বাংলা গানের ভাণ্ডারের পরিধি যে কতো বড় তা এদেশের গানের অলিতে গালিতে হাঁটলে বুঝা যায়। আবহমানকাল ধরে এ বাংলায় রচিত হয়ে আসছে নানা ধরনের লোকগান, বাউল গান, ভাব-ভক্তির গান, পূজা-অর্চনার গান, গাজীর গীত, পালা, জারি, সারি, ভাওয়াইয়া, বাঘাইমারা ইত্যাদি ইত্যাদি সেসব গানের ধারা। দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের গানের এসব ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন লালন, হাসন, শিতালং শাহ, আব্দুল করিম, রাধারমন, দুর্বিন শাহ, আরকুম শাহ, গফুর হালী
সহ নাম জানা না জানা বহু গুণীজন। আজকে আমরা যে বাংলা লোকগান নিয়ে গর্ব করি তার অবকাঠামো সময়ে সময়ে গড়ে উঠেছে তাদের হাতে।
বর্তমান সময়ে এসেও অনেকে গান লিখে যাচ্ছেন, গেয়ে যাচ্ছেন। তবু কোথায় যেন লোকগানের প্রতি আমাদের আগের টানটা কমে গেছে। কমে গেছে আসলে শহরকেন্দ্রিক জীবনে। গ্রামে এখনো পুরোনো আমেজেই খোঁজে পাওয়া যায় গানের অস্তিত্ব। তবে সেই অস্তিত্বও হুমকির মুখে। কারণ দেশের বাউল শিল্পীরা, গায়েনরা আগের মতো আর নিরাপদ নাই।
এমন এক অনিরাপদ সময়ে দাঁড়িয়েও আমাদেরকে যাপিত জীবনের পরবর্তী পদক্ষেপে পা ফেলতে হচ্ছে। আর জীবনের এই ফাঁক ফোকরে দর্শকমহলকে পুরোনো গানগুলোর পুরোনো আনন্দ ফিরিয়ে দিতে আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াসে গড়া এই 'হীমলাল গীত ভাণ্ডার'।
আমাদের পরিবেশনাগুলো ভালো লাগলে পাশে থাকবেন। কোন ধরনের আর্থিক স্বার্থের জন্য গান আমরা করছি না। একান্তই আনন্দ দেবার লক্ষ্যে আমাদের এ যাত্রা। আমরা চাই আমাদের আনন্দে যেন শরিক হতে পারেন আরও লক্ষজন। এই আনন্দের কোন বিনিময় মূল্য নেই। সবকিছুর বিনিময় মূল্য থাকতে হয় না।
জয়গুরু �