Anabia Chowdhury Anayea

Anabia Chowdhury Anayea আমার তুমি'টা হতে হবে নব্বই দশকের মতো, হাজার মানুষের ভিড়ে যার নজর থাকবে শুধু মাত্র আমার দিকে।

আমরা হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ দিয়ে মুছে ফেলতে পারি কিংবা গোপনে কাউকে অশ্লীল মেসেজ দিয়ে অস্বীকার করতে পারি, টুইটারে গালি দিয়ে ...
21/12/2023

আমরা হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ দিয়ে মুছে ফেলতে পারি কিংবা গোপনে কাউকে অশ্লীল মেসেজ দিয়ে অস্বীকার করতে পারি, টুইটারে গালি দিয়ে টুইট ডিলিট দিতে পারি, ফেইক একাউন্ট দিয়ে অন্যকে হেনস্তা করতে পারি, বছর দুয়েক আগে দেওয়া লাভ রিয়েক্ট উঠিয়ে নিতে পারি, কাউকে নিয়ে ফেসবুকে লেখা ডিলিট দিতে পারি, পুরোনো কমেন্ট ডিলিট দিতে পারি, ইনস্টাগ্রামে দেওয়া টেক্সট রিমুভ দিয়ে বলতে পারি আমি কখনো তাকে টেক্সট করিই নি। কিংবা কাউকে নিজে প্রেম নিবেদন করে উল্টো তার আড়ালে বলতেই পারি, আরেহ ও তো ছ্যাঁচড়া আমাকে বত্রিশবার প্রেম নিবেদন করার পর, তেত্রিশবারের সময় আমি বিরক্ত হয়ে গ্রহণ করেছিলাম, কিন্তু টেকেনি। নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে সুযোগমতো চাপিয়ে দিই, যাতে সে আমার উপর কথা বলতে না পারে, যাতে আমি বড় হয়ে যাই সমাজের মানুষের কাছে। এই কোনোকিছুরই প্রমাণ নেই, মানুষ ছোটখাটো ইস্যুর প্রমাণ রাখেও না।এইসব কিছুর প্রমাণ দেওয়ার দরকারও পড়ে না।

কিন্তু আমরা নিজের কাছে কতটুকু দায়বদ্ধ? আমরা কি নিজেদের করা বাজে কাজগুলো ফেরত নিতে পারি? নিজের কাছে নিজে কতটা ভালো? দিনশেষে নিজের অংক কষলে দেখা যাবে উত্তরই শূন্য কিংবা ভুল। যতটা নিজেকে ভালো এবং চালাক ভাবি বস্তুতঃ ততটাই খারাপ এবং বোকা।নিজের কাছে নিজে অপরাধী কিংবা খারাপ হওয়ার মতো বাজে কিছুই হয় না, যদি সেটা বোঝার মতো বুদ্ধি আপনার আমার থাকে।
বেল জনসনের একটা উক্তি আছে এমন যে 'মানুষ যত গোপন পাপ করুক না কেন, তার শাস্তি সে প্রকাশ্যেই পায়।'
সুতরাং যতই আমরা সাধু সেজে কিংবা বুলি কপচিয়ে ঘুরে বেড়াই,আমাদের প্রাপ্য শাস্তিটা আমরা পাবোই।

ফেসবুকে মাঝে মাঝে আমাদের এমন মানুষের সাথেও পরিচয় হয়, যাদের আমরা ফ্রেন্ড লিষ্টে এড করিনা। কিন্তু চ্যাট বক্সের প্রথমেই তার...
21/12/2023

ফেসবুকে মাঝে মাঝে আমাদের এমন মানুষের সাথেও পরিচয় হয়, যাদের আমরা ফ্রেন্ড লিষ্টে এড করিনা। কিন্তু চ্যাট বক্সের প্রথমেই তারা থাকে। তাদের সাথে সারাক্ষন মেসেজ বিনিময় হয়, কথা কাটাকাটি হয়, ঝগড়া হয়, রাগ হয় অভিমান হয়।

অনেক সময় আবার সব কিছু মিটমাটও হয়ে যায়। আবার অনেক সময় ব্লক করে সব যোগাযোগের পথ বন্ধ হয়ে যায়। চ্যাট লিষ্টের প্রথম সারিতে থাকা মানুষগুলো আস্তে আস্তে একদম নিচের দিকে চলে যায়।

অনেক দিন অনেক বছর পরেও কি আমরা সে মানুষগুলো কে ভুলতে পারি? নাহ্ কখনো নয়। কারন ফেসবুক থেকে সবকিছু ডিলিট করার সিষ্টেম থাকলেও, মানুষের মস্তিষ্ক থেকে তো আর আরেক মানুষের সাথে কাটানো সময় ডিলিট করার কোন সিষ্টেম নেই!

সে মানুষগুলো আমাদের মনের গহীনে বসবাস করে। হয়তো কোন এক অলস মুহূর্তে তাদের কথা মনে করে আমাদের ঠোঁটের কোনে মুচকি হাসি আসে। নয়তো নিজের অজান্তেই চোখের কোন বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে!

ফেসবুকের সম্পর্কগুলো অনেকটা রোলারকোস্টার এর মত। এটা খুব দ্রুত শুরু হয়। কোনো একটা আইডি থেকে হঠাৎ একদিন রিকুয়েষ্ট আসে। কিছ...
21/12/2023

ফেসবুকের সম্পর্কগুলো অনেকটা রোলারকোস্টার এর মত। এটা খুব দ্রুত শুরু হয়।

কোনো একটা আইডি থেকে হঠাৎ একদিন রিকুয়েষ্ট আসে। কিছুদিন পর থেকেই হাই হ্যালো দিয়ে শুরু হয়। সেটা কখনও কখনও বন্ধুত্ব কিংবা প্রেম পর্যন্ত গড়ায়। মনের যত আবেগ, ভালোবাসা সবই ইনবক্সের এককোণে জড়ো হতে থাকে। তার করা প্রতিটি পোস্ট বা ছবিতে সবার আগে লাভ রিএ্যাক্ট আসে। বেশ কিছুদিন ধরেই এই আড্ডা, গল্প চলতে থাকে।

তারপর আবার একদিন অন্য কোনো একটা আইডি থেকে রিকুয়েষ্ট আসে। তখন আগের মানুষটার উপর আবেগগুলো আস্তে আস্তে কমতে শুরু করে। তার সাথে আর, সেই আগ্রহ নিয়ে কথা বলতে ইচ্ছে করে না। তার করা এসএমএস এর ফাস্ট রিপ্লাই দিতে আর ইচ্ছা হয় না। তার আইডি একসময় চ্যাটলিস্টের নিচে পড়ে থাকে। কারণ ততদিনে নতুন কোনো একজন তার ইনবক্সে জায়গা করে নিয়েছে।

তারপর পুরোনো মানুষটার, একদিন জায়গা হয় ফেসবুকের ইগনোর ম্যাসেজ এর লিস্টে। হঠাৎ কোনো একদিন তার করা পোস্টগুলো আর নিউজফিডে আসে না। বার বার সার্চ করেও হয়ত তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। তারপর এক বুক দীর্ঘনিশ্বাস নিয়ে তাকে খুঁজে পাওয়া যায় অন্য কোনো আইডি থেকে। কিংবা খুঁজে পাওয়া গেলেও তার আইডি এড ফ্রেন্ড দেখায়।

এভাবে হঠাৎ করে শুরু হওয়া আবেগগুলো যেন আবেশেই হারিয়ে যায়৷ এই ভার্চ্যুয়াল জগতে ইমোশনের কোনো দাম নেই৷ এখানে বন্ধু বা সম্পর্কের কোনো সম্মান থাকে না। আসলে ফেসবুক একটা ফেক দুনিয়া। এখানে কেউ কাউকে মুল্য দিতে জানে না, থাকে না কোনো ভালোবাসার দাম।

তবুও কিছু মানুষ এটা না বুঝেই এই ফেক দুনিয়ার মানুষদের নিজের জীবনের সাথে জড়িয়ে নেয়। যা সে আজীবন স্মৃতি করেই রাখে।

©অনিন্দ্য আকাশ

আমি ফেসবুকের মেমোরিতে যেয়ে পুরনো পোস্টগুলির লাইক কমেন্ট চেক করি। অনেকেই এখন ফ্রেন্ডলিস্টে নাই, এমন কেউ ও আছে যাদের সাথে ...
21/12/2023

আমি ফেসবুকের মেমোরিতে যেয়ে পুরনো পোস্টগুলির লাইক কমেন্ট চেক করি। অনেকেই এখন ফ্রেন্ডলিস্টে নাই, এমন কেউ ও আছে যাদের সাথে কখনো কথাও হয়নি অথচ তাদের লাইক কমেন্টের নোটিফিকেশন দেখে কেনো যেন তৃপ্তি পেতাম। নামগুলোর মধ্যে অনেক চেনা মানুষের আইডিও চোখে পড়ে যারা এখন নিজের জীবন গোছাতে ব্যাস্ত। ফেসবুকে কে রইলো এইসব হয়তো ভাবেও না। সময়ের পরিক্রমায় ফেসবুকের মত জীবন থেকেও কত মানুষ হারিয়ে যায়, যাবে, কিংবা যাচ্ছে। সেই একই তারিখ, একই মাস, শুধু বছরটা বদলায়। প্রতিবারই রঙ বদলানো দেখি। আশেপাশের মানুষের সংখ্যা কমছে প্রতিবারই। একসময় কতোজন মানুষ রইলো সেটা গোনারও কেউ থাকবেনা। কেউ না, আমিও না!

কিছু মানুষকে দেখবেন, আপনি হাজারটা বা'জে কথা বললেও কথার জবাবে নিরবতা পালন করবে। এর মানে এই নয় যে তারা ভু'ল কিংবা তারা ক'ষ...
20/12/2023

কিছু মানুষকে দেখবেন, আপনি হাজারটা বা'জে কথা বললেও কথার জবাবে নিরবতা পালন করবে। এর মানে এই নয় যে তারা ভু'ল কিংবা তারা ক'ষ্ট পাচ্ছে না আপনার কথায়; এর মানে তারা আপনার সাথে আর কথা বাড়াতেই চাচ্ছে না।

আমাদের জীবন টা যদি ফেসবুক হতো তবে সবকিছুই অনেক সহজ হতো।এই ধরুন, কাউকে অপছন্দ হলে আনফ্রেন্ড করে দেয়া, মেসেজ যেন না দিতে প...
20/12/2023

আমাদের জীবন টা যদি ফেসবুক হতো তবে সবকিছুই অনেক সহজ হতো।

এই ধরুন, কাউকে অপছন্দ হলে আনফ্রেন্ড করে দেয়া, মেসেজ যেন না দিতে পারে সেজন্য ব্লক করা, কারো মেসেজ দেখতে না ইচ্ছে হলে ইগনোর করে রাখা, কারো পোস্ট দেখতে মন না চাইলে আনফলো করা, কাউকে নিজের পোস্ট দেখাতে না চাইলে হাইড করে রাখা, কোনো লেখা ভুল হলে কিংবা ছবি পরিবর্তন করতে মন চাইলে এডিট করা।

বাস্তব জীবনে আমরা চাইলেই সবাই কে ইগনোর করতে পারি না, চাইলেই জীবন থেকে কাউকে চিরতরে মুছে ফেলতে পারি না, ফেসবুক আইডির মত যখন তখন ডিয়েক্টিভ করে নিজেকে সবার থেকে লুকাতে পারি না, জীবনের সবাই কে অসহ্য লাগলে, ফেসবুকের মত সহজেই পুরাতন আইডি ডিলিট করে, নতুন করে আইডি খুলে নিজের মতো নতুন করে আবার সাজিয়ে নিতে পারি না। কত কিছুই আমরা পারি না!

তবুও বাস্তব জীবন সুন্দর। এখানে যেমন কাছের মানুষ রা কষ্ট দেয়, আবার তারাই খারাপ সময়ে পাশে দাঁড়ায়।আপনদের সাথে ঝগড়া হলে তাদের ছেড়ে পালাতে যেমন ইচ্ছে হয়, মন ভালো হলে তাদের ছাড়াই আমাদের চলে না। ওই যে দিনশেষে আমরা মানুষ, সামাজিক জীব। একা আমরা থাকতে পারি না, সমাজ ছাড়া চলতে পারি না।

কেউ কেউ বলবেন, আপনি একাই থাকেন। একবার ভেবে দেখুন তো আসলেই কি আপনি একা! রিকশা উঠা থেকে শুরু করে সবকিছুতেই কাউকে না কাউকে প্রয়োজন হয়।আমরা এমনই, মানুষের থেকে দূরত্ব চাইবো, আবার মানুষের মাঝেই নিজেদের পরিপূর্ণ অনুভব করবো। কাছের আপন মানুষরা যেমনই হোক, দিনশেষে তাদের জন্যই আমাদের বুকে ব্যথা হয়।তাদের শোকে আমরা কাতর হই, তাদের খুশিতেই আমরা উল্লাস করি।

"মানুষ বইয়ের মতো হলে ভালো হতো। প্রিয় বই সম্পূর্ণ পড়ার পরই আমাদের প্রিয় হয়। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে খুব কাছে গিয়েও ...
20/12/2023

"মানুষ বইয়ের মতো হলে ভালো হতো। প্রিয় বই সম্পূর্ণ পড়ার পরই আমাদের প্রিয় হয়। কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে খুব কাছে গিয়েও আমরা মানুষ পড়তে পারি না। মানুষ বইয়ের মতো উন্মুক্ত না। নিজের কিছু পৃষ্ঠা লুকিয়ে রাখার ক্ষমতা থাকে মানুষের। অথচ আমরা সম্পূর্ণ পড়েছি ভেবেই প্রিয় বইয়ের মতো মানুষটাকেও প্রিয় ভেবে ফেলি। পরে লুক্কায়িত পৃষ্ঠা সামনে এলে তা আর নিতে পারি না।

20/12/2023

যে কথা দিয়েও কথা রাখে না" এক কথায় প্রকাশ করলে কী হবে?

দেখি কার টা সঠিক হয়।

১৮ বছরের জীবনে বহুত বন্ধু বান্ধব হ‌ইছে এহনো কয়েকটা আছে বাকিদের খোঁজ খবর নাই। আপনার শত্রু আপনেরে ছাইরা দিলেও আপনের বন্ধু...
19/12/2023

১৮ বছরের জীবনে বহুত বন্ধু বান্ধব হ‌ইছে এহনো কয়েকটা আছে বাকিদের খোঁজ খবর নাই। আপনার শত্রু আপনেরে ছাইরা দিলেও আপনের বন্ধু কখনোই আপনারে অপমান করার সুযোগ ছারবে না। কারন সে জানে আপনের দৌড় কতদূর। ২৩ সালে অনেক মানুষ‌ই আমার জীবনে আসছে এদের বেশিরভাগই আমার তথাকথিত "বন্ধু" । এদের কেউ‌ কেউ আমাকে তীব্র হিংসা করে, আমাকে নিচা দেখানোর একটা সুযোগ‌ও হাতছাড়া করে না। আরেক শ্রেনি মনে করে আমার মতো খারাপ মেয়ে এই দুনিয়াতে আর কেউ নেই, তারা ভাবে তাদের কাছের মানুষ আমার সাথে মিশলে নাকি খারাপ হয়ে যাবে। দুই একজন আবার সবকিছু পার করে ডিরেক্ট ghost ও করে দিছে ।

বড়লোক বন্ধু তার টাকার বড়াই করে আমাকে নিচু চোখে দেখে । কারো সাথে ঠাট্টা করলে সে মুখের উপর‌ই অপমান করে দেয়। বছরের শুরুতে যাদের খুব আপন ভেবেছিলাম তাদের সাথে খুব কদাচিৎ দেখা সাক্ষাৎ হয় । অনেকের সাথে বারবার ঝগরার পর‌ও সম্পর্কটা বেশ ভালোই যাচ্ছে। মানুষকে চোখের সামনে হঠাৎ বদলে যেতে দেখেছি, যাদের সাথে দা-কুড়ালের সম্পর্ক ছিল একরাতের মধ্যেই তাদের পাল্টে যেতে দেখেছি । অনেক পুরনো বন্ধুদের পরিবর্তন চোখের সামনেই প্রতি নিয়ত দেখছি । অনেকেতো শুধু নিজের স্বার্থের জন্য‌ই আমাকে রেখেছে এরা আমাকে বন্ধু ভাবে কিনা তা নিয়েও আমার সন্দেহ আছে। এদের কেউই আমার সাথে সারাজীবন থাকবে না‌, হয়তো কেউ তাদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরবে , কেউ আবার সামান্য কথা কাটাকাটির জন্য কখনোই কথা বলবে না আবার অনেকে ভুলেও যাবে। মূলত যার মেয়াদ যতক্ষন সে তারচেয়ে বেশি আপনার লাইফে থাকবে না।"২৩ সাল" শুধুমাত্র এক বছরে এত বড় হয়ে যাবো কখনো ভাবিনি। এই বছরটি জীবনের অন্যান্য বছর থেকে বেশ আলাদা কেটেছে । ধন্যবাদ ২০২৩ কে।

আমার অভিজ্ঞতার খাতায় এই বছরটি বিশেষ জায়গায় থাকবে জীবন যে আরও কত কঠিন হবে সামনে তা কেউই জানিনা, কাউকে ভুল বসত কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা করে দিয়েন সামনের বছরে আপনার জীবন আরও সুখের হ‌উক ।❤️

19/12/2023

ক্লাসের বেঞ্চে সেদিন হঠাৎ করেই এক মজার জিনিস আবিষ্কার করলাম।কেউ বেঞ্চে কলম দিয়ে দুই লাইনের চিরকুট লিখে রেখে গেছেন।

বেঞ্চে স্টুডেন্টরা সবসময়ই কিছু না কিছু লিখে রেখে যায়, এতো হিজিবিজি লেখার মাঝে আলাদাভাবে চিরকুটটাকে দেখা যায় না।আমিও দেখতে পেতাম না, যদি না আজ স্যারের একঘেয়ে লেকচার থেকে বাঁচার জন্য বেঞ্চের লেখাগুলো পড়া শুরু করতাম।

চিরকুটটা এমন -

'প্রিয় পুষ্প'
– “নীল শাড়িতে আজ তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছিলো।এখন থেকে সব অনুষ্ঠানে নীল শাড়িটা পরে আসবে। ”

এটুকুই লেখা।আমি অন্য লেখাগুলোও পড়লাম, কিন্তু তেমন চিরকুট আর একটিও দেখতে পেলাম না।স্যারের ক্লাস শেষে এক ঘন্টার অফ পিরিয়ড। সবার মতো আমিও ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ মনে হলো, অন্য বেঞ্চগুলোও একবার খুঁজে দেখি। এমন চিরকুট আরো পেতে পারি। ব্যাপারটা পুরোপুরি পাগলামি, কিন্তু কেন যেন খুব কৌতূহল হচ্ছিলো।

প্রথম তিন-চারটি বেঞ্চে কিছুই পেলাম না। কিন্তু এরপরের বেঞ্চেই পেলাম সেই কাঙিক্ষত চিরকুট, একই হাতের লেখা -

'প্রিয় পুষ্পা'
– “ তুমি তো খুব সুন্দর কবিতা আবৃত্তি করো। তোমার এই গুণটা আমার জানাই ছিলো না। এতো গুণ একজন মানুষের মাঝে কিভাবে থাকতে পারে? ”

এবং এরপর বেশ কয়েকটি বেঞ্চে এমন লেখা দেখতে পেলাম।

'প্রিয় পুষ্পা'
– “ তুমি কি জানো, যখন তুমি উদাস হয়ে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকো, তখন তোমাকে কি অপূর্ব লাগে? আবার এটাও মনে হয়,তোমার মনে অনেক দুঃখ।এতো দুঃখ কেন তোমার? ”

'প্রিয় পুষ্পা'
– “ তুমি আজ ওভাবে কাঁদছিলে কেন? খুব খারাপ লাগছিলো তোমাকে দেখে। তুমি কি জানো, একজন তোমার দুঃখের সমব্যথী হতে চায়? ”

'প্রিয় পুষ্পা'
– “ অনেকদিন তোমায় দেখি না। শুনেছি, খুব অসুস্থ তুমি। তোমার বাসার সামনে গিয়ে প্রতিদিন দাঁড়িয়ে থাকি, ভেতরে যাওয়ার সাহস হয় না। তুমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ক্লাসে আসো। আমার মনের কথাটি এবার সত্যি তোমার সামনে বলবো। ”

ওটাই শেষ। সবগুলো বেঞ্চ খুঁজে ওমন চিরকুট আর দেখতে পেলাম না।পুষ্পা নামের মেয়েটিরও আর কোনো খোঁজ পাইনি।
'
'
'
এর ঠিক দুই বছর পর। পড়ালেখা শেষ করে তখন চাকরি খুঁজছি। এরমধ্যেই আমাদের পাশের ফ্ল্যাটে এক নতুন দম্পতি ভাড়া এলেন। বাইরে আসা যাওয়ার পথে মাঝেমাঝে তাদের সাথে দেখা হয়। বউটি বয়সে তরুণী, দেখতেও বেশ সুন্দর। কিন্তু তার বরটি যেমন বয়স্ক, দেখতেও তেমন অভদ্র ধরনের।

প্রায়ই তাদের ঘর থেকে ঝগড়া আর চেঁচামেচির শব্দ শুনতাম। মাঝে মধ্যে মেয়েটির কান্নার শব্দও শুনতে পেতাম। দারোয়ান একদিন বলেছিলেন লোকটি নাকি রাতে মাতাল হয়ে বাসায় আসেন।

এরমধ্যেই একদিন বাইরে থেকে বাসায় আসার সময় দেখলাম পাশের ফ্ল্যাটে অনেক মানুষের ভীড়। কেউ একজন বললো যে, ঐ বাসার লোকটি নাকি তার বউকে মারছিলো, সেসময় কেউ পুলিশে ফোন করে দিয়েছে। পুলিশ এসে ধরে নিয়ে গেছে লোকটিকে।বাসায় ঢোকার পথে খোলা দরজা দিয়ে মেয়েটিকে দেখতে পেলাম। চেহারায় আঘাতের ছাপ ফুটে আছে।

এর তিন-চারদিন পর মেয়েটি আমাদের বাসায় এলেন। তিনি আর থাকবেন না তার স্বামীর সাথে, বাবার বাড়িতে চলে যাচ্ছেন, তার আগে একবার দেখা করতে এসেছেন মায়ের সাথে। কারো কাছ থেকে নাকি শুনেছেন, পুলিশকে আম্মাই কল করেছিলেন। তাই শেষ বারের মতো আম্মাকে ধন্যবাদ জানাতে আসা।

মাকে বললেন,
- 'আন্টি, আপনি ঐদিন পুলিশে ফোন না করলে শয়তানটা আমাকে মেরেই ফেলতো।'

আম্মা উনাকে বসতে বলে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করলেন। আমি ভেতরের ঘরে, এরমধ্যেই আম্মা আমাকে ডাকলেন।

আমি উনাদের সামনে যেতেই আম্মা বললেন,
- 'দেখো, ও তোমাদের ভার্সিটিতে তোমার সাবজেক্টেই পড়তো।'

আমাকে উনি আমার ব্যাচ জিজ্ঞেস করলেন। ব্যাচের নাম শুনে বললেন,
- 'ওহ, তুমি তাহলে আমার তিনবছরের জুনিয়র।'

বেশ কিছুক্ষণ কথা হলো আপুর সাথে। তার নাম জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন, তার নাম 'পুষ্পা।'

আমি জিজ্ঞেস করলাম,
- 'আপু, আপনি কি কখনো কবিতা আবৃত্তি করেছেন?'

পুষ্পা আপু হেসে বললেন,
- 'হ্যাঁ, ভার্সিটির দু'একটা ফাংশনে আবৃত্তি করেছিলাম।কেন?'

আমার ফোনে চিরকুটগুলোর ছবি ছিলো, সেগুলো আপুকে দেখালাম।ছবিগুলো দেখতে দেখতে আপু অবাক হয়ে গেলেন। বললেন,

- 'মনে তো হচ্ছে আমার জন্যই লেখা।'

- 'কে এগুলো লিখেছেন, আপনি জানেন?'

- 'না।'

- 'এখানে যে লেখা আছে আপনি সুস্থ হলেই সে আপনার সামনে যাবে?'

- 'আসলে আমি আর ভার্সিটিতেই যাইনি। আমার টাইফয়েড হয়েছিলো। দুমাস বাসায় ছিলাম। এর মাঝখানে সেমিস্টার ফাইনালও হয়ে যায়, একবছর ইয়ার ড্রপ হয়ে যায় আমার। সেই সময়ই এই বিয়ের প্রস্তাবটা আসে। বাসা থেকে বিয়েও দিয়ে দিল জোর করে। ছেলে ভালো চাকরি করে, অনেক টাকা পয়সা, আর কিছু দেখার তো দরকার ছিলো না।'

এটুকুই বলেই আপু কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেন। এরপর বললেন,
- 'বিয়ের পর ভার্সিটির কারো সাথেই আর যোগাযোগ ছিলো না।'

- 'আপু, আপনি কি ছবিগুলো নিবেন?'

- 'না। তুমি ছবিগুলো ডিলিট করে দিও।'

- 'আচ্ছা।'

- 'তুমি কি জানতে, কে লিখতো চিরকুটগুলো?'

- 'না, জানি না।'

পুষ্পা আপু চলে গেলেন। আমি একটা ব্যাপার বুঝতে পারছিলাম, আপু একটা জিনিস লুকাচ্ছেন। চিরকুটগুলো কে লিখেছিলো, তিনি জানতেন। তার চোখে তেমনই আভাস দেখা যাচ্ছিলো।

আমিও একটা ব্যাপার লুকিয়েছিলাম। জাকির ভাইয়ের কথাটা আপুকে বলি নি।পুষ্পা আপুর খোঁজ না পেলেও, আমি জাকির ভাইয়ের খোঁজ পেয়েছিলাম। চিরকুটগুলো জাকির ভাই লিখেছিলেন।তার বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই জানতেন, জাকির ভাই পুষ্পা আপুকে পছন্দ করতেন। সেই বন্ধুদের একজনের কাছ থেকে আমি তাদের গল্প শুনেছিলাম। পুষ্পা আপুর কোনো ছবি ছিলো না বন্ধুটির কাছে। থাকলে হয়তো এতোদিন বসে থাকতে হতো না পুষ্পা আপুর খোঁজে। আর খোঁজ বা এমনিও পেতাম কই? বিয়ের পরতো তার বন্ধু-বান্ধবরাই তার খোঁজ জানতো না। তিনিও কোনো খোঁজ জানতেন না তাদের।

এজন্যই আমি আপুকে জাকির ভাইয়ার নামটি বলি নি। কারণ নামটি বললে সাথে সাথে জাকির ভাইয়ের মৃত্যুর খবরটিও বলতে হতো। পুষ্পা আপুর বিয়ের পরদিন জাকির ভাইয়ার মৃতদেহ পাওয়া যায় রেললাইনের পাশে। আশেপাশের সবাই বলেছেন, অন্যমনস্ক হয়ে হাঁটছিলেন জাকির ভাই, ট্রেন আসার হুইসেল শুনতে পাননি।

ভালো থাকুক পুষ্পা আপু। জাকির ভাইয়ের মৃত্যুর খবর দিয়ে তার দুঃখের ভার আর বাড়াতে চাই না।
(সমাপ্ত)

----------------
#ছোটগগল্প
#প্রিয়_পুষ্পা
#লেখা_সোয়েব_বাশার

আমি কখনোই আমার মনের মধ্যে জমে থাকা কথা গুলো কাউকে বলতে পারি না। খুব কাছের বন্ধু বান্ধবীকেও না, খুব বেশি প্রিয় ভাবা মানুষ...
19/12/2023

আমি কখনোই আমার মনের মধ্যে জমে থাকা কথা গুলো কাউকে বলতে পারি না। খুব কাছের বন্ধু বান্ধবীকেও না, খুব বেশি প্রিয় ভাবা মানুষ গুলোকেও। কেন যেন সব কিছুতেই আমার ভিতরে সব সময় একটা জড়তা কাজ করে। অনেক কিছু বলতে গিয়েও আটকে যায়।

আজকাল তো এমন হয়েছে, কারো কাছে আমার খুব প্রয়োজনীয় জিনিসটা চাইতেও আমার একরাশ সঙ্কোচ কাজ করে। যদি কিছু চেয়েও বসি তাহলে পরক্ষণেই ভাবি এটাতে তার কোনো ক্ষতি হবে না তো? হয় তো এটা পরে তার কাজে লাগতো..! ইসসস্ এইটা তার কাছ থেকে চাইলাম? সে কি ভাবলো? এসব ভাবতে ভাবতেই অর্ধেকটা সময় চলে যায়।

যত বড় হচ্ছি, যত সময় যাচ্ছে আমার এই মন মানসিকতাটা আরও প্রগাঢ় হচ্ছে। আজকাল তো এমন হয়েছে দামী জিনিস দেখলেই আর সেটা নিতে ইচ্ছে করে না, মনে হয় নিয়ে কি করবো? সেই তো পড়েই থাকবে। প্রয়োজন ব্যতিরেকে কোনো কিছু নেয়াটাকে আজকাল শখ মনে হয় না। মনে হয় জিনিসের অপচয়....!!!!!!

সবচেয়ে বাজে একাকিত্ব কি, জানেন?যখন পাশে কেউ থাকার পরেও নিজেকে নিঃস্ব মনে হয়, একটা মানুষ থাকার পরেও বারবার একা হয়ে যেতে হ...
18/12/2023

সবচেয়ে বাজে একাকিত্ব কি, জানেন?
যখন পাশে কেউ থাকার পরেও নিজেকে নিঃস্ব মনে হয়, একটা মানুষ থাকার পরেও বারবার একা হয়ে যেতে হয়!নিজেকে নিজের কাছে তখন বড্ড অসহায় লাগে!

একাকিত্ব যন্ত্রণার কিন্তু কেউ থাকার পরেও একা লাগা অনুভূতিটা; তার থেকেও বেশি যন্ত্রণার!

আর এই অনুভূতিটা কখন হয়, জানেন?
যখন আপনি কাউকে তীব্র ভাবে ভালোবাসবেন, যখন মানুষটা ছাড়া এক মুহূর্ত থাকতে পারবেন না, ঠিক তখনই সৃষ্টি হবে এমন একাকিত্বের!

সম্পর্কে একতরফা আসক্তি খুবই ভয়ানক, যা একসময় মানসিক ভাবে ভেঙ্গে দেয়! এ যন্ত্রণা থেকে মুক্তির জন্য তখন আপনি নিজেকে সরিয়ে নিয়ে আসতে চাইলেও, সরিয়ে আনতে পারবেন না!

জানেন তো?
জেনেশুনে কেউ আগুনে ঝাপ দিতে চাইলে, আগুনে পুড়ে অঙ্গার হলেও কাউকে দোষারোপ করা যায় না!জেনেশুনে যে মিছে মায়ার পিছনে ছুটছেন, তা কেবলই মরিচীকা! সুখ ভেবে আপনি দুঃখটাকেই লালন করছেন অন্তর দিয়ে!

কেউ থাকার পরেও যদি একা লাগে, নিজেকে নিঃস্ব মনে হয়, তবে সেই কেউ একজন থাকার তো কোনো মানে নেই। মানুষকে যে ভালোবাসতে গেলে, তার খুব কাছাকাছি থাকতে হবে; এমন তো কোনো কথা নেই। মানুষটাকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসলে তাকে অবমুক্ত করে দিয়ে নিজের মতো করে বাঁচাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

চাইলেই নিজেকে বদলানো যায়, তবে চাইলেই বাস্তবতা কিংবা পরিস্থিতি কখনোই বদলানো যায় না! বাস্তবতা কিংবা পরিস্থিতি বদলানোর বৃথা চেষ্টা না করে, বরং নিজেকেই না হয় বদলে ফেলুন।নিজেকে নিজে সময় দিন, নিজেকে নিজে ভালোবাসুন, নিজেকে নিজে বোঝার চেষ্টা করুন, নিজের ভালো থাকার দায়িত্বটা শুধু নিজেই নিয়ে নিন।

কেউ থাকার পরেও বারবার একা হয়ে যাওয়ার থেকে, একাকিত্বকে বরণ করে নিজের মতো করে বেঁচে থাকাটাই অতি উত্তম। এতে কষ্ট হলেও, তীলে তীলে বারবার বেঁচে থেকেও ম*রে যেতে হয় না!

সারাদিন বিরক্ত করা মানুষটা আপনার অন্তরে সব থেকে বেশি রেখাপাত করবে, যখন সে আর বিরক্ত করবে না।বিরক্তিকর মানুষগুলোর ভালবাসা...
18/12/2023

সারাদিন বিরক্ত করা মানুষটা আপনার অন্তরে সব থেকে বেশি রেখাপাত করবে, যখন সে আর বিরক্ত করবে না।

বিরক্তিকর মানুষগুলোর ভালবাসা অমুল্যই থেকে যায়। কারণ তারা চলে না গেলে তাদের ভালাবাসা বুঝা যায় না।

সেই মানুষগুলো আর শুনতে পায় না -
- সে যাকে সারাদিন বিরক্ত করতো সেই অবুঝ মানুষটা আজ তাকে বড্ড মিস করছে।

সে আকাশ পাতাল একাকার করে "ভালোবাসি" "ভালোবাসি" বলছে, অথচ কেও শুনতে পায় না।

সে দু হাত প্রসারিত করে তার পানে চেয়ে থাকে, অথচ সে আর ফিরে আসে না।

কিছু ভালোবাসা এভাবেও শেষ হয়ে যায়।
কিছু ভালোবাসা অসমাপ্তই থেকে যায়।
কিছু মায়াকান্নার জল নীরবেই ঝরে যায়।

কেউ দেখার থাকে না। শোনার থাকে না। বোঝার থাকে না।

হৃদয় নিংড়ানো ব্যথাগুলো অশ্রু হয়ে ঝরতে থাকে, আর সে ভাবতে থাকে - আর একবার সুযোগ চাই।

সে আর সুযোগ পায় না।

বিরক্তিকর মানুষটা বেঁচে থাকে অবহেলা করা সেই মানুষের ঘৃণিত প্রতিচ্ছবি নিয়ে।

আর এপারের মানুষটা জ্বলতে থাকে ভালোবাসার
দাউদাউ আগুনে।

বনের সবচেয়ে লম্বা প্রাণী জিরাফ যার উচ্চতা ঊনিশ ফুট পর্যন্ত হতে পারে যেখানে বনের রাজা সিংহের উচ্চতা মাত্র চার ফুট,বনের সব...
18/12/2023

বনের সবচেয়ে লম্বা প্রাণী জিরাফ যার উচ্চতা ঊনিশ ফুট পর্যন্ত হতে পারে যেখানে বনের রাজা সিংহের উচ্চতা মাত্র চার ফুট,

বনের সবচেয়ে বড় প্রাণী হাতির ওজন যেখানে আঠারো ঊনিশ হাজার কেজি সেখানে বনের রাজা সিংহের ওজন মাত্র একশ থেকে দুইশো কেজি পর্যন্ত হয় ৷

বনের সবচেয়ে দ্রুত গতি সম্পন্ন প্রাণী চিতা বাঘ যে সত্তর মাইল বেগে দৌড়াতে পারে সেখানে সিংহ শরীরের ওজনের কারণে পাঞ্চাশ মাইল বেগ উঠাতে হিমশিম খেতে থাকে,

বনের বুদ্ধিজীবী শিম্পাঞ্জির মতো সিংহের এতো বুদ্ধি টুদ্ধিও নেই ৷

বনের অন্যপ্রাণী থেকে শুরু করে হালের পিঁপড়াও সিংহের চেয়ে কর্মঠ কারণ সিংহরা অলস প্রকৃতির হয় ৷

অবসর সময়ে অলস হয়ে ঘুমিয়ে থাকা সিংহের আরেকটি আর্ট

তবুও সিংহ বনের রাজা কারণ সিংহের রয়েছে আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব! সে একান্ত ক্ষুধা না লাগলে অন্য প্রাণীদের আক্রমণ করেনা ৷

সিংহ এমন এক প্রকৃতির প্রাণী যে কখনো বনের অন্য কোন প্রাণীকে পরোয়া করে চলতে শিখেনি ৷

প্যানথেরাগণের চারটি বৃহৎ বিড়ালের মধ্যে সিংহ একটি অথচ একজনের আচরণ হালুম! হালুম! রাজার মতো অন্যজনের ম্যাও! ম্যাও! প্রজার মতো!

সিংহরা নিজের থেকেও এলাকা এবং পরিবার পরিজন রক্ষার্থে প্রয়োজনে সহিংস হয়ে উঠে,

গবেষণায় দেখা গেছে বনের অন্যান্য প্রাণীরাও সিংহকে সমীহ করে চলে তার মনোভাব কিংবা এটিচ্যুয়েডের কারণে সে যেটা নিজের মধ্যে লালন করে চলে যে আমিই সেরা ৷

সিংহ যদি ভাবতো আমি লম্বা না বেটে, বড় না ছোট, কর্মঠ না বরং অলস, দ্রুত গতির না কম গতি সম্পন্ন, বুদ্ধিমান না বরং বোকা তাহলে সে কখনো বনের রাজা ট্যাগ পেতো না ৷

প্রায় একশো বর্গকিলোমিটার রাজ্যে এক একটা সিংহ আধিপত্য করে থাকে ভাবটা এমন এটা তো আমার অঞ্চল ৷

রাজকীয় ভঙ্গি, দৃঢ় পদচারনা, কঠিন মনোভাব থাকা সত্ত্বেও শিকার করার ক্ষেত্রে সিংহের সফলতার হার মাত্র সতের আঠারো পার্সেন্ট মানে প্রতি দশবারে আট বার সে ব্যর্থ হয় তবুও সে দমে যায় না অদম্য বলেই বনের রাজা খ্যাতি লাভ করেছে ৷

সিংহ নিঃশব্দে শিকার করে জীবনের প্রয়োজনে তার তখন এতো হুংকার ঝংকার থাকে না ৷

আত্মরক্ষা কিংবা ক্ষুধার কারণ ছাড়া সে অকারণে অন্য প্রাণী হত্যা করে না ৷

প্রকৃতিতে সিংহ তার পরিবারের খেয়াল রাখে শেয়ার কেয়ারের মাধ্যমে বিরতিহীনভাবে,

সিংহ সব সময় বিপদে আপদে একে অপরের পাশে থাকে,

বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর সবচেয়ে সাহসী প্রাণী সিংহ,

সিংহের তো তবুও শরীর সামর্থ্য কিছুতো আছে সে বনে থাকে নখ আছে ভাব থাকে

কিন্তু, এই যে মশাটি এখন কামড় দিয়ে গেলো সে হলো পৃথিবীর সবচেয়ে সাহসী প্রাণী যে জীবন ধারণের জন্য পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রাণী মানুষের সাথে খেলে চলে কিন্তু তার কোন কিছু নেই শুধু বেঁচে থাকার স্বপ্ন ছাড়া ৷

যারা বলে আমার তো মামা নেই, বাবা নেই, টাকা নেই, ক্ষমতা নেই, সামর্থ্য নেই, এটা নেই ওটা নেই সেটা নেই তাদের জন্য মশা হলো সবচেয়ে বড় মোটিবেশন!

মশারা আড়াই দিন বাঁচে তবুও বেঁচে থাকার জন্য জীবন বাজি রাখে........!

লিখেছেন, Abdur Rob Sharif

কেমন করে বোঝাই আমিবড্ড এলোমেলো ।বুকের ভেতর গল্প বাঁধে তোমার স্মৃতিগুলো ‌।একলা জাগি রাতের বুকেকান্না জমে চোখে ।রাত পাখিটা...
17/12/2023

কেমন করে বোঝাই আমি
বড্ড এলোমেলো ।
বুকের ভেতর গল্প বাঁধে
তোমার স্মৃতিগুলো ‌।

একলা জাগি রাতের বুকে
কান্না জমে চোখে ।
রাত পাখিটাও কেঁদে ওঠে
না জানি কার শোকে।

রাত কেঁদেছে একলা একা
মন বলেছে আড়ি‌।
স্মৃতি বুকে হারিয়ে যাবো
ফিরবো না আর বাড়ি।💙

প্রিয় মানুষ তো অনেক থাকে, তার মধ্যে অতিপ্রিয় একজন মানুষ থাকে। আর সেই প্রিয় মানুষের কিছু প্রিয়তম আবদার থাকে। দেখবেন হঠাৎ ...
17/12/2023

প্রিয় মানুষ তো অনেক থাকে, তার মধ্যে অতিপ্রিয় একজন মানুষ থাকে। আর সেই প্রিয় মানুষের কিছু প্রিয়তম আবদার থাকে। দেখবেন হঠাৎ অসময়ে এমন কিছু আবদার করে বসবে, যে আবদার আপনার সাধ্যের মধ্যে থাকলেও সম্ভব এর মধ্যে থাকেনা।

ধরেন হঠাৎ করে আপনাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে তার। আর ওই সময়ে আপনি কোন একটা বিষয়ে ব্যস্ত আছেন, ধরেন আপনি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতেছেন, বা আপনি ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন কিংবা অন্যকোন কিছু করছেন।
তখন কি করবেন আপনি?, নিশ্চয়ই তাকে বুঝানোর চেষ্টা করবেন নাহ বুঝলেও বুঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

কিন্তু ভাই খালি চোখ গুলো কি আর বুঝ মানে? যতক্ষন আপনি তার আবদার পুরন না করছেন সে গুমরা মুখে বসে থাকবে। আর আপনার কাছেও অশান্তি লাগবে, কোন কিছু করে শান্তি পাবেন না। না খেয়ে শান্তি, না ঘুমিয়ে শান্তি। অশান্তি আপনাকে তাড়া করে বেরাবে প্রতিনিয়ত।

এই অশান্তিজনক সব কিছু যখন আপনার কাছে বিরক্তিপ্রকাশ করবে, তখন আপনার মনটাও চাইবে, যাইনা একবার দেখা করে আসি, একটু দেখা করলে কি আর হবে। হয়তো ওই মায়াবি চাঁদমাখা মুখ দেখে একটা রাত ই নাহয় নির্ঘুমে কাটবে। তবুও তার আবদার টা পুরন করে আসি।

মনে করেন, সে আপনাকে দুপুরে দেখতে চেয়েছে, কিন্তু ব্যস্ততায় আর এসব চিন্তা করতে করতে রাত হয়ে গেছে। তখন আপনি ভাবছেন রাত তো হয়েই গেলো আজকে বোধহয় দেখা হবে না! কালকে সকালে দেখা করে আসবো। এই কথা ভেবে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরলেন, আর আফসোস করতে লাগলেন এতো করে সে বললো একবার আমায় দেখবে, কিন্তু দেখা করতে পারলাম না। এসব ভাবতে ভাবতে মধ্যরাত হয়ে চোখে আপনার ঘুম চলে আসবে।

কিন্তু আপনি হয়তো ভুলে গেছেন মানুষ একবার যেটা মন থেকে তীব্র ইচ্ছা নিয়ে চায় সেটা পূর্নতা না পাওয়া পর্যন্ত তার কোন কিছুতেই মন বসাতে পারবে না। মানুষ খুব আজব প্রাণী!যেটা সে পাবেনা জেনেও সেটার পেছন ছাড়তে নত হয়না কখনো। যেকোন উপায়ে হোক, যে কোন সময়ে হোক তার সেটা লাগবেই। আমার মনে হয়, মানুষের তীব্র ইচ্ছা ঘুমানোর আগ পর্যন্ত সজাক থাকে, ঘুম থেকে উঠার পরে পুনঃরায় সে ইচ্ছাগুলো বেশি থাকে না। সে আপনাকে দেখতে চেয়েছে তাকে আপনার দেখা দিতেই হবে।

আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন এই মধ্যরাতে সে আবার আপনাকে দেখার জন্য মিনতি করবে?

হ্যা, কিছু পাগলি, প্রিয় মানুষগুলি এমনটাই হয়ে থাকে। আর যদি সত্যিই আপনাকে মাঝরাতে বলে "আমার বারান্দার নিচে একটু আসো, খুব দেখতে ইচ্ছে করছে তোমায়"। আপনিও তখন আর কোন কিছু না ভেবে এই শীতের মধ্যে গরম কম্বল থেকে বের হয়ে তার চাঁদবরণ মায়াবি মুখটা দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে পরবেন।

এই শীতে যখন গুটিশুটি মেরে তার বারান্দার নিচে গিয়ে তার মুখটা দেখতে যাবেন, ঠিক তখন সে আপনার সাথে লুকোচুরি খেলবে। একবার উকিঁ দিয়ে আপনাকে দেখবে, আবার আড়ালে চলে যাবে। যখন তার পুরো মুখটা আপনি দেখতে পাবেন, তখন মধ্যরাতে ভেসে থাকে আলোকিত চাঁদটাকে খুব হিংসে হবে আপনার। আর মনে মনে ভাববেন, চাঁদটা তার নিজের সৌন্দর্য তাকে ধার দিয়েছে কেনো।

এসব পাগলামি চিন্তা করতে করতে যখন আবার বিছানায় যাবেন ঘুমানোর উদ্দেশ্যে, তখনই টের পাবেন অসস্থি কাকে বলে। ঘুমতো আসবে না সেটা আগে থেকেই জানতেন, কিন্তু তার মুখটা আপনার চোখ থেকে একপলকের জন্যও আড়াল করতে পারবেন না। সারারাত জেগে জেগে আফসোস করবেন, " ধুর! কেনো যে দেখা করতে গেলাম, সকালে গেলেও পারতাম"।

আসলে কিছু প্রিয়জনদের ছেলেমানুষি আবদার গুলো বড্ড যন্ত্রনা দেয়। কবে, কখন, কোথায়, কোন সময় যে একটা বাহানা করে বসবে বলা যায়না।

ইগোকে যারা আত্মসম্মান বলে দাবী করে তাদের উদ্দ্যেশে একটা কথাই বলবো, ইগো আর আত্মসম্মান সম্পূর্ণ দুটি আলাদা বিষয়। ছোট খাটো ...
17/12/2023

ইগোকে যারা আত্মসম্মান বলে দাবী করে তাদের উদ্দ্যেশে একটা কথাই বলবো, ইগো আর আত্মসম্মান সম্পূর্ণ দুটি আলাদা বিষয়। ছোট খাটো অভিমান গুলোকে আমরা এক পর্যায়ে ইগো রূপে পরিনত করি। সম্পর্কে ঝগড়া, অভিমান স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু দিনশেষে যাকে ছাড়া আপনার চলবে না, যাকে আপনার প্রয়োজন তার সাথে ইগো দেখানো নেহাতই একটা বোকামি।

সব সময় তুমি আগে কেন কথা বললে না, তুমি কেন এটা করলে না, আমিই কেন সব সময়! একবার ভাবুন তো, আপনার মতো যদি সেও এই কথা গুলো আপনাকে বলে তখন! টিকবে সম্পর্ক? কখনোই টিকবে না। কাছের মানুষটার কাছে সরি বললে কখনো হেরে যাবেন না। বরং সরি বলা মানে তার আরও কাছে চলে যাওয়া। ইগোর জন্য প্রতিদিন কত কত মিষ্টি সম্পর্কে পচন ধরে যাচ্ছে। চাইলেও পরে আর সেই পচে যাওয়া সম্পর্ক ঠিক হবে না।

ইগোর চাপে ভালোবাসার মানুষটাকে হারিয়ে ফেলার পরে হাজার কাঁদলেও আর তাকে ফেরানো যাবে না। আমাদের কাছের মানুষ গুলোকে হারানোর জন্য দায়ী আমরাই এবং আমাদের আত্মসম্মান নামক ইগো। রাগের মাথায় খুব সহজে বলে দেয়া যায়, এই কথাই শেষ কথা। কিন্তু রাগ শেষে যাকে ছাড়া আপনার পুরো পৃথিবী অন্ধকার, কী দরকার তার সাথে ইগো দেখানোর!

সেই তো ইনবক্স ঢুকে তার ম্যাসেজের অপেক্ষাই করবেন। অপেক্ষা না করে বরং নিজেই আগে ম্যাসেজ করুন, তার কাছে গিয়ে নত হয়ে সরি বলুন। বিশ্বাস করুন, ভালোবাসার মানুষের কাছে সরি বললে আপনি ছোট হয়ে যাবেন না। বরং তার কাছে আপনার ভালোবাসার গুরুত্ব বাড়বে।

ইগোর জায়গায় ইগো পড়ে থাকুক, প্রিয়জন গুলো নিজের কাছে থাকুক, ভালো থাকুক।

আপনি সুন্দর ছবি আঁকলেন কিংবা সুন্দর কোনো লেখা লিখলেন, পাবলিক গ্রুপ পেইজে পোস্ট করলে দেখবেন অনেকেই প্রশংসা করছে, কোনো ভুল...
16/12/2023

আপনি সুন্দর ছবি আঁকলেন কিংবা সুন্দর কোনো লেখা লিখলেন, পাবলিক গ্রুপ পেইজে পোস্ট করলে দেখবেন অনেকেই প্রশংসা করছে, কোনো ভুল ত্রুটি হলে সেটাও ধরিয়ে দিচ্ছে, একশো জনের মধ্যে দুই একজন কটুক্তি করবে।

এরকম দুই একজন নেগেটিভ মাইন্ডের সব জায়গায়ই থাকে সেটা ব্যাপার নাহ। তাদের ইগনোর করা শিখতে হবে, মনে নিলেই কিন্তু মন খারাপ হবে। এমনটা করা যাবে না।

এবার আসল কথায় আসি। যেই ছবি এবং লেখা পাবলিক গ্রুপ পেইজে পোস্ট করেছিলেন একই জিনিস নিজের টাইমলাইনে করে দেখবেন অনেকেই তা দেখেও ইগনোর করে যায়, প্রশংসা তো পরের কথা, কখনো রিয়েক্টও করবে না।

এরা আসলে হিংসুক মানুষ। আপনার ভালো কিছু তে তার হিংসা হয় বলেই এড়িয়ে যায়। আবার অনেকেই দেখবেন সাথে সাথে রেসপন্স করে, এদের মন পরিষ্কার। এরা এতো হিংসা পেটে নিয়ে ঘুরে না।

এদেরকে আমার খুব ভালো লাগে❤️ আসলে কিছু মানুষ শুধু পরিচিত হয়েই লিস্টে থেকে যায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে এরা নিজে থেকে আপনার লিস্টে এড হবে সিসি ক্যামেরা হয়ে থাকার জন্য। শুধু আপনাকে দেখেই যায়। আপনিও দেখতে দেন, দেখুক যত মন চায় তত।

ডিপ্রেশন ভয়ংকর একটা জিনিস! কোনো মানুষ যদি এই ডিপ্রেশনে আটকে পড়ে তখন সে জ্ঞান শূন্য হয়ে যায়।কি করবে? কি করা উচিত? কোনটা ঠ...
16/12/2023

ডিপ্রেশন ভয়ংকর একটা জিনিস! কোনো মানুষ যদি এই ডিপ্রেশনে আটকে পড়ে তখন সে জ্ঞান শূন্য হয়ে যায়।

কি করবে? কি করা উচিত? কোনটা ঠিক কোনটা বেঠিক? হিতাহিত জ্ঞান টুকু থাকে না।

এই ডিপ্রেশন অনেক যন্ত্রণাদায়ক, ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকা মানুষ গুলো আর মানুষ থাকে না জীবন্ত লাশ হয়ে যায়। বেঁচে থাকার স্বার্থকতা ভুলে যায়, ভুলে যায় দায়িত্ববোধ, সমাজের জন্য পরিবারের জন্য তার প্রয়োজন অনেক।

ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকা মানুষটা এই অসহ্য যন্ত্রণা থেকে পেতে চায়, কারণ পৃথিবীর সব থেকে বেশি যন্ত্রণা দেয় এই ডিপ্রেশন। মন আর বিবেকের সাথে এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধ শুরু হয়। যার মুক্তি সে খুঁজতে থাকে...........

তখন আশেপাশের মানুষের যেমন ফ্যামিলি , বন্ধুবান্ধব আত্মীয় জন সহ সুস্থ স্বাভাবিক জ্ঞানী মানুষের প্রয়োজন হয়। এদের পজেটিভ সাপোর্ট ভালো ব্যবহারই পারে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি দিতে।

যখন এরকম কোনো কারো সাপোর্ট পায় না মানুষটি, তখন বেচে থাকাটা তার কাছে অর্থহীন হয়ে দাঁড়ায়। আর তারপর সে মুক্তি হিসেবে বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ........তখন একটি আত্মার সাথে একটি দেহের ও মৃত্যু হয়।

এরকম প্রবলেমে পড়লে আমাদের উচিত প্রিয়জনের শরণাপন্ন হওয়া, তাদের কাছে সব কিছু শেয়ার করা আর তাদের উচিত সান্ত্বনা দেওয়া,, বোঝানো, তাকে সময় দেওয়া, তবেই আত্মহত্যা নামক হাত থেকে একটি মানুষ রক্ষা পেতে পারে।

হ্যাঁ আপনার পাশে বসে থাকা মানুষটির দিকে তাকান,, দেখুন ঠিক আছে কিনা ?
মন মলিন করে আছে কিনা? বুঝার চেষ্টা করুন যদি বোঝেন কোনো ডিপ্রেশনে লোকটি ডুবে আছে যতই রাফ বিহ্যাভ করুক পাশে দাঁড়ান। তাহলে হয়ত পাশে থাকা মানুষটির অস্বাভাবিক, কল্পণাহীন মৃত্যু দেখতে হবে না।

আপনার ডিপ্রেশন যদি আপনার ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রকাশ পেতে শুরু করে, তাহলে আসলে আপনি ডিপ্রেসড নন। আপনি কেবল চাইছেন কেউ আপনার...
16/12/2023

আপনার ডিপ্রেশন যদি আপনার ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রকাশ পেতে শুরু করে, তাহলে আসলে আপনি ডিপ্রেসড নন। আপনি কেবল চাইছেন কেউ আপনার স্ট্যাটাস গুলো দেখুক,আপনাকে বুঝুক।
ফেসবুক এর টাইমলাইন আপনার দিনলিপি না যে লিখে রাখলাম,কেও দেখলো না। বরং বিভিন্ন জন বিভিন্ন কমেন্টস করে আপনাকে খোচা দিবে, ইনবক্সে জিজ্ঞেস করবে কি হয়েছে তোর?
এসব ডিপ্রেশন এখন যতটা না, মানসিক ব্যাধি তার চেয়ে বেশি হয়ে উঠেছে সামাজিক ব্যাধি।
কথাগুলো খোঁচা টাইপ লাগলে আমি দুঃখিত নই।
আপনি যেটাকে ডিপ্রেশন ভাবছেন, সেটা কেবল সাময়িক মন খারাপ, আর কিছুই না। পছন্দের খেলনা না কিনে দিলে বাচ্চাদের যেমন মন খারাপ হয়, ঠিক তেমন।
আর এই সাময়িক মন খারাপটুকু কেবলই আমাদের সময় নষ্ট করে। আমরা চাইলেই ইজিলি রিকভার করতে পারতাম। চাইলেই পারতাম খারাপ লাগা বিষয়টা থেকে মুখ ঘুরিয়ে অন্য দিকে মুভ করতে।
কিন্তু আমরা কি করি জানেন?
স্ট্যাটাস লিখি, "Game Over!
বিশ্বাস করেন, এই ধরনের পোস্ট কোনো হারানো বস্তু আপনার কাছে ফিরিয়ে আনবে না। বরং এক শ্রেণীর মানুষ আপনার থেকে দূরে সরতে শুরু করবে,
আবার কিছু মানুষের কাছে আপনার ইমেজও নষ্ট হবে।।
বাইরে থেকে দেখে যেনো কেউ ভুল করেও বুঝতে না পারে, আপনার উপর দিয়ে কি যাচ্ছে। সিম্প্যাথি দরকার হলে প্রার্থনায় বসে সৃষ্টিকর্তাকে বলুন।
ভালো কিছু পাবেন।
আর যেটা বলছিলাম, ডিপ্রেশন...!
ডিপ্রেসড হয়ে পড়লে আপনি নিজেই বুঝবেন না আপনার কি চাই! বিবশ হয়ে থাকবেন একদম। স্ট্যাটাস দেওয়ার মতো মুড থাকবে না। কাঁদতেও পারবেন না, বুঝতেও পারবেন না আসলে কি হচ্ছে!
এই "ডিপ্রেশন" নামক ভূতটা কেবল পারেই মানুষকে পিছিয়ে দিতে। চ্যালেঞ্জমুখী আর হতে দেয় না। আর ভূত তাড়াতে নিজেই নিজের ওঝা হয়ে যাওয়া ভালো। মন খারাপ কিংবা ডিপ্রেশনকে আসলে কখনোই প্রাধান্যই দেওয়া উচিত না। যা হওয়ার হয়ে গেছে।
দুঃখের গল্প কেউ শুনতে চায় না। যারা চায়, তাদের আসলে হাতে তেমন কোনো কাজ নেই, অথবা কিছু সময়ের জন্যে তাদের কাছে আপনি তাদের টাইম পাস করার টপিক।
সাবধান! নিজের সমস্যা লোকের কাছে বলে বেড়িয়ে নিজেকে হাসির পাত্র করতে যেয়েন না যেনো।

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা!আজ আমরা বিজয় দিবস উদযাপন করছি, আমাদের বিজয়, সহনশীলতা ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবে। এই দিনটি আমাদের বিজ...
16/12/2023

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা!

আজ আমরা বিজয় দিবস উদযাপন করছি, আমাদের বিজয়, সহনশীলতা ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবে। এই দিনটি আমাদের বিজয়ী পূর্বপুরুষদের স্মরণে উৎসর্গ করা হয়, যারা আমাদের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন এবং প্রাণ দিয়েছিলেন।

আসুন, এই দিনটিতে আমরা তাদের ত্যাগ ও সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আসুন, আমরা তাদের আদর্শকে অনুসরণ করি এবং একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করি।

বর্তমান সমাজে মেয়েদের নিয়ে ইস্যু করার একটা রম-রমা ব্যাপার। এমন কোনো মেয়ে খুঁজে পাওয়া দুস্কর হয়ে যাচ্ছে, যাঁদের বুক কোনো ...
15/12/2023

বর্তমান সমাজে মেয়েদের নিয়ে ইস্যু করার একটা রম-রমা ব্যাপার। এমন কোনো মেয়ে খুঁজে পাওয়া দুস্কর হয়ে যাচ্ছে, যাঁদের বুক কোনো ছেলে স্পর্শ করেনি। এমন কোনো মেয়ে নেই, যাঁদেরকে সতী বলা যায়! কি নির্মম বিদঘুটে ব্যাপার! অথচ ছেলেদের ব্যাপারে এর মাত্রা অতি নগন্য। বড়'ই হাস্যকর।

এতগুলো মেয়েকে অসতী করার নেপথ্যে কারা কারা কাজ করছে তার কোনো হদিস পাওয়া যায়নি! ধারণা করা হচ্ছে মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি গ্রহ থেকে কেউ কেউ এসে এসব কাজ করে আবার উধাও হয়ে যাচ্ছে! কি সুন্দর ন্যাকামি তা আমি পরিমাপ করতে পারিনি।

প্রতিটা বিপরীত লিঙ্গের মানুষের প্রতি আকর্ষণ বহু যুগ আগে থেকেই চলে আসছে, নতুন কিছু নাহ্! সমিকরণ মিলিয়ে দেখা যাবে অধিকাংশ মানুষ প্রজাতীর জীব থেকে শুরু করে প্রতিটা প্রজাতীর ভিতর এই নিয়ম প্রযোজ্য। সমিকরণ আরো বলছে, ছেলে এবং মেয়ে প্রজাতীর জীবেদের মাঝে সে!!ক্সু!!য়া!!ল সম্পর্কের কারণেই এই আকর্ষণ।

এখন আসি মূল ব্যাপারে! একটা মেয়েকে অসতী করার জন্য একটা ছেলেই যথেষ্ট। নজর ধ!!র্ষ!!ণ থেকে শুরু করে বিছানা ধ!!র্ষ!!ণ পর্যন্ত একটা ছেলেই পারে একটা মেয়েকে কলুষিত করতে।আপনি মানেন আর না মানেন এটাই বাস্তবতা।

আপনি কিভাবে ভুলে গেলেন, পরিমল এর মত মানুষের পরের কাতাড়ে থাকা অ-মানুষটিও একটা ছোটো মেয়েকে ভুলিয়ে ভালিয়ে যৌন সংযোম করেছিলো? পূজার ব্যাপারটাও ভোলার কথা নাহ্! অভিউসলি আপনি মনে রেখেছেন।

খারাপের কথা না হয় বাদ দিলাম। একটু ভালো কথা বলি! প্রতিটা সুশীল প্রজাতীর মানুষেরা মেয়েদেরকে কল্পনায় ধ!!র্ষ!!ণ করে যাচ্ছে নির্বিচারে। কোনো আইন তৈরি হয়নি এখনো।বুঝেছেন কি বোঝাতে চেয়েছি? বুঝলেন নাহ্?ঠিক আছে, আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি।

একটা ১২ বছরের মেয়ের ঋতুস্রাব নিয়ে লিখে ফেলেছে কয়েক কোটি লেখক টাইপ মানুষ।তলপেটে ব্যাথা থেকে শুরু করে রুটি জেলি পর্যন্ত তারা হুবহু কপি করে একটা সাদা পেজের উপর প্রিন্ট করেই চলেছে। এটা কি এক প্রকার ধ!!র্ষ!!ণ নয়?

গত কিছুদিন ধরে উইমেন চ্যাপ্টার নিয়ে চলা ইস্যুকে আমি অপরাধ বলে ধারণা করছি। একটা মেয়ের টাইমলাইন ঘুটে যতোটা বুঝতে পেরেছি, তাতে মেয়েদের দলটি পরিস্কার কিছু ব্যাপার তুলে ধরেছে। যাতে তিলমাত্র দ্বি-মত থাকা উচিৎ নাহ্।যদি কারো থাকে, তার ট্রেনের নিচে গলা দিয়ে আ!!ত্ম!!হ!!ত্যা করাটাই বেটার!

যখন একটা মেয়েকে পাবলিক বাসে অত্যাধিক যাত্রির সুযোগ নিয়ে কোমরে কয়েকটা কষা চাপ বসিয়ে দেওয়া হয় তখন কোনো মানুষরুপি জীব এগিয়ে আসেনা! মজা নিয়ে যায় শুধু। আর মেয়েটা? নিরবে চোখের জ্বল ফেলে চুপ হয়ে যায়। ভাগ্যিস ছেলেদের কোমরে কেউ চাপ দেয়নি! দিলে কুরুক্ষেত্র বাঁধিয়ে ফেলত নিশ্চয়ই। লজ্বার ব্যাপার।

আমি গুগল নিয়ে পড়ে থাকি অধিকাংশ সময়।অনলাইন পত্রিকা থেকে শুরু করে প্রতিটা ট্রেডিং নিউজে শুধু মেয়ে আর মেয়ের খবর ঘটা করে লেখা। হাসি পাবেনা এমন একটা খবর আজ পর্যন্ত আমার চোখে পড়েনি।

কয়েক বছর আগে একটা নিউজ দেখে হতভম্ব হয়েছিলাম।"ভি জি এফ" কার্ড দেওয়ার দেওয়ার কথা বলে একটা শিশুকে ধ!!র্ষ!!ণ করা হয়েছে।বাঁচা মরার ব্যাপারেও এই টাইপ মানুষগুলো যৌ!!ন!!তা!!র কমতি রাখবেনা বলে ধারণা করছি।

মেয়েরা অবলা, মায়ের জাত। এদেরকে শুধু ধ!!র্ষ!!ণ করাই মানায়, মাদার'স ডে শুধু শো-অফ করার জন্য। এমন ব্যাপারগুলো নিয়ে লিখে ফেলা চরম বোকামি। ব্লগার বলে কেউ পটল তুলিয়ে দিতে পারে! খুব সাবধান।

আমি মেয়েদের ব্যাপারে খুব সেন্সিটিভ। তবে এমন কিছু নেই যে, ওদের ব্যাপারে একচেটিয়া কিছু বলে দেব! তবুও বলছি, মেয়েদেরকে ছোটো করা বাদ দেওয়া হোক। হয়ত কোনো একদিন আপনিও মেয়ের বাবা হয়ে যাবেন! তখন কতটা ভালো লাগবে আপনার তা আমি জানিনা।

বাংলাদেশে খুব কম মেয়ে আছে যারা সারা জীবনে অন্তত একবারের জন্যও মোলেস্ট হয় নি রাস্তা ঘাটে! যেখানেই ক্রাউড সেখানে কোনো না ক...
15/12/2023

বাংলাদেশে খুব কম মেয়ে আছে যারা সারা জীবনে অন্তত একবারের জন্যও মোলেস্ট হয় নি রাস্তা ঘাটে! যেখানেই ক্রাউড সেখানে কোনো না কোনো মেয়ে মোলেস্ট হবেই! সে তিনি যে পোশাক ই পরবেন না কেনো, যত অমায়িক ভাবেই চলবেন না কেনো!!!

মেলা হচ্ছে!! যাওয়ার জো নেই! কোথা থেকে একটা হাত এসে ছুয়ে যাবে জঘণ্য ভাবে! পাবলিক বাসে উঠবেন?? দাঁড়িয়ে থাকুন আথবা সিটে বসুন, যায় আসে না!! সুযোগ পেলে কারসাজি দেখিয়ে দেবেন পাশে বসে থাকা পিশাচ টা!!

সব মানুষ এক নয়!! পৃথিবীতে ভালো মানুষের সংখ্যা বেশি!! কিন্ত খারাপ মানুষ গুলো তাদের উপস্থিতির জানান খুব জোরালো ভাবে দেয় বলেই আজ খারাপের জয়জয়কার!! বা ভালো বললেই কি সব শেষ হবে?? রাস্তায় সুপুরুষের চেয়ে কুপুরুষ দেখি বেশি আর কুপুরুশেষ চেয়ে কাপুরুশ দেখি বেশি!! কেনো?? মেয়েটা মোলেস্ট হলো, চিল্লিয়ে উঠলো অথচ "চেতনাধারী" পুরুষটি একবার ও এগিয়ে এলেন না! আপনি আজ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেন, কাল আপনার বোন অথবা আপনার মা অথবা আপনার সহধর্মীনি লান্ছিত হবে আর অনেক পুরুষ মেরুদন্ডহীন হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে দেখবে, ঠিক আপনার মতো!!

জানেন তো?? প্রকৃতি শূণ্যস্থান পছন্দ করে না!

জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথাগুলো গলা ফাটিয়ে জানাতে ইচ্ছা করে! শুধু আমার না, সব মেয়েদের কথা বললাম!! কিন্তু কোনো লাভ নেই!! কিছু মানুষ মোলেস্ট করবে, কিছু মানুষ তা দাঁড়িয়ে থেকে দেখবে আর কিছু মানুষ সমাধান হিসাবে মেয়েদের বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে!! এ কোন জাহিলিয়াতের যুগে আছি আমরা??

আমরা কি মনে হয় জানেন?? ওই পিশাচগুলো যদি সুযোগ পেতো হয়তো নিজের মা কেও অন্ধকারে হাতড়ে নিতো!! তাদের পুরুষত্ব এতোই নিচে যে তারা রাস্তায় চলা সব মেয়েদের ই পতিতা মনে করে!! তাহলে মা আর কি দোষষ করলো!!

তবে একটা সমাধান বলে দিই আপুরা!! হাতে সেফটিপিন অথবা ছোট এন্টিকাটার নিয়ে ঘুরবেন!! বিশ্বাস করেন, আপনাকে বাঁচাতে আাসার কেউ নেই! নিজের মনে আস্থা রাখুন!! আপনি মেয়ে এটা ভাবার আগে আপনি মানুষ সেটা ভাবুন! জীবনে আর যাই হোক, অন্তত এসব ক্ষেত্রে সাহয্যের জন্য অন্যের মুখ পানে চেয়ে থেকে কোনো লাভ নেইই!

Address

Khulna
9385

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Anabia Chowdhury Anayea posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Anabia Chowdhury Anayea:

Videos

Share



You may also like