28/04/2020
লাইভ টিভিকে পাঠানো এক শুভাকাঙ্ক্ষীর পাঠানো শিক্ষনীয় একটি গল্প।
আপনিও গল্প বা শিক্ষণীয় কিছু পাঠাতে পারেন আমাদেরকে ইনবক্স করে, ভিডিও করে কিংবা লিখে। লাইভ টিভি প্রচার করবে আপনার ভিডিও।
This Television talks about your Life, Motivation, Progress & Purification.
(2)
লাইভ টিভিকে পাঠানো এক শুভাকাঙ্ক্ষীর পাঠানো শিক্ষনীয় একটি গল্প।
আপনিও গল্প বা শিক্ষণীয় কিছু পাঠাতে পারেন আমাদেরকে ইনবক্স করে, ভিডিও করে কিংবা লিখে। লাইভ টিভি প্রচার করবে আপনার ভিডিও।
সভায় সমবেত হাজারো অতিথির কথোপকথনে নীরবতা নেমে এল প্রধান বক্তার আগমনে। লম্বা, ঋজু পদক্ষেপে মঞ্চে উঠে এলেন তিনি, তীক্ষ্ণ চোখজোড়ায় ব্যক্তিত্বের ছটা। পিনপতন নীরবতার মাঝে পকেট থেকে এক হাজার টাকার একটি নোট বের করলেন তিনি। তুলে ধরলেন হাত মেলে উপরে, দৃপ্তকণ্ঠে বললেন “আপনাদের মাঝে কে কে চায় এই নোটটি?”
কোন কথা নেই, সারি সারি হাত উঠে গেল উপরে। সবাই চায় নোটটি!
মৃদু হাসি খেলে গেল বক্তার ঠোঁটের কোণে, নোটটি হাতের মুঠোয় মুচড়ে দুমড়ে আবার তুলে ধরলেন, “এবার কে কে চান?”
সবগুলো হাত উঠে গেল আবারও, ঠিক আগেরবারের মতোই।
“আচ্ছা! আমি আপনাদের কাউকে অবশ্যই দেব টাকাটি, কিন্তু তার আগে একটি কাজ করবো!”
এই বলে নোটটি মাটিতে ফেলে জুতো দিয়ে মাড়ালেন তিনি। ধুলো-ময়লা মাখা কুঁচকানো নোটটি দেখিয়ে কৌতুকমাখা স্বরে বললেন, “এই ময়লা নোটটি নিতেও আপত্তি নেই আপনাদের?”
উপস্থিত অতিথিবৃন্দ মাথা নেড়ে জানিয়ে দিলেন কারো আপত্তি নেই তাতে!
“সুপ্রিয় অতিথিবৃন্দ! আপনারা এইমাত্র জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা প্রত্যক্ষ করলেন। এক হাজার টাকার এই নোটটিকে আমি দুমড়ে মুচড়ে মাটিতে ফেলে জুতো দিয়ে মাড়িয়েছি, কিন্তু তারপরও আপনারা টাকাটি পেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন- কারণ যত যা-ই করি না কেন আমি টাকাটির মূল্য তাতে এতটুকু কমেনি! ঝকঝকে নোটটি আর এই কুঁচকানো ময়লা নোটটিতে কোন পার্থক্য নেই, এটি এখনো এক হাজার টাকা মূল্যমানের!
জীবনে আমাদের অনেক দুঃখ, বেদনা, হতাশা, ব্যর্থতার মুখোমুখি হতে হয়, আমাদের আত্মবিশ্বাস একদম তলানিতে গিয়ে ঠেকে, নিজেকে আয়নায় দেখে ভাবি, “আমাকে দিয়ে কিছুই হবে না!”
এই বিপর্যয়ের মুহূর্তগুলোয় মনে রাখতে হবে এই এক হাজার টাকার নোটটির গল্প। দুমড়ে-মুচড়ে ধুলি ধূসরিত হয়ে নোটটির মর্যাদা কি একটুও কমেছে? কমেনি!
আপনাকে যতবার ব্যর্থতা গ্রাস করবে, হতাশায় মুষড়ে পড়বেন, ততোবার নিজেকে টেনে তুলবেন নতুন আত্মবিশ্বাসে।
যাই ঘটুক, আপনার মূল্য একফোঁটাও কমেনি।
একবার একটা ইঁদুর ভুল করে হীরের টুকরো গিলে ফেলে। হীরের যে মালিক তার রাতের ঘুম উড়ে যায়। ইঁদুর বধের জন্যে সে এক ইঁদুর শিকারীর খোঁজ করে তাকে সেই ইঁদুর মেরে হীরে উদ্ধার করার ঠিকে দেয়।
শিকারি যখন ইঁদুর মারতে ইঁদুরদের বাসস্থানে পৌঁছোয় সে দেখে হাজারের ওপর ইঁদুর একে অন্যের সংগে গুঁতোগুঁতি করে বসে শুয়ে আছে আর একটা ইঁদুর সবার থেকে আলাদা এক জায়গায় চিৎপটাং হয়ে শুয়ে।শিকারি তাক করে ওই ইঁদুরটাকেই ধরে আর তার পেট চিরে হীরে বার করে মালিকের হাতে সেটা তুলে, নিজের হিসেব বুঝে যখন সেখান থেকে যেতে উদ্যত হয়, মালিক যিনি যারপরনাই আশ্চর্য হয়েছিলেন শিকারির কেরামতি দেখে, তাকে জিজ্ঞেস করেন,-হাজারো ইঁদুরের মধ্যে কি ভাবে তুমি বুঝলে ভাই যে ওই ইঁদুরটাই হীরে গিলেছে..??
শিকারি জবাবে বলে,-খুব সহজ স্যার। মূর্খ যখন হঠাৎ বিত্তবান হয়ে যায় কিংবা যোগ্য নয় এমন ব্যক্তি যখন গুরুত্বপূর্ণ কিছু পেয়ে যায় তখন সে নিজের লোকেদের সংসর্গ ও তাদের সঙ্গে মেলামেশা বন্ধ করে দেয়, অহংকারি হয়ে উঠে।
একবার এক ইঁদুর লক্ষ্য করল যে বাড়িতে ইঁদুর মারার ফাঁদ পাতা রয়েছে। সে খুবই ভয় পেল। ফাঁদটি অকেজো করার জন্য সে ওই বাড়িতে থাকা মুরগির সাহায্য চাইল। মুরগি ঘটনা শুনে জবাব দিল-
“ ফাঁদটি আমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। অতএব আমি এখানে কোন সাহায্য করতে পারবনা”।
মুরগির কাছ থেকে এই উত্তর শুনে ইঁদুর খুব দুঃখিত হল এবং ছাগলের কাছে গিয়ে সাহায্য চাইল। ছাগল ফাঁদের কথা শুনে বলল-
“ওই ফাঁদ বড়দের জন্য নয়। আমি এখানে তোমাকে কোন সাহায্য করতে পারবনা”।
ইঁদুর ছাগলের কাছ থেকে একই উত্তর শুনে দুঃখিত হয়ে গরুর কাছে এলো। সব কথা শুনে গরু বলল-
“ইদুরের ফাঁদ আমার মত বড় প্রাণীর কোন ক্ষতিই করতে পারবেনা। যা আমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা- তাতে আমি সাহায্য করতে পারবনা”।
ইঁদুর শেষ পর্যন্ত নিরাশ হয়ে তার ঘরে ফিরে এলো।
রাতের বেলা বাড়ির কর্ত্রী অন্ধকারের ভিতর বুঝতে পারলেন যে ফাঁদে কিছু একটা ধরা পরেছে। অন্ধকারে ফাঁদের কাছে হাত দিতেই উনি হাতে কামড় খেলেন এবং দেখলেন ফাঁদে ইঁদুরের বদলে সাপ ধরা পরেছে।
তার চিৎকারে কর্তার ঘুম ভাঙল। তাড়াতাড়ি ডাক্তার ডাকা হল। চিকিৎসা শুরু হয়ে গেল। কিন্তু অবস্থা মোটেই ভালো না।
পথ্য হিসেবে ডাক্তার মুরগির সূপ খাওয়াতে বল্লেন। সুপের জন্য কর্তা মুরগিকে জবাই করে দিলেন।
অবস্থা আস্তে আস্তে আরও খারাপ হতে লাগলো। দূরদূরান্ত থেকে আরও অনেকে আত্মীয় স্বজন আসতে লাগলো। বাধ্য হয়ে কর্তা ছাগলকে জবাই করলেন তাদের আপ্যায়ন করার জন্য।
আরও ভালো চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার দরকার হতে লাগলো। অবশেষে বাড়ির কর্তা তাদের গরুটিকে কসাইখানায় বিক্রি করে দিল।
একসময় বাড়ির কর্ত্রী সুস্থ হয়ে উঠল। আর এই সমস্ত কিছু ইঁদুরটি তার ছোট্ট ঘর থেকে পর্যবেক্ষণ করল।
এক ব্যক্তি জঙ্গলে হাটছিলেন। হঠাৎ দেখলেন এক সিংহ তার পিছু নিয়েছে। তিনি প্রাণভয়ে দৌড়াতে লাগলেন। কিছুদূর গিয়ে একটি পানিহীন কুয়া দেখতে পেলেন।তিনি চোখ বন্ধ করে দিলেন ঝাঁপ। পড়তে পড়তে তিনি একটি ঝুলন্ত দড়ি দেখেতা খপ করে ধরে ফেললেন। এবং ঐ অবস্থায় ঝুলে রইলেন।উপরে চেয়ে দেখলেন কুয়ার মুখে সিংহটি তাকে খাওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। নিচে চেয়ে দেখলেন বিশাল এক সাপ তার নিচে নামার অপেক্ষায় চেয়ে আছে। বিপদের উপর আরো বিপদ হিসেবে দেখতে পেলেন একটি সাদা আর একটি কালো ইঁদুর তার দড়িটি কামড়ে ছিড়ে ফেলতে চাইছে। এমন হিমশিম অবস্থায় কি করবেন যখন তিনি বুঝতে পারছিলেন না, তখন হঠাৎ তার সামনে কুয়ার সাথে লাগোয়া গাছে একটা মৌচাক দেখতে পেলেন। তিনি কি মনে করে সেই মৌচাকের মধুতে আঙ্গুল ডুবিয়ে তা চেটে দেখলেন। সেই মধুর মিষ্টতা এতই বেশি ছিল যে তিনি কিছু মুহূর্তেরজন্য উপরের গর্জনরত সিংহ, নিচের হাঁ করে থাকা সাপ, আর দড়ি কাঁটা ইঁদুরদের কথা ভুলে গেলেন। ফলে তার বিপদ অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়ালো। এই সিংহটি হচ্ছে আমাদের মৃত্যু, যে সর্বক্ষণ আমাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।সেই সাপটি হচ্ছে কবর। যা আমাদের অপেক্ষায় আছে। দড়িটি হচ্ছে আমাদের জীবন, যাকে আশ্রয় করেই বেঁচে থাকা। সাদা ইঁদুর হল দিন, আর কালো ইঁদুর হল রাত, যারা প্রতিনিয়ত ধীরে ধীরে আমাদের জীবনের আয়ু কমিয়ে দিয়ে আমাদের মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আর সেই মৌচাকহল দুনিয়া।
এক ব্যক্তি কয়েকজন লোকের উদ্দেশ্যে একটি মজার জোকস বললেন।এটি শুনে সবাই পাগলের মতো হাসতে লাগলো।
কিছুক্ষন পর লোকটি সবার উদ্দেশ্যে আবার সেই একই জোকসটি বললেন।এবারও তাদের মধ্যে কয়েকজন লোক হাসলেন ও বাকীদের আর হাসি আসলো না।
এরপর সেই চালাক ব্যক্তি একই জোকস বার বার বলতে লাগলেন। শেষে এমন অবস্থা হলো সে বার বার একই জোকস শুনে হাসার মতো আর কেউ থাকলো না।
এবার তিনি মুচকি হাসলেন এবং সবার উদ্দেশ্যে বললেন,
দেখো। তোমরা একই জোকস শুনে বার বার হাসতে পারো না। তাহলে কেন তোমরা জীবনে পাওয়া কোন একটা কষ্টের জন্যে দিনের দিন কাঁদতে থাকো?
এক ছেলে ছিলো প্রচন্ড রাগী। তাই দেখে বাবা তাকে একটা পেরেক ভর্তি ব্যাগ দিল এবং বললো যে, যতবার তুমি রেগে যাবে ততবার একটা করে পেরেক আমাদের বাগানের কাঠের বেড়াতে লাগিয়ে আসবে। প্রথমদিনেই ছেলেটিকে বাগানে গিয়ে ৩৭ টি পেরেক মারতে হলো। ….
পরের কয়েক সপ্তাহে ছেলেটি তার রাগকে কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আনতে পারে তাই প্রতিদিন কাঠে নতুন পেরেকের সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমে এলো। সে বুঝতে পারলো হাতুড়ী দিয়ে কাঠ বেড়ায় পেরেক বসানোর চেয়ে তার রাগকে নিয়ন্ত্রন করা অনেক বেশি সহজ।
শেষ পর্যন্ত সেই দিনটি এলো যেদিন তাকে একটি পেরেকও মারতে হলো না। সে তার বাবাকে এই কথা জানালো। তারা বাবা তাকে বললো এখন তুমি যেসব দিনে তোমার রাগকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করতে পারবে….
সেসব দিনে একটি একটি করে পেরেক খুলে ফেলো। অনেক দিন চলে গেল এবং ছেলেটি একদিন তার বাবাকে জানালো যে সব পেরেকই সে খুলে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।তার বাবা এবার তাকে নিয়ে বাগানে গেল এবং কাঠের বেড়াটি দেখিয়ে বললো..
‘তুমি খুব ভাল ভাবে তোমার কাজ সম্পন্ন করেছো,এখন তুমি তোমার রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে পারো কিন্তু দেখো, প্রতিটা কাঠে পেরেকের গর্ত গুলো এখনো রয়ে গিয়েছে। কাঠের বেড়াটি কখনো আগের অবস্থায় ফিরে যাবে না।…
যখন তুমি কাউকে রেগে গিয়ে কিছু বলো তখন তার মনে ঠিক এমন একটা আচড় পড়ে যায়। তুমি হয়তো ভুল বুঝতে পারবে, আর ব্যাথাও দিবে না তাকে, কিন্তু আগের দাগগুলো ঠিকই রয়ে যাবে। তাই সাবধান, রেগে গিয়েও প্রিয় মানুষগুলোকে কষ্ট দিও না। বিশেষ করে কথার কষ্ট ।
"If your dreams don't scare you, they are too small"
House 33, Road 3, Block B
Meradia
1219
Be the first to know and let us send you an email when Life TV posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.
Send a message to Life TV: