10/04/2024
স্বস্তিক শব্দটি সংস্কৃত स्वस्तिक থেকে এসেছে, যার অর্থ 'মঙ্গলের জন্য সহায়ক'।
স্বস্তিক একটি সংস্কৃত শব্দ। স্ব এবং অস্তি এই দুই শব্দ নিয়ে ‘স্বস্তিক’ শব্দটি গঠিত। স্বস্তিক চিহ্ন চার দিক, চার বেদ, চার ধাম, চার বর্ণ, চার আশ্রম, মানব জীবনের চার পর্ব এবং চার দেবতা ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ অর্থাৎ শিব এবং গণেশকে উপস্থাপিত করে।
সনাতন ধর্মে কোন শুভ কর্ম প্রারম্ভের পূর্বে স্বস্তিক চিহ্নের ব্যবহার মঙ্গলময় মানা হয়।
হিন্দুধর্মে ডানমুখী প্রতীক (ঘড়ির কাঁটার দিকে) (卐) কে স্বস্তিক বলা হয়, যা সূর্য, সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্যের প্রতীক। অন্যদিকে বাম- মুখী প্রতীক (ঘড়ির কাঁটার বিপরীত) (卍)। ) কে বলা হয় সৌভাস্তিক। যা অন্ধকার রাত বা তান্ত্রিক দিকগুলির প্রতীক ।
এই চিহ্নকে পজিটিভ এনার্জির উত্স্য বলে মনে করা হয়।
যে বাড়িতে পুজোয় সময় স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা হয়, সেই বাড়িতে সুখ, সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির কখনোও অভাব ঘটে না। এই কারণে যে কোনও কাজ শুরু করার আগে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকার রীতি প্রচলিত আছে।
বাড়ির মূল প্রবেশপথে স্বস্তিক আঁকা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। মনে করা যে বাড়ির দরজায় স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা থাকে, সেই বাড়িতে প্রবেশ করেন দেব দেবীরা।
বাড়িতে যে স্থানে এই চিহ্নটি রাখতে চান সেই স্থান সুন্দর এবং পরিষ্কার হওয়া উচিত।
ঘরে কখনোও উলটো স্বস্তিক আঁকবেন না। বাড়িতে উলটো স্বস্তিক আঁকলে তা অশুভ ফল প্রদান করে।
প্রতিদিনের পুজোর কাজে কুমকুম দিয়ে স্বস্তিক আঁকতে পারেন।