Gazi.khulna

Gazi.khulna Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Gazi.khulna, Newspaper, Khulna.

26/06/2024

খুলনার লবনচরা ছাসিবুলিয়া নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় সামসুর রহমান নামে এক বিদ্যা নিহত। ******************************************************************* গাজী খুলনা সংবাদপত্র ডেক্স রিপোর্টঃ খুলনার লবনচরা থানাধীন ছাসিবুলিয়া নামক স্থানে রূপসা ব্রিজের প্রধান সড়কটিতে ২৬ জুন বুধবার সকাল আনুমানিক ১০ টায় ইজিবাইক দুর্ঘটনায় লবনচরা সুইচগেট আল-আমিন সড়ক সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মোঃ সামছুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন বর্তমানে মরাদেহটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে রয়েছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করা আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান মারা গেছেন।*****************************************...
24/06/2024

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করা আলোচিত জল্লাদ শাহজাহান মারা গেছেন।
******************************************************************
গাজী খুলনা সংবাদপত্র ডেক্স রিপোর্টঃ বিভিন্ন মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৬০ আসামির ফাঁসি কার্যকর করা আলোচিত ‘জল্লাদ’ শাহজাহান ভূঁইয়া মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহির রাজিউন)।
২৪ জুন সোমবার ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ডিএমপির তেজগাঁও জোনের শের-ই-বাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মশিউর আজম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মশিউর আজম বলেন, ‘সাভারের হেমায়েতপুরের জাদুরচর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন শাহজাহান। রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে বুকে ব্যথা শুরু হলে তাকে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।’
জানা গেছে, সোমবার ভোর ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়। তার বোন ফিরোজা হাসপাতালে মরদেহ গ্রহণ করেন। আইনগত কার্যক্রম শেষে শাহজাহানের মরদেহ নরসিংদির পলাশ উপজেলার ইছাখালী গ্রামে দাফন করা হবে।
এর আগে ৩৬ মামলার আসামি জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া ৩২ বছর কারাভোগের পর গত বছরের ১৮ জুন মুক্তি পান। সাজার মেয়াদ কমানোর বাসনায় একের পর এক অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে কয়েদি থেকে জল্লাদ বনে যান শাহজাহান।

24/06/2024

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে:দুদক সচিব।
******************************************************************
গাজী খুলনা সংবাদপত্র ডেক্স রিপোর্টঃ নির্ধারিত সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) উপস্থিত না হওয়ায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার স্ত্রী-কন্যারাও যদি যথাসময়ে উপস্থিত না হন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন।

২৩ জুন রবিবার দুদক কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

দুদক সচিব বলেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তার বক্তব্য দেওয়ার জন্য আজ নির্ধারিত ছিল।

কিন্তু তিনি যথাসময়ে উপস্থিত হবেন কি না, সে বিষয়ে আমাদের কিছু জানাননি বা অবগত করেননি। আজ অফিস সময়ের মধ্যে কমিশনে উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্য না দিলে অনুসন্ধান টিম আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

তিনি আরো বলেন, আগামীকাল তার স্ত্রী ও কন্যাদের উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুসন্ধানকারী টিম নোটিশ দিয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারাও উপস্থিত না হলে তাদের বিষয়েও অনুসন্ধান টিম আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে অতিরিক্ত ১৬ দিন সময় দেওয়া হলেও তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হননি। এতে করে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারালেন সাবেক এই আইজিপি।

রবিবার (২৩ জুন) সকাল ১০টার মধ্যে দুদকের তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হওয়ার কথা ছিল বেনজীর আহমেদের। তবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তিনি দুদক কার্যালয়ে আসেননি।

দুদক সূত্র জানায়, মেয়াদ বাড়ানোর জন্য কোনো নতুন কোনো আবেদনও করেননি বেনজীর আহমেদ। এতে করে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হারিয়েছেন। গত ৬ জুন বেনজীর আহমেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৩ জুন সকালে তাকে দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।

23/06/2024

খুলনা মহানগরীর ৩১নং ওয়ার্ড দক্ষিণ লবণচরা আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র (এপিসি) মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে তড়িঘড়ি ভাবে অভিভাবকদের না জানিয়ে ছাত্রীদের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে নতুন করে ম্যানিজিং কমিটি গঠনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠছে।
বিস্তারিত আসছে জিএ টিভি পোরো চ্যানেল খুলনায়।

22/06/2024

বাংলাদেশের ৭০জেলায় রাসেলস ভাইপার.আতঙ্ক’ নয় প্রয়োজন সতর্কতা জরুরি।
******************************************************************
গাজী খুলনা সংবাদপত্র ডেক্স রিপোর্টঃ দেশের বিভিন্ন স্থানে রাসেলস ভাইপার সাপের উপস্থিতি এবং ছড়িয়ে পড়ার খবর উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। যা সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করছে। তবে সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে এ সাপের কামড়ে মৃত্যু হয় না বলে জানিয়েছেন প্রাণিবিদ্যা বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এই মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়ানোর চেয়ে সচেতনতা ও সতর্কতা জরুরি। পাশাপাশি হাসপাতালে সাপে কামড়ের ওষুধ ‘অ্যান্টিভেনম’ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে বলছেন তারা।
বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ করে গ্রামীণ ও কৃষিনির্ভর চর এলাকায় রাসেলস ভাইপার সাপের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। তবে সম্প্রতি এর উপস্থিতি বেশি চোখে পড়ছে। পদ্মা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন জেলায় এটি বেশি দেখা যাচ্ছে এবং মানুষকে দংশনের ঘটনাও ঘটছে। তাই এখন এই সাপ নিয়ে আলোচনা ও আতঙ্ক দুটিই ছড়াচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রকল্প ভেনম রিসার্চ সেন্টারের তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশের প্রায় ৭০টি জেলায় রাসেলস ভাইপার আছে।
দেশের চরাঞ্চল এবং নদীর তীরবর্তী লোকালয়ে রাসেলস ভাইপারের উপদ্রব বৃদ্ধি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও কৃষির উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে রাসেলস ভাইপার আতঙ্ক।

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও রাসেলস ভাইপার নিয়ে নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। রাসেলস ভাইপার কামড়ালেই ‘মৃত্যু নিশ্চিত’ বলে প্রচার করা হচ্ছে। ফলে এ নিয়ে আতঙ্ক দিন দিন বাড়ছে।

কিন্তু চিকিৎসক এবং প্রাণিবিদ্যা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা গেলে দেশে প্রচলিত অ্যান্টিভেনমের মাধ্যমেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে সুস্থ করা সম্ভব। তবে সতর্কতার বিকল্প নেই। তাই এ বিষয়ে দেশের সব অঞ্চলে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
একই সঙ্গে জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতেও অ্যান্টিভেনম টিকা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার বাংলাদেশে ‘চন্দ্রবোড়া’ বা ‘উলুবোড়া’ নামে বেশ পরিচিত। অনেকেই বলেন, রাসেলস ভাইপার সাপ ভারত থেকে ভেসে বাংলাদেশে এসেছে এবং এটি মাঝখানে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। যার দরুন তাকে রাখা হয়েছিল জাদুঘরে। তবে এ রকম কথার তেমন ভিত্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভারতীয় উপমহাদেশ তথা বাংলাদেশই হচ্ছে এই সাপের আদি বাসস্থান।

এছাড়া দেশের বেসরকারি সংস্থা ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশনও বলছে, দেশে রাসেলস ভাইপার থেকেও বিষধর সাপ রয়েছে। সবচেয়ে বিষধর সাপ হিসেবে রাসেলস ভাইপারের নাম প্রচার করা হলেও কেউটে সাপ রাসেলস ভাইপারের চেয়েও বেশি বিষাক্ত।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, রাসেলস ভাইপার (Russell's viper) (Daboia russelii) বা চন্দ্রবোড়া সাপ আমাদের উপমহাদেশে সর্বপ্রথম শনাক্ত করা হয় ১৭৯৭ সালে। জর্জ শ এবং ফ্রেডরিক পলিডোর নোডার ১৭৯৭ সালে চন্দ্রবোড়া সাপ নথিভুক্ত করেন।
এর আগে ১৭৯৬ সালে বিখ্যাত ‘প্যাট্রিক রাসেল’ তার বইয়ে ভারতীয় সাপদের বিষয়ে পরিচয় দিতে চন্দ্রবোড়া সাপের পরিচয় নথিভুক্ত করেছিলেন। যার জন্য পরবর্তী সময়ে তার নামের সম্মানেই চন্দ্রবোড়া সাপের নামকরণ রাসেলস ভাইপার (Russell’s viper) করা হয়।
ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শুভব্রত সরকার ঢাকা পোস্টকে জানান, ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশের অন্তত ১৭টি জেলায় রাসেলস ভাইপারের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। এর মধ্যে সমগ্র বরেন্দ্র অঞ্চল, গড়াই এবং পদ্মা তীরবর্তী অঞ্চলে বেশি অবস্থান ছিল রাসেলস ভাইপারের। এছাড়া সে সময় দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল এবং মানিকগঞ্জে রাসেলস ভাইপার সাপের উপস্থিতি দেখা যায়।

সাম্প্রতিক সময়ে এর আওতা আরও বেড়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, শরীয়তপুর, ঝিনাইদহ, রংপুর, নওগাঁ, মাদারীপুর, সাতক্ষীরা, রাজবাড়ী, ঢাকা, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, ভোলা, মুন্সীগঞ্জ, দিনাজপুর, নাটোর, চুয়াডাঙ্গা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় রাসেলস ভাইপার সাপের উপস্থিত দেখা গেছে।

শুভব্রত সরকার বলেন, রাসেলস ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) বহিরাগত কোনো সাপ নয়। আদিকাল থেকেই বাংলাদেশে পদ্মাবিধৌত অঞ্চলগুলোর ঘাসবন সমৃদ্ধ চরাঞ্চলে এর উপস্থিতি ছিল। বর্তমান সময়ে অধিক চাষাবাদের জন্য নির্বিচারে বৃক্ষ নিধন, বনভূমি ও চরের প্রাকৃতিক প্রাণী আবাস নষ্ট করা, গণহারে রাসেলস ভাইপার সাপের প্রাকৃতিক শিকারি প্রাণী যেমন- শিয়াল, বেজি, চিল, বাজ, খাটাশ, বনবিড়াল, পেঁচা হত্যার কারণে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। আর বাস্তুতান্ত্রিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণেই রাসেলস ভাইপার সাপের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাসেলস ভাইপার সাপ মেরে ফেলার মাধ্যমেই এর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা কোনো সঠিক সমাধান নয়। বাস্তুতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। শিয়াল, খাটাশ, বেজি, পেঁচাসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ ও প্রাণীর প্রাকৃতিক আবাস সংরক্ষণের মাধ্যমেই একমাত্র সঠিক উপায়ে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
বিভিন্ন গবেষণাপত্র এবং বইয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপারের বিষ একটি জটিল মিশ্রণ যা প্রোটিন, এনজাইম এবং অন্যান্য বায়োমলিকিউল নিয়ে গঠিত। এই বিষ অত্যন্ত বিষাক্ত এবং এটি মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি করতে পারে।

রাসেলস ভাইপার সাপের বিষের উপাদান ‘এনজাইম’ টিস্যুর মাধ্যমে দ্রুত বিস্তার নিশ্চিত করে। আরেক উপাদান ‘ফসফোলিপেজ’ সেল মেমব্রেন ধ্বংস করে এবং হেমোলাইসিস সৃষ্টি করে, যা রক্ত কোষের ক্ষতি করে। অন্য উপাদান ‘প্রোটিনেজ’ দেহের প্রোটিন ভেঙে ফেলে, যা টিস্যু ধ্বংস এবং রক্ত জমাট বাধার ক্ষমতা হ্রাস করে।

এছাড়াও রাসেলস ভাইপার সাপের বিষে থাকে ‘হেমোটক্সিন’। যা রক্তের জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। এটি রক্তজমাট বাঁধার ক্ষমতা নষ্ট করে এবং অভ্যন্তরীণ রক্তপাত সৃষ্টি করে। বিষে থাকা কিছু উপাদান কিডনিরও ক্ষতি করে। যা দংশনের পর থেকে সময় বাড়ার সাথে সাথে কিডনি ফেলিওরের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

রাসেলস ভাইপার সাপের বিষ রক্ত জমাট বাঁধার পথকেও ব্যাহত করে। ফলে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্ত জমাট বাঁধা কিংবা অতিরিক্ত রক্তপাতের সৃষ্টি করতে পারে। কিছুক্ষেত্রে স্বল্প মাত্রায় ‘নিউরোটক্সিন’ এর প্রভাবে আক্রান্ত ব্যক্তির স্নায়বিক সমস্যাও তৈরি হতে পারে।

এছাড়া মানবদেহে রাসেলস ভাইপার সাপের বিষের প্রভাবে আক্রান্ত ব্যক্তি সাপে কামড়ানোর জায়গায় তীব্র ব্যথা অনুভব করেন এবং সেই জায়গায় ফোলা দেখা যায়।

যেসব কারণে লোকালয়ে বিস্তৃতি বাড়াচ্ছে রাসেলস ভাইপার

গত কয়েক বছরে রাসেলস ভাইপার সাপ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া এবং লোকালয় কেন্দ্রিক হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে তার প্রাকৃতিক বাসস্থানের পরিবর্তনকে উল্লেখ করা হচ্ছে। আবার বনাঞ্চল ধ্বংস এবং কৃষি জমির সম্প্রসারণের ফলে সাপের প্রাকৃতিক বাসস্থান নষ্ট হচ্ছে। ফলে এটি জনবসতিপূর্ণ এলাকায় চলে আসছে।

আবার আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং ঋতু পরিবর্তনের কারণে সাপের আচরণে পরিবর্তন আসছে এবং তারা নতুন এলাকায় বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে। একই সঙ্গে খাদ্যের অভাবেও সাপ নতুন শিকার খুঁজতে এবং নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে মানুষের আবাসস্থলের কাছাকাছি চলে আসছে।

ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক কনজারভেশন ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ সমন্বয়ক সাহাদাত হোসেন বলেন, নাব্যতা সংকটে সৃষ্ট নতুন চর রাসেলস ভাইপার সাপের আদর্শ বাসস্থান। চর অঞ্চলে কৃষি সম্প্রসারণ হচ্ছে। এতে রাসেলস ভাইপারের পছন্দসই শিকার ইঁদুর কমে যাচ্ছে। ফলে এটি জায়গা পরিবর্তন করছে। আবার ধানক্ষেতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে রাসেলস ভাইপার পাওয়া যাচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে, এখন প্রয়োজনীয় খাদ্যের চাহিদা মেটাতে অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন করা হয়। এতে শস্যের প্রাচুর্যতার কারণে ইঁদুরের সংখ্যা সেখানে বেশি থাকে। রাসেলস ভাইপার সাপও ইঁদুরের লোভে ধানক্ষেতে অবস্থান নিচ্ছে।

সাহাদাত বলেন, রাসেলস ভাইপার সাপের মুখোমুখি হয়ে গেলে আপনি দেখার আগেই সাপ আপনাকে সতর্ক করবে। অধিকাংশ সময়ই প্রেশারকুকারের মতো খুব জোরে ‘হিস হিস’ শব্দ করে নিজের অবস্থান জানান দেয়। এমন অবস্থায় নিরাপদ দূরত্ব বজার রেখে সেই স্থান ত্যাগ করলে সংঘাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। সাপ মারতে গেলে বা একেবারে সাপের গায়ের কাছে চলে গেলে সাপ প্রতিরক্ষার জন্য কামড় দিতে পারে। আর দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাসেলস ভাইপার কামড় দিলে এক মুহূর্ত দেরি না করে অ্যান্টিভেনম সমৃদ্ধ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। যথা সময়ে চিকিৎসা নিশ্চিত না করতে পারলে অঙ্গহানি এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। তাই সাপের কামড়ে ওঝার কাছে নয় বরং সঠিক চিকিৎসার জন্য রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

রাসেলস ভাইপার দংশনে অ্যান্টিভনমে কাজ হয় না— এ তথ্য ভুল

সাম্প্রতিক সময়ে চাউর হয়েছে রাসেলস ভাইপার দংশন করলে অ্যান্টিভেনাম দিলেও রোগী মারা যায়। তবে এ বিষয়টি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন টক্সিকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ।

তিনি বলেন, বলা হয়ে থাকে রাসেলস ভাইপারের দংশনের শিকার বেশিরভাগ রোগীই মারা যান। অ্যান্টিভেনমে কাজ হয় না। এটি ভুল তথ্য। বরং বেশিরভাগ রোগীই সুস্থ হয়ে যান। এই উপমহাদেশে সাপের দংশনের ঐতিহ্যগত চিকিৎসা (ওঝা) প্রচলিত ছিল। আমার চিকিৎসার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, মানুষ সাপে কামড় দেওয়ার পর সর্বপ্রথম যায় ওঝার কাছে। পরে একেবারেই শেষ সময় আমাদের কাছে আসে। অথচ সময় হচ্ছে এখানে গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত সময়ে রোগীকে উপজেলা হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে আসা দরকার।

তিনি আরও বলেন, অ্যান্টিভেনাম অনেক পুরনো একটি ওষুধ। যার দ্বারা বিষধর সাপের কামড়ের চিকিৎসা করা হয়। আমরা মূলত, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অ্যান্টিভেনাম ব্যবহার করে থাকি। আমি আবারও বলছি এখানে সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসলে রাসেলস ভাইপারের বিষে অনেকগুলো জটিল উপাদান রয়েছে। দেরি করলেই এখানে সমস্যা তৈরি হয়। যথাযথ চিকিৎসা করলে বেশিরভাগ রোগীকেই বাঁচানো সম্ভব।

ডা. আবুল ফয়েজ আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আমার পাঁচশর বেশি রোগীকে অ্যান্টিভেনাম দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি আশ্বস্ত করতে চাই, এসব অ্যান্টিভেনামের কার্যকারিতা আছে। একই সঙ্গে আমি আরও আশ্বস্ত করতে চাই রাসেলস ভাইপারের চিকিৎসা আমাদের দেশে আছে এবং আমাদের চিকিৎসকরা তা করতে সক্ষম।

রাসেলস ভাইপার নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে

রাসেলস ভাইপার সাপ নিয়ে সচেতনতার চেয়ে আতঙ্ক বেশি ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রাণিবিদ আবু সাইদ। তিনি বলেন, সাপ নাম শুনলে ভয় পায় না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। অথচ সাপ হচ্ছে একটি নিরীহ প্রাণী। ছোবল দিতে পারে এমন ভয়েই সাপ দেখা মাত্র মানুষ মারতে উদ্যত হয়। পৃথিবীতে ৪ হাজার ৭৩ প্রজাতির সাপ আছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে এর মধ্যে মাত্র ২০ শতাংশ সাপ বিষধর। বাকি সবই নির্বিষ। আর বাংলাদেশে ২ প্রজাতির গোখরো, ৫ প্রজাতির কেউটে এবং ভাইপার প্রজাতির রাসেলস ভাইপারের কামড়ে মানুষের মৃত্যু হয়।

এই প্রাণিবিদ আরও বলেন, বাংলাদেশের ২০০২ সাল পর্যন্ত রাজশাহী, রংপুর, চট্টগ্রাম এবং খুলনা বিভাগের ১২টি জেলায় রাসেলস ভাইপারের বিস্তৃতি ছিল। পরবর্তীতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৫টি জেলায় এর বিস্তৃতি হয়েছে। সম্প্রতি মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ি এবং চাঁদপুরের রাসেলস ভাইপারের দংশনের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ সার্ভে অনুযায়ী, প্রতিবছর সাড়ে সাত হাজার মানুষ এবং আড়াইহাজার গবাদি পশু সাপের দংশনে মারা যাচ্ছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে মিডিয়ায় কোন প্রচার-প্রচারণা কিংবা উদ্বেগ ছিল না। এখন রাসেলস ভাইপারে কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ এবং আতঙ্ক বেশি ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে বুঝে না বুঝেই অনেক ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, রাসেলস ভাইপারের কোন অ্যান্টিভেনম নেই। অথচ এটি ভুল তথ্য।

18/06/2024

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে ২১ জুন দিল্লি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
*******************************************************************
গাজী খুলনা সংবাদপত্র ডেক্স রিপোর্টঃ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আগামী ২১ জুন দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর এটি হবে কোনো সরকারপ্রধানের ভারতে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর।

১৫ দিনেরও কম সময়ে ভারতের রাজধানীতে এটি শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর হতে চলেছে। গত ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনিও ছিলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে, এবারের সফরের মূল বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে আন্তঃসীমান্ত সংযোগ উদ্যোগ, তিস্তা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতীয় বিনিয়োগ, মোংলা বন্দরের ব্যবস্থাপনা এবং বিদ্যুৎ বাণিজ্য। এছাড়া একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি আলোচনারও প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

গত এক দশকে শক্তিশালী আঞ্চলিক অংশীদারত্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দুই দেশের মধ্যে অসংখ্য আন্তঃসীমান্ত উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, আগামী ২২ জুন অনুষ্ঠিতব্য হাসিনা-মোদি শীর্ষ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা অংশীদারত্ব বাড়ানোর বিষয়টিও উঠে আসতে পারে। ভারত প্রতিরক্ষা খাতে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলারের ঋণ দেয়ার প্রস্তাব দিলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট শুক্রবার (২১ জুন) দুপুর ২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবে।

ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করবে, যেখানে ভারতের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো: মুস্তাফিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন।

ওইদিন সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সাথে তার বাসস্থান হোটেল তাজ প্যালেসের সভাকক্ষে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।

শনিবার সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হবে। এ সময় তাকে গার্ড অব অনারও দেয়ার কথা রয়েছে।

এরপর তিনি রাজ ঘাটে গিয়ে ভারতীয় জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে হায়দরাবাদ হাউসে মোদির সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং এরপর প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। এসময় উভয়েই সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি স্বাক্ষর করবেন।

পরবর্তীতে সংবাদ বিবৃতি দেবেন দুই প্রধানমন্ত্রী। এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেবেন তারা।

শনিবার বিকেলে সচিবালয়ে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সাথে সাক্ষাৎ করবেন শেখ হাসিনা। সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি।

ওইদিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়ে রাত ৯টায় ঢাকায় অবতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সূত্র : ইউএনবি

17/06/2024

সাতক্ষীরার ইউপি চেয়ারম্যান মাওঃ আব্দুল গাফফার পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরবে মৃত্যু।
******************************************************************
গাজী খুলনা সংবাদপত্র ডেক্স রিপোর্টঃ পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরবে গিয়ে সাতক্ষীরার কুশখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল গফফার মারা গেছেন। গতকাল ১৬ জুন রবিবার বিকেলে আরাফার ময়দানে অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি।

মাওলানা আব্দুল গফফার সরদার (৭০) সাতক্ষীরা সদরের কুশখালি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ইউনিয়নের ভাদড়া গ্রামে মৃত আকবর আলী সরদারের ছেলে।

কুশখালি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম জানান, গত ২ জুন স্ত্রীকে নিয়ে পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে যান তিনি। সাথে তার চাচাতো ভাই কামরুল ইসলাম হজ পালনে গিয়েছিলেন। কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, রোববার (১৬ জুন) আব্দুল গফফার আরাফার ময়দানে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সেখানকার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি থানাতে কেউ অবহিত করেনি।

17/06/2024

ভারতের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বইয়ের পাঠ্যসূচি থেকে মুছে ফেলা হলো বাবরি মসজিদের নাম।
******************************************************************
গাজী খুলনা সংবাদপত্র ডেক্স ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি)'র দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বইয়ের পাঠ্যসূচি থেকে মুছে ফেলা হলো বাবরি মসজিদের নাম। এনসিইআরটি'র দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বইয়ে কিছু সংশোধন হচ্ছে বলে আগেই খবর ছিল। কিন্তু কী সংশোধন হচ্ছে, কতটা সংশোধন হচ্ছে, তা আগে জানা যায়নি।
নতুন সংস্করণ সামনে আসার পরই অযোধ্যার ইতিহাস সংশোধন করা হয়েছে বলে জানা গেল। আগে যেখানে চারটি পাতায় অযোধ্যার ইতিহাস লিপিবদ্ধ ছিল, বর্তমানে সেটিকে দুই পাতায় এনে ফেলেছে এনসিইআরটি। এনসিইআরটির পাঠ্যক্রম মেনে চলে সিবিএসই বোর্ড। আইসিএসই এবং আইএসই বোর্ডও কোনো কোনো ক্ষেত্রে এই পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে। স্বাভাবিকভাবে এমন ঘটনায় দেশব্যাপী শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।

জানা গেছে, গত সপ্তাহে বাজারে আসা এনসিইআরটি'র দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বইয়ের নতুন সংস্করণে মাত্র দুই পৃষ্ঠার মধ্যে যে ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে তাতে কোথাও বাবরি মসজিদের উল্লেখ নেই। বাবরি মসজিদকে বইতে ‘তিন গম্বুজ সম্বলিত নির্মাণ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, গুজরাতের সোমনাথ থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে যে রথযাত্রা বের করেছিল বিজেপি, তার কোনো উল্লেখ নেই বইয়ে। উল্লেখ নেই করসেবকদের তাণ্ডবের। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধে তাও সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে সেই সময় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া, কিছুই আর নেই বইয়ে।

আগের এনসিইআরটি’র রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বইয়ে উল্লেখ করা হয়েছিল বাবরি মসজিদকে ১৬ শতকে নির্মিত হয়েছে। বইয়ে লেখা ছিল মুঘল সম্রাট বাবরের সেনাপতি মীর বাকি সেটির নির্মাণ করেছিলেন। বইয়ের নতুন সংস্করণে বাবরি মসজিদের নামই উল্লেখ করা হয়নি এক জায়গাতেও। বরং লেখা হয়েছে, ১৫২৮ সালে শ্রী রামের জন্মস্থানে তিন গম্বুজ সম্বলিত একটি নির্মাণ গড়ে তোলা হয়েছিল, যেখানে হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন প্রতীকচিহ্ন দৃশ্যমান ছিল। কাঠামোর ভিতরে এবং বাইরে হিন্দু সৌধের ধ্বংসাবশেষ দেখা গিয়েছে। বইয়ের আগের সংস্করণের বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং সংঘর্ষের উল্লেখ ছিল। তবে নতুন সংস্করণে লেখা হয়েছে, 'অযোধ্যা নিয়ে বিজেপির আফসোসের অন্ত ছিল না।'

পুরনো সংস্করণে লেখা ছিল, ফৈজাবাদ আদালতের নির্দেশে ১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বাবরি মসজিদের তালা খুলে দেয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে গোলমাল দেখা দেয়। সোমনাথ থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত রথযাত্রা, সাম্প্রদায়িক অশান্তি, করসেবকদের উন্মাদনা, বাবরি মসজিদ ধ্বংস এবং দাঙ্গার উল্লেখ ছিল আগের সংস্করণে। নতুন সংস্করণে লেখা হয়েছে, 'অযোধ্যা নিয়ে আফসোসের অন্ত ছিল না বিজেপির।' ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে নতুন করে তর্ক-বিতর্কের প্রয়োজন রয়েছে বলে অযোধ্যা থেকেই ধারণা জন্মায় বলেও উল্লেখ রয়েছে বইয়ে।

নতুন সংস্করণে আরও লেখা হয়েছে, 'শ্রী রামের জন্মভূমিতে মন্দির ভেঙে তিন গম্বুজ সম্বলিত নির্মাণটি দাঁড় করানো হয় বলে বিশ্বাস জন্মায়। মন্দিরের শিলান্যাস হওয়ার পরও নির্মাণের কাজ এগোয়নি। ফলে হিন্দুদের মনে ধারণা জন্মায় যে রামজন্মভূমি নিয়ে তাদের আবেগকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে। অন্য দিকে, মুসলিমরা গোটা কাঠামোর উপর দখলদারি চেয়ে দাবি জানায়। সেই নিয়ে দুই তরফে উত্তেজনা বাড়ে। আইনি টানাপোড়েন শুরু হয়। দীর্ঘদিনের এই বিবাদের নিষ্পত্তি চেয়েছিল দুই পক্ষই। ১৯৯২ সালে কাঠামোটি ধ্বংসের পর সমালোচকদের একাংশের মনে হয়েছিল, ভারতীয় গণতন্ত্রের নৈতিকতাই ঝুঁকির সম্মুখীন'।
২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা বিবাদ নিয়ে যে রায় তার উল্লেখ রয়েছে নতুন সংস্করণে লেখা হয়েছে। শীর্ষ আদালতের রায়ের অংশটির নাম রাখা হয়েছে 'From Legal Proceedings to Amicable Acceptance'। ওই অংশে লেখা রয়েছে, '"বহুধর্ম এবং বহু সংস্কৃতি, গণতান্ত্রিক সমাজে এই ধরনের বিবাদের ক্ষেত্রে সাধারণত আইনি পথেই সমাধান বেরোয়। আদালত যেভাবে বিতর্কিত জায়গাটি রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের হাতে তুলে দেয় এবং সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে মসজিদ নির্মাণের জন্য অন্যত্র জায়গা বরাদ্দ করার নির্দেশ দেয়, তাতে ভারতীয় সংবিধানের সম্মানরক্ষা হয়েছে। আর এই সিদ্ধান্ত সমাজের অধিকাংশ মানুষ সাদরে গ্রহণ করেছেন। স্পর্শকাতর একটি বিষয়কে কী ভাবে দু’পক্ষের সম্মতিক্রমে গণতান্ত্রিকভাবে সমাধান করা যায়, তার ধ্রুপদী উদাহরণ হল অযোধ্যার রায়। ঐতিহাসিক রেকর্ড এবং প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের ভিত্তিতেই আদালত রায় দেয়" বলে দাবি করা হয়েছে বইয়ের নতুন সংস্করণে। যদিও আদালত জানিয়েছিল, মন্দির ভেঙে মসজিদ হয়েছে বলে কোনো যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এনসিইআরটি’র বইয়ের আগের সংস্করণে খবরের কাগজের প্রতিবেদনের ছবি ছিল, যাতে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের উল্লেখ ছিল। 'অযোধ্যা বিজেপির সবচেয়ে বড় ভুল' বলে অটলবিহারি বাজপেয়ীর মন্তব্যেরও উল্লেখ ছিল। সেগুলোর কিছুই আর নেই নতুন সংস্করণে।

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কল্যাণ সিংহবা। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের জন্য ১৯৯২ সালে তৎকালীন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংহের সরকারকে আদালতের ভর্ৎসনার কথা লেখা ছিল, তা বাদ দেয়া হয়েছে। ১৯৯৪ সালে কল্যাণ সিংহকে দোষী সাব্যস্ত করে সুপ্রিম কোর্ট, বাদ দেয়া হয়েছে সেই কথাও।

প্রসঙ্গত, ভেঙে ফেলা বাবরি মসজিদের স্থানে বর্তমানে রাম মন্দির নির্মিত হয়েছে। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে মন্দিরটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।

16/06/2024

ত্যাগের মহিমায় পবিত্র ঈদ-উল আযহা হোক সবার নিরাপদ ও আনন্দের। সাংবাদিক গাজী যুবায়ের আলমের পক্ষ থেকে দেশের ও বিদেশে সকল মুসলিম ভাই ও বন্ধুদের কে জানাই ঈদ মোবারক এর শুভেচ্ছা।

15/06/2024

খুলনা মহানগরীর ৩১ নং ওয়ার্ড লবনচরা এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক গাজী যুবায়ের আলমের শুভ জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন।

14/06/2024

ডুমুরিয়ার সাহস নোয়াকাটির বাসিন্দা মরহুম মোঃ জালাল উদ্দিন মোল্লার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। ******************************************************************** গাজী খুলনা সংবাদপত্র ডেক্স রিপোর্টঃ খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস নোয়াকাটি এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজ সেবক সাংবাদিক গাজী যুবায়ের আলমের শশুর মরহুম মোঃ জালাল উদ্দিন মোল্লার গত বুধবার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিজ বাড়িতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

11/06/2024

সেনাপ্রধানীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার উজ-জামান।
******************************************************************
গাজী খুলনা সংবাদপত্র ডেক্স রিপোর্টঃ সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। আগামী ২৩ জুন থেকে তিন বছরের জন্য সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। ১১ জুন মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আগামী ২৩ জুন অপরাহ্ন থেকে বিএ-২৯০২ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি, চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস)-কে জেনারেল পদবিতে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক ওই তারিখ অপরাহ্ন থেকে ৩ বছসরের জন্য সেনাবাহিনী প্রধান পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের স্থলাভিষিক্ত হবেন ওয়াকার-উজ-জামান। বর্তমানে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ১৯৮৫ সালে ২০ ডিসেম্বর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্য হিসেবে ১৩তম দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। সামরিক জীবনের শুরু থেকেই বিভিন্ন কোর্সে ভাল ফলাফলের ক্রমধারায় তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড ও স্টাফ কলেজ, মিরপুর থেকে সাফল্যের সঙ্গে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি জয়েন্ট সার্ভিসেস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজ, যুক্তরাজ্য থেকেও গ্রাজুয়েট হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় প্রথম শ্রেণীতে মাস্টার্স অব ডিফেন্স স্টাডিজ (এমডিএস) সম্পন্ন করেন এবং যুক্তরাজ্যস্থ কিংস কলেজ, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে মাস্টার্স অব আর্টস ইন ডিফেন্স স্টাডিজ ডিগ্রী অর্জন করেন।
তার সুদীর্ঘ ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য সামরিক জীবন কমান্ড, স্টাফ ও প্রশিক্ষকের অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ। তিনি ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ থেকে ০৮ জুন ২০১০ পর্যন্ত ১৭ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর উপ-অধিনায়ক ও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। এসময় তিনি তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহ দমনে নিষ্ঠা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি ২৭ জুলাই ২০১১ থেকে ১১ নভেম্বর ২০১৩ পর্যন্ত দুই বছরেরও বেশি সময় ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি জিওসি হিসেবে ০২ এপ্রিল ২০১৪ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ পর্যন্ত তিন বছর নবম পদাতিক ডিভিশন কমান্ড করেন। এরিয়া কমান্ডার, সাভার এরিয়া ও জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) নবম পদাতিক ডিভিশন হিসেবে তিনি টানা তিন বছর অত্যন্ত সফলভাবে বিজয় দিবস প্যারেড ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ এর প্যারেড কমান্ডার এর দায়িত্ব পালন করেন। এই বিরল কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘সেনাগৌরব পদক’ (এসজিপি) এ ভূষিত হন।

স্টাফ হিসেবে তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত একটি ব্রিগেড, স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি এন্ড ট্যাকটিকস (এসআইএন্ডটি) এবং সেনাসদরে বিভিন্ন পদবী ও নিয়োগে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি প্রশিক্ষক হিসেবে জেসিও এনসিও একাডেমি (জেএনএ), স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি এন্ড ট্যাকটিকস ও বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব পিস সাপোর্ট এন্ড ট্রেনিং (বিপসট) এ অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে সকল পদবীর দেশী-বিদেশী সেনাসদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।

11/06/2024

এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: ঝিনাইদহ জেলা আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক কে আটক করেছে।
*******************************************************************
কলকাতায় খুন হওয়া এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় জড়িত সন্দেহে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ১১ জুন মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে তাকে আটক করা হয়।
এর আগে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের হত্যাকাণ্ডের পর আসামিরা কার কার কাছে ছবি ও ভিডিও শেয়ার করেছে, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। সেখান থেকে কেউ আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে কি না, কাদের মাধ্যমে আর্থিক লাভবান হয়েছে, এসব বিষয় তদন্ত হচ্ছে।

তিনি বলেন, কিলিং মিশনে যারা অংশ নিয়েছিল কলকাতা থেকে এমপি আনারের ছবি হোয়াটসঅ্যাপে কার সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে এবং এতে কোনো আর্থিক সংশ্লিষ্টতা ছিল কি না, সবকিছুর তদন্ত চলছে।

ডিবিপ্রধান আরও বলেন, বাংলাদেশে গ্রেপ্তার আসামি ও ভারতে গ্রেপ্তার আসামিদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল ঘাতক আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়াসহ অন্যরাও আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডটি ভারতে সংঘটিত হয়েছে এবং সব আসামি বাংলাদেশি। হত্যাকাণ্ডের পর প্রায় সব আসামি বাংলাদেশে চলে আসে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আনোয়ারুল আজীম আনার চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তা আমরা কখনোই বলিনি। আমরা সব সময় বলে আসছি এমপির ওই এলাকা সন্ত্রাসপূর্ণ একটি এলাকা। ওখানে সত্যিকারে কী হয়েছে সেটা আমাদের জানতে হবে। আমরা তদন্ত করছি, তদন্তের পর সব কিছু জানানো হবে।

11/06/2024

ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি তৈরি করে দেব: বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
*******************************************************************
গাজী খুলনা সংবাদপত্র ডেক্স রিপোর্টঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি করে দেব। ১১জুন মঙ্গলবার সকালে সরকারি বাসভবন (গণভবন) থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরকারের আবাসন কর্মসূচি আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ৭০টি উপজেলার গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারকে ১৮ হাজার ৫৬৬টি বাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর। সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা আমাদের কর্তব্য। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে নিজেকে জনগণের সেবক হিসেবেই মনে করি। আশ্রয়ণ প্রকল্পে যারা পুনর্বাসিত হয়েছে, তাদের মাঝে আত্মবিশ্বাস, আত্মমর্যাদাবোধ ফিরে এসেছে। দেশকে উন্নত করতে এটাই সবচেয়ে প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে যারা ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের পাশে সবসময় আছি, থাকবো। তাদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রত্যেকের ঘরের ব্যবস্থা করে দেবো। যারা ঘর পাচ্ছেন, এটা এখন তাদের নিজেদের সম্পত্তি। ঘরবাড়ি তৈরি করে কীভাবে মানুষের জীবনমান উন্নত করতে পারি, সে চেষ্টা করে যাচ্ছি। ঘরগুলো ব্যবহারে যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সরকারপ্রধান বলেন, কোনোমতেই দেশের জনগণ পিছিয়ে থাকবে না। কারো কাছে ভিক্ষা নিয়ে, হাত পেতে চলতে চাই না। যতটুকু সম্পদ আছে, তা নিয়েই মাথা উঁচু করে চলবো। যেটুকু সম্পদ আছে, তার যথাযথ ব্যবহার করলে পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। সেজন্য সবার সহযোগিতা দরকার। অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, গাজায় ইসরায়েলের হামলার কারণে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের জন্য যেটা করা প্রয়োজন, সেটাই করছি।

কারামুক্তি দিবসের স্মরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই মিথ্যা মামলায় আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১১ জুন বন্দীখানা থেকে মুক্তি পেয়েছিলাম। আমাদের নেতাকর্মী, সহযোগী সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্র, সাধারণ মানুষ, যারা এর প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তাদের সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই। জাতির কাছে আমি কৃতজ্ঞ। জনগণের যে সমর্থন ভালোবাসা পেয়েছিলাম, সেটা ভোলার নয়।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৩৩০টি, তৃতীয় ধাপে ৫৯ হাজার ১৩৩টি এবং চতুর্থ ধাপে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি বাড়ি বিতরণ করেন।

প্রকল্পের আওতায় ভূমি ও গৃহহীন প্রতিটি পরিবারকে দুই দশমিক ৫ শতাংশ জমির মালিকানা দিয়ে একটি আধা-পাকা বাড়ি দেয়া হচ্ছে, যা স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই হবে। প্রতিটি বাড়িতে দুটি শোবার ঘর, একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট এবং বারান্দা রয়েছে।

06/06/2024

দেশের ও বিদেশের সকল মানুষের অতি প্রিয় পেজ গাজী খুলনা সংবাদপত্র নিউজ। ***************************************************************** গাজী খুলনা সংবাদপত্র নিউজ সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন পাঠকের চাহিদা পূরণের অঙ্গীকারে আমরা। আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার নেতিবাচক কর্মকান্ড. জায়গা জমির ক্রয় ও বিক্রয়ের বিজ্ঞাপন দিন। যোগাযোগ খুলনা নগরীর ৩১ নং ওয়ার্ড লবনচরা শিপইয়ার্ড খুলনাঃ মোবাইলঃ- ০১৩২৮-০৯৩৮৭৮ আমরা আছি আপনার সাথে ধন্যবাদ।

05/06/2024

রূপসায় হাবিব.দাকোপে আবুল হোসেন ও বটিয়াঘাটায় মোতাহার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
*****************************************************************
গাজী খুলনা সংবাদপত্র ডেক্স রিপোর্টঃ ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপে খুলনার তিনটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ০৫ জুন বুধবার রাতে খুলনা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দাকোপ উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হোসেন ২১ হাজার ৬৬২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কিশোর কুমার পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৯৭ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কিশোর কুমার রায় ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন ফাতেমা আক্তার।

বটিয়াঘাটা উপজেলায় সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. মোতাহার হোসেন ৩৩ হাজার ৭১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের নেতা শ্রীমন্ত অধিকারী পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫০ ভোট। উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তুহিন রায় ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন রুনা লায়লা।

অপরদিকে রূপসা উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত হয়েছেন এস এম হাবিবুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ২৫ হাজার ৭৭৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সরদার ফেরদৌস আহম্মেদ পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬৬ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ছেন মো. আব্দুল্লাহ যোবায়ের ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন শারমীন ‍সুলতানা রুনা।

Address

Khulna

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Gazi.khulna posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category


Other Newspapers in Khulna

Show All

You may also like