের অর্থের মর্যাদা ধরে রাখতে পারেনি। এরা তাদের নামের প্রতি অবিচার করেছে।

এরা নিজ জাতি, দেশ এবং ধর্মের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা ও বেঈমানী করায় ইতিহাসের পাতায় ধিকৃত, ঘৃণিত। ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় এদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে। মানুষ ঘৃণার সাথে এদের নাম উচ্চারণ করে থাকে। এরা সকলেই শিক্ষিত ছিল। কেউ মূর্খ ছিল না। ভালো বলতেও পারত।

এদের প্রতি জনমনে এতো ঘৃণা, ক্ষোভ যে, কেউ কারো সাথে বিশ্বাস ভঙ্গ করলে বলে মীর জাফরী করছ কেন? এদের নাম দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতার অর্থ বুঝিয়ে থাকে।

এ চরিত্রের লোক যুগে যুগে তৈরী হয়‌। এদের দাপটে সাধারণ জনতা তটস্থ থাকে। এদের হুঙ্কারে সপ্ত জমিনের তলদেশ পর্যন্ত প্রকম্পিত হয়। হবেই না কেন? পাওয়ার ম্যানদের ছায়া থাকে এদের মাথার উপর। ওরা যা বলতে বলে, যা করতে বলে মীর জাফররা তাই বলে ও করে। বিনিময়ে পায় উপঢৌকন। গাড়ি, বাড়ী, পদ-পদবী। আরো কত কি?

মীর জাফরদের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে স্বজাতি হারায় দেশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বকিয়তা। পরাধীনতার জিনজিরে আবদ্ধ থাকতে হয় যুগের পর যুগ। তাই সময়ের মীর জাফরদের ব্যাপার সতর্ক থাকতে হবে সকলকে।

08/07/2023

হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, সুদের গুনাহের ৭০ টি স্তর রয়েছে।
তন্মধ্যে সর্ব নিম্নস্তর হলো আপন মায়ের সাথে যেনা করা। ( ইবনে মাজাহ,মিশকাত ২৪৬

08/07/2023

হযরত আয়েশা সিদ্দিকা ( রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সর্বাধিক বরকতপূর্ণ বিবাহ হল যে বিবাহ কম খরচে সম্পাদিত হয়।
( বায়হাকী, মিশকাত ২৬৮

07/07/2023

আসসালামু আলাইকুম,
গাজী হুমায়ুন কবির অফিসিয়াল
পেইজে আপনাকে স্বাগতম।

Address

মিরপুর ১১ব্লক সি এভিনিউ ৫ লেইন ২৩মিরপুর , ঢাকা ১২১৬
Mirpur
1216

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Gazi Humayun Kabir ofisial posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Gazi Humayun Kabir ofisial:

Share

Nearby media companies