Update news

Update news We never compromise with authentic news and

update news, From our starting day to till now, we are successfully ensuring to bring justice to injustice, give voice to the voiceless, and put light to every unfairness which causes degradation to our society.

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে পাঁচে বাংলাদেশনিউজিল্যান্ডকে তাদেরই মাটিতে প্রথমবার হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। ইবাদত হোসেন...
05/01/2022

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে পাঁচে বাংলাদেশ
নিউজিল্যান্ডকে তাদেরই মাটিতে প্রথমবার হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। ইবাদত হোসেনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে দাপট দেখিয়ে ৮ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে মুমিনুলবাহিনী।

পঞ্চম ও শেষ দিনে ইবাদত হোসেন ও তাসকিন আসমেদের বোলিং তোপে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। মাত্র ১৬৯ রানে অলআউট হয় তারা। তাতে বাংলাদেশের সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৪০ রান। আর সেটা ১৬.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ছুঁয়ে ফেলে। ঐতিহাসিক এ জয় বাংলাদেশের ক্রিকেটে নতুন সূর্যোদয়। গত বছরের জুনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনে হওয়া ফাইনাল ম্যাচটিতে বিরাট কোহলির ভারতকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা হাতে তোলে কিউইরা। যে আসরে তলানিতে থেকে শেষ করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম আসরে কোনো জয়ের মুখ না দেখতে পারা দলটিই দ্বিতীয় আসরে এসে হারিয়ে দিয়েছে চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডকে। সেটা আবার তাদেরই মাটিতে। হ্যাঁ, অবিশ্বাস্য শোনালেও এটিই সত্য।এই জয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে নামের পাশে যোগ করেছে মূল্যবান ১২টি পয়েন্ট।

এতে করে পয়েন্ট তালিকায় পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। তাদের ওপরে আছে কেবল অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান আর ভারত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড এখন বাংলাদেশের নিচে। এখনও পয়েন্টের খাতা খুলতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।

৫৩ পয়েন্ট নিয়েও শতকরা হিসেবে পিছিয়ে থাকায় (৬৩.০৯ শতাংশ) চার নম্বরে আছে ভারত। শতভাগ সাফল্যে এক নম্বরে অস্ট্রেলিয়া (৩৬ পয়েন্ট), দুইয়ে শ্রীলঙ্কা (২৪ পয়েন্ট)।

৭৫ শতাংশ জয় আর ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে পাকিস্তান। পাঁচ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ ১২ পয়েন্ট পেয়েছে ৩৩.৩৩ শতাংশ ম্যাচ জিতে।

ওমিক্রন নিয়ন্ত্রণে ১৫ দফায় যা আছেকরোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ঠেকাতে সারাদেশে ১৫ দফা নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধ...
05/01/2022

ওমিক্রন নিয়ন্ত্রণে ১৫ দফায় যা আছে
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ঠেকাতে সারাদেশে ১৫ দফা নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বিকেলে তথ্য অধিদপ্তরের এক তথ্য বিবরণীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৫ দফা নির্দেশনার কথা জানানো হয়।১৫ দফা নির্দেশনায় রয়েছে—
১. দেশের বন্দরগুলোতে ওমিক্রন আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্ক্রিনিং জোরদার করতে হবে।

২. সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে।

৩. বাড়ির বাইরে সব সময় সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।

৪. রেস্তোরাঁয় ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম লোক বসে খেতে পারবে।

৫. সব ধরনের জনসমাবেশ, পর্যটন স্থান, বিনোদন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, সিনেমা হল, থিয়েটার হল ও সামাজিক অনুষ্ঠানে (বিয়ে, বৌভাত, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি) ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক বা তার কম লোক অংশ নিতে পারবে।

৬. মসজিদসহ সব উপাসনালয়ে মাস্ক পরাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।

৭. গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।

৮. আক্রান্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে।

৯. সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টারে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।১০. সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সেবাগ্রহীতা, সেবাপ্রদানকারী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরাসহ সকল স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।

১১. যারা এখনও কোভিড টিকা নেননি, টিকাকেন্দ্র গিয়ে তাদের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে।

১২. কোভিডের উপসর্গ/লক্ষণযুক্ত সন্দেহভাজন বা নিশ্চিত কোভিড রোগীদের আইসোলেশন এবং কোভিড রোগীদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা অন্যদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

১৩. কোভিডের লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে রাখা এবং তার নমুনা পরীক্ষার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে সহায়তা করতে হবে।

১৪. অফিসে প্রবেশ এবং অবস্থানকালীন সময়ে বাধ্যতামূলকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে; সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি দাপ্তরিকভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

১৫. টিকা নেওয়া থাকলেও বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। কমিউনিটি পর্যায়ে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির জন্য মাইকিং ও প্রচার চালানো যেতে পারে।

বুস্টার ডোজে তিন ধরনের টিকা দেওয়া হবেরাজধানীসহ দেশজুড়ে ৬০ বছরের বেশি বয়সী ও করোনাকালে যাঁরা সম্মুখসারিতে থেকে কাজ করেছেন...
28/12/2021

বুস্টার ডোজে তিন ধরনের টিকা দেওয়া হবেরাজধানীসহ দেশজুড়ে ৬০ বছরের বেশি বয়সী ও করোনাকালে যাঁরা সম্মুখসারিতে থেকে কাজ করেছেন, তাঁদের আজ মঙ্গলবার কিংবা কাল থেকে করোনার টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হবে। এই কার্যক্রমে দেওয়া হবে তিন ধরনের টিকা।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিঞা গতকাল সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘দেশের সবাইকে দুই ডোজ ভ্যাকসিন অবশ্যই নিতে হবে। কাল (আজ) থেকে ষাটোর্ধ্ব এবং সম্মুখসারির যোদ্ধারা বুস্টার ডোজ পাবেন।’কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক এবং জাতীয় কভিড-১৯ ভ্যাকসিন পরিকল্পনার সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক গতকাল বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে সোমবার সকালে চিঠি দিতে পারিনি। সে কারণে বিকেলে চিঠি পাঠানো হয়েছে। শুধু ঢাকায় নয়, দেশজুড়ে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও মডার্না—এ তিন ধরনের টিকা দেওয়া হবে। চীনের কোনো টিকা এ ক্ষেত্রে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়নি।

তিনি আরো বলেন, ৬০ বছরের বেশি বয়সী ও করোনাকালে যাঁরা সম্মুখসারিতে থেকে কাজ করেছেন তাঁরা আগে যে কেন্দ্র থেকে টিকা নিয়েছেন, সেই কেন্দ্র থেকেই বুস্টার ডোজ পাবেন।

এদিকে সরকারের আইসিটি বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বুস্টার ডোজের জন্য আলাদা করে নিবন্ধন করতে হবে না। তবে বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য নতুন করে টিকা কার্ড ডাউনলোড করে নিতে হবে।

ওমিক্রনের চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে ডেলমিক্রনবিশ্ব যখন ওমিক্রনের ঝুঁকি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে, এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে মহামারি ক...
25/12/2021

ওমিক্রনের চেয়েও ভয়াবহ হতে পারে ডেলমিক্রন
বিশ্ব যখন ওমিক্রনের ঝুঁকি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে, এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাসের আরও এক নতুন ধরন ডেলমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট।

এই নতুন ধরনও ওমিক্রনের পর ত্রাস সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্ব যখন ওমিক্রনের ঝুঁকি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে, এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাসের আরও এক নতুন ধরন ডেলমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট।এই নতুন ধরনও ওমিক্রনের পর ত্রাস সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে ডেলমিক্রন। ডেল্টা এবং ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের মিলিত করোনাভাইরাসের রূপটিই হলো ডেলমিক্রন।
ভাইরাসের এই নতুন প্রজাতি আরও কয়েকগুণ বেশি সংক্রামক হতে চলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতীয় চিকিৎসক ডা. শশাঙ্ক যোশী বলেছেন, ডেল্টা এবং ওমিক্রন প্রজাতির ভাইরাস মিলিত হয়েই এই ডেলমিক্রনের উৎপত্তি হয়েছে। অজান্তেই ইউরোপে ডেলমিক্রন সংক্রমণের মিনি সুনামি আছড়ে পড়েছে।

সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস সতর্ক করেছিলেন, বুস্টার ডোজের ওপর এখনই বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আপাতত দু'টি করে ডোজ দিয়ে প্রতিটি দেশকেই ২০২২ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ নাগরিককে টিকাদান করতে হবে। তার সেই বক্তব্য ডেলমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে কতটা কার্যকরী হবে এখনও জানা যায়নি।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা-বাড়িভাড়া দেওয়ার দাবিএমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা ও বাড়ি ভাড়া দ...
25/12/2021

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা-বাড়িভাড়া দেওয়ার দাবি
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা ও বাড়ি ভাড়া দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ মাদরাসা জেনারেল টিচার্স এসোসিয়েশনের একাংশের নেতারা। একই সাথে মাদরাসাসহ দেশের সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের দাবি জানিয়েছেন তারা। আর মাদরাসার প্রশাসনিক পদ সবার জন্য উন্মুক্ত করা ও জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত করে এমপিওভুক্ত প্রভাষকের অধ্যাপক পদ পর্যন্ত পদোন্নতির সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নেতারা।

শনিবার দুপুরে বরগুনা জেলা গ্রন্থাগারের অডিটোরিয়ামে সংগঠনটি একাংশের জেলা সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ। প্রধান আলোচক ছিলেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির মহাসচিব মো: শান্ত ইসলাম।

সংগঠনের বরগুনা জেলা শাখার আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় দৈনিক দ্বীপাঞ্চল পত্রিকার সম্পাদক মোশারফ হোসেন ও বরগুনা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম মান্নু, কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য কে এম শামীম, এলিন তালুকদার, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বারেক শেখ, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।অনুষ্ঠানে সভাপতি হারুন অর রশিদ বলেন, গত ১৩ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবে এসোসিয়েশনের সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বেসরকারি শিক্ষকদের বাড়িভাড়া বৃদ্ধি, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা দেওয়াসহ মাদরাসা শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি পূরণের বিষয়ে কথা বলেছিলেম। আমরা আশা করছি শিক্ষামন্ত্রী দ্রুত আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করবেন।

সম্মেলনে বক্তারা ৮ দফা জানান। এগুলো হলো, মাদরাসাসহ সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণ করতে হবে, দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদরারাসার প্রশাসনিক পদে জেনারেল শিক্ষক নিয়োগে নতুন জারিকৃত জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা সংশোধন করে ২০১০ সালের পরিপত্র মোতাবেক প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা পূর্নবহাল করে প্রশাসনিক পদ সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা ও বাড়ি ভাড়া দিতে হবে, অনুপাত প্রথা ও জ্যেষ্ঠ প্রভাষক পদ বিলুপ্ত করে সব প্রভাষককে পর্যায়ক্রমে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতির সুযোগ দিতে হবে, নিবন্ধনবিহীন ইনডেক্সধারী শিক্ষকদেরকে মাদরাসাসহ স্কুল ও কলেজের সমপদে বদলির সুযোগ দিতে হবে, মাদরাসার জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালায় প্রভাষক (গণিত) পদ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো উপবৃত্তি দিতে হবে এবং গ্রন্থাগার ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে জেনারেল ধারায় শিক্ষতদের নিয়োগের সুযোগ দিতে হবে।

সম্মেলনে মাহাবুর রহমানকে সভাপতি ও মো: জহিরুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে আগামী তিন বছরের জন্য ৪১ সদস্য বিশিষ্ট বরগুনা জেলা শাখার কমিটি ঘোষণা করেন।

চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে এসএসসির ফল প্রকাশমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামী ২৩ থেকে ২৭ ডিসে...
20/12/2021

চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে এসএসসির ফল প্রকাশ
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আগামী ২৩ থেকে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকাশ হতে পারে। ফলাফল তৈরির কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। সেটি প্রকাশে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, গতকাল রোববার এসএসসি-সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২১ সালের এসএসসি-সমমানের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে আয়োজিত তিন বিষয়ের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। সেই পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ণ কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ২৩ ডিসেম্বরের পর যেকোনো দিন তা প্রকাশ করা সম্ভব হবে।

বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলে উল্লিখিত দিনের পর বা আগামী ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা যেতে পারে। এতে করে জানুয়ারি থেকে একাদশ শ্রেণির ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এ প্রস্তাবের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুমতি চেয়ে আরেকটি প্রস্তাব পাঠানো হবে। তিনি যেদিন সময় দেবেন সেদিন ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ফলাফল প্রকাশের দিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেশের সকল শিক্ষাবোর্ডের ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী। এরপর প্রধানমন্ত্রী ফলাফল প্রকাশের অনুমোদন দিলে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে তা প্রকাশ করা হবে। এদিকে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, আগামী ২৩ থেকে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে এসএসসি-সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ফলাফল তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষা।

গত ১৪ নভেম্বর পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। করোনার কারণে এ বছর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরীক্ষায় ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯।

ওমিক্রন ছড়ানোর হার নজিরবিহীন : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকরোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নজিরবিহীন হারে ছড়িয়ে পড়ছে বলে সতর্ক ...
15/12/2021

ওমিক্রন ছড়ানোর হার নজিরবিহীন : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নজিরবিহীন হারে ছড়িয়ে পড়ছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এরই মধ্যে দ্রুত সংক্রমণশীল এই ধরন বিশ্বের ৭৭টি দেশে ছড়িয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও প্রধান তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেছেন, সম্ভবত বিশ্বের অনেক দেশ এটি এখনও শনাক্ত করতে পারেনি। ওমিক্রন ঠেকানোর কাজটি যে ঠিকভাবে হচ্ছে না, তা নিয়েই উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন তিনি।তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, তাতে বলা যায় সত্যিকার অর্থেই আমাদের বিপদ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। যদি ওমিক্রনে রোগীদের অসুস্থতা মারাত্মক নাও হয়, তাতেও এটা যে হারে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে, তাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর বড় চাপ তৈরি করতে পারে।

গত নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় সর্বপ্রথম করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয়। এরপরই বতসোয়ানা, হংকংসহ আরও বেশ কিছু দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে অতি সংক্রামক এই ধরন। গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরনে আক্রান্তের খবর বিশ্ববাসীকে জানায়।

সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রামাফোসা করোনার টিকার ডোজ সম্পন্ন করেছিলেন। স্থানীয় সময় রোববার (১২ ডিসেম্বর) কেপটাউনে সাবেক প্রেসিডেন্ট এফ ডব্লিউ ডি ক্লাকের স্মরণানুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকেই অসুস্থ বোধ করছিলেন সিরিল রামাফোসা। দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয়, করোনা আক্রান্ত প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার মৃদু উপসর্গ রয়েছে এবং তিনি আইসোলেশনে আছেন।এদিকে, ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাজ্যে অন্তত একজন মারা গেছেন। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) পশ্চিম লন্ডনের একটি টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসকরা বলছেন, ওমিক্রনে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীর মৃদু উপসর্গ এবং গুরুতর আক্রান্তদের ক্ষেত্রে অক্সিজেন সংকটের মাত্রাও কম।

বিভিন্ন ধরনের নিয়োগ পদ্ধতি : সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক বৈষম্য-১বাংলাদেশে বিভিন্ন পদ্ধতির শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। সব শিক্ষাব্য...
15/12/2021

বিভিন্ন ধরনের নিয়োগ পদ্ধতি : সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক বৈষম্য-১
বাংলাদেশে বিভিন্ন পদ্ধতির শিক্ষাব্যবস্থা রয়েছে। সব শিক্ষাব্যবস্থাতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি ও বেসরকারি দুটি ভাগে বিভক্ত। আর্থিক, অবকাঠামোগত ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিক সুবিধাসহ সব ক্ষেত্রেই সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশ বড়ধরনের ফারাক দেখা যায়।এ বৈষম্য শুধু শিক্ষার গুণগত মান, অবকাঠামোগত ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিক সুবিধা এবং আর্থিক ক্ষেত্রেই নয়, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সুবিশাল আইনি বৈষম্যও রয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন ও সংবাদ মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান, অবকাঠামোগত ও পারিপার্শ্বিক সুবিধা এবং আর্থিক ক্ষেত্রে বৈষম্যের নিয়ে হরহামেশাই লেখালেখি হয়। বাস্তবতায় রূপ পাক বা না পাক, বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন ও সংবাদ মাধ্যমে এসব বিষয়ে যৌক্তিক বা অযৌক্তিক, বাস্তবসম্মত বা অবাস্তবপ্রসূত বিভিন্ন ধরনের সংস্কারের দাবিতে অনেককেই সোচ্চার হতে দেখা যায়। দুই শ্রেণির প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিক্ষক-কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীদের আর্থিক সুবিধার এ অসঙ্গতি নিয়ে ছাত্র আন্দোলন না হলেও বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক আন্দোলন গড়ে উঠেছে। কিন্তু আইনি বৈষম্যের বিষয়টি সচরাচর আলোচনায় আসে না। তাই আইনি বৈষম্যগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় সকলের গোচরে আনার দরকার মনে করছি। যেহেতু আমি একজন কলেজ শিক্ষক, তাই আমি কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার কিছু আইনি বৈষম্য তুলে ধরার পাশাপশি স্কুলপর্যায়সহ সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অসঙ্গতি তুলে ধরার চেষ্টা করববিভিন্ন ধরনের নিয়োগ পদ্ধতি : কলেজ পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত তিন ভাগে বিভক্ত। ডিগ্রি কলেজ, উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উচ্চ মাধ্যমিক শাখা। স্কুল এবং কলেজ পর্যায়ের সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগ বর্তমানে এনটিআরসিএ-এর সুপারিশ অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করে থাকে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মতো সরকার এখানে সরাসরি নিয়োগ দেয় না। প্রতিষ্ঠান প্রধান ও সহকারী প্রধানসহ অন্যান্য অফিস স্টাফের নিয়োগ এখনও ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির হাতেই পুরোপুরিভাবে ন্যস্ত। বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানের নিয়োগের জন্যও এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের নিয়োগ পদ্ধতি এবং বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের পৃথক আইন-কানুন। সরকারি কলেজের মতো বিভিন্ন সরকারি বিধি-বিধানের চর্চাও এখানে সচরাচর হয় না। অবশ্য একেবারেই হয় না বলাটাও ঠিক হবে না। কারণ কোন শিক্ষক-কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আবার এসব বিধি-বিধানের চর্চা শুরু হয় সরকারি কর্মচারীদের চেয়েও কঠোরভাবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো আর্থিক ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধাদি এখানে না থাকলেও রয়েছে আইন-কানুনের ছড়াছড়ি। প্রাপ্তিতে পার্থক্য : সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাপ্তিতে কিছু ফারাক তুলে ধরছি। (ক) বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, শিক্ষাসহায়ক ভাতা, উৎসব ভাতা, শ্রান্তি বিনোদন ভাতা, পিআরএল সুবিধা ও বিভিন্ন প্রকার ছুটির সুবিধাসহ নানা ক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাপ্তিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের সাথে ব্যাপক ফারাক রয়েছে। তবে কর কিন্তু প্রদান করতে হয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মতোই একই মূল বেতনের হারে। (খ) সরকারি কর্মচারীদের অবসর সুবিধা ও মাসিক পেনসনের জন্য কোনও চাঁদা প্রদান করতে হয় না। তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অবসর সুবিধা দেয়া হয় মূল বেতনের নির্দিষ্ট হারে চাঁদার বিপরীতে। অবসর ও কল্যাণ সুবিধার জন্য অতীতে মূল বেতনের মোট ৬ শতাংশ কর্তন করা হলেও কোনও অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান ছাড়াই বর্তমানে কেটে নেয়া হচ্ছে মূল বেতনের অতিরিক্ত ৪ শতাংশ। (গ) সরকারি চাকরিজীবীদের কোনও চাঁদা ছাড়াই অবসর সুবিধার জন্য ন্যূনতম পাঁচ বছর চাকরির প্রয়োজন হলেও, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিজেদের প্রদানকৃত চাঁদার বিপরীতেও প্রয়োজন হয় ন্যূনতম দশ বছর চাকরির। (ঘ) সরকারি চাকরিতে কোনও চাঁদা ছাড়াই পূর্ণ অবসর সুবিধার জন্য ন্যূনতম ২০ বছর চাকরির প্রয়োজন হলেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিজেদের প্রদানকৃত চাঁদার বিপরীতেও প্রয়োজন হয় ন্যূনতম পঁচিশ বছর চাকরির।(ঙ) সরকারি চাকরিতে কোনও কর্মচারীর যে কোনও সময় স্বেচ্ছায় অবসর নেয়ার সুবিধা আছে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ সুযোগ নেই। মৃত্যু বা শারীরিক অক্ষমতা ছাড়া কোনও শিক্ষক-কর্মচারীর এখানে স্বেচ্ছা অবসরের সুযোগও নেই। নিয়মিত চাঁদা প্রদানের পরও যে কোনও সময় কেউ স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়লে পান না কোনও অবসর ও কল্যাণ সুবিধা। অর্থাৎ অনিচ্ছা সত্ত্বেও এখানে চাকরি করতে পরোক্ষভাবে বাধ্য করা হয়, যা সরকারি কোনও চাকরিতে করা হয় না। (চ) অনেক শিক্ষক-কর্মচারীর কাছ থেকেই চাঁদা কেটে নেয়া হয় ৩০ থেকে ৩৫ বছর যাবৎ, কিন্তু অবসর সুবিধা প্রদান করা হয় সর্বোচ্চ ২৫ বছরের হিসাবে। (ছ) সরকারি চাকরিতে থাকাকালে কোনও কর্মচারী মৃত্যুবরণ করলে ক্ষেত্রবিশেষে পাওয়া যায় পাঁচ থেকে দশ লাখটাকার অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা, এখানে নেই দশ পয়সার সুবিধাও। (জ) কোনও চাঁদা প্রদান না করে কোনও সরকারি কর্মচারী অবসরের মাস দুয়েকের মধ্যেই তাঁর সমুদয় অবসর সুবিধা বুঝে পেলেও নিয়মিত চাঁদা প্রদান করেও নিজের জমানো টাকা পেতে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের লাগে চার থেকে পাঁচ বছর। অনেকেই জীবিত থাকতে পান না এই টাকা। (ঝ) সরকারি চাকরিতে বদলির সুবিধা থাকলেও, বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের নেই কোনও বদলির সুবিধা। (ঞ) সরকারি চাকরিতে সব কর্মচারীর জন্য যৌথ বীমার সুবিধা থাকলেও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের নেই সেই সুবিধাও। (ট)সরকারি চাকরিতে অবসরের পর নিজের ও তাঁর মৃত্যুর পর স্বামী বা স্ত্রীর, এমনকী কোনও প্রতিবন্ধী সন্তান থাকলে তাঁর জন্যও আজীবন মাসিক পেনশনের সুযোগ থাকে। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের এক দিনের জন্যও পেনশন সুবিধা নেই।(ঠ) সরকারি চাকরিতে কোনও কর্মচারী অবসরের এক বছর আগে থেকেই পিআরএল-এর সুবিধা পেলেও বেসরকারি কোনও শিক্ষক-কর্মচারী পিআরএল ভোগ করতে পারেন না এক দিনও, কাজ করতে হয় চাকরির শেষদিন অবধি (ড) সরকারি চাকরিতে পিআরএল-এ যাওয়ার পর পরই তাঁর জমাকৃত অর্জিত ছুটির বিপরীতে কোনও সরকারি কর্মচারী পেয়ে থাকেন আঠারো মাসের মূল বেতনের সম পরিমাণ টাকা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা পান না আঠারো দিনের বেতনও। আইন প্রয়োগে ভিন্নতা : বেসরকারি শিক্ষকদের বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্র এখানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের চেয়ে কম নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রেই বেশি। প্রাপ্তি কম হলেও সরকারি বিধি-বিধানের বাইরেও রয়েছে বেশ কিছু অতিরিক্ত আইন, বিধি-বিধান, যা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নেই। রাষ্ট্রের সবকিছুই সুনির্দিষ্ট আইনে চললেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চলে প্রজ্ঞাপন, পরিপত্র ইত্যাদি নির্বাহী আদেশ দ্বারা। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী এসব নির্বাহী আদেশ কোনও আইন নয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রণয়ন করা হয় না কোনও আইনও। কাজী ফারুক বনাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলার অবজারভেশনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য পূর্ণাঙ্গ আইন প্রণয়ন অবধি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিএসআর প্রযোজ্য হওয়ার নির্দেশনা প্রদান করলেও, কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের সেই নির্দেশনার বাস্তবায়ন নেই। বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ওপর এসব বৈষম্য চলমান রাখতে পালন করা হয় না সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনাও। সরকারি স্কুল শিক্ষক থেকে সিলেকশন গ্রেড পেয়ে ষষ্ঠ গ্রেডে আসা উপপরিচালকের কথা বাদই দিলাম, চতুর্থ গ্রেডের ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের ওপর খবরদারি করতে আসেন প্রজেক্টে অস্থায়ীভাবে নিযুক্ত হয়ে রাজস্ব খাতে আসা নবম গ্রেডের নন গেজেটেড কর্মকর্তা সাবেক টিপিও পদবী থেকে সরকারের কৃপায় পদবী বদলানো উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারও। পদের নাম মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হলেও, নানা বিষয়ে কর্তৃত্ব চলে ডিগ্রি কলেজের ওপরও।বেসরকারি কলেজ শিক্ষকদের ওপর চলে এমন হাজারো মানসিক নির্যাতন।

পরস্পর সাংঘর্ষিক বিধান : বেসরকারি কলেজগুলো সাধারণত এমপিও নীতিমালা, শিক্ষাবোর্ডের প্রবিধান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেগুলেশন অনুযায়ী পরিচালিত হয়। বেসরকারি স্কুল এন্ড কলেজ এবং উচ্চ মাধ্যমিক কলেজগুলো এমপিও নীতিমালা ও শিক্ষাবোর্ডের প্রবিধান এবং ডিগ্রি কলেজগুলো এমপিও নীতিমালা, শিক্ষাবোর্ডের প্রবিধান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেগুলেশন অনুযায়ী পরিচালিত হয়। স্কুল এন্ড কলেজ ও উচ্চ মাধ্যমিক কলেজগুলোর জন্য প্রযোজ্য এমপিও নীতিমালা, শিক্ষাবোর্ডের প্রবিধানের মধ্যে অনেকটাই মিল থাকলেও এসবের সাথে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেগুলেশনের রয়েছে ব্যাপক অসঙ্গতি, অনেক ক্ষেত্রেই রয়েছে পরস্পর সাংঘর্ষিক বিধান। রেগুলেশনের বিভিন্ন অনুচ্ছেদের মধ্যেও রয়েছে অসঙ্গতি, পরস্পর সাংঘর্ষিক বিধান। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি সংক্রান্ত রেগুলেশন-এর অনুচ্ছেদ ১১(ক) অনুযায়ী অধিভুক্তির জন্য আবেদনকারী কলেজের পার্শ্ববর্তী এলাকায় উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কম পক্ষে দুটি হওয়ার কথা থাকলেও স্কুল এন্ড কলেজগুলো (সেনা নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত না হলেও বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় এমপিওভুক্ত হয়েছে এমন কলেজ খুঁজে পাওয়া কঠিন, যেগুলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত নয়। এসব কলেজের অধিকাংশেই রয়েছে অনার্স কোর্সও। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি সংক্রান্ত রেগুলেশনের অনুচ্ছেদ ১১(খ) এবং ১১(গ) অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির অধিভুক্তির মেয়াদ কমপক্ষে ৩ বছর, সার্বিক ফলাফল সন্তোষজনক(ন্যূনতম ৬০শতাংশ), বোর্ডের শেষ দুই বছরের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা নির্দিষ্ট করা এবং অনুচ্ছেদ ১ এবং ১১(ছ) অনুযায়ী তিন বছরের ফলাফল বিশ্লেষণের বিধান থাকলেও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরই নেই রয়েছে এমন ডিগ্রি কলেজও।এই রেগুলেশনের অনুচ্ছেদ ৩(খ) ও অনুচ্ছেদ ৫ অনুযায়ী উচ্চ মাধ্যমিক স্তর এমপিওভুক্তিরপূর্বে ডিগ্রি পর্যায়ে অধিভুক্তির আবেদন করতে না পারলেও উচ্চ মাধ্যমিক স্তর এমপিওভুক্ত নয় এমন কলেজেও রয়েছে স্নাতক (পাস), এমনকী অনার্স কোর্সও। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি সংক্রান্ত রেগুলেশনের অনুচ্ছেদ ১১(ছ) উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে যেসব বিষয় নেই এমন কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে যেসব বিষয়ের অনুমোদন নেই সেসব বিষয়ে স্নাতক বা অনার্স কোর্সের অনুমোদন দেয়ার বিধান না থাকলেও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বোর্ডের অনুমোদিত বিষয় থাকার সুযোগ আছে, অথচ উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কলেজটিতে বিষয়টির অনুমোদন নেই এমন বিষয়েও রয়েছে স্নাতক (পাস) ও স্নাতক (সম্মান) কোর্স, এমনকি উচ্চ মাধ্যমিক স্তরই নেই রয়েছে এমন ডিগ্রি কলেজও। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় অবধি এমপিওভুক্ত, কিন্তু স্নাতক স্তর এমপিওভুক্ত নয় এমনতর সব কলেজ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধি অনুযায়ী পরিচালিত হলেও স্নাতক স্তর এমপিওভুক্ত নয়, এমন সব কলেজকে সরকার বিবেচনা করে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে। ফলে কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক, না স্নাতক পর্যায়ের কলেজ, এ নিয়েও রয়েছে সরকার ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরস্পর সাংঘর্ষিক বক্তব্য

ভারতের রাষ্ট্রপতি ঢাকায় আসছেন কালভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বুধবার ঢাকা আসছেন। তুরস্কে সফ...
14/12/2021

ভারতের রাষ্ট্রপতি ঢাকায় আসছেন কাল
ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বুধবার ঢাকা আসছেন।

তুরস্কে সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন মঙ্গলবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ভারতের রাষ্ট্রপতির সফর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রপতি মো.আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বুধবার ঢাকা সফরে আসছেন। তার সঙ্গে ভারতের ফার্স্ট লেডি, রাষ্ট্রপতির কন্যা, ভারতের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, দুইজন সংসদ সদস্য এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সফরসঙ্গী হিসেবে থাকছেন। ঢাকা সফরকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিববর্ষের সমাপনী দিন ও বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বুধবার সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি কোবিন্দকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিমানবন্দরে ভারতের রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। বিমানবন্দর থেকে ভারতের রাষ্ট্রপতি সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এরপর তিনি ধানমন্ডিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। এদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ভারতের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সন্ধ্যায় ভারতের রাষ্ট্রপতি বঙ্গভবনে যাবেন এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। বঙ্গভবনে তার সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজেও অংশ নেবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। সফরের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার ভারতের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে সকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতীয় কুচকাওয়াজ আয়োজনে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এদিন বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের সাউথ প্লাজায় বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর ঐতিহাসিক মুহূর্তে (৪টা ৩১ মিনিট) বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং রক্তস্নাত বিজয়ের আবেগ ও আনন্দ উদযাপনের জন্য আয়োজিত ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।

সফরের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ঢাকার রমনায় কালী মন্দিরের সদ্য সংস্কার করা অংশের উদ্বোধন করবেন এবং মন্দিরটি পরিদর্শন করবেন। এদিন দুপুরে তিনি দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।

শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারিবেসরকারি মালিকানাধীন বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নির্ধারণ করে প্র...
13/12/2021

শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি
বেসরকারি মালিকানাধীন বাসে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে রোববার সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ধারা ৩৪ (২) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে ৫টি শর্তে হাফ ভাড়া কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।সেগুলো হলো- এ ভাড়া বিদ্যমান ভাড়ার ৫০ শতাংশ কম হবে, শিক্ষার্থীদের অবশ্যই নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইস্যু করা ছবিযুক্ত হালনাগাদ বৈধ পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে এবং প্রয়োজনে প্রদর্শন করতে হবে, সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বেসরকারি বাসে চলাচলের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা এ হাফ ভাড়া (কন্সেসনকৃত ভাড়া) দেয়ার সুযোগ পাবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটির দিনে এ হাফ ভাড়া প্রযোজ্য হবে না এবং দূরপাল্লার বাসে হাফ ভাড়া কার্যকর হবে না। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, হাফ ভাড়া ঢাকা মহানগরে ২০২১ সালের ১লা ডিসেম্বর থেকে এবং অন্যান্য মহানগর মেট্রো এলাকায় ২০২১ সালের ১১ই ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে বলে গণ্য হবে।

12/12/2021

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা এখনও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী!
মর্যাদা বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাত বছর আগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু এখনও তারা তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনীহায় দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা আজও কার্যকর হয়নি। গেজেট জারি হয়নি পদমর্যাদা ও বেতন স্কেলের। তাদের বেতন আগের কাঠামোতেই রয়েছে। এতে প্রধান শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ। তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।প্রধান শিক্ষকরা দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, পদমর্যাদা ও জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেডে বেতনের দাবিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। পদমর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীতের সাত বছরেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় শিক্ষক সমাজ চরম হতাশ। পাঠদানের ওপরে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও বেতন বৈষম্য দূর করতে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

শিক্ষকরা জানান, সামাজিকভাবে প্রধান শিক্ষকরা যথেষ্ট সম্মানের অধিকারী হলেও চাকরির রাষ্ট্রাচারে এখনও একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। যে কোনো সরকারি অফিসের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর চেয়ে নিঃসন্দেহে একজন প্রধান শিক্ষককে অনেক বেশি দাপ্তরিক ও সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে হয়। অথচ পদটি তৃতীয় শ্রেণির হওয়ায় দীর্ঘদিন এ নিয়ে তারা হতাশায় নিমজ্জিত ছিলেন। দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে তাদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদার ঘোষণা দেওয়া হয়।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির নেতা হাবিবুর রহমান বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে সহকারী শিক্ষকদের ও প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেড বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এতে লাখ লাখ শিক্ষকের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।তিনি বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির নন-গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা দিয়ে সরকার প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের ১১তম গ্রেড ও ১২তম গ্রেড নির্ধারণ করে। অথচ দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা পাওয়া পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর, নার্স, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন সচিবদেরও দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক সমিতির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক স্বরুপ দাস বলেন, পদমর্যাদা উন্নতির পর সাত বছর অতিবাহিত হলেও এখনও তারা দ্বিতীয় শ্রেণিরকোনো আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন না। ফলে নামেই রয়ে গেছেন তারা রাষ্ট্রের দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে।

জানা যায়, ইতোমধ্যে ৩৪তম বিসিএস থেকে ৮৯৮ জন, ৩৬তম বিসিএস থেকে একাধিক প্রার্থীকে প্রধান শিক্ষক পদে সুপারিশ করলেও, অনেকে যোগদান করেননি। আর করলেও দশম গ্রেডে অন্য চাকরি পেলে শিক্ষকতা ছেড়ে চলে গেছেন।

জানা যায়, বর্তমানে প্রধান শিক্ষক পদটি দ্বিতীয় শ্রেণির হলেও তারা বেতন পান ১১তম গ্রেডে। অথচ দ্বিতীয় শ্রেণির অন্য সব চাকরিজীবীরা দশম গ্রেডে বেতন পান। নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির পদে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা জাতীয় বেতন কাঠামোর দশম স্কেলে বেতন পান।

পদমর্যাদা ও বেতনের প্রশ্নে প্রধান শিক্ষকরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডসহ গেজেটেড পদমর্যাদা দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন উভয় প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেড পদমর্যাদা ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ৯ মার্চ থেকে আদেশ কার্যকর করতেও বলা হয়। পরে সরকার এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে।

মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, দশম গ্রেডে বেতন চেয়ে প্রধান শিক্ষকরা উচ্চ আদালতে রিট করেছিলেন। আদালত রায় দিয়েছেন। রায়ের বিরুদ্ধে সরকার পক্ষ, অর্থাৎ অর্থ মন্ত্রণালয় আপিল করেছে। শুনানি শেষে আদালত যা রায় দেবেন, তাই বাস্তবায়ন করা হবে।

নতুন শিক্ষাক্রমে প্রথমে চার মাসের বই পাবে শিক্ষার্থীরা : শিক্ষামন্ত্রীআগামী বছর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন শিক্ষাক্রম চাল...
11/12/2021

নতুন শিক্ষাক্রমে প্রথমে চার মাসের বই পাবে শিক্ষার্থীরা : শিক্ষামন্ত্রী
আগামী বছর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হলেও শিক্ষার্থীদের প্রথমেই একসঙ্গে সারা বছরের বইপত্র দেওয়া হবে না। প্রথমে চার মাসের দেওয়া হবে। এর প্রতিক্রিয়া বা ভালোমন্দ দেখে (ফিডব্যাক) তার ভিত্তিতে পরের বিষয়গুলো তৈরি করা হবে। এসবের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পরিমার্জন করে ২০২৩ সাল থেকে সংশ্লিষ্ট সবার ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করা হবে। আজ শনিবার ‘পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম ট্রাই আউট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্বাচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সংশ্লিষ্ট একাডেমিক সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফ্‌ফর আহমদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই প্রশিক্ষণের আয়োজক জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।

সরকার প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। আগামী বছর থেকে প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণি এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণিতে ১০০টি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলকভাবে তা চালু হবে। পরের বছর থেকে তা পর্যায়ক্রমে চালু হবে।শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে শিখনকালীন (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রমের সময়) সারা বছর ধরে মূল্যায়ন করা হবে। বছর শেষেও মূল্যায়ন হবে। তবে সেটাই সব নয়। সনদ দরকার আছে, কিন্তু সনদই সবকিছু নয়।
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী মূল্যায়নের প্রসঙ্গ টেনে বর্তমান পরীক্ষাব্যবস্থার বাস্তবতা তুলে ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সারা বছর পড়ে বা না পড়ে পরীক্ষার ঠিক আগে রাত জেগে পড়াশোনা করা—শুধু শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয় না, পরীক্ষা দেয় তার পুরো পরিবার। আবার বছর শেষে পরীক্ষা দিয়ে ভালো কিংবা মন্দ, সেটা নিয়ে আজকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশেষ রকমের... জিপিএ-৫ পেলে আনন্দের বন্যা, জিপিএ-৪ দশমিক ৮ পেলে কবরের নিস্তব্ধতা, সে রকম অনেক কিছুই দেখি। নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন সে রকম নয়। মূল্যায়ন হবে শিক্ষার্থীরা আসলে শিখছে কি না, তাদের কাজে লাগছে কি না, সেটাই করা।’নতুন শিক্ষাক্রমের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের কথা বলতে গিয়ে দীপু মনি বলেন, যোগ্যতাভিত্তিক শিখন নিশ্চিত করা, শিখনকালীন মূল্যায়নকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া, নম্বরভিত্তিক সনদের পরিবর্তে পারদর্শিতার রেকর্ডের ওপর গুরুত্বারোপ করা, মুখস্থনির্ভর জ্ঞানের পরিবর্তে অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনে অনুপ্রাণিত করা ইত্যাদি।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে এম রুহুল আমীন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) মো. মশিউজ্জামান।

করোনায় আবার মৃত্যুহীন দিনদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। এ ভাইরাসে দেশে প্রথম মৃত্যুর খবর আসে...
09/12/2021

করোনায় আবার মৃত্যুহীন দিনদেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। এ ভাইরাসে দেশে প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। এরপর কোনো দিন দু-একজনের, আবার কোনো কোনো দিন কারও মৃত্যু হয়নি পরের দুই সপ্তাহে।

গত বছরের ৩ এপ্রিল করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। পরদিন মৃত্যু হয় দুজনের। এর পর থেকে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েছে। সর্বশেষ গত ২০ নভেম্বর কারও মৃত্যু হয়নি। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে চলতি বছরের মাঝামাঝিতে। দেশে করোনার ডেলটা ধরনের দাপটের মধ্যে গত আগস্টের দুদিন করোনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু সর্বোচ্চ ২৬৪ জনে পৌঁছায়।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২১ হাজার ৪৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ২২ শতাংশ। আগের দিন এ হার ছিল ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

গত বছরের মার্চে দেশে প্রথম করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে মোট করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ৫৫০। তাঁদের মধ্যে মারা গেছেন ২৮ হাজার ১৬ জন, সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৪৩ হাজার ৪৯১ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৮৭ জন সুস্থ হয়েছেন।
করোনায় আবার মৃত্যুহীন দিন পার করল বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও করোনায় সংক্রমিত কারও মৃত্যু হয়নি। বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ২৬২ জনের। আগের দিন করোনায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছিল। রোগী শনাক্ত হয়েছিল ২৭৭ জন।

Address

Khulna
Khulna
৯২৬০

Telephone

+8801627882087

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Update news posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Update news:

Share