একটি বিপ্লব

একটি বিপ্লব সত্য আজ প্রকাশিত

যিনি একজন শিক্ষানুরাগী ও বিকল্প শিক্ষাব্যবস্থার প্রস্তাবক যিনি সত্যদীন ইসলামের আপসহীন প্রচারক হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমাম...
08/06/2024

যিনি একজন শিক্ষানুরাগী ও বিকল্প শিক্ষাব্যবস্থার প্রস্তাবক
যিনি সত্যদীন ইসলামের আপসহীন প্রচারক
হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমাম Hossain Mohammad Salim
প্রতিষ্ঠিত সমাজব্যবস্থার যাবতীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষার বলিষ্ঠ উপস্থাপনা ইতোমধ্যেই তাঁকে এনে দিয়েছে সুপরিচিতি। শিক্ষাব্যবস্থার অরাজকতা ও অব্যবস্থাপনা নিয়েও তিনি সোচ্চার। এ বিষয়ে তিনি বই লিখেছেন, উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার সাধনের।
তিনি বলছেন, প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষিত শ্রেণীটি পড়াশোনা শেষ করে দেশের কল্যাণে, মানুষের কল্যাণে কাজ করার বিপরীতে দেশের সম্পদ লুট, দুর্নীতি, প্রতারণা, টেন্ডারবাজি, অর্থ পাচার শুরু করে। দেশের উন্নয়নে কিছু করার বদলে তাদের লক্ষ্য থাকে অল্প সময়ে যত বেশি আখের গোছানো যায়। ধর্মহীন বস্তুবাদী সভ্যতার একপেশে ভারসাম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থার এটাই হচ্ছে ব্যর্থতার চূড়ান্ত রূপ। এই শিক্ষাব্যবস্থা মানুষকে বস্তুগত উন্নতি দিলেও আত্মিক ও নৈতিকভাবে করেছে চরম অধঃপতিত।
এখন পাশ্চাত্য সভ্যতার তৈরি এই একমুখী শিক্ষাব্যবস্থার কবল থেকে ভবিষ্যত প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে প্রয়োজন এমন এক শিক্ষাব্যবস্থা যা ছাত্রদের আধুনিক বিশ্বের নাগরিক হিসাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি নৈতিক চরিত্র গঠনের জন্য ধর্মের প্রকৃত শিক্ষাও প্রদান করবে। এমনই এক বিকল্প শিক্ষাব্যবস্থার প্রস্তাব তুলে ধরেছেন হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম।
এর বাস্তব নমুনা স্থাপনের জন্য তিনি ইতোমধ্যে নোয়াখালীর চাষিরহাট ইউনিয়নে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে বাংলাদেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা তরুণ শিক্ষকমণ্ডলী শিক্ষকতা করছেন। খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিনোদন, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, শিক্ষা সফর, কারিগরি শিক্ষা প্রদান ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিশ্বের উপযোগী নাগরিকে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

হেযবুত তওহীদের কর্মী সম্মেলনগুলোতে এমন অনেকেই উপস্থিত থাকেন যারা এখনও হেযবুত তওহীদের সদস্য হননি। গতকালের রাজশাহীর কর্মী ...
03/06/2024

হেযবুত তওহীদের কর্মী সম্মেলনগুলোতে এমন অনেকেই উপস্থিত থাকেন যারা এখনও হেযবুত তওহীদের সদস্য হননি। গতকালের রাজশাহীর কর্মী সম্মেলনেও এমন অতিথিরা ছিলেন। কিন্তু মাননীয় এমামের বক্তব্য শোনার পর, হেযবুত তওহীদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও কর্মপ্রক্রিয়া বোঝার পর, এই মানুষগুলো আর বসে থাকতে পারলেন না। তারা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিলেন হেযবুত তওহীদের ডাকে সাড়া দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হবেন। অন্তত ৬০ জন নতুন সদস্য যোগদান করেছেন গতকালের প্রোগ্রামে। আল্লাহ তাদেরকে আমৃত্যু তওহীদের উপর ঐক্যবদ্ধ থাকার ও দ্বীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাবার তওফিক দান করুন।

যখনই সমাজ অন্যা*য়, অবি*চারে পূর্ণ হয় তখন কাউকে না কাউকে সেই সমাজের সকল অসঙ্গতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আঙ্গুল তুলতে হয়। সত্...
03/06/2024

যখনই সমাজ অন্যা*য়, অবি*চারে পূর্ণ হয় তখন কাউকে না কাউকে সেই সমাজের সকল অসঙ্গতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আঙ্গুল তুলতে হয়। সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তা সমাজের বিবেকবান মানুষের কাছে উপস্থাপন করতে হয়।
সেই মহান দায়িত্বটিই কাঁধে তুলে নিয়েছে মানবতার কল্যাণে নিবেদিত অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ। পত্র-পত্রিকা, সভা-সেমিনার, বই-পুস্তক প্রকাশ ও প্রচারের মাধ্যমে চলছে আমাদের এই আদর্শিক ল*ড়া*ই। সত্যের পথে অবিচল থাকার প্রত্যয়ে শুরু হওয়া আমাদের এই ল*ড়া*ই থামবে না ইনশাআল্লাহ।
আজ (৩ জুন ২০২৪) দৈনিক দেশেরপত্র পত্রিকা নিয়ে নোয়াখালী জেলা হেযবুত তওহীদের সদস্যদের প্রচার কার্যক্রম।

হেযবুত তওহীদের কর্মসূচি। যেটা আল্লাহ তাঁর রসুল (সঃ) কে দিয়েছিলেন।  যা আর অন্য কোন ইসলামী নামধারী দলের নেই। এটা না মানার ...
31/05/2024

হেযবুত তওহীদের কর্মসূচি। যেটা আল্লাহ তাঁর রসুল (সঃ) কে দিয়েছিলেন। যা আর অন্য কোন ইসলামী নামধারী দলের নেই। এটা না মানার কারণে মুসলিম নামধারী জাতির এত দল। মুসলিম হয়েও কেন জাহান্নামের জ্বালানী পাথর হবে?
বর্তমানের সকল মুসলিমদের এই হাদিসটির ব্যাপারে চিন্তা করা উচিত ইসলাম প্রতিষ্ঠার যে পাঁচ দফা ভিত্তিক কর্মসূচি আল্লাহ তাঁর রাসুলকে দান করেছিলেন, সেই কর্মসূচি রসুলও তাঁর উম্মাহর উপর অর্পণ করে যান। তিনি বলেন, ‘এই কর্মসূচী আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। এখন আমি এই কর্মসূচী তোমাদের হাতে অর্পণ করে চলে যাচ্ছি।’
১. ঐক্যবদ্ধ হও। (ঐক্য)
২. নেতার আদেশ শোনো। (শৃঙ্খলা)
৩. নেতার ঐ আদেশ পালন করো। (আনুগত্য)
৪. যাবতীয় অন্যায়, শেরক-কুফরের সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করো। (হেজরত)
৫. আল্লাহর রাস্তায় সর্বাত্মক সংগ্রাম করো। (জেহাদ)
যে ব্যক্তি এই ঐক্যবন্ধনী থেকে এক বিঘত পরিমাণও বহির্গত হলো সে নিশ্চয় তার গলা থেকে ইসলামের রজ্জু খুলে ফেললো-যদি না সে আবার ফিরে আসে (তওবা করে) এবং যে ব্যক্তি অজ্ঞনতার যুগের দিকে আহ্বান করলো, সে নিজেকে মুসলিম বলে বিশ্বাস করলেও, নামাজ পড়লেও এবং রোজা রাখলেও নিশ্চয়ই সে জাহান্নামের জ্বালনী পাথর হবে। (আল হারিস আল আশয়ারী রা: থেকে আহমদ, তিরমিযি, বাব উল এমারাত, মেশকাত)।
লক্ষ্য করুন, এই হাদিসের সবচেয়ে সাংঘাতিক দিক হচ্ছে কর্মসূচীর এই পাঁচ দফার ঐক্য বন্ধনী থেকে যে এক বিঘত পরিমাণও সরে যাবে সে নামাজ পড়লেও, রোজা রাখলেও জাহান্নামের জ্বালানী পাথর হবে। এই বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে। কারণ এখানে নাস্তিক, অমুসলিমদের জাহান্নামের যাওয়ার বিষয়ে বলা হয় নি, বলা হয়েছে এমন মোমেন-মুসলিমদের বিষয়ে যারা নামাজ পড়ে, রোজা রাখে।
আজকের সমগ্র পৃথিবীর মুসলমানদের অবস্থা ঠিক তাই। কর্মসূচির শুরুতেই বলা হয়েছে ঐক্যের কথা। মহানবীর সমগ্র জীবন যারা এক দৃষ্টিতে দেখবেন, তারা দেখবেন যে তিনি একটি জনগোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন।। ঐ ঐক্যবদ্ধ মোমেনদের চরিত্র সৃষ্টির জন্য পরবর্তীতে নামাজ, রোজা, হজ্ব ইত্যাদি আমলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আজকে মুসলমান জাতি সেই ঐক্যকে তছনছ করে দিয়ে, লক্ষ্যকে বিসর্জন দিয়ে, তওহীদকে প্রত্যাখ্যান করে মহাসমারোহে নামাজ রোজার মত আরো শত শত আমল করে চলেছে। এই হাদীস তাদের জন্য এক অশনিসংকেত।
অতএব মুসলমানদের এখন এই হাদিসের কথা মাথায় রাখতে হবে এবং সর্বপ্রথম ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তারা এখন ঐক্যবদ্ধ হবে কিনা, হলে কোথায়, কিসের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হবে তা এখন চিন্তা করতে হবে। নামাজ, রোজা ইত্যাদি আমল থেকেও এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ঐক্য। তাই মুসলমানদের এখন এই ব্যাপারে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে নয়তো মুসলিম দাবী করা সত্তেও জ্বালানী পাথরে পরিণত হতে হবে।

ধরুন আমি বাঁচবো ৬০ বছর, এরমধ্যে অবুঝ ছিলাম ১২ বছর, রইল ৪৮ বছর। ৪৮ বছরে ১৭৫২০ দিন হয়। প্রতিদিন টয়লেট খাওয়া-দাওয়া গোসল...
31/05/2024

ধরুন আমি বাঁচবো ৬০ বছর, এরমধ্যে অবুঝ ছিলাম ১২ বছর, রইল ৪৮ বছর। ৪৮ বছরে ১৭৫২০ দিন হয়। প্রতিদিন টয়লেট খাওয়া-দাওয়া গোসল এবং ঘুমে যায় ৮৭৬০ দিন অর্থাৎ দৈনিক ১২ ঘন্টা করে ২৪ বছর, তাহলে অবশিষ্ট রইল ৮৭৬০ দিন ২৪ বছর। এর মধ্যে পড়ালেখা বা কোন কাজ শিখা অথবা ইনকাম করা নিয়ে চলে যায় ৭৩০০ দিন অর্থাৎ ২০ বছর। হাতে থাকে অবশিষ্ট চার বছর, অসুস্থতার কারণে ন্যূনতম ৩৬৫ দিন অর্থাৎ ১ বছর। অবশিষ্ট ১০৯৫ দিন অর্থাৎ ৩ বছর। আপনার চিন্তাভাবনা করার জন্য, আপনি কি সঠিক করছেন নাকি ভুল, আপনি কি সঠিক পথে আছেন নাকি ভুল পথে এবং আরো অনেক কিছু। কিন্তু মানুষ এখন সেই সময়টুকু পাচ্ছে না চিন্তা করার ব্যাপারে, মানুষকে হজম করে ফেলেছে স্যাটেলাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া। মানুষ একটু সময় পেলে হয় ফেসবুক নয় ইউটিউব অথবা tik tok এবং গল্প বাজি আড্ডাবাজি শুধু শুধু সময় নষ্ট করে কাটিয়ে দিচ্ছে অথচ মানুষ কিন্তু সৃষ্টি তার একজন স্রষ্টা আছে তার স্রষ্টার কিছু চাওয়াও তার প্রতি আছে কিন্তু সে বেখেয়াল। হায় আফসোস এরকম জিন্দেগি যারা জ্ঞাপন করছে। তাদের প্রতি এত দুর্ভোগ তারাই তো দুনিয়াতে আজাবে থাকবে আর পরকালে ঠিক তাই। প্রশ্নই ওঠে না তাঁর সঠিক গন্তব্যে পৌঁছানোর হায়রে দুর্ভাগা হায়রে পোড়া কপাল এরকম জীবন পরিচালিতকারীর। শুধুমাত্র যারা সত্যসন্ধানকারী এবং তাদের মন শান্ত হয় না সেই পর্যন্ত যে পর্যন্ত তার চাওয়া পূরণ না হয়, এই ছেলে দুটো দুই ভাই এরা তাওরাত যাবুর ইঞ্জিল অর্থাৎ সকল কিতাব পড়েছেন এমন কোন দার্শনিক নেই যাদের কিতাব পড়েনি অবশেষে কুরআন পড়ে তাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন। সত্য সন্ধানকারী হলে এরকমই হওয়া উচিত সকলের।[সুরাঃ ত্ব-হা ২০: ১১৪, ১১৫]
“আল্লাহ অতি মহান, সর্বোচ্চ স্বত্বা। আর আপনার প্রতি আল্লাহর ওহী সম্পূর্ণ হওয়ার আগে আপনি কুরআন পাঠে তাড়াহুড়া করবেন না এবং বলুন, হে আমার রব! আমাকে জ্ঞানে সমৃদ্ধ করুন।

তিনি Hossain Mohammad  Salimনিজ উদ্যোগে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন অর্ধশতাধিক শিল্প ও কৃষি প্রকল্প। এসব প্রকল্পে কর্মসংস্থান ...
30/05/2024

তিনি Hossain Mohammad Salim
নিজ উদ্যোগে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন অর্ধশতাধিক শিল্প ও কৃষি প্রকল্প। এসব প্রকল্পে কর্মসংস্থান হচ্ছে সহস্রাধিক কর্মহীন মানুষের। তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন ও বিপণনের জন্য তিনি নোয়াখালীর একটি প্রত্যন্ত পাড়া গাঁয়ে বিগত দুই বছর ধরে বাণিজ্যমেলার আয়োজন করে আসছেন। মেলার প্রতিটি কর্মকাণ্ড তিনি সরাসরি তত্ত্বাবধান করেন। তাঁর উপস্থিতিতে পণ্য প্রদর্শনী মেলা হয়ে ওঠে প্রাণময়, সর্বশ্রেণির সব বয়সের মানুষের মিলনমেলা। জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতাকর্মী কেউ সবাই এসে আড্ডায় মেতে ওঠেন মেলাপ্রাঙ্গনে।

নতুন প্রজন্মকে উন্নত মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হেযবুত তওহীদের এমাম Hossain Mohammad  Salim প্রতিষ্ঠা করেছেন ব্যতিক্রমী একটি...
29/05/2024

নতুন প্রজন্মকে উন্নত মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হেযবুত তওহীদের এমাম Hossain Mohammad Salim প্রতিষ্ঠা করেছেন ব্যতিক্রমী একটি বিদ্যালয়। তিনি দিনরাত এই শিশুদের নিয়ে ভাবেন- কীভাবে তারা মেধা, মননে, যোগ্যতা ও নৈতিকতায় প্রকৃত মানুষ হয়ে বেড়ে উঠবে এবং মানবতার কল্যাণে ভূমিকা রাখতে পারবে। মাঝেমধ্যেই তিনি ছুটে যান স্কুলের পাঠদান ও শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি দেখার জন্য। নিজ শিক্ষাজীবনে সেরা ছাত্র হিসাবে তিনি তাঁর এলাকার মানুষের জন্য গৌরব বয়ে এনেছেন বারবার।
আল্লাহর কাছে দোয়া করি, হে আল্লাহ! আমাদের সন্তানদের নিয়ে মাননীয় এমামের এই নিয়ত ও কর্মপ্রচেষ্টাকে তুমি কবুল কর। তাদেরকে সৎ, যোগ্য ও মোমেন হিসাবে তৈরি কর।

 িদজানি না এমন দ্বিতীয় কোনো মসজিদ পৃথিবীতে আছে কিনা যে মসজিদে কোনো তালা দেওয়ার ব্যবস্থাই রাখা হয় নাই। আর তালা দিবেই বা ক...
26/05/2024

িদ
জানি না এমন দ্বিতীয় কোনো মসজিদ পৃথিবীতে আছে কিনা যে মসজিদে কোনো তালা দেওয়ার ব্যবস্থাই রাখা হয় নাই। আর তালা দিবেই বা কোথায়, দরজাই তো নাই। ২৪ ঘণ্টা খোলা। বিগত চার বছর এই মসজিদে হাজার হাজার মুসল্লি নামাজ পড়েছেন, জুমা হচ্ছে। অথচ আজ পর্যন্ত এ মসজিদ থেকে এক জোড়া জুতাও চুরি হয় নাই। এই হচ্ছে নোয়াখালীতে হেযবুত তওহীদ প্রতিষ্ঠিত শহীদী জামে মসজিদ।

এমন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। সেটার প্রমাণ দিচ্ছে হেযবুত তওহীদ।

তারুণ্য এমন এক শক্তি, যা সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলে মাথা উঁচিয়ে চিহ্নিত করে। তারুণ্য এমন এক শক্তি, যা সকল জড়তা, ...
26/05/2024

তারুণ্য এমন এক শক্তি, যা সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলে মাথা উঁচিয়ে চিহ্নিত করে। তারুণ্য এমন এক শক্তি, যা সকল জড়তা, অন্ধত্ব, কূপমন্ডুকতা, কুসংস্কারের বেড়াজাল ছিন্ন করে সমাজকে সঠিক পথের দিশা দেখায়।
তরুণ মানে না বাধা, তরুণ ছুটে চলে সবার আগে। ধুলিমাখা বন্ধুর পথে তরুণরা এগিয়ে যায় বীরদর্পে।
তেমনি হেযবুত তওহীদের তরুণরাও এই সমাজের সকল বাধা, শৃঙ্খল চূর্ণ করে এগিয়ে চলেছে মানবতার কল্যাণের জন্য। সমাজের সকল স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে মহাসত্যের আহবান।
আজ (২৫ মে, ২০২৪) প্রাচ্যের ড্যান্ডি খ্যাত বরিশাল মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক প্রচার কার্যক্রম ও গণসংযোগ করেন জেলা হেযবুত তওহীদের সদস্যরা। শত শত তরুণ এতে অংশ নেন। তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এই প্রচার কার্যক্রমকে আরও সাফল্যমণ্ডিত করে তোলে।
কয়েকটি স্থিরচিত্র সংযুক্ত করা হলো -

হেযবুত তওহীদের নারীকর্মীদের উপর হামলার বিচার চাইঅরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ বিগত তিন দশক ধরে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, অপরা...
12/05/2024

হেযবুত তওহীদের নারীকর্মীদের উপর হামলার বিচার চাই
অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ বিগত তিন দশক ধরে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, অপরাজনীতি, নারী নির্যাতন, ধর্মব্যবসা, সাম্প্রদায়িকতাসহ সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা প্রচার করে যাচ্ছে। মানুষকে আল্লাহর তওহীদের ভিত্তিতে, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে, সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করে মানবজীবনে শান্তি ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা করাই হেযবুত তওহীদ আন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ১৯৯৫ সনে উপমহাদেশের ঐতিহ্যবাহী সুলতানি পরিবারের সন্তান এমামুয্যামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী আন্দোলনটি প্রতিষ্ঠা করেন। হেযবুত তওহীদ কোনোদিন কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক কথা বলেনি, রাষ্ট্রের কোনো আইনভঙ্গ করেনি। আন্দোলন পরিচালনার প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর বিধান ও রসুলের (সা.) আদর্শ অনুসরণ করে চলা হেযবুত তওহীদের মূলনীতি।
কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, আমাদের সমাজে একটি কট্টরপন্থী গোষ্ঠী রয়েছে যারা প্রায়ই ধর্মান্ধ মানুষকে উস্কানি দিয়ে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে থাকে। তারাই বিভিন্ন সময়ে তাদের মনগড়া আদর্শের বাইরের মানুষকে কাফের-মুরতাদ, ইহুদি-খ্রিষ্টানের দালাল ইত্যাদি আখ্যা দিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে মানুষের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া, হত্যা করা, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনাকে তারা ‘জেহাদ’ বলে চালিয়ে দেয়।
এই ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠীটি হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ওয়াজ ও অপপ্রচারমূলক কন্টেন্ট স্যোশাল মিডিয়ায় এমনভাবে ছড়িয়ে দিচ্ছে যাতে সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়। কেবল অপপ্রচার করেই তারা থামেনি। হেযবুত তওহীদের সদস্যরা যখন ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা প্রচার করতে বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে, এ গোষ্ঠীটি তাদের উপর সরাসরি হামলা চালাচ্ছে। তাদের পত্রিকা বই ছিনিয়ে নিচ্ছে, মেরে আহত রক্তাক্ত করছে। এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক স্থানে হামলার শিকার হয়েছেন হেযবুত তওহীদের সদস্যরা। বহু জায়গায় ধর্মব্যবসায়ীদের নেতৃত্বে আমাদের বাড়িঘরে, কার্যালয়ে, মসজিদে হামলা করে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে।
এ পর্যন্ত উগ্রবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাতে আমাদের পাঁচজন সদস্য-সদস্যা নির্মমভাবে শহীদ হয়েছেন। সর্বশেষ ২৩ আগস্ট ২০২২ পাবনায় সুজন মণ্ডল নামে এক সদস্যকে হেযবুত তওহীদ কার্যালয়ের অভ্যন্তরে কুপিয়ে হত্যা করেছে তারা। ২০২৩ সনে অন্তত অর্ধশতাধিক জায়গায় তারা হামলা চালিয়েছে। হেযবুত তওহীদের নারী কর্মীরাও তাদের হামলার হাত থেকে রেহাই পায়নি। আমাদের নারীরা রাষ্ট্রীয় আইন, সামাজিক শালীনতা ও ধর্মীয় বিধিনিষেধ মেনেই পত্রিকা, বই, হ্যান্ডবিল ইত্যাদি প্রচার করে থাকেন। শুধু ২০২৩ সনে নরসিংদী, ঢাকার লালবাগ, কেরানিগঞ্জ, নোয়াখালী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, শেরপুরসহ বিভিন্ন জেলায় নারী সদস্যদের উপর হামলা চালায় ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠী ও তাদের অন্ধ অনুসারীরা। এবারের ঈদুল ফিতরের সময়েও (এপ্রিল ২০২৪) আন্দোলনের সংবাদ সংবলিত পত্রিকা প্রচার উদ্যোগে অন্তত সাত (৭) স্থানে আক্রান্ত হন আমাদের সদস্য-সদস্যারা।
প্রত্যেকটি ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের পর ঘটনাগুলোর সাথে জড়িতরা অনেকেই মুচলেকা দিয়েছে এবং নারী সদস্যাদের কাছে পায়ে ধরে ক্ষমা প্রার্থনাও করেছে। কিন্তু এসব ঘটনার যারা আসল উস্কানিদাতা, যারা ওয়াজ মাহফিলের মত ধর্মীয় সমাবেশে, জুমার বয়ানে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও কন্টেন্ট বানিয়ে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে, আমরা যা বলি না তা আমাদের নামে প্রচার করে বেড়াচ্ছে, তারাই রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। মনে হয় সরকার, প্রশাসন তাদের ফতোয়া সন্ত্রাসের কাছে অসহায়। এভাবে আস্কারা পেয়ে তারা দিনকে দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে, আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিনিয়ত মসজিদ মাদ্রাসায়, ধর্মীয় সমাবেশে আমাদের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে, হামলা করে যাচ্ছে পথে ঘাটে।
ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে এসব হামলার প্রতিবাদে আজ মাঠে নেমেছেন হেযবুত তওহীদের নারীকর্মীরা। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাদের এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

হেযবুত তওহীদের নারীকর্মীদের উপর ধর্মব্যবসায়ীদের হামলার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে যে দাবিগুলো উপস্থাপন করা হয়। ১...
12/05/2024

হেযবুত তওহীদের নারীকর্মীদের উপর ধর্মব্যবসায়ীদের হামলার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে যে দাবিগুলো উপস্থাপন করা হয়।
১. নারী কর্মীদের উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক।
২. যারা হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচার করছে ও বে-আইনী হুমকি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
৩. ধর্মীয় সমাবেশে নারীবিদ্বেষী বক্তব্য ও অপপ্রচার বন্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
৪. হেযবুত তওহীদের দলীয় আদর্শ সংবলিত হ্যান্ডবিল বিতরণকালে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

“নারী জাগরণের মূলমন্ত্র, ইসলামের সঠিক আদর্শ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় নারী সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্...
12/05/2024

“নারী জাগরণের মূলমন্ত্র, ইসলামের সঠিক আদর্শ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় নারী সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (১১ মে ২০২৪) ঢাকার রাজধানীর ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) তে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মহানবীর আবির্ভাব:প্রকৃত ইসলাম আরবদের কী পরিবর্তন এনেছিল?আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে আল্লাহর রসুল যখন পৃথিবীতে ইসলাম প্রচার শুরু...
10/05/2024

মহানবীর আবির্ভাব:
প্রকৃত ইসলাম আরবদের কী পরিবর্তন এনেছিল?
আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে আল্লাহর রসুল যখন পৃথিবীতে ইসলাম প্রচার শুরু করলেন তখনকার আরব সমাজ এতই অন্যায়, অবিচার, হানাহানি, খুনোখুনি, রক্তপাত, বর্বরতা, ধর্মান্ধতা ও কুসংস্কারে নিমজ্জিত ছিল যে, ঐ সমাজকে বলা হয় আইয়ামে জাহেলিয়াত, অজ্ঞানতার যুগ, অন্ধকারের যুগ।
ন্যূনতম সামরিক শক্তি, অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, নৈতিকতাবোধ, সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন, জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা, মানবিক উৎকর্ষতা, পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব, ঐক্যচেতনা ইত্যাদি কিছুই তাদের ছিল না।
শুধু ছিল বংশানুক্রমিক গৃহযুদ্ধ, গোত্রে গোত্রে হানাহানি, রক্তারক্তি, শত্রুতা, সীমাহীন অজ্ঞানতা, কুসংস্কার, কাঠ-পাথরের মুর্তিকেন্দ্রিক চিন্তার স্থবিরতা, ধর্মবাণিজ্য, জেনা-ব্যাভিচার, চুরি, ডাকাতি, লুটতরাজ, হুজুগপ্রবণতা, মাদকাসক্তি, দাসপ্রথা, কন্যাশিশু হত্যা, নারী নির্যাতন ইত্যাদি। অর্থাৎ ভালোর মধ্যে কিছু না থাকলেও খারাপের মধ্যে কিছুই বাদ ছিল না তাদের। পৃথিবীর সবচেয়ে পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠী ছিল ঐ আরবরা।
সেই আরবদের মধ্যে যখন ইসলামের আবির্ভাব ঘটল মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে ইতিহাসের গতিপথই পরিবর্তিত হয়ে গেল। ঐ আরবদের মাধ্যমেই এমন যুগান্তকারী সভ্যতার উন্মেষ ঘটল যার সম্মুখে সমসাময়িক সকল আদর্শ, সকল মতবাদ, সকল সভ্যতা আবেদন হারিয়ে বর্ণহীন হয়ে গেল। সম্ভাবনাহীন একটি উপাদান বা শূন্য (পি. কে হিট্টির ভাষায়) থেকে জন্ম হলো বিরাট এক বটবৃক্ষের। সেই বৃক্ষের ছায়াতলে আসলো অর্ধ দুনিয়া।আসুন জেনে নেয়া যাক- প্রকৃত ইসলাম আরবদের মধ্যে কী পরিবর্তন সাধন করেছিল-
১। ইসলাম অনৈক্য-হানাহানিতে লিপ্ত দাঙ্গাবাজ আরবদেরকে ইস্পাতকঠিন ঐক্যবদ্ধ ও সুশৃঙ্খল জাতিতে পরিণত করেছিল। বংশানুক্রমিক শত্রুতা আর রক্তপাতে নিমজ্জিত আরব জাতিকে একে অপরের ভাই বানিয়ে দিয়েছিল।
২। আরব-অনারব, আশরাফ-আতরাফ, ধনী-দরিদ্র, শিক্ষিত-নিরক্ষরের আকাশ-পাতাল মর্যাদার ব্যবধান দূর করেছিল। মর্যাদার একমাত্র মানদণ্ড নির্ধারিত হয়- তাকওয়া অর্থাৎ ন্যায়ের পক্ষে থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকা। যিনি যত ন্যায়ের পক্ষাবলম্বনকারী তিনি ছিলেন তত মর্যাদাবান।
৩। যে সমাজে দাসদেরকে মানুষ মনে করা হত না, সেই সমাজের ক্রীতদাস বেলালকে (রা.) ক্বাবার ঊর্ধ্বে উঠিয়ে (মক্কা বিজয়ের পর) আল্লাহর রসুল বুঝিয়ে দিলেন- সবার ঊর্ধ্বে মানুষ, সবার উপরে মানবতার স্থান। আল্লাহর কাছে একজন সত্যনিষ্ঠ মানুষের মূল্য তাঁর ক্বাবার চেয়েও অধিক। ক্রীতদাস যায়েদ (রা.) ও তাঁর পুত্র উসামাকে (রা.) সেনাপ্রধান বানিয়ে রসুলাল্লাহ প্রমাণ করলেন- যোগ্যতা ও তাকওয়ায় যে শ্রেষ্ঠ সেই প্রকৃত শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী। বংশ-আভিজাত্যের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকৃত শ্রেষ্ঠত্ব নয়। এই প্রকৃত সাম্যবাদী আদর্শ লাখ লাখ বেলাল, যায়েদদের (রা.) অন্তরে মুক্তি আনন্দের তুফান সৃষ্টি করেছিল তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
৪। সাম্প্রদায়িক ও গোত্রগত বিভাজন আরব সমাজের পশ্চাৎপদতার অন্যতম কারণ ছিল। ইসলাম এই বিভাজন দূর করে সকল ধর্ম-বর্ণ-গোত্র-বংশের মানুষকে আল্লাহর তওহীদের ভিত্তিতে ন্যায় ও সত্যের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করেছিল। কে কোন ধর্মের, কে কোন বর্ণের, কে কোন গোত্রের- তা বিবেচ্য বিষয় ছিল না, যারাই ন্যায় ও সত্যের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে ইসলাম তাদেরকেই আলিঙ্গন করে নিয়েছে। ইসলামের এই সার্বজনীনতার কাছে অন্য সব আদর্শ ম্রীয়মান হয়ে পড়ে।
৫। নির্যাতিত-নিপীড়িত, শোষিত মানুষ, যারা বেঁচে থাকত গোত্রপতি, সমাজপতি ও যাজক-পুরোহিতদের কৃপাগুণে, যাদের কোনো অধিকার ছিল না, সম্মান ছিল না, যাদের মাথাকাটা যাবার জন্য সমাজপতিদের একটি সিদ্ধান্তই যথেষ্ট ছিল, ইসলাম তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে। ওই দাসশ্রেণির মানুষই এক সময় তাদের ‘আমিরুল মু’মিনিনের’ গায়ের দীর্ঘতর জামা কীভাবে বানানো হলো তার কৈফিয়ত জানতে চেয়েছে, জনসম্মুখে কৈফিয়ত দিতে হয়েছে অর্ধ-পৃথিবীর শাসককে। শুধু ওই সময়ের পৃথিবীতেই নয়, এমন দৃষ্টান্ত আজকের যুগেও কেউ স্থাপন করতে পারে না।
৬। ইসলাম ক্ষুধার্তকে খাদ্য দিয়েছে, বাস্তুহারাকে বাস্তু দিয়েছে। কে কোথায় কী সমস্যায় পড়ে আছে তার সমাধান করার জন্য রাতের আঁধারে রাস্তাঘাটে, অলি-গলিতে ঘুরে বেড়িয়েছেন ইসলামের খলিফা, অর্ধপৃথিবীর শাসনকর্তা। যখন জাতি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি অর্জন করেছে তখন কোনো মানুষ যেন ক্ষুধায় কষ্ট না পায় সেজন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জন্য ভাতা যেমন বৃদ্ধভাতা, বেকার ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ইত্যাদি।
৭। ইসলাম এমন স্বচ্ছ শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে যে, অর্ধপৃথিবীর শাসনকর্তা একটি খেজুরপাতার ছাউনি দেয়া মসজিদে বসে রাজ্য শাসন করত। যার আবার একটির বেশি জামা ছিল না। যে ব্যক্তি তটস্থ থাকত তার শাসনের অধীনে কেউ কোথাও কষ্ট পাচ্ছে কিনা, একটি কুকুরও না খেয়ে থাকছে কিনা সেই দুশ্চিন্তায়। ঘুম এলে গাছের নিচে ঘুমিয়ে পড়তেন। যার যখন ইচ্ছা খলিফার সাথে দেখা করত, সমস্যা বলত, সমাধান হয়ে যেত।
মূল কথা হচ্ছে ইসলাম মানুষের বাস্তব সমস্যার বাস্তব সমাধান করতে পেরেছিল। যখন মানুষের সমস্যা ছিল অধিকারহীনতা, অন্যায়, অবিচার, নির্যাতন, স্বাধীনতাহরণ, শোষণ, বঞ্চনা, দারিদ্র; তখন ইসলাম মানুষকে মুক্তির সন্ধান দিতে এগিয়ে এসেছিল। প্রতিষ্ঠা করেছিল ন্যায়, শান্তি, সুবিচার ও নিরাপত্তা। এতে সন্দেহের অবকাশ নেই যে, ওই ন্যায় ও শান্তি দেখেই পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল।
কিন্তু আফসোস! প্রকৃত ইসলামের সেই প্রাঞ্জল আদর্শ আজ নেই। ফলে এককালে যে মুসলিমরা অর্ধদুনিয়াকে ন্যায়, শান্তি ও সুবিচারের অলঙ্কারে সাজিয়ে তুলেছিল সেই মুসলিমরাই আজ সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে অবজ্ঞাত, উপেক্ষিত, নির্যাতিত ও অপমানিত জনগোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে।
যে তওহীদের ভিত্তিতে এই জাতি ইস্পাতের ন্যায় ঐক্যবদ্ধ থাকত, সেই তওহীদ হারিয়ে বহু শতাব্দী পূর্বেই এই জাতি হাজার হাজার মত-পথ, ফেরকা-মাজহাব-তরিকায় বিভক্ত হয়ে খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে গেছে। এখনও আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রকৃত ইসলামকে ধারণ করতে পারি, আবারও উন্নতি-সমৃদ্ধিতে বিশ্বের বিস্ময়ে পরিণত হব।

08/05/2024

আল্লাহ রাসুলের সময় বৃদ্ধাশ্রম ছিল কী?

মো’মেনদের সঙ্গে আল্লাহর ওয়াদা ও বাস্তবতারিয়াদুল হাসানআল্লাহ পবিত্র কোর’আনে যত কল্যাণের আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সবই ...
06/05/2024

মো’মেনদের সঙ্গে আল্লাহর ওয়াদা ও বাস্তবতা
রিয়াদুল হাসান
আল্লাহ পবিত্র কোর’আনে যত কল্যাণের আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সবই মো’মেনের সঙ্গে। আল্লাহ সুরা নূরের ৫৫ নম্বর আয়াতে বলেছেন, আল্লাহর ওয়াদা (ওয়াদাল্লাহ) হচ্ছে যারা ঈমান আনবে এবং আমলে সালেহ করবে তাদেরকে আল্লাহ পৃথিবীর কর্তৃত্ব (খেলাফত, Authority, Power) প্রদান করবেন, যেমনটি তিনি দিয়েছিলেন তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং তিনি তোমাদের দীনকে প্রতিষ্ঠা করবেন যেটা তিনি তোমাদের জন্য পছন্দ করেছেন। তোমাদের ভয়-ভীতি দূর করে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রদান করবেন। সেখানে তোমরা কেবল আমারই এবাদত করবে এবং আমার সাথে কাউকে শরিক করবে না। এরপর যারা (এ বিশাল নেয়ামতকে) অস্বীকার করবে, তারাই ফাসেক ও অবাধ্য।”
তিনি আরো বলেছেন, “আল্লাহ মো’মেনদের ওয়ালি (অভিভাবক, বন্ধু, রক্ষক, Protector) (সুরা ইমরান ৬৮)”। বলেছেন, “তোমরা হতাশ হয়ো না, নিরাশ হয়ো না, তোমরাই বিজয়ী হবে- যদি তোমরা মো’মেন হও (সুরা ইমরান ১৩৯)। বলেছেন, “মো’মেনকে সাহায্য করা আমার হক, কর্তব্য (সুরা রুম ৪৭)”।
এ পৃথিবীজোড়া মুসলিম জাতির করুণ দুর্দশা দেখলে যে কারো মনেই এ প্রশ্ন আশা স্বাভাবিক যে আমরা তো নিজেদেরকে মো’মেন মুসলিম বলে দাবি করি, পরকালে আমরাই জান্নাতে যাবো বলে বিশ্বাস করি তাহলে পৃথিবীর সর্বত্র, সকল জাতির হাতে গত কয়েক শতাব্দী থেকে মুসলমানরা মার খাচ্ছে কেন? একে একে মুসলমানদের আবাসভূমিগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে, সর্বহারা উদ্বাস্তু হচ্ছে মুসলমান, ধর্ষিতা হচ্ছে মুসলিম নারী। পানিতে ভেসে যাচ্ছে মুসলিম শিশুরা। তবে কি আল্লাহ তাঁর অঙ্গিকার ভঙ্গ করেছেন, নাকি ভুলে গেছেন, নাকি তিনি দেখছেন না, নাকি তিনি মুসলিমদের উদ্ধার করতে অক্ষম? (নাউযুবিল্লাহ)।
না, সেটা অসম্ভব। তিনিই বলেছেন, প্রতিশ্রুতি রক্ষায় তাঁর চেয়ে সত্যবাদী আর কে আছে (সুরা তওবা ১১১)? তিনি কখনও অঙ্গীকার ভঙ্গ করেন না, পূর্ববর্তী মো’মেনদের ইতিহাস তার প্রমাণ। তিনি সব দেখেন, সব শোনেন, সব খবর রাখেন, তিনি প্রতাপশালী সূক্ষ্ম হিসাবদর্শী। এজন্য তাঁর নাম সামিউম বাসীর, আলিমুল গায়েব, আজিজুল জাব্বার, জাল্লে জালাল, লতিফুল খাবীর, তিনি শাইয়্যিন কাদির। তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তাহলে প্রকৃত ব্যাপারটা কী?
প্রকৃত ব্যাপার হচ্ছে পবিত্র কোর’আনে তিনি সবগুলো কল্যাণকর অঙ্গীকার করেছেন মো’মেনের সাথে। যারা মো’মেন নয় অর্থাৎ কাফের তাদের জন্য কিন্তু ঐ সব ওয়াদা প্রযোজ্য হবে না। তাহলে কি আমরা যারা নিজেদের মুসলিম বলে বিশ্বাস করে নামাজ-রোজা করে যাচ্ছি, তারা আর মো’মেন নই? এ প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে মো’মেনের যে সংজ্ঞা আল্লাহ পবিত্র কোর’আনে প্রদান করেছেন সেটা জানতে হবে। সেখানে আল্লাহ পরিষ্কারভাবে বলেছেন, “মো’মেন শুধু তারা যারা আল্লাহ ও রসুলের প্রতি ঈমান আনয়ন করে, তাকে কোনোরূপ সন্দেহ না করে দৃঢ়পদ থাকে এবং জান-মাল দিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ (সংগ্রাম) করে। তারাই সত্যনিষ্ঠ।” (সুরা হুজরাতের ১৫)।
এই ঈমান কী? কোন ঈমান আল্লাহর দাবি? আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস নয় নিশ্চয়ই। ও বিশ্বাস তো ইবলিসেরও আছে, আবু জাহেলেরও ছিল। আল্লাহ যে ঈমানের কথা বলছেন তা হলো তওহীদের উপর ঈমান, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কারো হুকুম মানবো না, এই অঙ্গীকার করা। এটা হচ্ছে মো’মেন হওয়ার প্রথম শর্ত। সেই হুকুমটাকে মানবজীবনে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সর্বরকম প্রচেষ্টা করার নামই জেহাদ যা মো’মেন হওয়ার দ্বিতীয় শর্ত। এই জেহাদ কিন্তু দেশ দখলের জন্য নয়, অন্য ধর্মের লোকদেরকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা নয় বা ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য নয়। বরং ঐ তওহীদ ও সত্যদীন প্রতিষ্ঠার জন্য।
রসুলাল্লাহর (সা.) সমগ্র জীবন পর্যালোচনা করলে আমরা সন্দেহাতীতভাবে দেখতে পাই, তিনি আরববাসীকে সর্বপ্রথম একটি কথার উপর ঐক্যবদ্ধ করেছেন যে - তারা আল্লাহর হুকুম মানবে, পূর্বের থেকে চলে আসা জাহেলি যুগের ব্যবস্থা ও মূল্যবোধ পরিহার করবে। তারা বিশৃঙ্খলা পরিহার করে সুশৃঙ্খল হবে। তারা একজন নেতার নেতৃত্বে সমবেত হয়ে তাঁর যাবতীয় সিদ্ধান্ত সত্য বলে বিনা প্রশ্নে, বিনা দ্বিধায় মেনে চলবে এবং তারা সমাজের যাবতীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়াই করবে। এই চরিত্রটাই আল্লাহর রসুল আরবদের মধ্যে প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছিলেন, যার ফলে যখন তাদের মধ্যে আল্লাহর রসুল প্রতিষ্ঠা করে দিলেন তখন তারা হলো আল্লাহর সংজ্ঞা মোতাবেক মো’মেন। আল্লাহ যতগুলো ওয়াদা করেছেন মো’মেনদের সাথে যেমন পৃথিবীর কর্তৃত্ব প্রদান, শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান, সুরক্ষা প্রদান সবই তখন পূর্ণ করেছিলেন।
কিন্তু যখন পরবর্তীতে তারা নিজেদের মধ্যে ফেরকা মাজহাব বানিয়ে অমূল্য ঐক্য ধ্বংস করল এবং সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ত্যাগ করল তখন তারা আর আল্লাহর সংজ্ঞা মোতাবেক আর মো’মেন রইল না। সুতরাং আল্লাহ কৃত ঐ সকল ওয়াদাও আর তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য রইল না। তারা একের পর এক বহিঃশত্রুর আক্রমণে ধ্বংস হয়ে গেল, পরিশেষে ইউরোপিয়দের পদানত দাসে পরিণত হলো। এটা ছিল আল্লাহর শাস্তি, গজব যা এখন পর্যন্ত চলমান আছে।
এখন আমরা যদি এই হীনতা লাঞ্ছনার জীবন থেকে মুক্তি পেতে চাই তাহলে আমাদের একটাই করণীয়- আল্লাহর সংজ্ঞা মোতাবেক মো’মেন হওয়া। আমরা মুসলিম বংশোদ্ভূত, আমরা আল্লাহর অস্তিত্বে, পরকালে বিশ্বাস করি, নামাজ রোজা করি এগুলো কিন্তু মো’মেনের সংজ্ঞা নয়, মানদণ্ড নয়, মো’মেন হওয়ার যে সংজ্ঞা আল্লাহ কোর’আনে উল্লেখ করেছেন সে মোতাবেক আমাদের মো’মেন হতে হবে। নিজেদেরকে মো’মেন মনে করে বসে থাকলে আর চলবে না। আমরা যদি আবারও মো’মেন হতে পারি তাহলে আল্লাহ তাঁর সবগুলো ওয়াদা পূরন করবেন, আবারও আমরা সম্মানিত, স্বাধীন ও শ্রেষ্ঠ জাতিতে পরিণত হতে পারব।
[লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট; যোগাযোগ: ০১৬৭০১৭৪৬৪৩, ০১৭১১০০৫০২৫, ০১৭১১৫৭১৫৮১]

শহিদ সাইফুল্লাহ বেঁচে আছেন আমাদের চেতনায়শহিদ সাইফুল্লাহ হেযবুত তওহীদের ইতিহাসে এক মাইলফলকের নাম। সত্য ও মিথ্যার চিরন্তন ...
06/05/2024

শহিদ সাইফুল্লাহ বেঁচে আছেন আমাদের চেতনায়
শহিদ সাইফুল্লাহ হেযবুত তওহীদের ইতিহাসে এক মাইলফলকের নাম। সত্য ও মিথ্যার চিরন্তন দ্বন্দ্বে সত্যের জন্য কিছু মানুষকে নিজেদের প্রাণসহ সমস্ত কিছুই কোরবানি দিতে হয়; ঠিক যেভাবে একটি ইমারত গড়ে তোলার জন্য কিছু ইটকে ভিত্তি হয়ে আশ্রয় নিতে হয় মাটির নিচে। আল্লাহ পথনির্দেশ দিয়ে নবী ও রসুলগণকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। তাঁরা মানুষের সামনে তা উপস্থাপন করেছেন। যাদের কায়েমী স্বার্থে ও বদ্ধমূল বিশ্বাসে আঘাত লেগেছে তারা সেই নবী-রসুলদের মুখ বন্ধ করার জন্য তাঁদেরকে হত্যা পর্যন্ত করে ফেলেছে। অগণিত নবী-রসুল ও তাঁদের অনুসারী মো’মেনরা এই কাফের, সত্য-প্রত্যাখ্যানকারীদের দ্বারা শহিদ হয়েছেন। আল্লাহ বলেন, এ দিনগুলোকে আমি মানুষের মধ্যে পালাক্রমে আবর্তন ঘটিয়ে থাকি। এভাবে আল্লাহ জানতে চান কারা ঈমানদার আর তিনি তোমাদের কিছু লোককে শহিদ হিসাবে গ্রহণ করতে চান। আর আল্লাহ অত্যাচারীদেরকে ভালবাসেন না (সুরা ইমরান ৩:১৪০)।
সময়ের কাঁটা ঘুরে এখন আখেরি যুগ। ১৩ শ’ বছর ধরে বাড়াবাড়ি আর অতি-বিশ্লেষণ করে রসুলাল্লাহর রেখে যাওয়া সহজ সরল দীনকে বিকৃত করে ফেলা হয়েছে। ইসলাম বন্দী হয়েছে ধর্মব্যবসায়ী চক্রের হাতে। দীনের সুফল থেকে বঞ্চিত মানুষ এখন পাশ্চাত্যের তৈরি বস্তুবাদী আত্মাহীন আল্লাহহীন সভ্যতার যাঁতাকলে নিষ্পেষিত। দুর্বলের উপর চলছে সবলের অত্যাচার, দরিদ্রের উপর ধনীর বঞ্চনা। সবুজ পৃথিবী রক্তে প্লাবিত। প্রতিটি হৃদয় স্বার্থপরতায় অন্ধ। প্রতিটি মানুষ অধিকারহারা অতৃপ্ত। সর্ব প্রকার অপরাধ তুঙ্গ স্পর্শ করছে। প্রতিটি মানুষ ভীত, শঙ্কিত। নারীরা লাঞ্ছিত অপমানিত। কোটি কোটি নর-নারী উদ্বাস্তু। কোটি কোটি শিশু অনাহারক্লিষ্ট। মানবজাতি দুর্বত্তের হাতে বন্দী। পরিস্থিতির উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে মানুষ, সে এখন কেবল তার কর্মের পরিণতি দেখার অপেক্ষা করে যাচ্ছে। সেই পরিণতি হচ্ছে মহাধ্বংস। পরাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলো তাদের পারমাণবিক বোমা নিয়ে বসে আছে সেই মহাধ্বংস ঘটানোর জন্য।
মানবজাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আল্লাহ হস্তক্ষেপ করেছেন। তাঁরই একনিষ্ঠ এক বান্দাকে এই অবধারিত ধ্বংস থেকে মানুষকের রক্ষার উপায় বুঝিয়ে দিলেন। তিনি আর কেউ নন, হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠাতা উপমহাদেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী পন্নী পরিবারের সন্তান এমামুযযামান জনাব মোহাম্মদ বায়াজীদ খান পন্নী। তাঁর থেকে সেই মহাসত্যের আলো ছড়িয়ে পড়তে শুরু করল, যে সত্য মানবজাতিকে উদ্ধার করতে পারে। সেই সত্যের আলোয় ¯্নান করে কিছু মানুষ নিজেদেরকে আলোকিত করলেন, সাক্ষ্য দিলেন- আল্লাহ ছাড়া কোনো হুকুমদাতা নেই। তারা বেরিয়ে পড়লেন সত্য প্রচারের বেপরোয়া অঙ্গীকার নিয়ে। শহিদ সাইফুল্লাহ ছিলেন এদেরই একজন।
পূর্ব থেকে চলে আসার বিকৃত ধর্মের ধ্বজাধারীরা তাদের সহিংস অনুসারীদের নিয়ে হেযবুত তওহীদকে অঙ্কুরে বিনষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা করল দেশজুড়ে। তারা আক্রমণ করতে লাগল তওহীদের কর্মীদের। কখনও সংঘবদ্ধভাবে, কখনও অতর্কিতে। ধর্মজীবী গোষ্ঠী গর্জন তুলল ফতোয়ার। অনিরাপদ হয়ে পড়ল হেযবুত তওহীদের সদস্যদের জীবন। আজ এখানে হামলা তো কাল ওখানে বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ। কিন্তু তারা তো দমবার পাত্র নয়। তারা শহিদ হওয়ার বাসনা নিয়েই সত্যের প্রচার অব্যাহত রাখলেন। যখন তারা প্রচারকাজে বের হতেন বাড়ির লোকদের থেকে শাহদাতের দোয়া চেয়ে বিদায় নিয়ে বের হতেন। মাননীয় এমামুয্যামান প্রায়ই বলতেন, হেযবুত তওহীদের সদস্যদের মধ্যে কে প্রথম শহিদ হবে, কে হবে সেই সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী? এ প্রশ্নের জবাব দিলেন শহিদ সাইফুল্লাহ।
দিনটি ছিল শুক্রবার। ৫ মে ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দ। প্রকৃত ইসলামের ডাক শিরোনামের একটি প্রচারপত্র নিয়ে মাদারীপুরের কালকিনি থানার অন্তর্গত ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ডে যান শহিদ সাইফুল্লাহ। সঙ্গে আরো কয়েকজন সদস্য। বেশকিছু দোকানপাট গড়ে উঠে জায়গাটি একটি বাজারের রূপ নিয়েছে। গ্রাম থেকে লোকজন এসেছে প্রয়োজনীয় সদাই নিতে। তাদেরকে বলতে লাগলেন প্রকৃত ইসলাম ও প্রচলিত ইসলামের পার্থক্য। তারা কি জানতেন ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ডেই ঘাপটি মেরে ছিল ইবলিশ?
এক ধর্মান্ধ লোক সত্যের প্রচারে বাধ সাধল। সে একটি লিফলেট নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাতে শুরু করল। বোঝালো যে এই লোকগুলো খ্রিষ্টান, তারা ইহুদির দালাল। তারা ইসলামের শত্রু। এদেরকে মেরে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া তাদের ঈমানী দায়িত্ব। ইবলিশ তার ঈমানী দায়িত্ব পালনে শয়তানদের খুঁজে নিল। তারা বিতণ্ডা সৃষ্টি করল, এ পর্যায়ে ঘিরে ফেলে মারতে শুরু করল হেযবুত তওহীদের গুটিকয় সদস্যকে। ধর্মরক্ষার জিগির যখন ওঠে তখন তা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে ধর্মান্ধদের শিরায় শিরায়। কোত্থেকে হাজির হয়ে গেল শত শত রক্তপিপাসু উন্মাদ। তারা হায়েনার মত ঝাঁপিয়ে পড়ল তাদের উপর যারা মানবতার মুক্তির বার্তা নিয়ে তাদের দুয়ারে গিয়েছিল। তারা চেষ্টা করলেন আত্মরক্ষার, চেষ্টা করলেন মীমাংসার, চেষ্টা করলেন ফিরে যাবার। তাদের মোকাবেলার সামনে বার বার পিছিয়ে যাচ্ছিল বিশৃঙ্খল হামলাকারীরা। ঢাকা বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেল। এই অসম সংঘর্ষে মো’মেনদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন সাইফুল্লাহ। তাঁর মাথা ভেঙে ফেলার জন্য বার বার হামলাকারীরা বাঁশ ও রড দিয়ে মারছিল। ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। এ অবস্থায় সঙ্গীরা তাঁকে বহন করে মহাসড়ক ধরে নিজ এলাকার দিকে কিছু পথ এগিয়ে গিয়েছিলেন।
দফায় দফায় হামলা চালাচ্ছিল ধর্মোন্মাদ নরপশুরা, কিন্তু হেযবুত তওহীদে সদস্যদের প্রতিরোধের সামনে বারবার ফিরে যাচ্ছিল। কিন্তু আবারও শক্তি সংগ্রহ করে তারা আহত রক্তাক্ত মানুষগুলোকে ঘিরে ফেলল। এমনই এক মুহূর্তে আল্লাহ চাইলেন শহিদ সাইফুল্লাহকে তাঁর নিজের সান্নিধ্যে তুলে নিতে। জ্ঞান ফিরে এলো সাইফুল্লাহর। তিনি পুনরায় রণাঙ্গনে অবতীর্ণ হলেন, এবার অন্য এক মূর্তি নিয়ে। হামলাকারীদের উপর বীর বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। তাঁর হৃদয়ে তখন শাহাদাৎ ছাড়া আর কিছু চায় না। তিনি আবারও শত্রুপরিবেষ্টিত হয়ে পড়লেন। তাকে বিচ্ছিন্ন করে মেরে ফেলার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রহার করতে লাগল হায়েনার দল। একে একে অন্যরাও সংজ্ঞা হারিয়ে মহাসড়কের উপর পড়ে যেতে থাকলেন। তাদের নিষ্প্রাণ নিস্পন্দ দেহগুলোকে ফেলে রেখে একসময় বিদায় নিল হায়েনারা। তওহীদের ঘোষণা প্রদান করতে করতে শহিদ সাইফুল্লাহর দেহ থেকে আত্মা পৃথক হয়ে গেল।
শহিদ মানে অমর। শহিদদের মৃত বলতে আল্লাহ নিষেধ করেছেন। তাঁদের এই অমরত্বের একটি কারণ তারা সময়ের শেষ অবধি সত্য প্রতিষ্ঠাকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকেন। শহিদ সাইফুল্লাহর পরে আরো অনেকেই ইবলিসের দোসর ধর্মব্যবসায়ীদের হাতে শাহাদাৎ বরণ করেছেন। কিন্তু প্রথম শহিদ তো একজনই হতে পারেন। শাহাদাত বরণের ২১তম বর্ষপূর্তিতে শহিদ সাইফুল্লাহর পবিত্র আত্মার উদ্দেশে আমাদের শত সহস্র সালাম।

29/04/2024

কিভাবে ধর্মের নামে আজকে অধর্ম চলছে যা বললেন।
হেজবুত তওহীদের ইমাম। জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম।

29/04/2024

আল্লাহ বললেন আমি পৃথিবীতে আমার খলিফা পাঠাতে চাই? মালায়েক বললেন। আপনি যাকে সৃষ্টি করতে চান তারা দুনিয়াতে ফাসাদ এবং সাফাকুদ্দিমা করবেন। যা বললেন? হেযবুত তওহীদের ইমাম। জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম

19/04/2024

চিন্তা করে দেখো ? এই জাতিবিনাশি সিয়া, সুন্নি, শাফি, হানাফী, এই তরিকা মাজার বিভক্তি জাতিকে । ঐক্যবদ্ধ করার আহবান করছেন। হেযবুত তওহীদ।

13/04/2024

আমার প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশে আমি সেজদা করি যে বাংলাদেশে আমার পূর্ব পুরুষের অস্তিত্ব মিশে আছে এই বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে।
যা বললেন হেযবুত তওহীদের ইমাম
জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম

এই প্রশ্নের উত্তর দিবেন
12/04/2024

এই প্রশ্নের উত্তর দিবেন

12/04/2024

পুলিশ হেযবুত তওহীদকে সহযোগিতা করে কেন ? যা বললেন হেযবুত তওহীদের ইমাম। একটি বিপ্লব

ঈদের নামাজের কিছু চিত্র
12/04/2024

ঈদের নামাজের কিছু চিত্র

জাগো তুমি বিপ্লবী ..সত্য যখন নিদ্রামগন,নষ্ট সময় - নষ্ট শাসন,সততার কথা মিছে বাতুলতা,ন্যায়নীতি নিয়ে কার মাথাব্যথা?মিথ্য...
02/04/2024

জাগো তুমি বিপ্লবী ..
সত্য যখন নিদ্রামগন,
নষ্ট সময় - নষ্ট শাসন,
সততার কথা মিছে বাতুলতা,
ন্যায়নীতি নিয়ে কার মাথাব্যথা?
মিথ্যার যুগে জন্ম তোমার,
মিথ্যাকারার প্রাচীর ভাঙ্গার---
প্রত্যয় নিয়ে জাগো তুমি বিপ্লবী
সত্যের তুমি মশাল জ্বালার কবি।
প্রত্যয় নিয়ে জাগো তুমি বিপ্লবী
রেনেসাঁর তুমি মশাল জ্বালার কবি।
জন্ম তোমার সময়ের প্রয়োজনে
বিশ্ব মেতেছে ধ্বংসের আয়োজনে।
পারমাণবিক অস্ত্রের হুংকার
ভাঙে যুদ্ধের সকল রুদ্ধদ্বার।---
শান্তির ডাক ব্যর্থ হয়েছে সবই,
হাতিয়ার শান দাও তুমি বিপ্লবী।
শান্তির ডাক ব্যর্থ হয়েছে সবই,
দাবানল জ্বালো রক্তে, হে বিপ্লবী।
যুদ্ধ ব্যবসা করে উন্নত দেশ,
তারাই শ্রেষ্ঠ তারা সুসভ্য, স্বর্গীয় পরিবেশ।
তাদের দয়ায় বাকিরা খাচ্ছে ভাত,
তারাই বিধাতা, পালনকর্তা, তারা প্রভু সাক্ষাৎ।
চূর্ণ করতে প্রভুর অহংকার,
আত্মাবিহীন জড়বাদী দুনিয়ার,
পতন ঘটিয়ে আনতে সুনির্মল
মানবতাবোধে পূর্ণ সমুজ্জ্বল---
নব সভ্যতা, পুবাকাশে নব রবি,
যুদ্ধের সাজে সাজো তুমি বিপ্লবী।
নব সভ্যতা, পুবাকাশে নব রবি,
জাগাও চিত্ত, মুক্তির মহাকবি।

Address

Maijdee, Maijdee Court
Lalmohan
8331

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when একটি বিপ্লব posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to একটি বিপ্লব:

Videos

Share

Nearby media companies


Other Digital creator in Lalmohan

Show All

You may also like