কাহিনী

কাহিনী আপনি যা খুঁজছেন তা এখানেই❤️🥀

নিউজপ্রিন্ট ছিল ৫ টাকা দিস্তা। দূরের দোকান থেকে পায়ে হেঁটে ৪ টাকায় কিনতে যেতাম। হোয়াইটপ্রিন্ট ছিল ৭/৮ টাকা দিস্তা। বাসায়...
03/09/2024

নিউজপ্রিন্ট ছিল ৫ টাকা দিস্তা।

দূরের দোকান থেকে পায়ে হেঁটে ৪ টাকায় কিনতে যেতাম।

হোয়াইটপ্রিন্ট ছিল ৭/৮ টাকা দিস্তা।

বাসায় নিউজপ্রিন্টে লেখা, স্কুলে হোয়াইটপ্রিন্ট।

খাকি ঠোংগা, সিমেন্টের কাগজের বস্তা, শক্ত যেকোন কাগজ, ক্যালেন্ডারের পাতা কভার দিয়ে রঙ্গিন সূতায় বাঁধাই করতাম নিউজপ্রিন্ট খাতাগুলো ।

দোকান থেকে বাঁধাই করা খাতা কেনাটা নব্বই দশকের মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য বিলাসিতা ছিল। কালে ভদ্রে কিনে দিতো মাতা পিতারা। অল্প ক'টা খাতার কথা মনে আছে, তাতে ম্যাকগাইভার, মেরাডোনা, সিন্দবাদ, টিপু সুলতানের ফটো ছাপা ছিল।

ক'দিন পর দিস্তা কাগজের জন্য টাকা চাইতে গেলেই, শুনতে হতো - এইত সেইদিন না কিনে দিলাম !

গ্লাসের পানি ফেলে কতবার নিউজপ্রিন্ট খাতা ফুলিয়ে ঢোল করে ফেলেছিলাম ! খুব অনুশোচনায় ভুগতাম ! কেন এমন করলাম ? এখন নতুন খাতার জন্য টাকা চাইবো কিভাবে ? নিজের কাছেই প্রচন্ড লজ্জা লাগতো ! ভেজা খাতা তারে ঝুলিয়ে চুলার উপর শুকিয়ে ব্যবহার করতেও হতো।

ক'দিন পরপর খাতা কলম পেন্সিলের টাকা আব্বার কাছে চাইতে গেলে মুখটা মলিন হয়ে যেতো ! তখনকার পিতাদের উপার্জনের অংকটা এসময়ের সন্তানদের রেস্টুরেন্টে বন্ধুদের নিয়ে উড়িয়ে দেয়া ভোজন বিলাসিতার সমান। গার্লফ্রেন্ড বা বয়ফ্রেন্ডের পেছনে দামী গিফট ক্রয়ের সমতূল্য।

খাতা, কলম, পেনসিল, শার্পনার, রবার, স্কেল হারিয়ে গেলে আম্মা আব্বা বকাঝকা, বেতের মাইর দিতেন, খুব রাগ করতেন। সৎ উপার্জনের স্বল্প আয়ে পুরো সংসার চালাতে হতো তাদের। যার ফলে হরহামেশাই টানাপোড়েন লেগে থাকতো ! এখনকার কোটিপতি মধ্যবিত্ত তখন কল্পনাই করা যেতো না।

আরও ছোটবেলায় চলে যাই। কাটায় কাটায় নব্বই কি একানব্বই। তখন নিউজপ্রিন্ট ছিল ৩ টাকা দিস্তা আর হোয়াইটপ্রিন্ট ৫ টাকা দিস্তা।

বাংলা এবং ইংরেজী লেখা সোজা করে লেখার জন্য রঙ্গিন রুলটানা খাতা পাওয়া ছিল ; চাঁদ হাতে পাবার মত দু:সাধ্য ব্যাপার ! আব্বা রাতে অফিস থেকে ফিরে স্কেল দিয়ে রুলটানা খাতা বানাতো।

৯৪/৯৫ দিকে নিউজপ্রিন্ট এলো হোয়াইটপ্রিন্টের মত দেখতে, লিখতেও ছিল বেশ মসৃণ। এক দুই টাকার পার্থ্যক্যের জন্য দোকানে হাত দিয়ে দেখতাম শুধু। বেশ ক'বছর পরে কিনতে পেরেছিলাম।

দোকান ঘুরে ঘুরে কমমূল্যের নিউজপ্রিন্ট দিস্তার ১টাকা বাচিয়ে এনে আম্মার হাতে তুলে দিতাম। মনে হতো যেন উপার্জনের টাকা হাতে তুলে দিচ্ছি ! বেশ খুশি হতেন।

আব্বা আম্মারা বই খাতা বাঁধাই করা নিজের হাতে শিখিয়ে দিতেন। ক্যালেন্ডারের পাতা কভার হিসেবে ব্যবহার করতেন । লাল সাদা মোটা সূতায় খাতাগুলো আড়াআড়ি বা উপরনিচে সেলাই বাঁধাই হতো।

নিজের সেলাই করা খাতা, বইয়ের মলাট জ্যামিতি বক্সের সাথে পাওয়া প্লাস্টিকের ছাঁচের অক্ষর দিয়ে নাম, ক্লাস আর রোল লিখতাম। বড় বড় হরফে নিজের নাম, শ্রেনী, বিভাগ, রোল নং এবং নীচে একপাশে সাইনের মতো অটোগ্রাফে নিজেদের সেলিব্রিটি মনে হতো...

একটা কলম দিয়ে সারা মাস পার করে দিতাম আর পরীক্ষার সময় দুইটা কলম একটা পেন্সিল একটা কাঠের স্কেল আর বোর্ড ১০ টাকা দামের। অতিরিক্ত কোনো কিছু পাইতাম না। সন্ধার সময় পড়তে বসতে হবে,নামাজ না পড়লে ভাত দিতো না নামাজ পড়ে ভাত রাত ১০/১১ টার মধ্যে ঘুম। টিফিনের জন্য ২ টাকা পাইতাম। ২ টা স্কুল শার্ট দিয়ে পুরা বছর চলে যাইতো। অভাবে ছিলাম না কখনো সুশাসনে ছিলাম...

মনে পড়ে গেল সেই সব দিন গুলোর কথা😞। আহা কত সুন্দরই না ছিল আমাদের শৈশব। আমার এখনও মনে পড়ে আমাদের সময় মিমি চকলেট ছিল ১০টাকা করে স্কুলে যাওয়া আসার সময় দোকানে দেখতাম কিন্তু কখনও আব্বুকে বলতে পারিনি লজ্জায় এত দাম দিয়ে মিমি চকলেট খাব
. বাবাদের কষ্টকে খুব ভালভাবে বুঝতে পারতাম।

আহারে শৈশব😔কত কিছু মনে পড়ে গেল 😢

তবুও ভালো ছিলো সেই..... শৈশবকাল....!

If you disrespect the martyrs who brought us independence then why our next generation will respect today's martyrs??🙂😒ও...
06/08/2024

If you disrespect the martyrs who brought us independence then why our next generation will respect today's martyrs??🙂😒

ওনাদের কি দোষ? ওনারা তো বীরশ্রেষ্ঠ তাই না আবু সাইদ, মুগ্ধ এই ভাইদের মতো ওনারাও তো দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন।আসলেই এখন ছাএরা অতি খুশিতে মূর্খতার পরিচয় দিচ্ছে 🥺🙂😒

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুবুদ্ধি দান করুক আমিন 🤲

06/08/2024

ধরে নিলাম লোকটা খারাপ ছিলো তার মেয়ে খারাপ ছিলো,কিন্তু এই লোকটার বাঁকে মুক্তিযোদ্ধা দের আওয়াজেই নয়টা মাস যুদ্ধ হইসিলো, আরো মানুষের অবদান অবশ্যই ছিলো কিন্তু উনার আওয়াজটা তখন অনেক জরুরি ছিলো, কি দিলাম তারে আমরা??আজ উনার অবদান যদি আপনারা ভুলে যান।
তাহলে ভবিষ্যতে আপনাদের ছেলে মেয়েরাও আপনাদের আজকের এই অবদান ভুলে যাবে।
সাথে সাথে আরেকটা কাজ করবেন যে টাকাটা আজকে আপনাদের পকেটে আছে, যে টাকা আপনার বাসায় আছে, যে টাকা দিয়ে আপনি চলছেন, সেই টাকা ও কেউ ছিড়ে ফেলে দেন.....

মাফ করবেন দেশ স্বাধীন হয়নি, দেশ ধ্বংস হচ্ছ মনে করছি....

রাতারাতি একটা জেনারেশন কেমনে পাল্টে গেলো, তাইনা! প্রায় এক মাস থেকে কেউ মিমস শেয়ার দেয়না, কেউ গান বাজনা পোস্ট করেনা, কেউ ...
03/08/2024

রাতারাতি একটা জেনারেশন কেমনে পাল্টে গেলো, তাইনা!

প্রায় এক মাস থেকে কেউ মিমস শেয়ার দেয়না, কেউ গান বাজনা পোস্ট করেনা, কেউ খেলাধুলা নিয়ে ভাবেনা, প্রিয়জনের ছবি স্টোরি দেয়না, কেউ ছেঁকা খাওয়া পোস্ট দেয়না, বিকেলে খেলতে যায়না, কেউ পড়তে বসে না, ঠিক মত ঘুমায় না!

সবার কেবল একটাই চিন্তা
নিজের দেশ,আমার দেশ,বাংলাদেশ ❤️❤️❤️

17/07/2024

I gained 41 followers, created 27 posts and received 859 reactions in the past 90 days! Thank you all for your continued support. I could not have done it without you. 🙏🤗🎉

🤣🤣🤣
15/07/2024

🤣🤣🤣

12/06/2024

ছেলেদের জীবন বড়ই অদ্ভুত,
১৬ বছর বয়সে ক্লাসমেট মেয়ে দের পাশে যখন শত প্রেমের অফার আসে তখন ছেলেদের জাস্ট বন্ধু হবার মতোও কেউ জুটে না,
১৮ বছরে ক্লাস মেট মেয়েরা বিয়ের যোগ্য হলেও ছেলেরা বাল্যকালের উপাধি পায়,
২০ বছর বয়সে একটা রিলেশনশিপের জন্য কি অধীর আকুলতা অথচ ক্লাসমেট মেয়েরা হাসতে হাসতে তার সামনেই ৫ বছরের সিনিয়র ভাইয়ের প্রশংসা করে।
২২ বছর বয়সে যখন বান্ধবীদের বিয়ের সিরিয়াল চলতে থাকে তখনো সমাজ ছেলেদের বলে অনার্স এর " বাচ্চা ছেলে"।
২৪ বছরে মেয়েরা যখন পড়াশোনা প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে, তখন ছেলেটার যেন যুদ্ধ শুরু।
নেশাগ্রস্ত হতাশ গস্ত যাই হোক না কেন,যে ছেলেটার নিজেরই চালচুলা নেই তাঁকেও যেন বহুবার ভাবতে হয় ইনকাম না করলে বিয়ে হবে না,তাকেও দায়িত্ব নিতে হবে," সংসার, বউ,বাচ্চা " র
নীরব কান্নায় কাউকে খুঁজে না পেলেও একটা কথা সমাজ, আত্মীয়, স্বজন,পরিবার ঠিকই মনে করিয়ে দিবে" ছেলে কি করে?"
অনার্স- মাস্টার্স শেষ মেয়েটার জন্য শত বিয়ের অপশন দিলেও,ছেলেটার সামনে একটাই অপশন, " কিরে আর কবে চাকরি পাবি!"
বিশ্ববিদ্যালয়ের আগুন ঝরা দিন গুলোতে প্রফেসর লেকচারে বলতেন " রিযিক আল্লাহ র" হাতে, এটা নিয়ে দুঃচিন্তা করবে না,অথচ, তিনি ও মেয়ের জন্য সরকারি চাকরিওয়ালা ছেলে চান,
চাকরি করে ভাইবোনদের সেটেল করতে বা বাবার হাতকে শক্তিশালী করে বাসা- বাড়ি একটু সাজাতে বয়স পেরিয়ে যায় ছেলেটার খেয়াল থাকে না
এতোদিন পরে একটু সচ্ছল! সুন্দরী মেয়ে খুঁজলেও যেন অনেকেই বলে এই বুইড়া ব্যাটা সম্পদ লোভী আবার অল্প বয়স্ক মাইয়া ও খুঁজে!
বিয়ের পর পরিবার আর বাচ্চাদের কথা ভেবেই পাড়ি দেয় বিদেশে একা!
কিংবা সন্তানের শহরের " স্কুল কলেজের " কথা ভেবে নিজেই একা মেসে থাকে, হয়তো পরিবার থেকে চাকরিস্হল অনেক দুরে।
কাজের বুয়ার রান্না, একাকী বিষন্নতা আর কোন জেলা/ উপজেলায় সারা মাসের জার্নি করতে করতে কখন যে,একাধিক অসুখ বাঁধে খেয়ালও থাকে না,
বাবা মার মুখ উজ্জ্বল করতে যে ছেলেটার ছোট বেলার সপ্ন শুরু, সংগ্রামের, যৌবনকাল আর শেষ বয়সে এসেও সন্তানের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে যুদ্ধ যেন আর শেষ হয় না,
তবু্ও এই সমাজ বলে আহ! ছেলেরা কত স্বাধীন এতো কিছু করার পরও মেয়েরা বলে ছেলেরা ভালোবাসতে জানে না।
বিঃদ্রঃ এই লেখা টা সব ছেলেদের জন্য প্রযোজ্য নয়,

সংগ্রহিত

একজন গরু বেপারী পটানো চাইতে ৭ টা মেয়ে পটানো অনেক সহজ আমি মনে করি😂
10/06/2024

একজন গরু বেপারী পটানো চাইতে ৭ টা মেয়ে পটানো অনেক সহজ আমি মনে করি😂

01/06/2024

কবরের আযাব আসলে কেমন হয় অনুমান করুন😥😥

সৌন্দর্যের আরেক নাম ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক ❤️কুমিল্লার এই অংশে খুব মন কাড়ে। #বীর_চট্টগ্রাম
29/05/2024

সৌন্দর্যের আরেক নাম ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক ❤️
কুমিল্লার এই অংশে খুব মন কাড়ে।

#বীর_চট্টগ্রাম

29/05/2024

Tribute To KK
KK

28/05/2024

🤣

টাকা উড়ানো সহজ উপার্জন নয়! শিল্পপতি লোহানী সাহেবের ছেলের বাস্তব জীবনের গল্প!ঘটনাটি ১৯৯৭ সনের, আমি আমার শিল্পপতি বাবা লোহ...
28/05/2024

টাকা উড়ানো সহজ উপার্জন নয়! শিল্পপতি লোহানী সাহেবের ছেলের বাস্তব জীবনের গল্প!

ঘটনাটি ১৯৯৭ সনের, আমি আমার শিল্পপতি বাবা লোহানী সাহেবের একমাত্র ছেলে রবিন চৌধুরী। তখন আমি এ লেভেলের ছাত্র। একে তো শিল্পপতির ছেলে তার উপর ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশুনা করি ভাবই আলাদা। ফ্রেন্ডস নিয়ে ক্লাবে ক্লাবে পার্টি, ট্যুর, নতুন নতুন ড্রিংকস করা, সব কিছু মিলিয়ে অন্য রকম একটা মাস্তির লাইফ কাটছিল।
বন্ধুদের মধ্যে আমার লিডার লিডার একটা ভাবছিলো। তার কারন আমি সবচেয়ে বেশি খরচ করতাম। একদিন প্লান করলাম বন্ধুরা মিলে থাইল্যান্ড যাব ট্যুরে। আর আমার এইবারের বার্থডে সেখানেই সেলিব্রেট করবো। এর মধ্যে আমার দুই বন্ধু একটু গরীব তাদের খরচ আমাকে বহন করতে হবে।
আজ বাবা বাসায় ড্রয়িং রুমে বসে কফি খাচ্ছে। বাবার সামনে যেতেই আমি কিছু বলার আগে বাবা বললো এমাউন্ট কতো?? না মানে বাবা সামনে আমার জন্মদিনতো তাই মানে এই আর কি। বাবা উচ্চ স্বরে রেগে গিয়ে বললো আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি এমাউন্ট কত?? ২ লক্ষ বাবা। হুম!!!
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান তুমি। জন্ম নিয়ে এই জাতিকে কৃতার্থ করেছ, তোমার জন্মদিনে মাত্র ২ লক্ষ টাকা খরচ হবে কম হয়ে গেলনা??? এর মধ্যে মা চলে আসছে। কি হয়েছে?? আমাদের একমাত্র ছেলে এই সম্পদ সব কিছুইতো একদিন ওর হবে। দিয়ে দাও, ওর মনে কষ্ট দিওনা।আমি যদি আমার ছেলেকে একটা উড়ন্ত বিমানের পাইলটের সিটে বসিয়ে তোমার ছেলের উপর প্লেনের দ্বায়িত্ব দিয়ে নেমে পরি। তখন কেমন হবে তুমিই বল?
শোন রবিনের মা এই সম্পদ একদিনে আসেনি। এর দ্বায়িত্ব নিতেও নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হয়। ঠিক আছে আমি তোমার ছেলেকে ২ লক্ষ টাকা দিব যদি সে আগামীকাল আমাকে পরিশ্রম করে ২০০ টাকা উপার্জন করে এনে দিতে পারে। সারা রাত নাক ডেকে ঘুমিয়েছি মাত্র ২০০ টাকা লুল, বাবা আগামী কালই দেখতে পারবে আমি তার সম্পদের দায়িত্ব নেয়ার মতো যোগ্য হয়েছি।
পরের দিন সকাল ৭ টায় বাবা আমাকে ডেকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিল। কি যে বিরক্ত লাগছিল মাত্র ২০০ টাকার জন্য এতো সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে?? রেডি হয়ে একে বারে ফুল বাবু সেজে ২০০ টাকা উপার্জন করতে বের হয়েছি। পকেটে এক টাকাও নাই সাথে বাবা একজন স্পাইও দিয়েছে।
ঘর থেকে বের হওয়ার পর এখন মনে হচ্ছে আমি একটা সমুদ্রের মাঝে পরে গেলাম। বিনা পুঁজিতে টাকা কোথায় পাই। কার কাছে থেকে ধার করতে পারছি না, কারো সাহায্য নিতে পারছিনা। ভিক্ষাও করতে পারবো না। ভাবতে ভাবতে দুপুর হয়ে গেল। অবশেষে একটা রিক্সার গ্যারেজে গেলাম, মনে মনে ভয়ও পাচ্ছিলাম অনেক মানুষ আছে রিক্সাওলার গায়ে হাত তুলে যদি আমাকে কেউ রিক্সাওয়ালা ভেবে মারে??
তখনি বিবেক আমাকে বুঝিয়ে দিল রিক্সাওয়ালাও আমারি মতো মানুষ। তাদের গায়ে হাত তুলা অন্যায়। রিক্সার গ্যারেজে গেলাম কিন্তু অপরিচিত মানুষকে তারা রিক্সা দিবেনা। হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি এলো রিক্সা না পেয়েছিতো কি হয়েছে রিক্সা ঠেলতেতো পারবো। আমি আমার বাবার ছেলে এতো সহজে হার মানবোনা। তখন উচুঁ উচুঁ ব্রিজগুলোকে পেছন থেকে একজনকে রিক্সাওলার সাথে ঠেলে উঠিয়ে দিতো হতো। বিনিময়ে যাত্রীরা ১ টাকা করে দিতো।
জীবনে কোন কাজ করিনি, এক গ্লাস পানিও নিজে ঢেলে খাইনি। আর আজ তপ্ত রোদে রিক্সা ঠেলেছি, এই ভাবে ১ ঘন্টায় ১০ টা রিক্সা ঠেলে ১০ টাকা উপার্জন করেছি, ১১ নাম্বার রিক্সা ঠেলতে গিয়ে পরে হাঁটু ছিলে গেল। আবার উঠে দাড়ালাম। যখন যাত্রী আমার হাতে ১ টাকার একটা কয়েন দিচ্ছিল তখন চোখ দিয়ে কেন যেন কান্না চলে আসলো। ঘন্টা খানেক পর হাঠুর ব্যথা আরো তিব্র হতে লাগলো।
সন্ধ্যা পর্যন্ত গুনে দেখি মাত্র ৪০ টাকা হয়েছে। আর পারছি না। প্রচন্ড ক্লান্ত হয়ে মনে হচ্ছে শরীরও যেন নিজের সাথে প্রতারণা করছে, আমার সঙ্গ ছেড়ে দিচ্ছে। অবশেষে ৪০ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলাম। বাবার সামনে গিয়ে দাড়ালাম ৪০ টাকা বাবার হাতে দিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বললাম, আমি পারিনি বাবা। ভেবেছিলাম আমার বিধ্বস্ত ক্লান্ত চেহারা, হাঠুর কাছে ছেঁড়া পেন্ট দেখে বাবাও হয়তো কেঁদে দিবে। হয়তো আমার মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিবে।
না সে এগুলো কিছুই করেনি। বরং আমাকে বললো এখন আমার সাথে ধানমন্ডি থেকে হেঁটে বুড়িগঙ্গা সেতুর কাছে যাবে, কোন প্রশ্ন না।
আমি অবাক হলাম। এখন মনে হচ্ছে তিনি সত্যিই একজন ব্যবসায়ী। এরপরেও প্রশ্ন করলাম বাবা হেঁটে কেন। তিনি বললেন বাবা আমিতো আজকের এই পজিশনে এই ভাবে একটু একটু করেই এগিয়ে এসেছি। গাড়ি বা বিমানের গতিতে আসিনি। তুমিতো মাত্র একদিন কষ্ট করছো। একটু ধৈর্য ধর।
বাবাকে কি করে বুঝাই আমার ক্লান্তির কথা। এর চাইতে মৃত্যু যন্ত্রণা অধিক শ্রেয়। বাবা আমার হাত ধরে হাটতে হাটতে রাত তিনটায় আমরা ব্রিজ উঠলাম। শান্ত নদী ব্রিজে আমি আর বাবা। ব্রিজের রেলিং ধরে দাড়িয়ে বাবা আমাকে বললো দেখ রবিন নিচের কেমন অথৈই পানি টলমল করছে। তুমি আমার হাতে ৪০ টাকা দিয়েছে তাই না!!
জ্বি বাবা, আমার জীবনের প্রথম উপার্জন। আমি জানি রবিন এই টাকা গুলো উপার্জন করতে তোমার অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এখন তোমাকে যা বলি শোন। আমি জানি আমার ছেলে ছোট বেলা থেকেই ম্যাথমেটিক্সে খুবই ভাল। তাহলে ভাল গুনতেও পারো আশা করি। এখন আমি তোমার উপার্জনের ৪০ টাকা দূরে পানিতে ছুড়ে ফেলবো আর তুমি বলতে থাকবে বাকি কয়টা রইলো।
বাবার কথা শুনে আমার চোঁখে আবার পানি চলে আসলো। বাবা তার সমস্ত শক্তি দিয়ে একটা কয়েন সেতু থেকে দূরে পানিতে ছুড়ে ফেলে বললো রবিন এখন কয়টা রইলো। আমি কাঁদতে কাঁদতে বললাম বাবা ৩৯ টা। এই ভাবে এক এক করে আমার চোখের সামনে আমার জীবনের প্রথম উপার্জিত এতো কষ্টের সব গুলো টাকা পানিতে ফেলতে লাগলো আমি এক এক করে গুনছি।
এমন একটি পরিস্থিতির বর্ননা দেয়ার ভাষা আমার জানা নেই। শুধু জানি আমার চোঁখ থেকে ঝরে পরা প্রতিটি অস্রু যেন কেরোসিনের তেলের মতোই আমার হৃদয়কে পুড়িয়ে ছাই করে দিচ্ছে। বাবা আমার গায়ে কোন দিন হাত তুলেননি, কোন দিন একটা বকাও দেয়নি, আজ মনে হচ্ছে সব সুদে আসলে পুসিয়ে নিচ্ছে। শেষের টাকাটা বাবা ফেলোনা।
তারপর বললো রবিন তোমার উপার্জনের ৪০ টাকা আজকে আমি নষ্ট করতে তুমি কাঁদলে আর আমার কতো টাকা তুমি এইভাবে নষ্ট করেছো কোথায় আমিতো একবারও কাঁদিনি। তোমার অনুভুতিতে যেমন কষ্ট লাগেছে আমারও ঠিক তেমনি অনুভূতি আছে কষ্ট উপলব্ধি করার জন্য। তোমার শেষের টাকা আমি রেখে দিলাম এটা আমার সন্তানের প্রথম উপার্জিত টাকা এটা এক জন পিতার জন্য গর্বের একটা প্রাপ্তি, এটা সৃতি হিসেবে আমি মৃত্যু পর্যন্ত সাথে রাখবো।
তুমি কাল তোমার মায়ের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে নিও। বাবার এই কথা গুলো শুনার পর নিজেকে বড় বেশি অপরাধী মনে হচ্ছিল। আবেগ আর ধরে রাখতে পারছিলাম না। আমি বাবাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কান্না করতে করতে বললাম বাবা আমার টাকা লাগবে না।আমি এতো দিন স্কুলে কলেজে কিছুই শিখিনি, যেটা তুমি আজকে শিখালে, তুমি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা। একজন আদর্শ বাবার চাইতে বড় শিক্ষক কেউ হতে পারেনা। একজন আদর্শ পিতাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক।

সংগৃহীত

🖤
27/05/2024

🖤

বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে এক মহিলা তার পাঁচ বছরের বাচ্চাকে টয়লেটে বসিয়ে বললেন, তুমি টয়লেট করো, আমি পাঁচ মিনিট পর আসছি।বাচ...
22/05/2024

বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে এক মহিলা তার পাঁচ বছরের বাচ্চাকে টয়লেটে বসিয়ে বললেন, তুমি টয়লেট করো, আমি পাঁচ মিনিট পর আসছি।

বাচ্চাটা ২ মিনিট পরই টয়লেট থেকে বের হয়ে ওর মায়ের কাছে না গিয়ে ভুল করে উল্টা দিকে চলে গেল।

এদিকে প্রথমবার প্লেনে চড়ে আমাদের রতন বাহরাইন যাচ্ছিল, হঠাৎ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে সে টয়লেটে ঢুকলো।

পাঁচ মিনিট পর বাচ্চার মা এসে দরজায় টক টক আওয়াজ করছেন আর বলছেন, হয়ে গেছে নাকি? তাহলে দরজা খোল, আমি তোমাকে ধুইয়ে দিয়ে প্যান্ট পরিয়ে দেব।

টয়লেটের ভিতর থেকে বিস্মিত রতন ভাবছে, উফ! একেই বলে সার্ভিস! কে বলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর সার্ভিস খারাপ?🤧

21/05/2024
12/05/2024

😥😥

সাধারণত ছেলেরা সে-ক্সু-য়ালি এডাল্ট হয় ১৫/১৭ এর মধ্যেই বা তার আগেই।মেয়েরা ১৫ এর আগেই।সেখানে আমরা মেয়েদের বিয়ের বয়স নির্ধা...
12/05/2024

সাধারণত ছেলেরা সে-ক্সু-য়ালি এডাল্ট হয় ১৫/১৭ এর মধ্যেই বা তার আগেই।
মেয়েরা ১৫ এর আগেই।

সেখানে আমরা মেয়েদের বিয়ের বয়স নির্ধারণ করেছি ১৮ বছর ও ছেলেদের ২১ বছর। কিন্তু সিস্টেম করে দিয়েছি আবার অন্য রকম। ছেলেদের চাকরির বয়স সীমা ৩২ বছর। গ্রাজুয়েশান শেষ করতে করতে বয়স হয়ে যায় ২৬/২৭ বছর।

গড় আয়ু যদি ৬৫ হয়- তাহলে ৩২ বছর বয়স পযর্ন্ত সে অন্যের টাকায় চলবে। এর পর স্বাবলম্বী হয়ে মানে জব পেয়ে বিয়ে করবে ৩২ এর পর।

যে ছেলেটা সে-ক্সু-য়ালি এডাল্ট হইলো ১৭ তে। সে বিয়ে করলো আরো ১৫ বছর পর।
এই ১৫ বছর সে কি করবে?

পাড়ায় যাবে না? প্রেমিকাকে নিয়ে লিটনের ফ্লাটে যাবে না? পার্কের চিপায় প্রেমিকার শরীরে হাত দিবে না?
দাঁতে দাঁত চেপে নিজেকে পাথর বানিয়ে রাখবে?
কতটুকু পসিবল? লজিক্যালি কতটুকু পসিবল? বোথ ফর বয়েজ অ্যান্ড গার্লস?

এই দেশে ম-দ বিক্রি নি-ষি-দ্ধ না। কিন্তু ম-দ সহ ধরা পড়লে পুলিশ কে চা পানি খাওয়াইতে হয়!
একটা ছেলে ১৭ বছর অপেক্ষা করবে ১৭ বছরের আগের ক্ষুধা মিটানোর জন্য। যেহেতু আমরা জীব পাথর না। আমাদের ফিজিক্যাল চাহিদা আছে। তাই বলে ১৭ বছর অপেক্ষা করবে একটা ছেলে/মেয়ে ?

আপনি বা কেউ কি বিলিভ করেন যে কেউ অপেক্ষা করে?
অপেক্ষা করে না দেখেই এই দেশে রেস্টুরেন্টে প্রাইভেট জোন লাগে। মিরপুর মাজার রোডে ছোট ছোট খুপরি ঘর ওয়ালা রেস্টুরেন্ট লাগে। পার্কে ছাতা ওয়ালা প্রাইভেসি লাগে। সবই এই সমাজ জানে। একসেপ্ট করে। এক্সেপ্ট না করলে এসব বন্ধ হয়ে যেত। এসবই আমরা মেনে নিচ্ছি। শুধু ছেলে স্টাব্লিশড না হওয়া পযর্ন্ত বিয়ে মেনে নিতে পারতেছি না।

আপনি যদি এই দেশের সুপার সাকসেসফুল কোন বিজনেস ম্যান এর জিবনী পড়েন, দেখবেন তারা সাকসেসফুল হয়েছে অনেক পরে। অন্তত ৪০/৪৫/৫০ বছর বয়সে। আপনি কি তত দিন অপেক্ষা করবেন?মেয়ে তাদের সাথে বিয়ে দেয়ার জন্য ?

আমাদের পিতামাতাগণ সব কিছু ইসলাম অনুয়ায়ী করেন। খালি এই একটা বিষয়ে উনারা ইসলাম মানেন না। সেটা হইলো বিয়ে। পাত্র ভালো জব করে না দেখে উনারা বিয়ে দেন না। সমাজ বলে আগে প্রতিষ্ঠিত হওতার পর বিয়ে কর!

কুরআন বলে আগে বিয়ে করো,গরীব হলে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব আল্লাহ্‌র!🌸 -(সূরা নূর)❤️
অথচ ইসলাম বলেছে সাবালক হইলেই বিয়ে দিয়ে দাও।

"বউ কে খাওয়াবি কি? "
এটা হচ্ছে আমাদের দেশের বিয়ের সব চেয়ে বড় বাঁধা।
বউ কি হাতি? নাকি ঘোড়া? তার তো ১০ কেজি বিচুলি লাগে না ডেইলি। তাইনা?

বিসিএস দিয়ে ৩৫ বছর বয়সে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তার পর বিয়ে করতে হবে ।
নিজের পায়ে ঠিক-ঠাক দাঁড়াতে দাঁড়াতে সঠিক জিনিসটি দাঁড়ানোর সময় পেরিয়ে যায়.....
এখন ভাবুন, ইসলাম ধর্মে বিয়েকে অর্ধেক দ্বীন কেন বলা হয় !

তারপরও পরিবার এবং সবার ব্যক্তিগত মতা মত থাকতেই পারে 😊

10/05/2024

Koto Din Dekhini Tomay (কতদিন দেখিনি তোমায়)

Credit :-
Singer: Manna Dey
Song: Koto Din Dekhini Tomay (কতদিন দেখিনি তোমায়)
Music Director: Kamal Dasgupta
Lyricist: Pronab Roy
Label: Saregama India Ltd

fans

21/04/2024

পরিস্থিতি যেমনই হোক।
জীবনের চলার পথে প্রতিটা মহুর্তে
এভাবে তোমায় আগলে রাখতে চাই প্রিয়।
❣️❣️

18/03/2024

Miss you 😥😥😥

আমি তোমার চাহনি তে স্নিগ্ধতা খুঁজে পাই।❣️Parsha
29/02/2024

আমি তোমার চাহনি তে স্নিগ্ধতা খুঁজে পাই।❣️

Parsha

🤣🤣
25/01/2022

🤣🤣

26/12/2021

Shukeri Ashay|| সুখেরই আশায়

song Credit
Vocal:Pintu Gosh
Tune & Lyrics :Gostho Gopal
Music:Amzad
Album:Nambo Jole

Address

Khilgaon

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when কাহিনী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to কাহিনী:

Videos

Share

Category

Nearby media companies