06/12/2023
৯৯৯ ফোনে কেসিসির হস্তক্ষেপে নগরীতে পাঁচটি প্রাণ রক্ষা
স্টাফ রিপোর্টারঃ নগরীর হাজী মুহসিন সড়কে ৯৯৯ নাম্বারে কল পেয়ে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের হস্তক্ষেপে পাঁচটি ফুটফুটে তাজা প্রাণ রক্ষা পেয়েছেন। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে হাজী মুহসিন রোড জব্বার মোল্লার ১০তলাভবনে।
অভিযানী টিমের নেতা কেসিসির ভেটেরিনারি সার্জন ড. পেরু গোপাল বিশ্বাস জানান, ওই ভবনের সাততলার বাসিন্দা জনৈক শাহিনের মেয়ে একটি বিড়াল লালন পালন করে। পোষা মেয়ে বিড়ালটি তাদের বাসাই থাকে। ওই ভবনের নীচে টিন সেডে বসবাসকারী জেবা নামের একজন কলেজ পড়–য়া মেয়ে পুরুষ বিড়াল লালন পালন করেন। চিড়াচড়িত নিয়ম অনুযায়ী সাততলার মেয়ে বিড়ালটি নীচতলার পুরুষ বিড়ালের কাছে এসে প্রেম করে। এক পর্যায়ে মেয়ে বিড়ালটি অন্তঃসত্বা হয়। এতে করে মেয়ে বিড়ালের মালিক সাততলার বাসিন্দা নীচে এসে জেবাকে শাসিয়ে যায়। সে বলে যায়, তোমার বিড়াল আমার বিড়ালকে অন্তঃসত্বা করেছে। এর দায় দায়িত্ব তোমাকে বহন করতে হবে। জেবা বিষয়টি প্রথমে মেনে না নিলে পরে মেনে নেয়। সে মতে, মেয়ে বিড়ালটি জেবাদের ঘরেই থাকে। ক্ষুধা লাগলেই সে সাততলায় চলে যায়। খাওয়া দাওয়া শেষে যথারীতি সে নীচে এসে পুরুষ বিড়ালের সাথে সঙ্গ দেয়। এ ভাবে কিছু দিন পর ৩ ডিসেম্বর সে জেবাদের ঘরে পাচটি ফুটফুটে বাচ্ছা দেয়। এবার সাততলার মেয়েটি এসে বাচ্ছা দেয়ার পরের দিন পর মা বিড়ালটি নিতে আসে। এতে জেবা বাধা দেয়। তাকে বুঝায়ে বাসায় ফিরিয়ে দেয়। পরের দিন বিড়ালটি সাততলায় খেতে গেলে মেয়েটি মা বিড়ালটি আটকে দেয়। পরে তারা মা বিড়ালটি মর্ডাণ ফার্ণিচার নামক স্থানে ফেলে দিয়ে আসে। এদিকে বাচ্ছাগুলি মাকে না পেয়ে চিৎকার করতে থাকে। নিরুপায় হয়ে জেবা ৯৯৯ নাম্বার কল করেন। সেখান থেকে বিষয়টি দেখার জন্য জেলা প্রানী সম্পাদ কর্মকর্তা রঞ্জিতা চক্রবর্তী ও কেসিসির ভেটেরিনারি সার্জন ড. পেরু গোপাল বিশ্বাসকে দায়িত্ব দেয়া হয়। সে মতে, পেরু গোপাল বিশ্বাসের নেতৃরত্ব কেসিসির ৫/৬ জনের একটি টিম মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ওই বাড়িতে গিয়ে চেষ্টা করেন। এমন কি মা বিড়ালটি উদ্ধারের জন্য প্রাণী কল্যান আইন ২০১৯ ধারা মোতাবেক সাজা দেয়ার কথা বলে বিড়াল উদ্ধারে সয়ম বেধে দেয়া হয়। সে মতে, মা বিড়ালটি মঙ্গলবার সকাল ৬টায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে ভেটেরিনারি সার্জন নিশ্চিত করেছেন। মা বিড়ালটি উদ্ধারের মাধ্যমে পাঁটচি ফুটফুটে বাচ্ছা প্রাণে রক্ষা পেল বলে তিনি মন্তব্য করেন।