24/06/2024
মানবিক কাজ প্রতিনিয়ত করে আসলেও আজকের কাজটি ছিল একটু ভিন্ন। রাত বাজে আটটা আমি তখনো কুষ্টিয়া এনএস রোড জ্যামে। এর ভিতরে আমার একজন স্যার তিনবার ফোন দিয়েছিল কিন্তু জ্যামে থাকার কারণে তার ফোন আমি রিসিভ করতে পারি নাই পরবর্তীতে জ্যামের থেকে বের হয়ে তাকে কল করি এবং ফোন রিসিভ করার সাথে সাথে সে কান্না জড়িত কন্ঠে বলে ওঠে আমার মায়ের অবস্থা খুবই খারাপ অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগবে। কোথাও পাচ্ছি না তুমি একটু সাহায্য করো রহিদ নাই আমার মাকে বাঁচানো সম্ভব না। যেহেতু করোনা কালীন সময়ে জরুরী অক্সিজেন সেবা চালু করেছিলাম সেই সময় আমার কাছে অক্সিজেন সিলিন্ডার ছিল। কিন্তু করোনা স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার পরে সিলিন্ডার গুলো আবার ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়েছি তাই আমার কাছে কোন সিলিন্ডার ছিল না। স্যারকে বললাম যে আমার কাছে অক্সিজেন সিলিন্ডার তো নাই। এটা বলাতে স্যার আরো ভেঙে পড়ল। স্যারকে বললাম আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি ম্যানেজ করার। পরবর্তীতে আমাদের এক বন্ধু কাছ থেকে তার চাচার নাম্বার নিয়ে তার চাচাকে ফোন দিলাম। তার অক্সিজেন সিলিন্ডারের দোকান ছিল। করোনা কালীন সময় তার দোকান থেকেই সিলিন্ডার রিফিল করতাম। তাকে পরিচয় দিয়ে বিস্তারিত বললাম। সে বলল দোকান অলরেডি বন্ধ করে দিয়েছে তবে ১০ মিনিটের ভিতরে যদি আসতে পারি তাহলে রিফিল করে দেওয়া সম্ভব। পরবর্তীতে স্যারকে বললাম আপনি খালি সিলিন্ডার নিয়ে বাসার সামনে দাঁড়ান আমি মটরসাইকেল নিয়ে আসতেছি। পরে তাড়াহুড়া করে গাড়ি চালিয়ে স্যার কে নিয়ে রওনা দিলাম নিশান মোড়ে ওখান থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে এসে তারাতাড়ি লাগিয়ে দিলাম এবং কিভাবে সেট করবে স্যারকে শিখিয়ে দিলাম।