29/02/2024
বাংলাদেশের BMET নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা।
ম্যানপাওয়ার বা BMET কার্ড যে যাই বলেন এটা যে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব একটা সিদ্ধান্ত। যেটা বাহিরের দেশে কোন কাজে আসে না।
আমাদের দেশের বর্তমান সরকার বার বার বলে রেমিটেন্স পাঠান, দেশকে বাচান। কিন্তু দেখেন, ভিসা পাওয়ার পর আমরা BMET করতে গেলে সেখানে আমাদের যে কি পরিমান হয়রানির স্বীকার হতে হয় সেটা শুধু আমরাই জানি। সব কিছু ঠিক থাকার পরও নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। অতিরিক্ত টাকা না দিলে BMET কার্ড হয় না।
আবার অনেক সময় নির্দিষ্ট কিছু দেশের জন্য BMET কার্ড প্রদান বন্ধ থাকে। তখন বাধ্য হয়ে আমাদেরকে দালালদের শরণাপন্ন হতে হয়, এয়ারপোর্টে ৫০-৭০/৮০ হাজার টাকা দিয়ে বিদেশে আসতে হয়। তাহলে প্রবাসীদের কাছ থেকে আপনারা ভালো কিছু আশা করেন কিভাবে? আজকে আপনাদের কাছে BMET যদি এত গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে আপনারা বলেন বিদেশগামী সবাই আগে BMET করতে হবে তাহলে তো আর হাজার হাজার মানুষ ভিসা করে দেশে বসে থাকতো না BMET এর জন্য। অনেক মানুষ আছে যারা লক্ষ লক্ষ টাকা ধার দেনা করে ভিসা করেছে কিন্তু BMET কার্ড না পাওয়ার কারনে প্রবাসে যেতে পারছে না। তাদের এই টাকার ক্ষতিপূরন কে দিবে? আজকে আমরা যারাই প্রবাসী আছি আমরা তো টাকা ইনকাম করে দেশে পাঠাই, তাই না! আমাদের পাঠানো রেমিটেন্স দিয়ে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
যারা অলরেডি প্রবাসে আছি, আমরা যখন দেশে আসি তখন নিজ দেশের এয়ারপোর্টে খারাপ ব্যবহার এর শিকার হচ্ছি। দেশের এই যে এত এত উন্নয়ন-পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, বিমান বন্দর, পারমানিবক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীরসমুদ্র বন্দর সহ যত উন্নয়ন সব আমাদের ঘাম ঝড়ানো টাকায়ই হচ্ছে। তাহলে আমরা কেন এত অবহেলিত? এইটার সমাধান চাই। আমরা প্রবাসী সবাই এক হয়ে আওয়াজ তুলুন। হয় BMET অফ করুন, না হয় সব দেশের BMET চালু করুন এবং অতিরিক্ত টাকা দিয়ে যেন BMET পেতে না হয় সেই ব্যবস্থা করুন এবং এয়ারপোর্টে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধ করুন।
🇰🇬 Kyrgyzstan
প্রবাসী হক ভাই