![দুটো ব্র্যান্ড একটা A আরেকটা B.. তাদের বিজিনেস ক্যাটাগরি, ভিশন, প্রোডাক্ট, সোর্স, ডেডিকেশন, প্রাইস রেঞ্জ ইত্যাদি পইপই কর...](https://img4.medioq.com/809/271/122113678268092715.jpg)
20/11/2023
দুটো ব্র্যান্ড একটা A আরেকটা B.. তাদের বিজিনেস ক্যাটাগরি, ভিশন, প্রোডাক্ট, সোর্স, ডেডিকেশন, প্রাইস রেঞ্জ ইত্যাদি পইপই করে সেইম। দুটোরই শুরু একই সময়ে, একই লোকেশনে.. কিন্তু ব্র্যান্ড দুটোর গ্রোথ সিমিলার নয়। কারন কি.??
ব্র্যান্ড A প্রথম দিন থেকেই সেল অরিয়েন্টেড। যাবতীয় সকল মেথড ইউস করে শুধু সেল বাড়ানোর জন্য। তাদের প্লান, প্রোগ্রাম মার্কেটিং, স্ট্যাটেজি বলতে শুধুই সেল করা এবং রেভিনিউ জেনারেট করা.!! প্রথম ৬ মাসে অপর ব্র্যান্ডের তুলনায় তাদের চাহিদা তুঙ্গে, কাস্টমার সবটাই তাদের.!!!
ব্র্যান্ড B একটু বোকাসোকা টাইপের। শুরুতে উঠেই সেল করায় তার খুব একটা আগ্রহ না। একজন কাস্টমার আসলে হাসিমুখে তার সাথে কথা বলে, সম্পর্ক তৈরি করে ফেলে, পজেটিভ রিভিউ কালেক্ট করে, তার জন্য প্রথম পারচেজে ছাড় দেয়, তার জন্য কুপন দিয়ে রাখে যেটাতে পরেরবার পারচেজ করলে ছাড় পাবে, কন্টাক নং কালেক্ট করে রাখে, প্রোডাক্টে প্রোবেলেম থাকলে এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থা রাখে ইত্যাদি ইত্যাদি।
এতে করে ব্র্যান্ড A দিনে ১০০ ইউনিট সেল করলে ব্র্যান্ড B সব মিলে করে মাত্র ১৫ - ২০ টা.! পরিচিত মহলে ব্র্যান্ড B কে নিয়ে সবাই হাসি তামশা করে, পাগলের আখ্যা দিতে শুরু করে.!!
৬ মাস দুটো ব্র্যান্ড কন্টিনিউ করার পর সিচুয়েশন বদলাতে শুরু করে। ব্র্যান্ড B'র ট্যাস্টের জায়গা তৈরি করে ফেলে দারুনভাবে। কেউ একবার শপে আসলে সে তো বটেই বরং তার বাইরে তার পরিচিত মহলকে চোখ বুজে ব্র্যান্ড B কে সাজেস্ট করা শুরু করে। ফলে ব্র্যান্ড B কাস্টমার বাড়তে শুরু করে একই সাথে ব্র্যান্ড A'র সেল ডাউন হতে শুরু করে। ব্র্যান্ড A'র কাস্টমাররা ব্র্যান্ড B'র কাস্টমারে পরিনত হতে শুরু করে.!!
২ বছর পর গিয়ে দেখা যায় ব্র্যান্ড B টপ মোস্ট ব্র্যান্ড গুলোর একটা। সেল বাড়তে থাকে জ্যামিতিক হারে, রেভিনিউ আপাতত মাথা ব্যাথার বাইরে। ব্র্যান্ড B নিজস্ব প্রোডাকশন শুরু করেছে, আউটলেট সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। বিপরীতে ব্র্যান্ড A'র অবস্থা শোচনীয়.!! মানুষ জানে ব্র্যান্ড A নামে কিছু একটা আছে, কিন্তু আরেকজনের জনপ্রিয়তার কাছে পরাস্ত হয়ে ব্র্যান্ড A'র কথা দ্রুতই ভুলে গিয়ে ব্র্যান্ড B'র দিকে দৌড়াতে শুরু করে.!
এটা শুধু একটা স্টোরি কিন্তু বাস্তবতায় এই কেইস স্টাডি প্রচুর পাওয়া যায়। যেকারনে মার্কেটার যিনি মার্কেটিংটা ভিতর থেকে ফিল করেন তিনি কখনোই উঠেই সেল করার দিকে ফোকাস করতে চান না। ধীরে ধীরে কাস্টমার সাইক্লোজি বুঝে তাদের সাথে এঙ্গেজড হতে চেষ্টা করেন। একটা গুড আন্ডারস্ট্যান্ডিং বিল্ড আপ করে ট্রাস্টের জায়গাটা পোক্ত করার কাথা বারংবার বলতে থাকেন।
কিন্তু মুশকিল হলো ব্র্যান্ড B'র মত বিজিনেস ওনার খুজে পাওয়া খুব খুব খুব টাফ। বাংলাদেশে তো হাতে গোনা পাওয়াও মুশকিল!
ইকমার্স তো বটেই বরং যেকোন বিজিনেসে ট্রাস্ট বিল্ড করেন, কাস্টমারকে ভ্যালু প্রোভাইড করেন, এঙ্গেজ হতে চেষ্টা করেন, কাস্টমার ওরিয়েন্টেড পলিসি মেক করেন, কমিউনিকেশন স্কিল বাড়ান.. শুরুতে হয়তো মনে হতে পারে বাজে কাজে সময় নষ্ট করছেন, পাগলামো করছেন!! কিন্তু সময় ঠিকই আপনার অ্যাপ্রোচকে ভ্যালু প্রোভাইড করবেই এবং বিজিনেসে অথবা ইকমার্সে এটা অলিখিত সংবিধানও বেট.!!!
© আব্দুর রউফ রাছেল
ইকমার্স এক্সপার্ট (ডিজিটাল মার্কেটিং)