࿐বিশ্বের একমাত্র সনাতনী পরিবার༻

࿐বিশ্বের একমাত্র সনাতনী পরিবার༻ ❖─❥◈❥─❖
╔━━❖❖🖤❖❖━━╗
◆💠◈হরে কৃষ্ণ◈💠◆
╚━━❖❖🖤❖❖━━╝
❖─❥◈❥─❖
🖤

স্বস্তিক শব্দটি সংস্কৃত स्वस्तिक থেকে এসেছে, যার অর্থ 'মঙ্গলের জন্য সহায়ক'।স্বস্তিক একটি সংস্কৃত শব্দ। স্ব এবং অস্তি এই...
10/04/2024

স্বস্তিক শব্দটি সংস্কৃত स्वस्तिक থেকে এসেছে, যার অর্থ 'মঙ্গলের জন্য সহায়ক'।
স্বস্তিক একটি সংস্কৃত শব্দ। স্ব এবং অস্তি এই দুই শব্দ নিয়ে ‘স্বস্তিক’ শব্দটি গঠিত। স্বস্তিক চিহ্ন চার দিক, চার বেদ, চার ধাম, চার বর্ণ, চার আশ্রম, মানব জীবনের চার পর্ব এবং চার দেবতা ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ অর্থাৎ শিব এবং গণেশকে উপস্থাপিত করে।
সনাতন ধর্মে কোন শুভ কর্ম প্রারম্ভের পূর্বে স্বস্তিক চিহ্নের ব্যবহার মঙ্গলময় মানা হয়।
হিন্দুধর্মে ডানমুখী প্রতীক (ঘড়ির কাঁটার দিকে) (卐) কে স্বস্তিক বলা হয়, যা সূর্য, সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্যের প্রতীক। অন্যদিকে বাম- মুখী প্রতীক (ঘড়ির কাঁটার বিপরীত) (卍)। ) কে বলা হয় সৌভাস্তিক। যা অন্ধকার রাত বা তান্ত্রিক দিকগুলির প্রতীক ।
এই চিহ্নকে পজিটিভ এনার্জির উত্‍স্য বলে মনে করা হয়।
যে বাড়িতে পুজোয় সময় স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা হয়, সেই বাড়িতে সুখ, সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির কখনোও অভাব ঘটে না। এই কারণে যে কোনও কাজ শুরু করার আগে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকার রীতি প্রচলিত আছে।

বাড়ির মূল প্রবেশপথে স্বস্তিক আঁকা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। মনে করা যে বাড়ির দরজায় স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা থাকে, সেই বাড়িতে প্রবেশ করেন দেব দেবীরা।

বাড়িতে যে স্থানে এই চিহ্নটি রাখতে চান সেই স্থান সুন্দর এবং পরিষ্কার হওয়া উচিত।
ঘরে কখনোও উলটো স্বস্তিক আঁকবেন না। বাড়িতে উলটো স্বস্তিক আঁকলে তা অশুভ ফল প্রদান করে।
প্রতিদিনের পুজোর কাজে কুমকুম দিয়ে স্বস্তিক আঁকতে পারেন।

পেজের সকল সদস্যকে এডমিন প্যানেলের পক্ষ থেকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন❤️❤️ #পেজ_এডমিন
21/07/2023

পেজের সকল সদস্যকে এডমিন প্যানেলের পক্ষ থেকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন❤️❤️

#পেজ_এডমিন

╭━─━─━≪🌿🌻🌿≫━─━─━╮┃  🌿🌻 একাদশী বার্তা 🌻🌿    ┃╰━─━─━≪🌿🌻🌿≫━─━─━╯আগামী ৩০ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ইং ১৪ ই জুন ২০২৩ বুধবারপবিত...
12/06/2023

╭━─━─━≪🌿🌻🌿≫━─━─━╮
┃ 🌿🌻 একাদশী বার্তা 🌻🌿 ┃
╰━─━─━≪🌿🌻🌿≫━─━─━╯

আগামী ৩০ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
ইং ১৪ ই জুন ২০২৩ বুধবার
পবিত্র যোগিনী একাদশী॥
পারনঃ-- পরের দিন সকাল ০৪:৫১ থেকে ০৯:১৩ মি: মধ্যে কলকাতা, ভারত সময়।
এবং সকাল ০৫:১১ থেকে ০৯:০৪ মি: মধ্যে ঢাকা, বাংলাদেশ সময় ।

একাদশীর সংকল্প মন্ত্র:-

একাদশ্যাম্‌ নিরাহারঃ স্থিতা অহম্ অপরেহহনি।
ভোক্ষ্যামি পুন্ডরীকাক্ষ স্মরনম্‌ মে ভবাচ্যুত।।

একাদশীর পারণ মন্ত্রঃ--
একাদশ্যাং নিরাহারো ব্রতেনানেন কেশব।
প্রসীদ সুমুখ নাথ জ্ঞানদৃষ্টিপ্রদো ভব॥

ব্রত ও মাহাত্ম্যকথাঃ-- যোগিনী একাদশী মাহাত্ম্য ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদরূপে বর্ণিত আছে। যুধিষ্ঠির বললেন-হে বাসুদেব! যোগিনী একাদশী মাহাত্ম্য কৃপাপূর্বক আমাকে বলুন। শ্রীকৃষ্ণ বললেন-হে মহারাজ! সকল পাপবিনাশিনী ও মুক্তিপ্রদ এই উত্তম ব্রতের কথা বলছি, আপনি শ্রবণ করুন। মহাপাপ নাশকারী এই তিথি ভবসাগরে পতিত মানুষের উদ্ধার লাভের একমাত্র নৌকাস্বরূপ। ব্রত পালনকারীদের পক্ষে এটি সর্বশ্রেষ্ঠ ব্রত বলে প্রসিদ্ধ। এই প্রসঙ্গে আপনাকে একটি পবিত্র পৌরাণিক কাহিনী বলছি। অলকানগরে শিবভক্ত পরায়ণ কুবের নামে এক রাজা ছিলেন। তিনি প্রত্যহ শিবপূজা করতেন। তাঁর হেমমালি নমে একজন মালি ছিলেন। প্রতিদিন শিব পূজার জন্য মানস সরোবর থেকে তিনি ফুল তুলে যক্ষরাজ কুবেরকে দিতেন। বিশালাক্ষী নামে হেমমালির এক পরমা রূপবতী পত্নী ছিল। তিনি তাঁর সুন্দরী পত্নীর প্রতি অত্যন্ত আসক্ত ছিল। একদিন তিনি তাঁর স্ত্রীর প্রতি কামাসক্ত হয়ে পড়লেন। রাজভবনে যাওয়ার কথাও ভুলে গেলেন। বেলা দুই প্রহর অতীত হল। অর্চনের সময় চলে যাচ্ছে দেখে রাজা ক্রুদ্ধ হলেন। মালির বিলম্বের কারণ অনুসন্ধানে এক দূত প্রেরণ করলেন। দূত এসে রাজাকে বলল-‘‘তিনি গৃহে স্ত্রীর সঙ্গে আনন্দে মত্ত।’’ দূতের কথা শুনে কুবের অত্যন্ত রেগে তখনই মালিকে তাঁর সামনে হাজির করতে আদেশ দিলেন। এদিকে মালি কুবেরের পূজার সময় অতিবাহিত হয়েছে বুঝতে পেরে অত্যন্ত ভয় পেলেন। তাই স্নান না করেই তিনি রাজার কাছে উপস্থিত হলেন। তাঁকে দেখামাত্র রাজা ক্রোধবশে চোখ রাঙিয়ে বললেন-রে পাপিষ্ঠ, দুরাচার! তুই দেবপূজার পুষ্প আনতে অবজ্ঞা করেছিস তাই আমি তোকে অভিশাপ দিচ্ছি তুই শ্বেত কুষ্ঠগ্রস্থ হয়ে যা এবং তোর প্রিয়তমা ভার্যার সাথে তোর চিরবিয়োগ সংগঠিত হোক। রে নীচ, তুই এখনি এই স্থান থেকে ভ্রষ্ট হয়ে অধোগতি লাভ কর। কুবেরের এই অভিশাপে হেমমালি পত্নীর সঙ্গে স্বর্গভ্রষ্ট হয়ে দীর্ঘকাল যাবৎ কুষ্ঠরোগ ভোগ করতে লাগলেন।রোগের যন্ত্রণায় দিন বেদনায় বহুকষ্টে তিনি জীবনযাপন করতে লাগলেন। কিন্তু দীর্ঘদিন মহাদেবের অর্চনের ফুল সংগ্রহের সুকৃতির ফলে তিনি শাপগ্রস্ত হয়েও তিনি শিবের বিস্মরণ হননি।
একদিন হেমমালি ভ্রমণ করতে করতে হিমালয়ে শ্রীমার্কণ্ডেয় ঋষির আশ্রমে উপস্থিত হলেন। কুষ্ঠরোগে পীড়িত সপত্নী হেমমালিকে দর্শন করে শ্রীমার্কণ্ডেয় তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন-‘‘তুমি কার অভিশাপে এইরকম নিন্দনীয় কুষ্ঠ রোগগ্রস্ত হয়েছ?’’ তিনি উত্তর দিলেন-‘‘হে মুনিবর! রাজা ধনকুবেরের আমি ভৃত্য ছিলাম। আমার নাম হেমমালী। আমি প্রত্যহ মানসসরোবর থেকে ফুল তুলে শিব পূজার জন্য রাজাকে দিতাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে একদিন স্ত্রীর মনোরঞ্জন হেতু কামাসক্ত হওয়ায় সেই ফুল দিতে বিলম্ব হয়। রাজার অভিশাপে এইরকম দুর্দশাগ্রস্থ হয়েছি। পরোপকারই সাধুগণের স্বাভাবিক কর্ম। হে ঋষিশ্রেষ্ঠ! আমি অত্যন্ত অপরাধী। কৃপা করে আমার প্রতি প্রসন্ন হোন।’’ তখন দয়ার্দ্র চিত্ত মার্কণ্ডেয় মুনি বললেন-‘‘হে মালী! তোমার মঙ্গলের জন্য শুভফল প্রদানকারী এক ব্রতের উপদেশ করছি। তুমি ‘যোগিনী’ নামক একাদশী ব্রত পালন কর। এই ব্রতের প্রভাবে তুমি অবশ্যই কুষ্ঠব্যাধি থেকে মুক্ত হবে।
শ্রীকৃষ্ণ বললেন-‘‘ঋষির উপদেশ শ্রবণ করে হেমমালি তাঁকে প্রণাম জানালেন। পরে অত্যন্ত আনন্দে ঋষির আদেশ মতো নিষ্ঠার সঙ্গে যোগিনী একাদশী ব্রত পালন করলেন। এই ভাবে হেমমালি সমস্ত রোগ থেকে মুক্ত হলেন ও পত্নী-সহ সুখে জীবনযাপন করতে লাগলেন। হে মহারাজ যুধিষ্ঠির! আমি আপনার কাছে এই ব্রত উপবাসের মহিমা কীর্তন করলাম। এই ব্রত পালনে অষ্টাশি হাজার ব্রাহ্মণকে ভোজন করানোর ফল লাভ হয়। যে ব্যক্তি এই মহাপাপ বিনাশকারী ও পুণ্যফল প্রদায়ী যোগিনী একাদশীর কথা পাঠ এবং শ্রবণ করে সে অচিরেই সর্বপাপ থেকে মুক্ত হবে।

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।

11/06/2023

সমাজের কিছু বাস্তব চরিত্র,😌😌

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

ভগবানকে স্মরণ করে, নিজের মতে চলেন,কোনো বাঁধা থাকবে না🥰🥰

...........꧁꧂ ꧁꧂𝐻𝑎𝑟𝑒 𝐾𝑟𝑖𝑠ℎ𝑛𝑎 ꧁꧂ ꧁꧂..........
04/06/2023

...........꧁꧂ ꧁꧂𝐻𝑎𝑟𝑒 𝐾𝑟𝑖𝑠ℎ𝑛𝑎 ꧁꧂ ꧁꧂..........

╭━─━─━≪🌿🌻🌿≫━─━─━╮┃  🌿🌻 একাদশী বার্তা 🌻🌿    ┃╰━─━─━≪🌿🌻🌿≫━─━─━╯আগামীকাল ৩১শে মে ২০২৩ইং ১৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ বুধবার🌿পব...
30/05/2023

╭━─━─━≪🌿🌻🌿≫━─━─━╮
┃ 🌿🌻 একাদশী বার্তা 🌻🌿 ┃
╰━─━─━≪🌿🌻🌿≫━─━─━╯

আগামীকাল ৩১শে মে ২০২৩ইং ১৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ বুধবার

🌿পবিত্র পান্ডবা নির্জলা একাদশী🌿

পারণঃ- পরের দিন সকাল ০৫:১১ থেকে ০৯:৪১ মি: এর মধ্যে ঢাকা, বাংলাদেশ সময়।
এবং সকাল ০৪:৫১মি: থেকে ০৯:২০ মি: মধ্যে কলকাতা, ভারত সময়।

একাদশীর পারণ মন্ত্রঃ-
”একাদশ্যাং নিরাহারো ব্রতেনানেন কেশব।
প্রসীদ সুমুখ নাথ জ্ঞানদৃষ্টিপ্রদো ভব॥”

ব্রত ও মাহাত্ম্যকথাঃ জ্যৈষ্ঠ শুক্লপক্ষের এই নির্জলা একাদশী ব্রত সম্পর্কে ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে শ্রীভীমসেন-ব্যাসসংবাদে বর্ণিত হয়েছে। মহারাজ যুধিষ্ঠির বললেন---হে জনার্দন! আমি অপরা একাদশীর সমস্ত মাহাত্ম্য শ্রবণ করলাম এখন জ্যৈষ্ঠ শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম ও মাহাত্ম্য কৃপাপূর্বক আমার কাছে বর্ণনা করুন।

শ্রীকৃষ্ণ বললেন, এই একাদশীর কথা মহর্ষি ব্যাসদেব বর্ণনা করবেন। কেননা তিনি সর্বশাস্ত্রের অর্থ ও তত্ত্ব পূর্ণরূপে জানেন। রাজা যুধিষ্ঠির ব্যাসদেবকে বললেন---হে মহর্ষি দ্বৈপায়ন! আমি মানুষের লৌকিক ধর্ম এবং জ্ঞানকাণ্ডের বিষয়ে অনেক শ্রবণ করেছি। আপনি যথাযথভাবে ভক্তিবিষয়িনী কিছু ধর্মকথা এখন আমায় বর্ণনা করুন।

শ্রীব্যাসদেব বললেন---হে মহারাজ! তুমি যেসব ধর্মকথা শুনেছ এই কলিযুগের মানুষের পক্ষে সে সমস্ত পালন করা অত্যন্ত কঠিন। যা সুখে, সামান্য খরচে, অল্প কষ্টে সম্পাদন করা যায় অথচ মহাফল প্রদান করে এবং সমস্ত শাস্ত্রের সারস্বরূপ সেই ধর্মই কলিযুগে মানুষের পক্ষে করা শ্রেয়। সেই ধর্মকথাই এখন আপনার কাছে বলছি।

উভয় পক্ষের একাদশী দিনে ভোজন না করে উপবাস ব্রত করবে। দ্বাদশী দিনে স্নান করে শুচিশুদ্ধ হয়ে নিত্যকৃত্য সমাপনের পর শ্রীকৃষ্ণের অর্চন করবে। এরপর ব্রাহ্মণদেরকে প্রসাদ ভোজন করাবে। অশৌচাদিতেও এই ব্রত কখনও ত্যাগ করবে না। যে সকল ব্যক্তি স্বর্গে যেতে চায়, তাদের সারা জীবন এই ব্রত পালন করা উচিত। পাপকর্মে রত ও ধর্মহীন ব্যক্তিরাও যদি এই একাদশী দিনে ভোজন না করে, তবে তারা যমযাতনা থেকে রক্ষা পায়।

শ্রীব্যাসদেবের এসব কথা শুনে গদাধর ভীমসেন অশ্বত্থ পাতার মতো কাঁপতে কাঁপতে বলতে লাগলেন---হে মহাবুদ্ধি পিতামহ! মাতা কুন্তী, দ্রৌপদী, ভ্রাতা যুধিষ্ঠির, অর্জুন, নকুল ও সহদেব এরা কেউই একাদশীর দিনে ভোজন করে না। আমাকেও অন্ন গ্রহণ করতে নিষেধ করে। কিন্তু দুঃসহ ক্ষুধাযন্ত্রণার জন্য আমি উপবাস করতে পারি না।

ভীমসেনের এরকম কথায় ব্যাসদেব বলতে লাগলেন---যদি স্বর্গাদি দিব্যধাম লাভে তোমার একান্ত ইচ্ছা থাকে, তবে উভয় পক্ষের একাদশীতে ভোজন করবে না। তদুত্তরে ভীমসেন বললেন---আমার নিবেদন এই যে, উপবাস তো দূরের কথা, দিনে একবার ভোজন করে থাকাও আমার পক্ষে অসম্ভব। কারণ আমার উদরে ‘বৃক’ নামে অগ্নি রয়েছে। ভোজন না করলে কিছুতেই সে শান্ত হয় না। তাই প্রতিটি একাদশী পালনে আমি একেবারেই অপারগ।

হে মহর্ষি! বছরে একটি মাত্র একাদশী পালন করে যাতে আমি দিব্যধাম লাভ করতে পারি এরকম কোন একাদশীর কথা আমাকে নিশ্চয় করে বলুন। তখন ব্যাসদেব বললেন---জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে জলপান পর্যন্ত না করে সম্পূর্ণ উপবাস থাকবে। তবে আচমনে দোষ হবে না। ঐদিন অন্নাদি গ্রহণ করলে ব্রত ভঙ্গ হয়।

একাদশীর দিন সূর্যোদয় থেকে দ্বাদশীর দিন সূর্যাস্ত পর্যন্ত জলপান বর্জন করলে অনায়াসে বারোটি একাদশীর ফল লাভ হয়। বছরের অন্যান্য একাদশী পালনে অজান্তে যদি কখনও ব্রতভঙ্গ হয়ে যায, তা হলে এই একটি মাত্র একাদশী পালনে সেই সব দোষ দূর হয়। দ্বাদশী দিনে ব্রাহ্মমুহূর্তে স্নানাদিকার্য সমাপ্ত করে শ্রীহরির পূজা করবে। সদাচারী ব্রাহ্মণদের বস্ত্রাদি দানসহ ভোজন করিয়ে আত্মীয়স্বজন সঙ্গে নিজে ভোজন করবে। এরূপ একাদশী ব্রত পালনে যে প্রকার পুণ্য সঞ্চিত হয়, এখন তা শ্রবণ কর।

সারা বছরের সমস্ত একাদশীর ফলই এই একটি মাত্র ব্রত উপবাসে লাভ করা যায়। শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্মধারী ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আমাকে বলেছেন---‘বৈদিক ও লৌকিক সমস্ত ধর্ম পরিত্যাগ করে যারা একমাত্র আমার শরণাপন্ন হয়ে এই নির্জলা একাদশী ব্রত পালন করে তারা সর্বপাপ মুক্ত হয়। বিশেষত কলিযুগে ধন-সম্পদ দানের মাধ্যমে সদ্গতি বা স্মার্ত সংস্কারের মাধ্যমেও যথার্থ কল্যাণ লাভ হয় না। কলিযুগে দ্রব্যশুদ্ধি নেই। কলিতে শাস্ত্রোক্ত সংস্কার বিশুদ্ধ হয় না। তাই বৈদিক ধর্ম কখনও সুসম্পন্ন হতে পারে না। হে ভীমসেন! তোমাকে বহু কথা বলার আর প্রয়োজন কি? তুমি উভয় পক্ষের একাদশীতে ভোজন করবে না। যদি তাতে অসমর্থ হও তবে জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীতে অবশ্যই নির্জলা উপবাস করবে। এই একাদশী ব্রত ধনধান্য ও পুন্যদায়িনী। যমদূতগণ এই ব্রত পালনকারীকে মৃত্যুর পরও স্পর্শ করতে পারে না। পক্ষান্তরে বিষ্ণুদূতগণ তাঁকে বিষ্ণুলোকে নিয়ে যান।

শ্রীভীমসেন ঐদিন থেকে নির্জলা একাদশী পালন করতে থাকায় এই একাদশী ‘পাণ্ডবা নির্জলা বা ভীমসেনী একাদশী’ নামে প্রসিদ্ধ হয়েছে। এই নির্জলা একাদশীতে পবিত্র তীর্থে স্নান, দান, জপ, কীর্তন ইত্যাদি যা কিছু মানুষ করে তা অক্ষয় হয়ে যায়। যে ব্যক্তি ভক্তিসহকারে এই একাদশী মাহাত্ম্য পাঠ বা শ্রবণ করেন তিনি বৈকুণ্ঠধাম প্রাপ্ত হন।

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।

25/05/2023

🥰🥰🥰🥰

22/05/2023

#হরে_কৃষ্ণ🙏🙏🙏

22/05/2023

🙏🙏🙏হরে কৃষ্ণ🙏🙏🙏

21/05/2023

কাজের লোক
__নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্য

মৌমাছি, মৌমাছি
কোথা যাও নাচি নাচি
দাঁড়াও না একবার ভাই।

ওই ফুল ফোটে বনে
যাই মধু আহরণে
দাঁড়াবার সময় তো নাই।

ছোট পাখি, ছোট পাখি
কিচিমিচি ডাকি ডাকি
কোথা যাও বলে যাও শুনি।

এখন না কব কথা
আনিয়াছি তৃণলতা
আপনার বাসা আগে বুনি।

পিপীলিকা, পিপীলিকা
দলবল ছাড়ি একা
কোথা যাও, যাও ভাই বলি।

শীতের সঞ্চয় চাই
খাদ্য খুঁজিতেছি তাই
ছয় পায়ে পিলপিল চলি।

20/05/2023

#হরে_কৃষ্ণ🙏🙏🙏

╔══════ஜ۩۞۩ஜ══════╗      ❣           "একাদশী বার্তা"            ❣       ╚══════ஜ۩۞۩ஜ══════╝✧═════════•❁❀❁•═════════✧  ✺অ...
14/05/2023

╔══════ஜ۩۞۩ஜ══════╗
❣ "একাদশী বার্তা" ❣
╚══════ஜ۩۞۩ஜ══════╝
✧═════════•❁❀❁•═════════✧
✺অপরা একাদশী✺
✺অপরা একাদশী✺
✺অপরা একাদশী✺
≪━━━━━━━━◆❃◆━━━━━━━━≫
১৫মে ২০২৩ইং

সোমবার অপরা একাদশী
❏❖❏❖❏❖❏❖❏❖❏❖❏
✤ #পারণ✤
°°°°°°°°°°°°°°°
•──❖বাংলাদেশ সময়ানুযায়ী❖──•
পরের দিন মঙ্গলবার
সকাল ৭ঃ১৩-৯ঃ৪১মি. এর মধ্যে।
•*¨*•.¸¸¸¸.•*¨*•.¸¸¸¸.•*¨*•.¸¸¸¸.•*¨*•.¸¸¸¸.•*¨*•.¸¸
#অপরা_একাদশী_মাহাত্ম্য
⊰᯽⊱┈───◑❊◑┈───┈⊰᯽⊱
🍎🍊🍏 মহারাজ যুধিষ্ঠির শ্রীকৃষ্ণকে বললেন--হে কৃষ্ণ! জৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশীর নাম কি এবং তার মাহাত্ম্যই বা কি আমি শুনতে ইচ্ছা করি। আপনি অনুগ্রহ করে তা বর্ণনা করুন।
🍎🍊🍏 শ্রীকৃষ্ণ বললেন--হে মহারাজ! মানুষের মঙ্গলের জন্য আপনি খুব ভালো প্রশ্ন করেছেন। বহু পুণ্য প্রদানকারী মহাপাপ বিনাশকারী ও পুত্রদানকারী এই একাদশী 'অপরা' নামে খ্যাত। এই ব্রত পালনকারী ব্যক্তি জগতে প্রসিদ্ধি লাভ করে। ব্রহ্মহত্যা, গোহত্যা, ভ্রুণহত্যা, পরনিন্দা, পরস্ত্রীগমন, মিথ্যাভাষন প্রভৃতি গুরুতর পাপ এই ব্রত পালনে নষ্ট হয়ে যায়।
🍎🍊🍏 যারা মিথ্যাসাক্ষ্যদান করে, ওজন বিষয়ে ছলনা করে, শাস্ত্রের মিথ্যা ব্যাখ্যা প্রদান করে, জ্যোতিষের মিথ্যা গণনা ও মিথ্যা চিকিৎসায় রত থাকে, তারা সকলেই নরকযাতনা ভোগ করে। এই সমস্ত ব্যক্তিরাও যদি এই ব্রত পালন করে, তবে তারা সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়। ক্ষত্রিয় যদি স্বধর্ম ত্যাগ করে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যায়, তবে সে ঘোরতর নরকগামী হয়। কিন্তু সেও এই ব্রত পালনে মুক্ত হয়ে স্বর্গগতি লাভ করে।
🍎🍊🍏 মকররাশিতে সূর্য অবস্থানকালে মাঘ মাসে প্রয়াগ স্নানে যে ফল লাভ হয়, শিবরাত্রিতে কাশীধামে উপবাস করলে যে পুণ্য হয়, গয়াধামে বিষ্ণুপাদপদ্মে পিণ্ডদানে যে ফল পাওয়া যায়, সিংহরাশিতে বৃহস্পতির অবস্থানে গৌতমী নদীতে স্নানে, কুম্ভে কেদারনাথ দর্শনে, বদরিকাশ্রম যাত্রায় ও বদ্রীনারায়ণ সেবায়, সূর্যগ্রহণে কুরুক্ষেত্রে স্নানে, হাতি, ঘোড়া, স্বর্ণ দানে এবং দক্ষিণাসহ যজ্ঞ সম্পাদনে যে ফল লাভ হয়, এই ব্রত পালন করলে সেই সকল ফল লাভ হয়ে থাকে। এই অপরা ব্রত পাপরূপ বৃক্ষের কুঠার স্বরূপ, পাপরূপ কাষ্ঠের দাবাগ্নির মতো, পাপরূপ অন্ধকারের সূর্যসদৃশ এবং পাপহস্তির সিংহস্বরূপ।
🍎🍊🍏 এই ব্রত পালন না করে যে ব্যক্তি জীবন ধারন করে জলে বুদবুদের মতো তাদের জন্ম-মৃত্যুই কেবল সার হয়। অপরা একাদশীতে উপবাস করে বিষ্ণুপূজা করলে সর্বপাপ মুক্ত হয়ে বিষ্ণুলোকে গতি হয়। এই ব্রত কথা পাঠ ও শ্রবণ করলে সহস্র গোদানের ফল লাভ হয়। ব্রহ্মাণ্ডপুরানে এই ব্রত মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে।

🌸জয় অপরা একাদশী🌸
🌸জয় শ্রীরাধাকৃষ্ণ🌸
●●●●●●●●●●●●●●●
┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈
✧══════════•❁❀❁•══════════✧
┄❈❥ًً❀──●❀🌹🍒🌻
"হরে"কৃষ্ণ"হরে"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"হরে"হরে।"
"হরে"রাম"হরে"রাম"রাম"রাম"হরে"হরে।।"
┄❈❥ًً❀──●❀🌹🍒🌻
╲\ | / /╭━━━ " ҉♥️" ҉-━━━╮╲\ | / /
" ҉♥️" ҉ কৃষ্ণময় জীবন। " ҉♥️" ҉-
╱/ | \╲╰━━━ " ҉♥️" ҉-"━━━╯╱/| \╲"

╔════ஜ۩۞۩ஜ════╗   ❣    *"একাদশী বার্তা"*    ❣    ╚════ஜ۩۞۩ஜ════╝✧══════•❁❀❁•══════✧           ✺বরুথিনী একাদশী✺  ≪━━━━━━◆...
16/04/2023

╔════ஜ۩۞۩ஜ════╗
❣ *"একাদশী বার্তা"* ❣
╚════ஜ۩۞۩ஜ════╝
✧══════•❁❀❁•══════✧
✺বরুথিনী একাদশী✺
≪━━━━━━◆❃◆━━━━━━≫
আজ ১৬ই এপ্রিল ২০২৩
২রা বৈশাখ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
রবিবার বরুথিনী একাদশী
❏❖❏❖❏❖❏❖❏❖❏❖❏
*✤পারন✤*
°°°°°°°°°°°°°°°
পরের দিন সোমবার
বাংলাদেশ:সকাল ০৫ঃ৩৬-০৯ঃ৫০মিঃ
পশ্চিমবঙ্গ: সকাল ৫ঃ১৪-৯ঃ২৯মিঃ

•*¨*•.¸¸¸¸.•*¨*•.¸¸¸¸.•*¨*•.¸¸¸¸.•*¨*•.¸¸
*বরুথিনী একাদশী মাহাত্ম্য*
⊰᯽⊱┈──◑❊◑┈──┈⊰᯽⊱
🍎🍊🍏 বৈশাখ কৃষ্ণপক্ষীয়া বরুথিনী একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য ভবিষ্যোত্তর পুরাণে যুধিষ্ঠির শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে বর্ণনা করা হয়েছে।
🍎🍊🍏 যুধিষ্ঠির মহারাজ শ্রীকৃষ্ণকে বললেন--হে বাসুদেব! আপনাকে প্রণাম। বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী কি নামে প্রসিদ্ধ এবং তার মহিমাই বা কি তা কৃপা করে আমাকে বলুন।।
🍎🍊🍏 শ্রীকৃষ্ণ বললেন-- হে রাজন! ইহলোক ও পরলোকে বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশী 'বরুথিনী' নামে বিখ্যাত। এই ব্রত পালনে সর্বদা সুখলাভ হয় এবং পাপক্ষয় ও সৌভাগ্য প্রাপ্তি ঘটে। দুর্ভাগা স্ত্রীলোক এই ব্রত পালনে সর্বসৌভাগ্য লাভ করে থাকে। ভক্তি ও মুক্তি প্রদানকারী এই ব্রত সর্ব পাপহরণ ও গর্ভবাস যন্ত্রণা বিনাশ করে। এই ব্রত প্রভাবে মান্ধাতা, ধুন্ধুমার আদি রাজারা দিব্যধাম লাভ করেছেন। এমনকি মহাদেব শিবও এই ব্রত পালন করেছিলেন। দশ হাজার বৎসর তপস্যার ফল কেবলমাত্র এক বরুথিনী ব্রত পালনে লাভ হয়। যে শ্রদ্ধাবান ব্যক্তি এই ব্রত পালন করেন তিনি ইহলোক ও পরলোকে সমস্ত প্রকার বাঞ্ছিত ফল লাভ করেন।
🍎🍊🍏 হে নৃপশ্রেষ্ঠ! অশ্বদান অপেক্ষা গজদান শ্রেষ্ঠ, গজদান থেকে ভূমিদান, তা থেকে তিলদান, তিলদান থেকে স্বর্ণদান এবং তা অপেক্ষাও অন্নদান শ্রেষ্ঠ। অন্নদানের মতো শ্রেষ্ঠ দান আর নেই। পিতৃলোক, দেবলোক ও মানুষেরা অন্নদানেই পরিতৃপ্ত হন। পন্ডিতেরা কন্যাদানকে অন্নদানের সমান বলে থাকেন। স্বয়ং ভগবান গোদানকে অন্নদানের সমান বলেছেন। আবার এই সমস্ত প্রকার দান থেকেও বিদ্যাদান শ্রেষ্ঠ। কিন্তু এই বরুথিনী ব্রত পালনে সেই বিদ্যাদানের সমান ফল লাভ হয়ে থাকে।
🍎🍊🍏 পাপমতি যেসব মানুষ কন্যার উপার্জিত অর্থে জীবনধারণ করে, পুণ্যক্ষয়ে তাদের নরকযাতনা ভোগ করতে হয়। তাই কখনও কন্যার উপার্জিত অর্থ গ্রহণ করা উচিত নয়। যে ব্যক্তি বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার সহ কন্যাদান করেন তাঁর পুণ্যের হিসাব স্বয়ং চিত্রগুপ্তও করতে অসমর্থ হন। কিন্তু 'বরুথিনী' ব্রত পালনকারী কন্যাদান থেকেও বেশি ফল লাভ করে।
🍎🍊🍏 ব্রতকারী ব্যক্তি দশমীর দিনে কাঁসার পাত্রে ভোজন, মাংস, মসুর, ছোলা, শাক, মধু, অন্যের প্রদত্ত অন্নগ্রহণ, দুইবার আহার ও মৈথুন পরিত্যাগ করবে। দ্যূতক্রীড়া, নেশাজাতীয় দ্রব্য, দিবানিদ্রা, পরনিন্দা-পরচর্চা, প্রতারণা, চুরি, হিংসা, মৈথুন, ক্রোধ ও মিথ্যাবাক্য একাদশীর দিনে বর্জনীয়। কাঁসার পাত্রে ভোজন, মাংস, মসুর, মধু, তেল, মিথ্যাভাষন, ব্যায়াম্, দুইবার আহার ও মৈথুন এসব দ্বাদশীর দিনে পরিত্যাজ্য।
🍎🍊🍏 হে রাজন! বিধি অনুসারে বরুথিনী ব্রত পালনে সকল প্রকার পাপের বিনাশ ও অক্ষয়গতি লাভ হয়। যিনি হরিবাসরে রাত্রিজাগরণ করে ভগবান জনার্দনের পূজা করেন, তিনি সর্বপাপ মুক্ত হয়ে পরমগতি লাভ করেন।
🍎🍊🍏 তাই সূর্যপুত্র যমরাজের যাতনা থেকে পরিত্রাণের জন্য পরম যত্নে এই একাদশী ব্রত পালন করা কর্তব্য। বরুথিনী একাদশীর ব্রতকথা শ্রদ্ধাভরে পাঠ বা শ্রবণ করলে সহস্র গোদানের ফল লাভ হয় এবং সর্বপাপ থেকে মুক্ত হয়ে বিষ্ণুলোকে গতি হয়।
*🌸জয় বরুথিনী একাদশী🌸*
*🌸জয় শ্রীরাধাকৃষ্ণ🌸*
●●●●●●●●●●●●●
┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈
✧══════•❁❀❁•══════✧
┄❈❥ًً❀──●❀🌹🍒🌻
"হরে"কৃষ্ণ"হরে"কৃষ্ণ"
"কৃষ্ণ"কৃষ্ণ"হরে"হরে।"
"হরে"রাম"হরে"রাম"
"রাম"রাম"হরে"হরে।।"
┄❈❥ًً❀──●❀🌹🍒🌻
╲\ | / /╭━━ " ҉♥️" ҉-━━╮╲\ | / /
" ҉♥️" ҉ কৃষ্ণময় জীবন " ҉♥️" ҉-
╱/ | \╲╰━━ " ҉♥️" ҉-"━━╯╱/| \╲"
࿐বিশ্বের একমাত্র সনাতনী পরিবার༻

 #তুলসী_জলদান_মাহাত্ম্য : আজ ১৪ এপ্রিল, চৈত্রসংক্রান্তি থেকে তুলসী জলদান শুরু হচ্ছে  , চলবে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত। সৌর বৈশ...
14/04/2023

#তুলসী_জলদান_মাহাত্ম্য :

আজ ১৪ এপ্রিল, চৈত্রসংক্রান্তি থেকে তুলসী জলদান শুরু হচ্ছে , চলবে আগামী ১৫ মে পর্যন্ত।

সৌর বৈশাখ মাসে যেহেতু সূর্যের তাপ বৃদ্ধি পায়, তাই বিষ্ণুভক্তগণকে জলদান করা হলে শ্রীহরি অতিশয় প্রিয় হন। শ্রীহরির কৃপাপূর্বক তাঁর থেকে অভিন্ন শ্রীতুলসীবৃক্ষে জলদানেরও অপ্রাকৃত এক সুযোগ প্রদান করেন।

কিন্তু কেন তুলসীকে জলদান কর্তব্য?

তুলসী শ্রীকৃষ্ণপ্রেয়সী, তাঁর কৃপার ফলেই আমরা শ্রীকৃষ্ণের সেবার সুযোগ লাভ করতে পারি। তুলসীদেবী সম্বন্ধে বলা হয়েছে, তুলসী দর্শনেই পাপসমূহ নাশ হয়, জলদান করলে যম ভয় দূর হয়, রোপণ করলে তাঁর কৃপায় কৃষ্ণভক্তি বৃদ্ধি পায় এবং শ্রীহরির চরণে অর্পণ করা হলে কৃষ্ণপ্রেম লাভ হয়। পদ্মপুরাণের সৃষ্টিখণ্ডে (৬০.১০৫) বৈষ্ণবশ্রেষ্ঠ শ্রীমহাদেব পুত্র কার্তিককে বলেন,

সর্বেভ্যঃ পত্রপুষ্পেভ্যঃ সত্তমা তুলসী শিবা।
সর্বকামপ্রদা শুদ্ধা বৈষ্ণবী বিষ্ণুসুপ্রিয়া ॥

সমস্ত পত্র ও পুষ্পের মধ্যে তুলসী হচ্ছেন শ্রেষ্ঠা। তুলসী সর্বকামপ্রদা, মঙ্গলময়ী, শুদ্ধা, মুখ্যা, বৈষ্ণবী, বিষ্ণুর প্রেয়সী এবং সর্বলোকে পরম শুভা। ভগবান শিব বলেন,

যো মঞ্জরীদলৈরেব তুলস্যা বিষ্ণুমর্চয়েঃ।
তস্য পুণ্যফলং স্কন্দ কথিতুং নৈব শক্যতে ॥

তত্র কেশবসান্নিধ্যং যত্রাস্তি তুলসীবনম্।
তত্র ব্রহ্মা চ কমলা সর্বদেবগণৈঃ সহ ॥

(৬০.১১৭-১৮)

হে কার্তিক! যে ব্যক্তি ভক্তিসহকারে প্রতিদিন তুলসীমঞ্জরি দিয়ে শ্রীহরির আরাধনা করে, এমনকি আমিও তার পুণ্য বর্ণনা করতে অক্ষম। যেখানে শ্রীতুলসীর বন আছে, শ্রীগোবিন্দ সেখানেই বাস করেন। আর গোবিন্দের সেবার উদ্দেশ্যে লক্ষ্মী, ব্রহ্মা প্রভৃতি সমস্ত দেবতা সেখানেই বাস করেন। মূলত শ্রীকৃষ্ণই জগতে আবদ্ধ জীবগণকে তাঁর সেবা করবার সুযোগ প্রদান করার জন্য শ্রীতুলসীরূপে আবির্ভূত হয়েছেন এবং তুলসীবৃক্ষকে সর্বাপেক্ষা প্রিয় রূপে গ্রহণ করেছেন। পাতালখ-ে ঐ বিপ্রের নিকটে শ্রীযম তুলসীর মহিমা কীর্তন করেন। বৈশাখে তুলসীপত্র দ্বারা শ্রীহরির সেবা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

“যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ বৈশাখ মাস অনন্য ভক্তিসহকারে তুলসী দ্বারা ত্রিসন্ধ্যা শ্রীকৃষ্ণের অর্চনা করেন, তার আর পুনর্জন্ম হয় না।”

তুলসীদেবীর অনন্তমহিমা অনন্ত শাস্ত্রে বিস্তৃত। কিন্তু এই মহিমা হচ্ছে অশেষ। ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণের প্রকৃতিখণ্ডে (২২.৪২-৪৪) বর্ণিত হয়েছে-

শিরোধার্যাঞ্চ সর্বেসামীপ্সিতাং বিশ্বপাবনীম্।
জীবন্মুক্তাং মুক্তিদাঞ্চ ভজে তাং হরিভক্তিদাম্ ॥

যিনি সকলের শিরোধার্যা, উপাস্যা, জীবন্মুক্তা, মুক্তিদায়িনী এবং শ্রীহরিভক্তি প্রদায়িনী, সেই সমগ্র বিশ্বকে পবিত্রকারিণী বিশ্বপাবনী তুলসীদেবীকে সতত প্রণাম করি। সমগ্র বৈদিক শাস্ত্রের সংকলক তথা সম্পাদক শ্রীব্যাসদেব তুলসীর মহিমা বর্ণনা করতে গিয়ে পদ্মপুরাণের সৃষ্টিখণ্ডে(৬০.১২৭-২৮) বলেছেন,

পূজনে কীর্তনে ধ্যানে রোপণে ধারণে কলৌ।
তুলসী দহতে পাপং স্বর্গং মোক্ষং দদাতি ॥

উপদেশং দিশেদস্যাঃ স্বয়মাচরতে পুনঃ।
স যাতি পরমং স্থানং মাধবস্য নিকেতনম্ ॥

শ্রীতুলসীদেবীর পূজা, কীর্তন, ধ্যান, রোপণ ও ধারণে সমস্ত পাপ নাশ হয় এবং পরমগতি লাভ হয়। যে ব্যক্তি অন্যকে তুলসী দ্বারা শ্রীহরির অর্চনার উপদেশ দেন, এবং নিজেও অর্চনা করেন, তিনি শ্রীমাধবের আলয়ে গমন করেন। শুধু শ্রীমতী তুলসীদেবীর নাম উচ্চারণ করলেই শ্রীহরি প্রসন্ন হন। ফলে পাপসমূহ নাশ হয় এবং অক্ষয় পুণ্যার্জিত হয়।
পদ্মপুরাণের ব্রহ্মখণ্ডে বলা হয়েছে,

গঙ্গাদ্যাঃ সরিতঃ শ্রেষ্ঠা বিষ্ণুব্রহ্মামহেশ্বরাঃ।
দেবৈস্তীর্থৈঃ পুষ্করাদ্যৈস্তিষ্ঠান্ত তুলসীদলে ॥ ৬.২২

গঙ্গাদি সমস্ত পবিত্র নদী এবং ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর, পুষ্করাদি সমস্ত তীর্থ সর্বদাই তুলসীদলে বিরাজ করেন। ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে নির্দেশিত হয়েছে যে, সমগ্র পৃথিবীতে সাড়ে তিন কোটি তীর্থ আছে। তুলসী উদ্ভিদের মূলে সমস্ত তীর্থই অবস্থান করে। তুলসীদেবীর কৃপায় ভক্তবৃন্দ কৃষ্ণভক্তি লাভ করেন এবং বৃন্দাবনে বসবাসের যোগ্যতা অর্জন করেন। বৃন্দাদেবী তুলসী সমগ্র বিশ্বকে পাবন করতে সক্ষম এবং সর্বত্রই পূজিতা। সমগ্র পুষ্পের মধ্যে তিনি শ্রেষ্ঠ এবং শ্রীহরি, দেবসকল, ব্রাহ্মণ এবং বৈষ্ণবগণের আনন্দবর্ধনকারিণী। তিনি অতুলনীয়া এবং কৃষ্ণের জীবনস্বরূপিনী। যিনি নিত্য তুলসী সেবা করেন তিনি সমসত ক্লেশ হতে মুক্ত গয়ে অভীষ্ঠ সিদ্ধি লাভ করেন। অতএব শ্রীহরির অত্যন্ত প্রেয়সী তুলসীকে জলদান অবশ্যই কর্তব্য। এছাড়াও এসময়ে ভগবানের অভিন্ন প্রকাশ শ্রীশালগ্রাম শিলায়ও জলদানের ব্যবস্থা করা হয়।

শাস্ত্রে তুলসীদেবীকে জলদান করা হলে তুলসীমূলে যে জল অবশিষ্ট থাকে তারও বিশেষ মাহাত্ম্য কীর্তন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে একটি কাহিনী বলা হয়েছে যে, কোনো এক সময় এক বৈষ্ণব তুলসীদেবীকে জলপ্রদান ও পরিক্রমা করে গৃহে গমন করেন। কিছুক্ষণ পর এক ক্ষুধার্ত কুকুর সেখানে এসে তুলসীদেবীর মূলে অবশিষ্ট জল পান করে। কিন্তু তখনই এক ব্যাধ এসে তাকে বলতে লাগল, ‘দুষ্ট কুকুর! তুই কেন আমার বাড়িতে খাবার চুরি করেছিস? চুরি করেছিস ভালো, কিন্তু মাটির হাড়িটি কেন ভেঙে রেখে এসেছিস? তোর উচিত শাস্তি কেবল মৃত্যুদ-।” অতপর ব্যাধ ঐ কুকুরটিকে তখন বধ করে। তখন যমদূতগণ ঐ কুকুরকে নিতে আসে। কিন্তু তৎক্ষণাৎ বিষ্ণুদূতগণ সেখানে এসে তাদের বাধা দিলে শ্রীবিষ্ণুদূতগণ বলেন, “এই কুকুর পূর্বজন্মে জঘন্য পাপ করার কারণে নানাবিধ শাস্তি পাওয়ার যোগ্য ছিল। কিন্তু শুধু তুলসী তরুমূলের জল পান করার ফলে এর সমস্ত পাপ নাশ হয়েছে, এমনকি সে বিষ্ণুলোকে গমনের যোগ্যতাও অর্জন করেছে।” অতঃপর সেই কুকুর সুন্দর দেহ লাভ করে বৈকুণ্ঠের দূতগণের সাথে ভগবৎধামে গমন করে। জগৎজীবকে কৃপা করবার উদ্দেশ্যেই ভগবানের অন্তরঙ্গা শক্তি শ্রীমতি রাধারাণীর প্রকাশ বৃন্দা-তুলসীদেবী এ জগতে প্রকটিত হয়েছেন, তেমনি ভগবান শ্রীহরিও বদ্ধজীবসমূহকে মায়ার বন্ধন থেকে মুক্ত করার জন্য বিচিত্র লীলার মাধ্যমে অভিন্ন-স্বরূপ শালগ্রাম শিলারূপে প্রকাশিত হয়েছেন। চারিবেদ অধ্যয়নে লোকে যে ফল প্রাপ্ত হয়, কেবল শালগ্রাম শিলার অর্চনাতে সেই ফল প্রাপ্ত হওয়া সম্ভব। যিনি শালগ্রামশিলা-স্নানজল; চরণামৃত নিত্য পান করেন, তিনি মহাপবিত্র হন এবং জীবনান্তে ভগবৎধামে গমন করেন।

🙏🏻🙏🏻হরে কৃষ্ণ 🙏🏻🙏🏻

প্রশ্নঃ- সনাতন ধর্মে ৩৩-কোটি দেবতা নাকি ৩৩-প্রকার দেবতার কথা বলা হয়েছে?উত্তরঃ- ৩৩ কোটি (সংখ্যা) না, ৩৩ প্রকার দেব দেবতা...
08/04/2023

প্রশ্নঃ- সনাতন ধর্মে ৩৩-কোটি দেবতা নাকি ৩৩-প্রকার দেবতার কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ- ৩৩ কোটি (সংখ্যা) না, ৩৩ প্রকার দেব দেবতা আছে সনাতন ধর্মে। দেবভাষা সংস্কৃতে কোটি শব্দের দুটি অর্থ হয়– ১- প্রকার, ২- কোটি সংখ্যা।

সনাতন ধর্মের অপপ্রচার এটাই যে হিন্দুদের ৩৩ কোটি দেব-দেবী আর অনভিজ্ঞ যারা তারাও বলে আমাদের ৩৩ কোটি (সংখ্যায়) দেব-দেবী। সত্যিটা এই যে মোট ৩৩ প্রকার দেব-দেবতা আছে সনাতন ধর্মে।

১২ প্রকার হল,
আদিত্য-ধাতা, মিত, আযমা, শুক্রা, বরুন, অংশ, ভাগ, বিবস্বান, পুষ, সবিত্রা, তবাস্থা এবং বিষ্ণু ।

৮ প্রকার হল,
বাসু-ধর, ধ্রুব, সোম, অহ, অনিল, অনল, প্রত্যুষ এবং প্রভাষ ।

১১ প্রকার হল,
রুদ্র-হর, বহুরুপ, ত্রয়ম্বক, অপরাজিতা, বৃষাকাপি, শমভু, কপার্দী, রেবাত, মৃগব্যাধ, শর্বা এবং কপালী ।

২ প্রকার হল অশ্বিনী এবং কুমার।

মোট ১২+৮+১১+২=৩৩

࿐বিশ্বের একমাত্র সনাতনী পরিবার༻
🙏🙏🙏হরে কৃষ্ণ🙏🙏🙏

প্রশ্নঃ- সনাতন ধর্মে ৩৩-কোটি দেবতা নাকি ৩৩-প্রকার দেবতার কথা বলা হয়েছে?উত্তরঃ- ৩৩ কোটি (সংখ্যা) না, ৩৩ প্রকার দেব দেবতা...
08/04/2023

প্রশ্নঃ- সনাতন ধর্মে ৩৩-কোটি দেবতা নাকি ৩৩-প্রকার দেবতার কথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ- ৩৩ কোটি (সংখ্যা) না, ৩৩ প্রকার দেব দেবতা আছে সনাতন ধর্মে। দেবভাষা সংস্কৃতে কোটি শব্দের দুটি অর্থ হয়– ১- প্রকার, ২- কোটি সংখ্যা।

সনাতন ধর্মের অপপ্রচার এটাই যে হিন্দুদের ৩৩ কোটি দেব-দেবী আর অনভিজ্ঞ যারা তারাও বলে আমাদের ৩৩ কোটি (সংখ্যায়) দেব-দেবী। সত্যিটা এই যে মোট ৩৩ প্রকার দেব-দেবতা আছে সনাতন ধর্মে।

১২ প্রকার হল,
আদিত্য-ধাতা, মিত, আযমা, শুক্রা, বরুন, অংশ, ভাগ, বিবস্বান, পুষ, সবিত্রা, তবাস্থা এবং বিষ্ণু ।

৮ প্রকার হল,
বাসু-ধর, ধ্রুব, সোম, অহ, অনিল, অনল, প্রত্যুষ এবং প্রভাষ ।

১১ প্রকার হল,
রুদ্র-হর, বহুরুপ, ত্রয়ম্বক, অপরাজিতা, বৃষাকাপি, শমভু, কপার্দী, রেবাত, মৃগব্যাধ, শর্বা এবং কপালী ।

২ প্রকার হল অশ্বিনী এবং কুমার।

মোট ১২+৮+১১+২=৩৩

࿐বিশ্বের একমাত্র সনাতনী পরিবার༻

🙏🙏🙏হরে কৃষ্ণ🙏🙏🙏

।। জীবনটা কেন দুঃখের ?।।মরনের কিছুদিন আগে, আমাদের জড় দেহ কতই ব্যাধিগ্ৰস্ত হচ্ছে , বহু অসুবিধা হচ্ছে , তবুও দেহ ছাড়তে ব...
21/02/2023

।। জীবনটা কেন দুঃখের ?।।

মরনের কিছুদিন আগে,
আমাদের জড় দেহ কতই ব্যাধিগ্ৰস্ত হচ্ছে , বহু অসুবিধা হচ্ছে , তবুও দেহ ছাড়তে বা মরতে কেউ চাইছি না । কারণ এই দেহে থেকেই আমরা আনন্দ পেতে চাই । কত জন্ম - জন্মান্তর ধরে আমরা ঘুরপাক খাচ্ছি । তবুও সেই সব অসুবিধাগুলি আমরা চিন্তা করি না । আমরা যেরুপ আনন্দ চাই তাই ভগবান দিচ্ছে কিন্তু বিকৃতভাবে।
যেমন আমার অনেক টাকার দরকার তাই অসৎ পথে, চুরি-ডাকাতি করে যেভাবেই হোক পেতে চাই শুধু একটু আনন্দ বা সুখী হওয়ার জন্য পরিনামে জেল বা পালিয়ে থাকা।

উড়বার আনন্দ পেতে চাইলে, হয়তো উড়োজাহাজে চড়ার সৌভাগ্য না হলেও পরবর্তী জন্মে মশা হওয়ার সুযোগ পাওয়া যেতে পারে। প্ৰধানমন্ত্ৰী হয়ে আনন্দ পেতে চাইলে হয়তো এই জন্মে সুযোগ না হলেও পরবর্তীতে ছারপোকা শরীর ধারণ করে প্রধানমন্ত্রীর গদির ভেতরে জীবন যাপন করবার সুযোগ পাওয়া যেতে পারে ।
বড় বড় মাছ খাওয়ার আনন্দ পেতে চাইলে , গোসাপ , তিমি হওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে সন্দেহ নেই । অতএব এই জগৎ এক প্ৰকার আনন্দ ভোগের জগৎ বটে ।

ভগবদ্‌সেবায়-উন্মুখ মানসিকতা থাকলে বৈকুণ্ঠ জগতের আনন্দ পাওয়া যাবে । ভগবদ্‌সেবা-বিমুখ মানসিকতা থাকলে জড় জগতের আনন্দ পাওয়া যাবে ।

ভগবদ্‌-বিমুখতাই ভগবানের নির্ধারিত এই দুঃখময় জগতে আমাদের পতিত হওয়ার কারণ বলে শাস্ত্ৰে নিৰ্দেশিত হয়েছে । এখানে মায়াসুখ - আনন্দে সবাই রয়েছে । গাধা যতই গাভীর লাথি খেয়ে মুখ ফোলাক হোক না কেন তবুও সে গাধা গৰ্দভী-সঙ্গের আনন্দ পেতে চায় ।

চিন্ময় আনন্দ এবং জড় আনন্দ দুটোই এই মনুষ্য জন্মে লাভ করা যায় তা যেটাই আমরা চাই ।

ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, ''প্ৰকৃতপক্ষে এই জগৎ দুঃখময় । দুঃখ দিয়ে তৈরি''। অনেকে প্রশ্ন করে দুঃখময় হল কেন , সুখময় করে জগৎটা নিৰ্মিত হল না কেন , এই রকম প্রশ্ন করাই অমূলক।

সুদুৰ্লভ মনুষ্য-শরীর লাভ করে জীব এই দুঃখময় ভবসাগর উত্তীৰ্ণ হওয়ার উদ্দেশ্যে পরমাৰ্থ সাধন করবে , হরিভজন করবে । এইভাবে জীবন যাপন করতে করতে একদিন দেহত্যাগ করে আনন্দময় জগতে উন্নিত হতে পারে।

এই জগৎ আসলে পরমাৰ্থ সাধন ক্ষেত্ৰ । এই মুনষ্য জীবনটি দ্বারাই ভগবানের কাছে ফিরে যাওয়ার পরম সুযোগ । দুঃখ থেকেই শিক্ষা নিতে হয় সুখ থেকে নয়।

#তাই মুনষ্য জীবন দুঃখদায়ক কিন্তু দুঃখের মোচন করা সম্ভব একমাত্র ভগবানের নাম, রুপ, গুন লীলা শ্রবণ ও কীর্তন করে।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু বলেছেন,
''হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে''।।
এই হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করুন এবং সুখী হউন।। হরেকৃষ্ণ।।
🙏🙏Ujjal Roy🙏🙏
(সবাই like, share ও comment করুন)
।।জয় সনাতন ধর্ম।।জয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।।

ঈশ্বরকে ভালোবাসতে প্রচুর ধন - সম্পদ , বিদ্যা অথবা ঐশ্বর্ষের প্ৰয়োজন হয় না । কেউ যদি প্ৰেম এবং আনন্দে মগ্ন হয়ে কেবল এক...
14/02/2023

ঈশ্বরকে ভালোবাসতে প্রচুর ধন - সম্পদ , বিদ্যা অথবা ঐশ্বর্ষের প্ৰয়োজন হয় না । কেউ যদি প্ৰেম এবং আনন্দে মগ্ন হয়ে কেবল একটি ফুল , জল এবং তুলসী ভগবানকে নিবেদন করেন , তাহলেই তিনি সন্তুষ্ট হন।

গীতায় ঈশ্বর শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছেন,
পত্রং পুষ্পং ফলং তোয়ং যো মে ভক্ত্যা প্রযচ্ছতি।
তদহং ভক্ত্যুপহৃতমশ্নামি প্রযতাত্ননঃ।।৯/২৬।।
অনুবাদঃ যে বিশুদ্ধচিত্ত নিষ্কাম ভক্ত ভক্তি সহকারে আমাকে পত্র, পুষ্প, ফল ও জল অর্পণ করেন, আমি তাঁর সেই ভক্তিপ্লুত উপহার প্রীতি সহকারে গ্রহণ করি।
অর্থাৎ ভগবান ভক্তির দ্বারাই কেবল খুশী হন, সন্তুষ্ট হন। শ্ৰীকৃষ্ণ তাঁর ভক্তদের প্রতি অত্যন্ত স্নেহপরায়ণ , এবং তার ভক্ত যদি ঈশ্বর শ্রীকৃষ্ণকে সামান্য কিছু নিবেদন করেন , তাহলে তিনি তার সেই ভক্তের অধীন হয়ে যান অথবা তাঁর ভক্ত যদি তাকে কেবল একটি তুলসীপত্র ও এক অঞ্জলি জল দান করেন , তাহলে তিনি তার সেই ভক্তে কাছে নিজেকে বিক্ৰী করে দেন । ভগবান তার ভক্তের প্রতি অহৈতুক কৃপাপরায়ণ । তিনি এতই কৃপাপরায়ণ যে , সব চাইতে দরিদ্র ব্যক্তিও তাকে ভক্তি সহকারে যৎকিঞ্চিত নিবেদন করেন এবং তার ফলে ঈশ্বর প্ৰসন্ন হন।। হরেকৃষ্ণ।। জয় শ্রীকৃষ্ণ।। জয় সনাতন ধর্ম।।

এই পৃথিবীতে একেক জনের কর্ম একেক রকম। সনাতন ধর্মের চারি বর্ন ও চারি আশ্রমের সদস্যরা যার যার কর্তব্য পালন তার জন্য স্বধর্ম...
11/02/2023

এই পৃথিবীতে একেক জনের কর্ম একেক রকম। সনাতন ধর্মের চারি বর্ন ও চারি আশ্রমের সদস্যরা যার যার কর্তব্য পালন তার জন্য স্বধর্ম। বর্তমানে সারা পৃথিবীর মানুষ সনাতনধর্মের বর্নাশ্রম ধর্ম এখনও সবাই পালন করছে। সে যে জাতেরই হোক যেমন,
#ব্রহ্মচর্য= শিক্ষানবীশ ছাত্রছাত্রীগনের অধ্যায়ন করা কর্তব্য।
#গৃহস্থ = বিবাহের পরবর্ত্তীতে তার সাংসারিক কর্তব্য।
#বানপ্রস্থ= সংসার থেকে, চাকুরী থেকে অবসর গ্রহনের পর তার কর্তব্য।
#সন্ন্যাসী= সারা পৃথিবীতে সনাতনধর্মের প্রচার করা তার কর্তব্য।

পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ সনাতন ধর্মের প্রদত্ত চারটি বর্নে কর্ম করছে।
#ব্রাহ্মণ= যিনি পুজার্চন, শাস্ত্র পঠন-পাঠন করেন। বর্তমানে সমাজের বুদ্ধিজীবীগন।
#ক্ষত্রিয়= যিনি রাজ্য পরিচালনা, প্রজা রক্ষা করেন। বর্তমানে রাজনীতিকগন।
#বৈশ্য = যিনি ব্যবসা ও কৃষিকর্ম করেন। বর্তমানে সরকারী আমলা ও ব্যবসায়ী বৃন্দ।
#শুদ্র= যিনি উপরের তিন বর্নের সেবা করেন যেমন, ধোপা, নাপিত ও মাঝি। বর্তমানে শ্রমিক বৃন্দ।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন,
''নিজের স্বধর্ম ত্রুটি হলেও তা করা কর্তব্য কিন্তু অন্যের ধর্ম অর্থাৎ পরধর্ম করা অনুচিত''

একটি গুরুত্বপুর্ন কথা হল যে যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের যুগধর্ম পরিবর্তন হয়।
আবার যুগের পরিবর্তনের সাথে জীবের আয়ু কমে ধর্ম আচরনের পদ্ধতিও পরিবর্তন হয়।
যেমন,
#সত্যযুগ= মানুষের এক লক্ষ বছর জীবিত থাকত। তাই তারা ধ্যান করত হাজার হাজার বছর।
#ত্রেতাযুগ= মানুষের আয়ু হয়ে গেল দশ হাজার বছর। তখন তারা যজ্ঞ করত হাজার বছর ধরে।
#দ্বাপরযুগ= মানুষের আয়ু হল এক হাজার বছর। তাই তারা পুজা অর্চন করত।
#কলিযুগ = কিন্তু কলিযুগে মানুষ একশত বছরেরও নীচে বাঁচে তাই এখন তাদের ধ্যান, যজ্ঞ অথবা পুজার্চন যথার্থ ভাবে করা সম্ভব নয়।

তাই চৈতন্য মহাপ্রভু বলেছেন,
''চারি যুগে চারি ধর্ম জীবের কারন,
কলিযুগে ধর্ম হয় নাম সংকীর্তন''।
অতএব কলিযুগের মানুষের উচিত হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করে তার স্বধর্ম পালন করা।। হরেকৃষ্ণ।। জয় শ্রীকৃষ্ণ।। জয় সনাতন ধর্ম।।

‼️হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্রের মূল্য‼️একবার একজন শিষ্য তার গুরুদেবের কাছে ভজনের নিগুঢ় রহস্য সম্বন্ধে জেনে গুরুর নিকট হরিনাম দীক...
07/01/2023

‼️হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্রের মূল্য‼️
একবার একজন শিষ্য তার গুরুদেবের কাছে ভজনের নিগুঢ় রহস্য সম্বন্ধে জেনে গুরুর নিকট হরিনাম দীক্ষিত হলেন। শিষ্যটি মনে করেছিল গুরুদেব তাকে গোপনীয় কঠিন মন্ত্র দিবেন। কিন্তু গুরুদেব হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করতে দিলে শিষ্যটি প্রসন্ন হল না। আমতা-আমতা করে ভজনের আরও নিগূঢ় কারন জানতে চাইল । গুরুদেব উত্তর দিলেন “ ভজনের নিগূঢ় রহস্য হচ্ছে অনুক্ষণ হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্ৰ কীৰ্তন''। শিষ্যটি নিশ্চুপ হয়ে রইল।
গুরুদেবের আশ্ৰম থেকে বেরিয়ে আসার পর ঐ শিষ্য একজন ধোপাকে দেখতে পেল ; সে যমুনার তীরে কাপড় পরিস্কার করতে করতে হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করছিল । তারপর সে কয়েকটি ছোট বালিকাদের দেখল তারা হরেকৃষ্ণ কীৰ্তন করতে করতে গোবর সংগ্ৰহ করছিল । যখন আশ্ৰমে ফেরার জন্য শিষ্যটি একটি রিকশা ধরল , তখন সেই রিকশার বৃদ্ধ চালককেও সারা পথ হরেকৃষ্ণ গাইতে শুনল ।
পরদিন গুরুদেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে শিষ্যটি হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্ৰ জপ সম্বন্ধে তার এক সন্দেহ ব্যক্ত করল , “ গুরুদেব ! আমাকে যে গোপন মন্ত্ৰটি দিয়েছেন — সেটি তো দেখলাম ধোপা , রিকশাওয়ালা , গোবর - কুড়ানো মেয়েরা - সবাই জানে ? এই কি ভজনের নিগৃঢ়তম রহস্য ?
গুরুদেব তার নবীন শিষ্যটির মনোভাব বুঝতে পারলেন। এবং তার কাছে বিশদ ব্যাখ্যা করে উত্তর দেওয়ার পরিবর্তে গুরুদেব তার শিষ্যকে একটি মুল্যবান আকরিক হীরক পাথর দিয়ে বললেন , “ এই মণিটি নিয়ে গিয়ে ঐ ধোপা , রিকশাওয়ালা আর বালিকাদেরকে দেখাও এবং দেখ তারা এর মুল্য বোঝে কি না”।

#শিষ্যটি সেই অমূল্য রত্নটি নিয়ে গিয়ে বিক্রির জন্য সেই ধোপাকে দেখােল , কিন্তু ধোপা এই রত্নের মুল্য কিছু বুঝতে পারল না । সে বলল যে এই পাথরটি সানন্দে গ্ৰহণ করবে এবং ময়লা কাপড়ে পিটিয়ে নোংরা তোলার পর মসৃন করা গিলার কাজে সেটি ব্যবহার করবে । শিষ্যটি তাকে রত্নটি দিতে অসন্মত হয়ে বলল , “ না , এর যথাৰ্থ দাম তোমাকে দিতে হবে'' ।
ধোপা বলল, ''নোংরা কাপড় পেটানোর একটুকরো সাধারণ কাঠ বা গিলা পাথরই যথেষ্ট , যদি তুমি চাও আমি ১০টাকা দিতে পারি''।

#তারপর শিষ্যটি বিক্রির জন্য মণিটি রিকশাওয়ালা কে দিল, তা দেখে রিকশাওয়ালা বলল , “ হ্যা হ্যা , দিতে পারো । যেহেতু এটা একটু খসখসে , সেজন্য আমার শুদ্ধ ফাটা - ফুটি পা-ঘষতে এটা খুবই কাজের হবে মনে হচ্ছে, আমি তোমাকে ১৫টাকা দিতে পারি''।
শিষ্যটি রিকশাওয়ালাকে বলল“ তুমি একটা বদ্ধ পাগল ?

তারপর সেই গ্রামের মেয়েদেরকে সেটি দেখাতে নিয়ে গেল । তারা বলল , “ হা ঘুটে ভাঙার জন্য এটি বেশ ভালই কাজে দিতে পারে”।

শিষ্যটি ফিরে গিয়ে তার গুরুদেবকে বলল , “ গুরুদেব ! কেউই এই মূল্যবান মণিটির উপযুক্ত মুল্য দিতে চায়নি । এমনকি এটি যে কেনার মতো মুল্যবান কিছু , সেটাই তারা বুঝতে পারে নি''।

#গুরুদেব এবার শিষ্যটিকে এক স্বর্নের দোকানের জহুরীর নিকট তা বিক্রির জন্য পাঠাল। স্বর্নের দোকানের মালিক আকরিক হীরক খন্ড দেখে আশ্চর্যান্বিত হল এবং সে তার মুল্য এক লক্ষ টাকা দিতে চাইল। স্বর্নকার তা কিনার জন্য শিষ্যটির হাত ধরে অনেক অনুনয় বিনয় করতে লাগল।
শিষ্যটি রত্নটির দাম এক লক্ষ শুনে তার হৃদয় কম্পিত হতে লাগল। সে দ্রুত তার গুরুদেবের নিকট ফিরে এল।

#তখন গুরুদেব বললেন , “ ঠিক সেইরকম অধিকাংশ মানুষই দিব্যনামের মূল্য উপলব্ধি করতে পারে না । এইজন্য তারা হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্ৰ কীৰ্তনের প্রতি উদাসীন বা হেলাফেলা করে উচ্চারণ করে । হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্ৰ এক “ উন্মুক্ত রহস্য'' যা কেবল যোগ্য অধিকারীর হৃদয়েই যথাৰ্থভাবে প্ৰকাশিত হয়''।

''হে শিষ্য জেনে রাখুন, গোলকের প্রেমধন হরিনাম সংকীর্তন, তা কেউ জানে না''। তখন শিষ্যটির অজ্ঞানতা এইভাবে দুর হল।

✔️ব্রহ্মান্ড পুরানে উল্লেখ আছে, ''বিষ্ণু সহস্রনাম বহুবার উচ্চারন করলেও যে ফল হয়, শ্রীকৃষ্ণের দিব্যনাম একবার আবৃতি করলেই তার অধিক ফল লাভ হয়''।
(সবাই like, share ও comment করুন)
।।জয় সনাতন ধর্ম।।জয় শ্রীকৃষ্ণ।।
🙏হরে কৃষ্ণ🙏
—————————————
''হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে''।।

━❀꧁꧂হরে কৃষ্ণ꧁꧂❀━

Address

Dhaka
Lalmonirhat

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ࿐বিশ্বের একমাত্র সনাতনী পরিবার༻ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ࿐বিশ্বের একমাত্র সনাতনী পরিবার༻:

Videos

Share


Other Digital creator in Lalmonirhat

Show All

You may also like