অনুপ্রেরনা

অনুপ্রেরনা অনুপ্রেরণা হোক জীবনের পথ চলা

19/12/2024

দুআটা এমন হোক।

হে আমার মালিক!
জৈবিক চাহিদা আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। মনে ওয়াসওয়াসা দিচ্ছে প্রতিনিয়ত শয়তান।
সব দিক থেকে জিনার উপকরণগুলো উন্মুক্ত। আশ-পাশ সবটা জুড়ে ; ছড়িয়ে ছিটিয়ে অশ্লীলতা, আর বেহায়াপনায় লিপ্ত হাজারও মানুষ।
অবৈধভাবে খুঁজে নিচ্ছে ভালোবাসার সুখ।

ওগো মহান মালিক!
আমার মন জুড়ে যে তোমার ভয়! আমি যে অবৈধ সুখে তৃপ্ত হতে চাই না৷ আমি যে মন ভরে ভালোবাসতে চাই আমার জীবনসঙ্গীকে। আমি তো জানি না সে কোথায়, কিন্তু তোমার দৃষ্টিসীমার বাহিরে তো সে লুকানোর সুযোগ নাই।
আমি তাকে খুঁজতে গেলে হয়তো পাপে জড়াবো, ভুলে হারাবে, তোমার রহমত চাদর থেকে দূরে সরে যাব।

হে মহান মালিক!
তাকে মিলিয়ে দাও। আমায় তৃপ্ত করো। ফেতনার সময় সকল পাপ থেকে মুক্ত রাখো। ধৈর্য বাড়িয়ে দাও। তাকে আমার কাছে পৌঁছে দাও।

আল্লাহ সকলেকে উত্তম জীবনসঙ্গী মিলিয়ে দিক।
ভালোবাসার পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ করে নিক।

~আদিব সালেহ।

18/12/2024

'' নিকাব পড়ে নিকাবের নিচ দিয়ে খাওয়া কোন যুদ্ধের থেকে কম না ভাই''।🥺💔

17/12/2024

সন্ধ্যায়ে ননদকে এসে পাত্র পক্ষ দেখে গেছে ।সেই নিয়ে ঘরোয়া আড্ডাতে স্বামী শাশুড়ী শশুর ও ননদ একসাথে বসে কথা বলছিলো। আমি মাঝখান দিয়ে বলে বসলাম, দোয়া করি ননদের শশুড়বাড়ি যেনো আমার শশুড় বাড়ির মত হয়। শাশুড়ীকে উদ্দেশ্য করে বললাম আপনার মত শাশুড়ী পেলে ননদের ভাগ্য খুলে যাবে। এখন সবাই আ
মার উপর রাগ করে আছে। বলতেসে আমি নাকি ননদকে বদদোয়া দিসি। আমি কি দোষ করলাম ?🙂

©

17/12/2024

ফেইসবুক চালানো নারী কখনো ভালো স্ত্রী হতে পারে না!😐
আর ফেইসবুক চালানো স্বামী হলো শাহ্ সুফী পীরে কামেল মুর্শিদে মোকাম্মেল অলীয়ে আ'যম নেওয়াযে আকরাম মুহাদ্দিসে আলা কুতুবে তাম শাইখিয়া হাফেজিয়া আলহাজ্ব হযরত মাওলানা!😒

©

17/12/2024

বিয়ের পর মার্কেটেই পুরো বেতন চলে যাবে। প্রতি মাসেই বউকে নিয়ে মার্কেটে যেতে হবে। শাড়ি কিনতে কিনতেই জান শেষ হয়ে যাবে। বউয়ের চাহিদা পূরণ করতেই বেতন শেষ— এ জাতীয় অসংখ্য কথাবার্তা অনলাইন-অফলাইনে শোনা যায়। মোটাদাগে এসবের মূল সমস্যা যেটা আমি মনে করি তা হলো, বিয়ের সময় কুফুর প্রতি লক্ষ্য না রাখা।

এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে। সংক্ষেপে কিছু কথা বলি।

আপনার মাসিক বেতন হলো সাকুল্যে দশ হাজার টাকা। আপনি যদি এমন পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করেন, যাদের মাসিক খরচ ৫০ হাজার টাকা, তাহলে বিয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই আপনি ওপরের সমস্যায় ভুগবেন। উচ্চবিত্ত বা প্রায় উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়েরা স্বাভাবিকভাবেই প্রতি মাসে একটি করে নতুন পোশাক ক্রয় করে, এটা তাদের সামর্থ্যের ভেতরেই থাকে। কিন্তু আপনার দশ হাজার টাকা বেতন থেকে শুধু দুই হাজার টাকা কোনোরকম খরচের জন্য রাখতে পারেন, মাঝে মাঝে তাও কষ্ট হয়ে যায়। তাই আপনার ঘরে উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে আসলে তার কষ্ট হওয়াটাই স্বাভাবিক। আর তখন তার এতদিনের স্বাভাবিক প্রয়োজন পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় আপনি এসব কথাবার্তা বলে বেড়াবেন।

পক্ষান্তরে আপনি যদি এমন পরিবারে বিয়ে করতেন, যাদের আয়-রোজগার আপনার মতোই, বা একটু কম-বেশ। তাহলে আপনাকে এমন ভোগান্তিতে পড়তে হতো না। এ জন্য উত্তম হলো, ছেলের আর্থিক অবস্থা মেয়ের পরিবারের চেয়ে উত্তম হওয়া।

হাদীস শরীফে স্পষ্ট এসেছে, তোমরা বিয়ে করা এবং বিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে কুফুর প্রতি লক্ষ রাখো। (সুনানে ইবনে মাজাহ, ১৯৬৮ নং হাদীস)

তবে এটাও ঠিক যে, দ্বীনদার মেয়েদের জন্য এসব কোনো সমস্যাই না। স্বামীর সামর্থ্য যেমনই হোক, তারা সব কষ্ট সয়ে যেতে পারেন। তবুও শরীয়ত বিয়েতে কুফুর ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে। এ যুগে অনেক সংসার ভাঙার মূল কারণ হলো, সমতা ঠিক না থাকা। সমতা ঠিক না থাকায় বিয়ের পর মনোমালিন্য শুরু হয়ে যায়। অনেক কিছুতেই বনাবনি হয় না। একপর্যায়ে তা ভাঙনের রূপ নেয়। এ জন্য বিয়ের আগেই কুফুর ব্যাপারে লক্ষ্য রাখা উচিত।

কুফুর ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানার জন্য উমেদ প্রকাশ থেকে প্রকাশিত ‘বিয়ের আগে’ বইটি পড়তে পারেন। সেখানে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে।

©️

16/12/2024

🔳 কারো সাথে ধাক্কা লাগলে Sorry টা আপনি আগে বলে দিয়েছেন, মানে আপনি জিতে গেছেন।

🔳 কোথাও কোনো ভুল করেছেন❓ কোনো অহংকার না রেখে দ্রুত ক্ষমা চেয়ে নিতে পেরেছেন, মানে আপনি জিতে গেছেন।

🔳 'আমি এখন ব্যস্ত আছি' বলে ফোনটা রেখে না দিয়ে বরং যদি বলতে পারেন 'ফ্রি হয়ে আমি কল ব্যাক করছি' তার মানে আপনি ভদ্রতা দেখিয়েছেন। একই কাজ একটু ভিন্নভাবে করলেই সেটা সুন্দর হয়ে যায়, পরিস্থিতিও বদলে যায়।

🔳 'দেখা করার সময় নেই' বলে কাউকে বিদায় না দিয়ে বরং যদি বলতে পারতেন, 'একদিন সময় করে আপনার সাথে দেখা করব' তবে ব্যাপারটা শুনতে কত ভালোই না লাগত! কাজ কিন্তু একই অর্থাৎ এই মুহূর্তে দেখা করতে পারছেন না। কিন্তু বলার ভিন্নতার কারণে ব্যাপারটা কত সুন্দর হয়ে গেল।

🔳 ধরেন কেউ আপনার কাছে এমন কিছু একটা সাহায্য চাইল যেটা দেয়ার সামর্থ্য আপনার নেই। কী বলবেন তাকে? 'আমি সাহায্য করতে পারব না' - ডাইরেক্ট বলে দিবেন? এভাবে বললে তিনি কষ্ট পাবেন। ব্যাপারটা এভাবেও বলা যায় -'আপনাকে এই ব্যাপারে সাহায্য করতে পারলে আমার ভালো লাগত।' তার মানে তিনি বুঝে নিবেন আপনি সাহায্য করতে পারছেন না এবং তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছেন। একই বিষয় শুধু বলার ভিন্নতার কারণে কত সুন্দর হয়ে উঠে।

🔳 ধার নেয়া জিনিস সময়মত ফেরত দেয়াটা ব্যক্তিত্ব। যদি ফেরত সময়মত দেয়া না যায়, তবে অন্তত ঐদিন ফোন দিয়ে সরি বলাটা ভদ্রতা। তিনি আপনাকে একবার ধার দিয়ে যেন এই সিদ্ধান্ত না নেন, তিনি আর কখনোই আপনাকে কিছু ধার দিবেন না। এমনকি জরুরি প্রয়োজনেও না।

🔲আমাদের সম্পর্ক হোক বিনয়, ভদ্রতা ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায়।💖🥀

30/11/2024
13/11/2024

"আর কখনো ঠিকঠাক ভালোবাসতে পারবো না, আমার এবার বিচ্ছেদ লাগবে"!
এই কথাগুলো আমাদের কিছু প্রিয়জন কখনোই সরাসরি বলে দেয় না। কখনো ছেড়ে যাবে না তো.?আমার পাশে কি তুমি থাকবে.?তাদের এই সমস্ত জিজ্ঞেস করা হলে, খুব সুন্দর করে হেসে এমনভাবে উত্তর দেয় যে, আমরা তারপর তাদের প্রাণখুলে বিশ্বাস করে ফেলি।

এরপর দেখা যায়, তারা নিজে থেকে আমাদের আসলেই ছেড়ে যায় না! কিন্তু তাদের আচারণত এমন কিছু পরিবর্তন আসে যাতে করে সম্পর্কটায় অবনতি হতে থাকে। তাদের এই নিখুঁত অবহেলা যখন আমরা টের পেয়ে যাই, তখন বাধ্য হয়ে আমাদেরকেই সেই বন্ধুত্ব"টা ছেড়ে আসতে হয়!
আসলে শুধু মুখে বললেই হয় না যে "আছি" প্রায়োরিটি ব্যাপারটা আসলে ফিল করাতে হয়।
—কাজী সুমাইয়া

12/11/2024

আমাকে প্রিয় বানিয়ে এখন যে দারুণ ভালোবাসতে চাইছে,দেখা যাবে একদিন হুট করে সেও আমাকে ভালোবাসা বন্ধ করে দিবে! তখন হয়তো সে আমার পাশে থাকার কারণ ভেবে পাবে না। আমারও তখন তার কাছে জীবনে থেকে যাওয়ার আবদারটুকু করা হবে না। যেহেতু তখন তার অন্তর থেকে কমেই যাবে আমার প্রতি মায়া-মহব্বত! এইসবের কারণে বুকের মধ্যে অনেকটা ভাংচুর হবে,যন্ত্রণা লাগবে!

এই যাবতীয় সকল কিছু জেনে-শুনেই আমি এবং আমার মতো বহু লোক বারবার বিশ্বাস করেছি। সেইসাথে হয়তো সারাজীবনের প্রিয় হয়ে থেকে যাবে কিংবা ছেড়ে যাবে অল্পতে এসব জেনেও মন দিয়ে ভালোবেসেছি। আসলে আমরা একটু আদর পাওয়া কিংবা ভালোবাসার লোভে যাবতীয় দুঃখ পরোয়া না করে মানুষকে আপন করি, বুকের কাছে আগলে ধরি।
ভাবছেন কতোই না বোকা আমরা তাই না। আচ্ছা ভালোবাসার লোভ কার না থাকে.?
—কাজী সুমাইয়া

03/11/2024

আজ কোর্টের ১৭ নম্বর এজলাসে এক অভিনব কেস উঠেছে। এক ভদ্রমহিলা জীবনের মধ্যাহ্ন পেরিয়ে এসে স্বামীর কাছ থেকে আলাদা হতে চান, নিঃশর্তে। অথচ, স্বামী তার স্ত্রীকে কিছুতেই ছাড়তে চান না।

বিষয়টা এইরকম -- চাকরিরতা স্ত্রী, বয়স প্রায় পঞ্চাশের কাছে, হঠাৎ করেই ইচ্ছেপ্রকাশ করলেন যে, আর সংসার করবেন না তিনি। সংসার করতে তার আর ভালো লাগছে না। তাই, সব কিছু থেকে নিজেকে মুক্ত করতে নিঃশর্তে ডিভোর্স চাইছেন দাম্পত্য জীবন থেকে। কিন্তু স্বামী চান, স্ত্রীর সাথে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত কাটাতে। একমাত্র মেয়ে তার নিজের জীবনে প্রতিষ্ঠিত, তাই জীবনের বাকি সময়টা স্ত্রীয়ের সাথে একান্তে, আনন্দে কাটিয়ে দিতে চান তিনি।

কোর্টের চত্বরে বিশাল কৌতূহল -- বিচারক কার পক্ষে রায় দেবেন। কার দলিল কতটা পোক্ত জেতার জন্য।

শঙ্খনীল আর অনুপমা, দাম্পত্য জীবনের পঁচিশ বছর কাটিয়ে দিয়েছেন একসাথে। একটি মাত্র কন্যাসন্তানকে নিয়ে গড়ে ওঠা তাদের সংসারে কেউ কখনো অশান্তি দেখেনি। বাইরে থেকে সবাই জানতো এরা সবাই সুখী। এমনকি, শঙ্খনীল - অনুপমার বন্ধুমহলে ওরা স্বামী - স্ত্রী হিসেবে সেরা দম্পতির একটা উদাহরণও ছিল। সেই দম্পতির এমন কাহিনী যেন মেনে নেওয়া যায় না। পঁচিশ বছরের দাম্পত্য জীবনে যখন মানুষ রজত জয়ন্তী বিবাহবার্ষিকী পালন করেন, ঠিক সেই সময়েই অনুপমার এমন আইনি আপিল।

বিচারক জিজ্ঞেস করলেন অনুপমাকে, "আপনার স্বামী কি পরকীয়া করেন? "

অনুপমার উত্তর, "বর্তমানে আমার স্বামীর জীবনে আমি ছাড়া কেউ নেই। আমিই তার সবচেয়ে কাঙ্খিত নারী। "

বিচারক আবারও জিজ্ঞেস করেন, "তাহলে উনি কি অত্যাচারী? ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স হয় আপনার সাথে? "

অনুপমা হেসে বলল, "মোটা টাকা মাইনে পাওয়া বৌয়ের ওপরে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স করতে পারেন কোনো স্বামী? আমার মনে হয় না, সে ক্ষমতা কোনো স্বামীর থাকতে পারে বলে? "

"তাহলে কেন ডিভোর্স চান আপনি আপনার স্বামীর থেকে ? আপনার সাথে কোনো খারাপ কিছু না হলে তো আর শুধু শুধু একটা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন না আপনি ? "

বিচারকের এমন প্রশ্নে অনুপমা উত্তর দিতে শুরু করলো, "আজকের ভালোটুকু দেখেই আপনি বিচার করবেন ধর্মাবতার? আমার বিগত পঁচিশ বছরের প্রত্যেকটা দিনের কষ্ট, গ্লানি, চোখের জল, অমানসিক শারীরিক পরিশ্রম -- তার কি কোনো মূল্যই নেই ?

কলেজ জীবনে বন্ধুত্ব দিয়ে প্রেম আসে আমার জীবনে। দীর্ঘ সাত আট বছরের প্রেমের পরে আমাদের বিবাহিত জীবন শুরু হয়। বিয়ের পরেই দেখলাম, আমার স্বামীর মধ্যে থেকে সেই প্রেমিক হারিয়ে গেলো। সে তখন আমাকে তার মায়ের সাথে আপোষ করে চলার শিক্ষা দেয়, রান্না শিখে নিতে বলে, তার রোজকার জীবনের বহুকাজ আমার উপরে চাপিয়ে নিশ্চিন্তে স্বামী হওয়ার মজা লুটতে শুরু করেন। স্বামীর মায়ের কাছে আমি তখন একজন তুচ্ছ প্রতিদ্বন্দ্বী মাত্র, যাকে রোজ অতি তুচ্ছ কারণে হেনস্থা, অপমান করে আমার শাশুড়িমা মজা লুটছেন মআমি কিন্তু তখনও চাকুরীরতাই ছিলাম, ছিলাম অর্থনৈতিকভাবে পুরোপুরি সাবলম্বী। তবুও স্বামীকে কাছে পাবার লোভে শাশুড়িমায়ের দেওয়া সমস্ত গ্লানি হাসিমুখে মেনে নিয়েছি। লোভ ছিল একটাই, আমার স্বামীর মধ্যে যে প্রেমিক মানুষটি আছে সে তার প্রেম দিয়ে আমায় ভরিয়ে রাখবে। যতই অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হই না কেন, বাজারে তো আর প্রেম বিকোয় না, যে অর্থ দিয়ে কিনে নেবো। তাই নিজের উজাড় করা ভালোবাসা দিয়ে, তার সংসারে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে, তার মায়ের সামনে নিজেকে চরম ব্যর্থ হিসেবে প্রমাণ করে আমি সেই প্রেমিকের প্রেম পেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি আমি সেই প্রেম।সেই প্রেমিক ভালোবাসার কবরে চাপা পড়ে গিয়ে একজন স্বামীকে ফিরিয়ে দিলো আমার কাছে, যে খুব ভালো সন্তান, যে খুব ভালো ভাই, আবার যে খুব ভালো বাবা, ভালো বন্ধু এমনকি ভালো বসও প্রমাণিত হলো।শুধু হতে পারলো না আমার প্রেমিক। ভালো প্রেমিক চাইনি,, প্রতিপত্তি থাকা, অর্থবান প্রেমিকও চাইনি। শুধু সামান্য একজন প্রেমিককে চেয়েছিলাম যার বিশাল হৃদয়টা শুধু আমার জন্য তোলা থাকবে, কিন্তু কিছুই হয়নি।

আমি সেই মানুষটার ভালোবাসার বাঁধনে পড়ে তার সন্তানের মা হলাম। সংসার, সন্তান, চাকরি -- সবকিছু সামলাতে গিয়ে যখন আমি নাজেহাল, যখন প্রতিদিন প্রতি ক্ষনে আমার শাশুড়িমায়ের গঞ্জনায় আমি অতিষ্ট, তখন আমার প্রেমিককে একটু পাশে চেয়েছিলাম, যে আমার পিঠের ব্যথায় তার হাতটা বুলিয়ে দেবে, যে অফিস শেষে তার ক্লান্ত শরীরটা নিয়েই আমার ক্লান্ত শরীরের পাশে দাঁড়িয়ে বলবে, "চলো, আজ দুজনে মিলে কাজগুলো সেরে ফেলি। আমি মানা করলেও সে বলবে, "ক্লান্ত তো দুজনেই, অফিস তো দুজনেই করেছি, তাহলে ঘরের সবটুকু তুমি একা করবে কেন? "

আমি চেয়েছিলাম সেই প্রেমিককে যে তার মায়ের গঞ্জনার সামনে দাঁড়িয়ে বলবে, "এর চেয়ে বেশি কিছু আমার অনুপমা করতে পারবে না। তুমি ওকে অপমান করবে না। ভুলে যেওনা, অনুপমা শুধু আমার স্ত্রীই নয়, সে আমার ভালোবাসাও। "

সে বলেনি ধর্মাবতার, আমার হয়ে একটি কথাও খরচ করেনি সে | বরং বাচ্চা হওয়ার পরে যখন তখন আমার শরীরে, পেটে স্ট্রেচের দাগ, পেটটা মোটা, রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে চোখের কোণে কালি পড়ে গেলো, তখন আমার সেই কুশ্রী চেহারাটাকে সে অবজ্ঞা করতে শুরু করে। তার কাছে সে সময় চেহারায় চড়া রঙ মাখা অফিস কলিগটির দুঃখ ছিল বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অফিসের পরেও বাড়ি ফিরে এসে তার সাথে চলতো ফোনে বার্তালাপ। আমি সব দেখেও চুপ ছিলাম। বহুবার আমার স্বামীর কাছে কাকুতি মিনতি করে বলেছি -- "আমি তোমার প্রেমিকা হতে চাই। কিন্তু আমার স্বামী তখন অন্য মহিলার মধ্যে প্রেমিকা খুঁজতে ব্যস্ত। আমি তবুও যাইনি আমার স্বামীকে ছেড়ে, বুকের মধ্যে পাথর চাপা দিয়ে অপেক্ষায় থাকলাম -- যদি আমার সেই হারিয়ে যাওয়া প্রেমিকটাকে ফিরে পাই কোনোদিন, এই আশায়।

মেয়েকে নিয়ে আমি তখনও আলাদা হতে পারতাম, কিন্তু হইনি। কারণ, আমি চাইনি, আমার সন্তান তার বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হোক। কিন্তু আমার স্বামী কি ভেবে দেখেছিলেন, তার প্রেম, তার ভালোবাসাকে যদি আমি তার মতোই অপমান করতাম, বেচে আসতাম অন্য কোনো পুরুষের কাছে, তাহলে তার কেমন লাগতো? সে ভাবেনি ধর্মাবতার, সে কোনোদিন আমার জায়গায় তাকে বসিয়ে ভাবেনি, আমার কষ্টটা কোথায়? বরং আমার কিঞ্চিৎ প্রতিবাদও তার পৌরুষকে নাড়িয়ে দিতো। আমার সিঁথিতে এক চিলতে করুণার সিঁদুর দিয়েছে বলে সে বহুবার অতি সহজে বলতে পেরেছে , "বৌ, বৌয়ের মতো থাকবে। "

হ্যাঁ, ধর্মাবতার , "বৌ".... বৌ হয়ে বেঁচে থাকতে হয়েছে আমায়, প্রেমিকা হতে পারিনি। একমাত্র মেয়ের যাবতীয় দায়িত্ব একা বয়ে চলেছি, নিঃশব্দে, যতই কষ্ট হোক না কেন আমার, মুখ ফুটে বলতে পারিনি। কারণ আমি জানতাম আমার সব অনুরোধের একটাই উত্তর আসবে -- "পারবো না।

আমার স্বামী আমাকে সেরা বৌয়ের শিরোপা দিয়েছেন তার বন্ধুমহলে। গর্ব করে বুক ফুলিয়ে বলেছেন -- "আমার বৌয়ের সাথে আমার কখন ঝগড়া হয় না। আমার বৌ ভীষণ এডজাস্টিভ। আমার ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলায় না কখনো। "

কি করে নাক গলাবো বলুন তো? কি করে এডজাস্টিভ হবো না বলুন তো? তার ব্যক্তিগত জীবনটা তো তার একার ছিল। সে বিবাহিত হয়েও বিনা নোটিসে বন্ধুদের সাথে বেরিয়ে পড়তো ভ্রমণের পথে, রাতের পর রাত আড্ডা দিয়ে কাটিয়ে দিতেন নির্বিদ্বিধায়। কখনো জানতে চাননি, অনুপমার তাকে প্রয়োজন আছে কিনা ? তার ব্যক্তিগত জীবনটা যেমন একান্ত তার, আমার ব্যক্তিগত জীবনটাও কি আমার একান্ত ব্যক্তিগত নয়?

আমি দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে স্ত্রীর ভূমিকা পালন করেছি, তেইশ বছর ধরে মায়ের ভূমিকা পালন করেছি, যে সন্তানকে নিজে যেচে পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিলাম, তার প্রতি সমস্ত দায়িত্ব পালন করে তাকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছি, সাবলম্বী করে দিয়েছি। নিজের জীবনকে শূণ্য করে সবার জীবনকে পরিপূর্ণ করেছি।

কিন্তু বিনিময়ে আমি কি পেয়েছি -- কিচ্ছু না। বরং প্রতিক্ষনে আমার ভিতরের প্রেমিকাকে একটু একটু করে মরতে দেখেছি আমি , অবসাদে নিঃশব্দে তাকে কাঁদতে দেখেছি আমি। সেই প্রেমিকাকে আমি বাঁচাতে পারিনি ধর্মাবতার। কিন্তু আমার মধ্যে যে মানুষটা বেঁচে আছে এখনও, তাকে আমি পূর্ণরূপে বাঁচতে দিতে চাই, সেই মানুষটার জীবনে যত শূণ্য আছে, তাকে তৃপ্তি দিয়ে পূরণ করতে চাই তাই জীবন সায়হ্ন -- এ এসে আজ বন্ধন মুক্ত হতে চাই আমি, সংসারের সব মেকি সম্পর্ক থেকে। আমি জানি, আজ আমার স্বামী আমাকে ছাড়তে চাননা, কারণ, দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে আমার সেবা পেয়ে আমার সেবা পাওয়া তার অভ্যেসে দাঁড়িয়ে গেছে, আমি আজ তার একটা অভ্যেস, একটা অবলম্বন, বলতে পারেন অন্ধের যষ্ঠীর মতো। কিন্তু অন্ধ হলেই যষ্ঠীর প্রয়োজন হয়, একটা লাঠির প্রয়োজন হয় ; একজন পঙ্গুর জীবনে তার লাঠিটা তার প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু তার ভালোবাসা হতে পারেনা কখনো আমার স্বামীর কাছেও আমি ঠিক তাই। আজ আমি তার একাকিত্ব জীবনে প্রয়োজন মাত্র , তার ভালোবাসা নই।

আমি এখন ইচ্ছেমতো ভোরের সূর্য্য দেখতে চাই, ইচ্ছেমতো পড়ন্ত দুপুর অব্দি বিছানার আলিঙ্গনে জড়িয়ে থাকতে চাই, ইচ্ছে মতো পাহাড় হতে চাই, ইচ্ছেমতো নদী। আমি সারারাত জেগে ডায়েরির বুকে মুখ লুকোতে চাই, লিখে রাখতে চাই মনের সব অভিব্যক্তি। পরেরদিন সকালবেলায় উঠে কাউকে চা জলখাবার করে দেবার তাড়া যেন আমাকে জোর করে ঘুমের কোলে না নিয়ে যেতে পারে, আমি সেই চেষ্টাটাই করতে চাই, আমি স্বাধীন হতে চাই।

খুব বেশি দাবী কি করেছি ধর্মাবতার? একটা মেয়ে হয়ে জন্মেছি বলে, আমৃত্যু শুধু দান করে যাবো, পাবো না কিছুই ? মনুষ্যজীবন তো পেয়েছি ঈশ্বরের কাছ থেকে , তাকে উপভোগ করার অধিকার তো কোনো পুরুষ বা কোনো সমাজ কেড়ে নিতে পারে না আমার কাছ থেকে ?

তাই, বাঁধনমুক্ত হয়ে মুক্ত বিহঙ্গের মতো জীবনের শেষ কটা বছর নিজের মতো করে বাঁচতে চাই, জীবনের সব ব্যর্থতা আর শুন্যতাকে আনন্দ আর পরিতৃপ্তি দিয়ে পূরণ করতে চাই। তাই, জীবনের সব পিছুটান থেকে নিজেকে মুক্ত করতে চাই আমি। "

অনুপমার বক্তব্যে আদালতের এজলাস নিঃশব্দতায় ভরে গেলো। সত্যিই কি অনুপমা বেশি কিছু দাবী করেছে ? সত্যিই কি এই দাবী অনুপমার শুধু একার ? এই দাবী কি পৃথিবীর সব অনুপমার নয় ? পৃথিবীর সব অনুপমাই কি স্বামীর মধ্যে একজন প্রেমিককে খুঁজতে খুঁজতে ফুরিয়ে যায় না ?

উত্তর জানা নেই কারোরই। বিচারকও স্তব্ধ। জীবনের আদালতে বিচার করা যে শুধু কঠিনই নয়,সে বিচার যে বড়ো বেদনাদায়কও।

Collected

03/11/2024

নিজের যাবতীয় দুঃখ সারিয়ে তুলতে নিজেকেই ভালোবাসার তুমুল চেষ্টা করতে হয়! পুরো জীবনের সমস্ত ক্ষত লুকিয়ে নিয়ে নিজেকেই বুঝাতে হয় আমিই আমার সবসময়ের বন্ধু। সেইসাথে এই বিচিত্র যন্ত্রণার দেশে একটা যুদ্ধ জানা মানুষ হতে হয়। যাতে সুন্দর ধৈর্য্য নিয়ে নিজের খেয়াল রাখা যায়। মোট কথা নিজেকে সুখী ও শান্ত রাখার উপায় জানলে, বিষন্ন অনুভূতি আমাদের ছুঁতে পারে না! তাই শত কষ্ট দমিয়ে নিজেকেই ভালোবাসা বড্ড জরুরি।
—কাজী সুমাইয়া

02/11/2024

ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর হইলে 🤦‍♂️
পাঙ্গাসের বাড়ি কই 🙂

01/11/2024

প্রিয় মানুষগুলোর অপ্রিয় আচরন আমাকে ঠেলে দিয়েছে একাকীত্বের গহীন অন্ধকারে। 🙂

29/10/2024

আমরা যারা প্রতারণা চিনতে পারি না! অল্পতেই বিশ্বাস করে আপন করে ফেলি, তাদের শেষ নেই বিচিত্র যন্ত্রণার! দেখা যায় আপন করে ফেলা মানুষটিকে, ঠিকঠাক ভালোবেসে আমাদের যখন আগলে রাখার ইচ্ছে করে,ঠিক তখনেই আমরা তাদের থেকে ঠকে বসি,হই ক্ষতের মুখোমুখি। তখন অসময়ের মানসিক ঝড়ে বড্ড ফাঁকা লাগে বুকের ভেতরটা!

এইযে হঠাৎ প্রিয় বানিয়ে ছেড়ে যায় তারা, তার কারণ কিন্তু তখন আর খোঁজে পাই না আমরা! এমনকি আমাদের জন্য তখন আর থাকে না তাদের এক ছটাক মায়া। ব্যাপারটা অবাক কিন্তু তাই না.?

তবে যাদের প্রিয় মানুষ কখনোই ছেড়ে যায় না, সর্বদা ভালোবাসি বলে বুকের মধ্যে ঠেসে ধরে। কিংবা অভাব হয় না আদরের, সহজেই সুখ হাতে ধরা দেয়। তাদের অবশ্যই উচিত সেই মায়ার মানুষটিকে কখনোই হারাতে না দেওয়া। ইশ্ আপনারা কতোই না ভাগ্যবান গোওও!
—কাজী সুমাইয়া

28/10/2024

.... অবাধ্য নফস একদিন বাধ্য হবে
তবে তা কাফনে...

27/10/2024

‘পাপে লিপ্ত হওয়ার সবচেয়ে বড় শাস্তি হলো- ঈমান কেড়ে নেওয়া, আল্লাহর কাছে দোয়া-মুনাজাতের স্বাদ চলে যাওয়া, কোরআনের মুখস্থ করা অংশগুলো ভুলে যাওয়া ও ইসতেগফার করতে গড়িমসি করা।’

(ইবনুল জাওযি রাহিমাহুল্লাহ; জাম্মুল হাওয়া, পৃষ্ঠা: ২১০)

Address

Khagrachhari
1216

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when অনুপ্রেরনা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to অনুপ্রেরনা:

Videos

Share