কল্পনার গল্পটা

কল্পনার গল্পটা গল্প প্রিয় বা গল্প প্রেমীদের জন্য নতুন গল্প লেখার চেষ্টা।

30/03/2024
 #পৈশাচিক_শান্তি #পাঠ_২  রোহানের বন্ধুরা ও একটা পর্যায়ে রোহান কে বিদায় জানালো । এখন গোটা ভার্সিটিতে  শুধু আমি আর রোহান...
17/05/2022

#পৈশাচিক_শান্তি

#পাঠ_২

রোহানের বন্ধুরা ও একটা পর্যায়ে রোহান কে বিদায় জানালো । এখন গোটা ভার্সিটিতে শুধু আমি আর রোহান । ইচ্ছা করেই আধ্ ভেজা অবস্থায় রোহানের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁপতে থাকি । হঠাৎ দেখি রোহান এই দিকেই এগিয়ে এলো । খপ করেই আমার হাত ধরে বলছে বৃষ্টিটা খুব সুন্দর তাই না ।
-- জ্বি ।
রোহন -- এমা তুমি তো পুরো ভিজে জবজবে হয়ে গেছো ?
-- জ্বি । তবে এখন বাসায় যাবো ।
রোহান -- থাকো না কিছুক্ষণ এমন মাতাল করা বৃষ্টিতে একা ভালো লাগে না ।
-- আমার তো বেশ ভালো লাগে । তাছাড়া বাসায় তো আমি একাই থাকি ।
রোহান -- তোমার ভয় লাগে না ।
-- না । ( বলেই চলে আসতে যাবো । এমনি রোহান আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো । আমি পাশে থাকলেও না ?? আমি বললাম না ।
রোহান -- চলো তোমাকে এগিয়ে দি । আমাকে অন্ততপক্ষে এক কাপ চা দিও । কি দিবেনা সাহায্যের প্রতিদান । ( আমি মাথা নেড়ে বললাম হুম)
তার পর সাড়া রাস্তায় দুজনে ভিজে ভিজে আমার বাসার আসলাম । বৃষ্টি কারণে আজ আমার বাসার রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায় । আমার বাসার সামনে রোহান । আমার যে কি ভালো লাগছে তা বলে প্রকাশ করতে পারবো না । রোহন কে বাবার তোয়ালে আর একটা শার্ট প্যান্ট দিলাম বললাম দোতলার রুমটায় যেয়ে ফ্রেশ হয়ে নিতে । আমি চা নিয়ে উপরে আসছি । রোহান দিব্যি রুমে চলে গেল । আমিও চা নিয়ে নিজের রুমে এলাম । রোহান কে দেখে আমি তো থ খেয়ে গেছি । তোয়ালে দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে বাথরুম থেকে বেরিয়ে এলো । আমাকে দেখে বললো তুমি এখনো ফ্রেশ হও নি । আমি বললাম তুমি চা খেয়ে নেও আমি বরং ফ্রেশ হয়ে আসি । রোহান চায়ে চুমুক দিতে দিতে আমার কাছে এগিয়ে এলো । আমি পিছু পা হতে না হতে রোহান আমাকে খপ করে জরিয়ে ধরে বললো । যদি আজ রাতটা তোমার আমার হয় তাহলে কি খুব ক্ষতি হয়ে যাবে । আমি বললাম না ।
রোহান -- ভেজা অবস্থায় তোমাকে বেশ মানায় । তোমার গায়ে একটা মাতাল করা গন্ধ আছে ।
-- তুমি কি আমার নাম জানো বা আমার পরিচয় ।
রোহান-- নাম পরিচয় দিয়ে কি হবে ।
ঢুপ করে ছুরিটা রোহানের শির দ্বারাই বসিয়ে দিলাম । ছুরিতে ভালো করে অবাস করার মেডিসিন মিশিয়ে নিয়ে ছিলাম । রোহান আলিঙ্গন ছেড়ে আমাকে সজোরে ধাক্কা দিলো ।

 #পৈশাচিক_শান্তি #পাঠ_১আজ সকালে তাজা নিউজ ।‌ রোহান কে কাল বিকাল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ।  পুরো ভার্সিটির জুড়ে এখনক...
14/10/2021

#পৈশাচিক_শান্তি

#পাঠ_১

আজ সকালে তাজা নিউজ ।‌ রোহান কে কাল বিকাল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । পুরো ভার্সিটির জুড়ে এখনকার বিষয় রোহান। রোহন কার সাথে আছে বা কোথায় আছে। ক্যাম্পাসের মেয়েদের ভিতরে একটি প্রশান্তির বিরাজ করছে । কারণ নর্দমার কীট রোহানকে কাল বিকেল থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । কিছু কিছু ছেলেরা বলছে হয়তো মামা নতুন কোথাও ঘাঁটি গেড়েছে মেয়ে নিয়ে । হয়তো মেয়েটা সেই মাপের । যার কারণে ওকে এখনো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । বলেই কিছু বাজে ছেলে হাসছে । বুঝতে পারলাম আজ ভার্সিটিতে রোহানের শোক পালন করা হবে । তাই আর দেরি না করে বাসায় চলে আসলাম । আমার বাসার শহর থেকে অনেক দূরে । একটি জঙ্গলের পাশে যার ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে মানুষ বসবাস করে । তাইতো সন্ধ্যা হওয়ার আগে আগেই বাসায় ফিরতে হয় আমাকে । বাবা মা যে কি মনে করে এমন একটি নির্জন জায়গায় আমাকে একা ফেলে চলে গেল তা এখনো বুঝে উঠতে পারলাম না আমি । বান্ধবীদের হাই বাই বলেন চলে আসলাম বাসার দিকে ‌। প্রায় তিন ঘণ্টা জার্নি করে বাসায় পথে হাঁটছি ‌‌। ঘনকালো জঙ্গল তার ভীতর আমার স্বপ্নের ঘর টা । আসার পথে কিছু বাজার থেকে সুগন্ধি কিনে নিয়ে আসলাম । আজ সকাল থেকেই বাজে একটা গন্ধ ঘুরঘুর করছে । ফ্রেশ হয়ে নাস্তা খেয়ে ড্রইংরুমের ঠান্ডা মাথায় টিভি দেখতে লাগলাম ‌। টিভি ছাড়তে দেখি রোহানের ছবি । বাপরে কি পরিমান ফেমাস হলে মানুষকে টিভিতে দেখায় । টিভিতে সেই একি নিউজ । নিখোঁজ রোহান সন্ধান পেলে নাকি দেয়া হবে নগদ এক লাখ টাকা । টিভি অফ করে গেলাম দোতলার রুমটাতে । আমার পাশের রুমটা যেটা আম্মুর স্টোর রুম ছিল । এখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে ওটা কি নিজের মিউজিয়াম বানিয়ে নিয়েছি । রুমে প্রবেশ করতেই দেখি তাজা রক্ত ‌। আহ্ রোহানের হাত দুটো টেবিলের উপর । তার থেকেই এতো রক্ত । আহারে বেচারা কাল সন্ধ্যা অবধি কি সুন্দর ঘুরে বেড়াচ্ছিল। কেন যে হেল্প করতে গেলি আমায় । তুই হয়তো ভুলে গেছিস সেই রাতটার কথা । তোর জন্য আমার বোনটা । ভাবলেই গা ঘিন ঘিন করে উঠে। তোর মতো নরপশুর সাথে এর থেকে আর ভালো কিছু হতে পারে বলে আমার মনে হয় না। আচ্ছা ওই মাথাটার তো কিছু একটা করতে হবে । এমনিতেই দেহ ছাড়া মাথা । উফ্ কি ভয়ানক বাবা । তার পর ভাবছি কালকের সন্ধ্যা টার কথা । ঝুম ঝুম বৃষ্টি পড়ছে সেই দুপুর থেকে । দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে এলো তবুও কেন জানি মরণ বৃষ্টি থামছে না । সবাই ভার্সিটি থেকে বাসায় চলে গেল একে একে । ভার্সিটিতে শুধু রোহানের কিছু বখাটে বন্ধু আর রোহান । বুদ্ধি করে রোহানের গাড়ির চাকা পাংচার করে দি । রোহানের বাবা বেশ বড়লোক । বাপের অনেক টাকা তাই তো ছেলেটা এতো বেয়ারা মানুষ করতে পারিনী একদম ।

 #প্রেমতমা -- আচ্ছা কলিযুগের প্রেম গুলো খুব অদ্ভুত তাইনা । বাবা মায়ের মুখে অনেক প্রেম কাহিনী শুনেছি । কি অদ্ভুত মায়া ।...
07/09/2021

#প্রেম

তমা -- আচ্ছা কলিযুগের প্রেম গুলো খুব অদ্ভুত তাইনা । বাবা মায়ের মুখে অনেক প্রেম কাহিনী শুনেছি । কি অদ্ভুত মায়া । কি অদ্ভুত তাই একে অপরের প্রতি । তখন তো যোগাযোগ করার জন্য স্মার্ট ফোন তো দূরের কথা সামান্য বাটন ফোন টাই ছিল না। কথা হতো নাকি চিঠির মাধ্যমে । তবুও তাদের একে অপরের প্রতি কত বোঝাপড়া । কই তাদের অনুভূতি তো শূন্য হয় না।
নিরব -- তুমি কি এখন এগুলো নিয়েই পড়ে থাকবে ?? আমি তোমাকে কিছু বলার চেষ্টা করছি তমা । তুমি কেন বুঝতে পারছি না আমার অনুভূতিগুলো । আমি তোমাকে ছুঁতে চাই অনুভব করতে চাই নিজের মাঝে ।
তমা --- নিরব মন দিয়ে কি ভালো বাসতে গেলে গা ছুঁতে হয় তা আমি তোমার কাছে এই প্রথম শুনলাম ।
নিরব-- হ্যাঁ শুনবেন । এজন্যই বলি কিছু বন্ধুবান্ধব বানাও । তাদের সাথে ঘোরাফেরা করো সময় কাটাও দেখবে তুমিও সব শিখে যাবে ।
তমা-- তুমি কিন্তু আমাকে ভালোবাসতে ঠিক এই কারণেই যে আমি বাকি মেয়েদের মত নই । আর না বাকি মেয়েদের সাথে ঘোরাফেরা করি।
নিরব : তুমি আমার অনুভূতি গুলোকে বুঝতে পারছ না । তুমি কি আদৌ আমাকে ভালোবাসো??
তমা-- ভালোবাসা মানে কি শরীর ছোঁয়া?? নাকি ভালোবাসার মানুষটির সাথে নোংরা নোংরা কথা বলা।
নিরব -- তমা প্লিজ । এই শেষ বার । আর কখনো বলবো না তোমাকে প্রমিস ।
তমা-- নিরব এসব আমার দ্বারা সম্ভব নয় । তুমি তোমার জীবনটাকে আবার নতুন করে সাজাতে পারো । আমি তোমাকে কখনো এর জন্য বাধা দিব না । বলতে পারব না তুমি আমার সাথে এটা কেন করলে ‌।
নিরব -- মানে কি তমা এগুলা ।কি সব উল্টাপাল্টা বলছো । তোমার মাথা ঠিক আছে তো ।
তমা-- হ্যাঁ নিরব আমার মাথা সম্পূর্ণ ঠিক আছে। আর আমি সবটা ভেবে শুনেই বলছি তোমাকে । আমার মতে আমাদের আর না এগোনোই ভালো । তুমি যেমন মেয়ে চাচ্ছ বা খুঁজছো আমি ঠিক তেমনটা নই । যার জন্য আমাদের নিত্যদিন কথা কাটাকাটি ঝগড়া লেগেই থাকে । যা প্রতিদিন আমার জন্য মানসিক টর্চার হয়ে দাঁড়িয়েছে ‌‌ । আমি তোমাকে যত বোঝাবার চেষ্টা করি তুমি ততই বিগড়ে যাও ।
নিরব : তমা । তমা listen to me শোনো আমার কথা । আরে আমরা ফিউচারে বিয়ে করবো। আর এইগুলো তো আজকাল প্রেমের একটি অংশমাত্র । তুমি সীমাকে দেখো ওরাও কিন্তু কিছুদিন পর বিয়ে করবে। ওদের সম্পর্ক কিন্তু খুবই গভীরে আছে । হৃদয় আমার বন্ধু । ও আমাকে সবটা খুলে বলে । শুধু তুমি না না করো।
তমা -- আমি সীমা নাই নিরব । আমি চেয়েছিলাম এমন একটি সম্পর্ক যে সম্পর্কের কোন স্পর্শ থাকবে না। যে সম্পর্কের মাঝে থাকবে চোখের দৃষ্টিতে অন্য দুটি চোখ অসীম ক্ষমতা। যে সম্পর্কের দূর থেকেও অনুভব করা যায় তাকে ভালোবাসা যায় । এই কলিযুগে লুতু পুতু প্রেম আমি চাইনি । হতে পারে আমাদের সম্পর্ক দু'বছর বেরিয়েছে । কিন্তু একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মানটা হয়তো জন্ম নেয়নি । আমার মতে এখানে সবকিছু শেষ করে দেওয়া ভালো। ভালো থেকো নিরব । তোমাকে আমি আপন করতে চেয়েছিলাম কিন্তু তুমি আমাকে ঠিকমতো বুঝতে পারোনি । হতে পারে এটা আমার দুর্বলতা তোমার ব্যর্থতা । আমাকে ক্ষমা করে দিও ।
নিরব-- প্লিজ প্লিজ তমা একটি বার আমার কথা শুনো । একটিবার আমাকে বোঝার চেষ্টা করো ।

( কোন কথা না শুনে তমা নিজের পথে এগিয়ে গেল । আজকাল যুগের জেনারেশন পাল্টে আধুনিকতার ছোঁয়া পেতে গিয়ে নির্লজ্জ চরম সীমা পেরিয়ে গেছে । এভাবে ভেঙে যায় কত শত সম্পর্ক গুলো । হয়তো কারো কাছে এটা শুধুমাত্র টাইম পাস । আবার কারো কাছে জীবনের থেকেও বেশি । ভালো থাকুক ভালোবাসার মানুষগুলো ।)

 ুচ্ছো_হাজারের_নোট #পাঠ_৫  #শেষ_পাঠছোট মা আমাকে দেখে বলতে লাগলো অনিক । বাবা তুই বেঁচে আছিস । কতো খুঁজেছি তোকে । কোথায় হ...
13/08/2021

ুচ্ছো_হাজারের_নোট
#পাঠ_৫
#শেষ_পাঠ

ছোট মা আমাকে দেখে বলতে লাগলো অনিক । বাবা তুই বেঁচে আছিস । কতো খুঁজেছি তোকে । কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলি । সৎ বাবাকে বলতে লাগলো তুমি চিনতে পারছো ও আমার হারিয়ে যাওয়া সেই অনিক । জানিস অনিক । তোমার এই বাবা তোকে কতো খুঁজেছে ‌। কিন্তু কোথাও পাইনি তোকে । এতো রাগ কেউ করে বাবা । কেন এমন করলি । আমি ছোট মাকে বললাম তোমার এই অবস্থা কেন । বাবার সেই বাড়িটা কই ?? আর কেনই বা তোমার পথে পথে ভিক্ষা করে খাচ্ছো? ছোট মা আমাকে সব খুলে বললেন । ছোট মার ছেলে অনি নাকি বিয়ে করে তার বউ এর কথা মতো তাদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন । গ্রামে ভিক্ষা করে তাদের পেট ভরে খাবার জুট্টো না । তাই এই ঢাকা শহরে আসা । আসলে ভাগ্যের জোর বলে কিছু আছে । তা নাহলে আমি আবার ছোট মাকে ফিরে পেতাম না । আল্লাহ্ পাক হয়তো আমাকে অনেক ভালোবাসেন তা নাহলে তিনি আমাকে কখনো মা ছাড়া করেননি । আজ আর মা নেই । নেই সাহেলা বেগম । যেই ছোট মাকে ছেড়ে থাকা শহরে চলে এসেছিলাম সেই ছোট মা ভাগ্য চক্র ঢাকাই । ছোট মাকে সহ সৎ বাবাকে গাড়িতে তুলে বাসায় নিয়ে গেলাম । হেনা সহ বাসার সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম । সবাই কে বললাম আমার ছোট মা ও ছোট বাবা এই খানে থাকবেন । সবাই একটু যত্ন নিও । সাহেলা বেগমের ছেলে মেয়ে ও আমার ছোট মা ও বাবাকে অনেক ভালোবাসেন । আজ সাহেলা বেগমের জন্য আমি এতো দূর পর্যন্ত আসতে পেরেছি ।
সত্যি এক গুচ্ছ হাজারের নোট আমার জীবনটাই পাল্টে দিল । আসলে জীবনে সৎ থাকাটাই ভিশন গুরুত্বপূর্ণ ।।

16/02/2021

অহংকার
লেখিকা : আমি নিজে ।
কন্ঠে : ও আমি।

 ুচ্ছ_হাজারের_নোট। #পাঠ_৪ হেনা আর আমার বিয়ের তিন বছর পর কোল জুড়ে লেক ফুটফুটে কন্যা সন্তান । সাহেলা বেগম নিজ হাতে তার ন...
26/01/2021

ুচ্ছ_হাজারের_নোট।

#পাঠ_৪

হেনা আর আমার বিয়ের তিন বছর পর কোল জুড়ে লেক ফুটফুটে কন্যা সন্তান । সাহেলা বেগম নিজ হাতে তার নাম রাখল অর্নিফা । অর্নিফার যখন পাঁচ বছর বয়স তখন সাহেলা বেগম পরলোকে চলে যায় । এবং তার সমস্ত সম্পত্তি আমার নামে করে দিয়ে যান । তার স্বামীর দেওয়া ছোট বিজনেসটা । যেটা তিনি আমার নামে করে দিয়েছে । সেই বিজনেস থেকে আজ আবার আরো তিনটি বিজনেস । ঢাকা শহরে আমিও নামকরা বিজনেসম্যান এর মধ্যে একজন । সাহেলা বেগমের বড় ছেলে ও মেয়ে এখন আমার সাথেই থাকে । সাহেলা বেগম মারা যাওয়ার এক বছর আগেই তার ব্যবসার সমস্ত ভরাডুবি খেয়ে সর্বহারা হয়ে আমাদের কাছে আশ্রয় প্রাপ্ত হয়েছিলেন ‌ । সাহেলা বেগম ফাস্ট তাকে মেনে নিতে চাইছিলো না । কিন্তু আমি তাকে বুঝালাম আমার এসবের প্রয়োজন নেই তার সন্তানরা যেন ভালো থাকে এটাই অনেক । কারণ আমি যে আশ্রয়হীন ছিলাম তিনি আমার আশ্রয়দাতা আমাকে আশ্রয় দিয়েছিলেন । সেই সময় যে সময় আমার পাশে কেউ ছিলনা । আমি ঢাকা শহরে এক নিঃস্ব পথো বালক ছিলাম । তারপর তিনি রাজি হলেন । যেই মেয়ে পালিয়ে বিয়ে করে ব্রাড বড়লোক স্বামীর হাত ধরে সম্পত্তির ভাগাভাগি করে চলে গিয়েছিল। যে জীবনে সাহেলা বেগমের কোন খোঁজ খবর রাখিনি সেই মেয়ে সাহেলা বেগমের মৃত্যুর তিন মাস ক্ষমা চেয়ে স্বামীর হাত ছেড়ে একটি মেয়ে সন্তান নিয়ে মায়ের কাছে আশ্রয় চেয়ে বসল । তার মত বড়লোক স্বামী তার বাবার ব্যবসার সব কিছু বিক্রি করে দিয়ে নিজের সব আত্মসাৎ করে নিয়েছে । তাকে এখন পথের ফকির হিসেবেই মেয়েসহ রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছে । তিনি আর কোন কিছু বুঝতে না পেরে বাপের বাড়ি এসে উঠেছে । এখন আমরা বাড়িটি বেশ ভরা । বাড়িতে সাহেলা বেগম তার জীবনের অনেকগুলো বছর কাটিয়েছি । সেই বাড়িটা আজ গম গম করছে লোকজনে । অর্নিফা আর সাহেলা বেগমের মেয়ে ঘরে নাতনি তাজিম ও ছেলের ঘরে দুই ছেলে রিফাত ও শিফাত কে নিয়ে আজ আমার চার সন্তান ‌। আমি কাউকে দু'রকম দুচোখে দেখিনা । আমার কাছে অর্নিফা যেমন আমার নিজের মেয়ে ঠিক তেমনি তাজিম , রিফাত শিফাত আমার সন্তান । আমার নিজের সন্তান । এগুলো ভাবতে ভাবতেই কাল গাড়িটার কাচ থেকে চোখটা বাইরে করতেই দেখি । আমার সেই সৎ মা ও সৎ বাবা রাস্তায় ভিক্ষা করছেন । দেখেই আমার চোখে জল চলে আসলো । আমি গাড়ি থামিয়ে তাদের কাছে গেলাম । সৎ মাকে বললাম ছোট মা চিনতে পারছো আমি তোমার ছেলে অনিক । তোমার আগের স্বামীর ছেলে । ছোট মার আমার কথা শুনে চোখ থেকে অজস্র জল পড়তে লাগলো । ছোটমা হুইল চেয়ারে বসা তিনি এখন আর হাঁটতে পারেন না । আমার সৎ বাবা কোনমতে তাকে ঠেলে ঠেলে নিয়ে ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছেন ।

 #একগুচ্ছ_হাজারের_নোট  #পাঠ_৩আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ে মেয়ে আছে আমার স্বামী একজন মস্ত বড় শিল্প ব্যবসা ছিলেন । বেশ নামকর...
05/01/2021

#একগুচ্ছ_হাজারের_নোট

#পাঠ_৩

আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ে মেয়ে আছে আমার স্বামী একজন মস্ত বড় শিল্প ব্যবসা ছিলেন । বেশ নামকরা ব্যবসা ছিল তার । তিনি মারা যাবার পর তার সমস্ত সম্পত্তি আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ে নামে ভাগাভাগি করে নিল । আমাকে দিলো এই বাড়িটা গ্রামের কয়েকশো বিঘা জমি । আর ছোট্ট একটি ব্যবসা । যে ব্যবসার নামটি আমার নাম দিয়ে শুরু । আমার স্বামীর জীবনের এটাই হলো প্রথম ব্যবসা যাত্রা । কিন্তু এখানে আমি একাই থাকি তারা সবাই তাদের মত নিজ নিজ বিলাসিতা বাড়ি , ব্যবসা ও বউ বাচ্চার সাথে থাকে । আমার খোঁজ নেয় না বড় ছেলের ইদানিং খুব টানাটানি যাচ্ছে এদিকে আমার বড় নাতিও বেশ অসুস্থ তাই তার জন্য ব্যাংক থেকে কিছুটা টাকা তুলে আনলাম । কিন্তু আসার পথে দোকান থেকে কিছু সদায় বাজার আনার সময় তাড়াহুড়া করতেই টাকাটা কোন ফাঁকে পড়ে গিয়েছে টেরও পায়নি । তার কথা শুনে আমি খুব অবাক হয়ে গেলাম । উনি এত বড় একটা বাড়িতে একা থাকেন ।
তিনি আরো বললেন ---

উনার উনার বরের লাভ ম্যারেজ হয়েছিল । উনার বাপের বাড়ি লোক এমনকি শ্বশুর বাড়ির লোক উনাদের মেনে নেয়নি । উনি আসার সময় যেটুকু গয়না সাথে নিয়ে এসেছিল তা থেকেই তাদের ব্যবসার প্রথম মূলধন শুরু হলো । শফিক সাহেব ওনার বর যেহেতু অনেক শিক্ষিত ছিল বিবেচক ছিল সেহেতু তাদের ব্যবসা খুব সহজেই দাঁড়িয়ে গেল এবং খুব লাভজনক হলো । সেখান থেকে আস্তে আস্তে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য আরো বৃদ্ধি পেতে থাকল এবং উনি অনেক নামকরা নামিদামি ব্যবসায়ী হয়ে গেলেন ঢাকা শহরের ‌ । উনার স্বামী মারা যাবার পর উনার বাপের বাড়ির লোক এবং কি শ্বশুর বাড়ির লোক উৎ পেতে আছে কখন তার সমস্ত সম্পত্তির নিজেদের করে নেবে এবং ভোগবিলাস করবে । যেখানে বছরে একবার ফোন করলে ফোনটা কেটে দিত । সেখানে এখন তারাই নিজ থেকে ফোন দিয়ে প্রতিদিন জিজ্ঞাসা করেন তিনি কেমন । প্রত্যেকদিন দাওয়াত থাকে কারো না কারোর বাড়িতে তার । সবই টাকা পয়সাও সম্পত্তির লোভে । এমনকি উনার বাড়িতে প্রায় চোর ও আসে । আগেও দু'বার চুরি হয়েছে । কিন্তু চোরকে তা জানা যায়নি । তাই অনিনি পুরো বাড়িতে সিসি ক্যামেরা দ্বারা আবৃত করেছেন । এই অধ্য বুড়ো বয়সে তিনি এখন বিশ্বস্ত একটি লোক খুঁজছেন যেটা ব্যবসা ও তাকে সযত্নে ভালোবাসা দিয়ে তার মন জিতে নিতে পারে । উনি তার নামে সমস্ত ব্যবসা ও সম্পত্তি লিখে দেবেন । যে উনার শেষ বয়সে এসে দেখাশুনা করবে ।
তিনি আমাকে জানালেন বাবা তুমি আমার বাড়িতে থেকে যাও তোমার পড়াশোনার সমস্ত খরচ আজ থেকে আমি চালাবো তোমার তো আর বেশি পড়ালেখা নেই আর চার পাঁচ বছর করলেই তুমি একজন ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে । এরমধ্যে তোমার অনেক বয়স হয়ে যাবে । স্বাবলম্বী এক পুরুষ হিসেবে সমাজের চোখে গণ্য হবে । আমিও তার কথামত থেকে গেলাম তার বাড়িতে । তিনি এক আবদার করে বসলো তাকে মা বলে ডাকতে হবে । আমিও তার কথা মেনে নিলাম । তাকে মা বলে ডাকতে শুরু করলাম । তিনি ও তাঁর নিজের ছেলের মতো করে আমাকে যত্ন ও বড় করতে শুরু করলো । আমার সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা তিনি পূরণ করতো । ভাবতেও অবাক লাগে কেউ এতটা আপন করে নিতে পারে এক অচেনা অচেনা বালক কে । আমিও ইন্টার পরীক্ষা দিয়ে অনার্সে ভর্তি হয়ে গেলাম । এর মাঝে আসলা আমার জীবনে হেনা । হেনা ও খুব গরীব ঘরের মেয়ে । কিন্তু ও আমাকে ভিষন ভালোবাসতো ‌। আমিও সাহেলা বেগমে মানে আমার নতুন মা তার কাছে সমস্ত ঘটনা খুলে বললাম । তিনি আমাকে হেনার সাথে বিয়ে দিয়ে দিলেন । এখন আমার পরিচয় আমি সাহেলা বেগম ও শফিক সাহেবের ছোট ছেলে ।

 #একগুচ্ছ_হাজারের_নোট  #পাঠ_২ হঠাৎ দেখি এক গোছা হাজারের নোট খুব যত্ন সহকারে রবারের পেঁচানো রাস্তার উপর পড়ে আছে । আশেপাশ...
04/01/2021

#একগুচ্ছ_হাজারের_নোট

#পাঠ_২

হঠাৎ দেখি এক গোছা হাজারের নোট খুব যত্ন সহকারে রবারের পেঁচানো রাস্তার উপর পড়ে আছে । আশেপাশের অনেক লোক কে জিজ্ঞাসা করলাম আপনাদের কি কিছু হারিয়ে গেছে। তারা বলল না আমাদের কিছু হারায় নি ।এমনকি রাস্তার পাশে দোকানদাররাও সঠিক তথ্য আমাকে দিতে পারিনি । এদিকে দুপুর গড়িয়ে রাত হয়ে গেল । হঠাৎ দেখি একজন মধ্যবয়সী মহিলা । তন্ন তন্ন করে রাস্তায় কি যেন খুঁজে বেড়াচ্ছে । মহিলার বয়স তেমন বেশি নয় আবার তেমন কমও নয় । হয়তো আরো বছর পাঁচেক পরেই তার সমস্ত চুল পেকে সাদা হয়ে যাবে । খুব কৌতূহলবশত মহিলাটাকে আমি লক্ষ্য করতে লাগলাম । হঠাৎ মহিলাটি আমার দিকে এগিয়ে এসে বলল বাবা তুমি কি এখানেই থাকো ? আমি বললাম কি আমি এখানে গত দু'দিন যাবত রয়েছি। একটা কাজের চেষ্টায় আছি কিন্তু কোনো কাজ না পেয়ে রাস্তায় আমার বস স্থান তৈরি হয়েছে। লোকটি একটু স্বস্তিতে আমাকে জিজ্ঞাসা করল । তুমি কি এখানে একগোছা হাজারের নোট দেখেছো। নোটগুলো আমার ভীষণ প্রয়োজন । আমি আমার বড় ছেলে মেয়েকে ডাক্তার দেখাবার জন্য দিবো । আমি মহিলাটাকে জিজ্ঞাসা করলাম কেমন দেখতে সে হাজারের নোটের গুচ্ছ খানা । তিনি যে বিবরণ দিলেন তা আমার পাওয়া হাজারের নোট গাছের সাথে মিলে যায় আমি তাকে দিয়ে দিলাম তিনি আমার উপর খুশি হয়ে আমাকে কিছু টাকা দিলেন । আমার সততার উপর খুশি হয়ে তিনি অনেক প্রশংসা করলেন । আমি বললাম আন্টি আমার টাকার প্রয়োজন নেইৎ।পাথরের শহরে মানুষের মত মানুষ হয়ে বাঁচতে পারি । তিনি আমার কথায় খুশি হয়ে আমাকে তার সঙ্গে নিয়ে গেলেন । আমি আমার সমস্ত ঘটনা তাকে খুলে বললাম । খুলে বললাম আমার অতীত এই সমস্ত কথা কিভাবে আমি এখানে এসেছি কিভাবে আমি দিনে জীবন যাপন করেছি । বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সবার প্রথমে খেতে দিলেন । কি রাজকীয় ব্যাপার স্যাপার । মহলের মত সুন্দর একখানা বাড়ি । একদম প্রাচীনকালের রাজাদের মতো । কত সুন্দর সুন্দর ঘরের আসবাবপত্র । বাসার ছোট্ট একখানে পুকুর । পুকুরের পানি গুলো একদম নীল আকাশের মত । স্বচ্ছ কাঁচের মতো ।কাচের ভিতরে বন্দী করার রংবেরঙের মাছ লাফালাফি ছুটোছুটি করে বেড়াচ্ছে । ছাদের উপর বাহারি ফুলের গাছ যা কখনো আমি দেখিনি । কিন্তুক অবাক করার বিষয় হলো এত বড় বাড়িতে তিনি একা। তাকে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি বললেন--

 #একগুচ্ছ_হাজারের_নোট #পাঠ_১ আমি অনিক । সুনামগঞ্জে আমার বাড়ি । ধরতে গেলে আমি অনাথ আবার অনাথ না বলা যেতে পারে । আমি যখন ...
02/01/2021

#একগুচ্ছ_হাজারের_নোট

#পাঠ_১

আমি অনিক । সুনামগঞ্জে আমার বাড়ি । ধরতে গেলে আমি অনাথ আবার অনাথ না বলা যেতে পারে । আমি যখন ক্লাস ফাইভে পড়ি তখন আমার মা মারা যান । মা মারা যাবার বছর পড়তে না পড়তেই বাবা নতুন বিয়ে করেন। ঘরে আসে সৎ মা। সৎ মায়ের বয়স তেমন বেশি না ধরতে গেলে আমার থেকে আরও দশ বছরের বড় ‌। বেশ সুখে দিন যাচ্ছিল হঠাৎ করে একদিন আমার বাবার হার্ট অ্যাটাক হলো তখন আমি ক্লাস এইটে উঠলাম সবেমাত্র । বাবা আস্তে আস্তে নিথর হয়ে থাকেন একদিন তারা সময় ঘনিয়ে । এল তিনিও পরবাসী হলেন । তখন আমি ক্লাস নাইনে পড়ি। বাবা মারা যাওয়ার পর সৎ মায়ের বাপের বাড়ি থেকে তাকে আবার বিয়ে দেয়া হলো । বছর ঘুরতে না ঘুরতেই । আমার ঘরে আবার নতুন করে সৎ বাবা। প্রথম সৎ মাকে নিয়ে মানিয়ে নিতে আমার বেশ কষ্ট হয়েছিল তবে একটা পর্যায়ে আমরা বেশ মানিয়ে নিয়েছিলাম। সৎ মা আমাকে ভালোবাসতো । আমিও সৎ মাকে সম্মান করতাম। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর সৎ মায়ের নতুন বিয়েটা আমি মেনে নিতে পারলাম না । কিছুদিনের জন্য আমি আমার দাদা-দাদী কাছে যে উঠি । কেন জানি না মনের মাঝে অস্থিরতা কাজ করছে। কোন কিছু বিষয় পেতে না পেতেই মাথায় হঠাৎ একটা বুদ্ধি চেপে বসল এখান থেকে চলে যাওয়ার। সৎ মা সৎ বাবা এখন আমার বাড়িতেই থাকে যেখানে আমার বাবা আর মা থাকতেন।বাবা চলে যাওয়ার আগে বাড়িটা আমার আর সৎ মায়ের নামে করে দিয়ে গেছেন । সমান সমান ভাগ । বাবা হয়তো ভেবেছিলেন সৎ মা আর কখনো বিয়েটাই করবেন না । যাই হোক দাদা বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার বুদ্ধি অনুযায়ী কাজ করতে লাগলাম। আজ এ বাড়ি ডিম চুরি তো কাল ওর বাড়ি ফলমূল চুরি করে হাটে বিক্রি করে দিতাম। এভাবে দিন পাঁচেক যাওয়ার পর । আমি সাড়ে তিনশ টাকা নিয়ে ঢাকার পথে রওনা হলাম । বাসটা ঠিক ঢাকা চত্বরে এসে দাঁড়ালো আমিও নেমে পড়লাম। বাস ভাড়া মিটিয়ে আমার কাছে মাত্র আশি টাকা রইল । দুদিন বেশ কেটে গেল আমার অনায়াসে । আজ থেকে কি খাবো তা নিয়ে বিকট চিন্তায় পড়ে গেলাম । এখন ঠিক মধ্যদুপুর । পকেট এ মাত্র পাঁচটি টাকা আছে।

 #অদ্বিতীয়া  #পাঠ_৫। শোনা গেল অদ্বিতীয়া আর নেই। সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।  তার পর রাজেশ্বর ও নিস্তেজ হয়ে প...
01/01/2021

#অদ্বিতীয়া

#পাঠ_৫



শোনা গেল অদ্বিতীয়া আর নেই। সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পর রাজেশ্বর ও নিস্তেজ হয়ে পড়ল। তার কয়েক বছর পর রাজেশ্বর ও মারা যায়। কানা ঘষায় শোনা গেছে অদ্বিতীয়ার আত্না নাকি দেখা যায়। অনেকেই নাকি দেখেছে তাকে । তোমার মতো আর কয়েক জন নাকি তাকে দেখেছে । বেশিরভাগ অবিবাহিত তরুণদের দেখা দেয় । সবটা শোনা পর সবাই তোমার ঘরটা ছেড়ে চলে গেছে।

আমি আর কোনো কথা না বলে চুপ চাপ বাড়ির পথে হাঁটতে শুরু করলাম। চাচা পিছন থেকে ঠেকেই যাচ্ছে । আমি আর পিছ ফিরে তাকালাম না। চাচাকে বললাম পরে আবার আসবো । এখন যায় আমার দেড়ি হয়ে যাচ্ছে । বলেই চলে আসলাম। কুহু ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে সবার জন্য চা নাস্তা বানিয়েছে । আমি বাসায় আসার সাথে সাথে মা বলে উঠলো ।---

---- কিরে তোর এতো দেরি হল যে ।
--- না মা এমনি । রাস্তায় একটু হাঁটাহাঁটি করছিলাম ।
--- আয় আর দেরি করিস না বস খেতে বসব । আজ কুহু নিজে হাতে সবটা রান্না করেছে ।

আর কোন কথা না বলে আমি খেতে বসে গেলাম । খাওয়া দাওয়া শেষ করে । কুহু কে একটু রুমে আসতে বললাম ।

কুহু -- কি হয়েছে বলো । তোমার মুখটা এত ফ্যাকাশে কেন ?

কুহু কে সবটা করে বললাম । কুহু সবটা শুনে অনেকটা ভয় পেয়ে গেল । বিকেলে ঘুরতে যাওয়ার নাম করে আমাকে এক হুজুরের কাছে নিয়ে গেল । এবং হুজুরকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলার পর । তিনি আমাকে এক শরীর বন্ধের তাবিজ দিলেন আর আমাদের ঘর বন্ধের তাবিজ দিলেন । যাতে করে অদ্বিতীয়া আর আমাদের স্বপ্ন না আসে । আমাদের কারো সাথে কোন যোগাযোগ করতে না পারে । হুজুর আরো কিছু কথা বলো তা শুনে চলতে বললেন । তার পর কুহু কে নিয়ে বাসায় ফিরে আসলাম । বাসায় এসে কুহু সবাইকে সমস্ত ঘটনাটা জানালো ।বাসার সবাই অত্যাধিক ভয় পেয়ে আছে ঘটনাটা শুনে । বাবা-মা বকাবকি শুরু করল কেন তাদের আমি সবটা বলিনি ‌ । তারা আর দেরী করলো না সেই মাসে আমাদের বাসা পাল্টিয়ে অন্য জায়গায় চলে আসলাম ‌। তারপর আর কখনও অদ্বিতীয়ার কথা আমার আর মনেও পরেনি । এমনকি আর কখনো ফিরে দেখা হয়নি অদ্বিতীয়ার বাসস্থান ।

 #অদ্বিতীয়া #পাঠ_৪অদ্বিতীয়া বেপার টা সহ্য করতে পারছে না।  রাজেশ্বরের এমন রূপ সে আগে কখনো দেখিনি। অদ্বিতীয়া কিছুতেই বি...
27/12/2020

#অদ্বিতীয়া

#পাঠ_৪

অদ্বিতীয়া বেপার টা সহ্য করতে পারছে না। রাজেশ্বরের এমন রূপ সে আগে কখনো দেখিনি। অদ্বিতীয়া কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেনা। অদ্বিতীয়ার কাছে সব কিছু দুঃস্বপ্নের মতো লাগছে। অদ্বিতীয়ার সবচেয়ে কাছের বন্ধুর সাথে কি করে পারলো রাজেশ্বর এমনটা করতে । সে নিজের দুই চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না । অদ্বিতীয় সমস্ত কিছুই সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরল। এদিকে রাজেশ্বর তার ইচ্ছে মতো ধর্ষণ করে ফাল্গুনীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে। রাজেশ্বর তার কাজ সেরে ফাল্গুনী কে হত্যা করলো । রাজেশ্বর তার অনুচরদের খবর পাঠাল । ফাল্গুনীর লাশ খুব তাড়াতাড়ি যেন গুম করে দেওয়া হয়। এদিকে দাসীরা ধরা ধরি করে অদ্বিতীয়াকে তার শোয়ার ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় । ইতিমধ্যে এই খবরটি রাজেশ্বরের কানে পৌঁছে গেল । এদিকে ফাল্গুনের লাশ গুম করে দেয়া হলো । অদ্বিতীয়ার জ্ঞান ফিরতেই ফাল্গুনী বলে জোরে একটা চিৎকার দিলো । পাশ ঘুরতে দেখে রাজেশ্বর অট্টহাসি দিচ্ছে । রাজেশ্বরের বুঝতে বাকি রইল না যে অদ্বিতীয় সবটা জেনে গেছে। অদ্বিতীয়া রাজেশ্বরের কাছে কৈফত চাইল । কেন তার প্রাণ প্রিয় বান্ধবীর সাথে তিনি এমনটা করলেন। রাজেশ্বর কিছু না বলেই চলে গেল। এদিকে ফাল্গুনের দূরের এক আত্মীয় ফাল্গুনের খোঁজে এসে অদ্বিতীয়া কে সমস্ত কিছু খুলে বলল । অদ্বিতীয়ার যেন পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেল । অদ্বিতীয়া সামনে সব কিছু এখন জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেল। বুজতে বাকি রইলো না যে তার বাবার আসল খুনির নাম । অদ্বিতীয়া ফাল্গুনীর দূরের সাথে রাজেশ্বরের নরকপূরীর থেকে পালিয়ে যাওয়ার বুদ্ধি বের করে। অদ্বিতীয়া আর রাজেশ্বরের মুখও দেখতে চায় না। অনেক দূরে হারিয়ে যাবে যেখানে গেলে রাজেশ্বর আর অদ্বিতীয়াকে আর খুঁজে পাবে না। কিন্তু অদ্বিতীয়া জানতো না রাজেশ্বরের এই নরক পূরের থেকে বের হয়ে যাওয়া এতো সহজ না । অদ্বিতীয়া ধরা পড়ে যায় রাজেশ্বরের হাতে । রাজেশ্বর তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে কিছু না বলে ফাল্গুনীর আত্নীয় কে এক নিমিষেই গুলিতে তার বুকটা ঝাঁঝরা করে দেয় । আর অদ্বিতীয়াকে টেনে হিচরে ওই ঘরটাতে বন্দী করে দেয় । এমনকি ওই ঘরটিতে কারো যাওয়া ও বারন হয়ে যায়। টানা তিন দিন অদ্বিতীয়াকে পানি টুকু খেতে দেওয়া হয় না। তার পর নিজেই অদ্বিতীয়ার জন্য খাবার নিয়ে যেতো । নরপশুটার অদ্বিতীয়ার প্রতি অন্য রকম একটা মায়াজালে জড়িয়ে যায় । তাই তো নিজ হাতে যত্ন করে খাবার নিয়ে যেত কিন্তু অদ্বিতীয়া খেতে না চাইলেই শুরু হয়ে যেত অত্যাচার । এভাবে কেটে গেল আর কিছু মাস । একদিন রাজেশ্বরের চিৎকারে শব্দে পূরো বাড়িটি ম ম করে উঠলো।

( দুঃখিত গল্পটি দেরি করে দেয়ার জন্য । একটু ব্যস্ততার জন্য ঠিকমতো গল্প লিখতে পারিনি। )

 #অদ্বিতীয়া  #পাঠ_৩__ না চাচা । আমি কখনো অদিতি আগে দিনের বেলা দেখিনি ‌। আমি ওই বাড়িটা তিন তলায় থাকি। না কখনো দিনের বে...
19/12/2020

#অদ্বিতীয়া

#পাঠ_৩

__ না চাচা । আমি কখনো অদিতি আগে দিনের বেলা দেখিনি ‌। আমি ওই বাড়িটা তিন তলায় থাকি। না কখনো দিনের বেলায় অদ্বিতীয় ঘরের বারান্দাটা দেখেছি না দেখেছি অদ্বিতীয়াকে দিনের বেলায়।
__ তুমি কালকে দেখা পাওনি । তোমার কি বিয়ে হয়ে গেছে নাকি?
__ মানে আপনি জানলেন কি করে আমার কাল বিয়ে হয়ে গেছে ?
__ হায়রে বোকা আমি জানবো না তো কে জানবে । তুমি যে মেয়েটার খোঁজ করছো । সে তো এখান থেকে পঞ্চাশ বছর আগে মারা গেছে ।
__ কিহ্ । আপনি আমার সাথে মজা করছেন । আপনি একজন জীবিত মানুষকে মৃত বানিয়ে দিলেন । না চাচা আপনার বয়সের সাথে এটা ঠিক যাচ্ছে না ।
__ আমি তোমাকে কেন মিথ্যা বলতে যাব । এ-বাড়ির আনাচে-কানাচে যে অভিশাপ লেগে আছে । অদ্বিতীয়া আর অভিশাপ ।
__ মানে কি বলছেন আপনি আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না ঠিকমতো ।
__ আমি তোমাকে বুঝিয়ে বলছি । তুমি যে মেয়েটার কথা বলছো । তার নাম হচ্ছে অদ্বিতীয়া । তিনি কোনো এক নবাব বংশের পুত্রবধূ । এই যে বাড়িটা দেখছো ভালো করে লক্ষ্য করো । সেই বাড়িটা নির্মাণ হয়েছে এখান থেকে আরও আড়াইশো বছর আগে । তবে অদ্বিতীয়া শশুর মশাই আর স্বামী বাড়িতে কি আবার নতুন করে মেলামত করেছিলেন ‌। অদ্বিতীয় স্বামীর নাম রাজেশ্বর খান । তার চরিত্র মোটেও ভাল ছিলনা । এই বাড়িটার কনে একটি গুমঘর ও মনোরঞ্জন শালা আছে । যেখানে রাজেশ্বর নিত্যদিন নতুন নতুন মেয়েদের নেশায় ডুবে থাকতো । অদ্বিতীয়া ছিল বেশ সুন্দরী । কোন এক গরিব প্রজার মেয়ে । যার বংশের সবাই রাজেশ্বরী বংশের কাছে গোলামী খাটতে আসতো । একদিন অদ্বিতীয়ার বাবা বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং রাজেশ্বরীর গোলামী করতে আসতে পারিনি । তাই অদ্বিতীয়া কে পাঠিয়েছিল এই খবরটা রাজেশ্বর কে দিতে । রাজেশ্বরের প্রথম দেখাতেই অদ্বিতীয়াকে বেশ ভালো লেগে যায় । যেমন রূপ তেমন গুন তেমনি মাথার কেশ । বেশ সুদর্শনী ও মায়াবী চেহারার অধিকারী । নরপশুটা অদ্বিতীয়ার বাবার কাছে অদ্বিতীয়াকে বিয়ের করার প্রস্তাব দাবি করেন । অদ্বিতীয়ার বাবা রাজেশ্বরের সব কিছু জানতো ‌। তাই তিনি মেয়ে দিতে চাননি । প্রথমে ছিনিয়ে তারপর ছলে অদ্বিতীয়া কে নিজের করে নিল রাজেশ্বর । তার লোভের শিকার হতে হলো অদ্বিতীয়ার বাবাকে । বেশ ষড়যন্ত্র করেই শেষ করে দেয়া হলো অদ্বিতীয়ার বাবাকে । অদ্বিতীয়ার এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বিয়ে করে নিলো রাজেশ্বর ‌ । বেশ সুখে দিন যাচ্ছিল রাজেশ্বর আর অদ্বিতীয়ার ‌। মাঝে মাঝে অদ্বিতীয়াকে সান্তনা দিতে আসতো সবথেকে প্রিয় কাছের সই ফাল্গুনী। রাজেশ্বরের অবর্তমানে ফাল্গুনী অদ্বিতীয়ার সাথে দেখা করতে আসতো । এভাবে কেটে যায় বেশ কয়েকটি মাস । ফাল্গুনী জানতো রাজেশ্বরের এর সমস্ত নোংরামির কথা । কাইসে চুপিসারে অদ্বিতীয়া সাথে দেখা করতো । একদিন ফাল্গুনী অদ্বিতীয়ার সাথে দেখা করতে এসে রাজেশ্বরের এর হাতে ধরা পড়ে যায় । রাজেশ্বর ফাল্গুনী কে দেখেই জোর পূর্বক তার মনোরঞ্জন শালাই নিয়ে যায় । দূর থেকে অদ্বিতীয়া সমস্ত দৃশ্যটি দেখতে থাকে ।

 #অদ্বিতীয়া #পাঠ_২ এখন তুমি আমার সাথে এমনটা করতে পারো না। আমি তো আর কারো কাছে মুখ দেখতে পারবো না ।  কিছুতো বলো । এই ভাব...
15/12/2020

#অদ্বিতীয়া

#পাঠ_২

এখন তুমি আমার সাথে এমনটা করতে পারো না। আমি তো আর কারো কাছে মুখ দেখতে পারবো না । কিছুতো বলো । এই ভাবে চুপ থেকো না । দিনের বেলায় অদ্বিতীয়ার জন্য মায়া মনে কাজ করে না। তাই কুহুকে বললাম বাসায় কথা বলো । কুহু ঠিক আছে বলে ফোনটা কেটে দিলো। কুহু ওর বাবাকে সবটা খুলে বললো। ওর বাবা আর ভাই এসে আমার বাবা মার সাথে কথা বলে বিয়ের দিন ঠিক করলো । কেমন জানি নেশাক্ত বোধ কাজ করছে আমার মাঝে । মাকে বললাম বিয়েটা এখন না করলে হয় না। মা বলেন আমি কিছু জানি না তোমার বাবাকে বলো । বলেই রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন। আজ রাতে হয়তো অদ্বিতীয়াকে ওই বারান্দাটায় নিজের করে দেখার শেষ দিন। মনে মনে ভাবলাম আর অদ্বিতীয়াকে দেখছিলাম। আমার চোখ বেয়ে নিশ্চুপে জল গড়িয়ে পড়ছে। আমি যেনো নিজের স্বপ্ন নিজ হাতে গুড়ে দিচ্ছি। কিসের অধিকার নিয়ে যাবো অদ্বিতীয়ার কাছে। যে আমাকে এখনো দেখেনী । এ সব ভাবতে ভাবতে অদ্বিতীয়া কোথায় যেন চলে গেল । এদিক আজান দিচ্ছে ফজরের । কে জানত যে আজকের পর থেকে আমি আর অদ্বিতীয়াকে ওই বারান্দাটায় দেখতে পারবো না। আজ আমার বিয়ে। কুহু কনের সাজে তার রূপ নিয়ে বসে আছে আমার জন্য বাসর ঘরে ‌ । আমি ঘরে ঢুকে দেখি বিছানাতে কুহু বসে আমার জন্য অপেক্ষা করছে । আজ ঘরের সব কয়টি জানালা বন্ধ করা । রাত‌ বারোটা বাজে কুহুকে বললাম ঘুমিয়ে নিতে । সারাদিন অনেক ধকল সামলাতে হয়েছে । কুহু ও লক্ষী মেয়ের মতো ঘুমিয়ে পড়েছে ফ্রেস হয়ে নিয়ে । আমি যেন কিছুতেই মানতে পারছিনা । আমি জানালাটা খুলে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছি হয়তো অদ্বিতীয়ার জন্য । কিন্তু কেন যেন অদ্বিতীয়া আসলো না । অদ্বিতীয়ার জন্য অপেক্ষা করতে করতে সকাল হয়ে গেলো । এদিকে ভোরের আজান দিচ্ছে কুহু উঠে পড়েছে ।
কুহু : ফ্রেস হয়ে আমাকে বলল তুমি নামাজে যাবেনা ।
_ হ্যাঁ যাবো ।
কুহু : তুমি কি সারারাত এখানে দাঁড়িয়ে কাটিয়ে দিলে ।
_ না । হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেছে তাই এখানে এসে দাঁড়িয়েছি এখানটায় দাঁড়াতে আমার বেশ লাগে।
কুহু : আচ্ছা যাও নামাজে দেরি হয়ে যাচ্ছে আমিও নামাজ পড়ে নি ।
আমি আজ অনেকদিন পর বাইরে নামাজ পড়তে যাচ্ছি । এদিকে লকডাউন কিছুদিনের জন্য ছেড়ে দিয়েছে। তবে রয়েছে কঠোর নিয়ম কানুন । যা না মানলে আইনি শাস্তি দেয়া হবে । আমি সকল বিধি অনুসরণ করে মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে আসছি ‌ । এমন সময় হঠাৎ করে আমার অদিতি আর কথা মনে পড়ে গেল ‌। আমি আমার সামনের বাড়িটা গেটে কড়া নাড়তে লাগলাম । যেখানে আমার প্রাণপ্রিয় অদ্বিতীয় থাকে । আশ্চর্যজনকভাবে বাড়িটা বেশ পুরনো । বড় দরজায় বেশ বড় একটি তালা ঝুলছে বাড়িটিতে । তালাতে দেখে মনে হচ্ছে শ বছর খানেক আগে বন্ধ করা হয়েছে তারপর আর খোলা হয়নি ।তবে ছোট দরজাটা ভেতর থেকে আটকানো । বেশ কয়েকবার কড়া নাড়তেই ভিতর থেকে একজন বৃদ্ধ লোক বাড়ির দরজাটি খুললেন । আমি তার সাথে বেশ ভালোই কথা বলতে লাগলাম প্রথমে জিজ্ঞেস করলাম তিনি কেমন আছেন ।তারপর তার খোঁজ নিলাম । তাকে জিজ্ঞাসা করলাম আর অদ্বিতীয়টি অসুস্থ । নাকি অন্য কোথাও বেড়াতে গেছে। লোকটি আমার কথা শুনে বলল --
__ তুমি কি এলাকায় নতুন । তুমি কি এই বাড়িটার পিছনে তে থাকো ।
( লোকটির মুখে বেশ আশ্চর্যজনক ভাবে দুচিন্তা ছাপ । মনে হলো লোকটি হঠাৎ চমকে উঠলো । আমি বললাম -- )
__ হ্যাঁ লকডাউন এর বেশ কিছু মাস আগে এসেছি । হ্যাঁ আমি আপনাদের বাড়িটার পিছনে তে থাকি ।
__ তুমি অদ্বিতীয়া কে কবে দেখেছো ।
__ লকডাউন পড়ার ঠিক 15 দিন পরে আমার প্রথম দেখা কোন এক রাতের অন্ধকারে।
__ তুমি অদ্বিতীয়া কি কখনো দেখেছো? তুমি ওই বাড়ির কয়তলায় থাকো । তোমার জানালাটা দিয়ে দিনের বেলায় কখনো অদ্বিতীয়ার ঘরের বারান্দা টা দেখেছো ।

 #অদ্বিতীয়া #পাঠ_১দেখতে দেখতে লকডাউনের ১৫টি দিন কেটে গেল। এখানে আমার কোন ফ্রেন্ড নেই বলতে পারি একাই থাকি সারাদিন। মাঝে ...
13/12/2020

#অদ্বিতীয়া

#পাঠ_১

দেখতে দেখতে লকডাউনের ১৫টি দিন কেটে গেল। এখানে আমার কোন ফ্রেন্ড নেই বলতে পারি একাই থাকি সারাদিন। মাঝে মাঝে ফ্রেন্ডের সাথে গ্রুপ কল বা চ্যাটিং করে থাকি । বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে কখন যে রাত হয়ে গেলো টেরই পেলাম না। রাত পোনে তিনটে নাগাদ হঠাৎ আমার চোখ যায় সামনের বাড়িটার উপর। তিনতলায় আমার রুমের সোজাসুজি একটা জানালা। অনেকটা ভুতের বা ভৌতিক এর মত। বেশ গাছগাছালি দিয়ে পুরো বারান্দাটা ঘেরা । আসলে কোনদিনও আমার চোখ যায়নি ওই বারান্দাটার দিকে। কারণ আমি ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেশ হয়েই ভার্সিটির দিকে রওনা দিতাম আর আসতাম রাত এগারোটা বারোটার দিকে। অনেক সময় বাইরে থেকে খেয়ে আসতাম আবার অনেক সময় ডিনারটা বাসায় করতাম। শুধু ঘুমানোর জন্য ঘরটায় আসতাম তাই জানালাটা খুলে দেখার প্রয়োজন বোধ করতাম না । আশেপাশে কি আছে এটা তো আমার ধারনার বাইরে। কখনো ও চোখে দেখি নাই আশেপাশে কি কি দোকান পাটি রয়েছে। আগে আমরা ঝিনাইদহে একটি কলোনিতে থাকতাম সেখানে আমার অনেক বন্ধুবান্ধব রয়েছে।সারাদিন ওদের সাথে আড্ডা দিতাম কখনো আমার বাসায় বা কখনো ওদের বাসায়। এখানে আমরা নতুন এসেছি। লকডাউন পড়ার ঠিক তিন মাস আগে। এখানে তেমন বন্ধু বান্ধব না হওয়ায় আমি সবসময় বাইরে বাইরে। আমার রুমে যে তিনটা জানালা আছে তা ও জেনেছি এই লকডাউন পরার পর । আমার অন্ধকার রুম বেশ ভালো লাগে । তাই খুব একটা জানালা খুলতাম না। আজ হয়তো আম্মু ঘর পরিষ্কার করার সময় জানলাটা খুলে রেখে গেছেন। খুব ভালো করে বারান্দার দিকে তাকাতেই দেখি কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে। বেশ লম্বা চুল মাথায় । দেখে বোঝা যাচ্ছে একটি মেয়ে । চুলগুলো খুব অদ্ভুত পাবে বাতাসে দুলছে। কিন্তু মেয়েটার মুখ দেখতে পারলাম না। আকার আকৃতি দেখে মনে হচ্ছে মেয়েটা বেশ সুদর্শন। গায়ের দুধে আলতা বরন। পরনের সাদা জামা। খুব করে মেয়েটিকে দেখতে ইচ্ছে করছে। না জানি চুল গুলোর আড়ালে কতো সুন্দর মুহূর্ত অপেক্ষা করছে। তার পর আমি বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে আমার ঘুম পেয়ে যায় । তার পর আমি জানালাটা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ি। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই জানালাটা খুলি । আজ সারাদিন ওই বারান্দাটার দিকে নজর রাখি কিন্তু কোনো লোকই দেখতে পেলাম না। ওইদিন রাতে ঠিক আড়াইটে নাগাদ কুহুর সাথে কথা বলতে বলতেই জানালাটার দিকে নজর দিলাম। দেখি সেই মেয়েটিই বারান্দাটাই দাঁড়িয়ে আছে । আজ ও তার মুখটি নীলচে ছায়ায় অস্পষ্ট। কুহুর সাথে কথা বলতে বলতে কখন যে হারিয়ে গেছি মনে নেই যে কুহু এখনো ফোনের লাইনে আছে। আর আমাকে বার বার ডেকেই যাচ্ছে। কিন্তু কোন রেসপন্স না পেয়ে ফোনটা কেটে দিলো কুহু । কুহু ভেবেছিল আমি ঘুমিয়ে পরেছি। তাই আর ডিষ্টাব করলো না। কুহু আমার জিএফ আমার জান। আমাদের এঙ্গেজমেন টা হয়ে গেছে। লকডাউন পরাতে বিয়েটা আটকে আছে। আমাদের প্রায়ই ফোনে কথা হতো। যাই হোক আমি পাগলীকে খুব ভালোবাসি। এবার আসি আসল কথায় মেয়েটি ও ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে বারান্দাটে । আমি ও জানালা থেকে দেখছি তো দেখছি। অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওই বারান্দার মেয়েটির দিকে । কিন্তু মুখে দেখতে পাচ্ছি না। হঠাৎ কেউ ডাক দিলো অদ্বিতীয়া । মেয়েটা ডাক শুনেই চলে গেল। এদিকে ফজরের আজান দিচ্ছে। আমি যে কতক্ষণ ধরে ধ্যানে মগ্ন ছিলাম তা আমার জানা নেই। ফজরের নামাজ পরেই ঘুমিয়ে পরলাম। সে দিন সকালে উঠেই আবার ও সেই জানালাটা খুলে বারান্দাটার দিকে নজর। সারা দিনে কেউ আসলো না বারান্দায়। রাত ঠিক ১: ৩০ মিনিট। হঠাৎ করে চোখ গেল জানালার দিক ওই বারান্দাটার উপর । কেন জানি হঠাৎ করেই ওই বারান্দাটার দিকে নজর চলে যায়। আমি না চাইতেই । আর যদি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি বারান্দাটার দিকে কেমন যেন মোহে হারিয়ে যায়। তবে আমি কখনো অদ্বিতীয়াকে বারান্দাটায় আসতে যেতে দেখিনি। অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা শর্তেও এ দৃশ্যটি কেন জানি চোখে বন্দী করতে পারিনি। যাই হোক অদ্বিতীয়া দাঁড়িয়ে আছে বারান্দাটে আজ ও সাদা শাড়ি পরে। মনে মনে ভেবেই নিলাম মেয়ে সাদাসিনী । সৌন্দর্যে ভরপুর মেয়েদের নাম যদি সুভাসিনী হয় তাহলে সাদা রং প্রিয় মেয়েটি সাদাসিনী। আজ প্রথম বারের মতো অদ্বিতীয়া আমার দিকে তাকিয়েছিল । কিন্তু নীলচে আলোয় তার মায়াবী মুখের যে এতো বিশালতার আলোক বিদ্যুৎ ছিল যার কারণে আমি বেশিক্ষণ চোখ ধরে রাখতে পারলাম না। নিমিষেই সে অন্য দিকে ঘুরে তাকালো। এখন আর তার মুখখানি দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু মনের মাঝে তীব্র ইচ্ছা জাগছে তাকে বারবার দেখার । ইচ্ছেটা ইচ্ছেতেই থেকে গেলো ফজরের আজান দিচ্ছে। আর কেমন জানি ঘুম ঘুম লাগছে। এসব ভাবতে ভাবতে অদ্বিতীয়া কোথায় জানি উবে গেল। হঠাৎ তাকিয়ে দেখি অদ্বিতীয়া বারান্দাটায় নেই। আমি আজ ও তার যাওয়া দেখতে পেলাম না। কি অদ্ভুত মেয়েটা । রহস্যময়ী মায়াবিনী কন্যা । নামটাই কেমন জানি নেশাক্ত বোধ কাজ করে। আজ কাল মেয়েটার নামটা ডাকতেই কেনো যেনো ভালো লাগা কাজ করে। তার পর আমি ফজরের নামাজ পরে ঘুমের দেশে তলিয়ে যায়। আজ ও আমি অপেক্ষার প্রহর গুনছি । কিন্তু সারাদিনে অদ্বিতীয়ার কোন খোঁজ নেই। কুহু যে কতবার আমাকে ফোন দিয়েছে তা না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবেন না ‌। কুহু অনাবরত ফোন দিয়েই যাচ্ছে। ফোনটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে কান্নাভেজা কন্ঠে কুহু বলতে লাগলো আমাকে কি তোমার এখন আর ভালো লাগেনা। আমাদের প্রায়ই তার বছরের রিলেশন এইতো একমাস পনের দিন আগেই আমাদের এঙ্গেজমেন টা হয়ে গেছে।

Address

Jessore Road Khulna
Khulna

Telephone

+8801960450887

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when কল্পনার গল্পটা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to কল্পনার গল্পটা:

Videos

Share