01/01/2025
কী লাভ হল এতো দাওয়াহ, এতো কাজ করে? গতো বছরের চেয়ে এবার তো থার্টি ফার্স্টকে ঘিরে আতশবাজি ফুটানোসহ জাহেলি কাজকর্ম আরও বেশি হলো?
দেখুন, আপনি মানুষের সাথে এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে যান বছরে হাতে গোণা কয়েকদিন। আর সংস্কৃতি, মিডিয়া আর পারিপার্শ্বিকতার মাধ্যমে জাহেলিয়াতের মগজধোলাই চলে বছরে ৩৬৫ দিন। ২৪/৭।
আমাদের সমাজে গভীর নৈতিক সংকট চলছে। সেক্যুলারিসম এবং সেক্যুলার রাষ্ট্রের অনিবার্য ফলাফল এই সংকট। সেক্যুলার কাঠামো সমাজকে ধরে রাখার নৈতিক কেন্দ্র ধরে রাখতে পারে না, বরং এ ব্যবস্থায় নৈতিকতা ক্ষয়ে যেতে থাকে ক্রমশ। দেখা দেয় ভাঙ্গন। সেক্যুলার অনেক দার্শনিকও এ সত্যকে চিহ্নিত করতে পেরেছেন।
নৈতিকতার এই প্রগাঢ় সংকট, ১৪৪ ধারা কিংবা থানাপুলিশ দিয়ে এর সমাধান হবে না। সমাধান আসতে হবে ঈমান, আকীদাহ এবং দ্বীনের জায়গা থেকে। মানুষের নৈতিকতার কেন্দ্র মেরামত না করলে জোর করে সমাধান করা যাবে না।
কাজেই কী লাভ হবে কাজ করে - এই চিন্তা ছুড়ে ফেলুন। কারণ বাস্তবতা হল, কাজ আরও বাড়াতে হবে। আরও ধারাবাহিক, আরও নিয়মিত করতে হবে। এটা ১০০ মিটার স্প্রিন্ট না, এটা ম্যারাথন রেস।
বছরে সর্ব সাকুল্যে ৭/১০ দিন গণমানুষের কাছে গেলে হবে না। তাদের কাছে দাওয়াহ নিয়ে যেতে হবে পুরো বছর জুড়ে। আর এই দাওয়াহর কেন্দ্রে থাকতে হবে ইসলাম আর সেক্যুলারিসমের সংঘাত, শরীয়াহ আর সেক্যুলার রাষ্ট্রের সংঘাত, আল্লাহর আইন আর গায়রুল্লাহর আইনের দ্বন্দ্বের প্রশ্ন। মানুষকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হবে, সমাজ যা হচ্ছে তা ভুল, তা জাহেলিয়াত। আর সমাধান হল পরিপূর্ণভাবে ইসলামকে গ্রহণ করা।
كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ
তোমরাই সর্বোত্তম উম্মাত, মানব জাতির কল্যাণের জন্য তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে, তোমরা সৎ কাজে আদেশ করবে ও অসৎ কাজে নিষেধ করবে এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে… [সূরা আলে ইমরান, ১১০]