19/06/2023
২১ টা ৫৫ মিনিট, ১৯ জুন ২০২৩বিস্তারিত-
যেসব অভ্যাসে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে
আমাদের প্রত্যেক দিনের কিছু অভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। আর দিনের পর দিন এসব অভ্যাসে নিজের অজান্তেই ক্ষতি করছি।
২ মিনিটে পড়ুন
তাই চলুন জেনে নিই কোন কোন অভ্যাসগুলো আমাদের প্রত্যাহিক জীবন থেকে বাদ দিলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়বে-
স্ক্রিন টাইম কমানো
অতিরিক্ত ‘স্ক্রিন টাইম’ আমাদের মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। অফিসে গিয়ে সারাক্ষণ ল্যাপটপের সামনে বসে থাকা, বাড়ি ফিরেও মোবাইলে সিমেনা বা সিরিজ দেখা। এসব মিলিয়ে দিনের বেশির ভাগ সময়ই আমাদের কাটে পর্দার সামনে। এতে চোখের ক্ষতি তো হচ্ছেই, সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও কমে যাচ্ছে। মূলত স্ক্রিন টাইম যত বেশি, ততই আমরা একাকী থাকি, অন্যদের সঙ্গে কথা কম বলি। যেকোনো কাজে আমাদের মনোযোগ কম থাকে, এত করে ফলে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ে।
উচ্চশব্দে গান শোনা
কানে বড় হেডফোন বা ইয়ারবাড গুঁজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উচ্চস্বরে গান শোনা মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। টানা ৩০ মিনিট অতি উচ্চমাত্রার শব্দে থাকলে এক জনের শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণরূপে লোপ পেতে পারে। শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়ার পাশাপাশি স্মৃতিশক্তিও লোপ পেতে পারে। এ ছাড়া ব্রেনের টিস্যু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকা
অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকার অভ্যাস মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। আবার এই অভ্যাস আমাদের মনে বিষণ্ণতা তৈরি করে। আর বিষণ্ণতার ফলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা মন্থর হয়ে যায়। এ কারণেই শীতপ্রধান দেশে আত্মহত্যার হার বেশি। প্রাকৃতিক আলোতে থাকলে আমাদের মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করে।
অতিরিক্ত একা থাকা
বর্তমানে হাজার হাজার বন্ধু আছে আমাদের, তবে সেটি ভার্চুয়ালি। বাস্তব জীবনে আমাদের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেয়ার বন্ধুর বড্ড অভাব। আবার অনেকেই আছেন অফিস পার্টি হোক কিংবা পারিবারিক অনুষ্ঠান— সবকিছুই এড়িয়ে চলে। এসব কার্যক্রম আমাদের মস্তিস্কের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা কাছের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, তারা অন্যদের তুলনায় হাসিখুশি ও কর্মদক্ষ হন। তাদের স্মৃতিশক্তিও অন্যদের তুলনায় বেশি হয়।
অতিরিক্ত চিনি খাওয়া
অতিরিক্ত চিনি খাওয়াও মস্তিষ্কের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এছাড়া ফাস্টফুড (বার্গার, পিজ্জা, চিপ্স, কোমল পানীয়) খেলেও স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। অন্যদিকে সবুজ শাকসবজি, ফল ও বাদা