![ময়মনসিংহ নিবাসী জনৈক আয়েজ উদ্দিন (রিয়াজ) সাহেব খাজাবাবা শাহসূফি এনায়েতপুরী (রহ.) সাহেবের ভক্ত মুরিদ ছিলেন। তিনি জানিয়েছে...](https://img3.medioq.com/074/835/587272950748352.jpg)
27/01/2025
ময়মনসিংহ নিবাসী জনৈক আয়েজ উদ্দিন (রিয়াজ) সাহেব খাজাবাবা শাহসূফি এনায়েতপুরী (রহ.) সাহেবের ভক্ত মুরিদ ছিলেন।
তিনি জানিয়েছেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর মেরাজের ঘটনার উপর পুরাপুরি বিশ্বাস হতোনা যে কিভাবে তিনি মেরাজে গিয়ে বহু বছর কাটিয়েছেন যা দুনিয়ার হিসাব কয়েক মুহুর্ত মাত্র।
এই অবস্থায় একদিন দরবার শরীফে উপস্থিত ছিলাম। জাকেরানদের খানা পাক হচ্ছে এই সময় খাজা বাবা আমার কাছে এসে কিছু টাকা দিয়ে ৫/৬ মাইল দূরবর্তী স্টিমার ঘাট থেকে কিছু মালামাল ছাড়িয়ে আনার নির্দেশ দিলেন। তখন আমি ক্ষুধার্ত ছিলাম এবং সন্ধ্যা নেমে আসায় ইতস্তত করছিলাম।
আমার মনোভাব লক্ষ্য করে খাজা বাবা আমার মাথার পাগড়ি খুলে আমার কোমরে শক্ত করে বেঁধে দিয়ে ফরমালেনঃ, বাবা কোন চিন্তা নাই তীর বেগে গিয়ে আবার তীর বেগে ফিরে আসবা' সাথে সাথে আমি রওনা হলাম এবং অনেক রাতে ঘাটে পৌঁছে সে রাতে মাল ছড়াতে না পেরে পরের দিন মালপত্র ছড়িয়ে দরবার শরীফে আসতে আসতে আবার সন্ধ্যা হয়ে গেল।
এরপর লঙ্গর খানায় গিয়ে দেখলাম পূর্বের দিনের মত আজও একইভাবে ভাত পাক হয়েছে। আমি খাবারের কথা জিজ্ঞেস করলে ভাত পাকরত ব্যাক্তি বিরক্ত হয়ে আমাকে স্টিমার থেকে মাল ছাড়িয়ে আনার জন্য যেতে বললেন।
আমি তখন অবাক হয়ে বললাম স্টিমার ঘাটে তো গতকাল গিয়েছিলাম।
তখন উক্ত বাবুর্চি ভীষণ অবাক হয়ে প্রশ্ন করলেন তুমি এর মধ্যেই পাগল হয়ে গেলে? তার সাথে তর্ক হচ্ছে এই সময় খাজা বাবা মৃদু হেসে ফরমালেন, বাবা কাজ সমাধা হয়েছে তো? এরপরেই আবার বললেন, তুমি গতকাল যাও নাই বরং কয়েক সেকেন্ড আগেই গিয়েছ। তখন ভালভাবে লক্ষ্য করে দেখলাম আমার কোমরে ঠিকই বাধা আছে এবং দরবার শরীফের অবস্থা একটুও পরিবর্তন হয় নাই।
তখন ভাবলাম এই ঘটনা কি স্বপ্ন নাকি অন্য কিছু। আবার পকেটে হাত দিয়ে স্টিমার ঘাটের রশিদও পেলাম। তখন আমার মেরাজ শরীফের ঘটনার উপর পূর্ণ আস্থা জন্মাল।
তথ্যসূত্রঃ-"স্মরণিকা শতবর্ষ।"