Ariful Islam

Ariful Islam I am ariful islam, I am professional digital marketer in Kushtia Bangladesh. I post different types These files log visitors when they visit websites.

Privacy Policy for Ariful Islam blog
At Ariful Islam blog, accessible from https://arifulislambd.com/, one of our main priorities is the privacy of our visitors. This Privacy Policy document contains types of information that is collected and recorded by Ariful Islam blog and how we use it. If you have additional questions or require more information about our Privacy Policy, do not hesitate to co

ntact us. This Privacy Policy applies only to our online activities and is valid for visitors to our website with regards to the information that they shared and/or collect in Ariful Islam blog. This policy is not applicable to any information collected offline or via channels other than this website. Our Privacy Policy was created with the help of the Privacy Policy Generator and the Free Privacy Policy Generator. Consent
By using our website, you hereby consent to our Privacy Policy and agree to its terms. For our Terms and Conditions, please visit the Terms & Conditions Generator. Information we collect
The personal information that you are asked to provide, and the reasons why you are asked to provide it, will be made clear to you at the point we ask you to provide your personal information. If you contact us directly, we may receive additional information about you such as your name, email address, phone number, the contents of the message and/or attachments you may send us, and any other information you may choose to provide. When you register for an Account, we may ask for your contact information, including items such as name, company name, address, email address, and telephone number. How we use your information
We use the information we collect in various ways, including to:

Provide, operate, and maintain our webste
Improve, personalize, and expand our webste
Understand and analyze how you use our webste
Develop new products, services, features, and functionality
Communicate with you, either directly or through one of our partners, including for customer service, to provide you with updates and other information relating to the webste, and for marketing and promotional purposes
Send you emails
Find and prevent fraud
Log Files
Ariful Islam blog follows a standard procedure of using log files. All hosting companies do this and a part of hosting services' analytics. The information collected by log files include internet protocol (IP) addresses, browser type, Internet Service Provider (ISP), date and time stamp, referring/exit pages, and possibly the number of clicks. These are not linked to any information that is personally identifiable. The purpose of the information is for analyzing trends, administering the site, tracking users' movement on the website, and gathering demographic information. Google DoubleClick DART Cookie
Google is one of a third-party vendor on our site. It also uses cookies, known as DART cookies, to serve ads to our site visitors based upon their visit to www.website.com and other sites on the internet. However, visitors may choose to decline the use of DART cookies by visiting the Google ad and content network Privacy Policy at the following URL – https://policies.google.com/technologies/ads

Our Advertising Partners
Some of advertisers on our site may use cookies and web beacons. Our advertising partners are listed below. Each of our advertising partners has their own Privacy Policy for their policies on user data. For easier access, we hyperlinked to their Privacy Policies below. Google

https://policies.google.com/technologies/ads

Advertising Partners Privacy Policies
You may consult this list to find the Privacy Policy for each of the advertising partners of Ariful Islam blog. Third-party ad servers or ad networks uses technologies like cookies, JavaScript, or Web Beacons that are used in their respective advertisements and links that appear on Ariful Islam blog, which are sent directly to users' browser. They automatically receive your IP address when this occurs. These technologies are used to measure the effectiveness of their advertising campaigns and/or to personalize the advertising content that you see on websites that you visit. Note that Ariful Islam blog has no access to or control over these cookies that are used by third-party advertisers. Third Party Privacy Policies
Ariful Islam blog's Privacy Policy does not apply to other advertisers or websites. Thus, we are advising you to consult the respective Privacy Policies of these third-party ad servers for more detailed information. It may include their practices and instructions about how to opt-out of certain options. You can choose to disable cookies through your individual browser options. To know more detailed information about cookie management with specific web browsers, it can be found at the browsers' respective websites. CCPA Privacy Rights (Do Not Sell My Personal Information)
Under the CCPA, among other rights, California consumers have the right to:

Request that a business that collects a consumer's personal data disclose the categories and specific pieces of personal data that a business has collected about consumers. Request that a business delete any personal data about the consumer that a business has collected. Request that a business that sells a consumer's personal data, not sell the consumer's personal data. If you make a request, we have one month to respond to you. If you would like to exercise any of these rights, please contact us. GDPR Data Protection Rights
We would like to make sure you are fully aware of all of your data protection rights. Every user is entitled to the following:

The right to access – You have the right to request copies of your personal data. We may charge you a small fee for this service. The right to rectification – You have the right to request that we correct any information you believe is inaccurate. You also have the right to request that we complete the information you believe is incomplete. The right to erasure – You have the right to request that we erase your personal data, under certain conditions. The right to restrict processing – You have the right to request that we restrict the processing of your personal data, under certain conditions. The right to object to processing – You have the right to object to our processing of your personal data, under certain conditions. The right to data portability – You have the right to request that we transfer the data that we have collected to another organization, or directly to you, under certain conditions. Children's Information
Another part of our priority is adding protection for children while using the internet. We encourage parents and guardians to observe, participate in, and/or monitor and guide their online activity. Ariful Islam blog does not knowingly collect any Personal Identifiable Information from children under the age of 13. If you think that your child provided this kind of information on our website, we strongly encourage you to contact us immediately and we will do our best efforts to promptly remove such information from our records.

মা আমার বিয়ে ঠিক করেছেন তার পাঁচ বছর ধরে যেই ছেলের সাথে অবৈধ সম্পর্ক তার সাথে।  কোনো ভাবেই এটা মেনে নেওয়া সম্ভব না। কখনো...
01/07/2022

মা আমার বিয়ে ঠিক করেছেন তার পাঁচ বছর ধরে যেই ছেলের সাথে অবৈধ সম্পর্ক তার সাথে। কোনো ভাবেই এটা মেনে নেওয়া সম্ভব না। কখনোই মানতে পারব না এই বিয়ে, রাতের পর রাত যেই মাকে দেখেছি আমার পাশ থেকে উঠে গিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে তার কচি প্রেমিকের সাথে দেখা করছেন। সব দেখে বুঝেও না বুঝার না দেখার ভান করে ছিলাম। আর সেটাই এখন আমার জিবনে কাল হয়ে দাড়িয়েছে।

আমি রাখি, ১২ বছরের মতো হয় আমার বাবা মোহাব্বাত আলী মারা গেছেন। সেই থেকেই মা নাজমা বেগম আমাকে আগলে রেখেছেন। আমার বাবা বেশ ধার্মিক লোক ছিলেন একটা মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। আমার আরো দুই বোন আছে কোনো ভাই নেই। বড় আপুকে বাবাই বিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন মেজো আপুকে এই বছর কয়েক হয় চাচারা ভালো সমন্ধ দেখে বিয়ে দিয়েছেন।

এখন আমার মা আর আমি দুজনেই থাকি। আমি যখন ৭ম শ্রেনীতে তখন আমি আমাদের গ্রামের একটা ছেলের কাছে প্রাইভেট পড়তাম। সে এবার দ্বাদশ শ্রেণিতে প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমি লেখাপড়ায় মোটামুটি ভালো পড়া লেখায় যেনো উন্নতি হয় এর জন্য সজিব ভাইয়ার কাছে পড়তে দিয়েছেন। সজিব ভাইয়া লেখাপড়ায় অনেক ভালো গ্রামের প্রায় স্টুডেন্ট তার কাছে পড়ত।মা তার সুনাম শুনে আমাকেও সেখানে পড়তে দেয়। প্রতিদিন আমি আমার বান্ধবীদের সাথে পড়তে যেতাম। কিছু দিন পর সজীব ভাইয়ার সাথে আমার খুব ভালো একটা বন্ধুত্ব হয়ে যায়।

--- এই যে রাখি বাড়িতে বসে সব অংক গুলো করবে। আর তোমার আম্মুর কাছে আমার ফোন নম্বর আছে যদি কোনো সমস্যা হয় আমাকে এসএমএস দিবে আমি কল দিয়ে তোমাকে বুঝিয়ে দিবো।
--- আচ্ছা ভাইয়া।

ঐদিন রাত ৯টার দিকে ভাইয়ার নম্বর থেকে একটা মেসেজ আসে।
---কি করো রাখি? হোমওয়ার্ক যেগুলো দিয়েছিলাম সব গুলো করেছো?
খুব ভাবনায় পড়ে গেলাম ভাইয়াকে কি মেসেজের উত্তর দিবো নাকি! অনেক চিন্তা-ভাবনা করে ১টাকার ৫০ টা মেসেজ কিনলাম।তারপর ভাইয়াকে উত্তর দিলাম।
--- জ্বী ভাইয়া করেছি সব গুলোই।
--- ওহহ ভেরি গুড। তো রাতের খাবার খেয়েছো?
--- জ্বী ভাইয়া।
ঐদিন রাতে ভাইয়ার সাথে আমার এইটুকুই কথা হয়।

সজিব মনে মনে চিন্তা করে আহারে মেয়েটা আমাকে রিপ্লাই করছে ওর মনে হয় টাকা কেটেছে। কালকে ওকে কিছু এসএমএস কিনে দিবো।

সকালে আমি মায়ের ফোন হাতে নিতেই দেখি ৫০০ এসএমএস ১মাসের জন্য। আমি কিছুক্ষণের জন্য পাথরের মতো দাড়িয়ে রইলাম। আজব এতো গুলো এসএমএস কে দিলো? ভুলে আসলো নাকি? আচ্ছা সজীব ভাইয়া দিছে কিন্তু তিনি কেনো দিবে? এসব ভাবতে না ভাবতেই সজীব ভাইয়ার ফোন থেকে মেসেজ আসল।
---রাখি শুভ সকাল, ৫০০ মেসেজ গেছে তোমার ফোনে?
--- জ্বী ভাইয়া।
--- আচ্ছা সকালে ঠিক মতো নাস্তা করে স্কুলে যাও আর মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করবে।
--- ওকে ভাইয়া।

আমি স্কুলে যাওয়ার জন্য উঠোনে নামতেই নজীব ভাইয়া মানে সজীব ভাইয়ার বড় ভাই সামনে দাড়ায়।
সামনের দাঁত গুলো বেড় করে রাখি কেমন আছো? কই যাও?
--- ভালো। স্কুল ব্যাগ কাঁধে নিয়ে নাচতে যাচ্ছি যত্তসব।

কিরে রাখি বাইরে কে?
--- মা নজীব ভাইয়া আসছে।
নাজমা বেগম -- ওহহ নজীব বস ঐ খানে আসতেছি আমি৷
--- মা আমি স্কুলে গেলাম।

--- কি রে নজীব তোর খবর কি? চাচীরে একটু দেখতেও আসো না।
--- ঐ একটু কাজে ব্যাস্ত চাচি।
--- হা হা হা তোর আবার কি কাজ এতো এই বয়সে? সারাদিন টো টো কোম্পানির ম্যানেজারের মতো ঘুরো লেখা পড়া করতি তাহলেও বুঝতাম যে পড়া লেখা করো।
--- এদিকে এসেই বা কি করব, তোমার যে মেয়ে কথায় প্রচুর ধার। কিছু বলার আগেই তেলে বেগুনে এক হয়ে যায়।
--- ছোট মানুষ তো একটু জিদ বেশি আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।
নজীবের সাথে নাজমা বেগমের কথা বার্তা বাড়তে থাকে। আঁখিদের বাড়ীতে আসলে ঘন্টার পর ঘন্টা পার করে দিতো আঁখির মায়ের সাথে।
২.
সজীব আঁখি কে প্রথম দেখাই পছন্দ করে ফেলে। লেখা পড়ায়ও বেশ ভালো।
সজীবের ডায়রী লেখার অভ্যাস ছিলো কিছু হলেই ডায়রি তে টুকে রাখতো। এ ক্ষেত্রেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি।

"আঁখি তোমার ঐ মায়াবী চোখে আমি হারিয়ে গেছি। তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে আমি হাজার বছর কাটিয়ে দিতে পারব। তোমার বাদামী বর্ণের দু চোখের মায়ায় পড়ে থাকতে চাই আঁখি। "

তোমাকে বড্ড ভালোবেসে ফেলেছি আঁখি। কিন্তু এখন তোমাকে কিছুই বলব না। তুমি খুব ছোট,আমারো একটা ক্যারিয়ার আছে।আমিও প্রতিষ্ঠিত হই। তুমিও ভালোভাবে লেখা পড়া করো।একদিন তোমাকেই আমার ঘরের বউ করে আনব৷
লাল একটা বেনারসি পরে আলতা রাঙা পায়ে আমার ঘরে তুমি আসবে আমার অর্ধাঙ্গিনী হয়ে। তুমি আমার মনের রানী, তুমি আমার ঘরের রানী।

সজীব ডায়রি লেখা রেখে পড়ালেখায় মনোযোগ দেয়। নিজেই নিজের মনকে বলে হে! সজীব এখন একা নও তোমার মন চুরি হয়ে গেছে,এখন তোমাকে অনেক পড়ালেখা করতে হবে তারপর ভালো কিছু করতে হবে।

আমার স্কুল শেষ হলে প্রতিদিন আমি বান্ধবীদের সাথে সজীব ভাইয়ার কাছে পড়তে যেতাম। ভাইয়া সব সময় আমার খোঁজ খবর নিতো। প্রতিদিন আমাদের এসএমএসে কথা হতো।
এইভাবে প্রতিদিন চলতে ছিলো। আমি ৭ম শ্রেনী থেকে অষ্টম শ্রেনীতে উঠি। এবারে আমার রেজাল্ট অনেক ভালো হয়। সজীব ভাইয়া বলেছিলো রেজাল্ট ভালো হলে আমাকে গিফ্ট দিবেন। তাই হলো ভাইয়া আমাকে কলম,কাগজ,পেন্সিল, রবার,সাথে আরো মাথার চুল বাধার জন্য ১০টি ব্যান্ট দিয়েছিল। গিফ্ট পেতে কার না ভালো লাগে? আমারো সেদিন খুব ভালো লেগেছিল।

ক্লাস এইটে উঠার পর কয়েকদিন পড়তে যেতে পারিনি জ্বর ছিলো৷ সজীব ভাইয়া আমার জ্বরের কথা শুনে আমাদের বাড়িতে আসে আমাকে দেখতে। আমি যা যা পছন্দ করতাম ভাইয়া তার সাধ্যের মধ্যে কিনে এনেছিলেন।
যতই পছন্দের জিনিস আনুকনা কেনো জ্বরের সময় সবই তিতা লাগে৷ সেদিন সজীব ভাইয়া আর নজীব ভাইয়া মুখোমুখি হয়।

সজীবঃ- ভাইয়া তুই এই খানে?
নজীবঃ- এমনি আঁখি কে একটু দেখতে এলাম।ঔষধ পত্র তো আমি এনে দিছি আঁখি কে আর চাচীর সাথেও একটু কথা ছিলো৷
সজীবঃ- ওহহ আচ্ছা।
সজীব নজীব কে দেখে খুব চিন্তিত অবস্থায় বাড়িতে আসে। বারাবর শুধু এটাই ভাবত নজীব ভাইয়া ঘনঘন কেনো আঁখিদের বাড়িতে যায়। আঁখি কে একটা এসএমএস দিয়ে জিজ্ঞেস করব ভাইয়া কি করে ওখানে? ঐখানে কেনো যায়?
না এখন না আঁখি অসুস্থ। সুস্থ হোক পড়তে আসলে আঁখিকে সাবধান করতে হবে৷ আমার ভাই তো আমি জানি তার স্বভাব কেমন।

পাঁচ ছয়দিন লেগেছিলো আমার সুস্থ হতে।সজীব ভাইয়া প্রতিদিন আমাকে একবার করে দেখে যেত৷ কিন্তু যখনি আসত নজীব ভাইয়ার সাথে দেখা হতো।এমনকি সন্ধ্যার পরে আসলেও দেখতো নজীব ভাইয়া বসে বসে আম্মুর সাথে কথা বলত। বড় ভাই এর জন্য সজীব ভাইয়া কিছু বলত না। কিন্তু মুখে নজীব ভাইয়াকে দেখে তার একটা বিরক্তির ছাপ দেখা যেতো।
সুস্থ হয়ে যখন ভাইয়ার কাছে পড়তে গেলাম তখন ভাইয়া আমাকে জিজ্ঞেস করল
---আচ্ছা আঁখি আমার বড় ভাই তোমাদের বাড়িতেই কি থাকে সারাক্ষণ?
--- সব সময় বলতে কতক্ষণ পর পর আসে রাত দিন নেই তার কাছে।
--- শোনো আঁখি একটা কথা বলি ভাইয়াকে তোমাদের বাড়িতে বেশি আসতে দিবে না। ও কেমন তা আমি ভালো করে জানি সাবধান!
--- ভাইয়া একটা কথা বলব?
--- হুমম বলো।
--- আপনার বড় ভাইকে আমার একটুও সহ্য হয়না। সারাদিন আমাদের বাড়িতে এসে গুজুরগুজুর ফুসুরফুসুর করে। আর পান চিবুই আপনার ভাইয়ের কোনো কাজ নেই? মাঝে মাঝে আমার খুব বিরক্ত লাগে আবার আপনার বড় ভাই তাই বেশি কিছু বলি না।
--- শোনো তুমি ভাইয়ার থেকে সাবধানে থাকবে। আর তোমাদের বাড়িতে ওরে বেশি আসতে দিবে না। --- ওকে ভাইয়া।
---এখন পড়ায় মনোযোগ দেও।

স্কুল প্রাইভেট পড়ে ক্লান্ত শরীর নিয়ে বাড়িতে ঠুকতেই দেখি নজীব ভাইয়া এসে হাজীর।পিছন থেকে ডাক দিয়ে জিজ্ঞেস করল।
--- কিরে আঁখি কই গেছিলা?
--- নাচতে গেছিলাম দেখেননা কাঁধে স্কুল ব্যাগ। আপনি কেনো আবার আসছেন এখানে? বাড়িতে কাজ নাই? আমাদের বাড়িতে এসে বসে থাকেন৷
ঘরের মধ্যে ঠুকলে আপনার খবর আছে৷
বলেই আমি ভিতরে গিয়ে দরজা আঁটকে দিলাম,,,,,,,,

চলবে,,,,
অবশেষে_তুমি
০১
ইসরাত_জাহান_এশা

সিনেমাহল থেকে বের হয়ে দেখি আমার ছাত্রী একটা ছেলের সাথে হাত ধরাধরি করে বের হচ্ছে। আমাকে দেখে আমার ছাত্রী চমকে গেলো। আমি ক...
28/06/2022

সিনেমাহল থেকে বের হয়ে দেখি আমার ছাত্রী একটা ছেলের সাথে হাত ধরাধরি করে বের হচ্ছে। আমাকে দেখে আমার ছাত্রী চমকে গেলো। আমি কিছু না বলে চুপচাপ ওদের সামনে থেকে চলে গেলাম।
পরেরদিন যখন আমি আমার ছাত্রীকে পড়াতে যায় তখন ছাত্রীর বাবা আমার শার্টের কলার ধরে বলেছিলো, আমার এত সাহস কি করে হলো তার মেয়ের শরীরে হাত দেওয়ার আর বাজে ইঙ্গিত দেওয়ার..
আমি অবাক হয়ে ছাত্রীর বাবার কাছে জানতে চেয়েছিলাম আমার নামে এই নোংরা কথাটা কে বললো.
ছাত্রীর বাবা আমার ডানগালে থাপ্পড় মেরে বলেছিলো, এই কথাটা না কি আমার ছাত্রী নিজেই বলেছে।
ছাত্রীর বাসা থেকে বের হয়ে চিন্তা করতে লাগলাম, শহরের মেয়েরা স্মার্ট হয় কিন্তু এতটা স্মার্ট হয় জানতাম না। আমার অপরাধ ছিলো আমি আমার ছাত্রীকে বয়ফ্রেন্ড সহ সামনাসামনি দেখে ফেলেছিলাম। তাই আমার ছাত্রী আমার নামে তার বাবা মার কাছে নোংরা একটা জিনিস বানিয়ে বললো যাতে ওর বাবা মা আমাকে ভুল বুঝে। আর আমি কিছু বললেও যেন বিশ্বাস না করে...
তার কয়েকমাস পর ইন্টারনেটে ৮ মিনিটের একটা ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওটা আমার ছাত্রী ও তার বয়ফ্রেন্ডের। আমি তখন আকাশের দিকে তাকিয়ে শুধু মুচকি একটা হাসি দিলাম...

আমি যে মেসে থাকি সেই মেসে আমি বাদে সবাই স্মার্টফোন ব্যবহার করে। সহজ কথা বলতে গেলে আমি বাদে সবার পারিবারিক অবস্থা খুব ভালো। মেসে আমার রুম মেটের ৪ হাজার টাকা হারিয়ে গেলো। সবার ধারণা হলো আমি টাকাটা চুরি করেছি কারণ আমি সেদিন কমদামের একটা স্মার্টফোন কিনেছিলাম। পাশের রুমের এক বড় ভাই তিনি জোর গলায় বললেন, উনি না কি নিজ চোখে দেখেছেন আমি আমার রুমমেট মামুনের ব্যাগে হাত দিয়েছি। আমি তখন কিছু বললাম না কারণ আমার কিছু বলার মত পরিস্থিতি ছিলো না। বড় ভাইকে সবাই খুব মানতো আমি কিছু বললেও লাভ হতো না। আমি দোকানে গিয়ে দোকানদারের হাতে পায়ে ধরে ফোনটা ফেরত দিয়ে সেই টাকাটা আমার রুমমেটকে দিলাম।
চোরের অপবাদ নিয়ে যে মেস থেকে ৫ মাস আগে বের হয়ে গিয়েছিলাম আজ সেই মেসে বড় ভাই আমাকে খবর দিয়ে নিয়ে এসেছে। সবার সামনে বড়ভাই আমার হাত ধরে বললো, পিয়াস আমায় ক্ষমা করে দিস। আমি সেদিন ইচ্ছে করে তকে চোর বানিয়েছিলাম। আসলে সেদিন টাকাটা আমি চুরি করেছিলাম।
বড়ভাইয়ের ক্যান্সার ধরা পড়েছে। তার মাঝে মৃত্যু ভয় ঢুকে গেছে।
আমি বড়ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে শুধু মুচকি একটা হাসি দিলাম...

শ্রাবণী তার সামনে রাখা গ্লাসটা আমার মুখে ছুড়ে মেরে বললো, তোর মত ভিখারীর কি করে সাহস হয় আমাকে এইসব বলার? তুই ভালো ছাত্র ছিলি দেখে তোর নোট পাওয়ার লোভে তোর সাথে বন্ধুত্ব করেছিলাম আর সেই তুই কি না আমাকে আজ প্রেমের প্রস্তাব দিস...
সেই শ্রাবণীর খুব বড়লোক ছেলের সাথেই বিয়ে হয়েছিলো। কিন্তু বিয়ের ৩ বছর পর সে আজ আমার সামনে বসা। শ্রাবণী তার স্বামীর বিরুদ্ধে এক একটা নির্যাতনের কথা বলছে আর আমি এস আই আবুল বাশার পিয়াস সুন্দর করে নোট করছি।
কথাবলার এক পর্যায়ে শ্রাবণী আমায় বললো, সেদিন যদি তোর প্রস্তাবে রাজি হয়ে যেতাম তাহলে আমার কপালে আজ এত কষ্ট থাকতো না।
আমি কিছু না বলে শুধু নিচের দিকে তাকিয়ে মুচকি একটা হাসি দিলাম। যে হাসির অর্থ হলো, কেউ তোমার উপর অন্যায় করলে সে তার প্রতিদান পাবেই।

আজ একটা কথা খুব মনে পড়ছে,
দুনিয়াতে মানুষ মানুষকে ক্ষমা করে দিলেও প্রকৃতি কাউকে ক্ষমা করে না। প্রকৃতি সব হিসাব করে মানুষকে তা ফিরিয়ে দেয়...

~বিকৃত ইতিহাস নয় কি???সিরাজের পরাজয়ে বাঙালির পরাজয় নয়!১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজয়ে বাঙালি...
24/06/2022

~বিকৃত ইতিহাস নয় কি???
সিরাজের পরাজয়ে বাঙালির পরাজয় নয়!

১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজয়ে বাঙালির পরাজয় নয়। সিরাজউদ্দৌলার মাতৃভাষা ছিল ফার্সি। তাইতো সিরাজউদ্দৌলাকে যখন ইংরেজ সেনা বেঁধে নিয়ে যাচ্ছিল তখন রাস্তার দুপাশের অসংখ্য কৃষকেরা নিশ্চিন্তমনে জমি চাষ করছিলেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ খুশিতে হাতেতালিও দিচ্ছিলেন। তাদের কাছে এ যুদ্ধ ছিল দুই সাম্রাজ্যবাদীর লড়াই। বিষয়টি অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, বাংলাদেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া তার 'মৃদুভাষণ' নামক প্রবন্ধ গ্রন্থে। শাহ এ এম এস কিবরিয়া বলেন:

"২৬ মার্চ যখন ফিরে আসে তখন কবিগুরুর অনুপম চরণগুলো হৃদয়-মনকে উতলা করে তোলে।
আমাদের হাজার বছরের ইতিহাসে গর্ব করার মতো কি আছে তা নিয়ে অনেকেই লেখালেখি করেছেন। আমি এসব অতীত কাহিনী পড়ে তেমন উজ্জীবিত হই না। পাঠান আমলে বাংলাদেশে একটা স্বাধীন রাজ্য স্থাপিত হয়েছিল, সন্দেহ নেই। কিন্তু এও সত্য যে, তৎকালীন পাঠানরা কোনো বিচারেই বাঙালি ছিলেন না। বাঙালি জাতীয়তাবোধ তাঁদের কাছে অজ্ঞাত ছিল বলে আমি মনে করি। রাজ্য শাসনের সুবিধার জন্য এবং স্থানীয় লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য তাঁরা স্থানীয় ভাষার চর্চাকে উৎসাহ দিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁরা বাংলায় কথাও বলতেন না এবং আচার আচরণে খাঁটি বাঙালি সমাজের কাছাকাছিও ছিলেন না। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব স সিরাজউদ্দৌলার করুণ পরিণতির কাহিনী পড়ে আমরা বেদনা অনুভব করি, কিন্তু কেউ কি দাবি করবেন যে, নবাব সিরাজউদ্দৌলা বাঙালি ছিলেন? ইতিহাসে পড়েছি নবাব আলীবর্দী খান ইরান দেশ থেকে ভাগ্যান্বেষণে ভারতে এসেছিলেন। তাঁর দৌহিত্র সর্বাংশেই একজন ইরানী ছিলেন। হয়তো সে কারণেই আমরা দেখি, যখন পলাশীর আম্রকাননে লড়াই হচ্ছে তখন, তার পাশেই, শস্যক্ষেত্রে বাঙালি কৃষকরা নির্বিকারভাবে কৃষিকর্ম করে যাচ্ছে। তাদের দৃষ্টিতে এটা ছিল দুই বিদেশী শক্তির মধ্যে ক্ষমতার সংঘাত। বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনা ছিল অনুপস্থিত।"
(শাহ এ এম এস কিবরিয়া ১৯৯৭: ৫)

মুর্শিদাবাদের নবাব সিরাজউদ্দৌলার হাতে মাত্র একবছর দুইমাসের মত শাসন ক্ষমতা ছিল। তিনি ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দের থেকে ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দের পর্যন্ত কিঞ্চিদধিক এক বছর শাসন করেন। অথচ আমরা আমাদের বাল্যকাল থেকে পাঠপুস্তকসহ প্রত্যকটি স্থানে নবাব সিরাজউদ্দৌলার প্রসঙ্গে যে আলোচনা শুনেছি, তাতে আমার ধারণা ছিল নবাব সিরাজউদ্দৌলা বহুদিন বাংলার শাসক ছিলেন। পরবর্তী ধীরেধীরে জানতে পারলাম তিনি মাত্র একবছরের মত বাংলার শাসক ছিলেন। প্রথম এ বিষয়টি জেনে আমি আশাহত হই। পরবর্তীতে তার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে গিয়ে আরও নতুনভাবে অনেক তথ্য জানলাম। যে সকল তথ্যের অধিকাংশই পূর্বে জানা ছিল না। নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে নিয়ে বিভিন্ন মিথ বাংলায় প্রচলিত আছে, যার অধিকাংশই সত্য নয়। বিষয়টি সম্পূর্ণভাবেই তৈরি করে ইতিহাসের নামে চালানো। কিন্তু যার ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে বিভিন্ন মিথের পিছনে দুটি কারণ। প্রথমত ধর্মগত সাদৃশ্যের কারণে, তার পূর্বপুরুষ তুর্কি থেকে আগত হলেও তাকে অনেক বাঙালি স্বদেশীয় প্রমাণ করতে ব্যস্ত। তাদের অন্যতম যুক্তি হল, বাংলায় বা ভারতবর্ষে তুর্কি, পাঠান বিভিন্ন শাসকেরা বিদেশি বংশদ্ভূত হলেও, তারা যেহেতু এদেশে বসবাস করত তাই তার এদেশীয় হয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় কারণ কলকাতা কেন্দ্রিক সাহিত্যিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বুদ্ধিজীবীগণ ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময়ে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে গৌরবান্বিত করার বিবিধ প্রচেষ্টা শুরু করে। সে লক্ষ্যে তারা বিভিন্ন সাহিত্য রচনা করে।ব্রিটিশেরা যেহেতু নবাব সিরাজউদ্দৌলার হাত থেকে ধীরেধীরে বাংলার শাসনভার নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। তাই তারা ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের স্বার্থে ব্রিটিশ পূর্ববর্তী নবাব সিরাজউদ্দৌলাসহ অন্যান্য শাসকদের মহিমান্বিত করতে শুরু করে।

সিরাজউদ্দৌলা বাঙালি ছিলেন না, তিনি বাংলায় কথা বলতেন কিনা সে বিষয়টিও সুনিশ্চিত নয়। নবাব সিরাজুদ্দৌলার সম্পূর্ণ নাম ছিল, মির্জা মুহম্মদ সিরাজউদ্দৌলা। তিনি ছিলেন আলীবর্দী খানের দৌহিত্র এবং জৈনুদ্দীন আহমদ খান ও আমিনা বেগমের পুত্র। ১৭৩৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলা তুর্কি জাতির বংশধর ছিলেন।আলীবর্দী খানের প্রকৃত নাম মির্জা মুহম্মদ আলী।তার পিতার নাম ছিলো মির্জা মুহম্মদ মাদানি। তুর্কি বংশোদ্ভূত মির্জা মুহম্মদ মাদানি মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের তৃতীয় পুত্র আজম শাহের দরবারের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলার দাদু আলীবর্দী খানের কোন পুত্রসন্তান ছিল না। শুধুই তিন কন্যাসন্তান ছিল। তিনি তার কন্যাদের বড়ভাই হাজি আহমদের তিন ছেলের সাথে বিবাহ দেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলা দাদু আলিবর্দী বা ঠাকুর্দা হাজি আহমেদের বাবা মির্জা মুহম্মদ মাদানি ছিলেন তুর্কি বংশোদ্ভূত। তাই পিতৃপুরুষের পরিচয়ে নবাব সিরাজুদ্দৌলা আদতে তুর্কি বংশোদ্ভূত, কোনমতেই বাঙালি নয়।

আরেকটি বিষয় প্রতিনিয়ত বলা হয় যে, নবাব নবাব সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব। তথ্যটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হলেও, তথ্যটি সম্পূর্ণ সত্য নয়। প্রকৃত তথ্য হল, তখনো পর্যন্ত ভারতবর্ষ মুঘল শাসনের অধীনে ছিল। যেহেতু মুঘল সম্রাট ছিলেন, তাই নবাব সিরাজউদ্দৌলা কোন স্বাধীন শাসক ছিলেন না। তিনি ছিলেন, তৎকালীন দিল্লীর মুঘল সম্রাটের পক্ষে বাংলার আঞ্চলিক প্রতিনিধি। এককথায় বলতে গেলে, তিনি সম্রাট ছিলেন না, তিনি ছিলেন সম্রাটের অধিনস্থ বাংলার নবাব। অনেকটা বর্তমানের কেন্দ্রীয় সরকারের অধিনস্থ মুখ্যমন্ত্রীর মত। নবাব সিরাজউদ্দৌলার চরিত্র সম্পর্কে ইতিহাসকারগণ যে সকল তথ্য দিয়েছেন, সেই তথ্যানুযায়ী তাকে সচ্চরিত্রের অধিকারী হিসেবে চিহ্নিত করা দুষ্কর। মাতামহ আলিবর্দী খানের মৃত্যুশয্যায় নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে তার ধর্মগ্রন্থ স্পর্শ করে প্রতিজ্ঞা করানো হয় যে, তিনি মদ্যপান থেকে বিরত থাকবেন। নিয়মিত মদ্যপান অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। অবশ্য তিনি মদ্যপান থেকে পরবর্তীতে বিরত ছিলেন কিনা এ নিয়ে ইতিহাসকারগণ ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেননি।বাংলাদেশের জাতীয় জ্ঞানকোষ 'বাংলাপিডিয়া' -তে 'সিরাজউদ্দৌলা' প্রবন্ধে নবাব নবাব সিরাজউদ্দৌলা সম্পর্কে বলা হয়েছে:

"এটি সম্ভবত সত্য যে, নওয়াব হিসেবে সিরাজ ছিলেন খানিকটা উদ্ধত এবং খুব সম্ভবত কিছুটা অসহিষ্ণু। এক কথায় তিনি সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে ছিলেন না। অস্থির চিত্তের সিরাজের মধ্যে দৃঢ়তার অভাব ছিল। এছাড়া সংকটকালে সিদ্ধান্তহীনতাও তাঁর অন্যতম ত্রুটি। তবে এ কথা মনে রাখা দরকার যে, সিরাজ তখন ছিলেন মাত্র চবিবশ বছরের এক অপরিণত যুবক। ক্ষমতা ও উচ্চাসন তাঁকে কিছুটা বেপরোয়াও করে তুলেছিল। নবাব সিরাজউদ্দৌলার সবচেয়ে বড় ত্রুটি ছিল এই যে, অনভিজ্ঞতার কারণে তিনি তাঁর সকল প্রতিদ্বন্দ্বীকে একই সাথে মোকাবিলা করতে চেয়েছিলেন, তারা যাতে সংঘবদ্ধ হতে না পারে সেরূপ কোন পদক্ষেপ তিনি নেন নি। এরূপ সাবধানতা অবলম্বনে তাঁর ব্যর্থতা এবং শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করার মতো মানসিক দৃঢ়তার অভাবের কারণেই তাঁর পতন হয়।"

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এক মহান বাঙালি ছিলেন। তাঁর রচনায় কারো সম্পর্কে খুব একটা নেতিবাচক মন্তব্য চোখে পড়ে না। কিন্তু তিনি তাঁর রচিত 'বাঙ্গালার ইতিহাস, দ্বিতীয় ভাগ' গ্রন্থে নবাব সিরাজুদ্দৌলার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে নির্বোধ, নৃশংস, ও অবিমৃশ্যকারী, কুপ্রবৃত্তির উত্তেজক মানুষের সঙ্গী, নারীর সতীত্ব লুণ্ঠনকারী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। প্রাপ্ত তথ্যমতে নবাব সিরাজউদ্দৌলা কোন সুশাসক ছিলেন না। তিনি ছিলেন নিয়ন্ত্রণহীন এক তরুণ। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের তথ্য অনুসারে জানা যায় যে, ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশের কাছে পরাজয় না হলেও তার নবাবী দিল্লির মুঘল সম্রাটেরা এমনিতেই কেড়ে নিতেন। কারণ সকতজঙ্গের বার্ষিক কোটি মুদ্রা কর প্রদানসহ সুবাদারীর প্রার্থনায়, দিল্লীর মুঘল সম্রাট একপ্রকার সম্মত হয়ে গিয়েছিলেন।

"সকতজঙ্গ, সিরাজউদ্দৌলার সুবাদার হইবার কিঞ্চিৎ পূর্বে, রাজ্যশাসনে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। তাঁহারা উভয়েই তুল্যরূপ নির্বোধ, নৃশংস, ও অবিমৃশ্যকারী ছিলেন; সুতরাং, অধিককাল, তাঁহাদের পরস্পর সম্প্রীত ও ঐক্যবাক্য থাকিবেক, তাহার কোনও সম্ভাবনা ছিল না।

সিরাজউদ্দৌলা, সিংহাসনে অধিরূঢ় হইয়া, মাতামহের পুরাণ কর্মচারী ও সেনাপতিদিগকে পদচ্যুত করিলেন। কুপ্রবৃত্তির উত্তেজক কতিপয় অল্পবয়স্ক দুষ্ক্রিয়াসক্ত ব্যক্তি তাঁহার প্রিয়পাত্র ও বিশ্বাসভাজন হইয়া উঠিল । তাহারা, প্রতিদিন, তাঁহাকে কেবল অন্যায্য ও নিষ্ঠুর ব্যাপারের অনুষ্ঠানে পরামর্শ দিতে লাগিল। ঐ সকল পরামর্শের এই ফল দর্শিয়াছিল যে, তৎকালে, প্রায় কোন ব্যক্তির সম্পত্তি বা কোনও স্ত্রীলোকের সতীত্ব রক্ষা পায় নাই ।

রাজ্যের প্রধান প্রধান লোকেরা, এই সমস্ত অত্যাচার সহ্য করিতে না পারিয়া, তাঁহার পরিবর্তে, অন্য কোনও ব্যক্তিকে সিংহাসনে বসাইবার চেষ্টা দেখিতে লাগিলেন। তাঁহারা, আপাততঃ, সকতজঙ্গকেই লক্ষ্য করিলেন। তাঁহারা নিশ্চিত জানিতেন, তিনি সিরাজউদ্দৌলা অপেক্ষা ভদ্র নহেন; কিন্তু, মনে মনে এই আশা করিয়াছিলেন, আপাততঃ, এই উপায় দ্বারা, উপস্থিত বিপদ হইতে মুক্ত হইয়া, পরে, কোনও যথার্থ ভদ্র ব্যক্তিকে সিংহাসনে নিবিষ্ট করিতে পারিবেন।

এ বিষয়ে সমুদয় পরামর্শ স্থির হইলে, সকতজঙ্গের সুবাদারীর সনন্দ প্রার্থনায়, দিল্লীতে দূত প্রেরিত হইল।আবেদন পত্রে বার্ষিক কোটি মুদ্রা কর প্রদানের প্রস্তাব থাকাতে অনায়াসেই তাহাতে সম্রাটের সম্মতি হইল।"
(বিদ্যাসাগর ২০০২: ১১১৯)

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের কথার সত্যতা পাওয়া যায়, নবাব সিরাজউদ্দৌলার সমসাময়িক ইউসুফ আলি খানের বিবরণে। তার রচিত 'তারিখ-ই-বাঙ্গালা -ই-মহব্বত জঙী' গ্রন্থে তিনি নবাব সিরাজুদ্দৌলা সম্পর্কে বলেছেন:

"সিরাজ-উদ-দৌলা এই পৃথিবীর রাজত্বে তৃপ্ত ছিলেন না এবং (কোনো কিছুতেই তিনি) সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাঁর অত্যধিক অত্যাচারের মাত্রা, অত্যধিক রক্তপিপাসুতা ও সীমাহীন গালিগালাজপ্রিয়তা এই দেশের সব সিংহের পিত্তকে পানিতে পরিণত করতে পারত। আজ তাঁর মাথার উপরে ছিল একটি টুপি, (পরিধানে) ছিল পায়জামা এবং কাঁধে ছিল একটি কম্বল। সেই অবস্থায় পৃথিবীর মানুষের কাছে তিনি এই ধরণীর একটি ক্ষুদ্র কোণ মাত্র প্রার্থনা করেন। কিন্তু তাঁর এই বিধ্বস্ত দেহ বিরাট বিক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়ালে তিনি তাঁর সেই ইচ্ছা পূরণের সুযোগ আর পাননি এবং মহা প্রতিশোধ গ্রহণকারী বিচারকের আদেশে মৃত্যুর তরবারি তাঁর সব আকাঙ্ক্ষার শিকল ছিন্ন করে দেয়। মীর মোহাম্মদ জা'ফর খান বাহাদুরের আদেশে তাঁকে মহাবত জঙের সমাধির পাশে সমাহিত করা হয়। এই ঘটনা এগারশ একাত্তর হিজরী সনের ১৫ই শওয়াল তারিখে ঘটে। তাঁর রাজত্বকাল দুর্যোগপূর্ণ হলেও এক বছর তিন মাস ছিল।"
(আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া ১৯৯৭:১৯০-৯১)

নবাব সিরাজউদ্দৌলার সমসাময়িক ইউসুফ আলি খানের বিবরণে 'তারিখ-ই-বাঙ্গালা-ই-মহব্বত জঙী' গ্রন্থের মত নবাব সিরাজউদ্দৌলার মৃত্যু এবং পরবর্তী মৃতদেহের বিবরণ 'মোজাফফরনামা' গ্রন্থেও পাওয়া যায়। মোজাফফরনামা গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন, করম আলি খান। নবাব সিরাজউদ্দৌলার মৃতদেহকে কি পরিমাণে অমর্যাদা করা হয়েছিলো সে বিবরণ করম আলি খানের মোজাফফরনামায় পাওয়া যায়:

"সিরাজের দেহে বিশটি আঘাত করেও কাজ শেষ করতে না পেরে মোহাম্মদী বেগ তাঁর সঙ্গীদের মধ্য থেকে একজন মোঘলকে এ কাজের জন্য নিযুক্ত করে এবং সে ব্যক্তি ছোরার এক আঘাতেই সিরাজের জীবনের সমাপ্তি ঘটায়। তাঁর দেহ একটি হস্তীর পৃষ্ঠে স্থাপন করে সীমাহীন অমর্যাদার সঙ্গে সমগ্র নগরে ঘোরানো হয়। সেই হস্তী সিরাজের জননীর বাসভবনের সামনে আসলে তিনি খালি পায়ে ও খালি মাথায় দৌড়িয়ে এসে হস্তীর পায়ের কাছে নিজেকে নিক্ষেপ করেন। কিন্তু খাদিম হোসেন খানের লোকজন তাঁকে বলপ্রয়োগ করে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। (সিরাজের মৃতদেহ নিয়ে) খাদিম হোসেন খানের বালাখানার সামনে উপস্থিত হলে তিনি নির্লজ্জ হয়ে মৃতদেহ সমাহিত করার জন্য একখানা বস্ত্র মৃতদেহের উপর নিক্ষেপ করেন।

অবশেষে সিরাজের মৃতদেহ বাজারের চত্বরে নিক্ষেপ করা হলে কেউ তা দাফন করতে সম্মত হয়নি। এই পরিবারের ঐতিহ্যকে স্মরণ রেখে এবং নিজেকে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত করে মীর্জা জয়নুল আবেদীন বাকাওয়াল মৃতদেহকে গোসল করান এবং একটি কফিনে ভরে তা আলিবর্দীর কবরের পাশে সমাধিস্থ করেন। সিরাজের রাজত্বকাল পনেরো মাস স্থায়ী হয়।"
(আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া ১৯৯৮: ১২৮)

১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে নবাব সিরাজউদ্দৌলা পরাজয়ে বাঙালির পরাজয়ে বাঙালি পরাধীন হয়নি। মাঝেমধ্যে দুইএকটা ব্যতিক্রম ছাড়া বাঙালি ১২০৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে একপ্রকার পরাধীনই ছিল। ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন প্রভু বদল হয়েছিল মাত্র।এদেশীয় ক্ষমতা এক সাম্রাজ্যবাদীদের হাত থেকে অন্য সাম্রাজ্যবাদীদের হাতে গিয়েছিলো মাত্র। তুর্কিদের হাত থেকে কিছুটা সভ্য এবং কিছুটা মানবিক ব্রিটিশদের হাতে। বিষয়টি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর 'পূরবী' কাব্যগ্রন্থের 'শিবাজি-উৎসব' কবিতায় বলেছেন:

"সেদিন এ বঙ্গপ্রান্তে পণ্যবিপণীর এক ধারে
নিঃশব্দচরণ
আনিল বণিকলক্ষ্মী সুরঙ্গপথের অন্ধকারে
রাজসিংহাসন।
বঙ্গ তারে আপনার গঙ্গোদকে অভিষিক্ত করি
নিল চুপে চুপে-
বণিকের মানদণ্ড দেখা দিল পোহালে শর্বরী
রাজদণ্ডরূপে।"
(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ২০০৭:৩০৫)

তথ্য সহায়তা:
১. আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া (অনূদিত), ইউসুফ আলী খান, তারিখ-ই-বাঙ্গালা-ই-মহব্বত জঙী, ঢাকা: বাংলা একাডেমী, জুন১৯৯৭

২.আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া (অনূদিত),
মোজাফফরনামা ও নওবাহার- ই-মুর্শিদকুলী খানি,ঢাকা: বাংলা একাডেমী, মার্চ ১৯৯৮

৩. তীর্থপতি দত্ত ( সম্পাদিত),বিদ্যাসাগর রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড), কলকাতা: তুলি-কলম, মার্চ ২০০২

৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সঞ্চয়িতা, ঢাকা: মেরিট ফেয়ার প্রকাশন,ফেব্রুয়ারি ২০০৭

৪. শাহ এ এম এস কিবরিয়া, মৃদুভাষণ, ঢাকা: ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড,১৯৯৭

৫. সিরাজউদ্দৌলা,বাংলাদেশের জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়া, ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০১৫

কুশল বরণ চক্রবর্ত্তী
সহকারী অধ্যাপক,
সংস্কৃত বিভাগ,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

অল্প বয়সে বিয়ে করার উপকারিতা......এবং বিয়ের মাধ্যমে ধনী হওয়া যায়......✍️👇✍️অতচ এই আয়াতে আল্লাহ বলেন :وَأَنكِحُوا الْأَيَ...
24/06/2022

অল্প বয়সে বিয়ে করার উপকারিতা......
এবং বিয়ের মাধ্যমে ধনী হওয়া যায়......✍️👇✍️
অতচ এই আয়াতে আল্লাহ বলেন :
وَأَنكِحُوا الْأَيَامَى مِنكُمْ وَالصَّالِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَائِكُمْ إِن يَكُونُوا فُقَرَاء يُغْنِهِمُ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
বিয়ে করো,তোমায় প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব আমি
আল্লাহর......!!!!!!অভাবে আছো অভাব দূর করে দেব। আল্লাহ বলেন ধনী হতে চাও বিয়ে করো।

আবার রাসুল (সা.) বলেছেন, ثَلَاثَةٌ حَقٌّ عَلَى اللَّهِ عَوْنُهُمْ: المُجَاهِدُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَالمُكَاتَبُ الَّذِي يُرِيدُ الأَدَاءَ، وَالنَّاكِحُ الَّذِي يُرِيدُ العَفَافَ তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ তায়ালার জন্য কর্তব্য হয়ে যায়।
১। আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় জিহাদকারী,

২। চুক্তিবদ্ধ গোলাম যে তার মনিবকে চুক্তি অনুযায়ী সম্পদ আদায় করে মুক্ত হতে চায়

৩। ওই বিবাহিত ব্যক্তি যে (বিবাহ করার মাধ্যমে) পবিত্র থাকতে চায়।

হাদিসটি পাবেন

(তিরমিজি-১৬৫৫, নাসায়ি-৩২১৮, ৩১২০, সহিহ ইবনে হিব্বান-৪০৩০, বায়হাকি, সুনানুল

অল্প বয়সে বিয়ে করলে রোমান্টিকতার বহু
সময় পাওয়া যায়।কেন এতো বিয়ে করতে দেরি
করছেন।আল্লাহ তো অফার দিয়ে রাখছেন।
আল্লাহ তোমাকে বড়লোক বানিয়ে দেবেন তার
ওয়াদা দিয়েছেন।
শুধু খামাখা কেন দেরি করছেন, বিয়ে করুণ......
যৌবন শুরু হয়েছে, আল্লাহর দেয়া বিশাল
অফার টাকে গ্রহণ করুণ।
বিয়ে করুণ

বিয়ে করলে যে উপকারিতা পাবেন তা হলো👇👇👇

১। লজ্জা স্থানের হেফাজত হয়

২। বিবাহ চক্ষু নিচু করে

৩। তাড়াতাড়ি ধনি হওয়া যায়।

৪। ইমান পরিপূর্ণ হয়

৫। অসুস্থতা দূর হয়।

৬। ইবাদতে মজা পাওয়া যায়।

৭। আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়।

৮। মানসিক তৃপ্তি পাওয়া যায়।
এমন তৃপ্তি যেটা শুধু নিজের বউয়ের কাছে পাবেন
যেনা করতে গিয়েও তা পাবেন না।

৯। মেজাস ঠান্ডা থাকে।মাথা কখনো হট হবেনা।

১০। যৌবনের ক্ষুদা নিবারণ হয়।

আরো অনেক উপকারিতা আছে।

বিয়েকে সহজ করুণ,দেখবেন সমাজ থেকে
অনেক জেনা ব্যাবিচার কমে যাবে।

ছেলেমেয়েদের অভিবাবকদের বলি অল্প বয়সে ছেলে মেয়ে বিয়ে করান।
সরকারি চাকরি বাদ দেন,আগে দেখুন ছেলে মানুষ কিনা এবং তার দ্বীনদারিত্ব দেখুন, তার সাথে বিয়ে দেন।ইনশাআল্লাহ ফায়দাবান হবেন।

জাযাকাল্লাহ খায়েরান

যোগ্য জবাব ♦হিতেশবাবু ক'মাস ধরেই কিছু আঁচ করছিলেন। উনি তিন বছর রিটায়ার করেছেন। সরকারী উচ্চপদে ছিলেন। ভাল অঙ্কের পেনশন পা...
23/06/2022

যোগ্য জবাব ♦

হিতেশবাবু ক'মাস ধরেই কিছু আঁচ করছিলেন। উনি তিন বছর রিটায়ার করেছেন। সরকারী উচ্চপদে ছিলেন। ভাল অঙ্কের পেনশন পান। স্ত্রী গত হয়েছেন বহুদিন আগে।

দুটি ছেলেকে বড় যত্নে মানুষ করেছেন বাবা মার দুজনের স্নেহ দিয়ে ভালভাবে লেখাপড়া করে তারা প্রতিষ্ঠিত হল। তারপর বড় ছেলের বিয়ে দিলেন। একটি নাতি হল। হিতেশের মনে আনন্দ ধরে না ।

এরপরই ছোট ছেলে নিজের পছন্দের মেয়ে খুঁজে বাবাকে জানালে তিনি সানন্দে সেই মেয়েকে ঘরে নিয়ে এলেন। রিটায়ারের আগেই বড় ছেলের বিয়ে হয়েছিল। তারপর ছোট বৌমা এল।

হিতেশ এখন নাতিকে নিয়ে বেশ সময় কাটান। সংসারের অনেকটা ব্যয় ভার বহন করেন।

একদিন ইজি চেয়ারে বসে সকালে কাগজ পড়ছেন বড় বৌমার গলা পেলেন, আজ বাজার শর্ট আছে.রাতে রান্না হবে না। সে চাকরী করে। বলছে জা কে।

এ বাড়ীতে ছেলেদের জন্মের আগে থেকে কাজের মেয়ে জবা আছে। সে তাঁর ছেলেদের থেকে বেশ কিছুটা বড়। জবা এই মাতৃহারা দুই ছেলেকে দিদির স্নেহে আগলে রেখেছিল।

সে বলল--দাদারা কেউ এনে দেবে। বড় বৌ বলল--কেন বাবা তো বসে আছেন বাজারটা রোজ করলেই পারেন। হিতেশের কানে কথাটা বাজল। বুঝলেন সংসারে তাঁর প্রয়োজন ফুরিয়েছে।

নিজের মনকে বললেন--মন তুই তৈরী থাক।

এরপর থেকে বৌদের নানা আচরণে তাঁর প্রতি বিরূপতা প্রকাশ পেতে থাকল।

একদিন সকালে বড় ছেলে রাগত গলায় বৌকে বলছে--আমার শার্টটা লণ্ড্রী থেকে আনা হয়নি?
বড় বৌ বললো না যাবার সময় হয়নি। বড় ছেলে -বাবা একটু আনতে পারল না ? সারাদিন তো বসেই থাকে। হিতেশের কানে গেল ভাবলেন--যুগধর্ম!

এরপর এক রবিবারে সকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলে এসে দেখলেন--সবাই আগে ভাগেই উপস্থিত।
জবা প্লেটে গরম লুচি, আলু ছেঁচকি আর সন্দেশ
পরিবেশন করছে।

বড় ছেলে বলল --বাবাএকটা কথা ছিল। হিতেশ বুঝলেন এরা সকলে কিছু প্ল্যান করেছে। বললেন বল। বড় ছেলে বললো জানো বাবা কাল অফিসের কাজে টাকি গিয়েছিলাম। ওখানকার দর্শনীয় জায়গা দেখলাম। নদীর ধারে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে একটা সুন্দর বৃদ্ধাশ্রম চালু হয়েছে। দেখেই ভাবলাম তুমি ওখানে মনোরম পরিবেশে শেষ জীবনটা থাকতে পারো। আমরা যাব আসব। কিরে ভাই কি বলিস? ছোট ছেলে বলল বেশ ভালো হবে।

হিতেশ হেসে বললেন--সব তো শুনলাম। কিন্তু বাবারা--আমার একটা প্রস্তাব আছে। তোমরা বরং
একটা যুতসই যৌবনাশ্রমের খোঁজ করে সেখানেই থাকনা কেন। বাড়ীও আমার,পেনশনও পাই। জবা মাকে নিয়ে বাপ বেটিতে ভালই থাকব। তোমরাও আসবে যাবে।

এই ভাবে তিনি একটা ছক্কায় বাজীমাত করে দিলেন। জবাকে বললেন--জবা মা, লুচিগুলো
ঠাণ্ডা হয়ে গেল। গরম গরম নিয়ে আয় তো।
ছেলে বৌয়েরা হতভম্ব হয়ে বসে রইল.....!!

দিন কাল পালটাচ্ছে। তাই যোগ্য জবাব দেবার জন্য তৈরী থাকা উচিৎ ....নাহলে বড়ই বিপদে পড়তে হতে পারে।

পুরুষ কেন নারীর চেয়ে আরও বেশি নিঃসঙ্গডা. অপূর্ব চৌধুরীLondon, Englandজগতে পুরুষরা অনেক একা, অনেক পুরুষই একা । বাহিরে বে...
23/06/2022

পুরুষ কেন নারীর চেয়ে আরও বেশি নিঃসঙ্গ
ডা. অপূর্ব চৌধুরী
London, England
জগতে পুরুষরা অনেক একা, অনেক পুরুষই একা । বাহিরে বেশিরভাগ পুরুষ সেটা বলে না । বেশিরভাগ পুরুষদের একাকীত্ব বোঝা যায় না । তাদের পরিবার থাকে, সঙ্গিনী থাকে, সন্তান থাকে, অর্থ-প্রতিপত্তি থাকলে চারপাশে বন্ধুরও অভাব থাকে না ।
পুরুষরা কাঁদে কম, কিন্তু কষ্ট পায় অনেক বেশি । গভীর কষ্টের কোন জল থাকে না ।
নারী কেঁদে তার কষ্টকে কমিয়ে দেয়, কমিয়ে দিতে পারে, এবং সত্যি সত্যি নারীদের কষ্ট কমে যায় তাতে । মস্তিষ্ক এবং শরীরের হরমোন বায়োলজি তাতে হেল্প করে ।
বলছি না নারীদের কষ্ট কম । কিন্তু যাদের কষ্টের ভাগ এবং কষ্ট প্রকাশের জায়গা কম, সেখানে তার ভোগান্তিটাই অনেক বেশি । পুরুষকে সেখানে অনেক গভীর কষ্টের মধ্যে থাকতে হয় । এক পুরুষকে তার কষ্টের বোঝা কাঁধে নিয়ে ঘরের অনেকগুলো মানুষের কষ্টগুলো দূর করতে হয়, অনেকের কষ্ট দূর করতে একা লড়তে হয় । বেশিরভাগ পুরুষের সে কষ্টগুলোর দিকে সমাজের নজর যেমন থাকে না, তার চেয়ে বড় সত্য বেশিরভাগ নারীদেরই সে দিকে নজর যায় না ।
অনেক নারীর ধারণা - পুরুষ যখন পুরুষ হয়ে জন্মেছেন, আমাদেরকে কাঁধে নিয়েই আপনাদের ঘুরতে হবে ।
বর্তমান নারীরা অনেক কিছুতেই পুরুষের সমকক্ষ দাবি করে, সেটা কোন অন্যায় নয়, সেটা তাদের জন্মগত ন্যায্য প্রাপ্য । কিন্তু বেশিরভাগ নারী পুরুষের এই দুঃখতে অংশিদার হতে চায় না । বেশিরভাগ নারী মনে করে তার দুঃখকে আরেকটি পুরুষ বুঝবে, কিন্তু বেশিরভাগ নারীরা পুরুষের দুঃখটা বুঝতে চায় না । যেখানে বোঝেই না, সেখানে আর অংশীদার কই থেকে হবে ।
অনেক পুরুষই আসলে খুব নিঃসঙ্গ । এই নিঃসঙ্গতা সঙ্গীর অভাব নয়, তাদের চারপাশে মানুষের অভাব নেই, তাদের উপর হাজার দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়ার লোকের অভাব নেই, পুরুষের এই নিঃসঙ্গতা তাকে বুঝতে পারা, তার কষ্টগুলোকে বুঝতে পারা মানুষের অভাব ।
অন্যদিকে বাস্তবিক বেশিরভাগ নারীরা নিঃসঙ্গ নয় । কারণটাও বলছি ।
অনেক নারীর নিঃসঙ্গতা তার কল্পনা বিলাসিতা । কিন্তু অনেক পুরুষের নিঃসঙ্গতা তার বাস্তবতা ।
পুরুষ তার কষ্টকে সহজে কারো সাথে শেয়ার করে না, এমনকি নারী-পুরুষ, কারও সাথেই শেয়ার করে না । নারী তার কষ্টকে একজন নারী এবং একজন পুরুষ, দু-এর কাছেই শেয়ার করে । নারী শেয়ার না করে থাকতে পারে না । যেহেতু নারী দুই এর কাছেই শেয়ার করার অবকাশ পায়, সেহেতু নারী আসলে নিঃসঙ্গ নয় ।
নারী নিঃসঙ্গ তার স্বভাবের কারণে । নারীর নিঃসঙ্গতা তার দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ।
একজন নারীকে ঘিরে অনেক পুরুষ থাকে, অনেক পুরুষ নাচে । কিন্তু একটি পুরুষকে ঘিরে অনেকগুলো নারীরা নাচে না, অনেক নারীও থাকেনা । কিন্তু নারী সহজে তাকে ঘিরে থাকা পুরুষগুলোতে সন্তুষ্ট থাকে না । তার চাই তার মতো করে একটি পুরুষ, পুরুষটির মত পুরুষ নয় । এইজন্য নারী সব সময় ভাবে সে নিঃসঙ্গ, একটু সামান্য নিঃসঙ্গতায় সে কাতর হয়ে পড়ে, অথচ একটি পুরুষ জন্মের পর থেকেই বুঝতে পারে সে কতটা একাকী, উল্টো তাকে ভান করে চলতে হয় সে দলবদ্ধ সাথী ।
অনেকের মাঝে থেকেও যে একা, সে অনেক বড় একা ।

ডিভোর্সের আগে শ্বশুর বাড়ি জেলখানা মনে হতো,ডিভোর্সের পরে এখন নিজের বাড়িই দোজখের মত লাগছে।( বাণীতে ডিভোর্সি নারী)  পরিস্থি...
23/06/2022

ডিভোর্সের আগে শ্বশুর বাড়ি জেলখানা মনে হতো,
ডিভোর্সের পরে এখন নিজের বাড়িই দোজখের মত লাগছে।( বাণীতে ডিভোর্সি নারী)

পরিস্থিতি যেমনই হোক, ডিভোর্স কখনো সুখ দেয়না!!
কমপক্ষে কোন মেয়ে সুখী হতে পারে না।

এক ডিভোর্সি নারীর বাস্তব জীবনী😭

জানিনা, আমি কেন লিখছি। হয়তো এজন্য কারণ আমি চাই আর কেউ আমার মতো ভুল না করুক। হয়তো এজন্য কারণ আমি চাই ঠুনকো কারণে সংসারগুলো ভেঙে না পড়ুক।
আমি ঊনিশ বছর বয়সী একজন নারী। আমাদের বিয়ে হয়েছিল আমার পছন্দে। সংসারও টিকে ছিল দের বছর। আমাদের একটা ছেলেও আছে, ওর বয়স এক বছর।
আমার স্বামীর স্বভাব-চরিত্র সবই বেশ ভালোই ছিল। শুধু একটু জেদি । অবশ্য তাও সবসময় না, মাঝেমধ্যে। মানুষ ভাবে ওর বদ জেদের জন্যই বুঝি আজ এই অবস্থা, কিন্তু আমি জানি, আমাদের সমস্যার শুরুটা ওর দিক থেকে হয় নি।

সব সংসারেই তো টুকটাক কিছু সমস্যা থাকে। ওরকম আমাদের মধ্যেও মাঝেসাঝে ঝগড়া-ঝাটি হতো। কিন্তু ঝগড়া বাধলেই আমি তল্পিতল্পা গুছিয়ে বাপের বাড়ির দিকে হাঁটা দিতাম। বাপের বাড়িতে বোনরাও আসতো, আর ভাইরা তো ছিলই। ওদের কাছে কেদেকেটে সব বলতাম। তখন সবাই ওকে ফোন করে কথা শোনাত। আমার ছোট বোন তো রীতিমত অপমান করত!
আমার কাছেও মনে হতো, ঠিকই আছে। কত বড় সাহস, আমার সাথে লাগতে আসে। আমাকে নিজের মতো চালাতে চায়। আমার মধ্যে কেমন একটা জেদ কাজ করতো। ওর কাছে ছোট হব, ওর কাছে নিজের ভুল স্বীকার করব, মাফ চাইব, এটা ভাবতেই পারতাম না। উল্টো বড় গলা করে বলতাম, “ডিভোর্স দাও! তোমার মতো লোকের সাথে কে সংসার করে?”
নাহ, ডিভোর্স আমি কখনোই মন থেকে চাই নি। ওটা ছিল মুখের কথা।
ওর সামনে ছোট হওয়ার চাইতে ডিভোর্স চাওয়াই আমার কাছে সঠিক মনে হতো।

একদিনের কথা এখনও মনে পড়ে। সেদিন ছোট একটা ব্যাপার নিয়ে তর্ক করতে করতে দুজনেই খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েছি। রাগে আমার শরীর কাঁপছে। যা মুখে আসছে তাই বলছি। তুই-তোকারি, গালিগালাজ, অপমান কিচ্ছু বাদ যায় নি। এক পর্যায়ে সহ্যের বাধ ভেঙে ও আমার গায়ে হাত তুললো!
এর আগে কিংবা পরে কখনোই ও আমার গায়ে হাত তুলে নি। কিন্তু ঐ একটা থাপ্পড়, ওটাই যথেষ্ট ছিল।
আমি বাপের বাড়ি চলে গেলাম। আর হ্যাঁ বরাবরের মতো এবারও নিজের দিকটা না বলে খালি ওর দিকটাই বলে গেলাম। মানুষের দোষ দিয়ে আর কী লাভ! সবাইকে যা বলেছি, সেটার উপর ভিত্তি করেই তারা বিচার করেছে। পরিবারের সবাই বললো, এমন ছেলের সাথে সংসার করার কোনো দরকার নাই। মামলা ঠুকে দাও।
আমি সবার পরামর্শে মামলা করলাম।
ওর নামে নারী নির্যাতনের কেইস করা হল। খুব দ্রুতই ওকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেল। ওর পরিবার থেকে মুরুব্বিরা এসে বার বার অনুরোধ করল, আমি যেন এই কেইস তুলে নিই।
ভেতরে ভেতরে আমিও চিন্তা করতাম, আচ্ছা, আমার স্বামী কি আসলেই জালেম? ও কি কোনদিন নিজে থেকে আমার গায়ে হাত তুলেছে? আমি যদি ওকে এত কথা না শোনাতাম, তাহলে কি ও আমার গায়ে সেদিন হাত তুলতো?
আমার বাবা মা আমাকে বুঝিয়েছিল, আমি যদি এতকিছুর পর ফিরে যাই, তাহলে ও ভাববে, আমি বুঝি অসহায়। আমাকে আরো পেয়ে বসবে। আমার উপর ইচ্ছামত ছড়ি ঘুরাবে। একবার গায়ে হাত তুলেছে মানে বার বার একই কাজ করবে। কাজেই নিজে থেকে ফিরে যাওয়ার তো প্রশ্নই আসে না।
কিন্তু আমার মনের ভেতর কে যেন চিৎকার করে বলতো, ও তো এমন লোক না। ও যেদিন আমার গায়ে হাত তুলেছিল, সেদিনই হাটু জোর হয়ে আমার কাছে মাফ চেয়েছে। এসব ভেবে ভেবে আমি মামলা তুলে নিলাম। তবে ওর কাছে ফেরত গেলাম না।
কিছুদিন পর দুই পরিবার থেকে বিচার-সালিশ হল। সবার কাছে ও দোষী প্রমাণিত হল। সবাই ওকে নানা কথা বোঝাল, উপদেশ দিল। তারপর আবার সংসার শুরু করলাম।
এর পরের কয়েক মাস ভালোই চলছিল, কিন্তু হুট করে আবার কী একটা নিয়ে আমাদের ঝগড়া বেধে গেল। ব্যস, কাপড়চোপড় গুছিয়ে আবার আমি বাপের বাড়ি গিয়ে উঠলাম। এর মধ্যে শুনলাম ও নাকি খুব অসুস্থ ! আমি বাসায় ফিরতে চাইলে আমার পরিবার বললো, এভাবে একটা ঝগড়ার পর একা একা ফিরলে সেটা ভালো দেখায় না। আর আমার বোনদের কথা ছিল, ওসব অসুস্থ-টসুস্থ কিছু না, সব বাহানা!

আমরা চাচ্ছিলাম ঐ পক্ষ থেকে কিছু আত্মীয়-স্বজন এসে ওর ভুল স্বীকার করে আমাকে হাতেপায়ে ধরে নিয়ে যাক। কিন্তু এবার কেউই আসলো না।
এরও কিছুদিন পর ও আমাকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিল। ডিভোর্স লেটার দেখে আমাদের পরিবারের সবাই খুব খেপে গেল। কতবড় সাহস, মেয়েকে এত কষ্টে রেখেছে, তার উপর ডিভোর্স লেটার পাঠায়। সবার কথায় আমার কাছেও মনে হলো, ঠিকই তো, কত বড় সাহস! আমাকে ডিভোর্স দিতে চায়? ওর সব ভুলগুলো চোখের উপর ভাসতে লাগলো।মা বাবা মনে করিয়ে দিলো, ও হলো সেই ছেলে যে কিনা আমার গায়েও হাত তুলেছে।
প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে জ্বলতে আমিও ঠিক করলাম, এবার ডিভোর্সই দেব। কে চায় এমন ফালতু লোকের সংসার করতে? কোর্টে গিয়েও ওকে হেনস্থা করার চেষ্টা করলাম। আমার মাসিক খরচ বাড়িয়ে একটা আকাশছোঁয়া অংক দাবি করলাম! আমি চাচ্ছিলাম ওর যেন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। যেন নিজে থেকে আমার কাছে এসে আবার সংসার করতে চায়। আসলে ডিভোর্স হোক আমি কখনোই চাই নি৷ কিন্তু জিদ আমাকে খেয়ে নিচ্ছিল। আগ বাড়িয়ে ওকে ডিভোর্স তুলে নিতে বলা আমার পক্ষে অসম্ভব! ওর কাছে ছোট হওয়া আমি মানতেই পারি নি।
কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার, ও আমার আকাশছোঁয়া সমস্ত দাবি মেনে নিলো। আমাদের ছেলেকে আমি পেয়ে গেলাম। ভরণপোষণ, মাসিক খরচ, ওর সম্পত্তি সব! বিনিময়ে ও পেলো শুধু ডিভোর্স।
আমাদের ডিভোর্স হয়েছে আজ সাড়ে তিন বছর।
ও আবারও বিয়ে করেছে। সুখেই আছে বোঝা যায়। আসলে ওর মতো নির্ঝঞ্ঝাট স্বামীকে নিয়ে মেয়েরা হয়তো সুখেই থাকবে।
এখন আমার নিজের কথা ভেবে আফসোস হয়। মানুষের মুখের কথা কখনো কখনো ছুরির চেয়েও ধারালো হতে পারে। ও আমাকে একবার থাপ্পড় মেরেছিল ঠিকই, কিন্তু আমি কথার তীরে ওকে ছিন্নবিছিন্ন করে ফেলতাম। শারীরিক নির্যাতন করি নি সত্যি, কিন্তু মানসিকভাবে কষ্ট দিতাম। এসব কথা আমার মা বাবাকে কখনোই বলা হয় নি। নিজের দোষের কথা মানুষ কতটাই বা বলে!
মাঝে মাঝে ভাবি, ইশ, আমার পরিবার যদি একটু নিজে থেকে বুঝে আমাকে সংসার করার উপদেশ দিতো। যখন আমি ওর কাছে ফিরে যেতে চাইতাম, তখন ওর খারাপটা না বলে যদি একটু ভালো দিকগুলোর কথা মনে করাতো! আমি যদি নিজের জিদ নিয়ে পড়ে না থেকে, একটু ওর কাছে নত হতাম! তাহলে হয়তো আজ আমাকে এই দিন দেখা লাগতো না।ডিভোর্সের আগে শ্বশুর বাড়ি জেলখানা মনে হতো,
ডিভোর্সের পরে এখন নিজের বাড়িই দোজখের মত লাগছে।

আজ আমার ভাইবোন বন্ধুবান্ধব সবার নিজেদের সংসার আছ কিন্তু ছোট্ট ভুলে সব শেষ হয়ে গেছে তাই দোয়া করি আর কারো সাথে যেন এমন না হয়।

·

Address

Vill: Khordosadhua. Post: Boroicara. Thana: Khoksa. District: Kushtia
Kushtia
7021

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ariful Islam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ariful Islam:

Videos

Share

Category

Nearby media companies