Alor Poth - আলো

Alor Poth - আলো Welcome to Alor Poth "The Peace of Islam" Main aim of this page is to spread islamic messages to all. In the Name of Almighty Allah. Our Services :

1. videos.

May the peace and blessings of Allah be upon on Holy Prophet Muhammad (SH) his family members, and his companions. Welcome to the official page of Alor Poth "The Peace of Islam". Objectives of this Page :

1. To spread the Da’wah Activities.
2. Preaching islam in online platform.
3. To educate the audience more about the
balanced approach of Islam.
4. To raise mass awareness about th

e
beauty of Islamic messages.
5. To spread The Peace of Islam. Bringing the word's scholars to you.
2. Publishing Islamic and social books.
3. Publishing Islamic photos, audios, and. Our Mission :

1. Protecting the faith of Muslims.
2. Propagating the true truth of Islam to Muslims and Non-Muslims.
3. Working for global peace, unity, love, and humanity. Jazak Allah Khayr ( جزاك اللهُ خيراً)

শুধু টাকা থাকার নাম রিজিক নয়....
30/08/2023

শুধু টাকা থাকার নাম রিজিক নয়....

29/08/2023

নবীজী বলেছেন "মজলুমের বদ দোয়া কে ভয় করো"



29/08/2023

ফেসবুকে স্ত্রীর ছবি তারাই আপলোড দেয়,যারা মনে করে বউটা শুধু নিজের না, গোটা দেশের সম্পদ।
⚠️ বেহায়া, নির্লজ্জ স্বামী।

06/08/2023

বাংলাদেশ নিয়ে কিছু কথা, ❤️‍🩹❤️‍🩹
মিজানুর রহমান আজহারী সমর্থক ✅
Mizanur Rahman Azhari ❤


#আলহামদুলিল্লাহ

09/07/2023

“ সবাই অনেকদিন বাঁচতে চায়, কিন্তু কেউই বুড়ো হতে চায় না॥ ”
—জোনাথন সুইফট।

যদি জিগ্যেশ করি— আজকের দিনে আল্লাহর কাছে কী কী চেয়েছেন?আমাদের অধিকাংশ-ই হয়তো বলবো— ‘ওরকম তো কিছু চাওয়া হয়নি। মসজিদে গিয়ে...
08/07/2023

যদি জিগ্যেশ করি— আজকের দিনে আল্লাহর কাছে কী কী চেয়েছেন?

আমাদের অধিকাংশ-ই হয়তো বলবো— ‘ওরকম তো কিছু চাওয়া হয়নি। মসজিদে গিয়েছি, সালাত আদায় করেছি, চলে এসেছি’।

কিন্তু যদি পুনরায় জিগ্যেশ করি— আপনার জীবনে কি আল্লাহর কাছে চাওয়ার মতো কোন উপলক্ষ নেই? কোন সমস্যা? কোন আবদার বা আহ্লাদ?

এই জিজ্ঞাসার জবাবে আমাদের উত্তর হবে— আল্লাহর কাছে চাওয়ার কি আর অভাব আছে? কোন জিনিসটা না চেয়ে পারা যায় যেখানে আমরা জানিই না আমাদের চাকরিটা আগামিকাল থাকবে কী না, আমাদের ব্যবসা আজ ভালো যাচ্ছে, আগামিকাল ভালো যাবে কী না, আমাদের সন্তান-সন্তনির ভালো থাকা, নিজেদের ভালো থাকা, সংসারে সুখ শান্তি, সময়ে বারাকাহ ইত্যাদি।

সত্যই তা-ই। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া'তায়ালা সত্যিই চান যে— প্রত্যেকটা বিষয়, একেবারে খুঁটিনাটি ধরে ধরে যেন আপনি আল্লাহর কাছে চান। আপনার বাজারে যাওয়া লাগবে, আগে আল্লাহর কাছে চান। তাঁকে বলেন— ইয়া আল্লাহ, বাজারে যাচ্ছি। আমি যেন ভালো খাবার কিনে আনতে পারি। রাস্তায় যদি কোন বিপদ থাকে, তা থেকে আমাকে হেফাযত করুন।

ক্লাশে যাচ্ছেন? আগে আল্লাহকে বলুন— আমার আল্লাহ, আমি ক্লাশে যাচ্ছি। আমাকে জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করুন। উপকারি জ্ঞান দান করুন। এমন জ্ঞান আমাকে দিবেন না যা আমাকে আপনার রাস্তা থেকে বিচ্যুত করে দেবে।

অফিস থেকে ফিরছেন? আল্লাহকে বলুন— মাবুদ, ক্লান্ত-শ্রান্ত দেহে ঘরে ফিরছি। কষ্ট করছি হালালভাবে বেঁচে থাকতে। সবকিছুই আপনার সন্তুষ্টির জন্যে। আপনি কবুল করে নিন। সহজ করে দিন।

প্রতিটা উপলক্ষকে সামনে রেখে তাঁকে ডাকুন, তাঁর কাছে চান। নিজের মতো করে আল্লাহর সাথে কথা বলুন। যদি এই অভ্যাসটা করতে পারেন, দেখবেন জীবনটা কতো সুন্দর, কতো সহজ আর আনন্দময় হয়ে উঠবে।

কী চমৎকারভাবেই না বলেছেন ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ। তিনি বলেছেন:

‘বান্দার কাছে কিছু চাইতে গেলে তারা রাগ করে। আর, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া'তায়ালা রাগ করেন যখন বান্দা আল্লাহর কাছে চায় না’।

চলুন না, আমরা আমাদের প্রয়োজনগুলো আল্লাহর সাথে ভাগাভাগি করি...

Coppied from Sakib Shaikat vai.💖💖

08/07/2023

শুরাইহ আল ক্বাদী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন:

‘যখন কোন বিপদে পড়ি, আমি চারবার আল্লাহর প্রশংসা করি।

প্রথম প্রশংসা এই কারণে যে— যে বিপদ আমার ওপর আপতিত হয়েছে তা এরচেয়েও বেশি করুণ হতে পারতো আমার জন্যে, কিন্তু আল্লাহর অপার অনুগ্রহে তা হয়নি।

দ্বিতীয় প্রশংসা এই কারণে যে— এই বিপদে ধৈর্য্য ধারণ করার তাওফিক তিনি আমাকে দান করেছেন।

তৃতীয় প্রশংসা করি, কারণ— বিপদে পড়ামাত্র আমি পড়তে পারি ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন’। অর্থাৎ— আমরা আল্লাহর এবং তাঁর কাছেই আমরা ফিরে যাবো।' বিপদে এটা পড়ার কারণে আল্লাহর কাছে আমি বিশেষ পুরস্কার লাভের আশা রাখতে পারি।

চতুর্থ প্রশংসা করি এই কারণে যে— যে বিপদ আমার ওপর আপতিত হয়েছে তা অন্তত আর যা-ই হোক আমার ঈমানকে হুমকির মুখে ফেলেনি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া'তায়ালা ইচ্ছা করলে আমাকে ঈমানের পরীক্ষাতেও ফেলতে পারতেন।

[ সিয়ারু আলামীন নুবালা। ৪/১০৫। ইমাম যাহাবী রাহিমাহুল্লাহ।]

© আরিফ আজাদ

27/06/2023
27/06/2023

এক রেষ্টুরেন্টে বহুবার দেখা গিয়েছে যে, এক ব্যক্তি (ভিক্ষুক) প্রায়ই আসে এবং ভিড়ের সুযোগ নিয়ে চুপচাপ খেয়ে বিল না দিয়েই চলে যায়।

একদিন রেষ্টুরেন্টে যখন সে (ভিক্ষুক) খাচ্ছিল তখন এক ব্যক্তি রেষ্টুরেন্টের মালিককে গিয়ে বলল, ঐ যে লোকটা খাচ্ছে সে ভিড়ের সুযোগ নিয়ে বিল না দিয়েই চলে যাবে।

তার কথা শুনে রেষ্টুরেন্টের মালিক হেসে বললেন, কেবল আপনিই নন, আরো অনেকেই ঐ লোকটার ব্যাপারে আমাকে অভিযোগ করেছে। তবুও আমি জেনে-শুনে, দেখেও না দেখার ভান করে কখনও তাকে বাধা দেইনি।

কারন, আমি মনে করি আমার রেষ্টুরেন্টে ভিড় এই লোকটার জন্যই হয়।

সে যখন ক্ষুধার্ত থাকে তখন আমার রেষ্টুরেন্টের আশেপাশেই অবস্থান করে এবং স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করে যেন আমার দোকানে ভিড় হয় এবং এই ভিড়ের সুযোগে সে খেতে পারে।

এজন্য অহংকার করতে নেই যে, আমি কাউকে খাওয়াচ্ছি, সাহায্য করছি বরং এটাও হতে পারে যে, আমিই কারো ভাগ্যে খাচ্ছি বা অন্য কারো উপকারের কারনে আমার আজকে এই রকম ভালো অবস্থা।

-সংগৃহীত-

27/06/2023

আরাফাতের দিনে দো‘আঃ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “শ্রেষ্ঠ দো‘আ হচ্ছে আরাফাত দিবসের দো‘আ। আর আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণ যা বলেছি তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হচ্ছে:

لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَی كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ

একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর; আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

 #সুবহানাল্লাহ    ইসলামিক পদ্ধতিতে গরু জবাইয়ের সময় গরু ব্যাথা অনুভব করে কি না এ নিয়ে একটা পরীক্ষা করা হয়েছিল।। গরুজবাইয়ে...
23/06/2023

#সুবহানাল্লাহ

ইসলামিক পদ্ধতিতে গরু জবাইয়ের সময় গরু ব্যাথা অনুভব করে কি না এ নিয়ে একটা পরীক্ষা করা হয়েছিল।। গরু
জবাইয়ের সময়ে EEG পরীক্ষা করে গরুর মস্তিষ্ক এবং ECG করে গরুর হার্ট দেখা হয়।

পরীক্ষায় দেখা যায়,
*জবাইয়ের প্রথম ৩সেকেন্ডে EEG গ্রাফে কোনো পরিবর্তন দেখা যায় না, অর্থাৎ গরু কোনো ব্যাথা পায় না।
*পরের ৩ সেকেন্ডের EEG রেকর্ডে দেখা যায়, গরু গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকার মতো অচেতন হয়ে থাকে,শরীর হতে প্রচুর রক্ত বের হয়ে যাওয়ায় ব্রেইনে রক্ত সরবরাহ হয় না বলে এই অচেতন অবস্থা হয়।
*এই প্রথম ৬ সেকেন্ড পরে EEG গ্রাফে Zero level দেখাচ্ছিলো, তার মানে গরু কোনো ব্যাথা পাচ্ছিলো না।
*গরুর যে খিচুনি আমরা দেখি সেটা Spinal cord এর একটি Reflex Reaction, এটা মোটেও ব্যাথার জন্য হয় না।

(এই পরীক্ষাটি করেন জার্মানির হ্যানোভার বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রফেসর শুলজ এবং ডক্টর হাজিম।)

সুবহানাল্লাহ।
আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীন এমন ভাবে সব কিছু সৃষ্টি করে দিয়েছেন, যা অত্যন্ত নিখুঁত। যারা ভাবেন যে পশু জবাইয়ের মাধ্যমে মুসলমানরা পশুকে কষ্ট দিচ্ছে তারা আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীনের এই রহমতের কথা জানতে পারলে সত্যিই অবাক হবে।

-সংগ্রহীত

যার যেখানে মরন লেখা থাকবে, তার সেখানেই মরন হবে। যাওয়ার মত সহজ ব্যাবস্থা না থাকলে প্রয়োজনে ২-৩ কোটি টাকা খরচ করে যাওয়ার ব...
22/06/2023

যার যেখানে মরন লেখা থাকবে, তার সেখানেই মরন হবে। যাওয়ার মত সহজ ব্যাবস্থা না থাকলে প্রয়োজনে ২-৩ কোটি টাকা খরচ করে যাওয়ার ব্যাবস্থা করে হলেও ভাগ্য সেখানে নিয়ে যাবে।

21/06/2023

বিশ্বনবী মুহাম্মদ সা. এর পিতা আব্দুল্লাহ, একদিন মক্কার বাজারে গিয়েছিলেন কিছু কেনা-কাটা করার জন্য I এক জায়গায় তিনি দেখলেন, এক লোক কিছু দাস- দাসী নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বিক্রি করছে I আব্দুল্লাহ দেখলেন সেখানে দাঁড়িয়ে আছে, একটা ছোট নয় বছরের কালো আফ্রিকান আবিসিনিয়ার মেয়ে I মেয়েটাকে দেখে আব্দুল্লাহর অনেক মায়া হলো, একটু রুগ্ন হালকা-পাতলা কিন্তু কেমন মায়াবী ও অসহায় দৃষ্টি দিয়ে তাঁকিয়ে আছে I
তিনি ভাবলেন ঘরে আমেনা একা থাকেন, মেয়েটা পাশে থাকলে তার একজন সঙ্গী হবে I এই ভেবে তিনি মেয়েটাকে কিনে নিলেন I মেয়েটিকে আব্দুল্লাহ ও আমেনা অনেক ভালোবাসতেন I স্নেহ করতেন I এবং তারা লক্ষ্য করলেন যে, তাদের সংসারে আগের চেয়েও বেশি রাহমাত ও বরকত চলে এসেছে I এই কারণে আব্দুল্লাহ ও আমেনা মেয়েটিকে আদর করে নাম দিলেন "বারাকাহ"I

এই গল্প, বারাকাহ'র গল্প

তারপর একদিন আব্দুল্লাহ, ব্যবসার কারণে সিরিয়া রওনা দিলেন I আমেনার সাথে সেটাই ছিল উনার শেষ বিদায়। উনার যাত্রার দুই এক দিন পর আমেনা একরাতে স্বপ্নে দেখলেন, আকাশের একটা তারা যেন খুব আলো করে তার কোলে এসে পড়লো। পরদিন ভোরে তিনি বারাকাকে এই স্বপ্নের কথা বললেন I উত্তরে বারাকা মৃদু হেসে বললেন, "আমার মন বলছে আপনার একটা সুন্দর সন্তানের জন্ম হবে"। আমেনা তখনও জানতেন না তিনি গর্ভ ধারণ করেছেন কিন্তু কিছুদিন পর তিনি বুঝতে পারলেন, বারাকার ধারণাই সত্যি I

আব্দুল্লাহ আর ফিরে আসেন নি, সিরিয়ার পথেই মৃত্যুবরণ করেছেন।‌আমেনার সেই বিরহ ও কষ্টের সময়ে, বারাকাহ ছিলেন একমাত্র সবচেয়ে কাছের সঙ্গী।

একসময় আমেনার অপেক্ষা শেষ হয় এবং তিনি জন্ম দিলেন আমাদের প্রিয় নবীকে I

শেখ উমার সুলাইমানের বর্ণনা অনুযায়ী, সর্বপ্রথম আমাদের নবীকে দেখার ও স্পর্শ করার সৌভাগ্য হয়েছিল যে মানুষটির, তিনি হলেন এই আফ্রিকান ক্রিতদাসী- ছোট কালো মেয়েটি। আমাদের নবীকে নিজ হাতে আমেনার কোলে তুলে দিয়েছিলেন। আনন্দে ও খুশিতে বলেছিলেন, "আমি কল্পনায় ভেবেছিলাম, সে হবে চাঁদের মত কিন্তু এখন দেখছি, সে যে চাঁদের চেয়েও সুন্দর "

এই সেই বারাকাহ I নবীজির জন্মের সময় উনার বয়স ছিল তের বছর I ছোটবেলায় শিশু নবীকে আমেনার সাথে যত্ন নিয়েছেন, গোসল দিয়েছেন, খাওয়াতে সাহায্য করেছেন, আদর করে ঘুম পাড়িয়েছেন। মৃত্যুর সময় আমেনা, বারাকার হাত ধরে অনুরোধ করেছিলেন তিনি যেন তাঁর সন্তানকে দেখে শুনে রাখেন। বারাকাহ তাই করেছিলেন। বাবা-মা দুজনকেই হারিয়ে, ইয়াতিম নবী চলে আসলেন দাদা আবদুল মোত্তালিবের ঘরেI

উত্তরাধিকার সূত্রে নবী হলেন বারাকার নতুন মনিব। কিন্তু তিনি একদিন বারাকাকে মুক্ত করে দিলেন, বললেন,
"আপনি যেখানে ইচ্ছে চলে যেতে পারেন, আপনি স্বাধীন"। সেই শিশুকাল থেকেই নবী এই ক্রীতদাস প্রথাকে দূর করতে চেয়েছিলেন। বারাকাহ নবীকে ছেড়ে যেতে রাজি হলেন না, রয়ে গেলেন I মায়ের ছায়া হয়ে পাশে থেকে গেলেন। এমনকি নবীজির দাদা উনাকে বিয়ে দেয়ার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তিনি কিছুতেই রাজি হলেন না I উনার একই কথা, "আমি আমেনাকে কথা দিয়েছি, আমি কোথাও যাবো না"।

তারপর একদিন খাদিজা (রাঃ) এর সাথে নবীজির বিয়ে হলো I বিয়ের দিন রসূল (স.) খাদিজা (রাঃ) এর সাথে বারাকাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন I তিনি বললেন, "উনি হলেন আমার মায়ের পর আরেক মা"।

বিয়ের পর রসূল (স.) একদিন বারাকাকে ডেকে বললেন,
"উম্মি ! আমাকে দেখাশুনা করার জন্য এখন খাদিজা আছেন, আপনাকে এখন বিয়ে করতেই হবে I" (নবীজি উনাকে উম্মি ডাকতেন, নাম ধরে ডাকতেন না ) তারপর রসূল (স.) ও খাদিজা মিলে উনাকে উবাইদ ইবনে জায়েদের সাথে বিয়ে দিয়ে দিলেন I কিছুদিন পর বারাকার নিজের একটা ছেলে হলো, নাম আইমান I এরপর থেকে বারাকার নতুন নাম হয়ে গেলো "উম্মে আইমান"I

একদিন বারাকার স্বামী উবাইদ মৃত্যু বরণ করেন, নবীজি গিয়ে আইমান ও বারাকাকে সাথে করে নিজের বাড়ি নিয়ে আসেন এবং সেখানেই থাকতে দিলেন। কিছুদিন যাওয়ার পর নবীজি একদিন বেশ কয়েকজন সাহাবীকে ডেকে বললেন, "আমি একজন নারীকে জানি, যার কোন সম্পদ নেই, বয়স্ক এবং সাথে একটা ইয়াতিম সন্তান আছে কিন্তু তিনি জান্নাতি, তোমাদের মধ্যে কেউ কি একজন জান্নাতি নারীকে বিয়ে করতে চাও?" এ কথা শুনে জায়েদ ইবনু হারিসা (রাঃ) নবীজির কাছে এসে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন I নবীজি উম্মু আইমানের সাথে কথা বলে বিয়ের আয়োজন করলেন I

বিয়ের দিন রসূল (স.) জায়েদকে বুকে জড়িয়ে আনন্দে ও ভালোবাসায়, ভেজা চোখে, কান্না জড়িত কণ্ঠে বললেন,
"তুমি কাকে বিয়ে করেছো জানো, জায়েদ ?" হাঁ, উম্মু আইমানকে I জায়েদের উত্তর I নবীজি বললেন, "না, তুমি বিয়ে করেছো, আমার মাকে "

সহাবীরা বলতেন, রসূল (স.) কে খাওয়া নিয়ে কখনো জোর করা যেত না I উনি সেটা পছন্দ করতেন না I কিন্তু উম্মু আইমান একমাত্র নারী, যিনি রসূল (স.) কে খাবার দিয়ে "খাও".." খাও".. বলে তাড়া দিতেন I আর খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত পাশে বসে থাকতেন I নবীজি মৃদু হেসে, চুপ চাপ খেয়ে নিতেন I

রসূল (স.) উনার দুধ মাতা হালিমাকে দেখলে যেমন করে নিজের গায়ের চাদর খুলে বিছিয়ে তার উপর হালিমাকে বসতে দিতেন, ঠিক তেমনি মদিনায় হিজরতের পর দীর্ঘ যাত্রা শেষে উম্মে আইমান যখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন, নবীজি (স.) উনার গায়ের চাদরের একটা অংশ পানিতে ভিজিয়ে, উম্মু আইমানের মুখের ঘাম ও ধুলোবালি নিজ হাতে মুছে দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, "উম্মি ! জান্নাতে আপনার এইরকম কোন কষ্ট হবে না"।

নবীজি মৃত্যুর আগে সাহাবীদেরকে অনেক কিছুই বলে গিয়েছিলেন I সেই সব কথার মধ্যে একটা ছিল, উম্মু আইমানের কথা। বলেছেন, "তোমরা উম্মু আইমানের যত্ন নেবে, তিনি আমার মায়ের মত I তিনিই একমাত্র নারী, যিনি আমাকে জন্ম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখেছেন I আমার পরিবারের একমাত্র সদস্য, যিনি সারাজীবন আমার পাশে ছিলেন I"

সাহাবীরা সেই কথা রেখেছিলেন I গায়ের রং নয়, এক সময়ের কোন ক্রিতদাসী নয়, তাঁর পরিচয়- তিনি যে নবীর আরেক মা I মায়ের মতোই তাঁরা এই বৃদ্ধা নারীকে ভালোবেসে আগলে রেখেছিলেন I

সূত্র:
১. ইবনে হিশাম ।
২. শেখ উমার সুলাইমান।
৩. Woman who cared forever
Collected.

19/06/2023

"আপনি যখন বিয়ে করবেন তখন যেমনটা আশা করেছিলেন আপনার স্বামী বা স্ত্রী তেমনটা হবে না। আর আল্লাহ চান এমনটি যেন না হয়। কেন? কারণ স্বামী-স্ত্রী উভয়কেই নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। বিবাহ একটি শিক্ষামূলক প্রক্রিয়া। আপনি এখানে শিখবেন কিভাবে একত্রে বসবাস করতে হয়।

কখনো কখনো আপনার পার্টনার সমস্যায় পড়তে পারে, আপনার তখন তাকে সাহায্য করতে হবে। কখনো কখনো সে হয়তো আপনাকে সাহায্য করবে না, আপনার সমালোচনা করবে, ঝগড়া হবে, বিভিন্নরকম সমস্যা দেখা দিবে। প্রতিটি সমস্যা আসবে আপনাকে পরীক্ষা করার জন্য, আপনাকে উন্নত করার জন্য। আপনি শিখবেন কিভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, কিভাবে দয়া দেখাতে হয়, কিভাবে প্রতিশোধ নেয়া থেকে বিরত থাকতে হয়, কিভাবে খোঁটা দেয়া থেকে বিরত থাকতে হয়। আপনার পার্টনারকে আপনার অনুগ্রহের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে যাবেন না।

কখনো কখনো আপনার পার্টনার হয়তো আপনাকে সাহায্য করবে না, কিন্তু তবু আপনার উচিত তাকে সাহায্য করা। এভাবে আপনি যখন সাহায্য করবেন তখন আপনি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে একজন দয়ালু মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। আর আমলনামায় যখন দয়ালু মানুষ হিসেবে আপনার নাম লেখা হবে, ক্বিয়ামতের দিন এই লেখা আপনাকে সাহায্য করবে।"

—ড. আকরাম নদভী

আপনার জীবনের সকল সমস্যা এবং সমস্যাগুলোর সাথে আপনার সম্পর্ক আসলে আপনার জন্য উত্তম। কারণ, এ সমস্যাগুলো আসে আপনার স্বতন্ত্র ব্যক্তিসত্তার উন্নতি কল্পে।

যদি নম্রতা দেখানোর পরিবেশ না পান, কিভাবে আপনি একজন বিনম্র মানুষ হবেন। যদি ধৈর্যের পরীক্ষা না দেন, কিভাবে আপনার ধৈর্য্যের কথা জানা যাবে। যদি এমন পরিস্থিতিতে না পড়েন যেখানে আপনাকে সহনশীলতা প্রদর্শন করতে হয়, তবে কিভাবে আপনার সহনশীলতার কথা জানা যাবে।

আপনার পরিবেশ পরিস্থিতি আল্লাহর দান। এগুলো নিয়ে অভিযোগ করা বন্ধ করুন। যে সময় এবং পরিবেশ আপনি পেয়েছেন এগুলো আল্লাহর দান। আপনি এগুলো পরিবর্তন করতে পারবেন না।

আপনার স্বামী/স্ত্রী, সন্তান, পিতা-মাতা, সমাজ, পাড়া-প্রতিবেশী সব আল্লাহর দান। এগুলো ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তি সত্তার উন্নতি সাধন করুন। এ বিষয়টা আপনার নিজের উপর নির্ভরশীল। কিছু জিনিস আল্লাহ প্রদান করেন আর কিছু কাজ আমাদের করতে হবে। আল্লাহ পরিবেশ এবং আমার জীবনে কিছু মানুষ দিয়েছেন। এখন, আমার কাজ হলো এগুলোর সদ্ব্যবহার করে নিজ চরিত্রের উন্নতি সাধন করা।

আপনাকে এই জীবন দেওয়া হয়েছে পরীক্ষা করার জন্য। এ পরীক্ষা যখন শেষ হয়ে যাবে, তখন আপনাকে মারা যেতে হবে। একটি ব্যক্তিসত্তা বিনির্মাণের জন্য আপনাকে এ জীবন দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে আপনাকে এ দুনিয়া ছেড়ে যেতে হবে। এ দুনিয়া আনন্দ ফুর্তির জন্য নয়। এটা শুধুই পরীক্ষা করার জন্য।

এ জন্য ইউসুফ (আ) যখন সকল পরীক্ষা সমাপ্ত করলেন তিনি বুঝতে পারলেন তিনি মারা যাবেন। সূরা ইউসুফ পড়লে দেখবেন সবার শেষে তিনি বলেন- হে আমার রব! আমাকে মুসলিম অবস্থায় মৃত্যু দান করুন।

কেন তিনি শুরুতে এ দোয়া করেননি? কারণ, তিনি দেখছেন তাঁকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাকে কূপে নিক্ষেপ করা হলো, কূপ থেকে বাঁচার পর ওই মহিলার বাড়িতে আরো বড় পরীক্ষার কবলে পড়লেন এরপর জেলখানায়। তিনি একটার পর আরেকটা পরীক্ষায় ক্রমাগত পড়তে থাকলেন। সমগ্র জীবন ছিল পরীক্ষায় পরিপূর্ণ। যখন সব পরীক্ষা শেষ হয়ে গেল এবং তিনি মিশরের শাসক হয়ে গেলেন তিনি বুঝতে পারলেন এখন আমাকে মারা যেতে হবে।

কারণ, বেঁচে থাকার কোনো প্রয়োজন এখন আর বর্তমান নেই। তাই, তাঁর শেষ বক্তব্য হলো তিনি মুসলিম হিসেবে মারা যেতে চান।

তাই, জেনে রাখুন, এই কুরআন শুধু একটি উদ্দেশ্যে এসেছে- আপনাকে সম্ভাব্য সর্বোত্তম ব্যক্তিতে পরিণত করার জন্য।

- ড. আকরাম নদভির আলোচনা অবলম্বনে।

02/06/2023

اَلْهٰىكُمُ التَّكَاثُرُۙ ﴿٢﴾

১। উচ্চারণঃ আলহা-কুমুত্তাকা-ছু র।
১। অনুবাদঃ প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে মোহাচ্ছন্ন রাখে।
حَتّٰى زُرْتُمُ الْمَقَابِرَؕ ﴿٢﴾
২। উচ্চারণঃ হাত্তা-ঝুরতুমুল মাকা-বির।
২। অনুবাদঃ যতক্ষণ না তোমরা কবরে উপনীত হও।
كَلَّا لَوْ تَعْلَمُوْنَ عِلْمَ الْیَقِیْنِؕ ﴿٥﴾
৫। উচ্চারণঃ কাল্লা-লাও তা‘লামূনা ‘ইলমাল ইয়াকীন।
৫। অনুবাদঃ সাবধান ! তোমাদের নিশ্চিত জ্ঞান থাকিলে অবশ্যই তোমরা মোহাচ্ছন্ন হইতে না।
لَتَرَوُنَّ الْجَحِیْمَۙ ﴿٦﴾
৬। উচ্চারণঃ লাতারাউন্নাল জাহীমা
৬। অনুবাদঃ তোমরা তো জাহান্নাম দেখিবেই।

সূরা তাকাসূর

02/06/2023

ভাইিটর কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনুন।

এই দুনিয়ার মায়াই পরে আমরা কত গোনাহ করি।
আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন 🤲

Address

Kushtia
7010

Telephone

+8801764741829

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Alor Poth - আলো posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Alor Poth - আলো:

Videos

Share