Sukracharjya

22/12/2024

20/12/2024

আজকের গল্প একটি ছোট ছেলের।
❤️❤️❤️
রোজ সকালে সে দেখত তার দাদু তাদের বাড়ীর চার খানা গরুর দুধ দিয়ে সুস্বাদু ঘন ক্ষীর বানাতেন। ক্ষীর তৈরী হলে তা ঠাণ্ডা করতে দিযে তিনি শাল পাতা দিয়ে দোনা বানাতেন।দোনা বানানো হলে দুটি মাটির কলসিতে জল ভরতেন। দুপুরে খাওয়া দাওয়ার পর ঠাণ্ডা ক্ষীর, শালপাতার দোনা, জলপাত্র নিয়ে বাড়ীর বাইরের ঊঠানে বসে থাকতেন। দুপুরে ওই পথ দিয়ে যত পথিক যাতায়াত করতেন তাঁদের তিনি ডেকে দাওয়ায় বসাতেন, মুখ ধোবার জল দিতেন।তারপর দোনা ভরে সুস্বাদু ক্ষীর খেতে দিতেন। ক্ষীর খাওয়া শেষ হলে খাবার জল দিতেন। ক্লান্ত পথিক পরিতৃপ্ত প্রাণে তাঁর লক্ষ্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতেন।

সেই ছোট ছেলে ভাবে তার দাদু সেই সুমিষ্ট ক্ষীর নিজেও খান না তাকেও খেতে দেন না। কেন বাইরের লোককে এই ক্ষীর তিনি খাওয়াবেন? পরের দিন তার দাদু যখন ক্ষীর বানাচ্ছিলেন তখন সেই ছেলেটি গিয়ে তার দাদুকে এই প্রশ্ন করে বসলো। দাদু তাকে ঘরের কোণে কয়লার ওপর রাখা কয়লা বহনকারী ঝাঁকাটিতে করে এক ঝাঁকা জল আনতে বললেন। ঝাঁকায় জল ভরা অসম্ভব জেনেও সেই ছেলেটি দাদুর আদেশ পালন করতে পুকুরে নামল ঝাঁকায় জল ভরবার জন্য। যথারীতি বার বার প্রয়াস করেও সে ঝাঁকায় জল ভরতে পারল না। ক্ষুব্ধ নাতি ঘরে এসে ঝাঁকাটি কয়লার গাদায় ছুঁড়ে ফেলে দিল। দাদু এবার বললেন, এবার বলি তোর প্রশ্নের উত্তর। যখন তুই জল ভরার জন্য ঝাঁকা নিলি তখন ওটা কয়লার গুঁড়োতে কালো হয়ে ছিল। এখন দেখ, পুকুরে ধোয়ার পর কেমন পরিস্কার হয়েছে। তেমনি আমাদের মন সংসারের নানা কয়লা বহন করতে করতে কালো হয়ে যায়। আমরা যখন নিঃস্বার্থভআবে অন্যের সেবা করি তখন আমাদের মন-রূপ ঝাঁকাটি কালো থেকে সাদায় রূপান্তরিত হয়। এ কথা শুনে ছেলেটি নির্বাক দৃষ্টিতে তার দাদুর দিকে তাকিয়ে থাকে।

পরেরদিন দাদু দেখলেন তাঁর নাতিও আজ তার কাজের সঙ্গী। মুখ তার স্বপ্রভায় উজ্জ্বল।

- ভাবটি সংগৃহীত, অনুলিখন স্বামী স্তবপ্রিয়ানন্দ।

18/12/2024

machine

14/12/2024

12/12/2024

08/12/2024

Victoria Hospital & Bengaluru Fort

03/12/2024

30/10/2024

26/10/2024

26/10/2024

#জপ

জপ বা পুনঃ পুনঃ উচ্চারণের অর্থ এখন বুঝা যাইবে। আমাদের ভিতর যে-সকল আধ্যাত্মিক সংস্কার আছে, জপ সেগুলিকে উদ্দীপিত করিবার প্রধান সহায়। ক্ষণমাত্র সাধুসঙ্গ ভবসমুদ্রপারের একমাত্র নৌকাস্বরূপ হয়। সঙ্গের এতদূর শক্তি! বাহ্য সৎসঙ্গের যেমন শক্তি, আন্তর সৎসঙ্গেরও তেমনি শক্তি। এই ওঙ্কারের পুনঃ পুনঃ উচ্চারণ ও অর্থ-স্মরণ করাই নিজ অন্তরে সাধুসঙ্গ করা। পুনঃ পুনঃ উচ্চারণ কর এবং সেই সঙ্গে উচ্চারিত অর্থ ধ্যান কর, তাহা হইলে হৃদয়ে জ্ঞানালোক আসিবে এবং আত্মা প্রাকাশিত হইবেন।

#কিন্তু যেমন ‘ওঁ’- এই শব্দের চিন্তা করিতে হইবে, সেই সঙ্গে উহার অর্থও চিন্তা করিতে হইবে। অসৎসঙ্গ ত্যাগ কর, কারণ পুরাতন ক্ষতের চিহ্ন এখনো তোমার অঙ্গে রহিয়াছে; এই অসৎসঙ্গের প্রভাবেই আবার সেই ক্ষত পূর্ববিক্রমে দেখা দেয়। একই ভাবে আমাদের ভিতরে যে-সকল শুভ সংস্কার আছে, সেগুলি এখন অব্যক্ত থাকিলেও সৎসঙ্গের দ্বারা জাগরিত হইবে-ব্যক্তভাব ধারণ করিবে। সৎসঙ্গ অপেক্ষা জগতে পবিত্রতর কিছু নাই, কারণ সৎসঙ্গ হইতেই শুভ সংস্কারগুলি ব্যক্ত হইবার সুযোগ পায়-চিত্তহ্রদের তলদেশ হইতে উপরিভাগে আসিবার উপক্রম করে।
-স্বামী বিবেকানন্দ (সুত্র-রাজযোগ; পৃ:১০৪)

25/10/2024

#আমার কি ইচ্ছা যে, কোন হিন্দু বা বৌদ্ধ খ্রীষ্টান হউক? -ভগবান তাহা না করুন।

বীজ ভূমিতে উপ্ত হইল; মৃত্তিকা, বায়ু জল তাহার চতুর্দিকে রহিয়াছে। বীজটি কি মৃত্তিকা, বায়ু বা জলের মধ্যে কোন একটিতে পরিণত হইয়া যায়? -না। সেই বীজ হইতে একটি চারাগাছ উৎপন্ন হয়, উহা ক্রমে নিজের স্বাভাবিক নিয়মানুসারে বর্ধিত হয় এবং মৃত্তিকা বায়ু ও জল ভিতরে গ্রহণ করিয়া সেই-সকল উাপাদান বৃক্ষে পরিণত করে এবং বৃক্ষাকারে বাড়িয়া উঠে।

#ধর্ম সম্বন্ধেও ঐরূপ। খ্রীষ্টানকে হিন্দু বা বৌদ্ধ হইতে হইবে না; অথবা হিন্দু ও বৌদ্ধকে খ্রীষ্টান হইতে হইবে না; কিন্তু প্রত্যেক ধর্মই অন্যান্য ধর্মের সারভাগগুলি গ্রহণ করিয়া পুষ্টিলাভ করিবে এবং স্বীয় বিশেষত্ব বজায় রাখিয়া নিজ প্রকৃতি অনুসারে বর্ধিত হইবে।

সাধুচরিত্র, পবিত্রতা ও দয়াদাক্ষিণ্য জগতের কোন একটি বিশেষ ধর্মমণ্ডলীর নিজস্ব সম্পত্তি নয় এবং প্রত্যেক ধর্মপদ্ধতির মধ্যেই অতি উন্নত চরিত্রের নরনারী জন্মগ্রহণ করিয়াছেন।

#এই-সকল প্রত্যক্ষ প্রমাণ সত্ত্বেও যদি কেহ এরূপ স্বপ্ন দেখেন যে অন্যান্য ধর্ম লোপ পাইবে এবং তাঁহার ধর্মই টিকিয়া থাকিবে, তবে তিনি বাস্তবিকই কৃপার পাত্র; তাঁহার জন্য আমি আন্তরিক দুঃখিত, তাহাকে আমি স্পষ্টভাবে বলিয়া দিতেছি, তাঁহার ন্যায় ব্যক্তির বাধাপ্রদান সত্ত্বেও শীঘ্রই প্রত্যেক ধর্মের পতাকার উপর লিখিত হইবেঃ ‘বিবাদ নয়, সহায়তা; বিনাশ নয়; পরস্পরের ভাবগ্রহণ; মতবিরোধ নয়, সমন্বয় ও শান্তি।’
-স্বামী বিবেকানন্দ (উৎস ১:৩৩-৪)

20/10/2024

#জীবনকে নতুন করে বা যখন খুশি জীবনের পথ পরিবর্তন করা যায়

#জীবনে পরিবর্তন আনার জন্য প্রথম পদক্ষেপটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে সাহস করে সেই প্রথম পদক্ষেপ নিতে হবে। কখনো সময়ের অপেক্ষা না করে নিজের ইচ্ছাশক্তির ওপর ভরসা রাখুন এবং ছোট কিছু থেকেই শুরু করুন।

#অতীতের ভুল, ব্যর্থতা, বা কষ্ট আপনাকে আটকাতে পারে। তবে এগুলোর মধ্যে আটকে না থেকে সেগুলো থেকে শিখে এগিয়ে যেতে হবে। অতীতকে ছেড়ে নতুনভাবে শুরু করাই হলো আত্মবিশ্বাস ও মানসিক শান্তির চাবিকাঠি।

#জীবনে যখন নতুন শুরু করতে চান, তখন কিছু ছোট, স্পষ্ট ও অর্জনযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। এ লক্ষ্যগুলো আপনাকে সঠিক পথে রাখবে এবং জীবনে একটি উদ্দেশ্য তৈরি করবে।

#পজিটিভ চিন্তা জীবনের নতুন শুরুর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার চারপাশে ইতিবাচক মানুষ রাখুন, যাদের কাছ থেকে সমর্থন পাবেন। নিজেকে মনের দিক থেকে শক্তিশালী রাখতে প্রতিদিন পজিটিভ চিন্তা ও ধ্যান চর্চা করতে পারেন।

#জীবনের নতুন ধাপে প্রবেশ করার সময় নতুন কিছু শিখতে হবে। এটি হতে পারে কোনো নতুন দক্ষতা, ভাষা, বা অভিজ্ঞতা। প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শেখার মাধ্যমে আপনি নিজের উন্নতি করতে পারবেন এবং নতুন পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন।

#নতুন কিছু শুরু করার সময় দ্রুত ফলাফল আশা না করে ধৈর্য ধরতে হবে। প্রত্যেকটি বড় পরিবর্তন ধীরে ধীরে আসে। তাই নিজের প্রতি চাপ না দিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে হবে এবং ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে আরও ভালোভাবে তৈরি করতে হবে।

#জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে হলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে সবার আগে রাখতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম খাদ্য এবং পর্যাপ্ত ঘুম আপনার কর্মক্ষমতা ও মনোবল বাড়াবে। একসাথে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে চেষ্টা করুন।

#যখন আপনি নতুন শুরু করবেন, জীবনের অগ্রাধিকারগুলো পুনর্মূল্যায়ন করুন। কোন বিষয়গুলো আপনাকে সুখী করে, কোনটি আপনার লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করবে তা ভেবে নতুন করে গুছিয়ে নিন। জীবনের পুরানো বা অপ্রয়োজনীয় কিছু বাদ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিন।

#যখনই আপনি নতুন করে শুরু করেন, সময়ের গুরুত্ব অপরিসীম। পরিকল্পনা মাফিক কাজ করে সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগান। সময় ব্যবস্থাপনা আপনার কাজের গতি বাড়াবে এবং আপনাকে বেশি উৎপাদনশীল হতে সাহায্য করবে।

#নিজের ক্ষমতা ও সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখুন। নতুন পথ শুরু করার জন্য মানসিক সাহস ও আত্মবিশ্বাস অত্যন্ত প্রয়োজন। আপনার দক্ষতা ও ক্ষমতাকে ছোট করে না দেখে এগিয়ে যেতে সাহসী হোন।

যখন খুশি, তখনই জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করা সম্ভব। তবে নিজের উপর আস্থা, ধৈর্য এবং ইতিবাচক মানসিকতা আপনার নতুন যাত্রার মূল চাবিকাঠি।

19/10/2024

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বেসরকারি কলেজের অনার্স মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন
স্থান: ঢাকা শিক্ষা ভবন