03/06/2023
লোডশেডিংয়ের ফজিলত
১. কারেন্ট বিল কম আসে। লাইট, ফ্যান, টিভি ইত্যাদির ব্যবহার কম হওয়ায় টেকে বেশিদিন।
২. অন্ধকার থাকলে জোছনা দেখায় সুবিধে হয়।
৩. গরমে ঘেমে গেলে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের হয়ে যায়। যার কারণে রোগবালাই কম হয়।
৪. হাতপাখা ব্যবহার করায় হাতের ব্যায়াম হয়।
৫. খালি গায়ে থাকার কারণে কাপড়চোপড় কম ময়লা হয়।
৬. লোডশেডিংয়ে সহজে ঘুম আসে না, এতে বাড়িতে চুরির আশংকা কমে যায়।
৭. রাতে ঘুমানোর সময় পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার কারণে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এহেম এহেম 🤫
৮. চাইলেও গরমের কারণে অনেক বেলা পর্যন্ত ঘুমানো যায় না। লোডশেডিং আছে বলেই সকালের আলোবাতাস গায়ে লাগে।
৯. পড়তে বসা লাগে না।
১০. কারেন্টের জন্য অনেক কাজই থেমে থাকে। কারেন্ট আসতে না আসতেই তড়িঘড়ি করে সবাই কাজগুলো করতে থাকে। এতে কাজ ফেলে রাখার প্রবণতা কমে, মানুষ পরিশ্রমী ও কর্মঠ হয়।
১১. লোডশেডিং আছে বলেই আবারও কারেন্ট আসে।
১২. যারা এ বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন তারা জানেন যে, বাংলাদেশে আমরা যে ইলেক্ট্রিসিটি (Alternating Current) বেশি ব্যবহার করি প্রতি সেকেন্ডে সেটার ৫০ বার মুড সুইং হয়। আছে, নাই, আছে, নাই, আছে, নাই, আছে, নাই........এভাবে চলতে থাকে। মানে কিছুক্ষণ থাকবে, আবার কিছুক্ষণ থাকবে না। এটাই ইলেক্ট্রিসিটির থিওরি। ননস্টপ দীর্ঘক্ষণ কারেন্ট থাকাকে বিজ্ঞান কোনোভাবেই সমর্থন করে না। এতদিন আপনারা ভুল জিনিস দেখে এসেছেন। সরি।
দেখেন, আজ থেকে তিনশো বছর আগে কিন্তু কারেন্ট ছিল না। তখনও মানুষ বাঁচতে পারতো, সবকিছুই করতে পারতো। একবিংশ শতাব্দীতে এই পদ্মাসেতু আর মেট্রোরেলের জামানায় এসে যদি আপনি লোডশেডিংয়ের অজুহাত দেন, তাহলে সেটা হাস্যকর হয়ে যায়। কারেন্ট কী খাওয়া যায়? খেলে কী পেট ভরে? যদি উত্তর 'না' হয়, তাহলে এই কারেন্ট না থাকলেও কোনো সমস্যা নাই। কাজেই হুদাই চিল্লাপাল্লা বন্ধ করেন। পাশের দেশ নোয়াখালীর এই বিখ্যাত কথাটা আমল করেন- মুতি আয়, হুতি থাক।
কপি পোস্ট😴