Barlekha Islamic Tv

Barlekha Islamic Tv নতুন নতুন ভিডিও পেতে আমাদের সাথে থাকুন, ধন্যবাদ।

আমি এই পেজের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার ওয়াজ মাহফিল কুরআন তেলাওয়াত সুরা কেরাত ইসলামিক গান গজল আমার নিজের মাহফিল আমার নিজের কন্ঠে গাওয়া গজল সহ নানার ধরনের ইসলামিক সচেতনতামূলক+গান নাচ হিন্দি গান ভারতি বাংলা গান স্টেজ সং অনুষ্ঠানের গান কলেজের গান স্কুলের অনুষ্ঠানের গান স্কুলের অনুষ্ঠানে ডান্স কলেজের অনুষ্ঠানের ডান্স আধুনিক গান ভাওয়াইয়া গান লোকগীতি রবীন্দ্র সংগীত নজরুল সংগীত শর্ট ভিডিও ফানি ভিডিও কমে

ডি ভিডিও পার্সোনাল ব্লক ব্লক টিক টক ভিডিও স্নেক ভিডিও রিল ভিডিও শর্ট ভিডিও যে সকল নিউজ তুলে ধরবে আপনার সামনে রাজনৈতিক খবর খেলার খবর সাংস্কৃতিক খবর দেশ ও জনপদের খবর কৃষি খবর সত্যি ঘটনা সকল প্রকার রাজনৈতিক অরাজনৈতিক খবর বিভিন্ন পোস্ট করে থাকি।

Barlekha Islamic Tv পেইজে লাইক দিয়ে পাশে থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে

কঙ্গোর বৃহত্তম শহর দখল বিদ্রোহী জোটেররয়টার্সমধ্য আফ্রিকার খনিজসমৃদ্ধ দেশ গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের পূর্বাঞ্চলের বৃ...
27/01/2025

কঙ্গোর বৃহত্তম শহর দখল বিদ্রোহী জোটের
রয়টার্স
মধ্য আফ্রিকার খনিজসমৃদ্ধ দেশ গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের পূর্বাঞ্চলের বৃহত্তম শহর, নর্থ কিভু প্রদেশের রাজধানী গোমা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি করেছে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের একটি জোট। সরকারি সেনাদের স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার ভোরের আগে রাত ৩টার মধ্যে আত্মসমর্পণেও নির্দেশ দিয়েছে তারা। পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহী এ জোটের ত্বরিত অগ্রগতির কারণে এরই মধ্যে ওই এলাকার লাখ লাখ মানুষ বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে, একইসাথে অঞ্চলজুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও বাড়ছে।
গোমা বিদ্রোহীদের দখলে গেছে কি না তা স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এ দাবি প্রসঙ্গে মন্তব্য চাইলেও কিনশাসা সরকারের মুখপাত্র এবং সেনাবাহিনীর কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়াও পায়নি তারা। কিনশাসা গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী। দেশটির পূর্বাঞ্চলে সাম্প্র্রতিক মাসগুলোতে তুমুল সক্রিয় বিদ্রোহী জোট কঙ্গো রিভার অ্যালায়েন্সে সশস্ত্র মার্চ ২৩ মুভমেন্টও (এম২৩) আছে।
প্রতিবেশী রুয়ান্ডা-সমর্থিত এ এম২৩ বিদ্রোহীরা চলতি মাসে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের দ্বন্দ্বমুখর পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে একের পর এক জায়গা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হয়। কয়েকদিন আগেই তারা নর্থ কিভুর রাজধানী গোমাতে হামলা শুরু করে। রোববার সন্ধ্যার মধ্যেই এম২৩ যোদ্ধারা শহরের কেন্দ্র থেকে ৯ কিলোমিটারের মতো দূরে প্রান্তস্থিত মুনিগিও পেরিয়ে যায় বলে তিনটি সূত্র রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে।
“গোমা এখন আমাদের হাতে,” বলেছেন বিদ্রোহী জোট কঙ্গো রিভার অ্যালায়েন্সের কর্নেই নাঙ্গা। বিদ্রোহীরা এর আগে শহরটিতে প্রবেশের প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়ে সরকারি বাহিনীকে রোববার রাতের মধ্যে নিরস্ত্র হয়ে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল। নাঙ্গা জানান, মধ্যস্থতার পর সেনা কর্মকর্তাদেরকে নৌকায় গোমা থেকে বুকাভু যাওয়ারও অনুমতি দিয়েছিল বিদ্রোহীরা।
“আমরা (কঙ্গোর বাহিনীগুলোকে) অস্ত্র নামিয়ে রাখতে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। ওই সময় এরই মধ্যে পার হয়ে গেছে, তাই এখন আমরা বলছি তারা তাদের সামরিক সরঞ্জাম জাতিসঙ্ঘ মিশনে জমা দিতে পারবে,” রয়টার্সকে এমনটাই বলেছেন এম২৩-’র মুখপাত্র উইলি এঙ্গোমা। রাত ৩টার আগে আগে আত্মসমর্পণকারী সরকারি সেনাদের শহরের মাঠগুলোতে জড়ো করা হবে, বলেছেন তিনি।
বিদ্রোহীদের আরেক মুখপাত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্টে বলেছেন, কিভু হ্রদে নৌচলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। শহরটির অনেক বাসিন্দা রাত নামার পর বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্ন গুলির শব্দ শোনার কথা জানিয়েছেন; তবে এ গোলাগুলি কিসের কিংবা যুদ্ধ এখনো চলছে কি না তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি। লোডশেডিংয়ের কারণে গোমার বেশিরভাগ অংশ এমনিতেই অন্ধকারে ডুবে আছে।
পরিস্থিতি নিয়ে রোববারই বৈঠক করেছে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে বিস্তৃৃত অঞ্চলজুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে এবং তাতে ভয়াবহ মানবিক সঙ্কটও দেখা দেবে বলেও আশঙ্কা করছে তারা। বিদ্রোহীদের এ অগ্রগতিতে রুয়ান্ডার পৃষ্ঠপোষকতার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। কিগালি (রুয়ান্ডার রাজধানী) অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করছে, তারা আর এম২৩-কে সহায়তা দিচ্ছে না।
জাতিসঙ্ঘে রুয়ান্ডার রাষ্ট্রদূত এর্নেস্ট রোয়ামুচিও বলেছেন, তার দেশ কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে ক্রমশ খারাপ হওয়া পরিস্থিতির জন্য কষ্ট পাচ্ছে। তবে এ পরিস্থিতির জন্য গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের সরকারই মূলত দায়ী, বলেছেন তিনি। “দেশটির সরকার যদি শান্তির বিষয়ে তাদের সত্যিকারের অঙ্গীকার দেখাতে পারতো, তাহলে হয়তো এখনকার এ সঙ্কট এড়ানো যেত,” বলেছেন রোয়ামুচিও।

কেন গুপ্তচর থ্রিলারগুলো আজকের বিশ্বে এত জনপ্রিয়সাকিবুল হাসানগুপ্তচর থ্রিলার শোগুলো দীর্ঘদিন ধরে টেলিভিশন দর্শকদের মন জয় ...
27/01/2025

কেন গুপ্তচর থ্রিলারগুলো আজকের বিশ্বে এত জনপ্রিয়
সাকিবুল হাসান
গুপ্তচর থ্রিলার শোগুলো দীর্ঘদিন ধরে টেলিভিশন দর্শকদের মন জয় করেছে। কিন্তু ২০২৫ সালের শুরুতে এ ধরনের সিরিজগুলোর জনপ্রিয়তা যেন আগের চেয়ে অনেক বেশি বেড়ে গেছে। আজকাল, নেটফ্লিক্স, অ্যাপল টিভি প্লাসসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে গুপ্তচর থ্রিলারের সংখ্যা বিপুলভাবে বাড়ছে। তবে, এর পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। বিশেষ করে, বর্তমান বিশ্বে যেখানে বিশ্বাসের অভাব, রাজনৈতিক অস্থিরতা, তথ্য বিভ্রান্তি এবং চক্রান্তের আবহ চলছে, সেখানে গুপ্তচর থ্রিলারগুলো মানুষের উদ্বেগ, কৌতূহল এবং নিরাপত্তাহীনতার সঠিক প্রতিফলন হয়ে উঠছে।
বিশ্বাসের অভাব এবং জটিলতা
আজকের পৃথিবী অনেক বেশি অস্থিতিশীল এবং অস্বচ্ছ। রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি, এবং জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি মানুষের আস্থা হ্রাস পাওয়ার কারণে, গুপ্তচর থ্রিলারগুলো এখন এমন এক স্থান হিসেবে দেখা যাচ্ছে যেখানে দর্শকরা সত্য এবং নৈতিকতার সহজ সমাধান খুঁজে পায়। যখন বিশ্বে সবকিছু অন্ধকার এবং সন্দেহপূর্ণ, তখন একটি গুপ্তচর থ্রিলার একটি সুরক্ষা বলয়ের মতো কাজ করে, যেখানে আমাদের পরিচিত চরিত্ররা খলনায়ক থেকে নায়ক হতে পারে এবং যেখানে চক্রান্তের রহস্য শেষ পর্যন্ত উন্মোচিত হয়।
গুপ্তচর থ্রিলারের আকর্ষণ এটাই যে, এসব সিরিজ সাধারণত কল্পনাপ্রসূত হলেও, তারা কিছুটা বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটায়। যেমন বিগত কয়েক বছর ধরে গোপন তথ্য ফাঁস, রাষ্ট্রীয় অপারেশন, সাইবার হামলা এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মতো বাস্তব পরিস্থিতি আমাদের জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিষয়গুলো গুপ্তচর থ্রিলার সিরিজগুলোর মাধ্যমে খুবই সঠিকভাবে এবং আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরা হচ্ছে।
খলনায়কদের নৈতিক দ্বন্দ্ব
গুপ্তচর থ্রিলারগুলোর একটি নতুন দিক হলো, সেখানে খলনায়কদের চরিত্র এখন আর একদম একপেশে নয়। যেমন কিলিং ইভ, ব্ল্যাক ডোভস এবং মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ এর মতো শোগুলোতে খলনায়করা শুধু নৈরাজ্য সৃষ্টি করে না, বরং তাদের মধ্যে মানবিক এবং নৈতিক দ্বন্দ্বও রয়েছে। এসব চরিত্র কখনও কখনও সোজাসুজি খলনায়ক হিসেবে দেখা যায় না, বরং দর্শকরা তাদের প্রতি সহানুভূতি বোধ করতে পারে, এমনকি তাদের কাজকর্মের পেছনে কোনো নির্দিষ্ট কারণ বা উদ্দেশ্য খুঁজে পায়। আজকের বিশ্বে যেখানে সঠিক এবং ভুলের সীমানা অস্পষ্ট হয়ে পড়েছে, সেখানে এই ধরনের চরিত্রগুলো দর্শকদের কাছে আরো বেশি বাস্তব মনে হয়।
গুপ্তচর থ্রিলার এবং বর্তমান উদ্বেগ
গুপ্তচর থ্রিলারগুলো বর্তমান বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়গুলিকে তুলে ধরছে। জলবায়ু পরিবর্তন, মানব পাচার, সাইবার নিরাপত্তা এবং সরকারের প্রতি মানুষের অবিশ্বাস্য এসব এখন খলনায়ক এবং নায়কদের গল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আজকের গুপ্তচর থ্রিলারগুলোর খলনায়করা সাধারণত রাষ্ট্রীয় অপারেশন বা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেন না, বরং তারা নতুন ধরনের সামাজিক বা পরিবেশগত হুমকির বিরুদ্ধে কাজ করেন, যেমন পৃথিবীর ভবিষ্যৎ, মানবাধিকার লঙ্ঘন, এবং এমনকি ক্ষমতার বাণিজ্যিকীকরণ।
এছাড়া, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার পরিবর্তে আজকাল অনেক গুপ্তচর শোতে প্রাইভেট এজেন্সি বা মাল্টিন্যাশনাল করপোরেশনগুলোকে দেখানো হয়, যাদের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা চলে এসেছে। ব্ল্যাক ডোভস এ যেমন দেখা যায়, চরিত্রগুলো গোপন এজেন্সির হয়ে কাজ করে, কিন্তু তারা জানে না তাদের আদর্শ এবং উদ্দেশ্য কী। এই ধরনের থ্রিলারগুলো বর্তমান সময়ের উদ্বেগ-বিশ্বায়ন, করপোরেট আধিপত্য এবং রাষ্ট্রীয় অবহেলা, এগুলোকে চমৎকারভাবে প্রতিফলিত করে।
গুপ্তচর থ্রিলারের আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি
গুপ্তচর থ্রিলারের সিরিজগুলো শুধুমাত্র গোপন অপারেশন এবং উত্তেজনাপূর্ণ প্লটের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর মাধ্যমে গল্পের একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে। কিছু শো যেমন কিলিং ইভ এবং মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ-এগুলো গোছানো, হাস্যরসাত্মক এবং কখনো কখনো স্বেচ্ছাচারিতার এক অদ্ভুত সংমিশ্রণ। এসব শো শুধু ধীরগতিতে বুদ্ধিমত্তার যুদ্ধ এবং কল্পনাশক্তির বিকাশ ঘটায় না, বরং তারা ভিন্ন ধরনের দর্শক শ্রেণির কাছে আবেদন সৃষ্টি করেছে।
এটা পরিষ্কার যে, গুপ্তচর থ্রিলার সিরিজগুলো শুধুমাত্র আনন্দ দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি হচ্ছে না, বরং এগুলো এমন এক বিশ্বে অবলম্বন করছে যেখানে সন্দেহ, বিশ্বাসের অভাব এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা আমাদের প্রতিদিনের জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে দর্শকরা একটি নিরাপদ, উত্তেজনাপূর্ণ এবং আকর্ষণীয় জায়গায় নিজেদের অনুভব করতে পারে, যেখানে তারা সমাধান পেতে পারে আজকের বিশ্বের জটিল সমস্যাগুলোর। তবে সমালোচকরা মনে করেন, আজকের পৃথিবীতে গুপ্তচর থ্রিলারের জনপ্রিয়তা শুধুমাত্র তাদের উত্তেজনা এবং রহস্যের কারণে নয়, বরং তাদের মাধ্যমে বর্তমান বিশ্বের যে সঙ্কট, সমস্যাগুলো ফুটে ওঠে, তা নিয়ে মানুষের আগ্রহ এবং কৌতূহল বাড়ছে। যেহেতু এসব সিরিজ আমাদের রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বাস্তবতার প্রতিফলন, তাই তারা দর্শকদের কাছে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের কানাডার ভিসা দ্রুত সময়ে চায় ঢাকাবাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়া...
27/01/2025

বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের কানাডার ভিসা দ্রুত সময়ে চায় ঢাকা

বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়াকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে করতে কানাডার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো: তৌহিদ হোসেন।
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা তৌহিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশে প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে তা উল্লেখ করেন। তাদের (রোহিঙ্গা) নিজদেশে টেকসই নিরাপদ প্রত্যাবাসনে কানাডার জোরালো সমর্থনসহ আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং ঢাকাস্থ কানাডার হাইকমিশনের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অজিত সিং বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় তাকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তারা কৃষি সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, আর্থিক খাত এবং রোহিঙ্গা সঙ্কটসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
হাইকমিশনার এসব উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেন এবং তা সমাধানে সর্বোচ্চ সহায়তার আশ্বাস দেন।
দুই শীর্ষ ব্যক্তি দু'দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, সক্ষমতা বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়ন, কারিগরি সহায়তা এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরো জোরদার করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হাইকমিশনারকে তার মেয়াদকালে বাংলাদেশ-কানাডা অংশীদারিত্ব জোরদারে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সূত্র : ইউএনবি

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের বারবার যে কারণে রাস্তায় নামতে হয়েছেঢাকার একাধিক সড়ক অবরোধ করে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে ...
27/01/2025

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের বারবার যে কারণে রাস্তায় নামতে হয়েছে

ঢাকার একাধিক সড়ক অবরোধ করে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমে সরকারকে কয়েক ঘণ্টার আলটিমেটামের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধিভুক্ত সাত কলেজ আলাদা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আপাতত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে পরিচালনার সুপারিশ করা হয়েছে।
এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে আবারো রাস্তায় নেমে আসার প্রেক্ষাপটে এখন নতুন করে প্রশ্ন উঠছে গত কয়েক বছর ধরে এসব কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত বিরতিতে রাস্তায় নামতে হচ্ছে কেন?
কারো কারো ধারণা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলোর বাইরের কিছু বিষয়ও মাঝে মধ্যে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নামার বিষয়ে ভূমিকা রেখেছে এবং এর কোনো কোনটির মধ্যে শিক্ষকদের ইন্ধনের অভিযোগও পাওয়া গেছে বিভিন্ন সময়ে। যদিও কলেজগুলোর শিক্ষকরা সবসময়ই এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন।
যদিও শিক্ষার্থীরা বলছেন, এসব কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি ছাড়াও বিভিন্ন সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজে এসে হেনস্থার শিকার হওয়া, রুটিন ও পরীক্ষা নিয়ে লেজেগোবরে অবস্থাসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান না হওয়াটাই তাদের বারবার রাস্তায় নেমে আসার কারণ।
‘অন্তত ৩৫টি দাবি করেছি বিভিন্ন সময়ে। কিন্তু কোনটিরই সমাধান হয়নি। কেউ দায়িত্ব নেয় না। ক্লাস রুটিন পর্যন্ত ঠিক মতো হয় না। এভাবে তো চলতে পারে না। এগুলো ঠিক হয় না বলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি উঠেছে এবং সেটাই সমাধান,’ বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন চলমান আন্দোলনের সংগঠকদের একজন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো: রবিন ইসলাম।
এবারের অচলাবস্থার সূচনার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক মামুন আহমেদের দুর্ব্যবহারকেই দায়ী করছেন ইসলাম।
রোববার সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে আহমেদের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি অসদাচরণ করেছেন বলে অভিযোগ করে আন্দোলন শুরু করে ওই শিক্ষার্থীরা। আহমেদ অবশ্য পরে তার ব্যবহারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
শিক্ষা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান বলছেন, সাত কলেজ পরিচালনায় যথাযথ মনোযোগ না দেয়ার পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতার ঘাটতির কারণেই বারবার সঙ্কট তৈরি হচ্ছে এবং এসব সঙ্কটের জের ধরেই নিয়মিত বিরতিতে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামছে বলে মনে করেন তিনি।
এসব বিষয়ে দুটি কলেজের কয়েকজন শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি। আর একটি কলেজের অধ্যক্ষ নাম না প্রকাশ করার অনুরোধ করে শুধু বলেছেন ‘স্বনামধন্য এই কলেজগুলোর সুনামের প্রতি সুবিচার করা হলে বারবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হতো না’।
যে প্রশ্নের কোনো উত্তর নেই
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৭ সালে সাতটি কলেজকে কেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়েছিল- সেই প্রশ্নের গ্রহণযোগ্য জবাব নেই কারো কাছেই।
বরং অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ গত নভেম্বরে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় বলেছিলেন যে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার সিদ্ধান্তটি ছিল অপরিণামদর্শী। অপরিকল্পিতভাবে অধিভুক্ত করার ফলে শুরু থেকেই কলেজগুলোতে নানা সমস্যা ও সঙ্কট লেগে রয়েছে’।
জনশ্রুতি আছে তখনকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক হারুন-অর-রশীদের মধ্যকার ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরেই তখন ওই সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেয়া হয়।
যদিও তখন আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
‘এই আট বছরেও সাতটি কলেজের পরিচালনায়, বিশেষ করে ভর্তি, পরীক্ষা, কলেজ পরিদর্শন, মূল্যায়নসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজের বিষয়ে সক্ষমতার পরিচয় দিতে পারেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,’ বলছিলেন তিতুমীর কলেজের একজন শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম।
এমনকি এই আট বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে অধিভুক্ত কলেজগুলোর জন্য আলাদা কোনো সেল বা ডেস্ক খুলতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এমনকি প্রশাসনিক ভবনে আলাদা কোনো শাখাও নেই যেখানে এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা গিয়ে দ্রুত সেবা পেতে পারে।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলছেন, ‘লোকবলের ঘাটতি তো আছেই, তবে এর চেয়ে বড় সঙ্কট হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দায়িত্ব নিয়েও এসব কলেজগুলোর দিকে যথাযথ মনোযোগ দেয়নি বলেই দিনে দিনে সঙ্কট বেড়েছে’।
শিক্ষার্থীরা রাস্তায় কেন
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলছেন, নব্বইয়ের দশকের শুরুতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলে যায়। এরপর প্রায় দুই দশক ঢাবি কলেজ পরিচালনা কার্যক্রমের বাইরে থাকায় এ ধরনের কাজের সক্ষমতাও হারিয়ে গেছে।
‘ফলে হুট করে সাত কলেজকে নিয়ে আসার পর দেখা গেলো ঢাবির লোকবল ও সক্ষমতা নেই। যে কারণে শিক্ষার্থীরা দেখছে তাদের সাত কলেজ অন্য কলেজগুলোর চেয়ে পিছিয়ে পড়ছে। এসব কারণেই ক্ষোভের জন্ম হয়েছে,’ বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।
এই সাতটি কলেজ হলো- ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।
এর মধ্যে কয়েকটি কলেজে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়েও পড়াশোনা হয়। আবার এসব কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হলেও এর শিক্ষক নিয়োগ হয় বিসিএস (সাধারণ) শিক্ষা ক্যাডার থেকে।
শিক্ষার্থীদের সংগঠকদের একজন রবিন ইসলাম বলছেন, কলেজের কোনো কাজই যথাসময়ে ও ঠিকমতো হয় না ঢাবি কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালি কারণে।
‘আমরা বার বার দাবি জানাই। কিন্তু সমাধান নেই। উল্টো আমাদের শিক্ষার্থীদের অসম্মান করা হয়। কিন্তু আমাদের তো প্রশাসনিক কাজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই যেতে হচ্ছে,’ বলছিলেন তিনি।
আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ হলো এসব কলেজের ব্যস্ততার কারণে তাদের অনেক শিক্ষক যথাসময়ে ক্লাস ও পরীক্ষা নেন না। এসব কারণে ২০১৯ সালের জুলাই অধিভুক্ত সাতটি কলেজের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবি করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এরপরে কয়েক দফা নানা ইস্যুতে ওই সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় এসে নানা কর্মসূচি বিভিন্ন সময়ে পালন করেছিল।
তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অক্টোবর আসে তারা আবার রাস্তায় নেমে আসে। তখন স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের এই দাবিকে কেন্দ্র করে কয়েক সপ্তাহ ধরে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন বাদে প্রায় প্রতিদিন সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন মোড়ে জড়ো হচ্ছিল সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
পরে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ একটি সিদ্ধান্ত নেয় যে এই সাতটি সরকারি কলেজ দেখভালের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই পুরোপুরি আলাদা একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে আলাদা রেজিস্ট্রারসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকবেন। তবে এ কলেজগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তই থাকবে।
এরপর নভেম্বরে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে নভেম্বরে ঢাকায় সড়ক অবরোধ শুরু করলে এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল বিভিন্ন মহলে। পরে সড়ক অবরোধ বন্ধ করে তারা নিজেরাই কলেজের ফটকে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় লেখা ব্যানার টানিয়ে দেয়।
এর মধ্যেই রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে প্রো-ভিসির দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছে দাবি করে নতুন করে আবার আন্দোলন শুরু হলো, যেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সাত কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সম্পর্ক চার ঘণ্টার মধ্যে বাতিল করে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রণয়নের দাবি জানানো হয়েছে।
অবশ্য এর মধ্যে সাত কলেজের সমস্যা সমাধানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত ১৩ সদস্যের কমিটি যে প্রতিবেদন তৈরি করেছিল সেটি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয় হলেও যেসব প্রশ্ন আসবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এই কলেজগুলো স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের যে দাবি করছে তা পূরণ হলে যেসব কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক আছে তাদের কী হবে সে বিষয়েও সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা করার সিদ্ধান্ত হলেও এসব কলেজ কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে তা পরিষ্কার নয়। আপাতত শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে পরিচালনার সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু সেটা কিভাবে করা হবে, কারা সনদ দেবে, সেসব বিষয় এখনো পরিষ্কার হয়নি।
সূত্র : বিবিসি

সিরাজদিখানে নিখোঁজের ৭ দিনেও সন্ধান মেলেনি স্কুলছাত্র রোমানেরসিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতামুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ন...
27/01/2025

সিরাজদিখানে নিখোঁজের ৭ দিনেও সন্ধান মেলেনি স্কুলছাত্র রোমানের
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) সংবাদদাতা
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে নিখোঁজ হওয়ার ৭ দিনেও স্কুলছাত্র রোমান শেখের (১৫) সন্ধান পাওয়া যায়নি। সংসারের অভাব-অনটনের কারণে পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতো রোমান। গত ২১ জানুয়ারি থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছে।

নিখোঁজ রোমান জেলার সিরাজদিখান উপজেলার থৈরগাঁও গ্রামের মিরাজ শেখের ছেলে। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট সে। এ অবস্থায় তার পরিবারের দিন কাটছে দুশ্চিন্তায়।
এদিকে গত শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সিরাজদীখান থানায় মামলা করেছেন স্কুলছাত্রের বাবা মিরাজ শেখ। পরদিন রোববার পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে।

বাবা মিরাজ শেখ জানান, পাশের শ্রীনগর উপজেলার বেলতলী উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে এ বছরের ২১ জানুয়ারি সকালে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয় তার ছেলে। একই দিন দুপুরে অটোরিকশা নিয়ে বের হয় রোমান। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাননি।
রোমানের বোন মিতু শেখ বলেন, নিখোঁজের দিন সকালে আমার ভাই স্কুলে ভর্তি হয়েছিল। ওই দিন দুপুরে বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়। ভাইকে খুঁজে না পেয়ে আমার মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মিন্টু বলেন, অভাবের সংসারে বাবাকে সহযোগিতা করার জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি অটোরিকশা চালাতো রোমান। ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় কান্না করছে তার মা-বাবা।
বেলতলী উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ সাঈদুল কাজী বলেন, রোমানের বাবা পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। অভাবের কারণে সংসারে স্বচ্ছলতার আশায় পড়াশোনার পাশাপাশি নিজে অটোরিকশা চালাতো রোমান। এ নিয়ে আমরা শিক্ষকরাও চিন্তিত আছি।
সিরাজদীখান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইউল ইসলাম জানান, গত শনিবার দিনগত রাতে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের বাবা অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। পরদিন রোববার পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে আটক দু’জনের পরিচয় জানানো যাচ্ছে না।
সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) আ ন ম ইমরান খান জানান, এ ঘটনায় দু’জন আটক আছে। ছেলেটির সন্ধানে পুলিশ কাজ করছে।

৪৪তম বিসিএসে ৯০০ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষার সূচি প্রকাশপেশাগত উভয় ক্যাডারের ৯০০ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ ক...
27/01/2025

৪৪তম বিসিএসে ৯০০ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষার সূচি প্রকাশ

পেশাগত উভয় ক্যাডারের ৯০০ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ পরীক্ষা আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আগারগাঁওয়ের শেরেবাংলা নগরে সরকারি কর্ম কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এ পরীক্ষা নেয়া হবে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) পিএসসির ক্যাডার শাখার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাসুমা জাফরীনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ৪৪তম বিসিএসের জন্য নির্ধারিত অনলাইন ফরম কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে সংগ্রহ করা যাবে। কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত অনলাইন ফরম প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ মৌখিক পরীক্ষার দিন সংশ্লিষ্ট মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে ৩০ মিনিট আগে জমা দিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সব সনদ ও কাগজপত্রসহ বিপিএসসি ফরম-১ মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে জমা দিতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে এবং তিনি মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৪৪তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে এক হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০, আনসার ক্যাডারে ১৪, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০, কর ক্যাডারে ১১, সমবায়ে আটজন, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে সাতজন, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩, বাণিজ্যে ছয়জন, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭, খাদ্যে তিনজন, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ এবং শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন নেয়া হবে।

গাছে আটকেপড়া বিড়ালকে উদ্ধার করল ফায়ার সার্ভিসবাগাতিপাড়া (নাটোর) সংবাদদাতানাটোরের বাগাতিপাড়ায় গাছে আটকেপড়া একটি বিড়ালকে প...
27/01/2025

গাছে আটকেপড়া বিড়ালকে উদ্ধার করল ফায়ার সার্ভিস
বাগাতিপাড়া (নাটোর) সংবাদদাতা
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় গাছে আটকেপড়া একটি বিড়ালকে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার পল্লী উন্নয়ন কার্যালয়ের সামনের একটি মেহগনি গাছের মগডাল থেকে বিড়ালটিকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের বিড়াল উদ্ধারের খবরে তা দেখতে আশেপাশের প্রায় শতাধিক উৎসুক মানুষ ভিড় জমায়।
স্থানীয়রা জানান, গত রোববার সকালে একটি কুকুরের তাড়ায় ভয়ে ওই বিড়ালটি গাছের মাথায় উঠে পড়ে। এরপর আর বিড়ালটি সেখান থেকে নামতে পারেনি। পরে উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা গৌতম কুমার দয়ারামপুর ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি জানান। এরপর ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম সেখানে এসে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় বিড়ালটিকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা গৌতম কুমার বলেন, ‘শীত ও কুয়াশায় বিড়ালটির কষ্ট হচ্ছে ভেবে তিনি ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর দেয়ার পরে দ্রততম সময়ে বিড়ালটিকে উদ্ধার করায় দয়ারামপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীদের তিনি ধন্যবাদ জানান।’
দয়ারামপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার ফজলুর রহমান বলেন, ‘প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় গাছে আটকেপড়া বিড়ালটিকে জীবিত ও সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।’

আ’লীগ নেতা, পুলিশসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিগত জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন...
27/01/2025

আ’লীগ নেতা, পুলিশসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

গত জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর আলোচিত-সমালোচিত সকল গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার শুনানি শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানান ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
তবে, কৌশলগত কারণে এই আটজনের কারো নাম এখনই প্রকাশ করতে রাজি হননি তিনি।
তিনি বলেন, ‘আজ আটজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ছয়জন হচ্ছেন উচ্চ ও মধ্য পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা। তারা বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত আছেন। বাকি দু’জন হচ্ছেন আওয়ামী লীগের তদানীন্তন প্রভাবশালী নেতা তবে তাদের নাম-পরিচয় বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাচ্ছি না।’
তিনি আরো বলেন, 'আজকে যাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ঢাকা শহরের সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর সব হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ততা পেয়েছে তদন্ত সংস্থা এবং এর পরই তাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়েছে।’
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের গ্রেফতারপূর্বক ট্রাইব্যুনালে হাজির করলে দ্রুতই এ বিষয়ে সবিস্তারে জানানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সূত্র : বাসস

‘বাবা বেঁচে নেই, তাই আমাকে আর কেউ চিপস, চকলেট কেনার টাকা দেয় না’ শহীদ জসিমের ছেলে সিয়ামষোল বছরের কিশোর মো: সিয়াম। এখনো ছ...
27/01/2025

‘বাবা বেঁচে নেই, তাই আমাকে আর কেউ চিপস, চকলেট কেনার টাকা দেয় না’ শহীদ জসিমের ছেলে সিয়াম

ষোল বছরের কিশোর মো: সিয়াম। এখনো ছেলে বেলার দুষ্টমি যায়নি তার। এ বয়সে বিদ্যালয়ের সহপাঠী ও বন্ধুদের সাথে খেলার মাঠে থাকার কথা। কিন্তু তাকে হাল ধরতে হয়েছে পুরো একটি পরিবারের।
ছোটবেলা থেকেই চঞ্চল সিয়াম কখনো কী ভেবেছে এ বয়সেই সংসারের খরচ যোগাতে বাবার ব্যবসার হাল ধরতে হবে তাকে? কিন্তু বাস্তবতা হলো তাকে তাই করতে হচ্ছে।
ভোলা শহরে ছাতা মেরামতের কাজ করা ছাত্র আন্দোলনে নিহত মো: জসিম উদ্দিনের (৫৫) একমাত্র ছেলে মো: সিয়ামের এমন দুঃখ দুর্দশার কথা এখন সবারই জানা। গত ৪ আগস্ট ভোলার নতুন বাজারে পুলিশ ও ছাত্র-জনতার সাথে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন জসিম।
তিনি ভোলা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর নবীপুর এলাকার মরহুম আবু কালাম খলিফার ছেলে। তার এক ছেলে দুই মেয়ে। বড় ছেলে সিয়াম ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদরাসায় ১০ম শ্রেণিতে পড়ে। ১৩ বছর বয়সী বড় মেয়ে মিম একই মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণি ও আট বছর বয়সী ছোট মেয়ে মুনতাহা তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
জসিম উদ্দিন ভোলা শহরের নতুন বাজার ফুটপাতে ছাতা মেরামতের কাজ করে পরিবার চালাতেন। বাবা মারা যাওয়ায় ওই দোকানে কাজ করে সংসারের খরচ জোগান একমাত্র ছেলে সিয়াম।
জেলা সদর ভোলার নতুন বাজারে শহীদ জসিম উদ্দিনের দোকানে গিয়ে দেখা যায় ছেলে সিয়াম ছাতা মেরামত করছেন। এ সময় তার সাথে কথা বললে সে জানায়, তাদের সংসার চালানোর আর কোনো উপায় নেই। তাই পড়ালেখার ফাঁকে বাবার রেখে যাওয়া দোকানে বসে কাজ করেন তিনি। এ দিয়ে যা আয় হয় তা দিয়েই মা ও দুই বোন নিয়ে চলে তাদের সংসার।
সিয়াম জানায়, বর্ষার সময় দোকানে কাজ থাকলেও এখন তেমন একটা কাজ নেই। তারপরও প্রতিদিন দোকান খুলে বসেন কিছু আয়ের আশায়। বাসায় বসে কী করবেন তাই কাজ না থাকলেও দোকানে আসেন, বসে থাকেন।
বাবার কথা জিজ্ঞেস করতেই চোখে পানি চলে আসে সিয়ামের। সিয়াম জানান, বাবার দোকান থাকা সত্ত্বেও সে কখনো এ কাজ করেনি। বাবা মারা যাওয়ায় সংসারের খরচ জোগাতে এখন সে বাধ্য হচ্ছে।
সিয়াম বলেন, ‘বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে কখনো চকলেট, চিপস কিম্বা কখনো ঝালমুড়ি কিনে খেতাম। আজ বাবা বেঁচে নেই। তাই এখন আমাকে আর কেউ চিপস, চকলেট কেনার টাকা দেয় না। বরং পড়ালেখার পাশাপাশি সংসার চালানোর খরচ এখন আমাকেই জোগাতে হয়।’
স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, গত ৪ আগস্ট সকাল থেকেই চারদিক থেকেই ভোল

পাটকেলঘাটার ঐতিহাসিক কর্মী সম্মেলনে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া উচিৎসংখ্যান...
27/01/2025

পাটকেলঘাটার ঐতিহাসিক কর্মী সম্মেলনে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া উচিৎ

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ২৭ জানুয়ারী সোমবার বিকেলে পাটকেলঘাটা ফুটবল মাঠে জেলা জামায়াত আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুবিধা তুলে ধরে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, এ পদ্ধতিতে যোগ্য প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়। যোগ্য সংসদ সদস্য পেতে এ পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই। এছাড়া ভোট কাটা ও কালো টাকার খেলাও বন্ধ হয় এ পদ্ধতিতে। এ পদ্ধতিতে ব্যক্তি প্রার্থী হয়না। কোন দল কত ভোট পেল তার ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে কোন দলের কত এমপি নির্বাচিত হবে।

27/01/2025

ভারতে বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ
-অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে এক বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২৫ জানুয়ারি নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন:-

“ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে এক বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণের পর নৃসংশভাবে হত্যার ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভারতে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা ভারত সরকারের দায়িত্ব। বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনার মাধ্যমে ভারতে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা বিধানে ভারত সরকারের চরম ব্যর্থতাই প্রমাণিত হলো। এমন মানবতাবিরোধী ঘটনা জাতিসংঘ সনদেরও পরিপন্থী। আমি আশা করি ভারত সরকার বাংলাদেশি তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করার ঘটনার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে ঐ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করবেন।

এ ঘটনার ব্যাপারে ভারত সরকারের নিকট কড়া প্রতিবাদ জানানোসহ প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

জামায়াতে ইসলামী একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়-অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারবাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেন...
27/01/2025

জামায়াতে ইসলামী একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়
-অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, জামায়াত বাংলাদেশে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তিনি বলেন, ২০২৫ সাল হবে বাংলাদেশের সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতি এবং ইকামতে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য টার্নিং পয়েন্ট। যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য জাতি আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে, সেই স্বপ্নের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য জামায়াতের নেতাকর্মীদের আরও অনেক পরিশ্রম করতে হবে। তা না হলে, নতুন কোনো নৈরাজ্য আবার দেশকে পিছিয়ে দেবে। আমরা এগিয়ে যাবো নাকি পিছিয়ে থাকবো সেই ফয়সালার বছর হচ্ছে ২০২৫ সাল।

তিনি শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ডামুড্যা হামিদিয়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে শরীয়তপুর জেলা জামায়াত আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পর থেকে আমেরিকার সাথে কোনো যোগাযোগ নেই : ইরানইরানের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক মজিদ তখ্ত-রাভানচি সোমবার ব...
27/01/2025

ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পর থেকে আমেরিকার সাথে কোনো যোগাযোগ নেই : ইরান

ইরানের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক মজিদ তখ্ত-রাভানচি সোমবার বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তনের পর থেকে ইরান ও আমেরিকা কোনো বার্তা আদান-প্রদান করেনি। তেহরান থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মজিদ তখ্ত-রাভানচি স্থানীয় আইএসএনএ সংবাদ সংস্থাকে বলেন, নতুন আমেরিকান প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহণের পর মাত্র কয়েক দিন হয়েছে এবং কোনো বার্তা আদান-প্রদান হয়নি।
ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে একটি ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেয়।
ওয়াশিংটনের প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত তেহরান চুক্তি মেনে চলেছিল। কিন্তু তারপর তার প্রতিশ্রুতিগুলো প্রত্যাহার করতে শুরু করে। ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
রাভানচি বলেন, ‘আমাদের শান্তভাবে এবং ধৈর্যের সাথে পরিকল্পনা করতে হবে। অন্য পক্ষের (ট্রাম্পের) নীতি ঘোষণা করা হলে আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করি।’
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেন, তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে সামরিক হামলা এড়াতে আশাবাদী। তিনি একটি চুক্তির আশা করছেন।
ইরান বারবার চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে এবং জুলাই মাসে দায়িত্ব গ্রহণকারী প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান তার দেশের বিচ্ছিন্নতা অবসানের আহ্বান জানান।
এই মাসের শুরুতে ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার আগে ইরানি কর্মকর্তারা ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির কর্মকর্তাদের সাথে পারমাণবিক আলোচনা করেছেন। সকল পক্ষই আলোচনাকে ‘স্পষ্ট ও গঠনমূলক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
রাভানচি বলেন, গত বছর জেনেভা ও নিউইয়র্কে দু’টি পূর্ববর্তী রাউন্ডের পরে এটি তৃতীয় দফার আলোচনা। তিনি ‘এক মাসের মধ্যে’ আরেকটি দফার আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করেন। তবে বলেছেন যে ‘তারিখ এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।’
সূত্র : এএফপি/বাসস

ঢাবির অধীনে থাকছে না সাত কলেজহারুন ইসলাম, ঢাবিঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধীনে ভর্তি বন্ধ হচ্ছে অধিভুক্ত সাত কলেজের। ২০...
27/01/2025

ঢাবির অধীনে থাকছে না সাত কলেজ
হারুন ইসলাম, ঢাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধীনে ভর্তি বন্ধ হচ্ছে অধিভুক্ত সাত কলেজের। ২০২৪-২৫ সেশন থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) ঢাবি প্রশাসনের সাথে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
এদিন দুপুরে ঢাবি ভিসির কার্যালয় সংলগ্ন সভাকক্ষে ঢাবি প্রশাসনের সাথে সাত কলেজের অধ্যক্ষদের জরুরি সভার পর দুপুর পৌনে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এ ঘোষণা দেন ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান।
ঢাবি ভিসি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ বিষয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় ইতোমধ্যে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ধৈর্যধারণ, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা সংক্রান্ত পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এক বছর এগিয়ে এনে এবছর থেকেই অর্থাৎ ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ভর্তি না নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সভায় জোর সুপারিশ করা হয়;
২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী আসন সংখ্যা ও ভর্তি ফি নির্ধারণসহ যাবতীয় বিষয়ে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে;
যেসব শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের অধীনে রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়িত্বশীল থাকবে, যাতে তাদের শিক্ষাজীবন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য সভা সকলকে ঐক্যবদ্ধ ও নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানায়।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাবির প্রো-ভিসি (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কলা অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ছিদ্দিকুর রহমান খান, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আব্দুস সালাম, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন রাশেদা ইরশাদ নাসির, প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ আব্দুলাহ আল মামুনসহ বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুন্সী শামস উদ্দীন আহমেদ, হিসাব পরিচালক সাইফুল ইসলাম, কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) আমজাদ হোসেন শিশির।

বিস্ফোরক মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গ্রেফতারচাটমোহর (পাবনা) সংবাদদাতাপাবনার চাটমোহরে বিস্ফোরক মামলায় জড়িত থাকার অভিয...
27/01/2025

বিস্ফোরক মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গ্রেফতার
চাটমোহর (পাবনা) সংবাদদাতা
পাবনার চাটমোহরে বিস্ফোরক মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি আব্দুল আলীমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে চাটমোহর পৌরসদরের কাজীপাড়া মহল্লা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করে জানান, গুনাইগাছা ইউনিয়নের একটি বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইমরান খান ও বুশরা বিবির দুর্নীতি মামলায় দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলপাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্...
27/01/2025

ইমরান খান ও বুশরা বিবির দুর্নীতি মামলায় দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল

পাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি দুর্নীতি মামলায় দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।
সোমবার তারা করেছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
ইমরান খানের আইনজীবী খালিদ ইউসুফ চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘আজ (সোমবার) আমরা আপিল দাখিল করেছি এবং আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এটি প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে, এরপর শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হবে।’
সূত্র : বাসস

Address

Boc Kesrigul Barlekha Maulovibazar
Kulaura
3252

Telephone

+8801722590059

Website

https://www.facebook.com/barlekhaislamictv/about_details

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Barlekha Islamic Tv posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Barlekha Islamic Tv:

Videos

Share

Category