22/12/2023
দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে কলমপতি মাঝেরপাড়া স্কুলের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ইউপিডিএফ।
সাম্প্রতিক সময়ে আঞ্চলিক সন্ত্রাসীদল ইউপিডিএফ চাঁদাবাজি বেপরোয়াভাবে বৃদ্ধি করেছে৷ ইউপিডিএফ প্রসিত মূলদলের চাঁদাবাজি থেকে বাদ যাচ্ছে না কোনকিছু। দেশের সুশীল সমাজ এবং উপজাতিরা সবসময় দাবি করে, শিক্ষা-দীক্ষায় অনগ্রসর উপজাতিরা। সরকার তাই তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য পাহাড়ের আনাচে-কানাচে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে গিয়ে সরকারকে সবসময় বাধার সম্মুখীন হতে হয় আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর চাঁদার কাছে বা নানান বাধার কাছে। সরকারি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রকল্প এবং স্কুল নির্মাণ প্রকল্প থেকে ইউপিডিএফ-জেএসএস সহ অন্যান্য সন্ত্রাসী দলগুলো মোটা অংকের চাঁদা নিচ্ছে৷ প্রকল্পের ৫% থেকে ১০% পর্যন্ত ইউপিডিএফ চাঁদা নিয়ে থাকে। ইউপিডিএফ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় চাঁদার হার ৫% বলে জানা যায়। পাহাড় উন্নয়ন হোক তা চায়না আঞ্চলিক সন্ত্রাসীরা। পাহাড়ের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধী করে তারা। তাদের বিরোধিতার কারণে থমকে আছে পাহাড়ের অনেক উন্নয়ন। মূলত পাহাড়ে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণ হলেই পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি এবং সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। তাই তারা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র বিরোধিতা করে।
উদাহরণ দিয়ে বললে, যা আমরা দেখেছিলাম রাঙামাটি বিজ্ঞান ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণ সময়ে জেএসএস এর বিরোধীতা। যে উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএসসহ উপজাতিরা এইটার বিরোধিতা করেছিল সেই উপজাতিরা এখন এটার সুফল ভোগ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- দাবিকৃত চাঁদা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়াই রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ৪নং কলমপতি ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ কাজের শ্রমিকদের ইউপিডিএফ হুমকি প্রদর্শন করে। গত ১৯ ডিসেম্বর ইউপিডিএফ এর কালেক্টর অভি মারমা ও রনি মারমার নেতৃত্বে একদম সশস্ত্র সন্ত্রাসী নির্মাণ শ্রমিকদের হুমকি প্রদর্শন করে চাঁদা না দেওয়ার কারণে কাজটি বন্ধ করে দেয়৷ শ্রমিকদের উদ্দেশ্য করে সন্ত্রাসীরা বলে তোদের ঠিকাদারকে বলবি... চাঁদা পৌছে দিতে। সন্ত্রাসীরা বলে চাঁদা দেওয়া ছাড়া কেউ যদি কাজটি করে তাহলে তাকে গুলি করে হত্যা করা হবে। এই ভয়ে শ্রমিকরা কাজ ছেড়ে চলে আসে। স্কুলের নির্মাণ কাজটি করাচ্ছেন কলমপতি ডাবুনিয়াছড়ার ঠিকাদার এম.এ মনসুর।
একটি সূত্র জানায়, দাবিকৃত চাঁদা পরিশোধ এর মাধ্যমে কাজটি সহসাই করা হবে৷ চাঁদা না দিলে কাজটি বন্ধ থাকতে পারে এবং শ্রমিক অপহরণের শিকার হতে পারে। তাই চাঁদা দিয়ে কাজ শুরু করার বিষয়টি জোর দেওয়া হয়েছে।