Hill Documentary

Hill Documentary ভুবন দৃষ্টিতে আমাদের চোখ,
দৃষ্টিগোচরে যা প্রকাশ করছি তা। সত্য সমাগত, মিথ্যা পরাভূত।

দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে কলমপতি মাঝেরপাড়া স্কুলের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ইউপিডিএফ।সাম্প্রতিক সময়ে আঞ্চলিক সন্ত্রাসীদল ইউপিডিএফ...
22/12/2023

দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে কলমপতি মাঝেরপাড়া স্কুলের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে ইউপিডিএফ।

সাম্প্রতিক সময়ে আঞ্চলিক সন্ত্রাসীদল ইউপিডিএফ চাঁদাবাজি বেপরোয়াভাবে বৃদ্ধি করেছে৷ ইউপিডিএফ প্রসিত মূলদলের চাঁদাবাজি থেকে বাদ যাচ্ছে না কোনকিছু। দেশের সুশীল সমাজ এবং উপজাতিরা সবসময় দাবি করে, শিক্ষা-দীক্ষায় অনগ্রসর উপজাতিরা। সরকার তাই তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য পাহাড়ের আনাচে-কানাচে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে গিয়ে সরকারকে সবসময় বাধার সম্মুখীন হতে হয় আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর চাঁদার কাছে বা নানান বাধার কাছে। সরকারি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রকল্প এবং স্কুল নির্মাণ প্রকল্প থেকে ইউপিডিএফ-জেএসএস সহ অন্যান্য সন্ত্রাসী দলগুলো মোটা অংকের চাঁদা নিচ্ছে৷ প্রকল্পের ৫% থেকে ১০% পর্যন্ত ইউপিডিএফ চাঁদা নিয়ে থাকে। ইউপিডিএফ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় চাঁদার হার ৫% বলে জানা যায়। পাহাড় উন্নয়ন হোক তা চায়না আঞ্চলিক সন্ত্রাসীরা। পাহাড়ের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধী করে তারা। তাদের বিরোধিতার কারণে থমকে আছে পাহাড়ের অনেক উন্নয়ন। মূলত পাহাড়ে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণ হলেই পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি এবং সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। তাই তারা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র বিরোধিতা করে।

উদাহরণ দিয়ে বললে, যা আমরা দেখেছিলাম রাঙামাটি বিজ্ঞান ও বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণ সময়ে জেএসএস এর বিরোধীতা। যে উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএসসহ উপজাতিরা এইটার বিরোধিতা করেছিল সেই উপজাতিরা এখন এটার সুফল ভোগ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- দাবিকৃত চাঁদা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়াই রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার ৪নং কলমপতি ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ কাজের শ্রমিকদের ইউপিডিএফ হুমকি প্রদর্শন করে। গত ১৯ ডিসেম্বর ইউপিডিএফ এর কালেক্টর অভি মারমা ও রনি মারমার নেতৃত্বে একদম সশস্ত্র সন্ত্রাসী নির্মাণ শ্রমিকদের হুমকি প্রদর্শন করে চাঁদা না দেওয়ার কারণে কাজটি বন্ধ করে দেয়৷ শ্রমিকদের উদ্দেশ্য করে সন্ত্রাসীরা বলে তোদের ঠিকাদারকে বলবি... চাঁদা পৌছে দিতে। সন্ত্রাসীরা বলে চাঁদা দেওয়া ছাড়া কেউ যদি কাজটি করে তাহলে তাকে গুলি করে হত্যা করা হবে। এই ভয়ে শ্রমিকরা কাজ ছেড়ে চলে আসে। স্কুলের নির্মাণ কাজটি করাচ্ছেন কলমপতি ডাবুনিয়াছড়ার ঠিকাদার এম.এ মনসুর।

একটি সূত্র জানায়, দাবিকৃত চাঁদা পরিশোধ এর মাধ্যমে কাজটি সহসাই করা হবে৷ চাঁদা না দিলে কাজটি বন্ধ থাকতে পারে এবং শ্রমিক অপহরণের শিকার হতে পারে। তাই চাঁদা দিয়ে কাজ শুরু করার বিষয়টি জোর দেওয়া হয়েছে।

রুমা জোন কর্তৃক  শীতবস্ত্র, শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ এবং মেডিক্যাল সহযোগিতা প্রদান আজ ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ রোজ রবিবার দুপুর...
20/12/2023

রুমা জোন কর্তৃক শীতবস্ত্র, শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ এবং মেডিক্যাল সহযোগিতা প্রদান

আজ ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ রোজ রবিবার দুপুর ১২ ঘটিকায় রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের মুন্নাম পাড়া, বাসত্লাং পাড়া ও আরথাই পাড়ায় ১০০ টি পরিবারের মাঝে রুমা জোন কর্তৃক শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এছাড়াও আরথাই পাড়া, মুন্নাম পাড়া ও বাসত্লাং পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় এর সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাসামগ্রী বিতরন করা হয়। অসহায়দের মাঝে সুচিকিৎসার জন্য, বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্পেইন পরিচালনা ও সেই সাথে বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ করা হয়েছে।

শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে সেনাবাহিনী কর্তৃক পাড়াবাসীদের কে আশ্বাস প্রদান করা হয় ।

সাজেক সড়কে পর্যটকবাহী গাড়িতে গুলি, ভাঙচুর।খাগড়াছড়ির পানছেিত ইউপিডিএফের চার নেতাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে সংগঠনটির ডাক...
19/12/2023

সাজেক সড়কে পর্যটকবাহী গাড়িতে গুলি, ভাঙচুর।

খাগড়াছড়ির পানছেিত ইউপিডিএফের চার নেতাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে সংগঠনটির ডাকে খাগড়াছড়ি জেলাজুড়ে সোমবার সড়ক অবরোধ পালিত হয়। এর মধ্যে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাজেক যাওয়ার পথে দীঘিনালা-সাজেক সড়কের শুকনাছড়ি এলাকায় পর্যটকবাহী গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তবে এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। একই স্থানে এসময় তিন চাকার একটি গাড়ি, পিকআপ ও প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়।

দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি সাজেক থানাধীন এলাকায় হলেও দূরত্বে দীঘিনালা থানা থেকে কাছে হওয়ায় তিনি নিজে পুলিশ ফোর্স নিয়ে সেনাবাহিনীর সাথে ঘটনাস্থলে পৌছান। পর্যটকসহ ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িগুলো দ্রæত উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোনে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেগুলো মেরামত শেষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাহাড়ায় গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়।

এর আগে সকাল ৮টার দিকে উপজেলার বাবুছড়া নতুন বাজার এলাকায় সড়কে গাছ ফেলে আগুন জ্বালিয়ে পিকেটিং করে অবরোধকারীরা।

হরতালের নামে ইউপিডিএফ এর নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড।চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ইউপিডিএফ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের ...
18/12/2023

হরতালের নামে ইউপিডিএফ এর নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড।

চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ইউপিডিএফ সহযোগী অঙ্গসংগঠনের চার নেতা গত ১১ ডিসেম্বর রাত্রে পানছড়ির লৌহগাং এলাকার একটি বাড়িতে নিহত হয়। নিহত হওয়ার জের ধরে ইউপিডিএফ খাগড়াছড়ি জেলায় অদ্য ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে সকাল সন্ধ্যায় হরতালের ডাক দেয়।

ইউপিডিএফ হরতাল- অবরোধের নামে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ এবং ভাংচুর চালিয়ে বড় ধরনের নাশকতার চেষ্টা করে। জেলার মানিকছড়ি উপজেলায় গোবামারা এলাকায় বাঙ্গালীদের পিকআপ ও সিএনজি অটোরিকশায় অগ্নিসংযোগ করে। এসময় একটি সিএনজি অটোরিকশা সম্পূর্ণভাবে পুড়িয়ে দেয়। ইউপিডিএফ সশস্ত্র গ্রুপের তাড়া খেয়ে একটি পিকআপ উল্টে যায়।পুড়িয়ে দেওয়া সিএনজি অটোরিকশা পুলিশকে উদ্ধার করতে দেখা যায়।

জেলার বিভিন্ন স্থানে আরো ৩/৪টি যানবাহন ভাংচুর করার খবর পাওয়া গেছে। তবে ইউপিডিএফ এর হরতালের প্রভাব পড়েনি জেলার অনেক উপজেলায়। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু এলাকায় চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে ব্যর্থ হরতাল পালন করছে।

ইউপিডিএফ প্রতিবারই হরতাল অবরোধের নামে নাশকতা সৃষ্টি করে। ঘোলাপানিতে মাছ শিকার ইউপিডিএফ এর সাংগঠনিক রক্ষার অন্যতম হাতিয়ার।

ইউপিডিএফ এর ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের ক্ষতিসাধন করে তারা দিনদিন মানুষের কাতার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। তাদের চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি ও খুন-গুম এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দলে সংঘর্ষ ও হানাহানি এবং মৃত্যুর মিছিল বড় হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম অশান্ত করার জন্য ইউপিডিএফ এর বিচ্ছিন্নতাবাদ ও বৈরী আচরণ দায়ী।

তারা হরতাল-অবরোধের মত কর্মসূচীর নামে যানবাহনে আগুন দিয়েই মানুষের কাছে ঘৃণার পাত্র হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে। তাদের এমন ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড পার্বত্যবাসী হতাশ। পার্বত্যবাসী আশা করে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিহার করে গণতান্ত্রিক দ্বারায় প্রতিবাদ করবে।

সূত্র Hillnewsbd.com

সন্তু লারমা ও দেবাশীষ রায়ের মত দেশদ্রোহীদের কাছ থেকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা কেড়ে নেওয়া সময়ের শ্রেষ্ঠ দাবি।সন্তু লারমা পার্ব...
17/12/2023

সন্তু লারমা ও দেবাশীষ রায়ের মত দেশদ্রোহীদের কাছ থেকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা কেড়ে নেওয়া সময়ের শ্রেষ্ঠ দাবি।

সন্তু লারমা পার্বত্য চট্টগ্রামের এক আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তি। পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) এর সভাপতি তিনি। ৩৮ হাজার বাঙ্গালী খুনি সন্তু লারমা ১৯৯৭ সনের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ৩৮ হাজার বাঙ্গালী হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ থেকে দায় মুক্তি পাওয়া এক রক্তপিপাসু নরখাদক। তাকে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালী থেকে পাহাড়ি পর্যন্ত ঘৃণা করে। এই রক্তপিপাসু নরখাদক চুক্তির শর্ত অনুযায়ী 'পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান' উপমন্ত্রী পদমর্যাদা ভোগকারী৷ সন্তু লারমা রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করলেও এযাবত কোনদিন তিনি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোতে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানাতে যাননি। তাকে কখনো ২১ ফেব্রুয়ারী, ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে যেতে দেখা যায় না। এই দেশদ্রোহী বাংলাদেশের নাগরিকত্বের প্রধান শর্ত জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করেনি প্রায় ১৫ বছর৷ পরবর্তী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নিয়ে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি হলে অতি সংগোপনে জাতীয় পরিচয় গ্রহণ করেন।

ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, চাকমা চীফ সার্কেল, তিনি জেলা প্রশাসকের আআওতায় একজন সরকারি সুবিধা ভোগী। এই সার্কেলের ভূমির খাজনা আদায়কৃত অর্থের ৪২ পয়সা নিজের ভান্ডারে রাখেন। অথাৎ সরকারি সুযোগ-সু্বিধা ভোগকারী। তাকেও কখনো সন্তু লারমার মত জাতীয় দিবসগুলোতে শহীদ মিনারে যেতে দেখা যায়না। দেবাশীষ রায়ের পিতা ছিলেন একজন স্বাধীনতা বিরোধী আত্মা স্বীকৃত রাজাকার। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিরোধিতা করে পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করে সেদেশে চলে যান। পিতার মত দেবাশীষ রায়ও বাংলাদেশ বিরোধী৷ প্রকাশ্যে গোপনে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণায় লিপ্ত৷

উক্ত দেশদ্রোহীদের কাছ থেকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা কেড়ে নেওয়া সময়ের শ্রেষ্ঠ দাবি। যারা বাংলাদেশের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোতে শহীদ মিনারে যেতে পারেন না তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা বহন লজ্জাজনক এবং দুঃখও বটে। তাদেরকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা প্রদান বন্ধ করা উচিত বলে পার্বত্যবাসী মনে করে।

সন্তু লারমা, দেবাশীষ রায় এর পাশাপাশি ইউপিডিএফ এর প্রতিষ্ঠাতা প্রসিত বিকাশ খিসাকেও কখনো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলাতে শহীদ মিনারে যেতে দেখা যায়না। ইউপিডিএফ পাহাড়ি ছাত্র-ছাত্রীদের জাতীয় দিবস গুলোতে যেতে বাধা প্রদান করে।

রুমা জোন কর্তৃক  শীতবস্ত্র, শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ এবং মেডিক্যাল সহযোগিতা প্রদান আজ ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ রোজ রবিবার সকাল ...
17/12/2023

রুমা জোন কর্তৃক শীতবস্ত্র, শিক্ষাসামগ্রী বিতরণ এবং মেডিক্যাল সহযোগিতা প্রদান

আজ ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ রোজ রবিবার সকাল ১১ ঘটিকায় রুমা উপজেলার গ্যালেংগা ইউনিয়নের পান্তলা পাড়ায় ৫০টি পরিবারের মাঝে রুমা জোন কর্তৃক শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এছাড়াও পান্তলা প্রাথমিক বিদ্যালয় এর সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাসামগ্রী বিতরন করা হয়। অসহায়দের মাঝে সুচিকিৎসার জন্য, বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্পেইন পরিচালনা ও সেই সাথে বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রুমা জোনের জোন কমান্ডার, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ক ম আরাফাত আমিন, পিএসসি রুমা উপজেলার জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় প্রধানসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে সেনাবাহিনী পাড়াবাসীকে আশ্বাস প্রদান করেন।

আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিজয় দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দিতে দেখা যায়নি!পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্...
16/12/2023

আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিজয় দিবসে শহীদ মিনারে ফুল দিতে দেখা যায়নি!

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোতে শহীদ মিনারে যান না৷ পার্বত্যবাসীরা বলেন, সন্তু লারমাকে কখনো শহীদ মিনারে ফুল দিতে বা শ্রদ্বা জানাতে দেখা যায়নি৷ মহান মুক্তিযুদ্ধের ৫২ বছরে সন্তু লারমাকে কখনো দেখা যায়নি শহীদ বেদীতে। বিষয়টি দুঃখজনক এবং লজ্জাজনক।

১৯৯৭ সালে সরকার এবং সন্তু লারমার পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (জেএসএস) মধ্যকার পার্বত্য চুক্তি সম্পাদিত হয়। এই চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ের ৩৫ হাজার বাঙ্গালী খুনী সন্তু লারমা ও তার সশস্ত্র সদস্যদের সাধারণ ক্ষমা করে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে সরকার। সন্তু লারমা পার্বত্য চুক্তির সুফল আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে উপমন্ত্রী পদমর্যাদা ভোগ করছে৷ তার গাড়িতে লাগানো আছে জাতীয় পতাকা। পার্বত্যবাসীরা জানতে চান, আজকে সন্তু লারমা কোন শহীদ মিনারে গিয়ে ফুল দিয়েছে বা শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে? রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোতে সন্তু লারমা কেন শহীদ বেদীতে যান না তা নিয়ে নানান প্রশ্ন এবং সমালোচনা তৈরি হয়েছে।

সন্তু লারমার বিরুদ্ধে অভিযোগও কম নয়- ২০০৮ সালে দেশে জাতীয় পরিচয় পত্র (ভোটার আইডি কার্ড) করা শুরু হলেও সন্তু লারমা ২০২১ সালের আগ পর্যন্ত তা করেনি। অনেক সমালোচনার পর ২০২২ সালে ভোটার আইডি কার্ড করেন।

সন্তু লারমার কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রের সাথে ধৃষ্টতার সামিল। চুক্তির অনেক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে সন্তু লারমা রাষ্ট্রের সাথে যা করছে তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভাবনার সময় এসেছে।

16/12/2023

মহান বিজয় দিবস-২০২৩ এর কুচকাওয়াজ।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা

13/12/2023

অসহায় পরিবারগুলো যেন এক মহাকাশ সমান শান্তি পেল।
একজন মানবিক জোন কমান্ডার। যিনি যামিনী পাড়ার মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন।

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গাতে অর্ধ'গলিত মর*দেহ উদ্ধার...
13/12/2023

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গাতে অর্ধ'গলিত মর*দেহ উদ্ধার...

13/12/2023

যকঁর কাজ অসহায়দের সহায়তা করা।
একজন মানবিক জোন কমান্ডার ২৩ বিজিবি যামীনি পাড়া জোন কমান্ডার স্যার।

13/12/2023

অ*সহায় চাঁচা এবং চাচীর দুই মেয়ের বিয়ের দায়িত্ব নিলেন, ২৩ বিজিবি যামীনি পাড়া জোন কমান্ডার স্যার।

13/12/2023

প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপের হাতে নিহত নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে ইউপিডিএফ এর ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করার মত কর্মসূচী।

গত ১১ ডিসেম্বর আনুমানিক রাত-১০ টায় খাগড়াছড়ি পানছড়ি উপজেলার ৯ নং ওয়ার্ড ফতেপুর একটি বাড়িতে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপের হাতে ৪ ইউপিডিএফ নেতাকর্মী নিহত হয় এবং তিনজন অপহৃত হয়। নিহত এবং অপহৃতরা হলেন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা ও খাগড়াছড়ি জেলা সহ-সভাপতি লিটন চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফ সংগঠক রুহিন ত্রিপুরাকে হত্যা এবং ইউপিডিএফ-এর সংগঠক হরি কমল ত্রিপুরা, নীতি দত্ত চাকমা, মিলন চাকমাকে অপহরণ করা হয়।

উপরোক্ত ঘটনার প্রতিবাদে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা নিম্ন কর্মসূচী ঘোষণা করে। এই কর্মসূচীর মাধ্যমে তারা নিরাপত্তা বাহিনীর নামে বিভিন্ন কুৎসা এবং অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্য জনমতে ছড়াতে পারে। এরই মধ্যে নানান কুৎসা রটিয়ে আসছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি।

কর্মসূচী সমূহ- ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর প্রতিবাদ সমাবেশ ও শোক সভা। বিভিন্ন স্থানে কালো পতাকা উত্তোলন।

১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত পানছড়ি বাজার বয়কট। প্রয়োজনে বয়কটের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে বলে জানা যায়।

১৭ ডিসেম্বর পানছড়ি উপজেলাব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট।

১৮ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি জেলাব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ সড়ক অবরোধ।

এর আগেও ইউপিডিএফ হরতাল অবরোধের নামে নাশকতা করে মানুষদের জানমাল ধ্বংস করেছে। ইউপিডিএফ এর মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারে।

রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর, রাঙামাটি সদর কতুকছড়ি এবং কাউখালীতে ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর এর মধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী করতে পারে বলে জানা যায়। ইউপিডিএফ সমর্থিত সহযোগী অঙ্গসংগঠন পিসিপি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন এবং গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের লোকজনের আনা-গোনা রাঙ্গামাটি জেলার বর্ণিত উপজেলা গুলোতে লক্ষণীয়৷ বিক্ষোভ মিছিল এবং কালো পাতা উত্তোলনের মত কর্মসূচী ইউপিডিএফ করতে পারে।

এছাড়াও চট্টগ্রাম চেরাগীপাহাড় তারা নানান কর্মসূচী করতে পারে বলে জানা যায়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি এবং খুন-গুমে এবং দলীয় কোন্দলের পরিপ্রেক্ষিতে ইউপিডিএফ এর একটি অংশ ইউপিডিএফ ত্যাগ তপন জ্যোতি বর্মার নেতৃত্বে ২০১৭ সালে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠা করে। এর পর থেকে দুইটি সন্ত্রাসী সংগঠন চাঁদাবাজি এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘাতে লিপ্ত হয়। ২০১৭-২০১৮ সালে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠাতাসহ ৬জনকে ইউপিডিএফ প্রসিত মূলদল হত্যা করে। এরপর হতে এক পক্ষ অন্যপক্ষের সদস্যদের চোরাগোপ্তা হামলার মাধ্যমে হত্যা করে আসছে।

13/12/2023

আজ ভোরে
গাজীপুরে ভয়াবহ ট্রেন দূর্ঘটনা।

প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপের হাতে নিহত নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে ইউপিডিএফ এর ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করার মত কর্মসূচী।গত...
12/12/2023

প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপের হাতে নিহত নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে ইউপিডিএফ এর ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করার মত কর্মসূচী।

গত ১১ ডিসেম্বর আনুমানিক রাত-১০ টায় খাগড়াছড়ি পানছড়ি উপজেলার ৯ নং ওয়ার্ড ফতেপুর একটি বাড়িতে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপের হাতে ৪ ইউপিডিএফ নেতাকর্মী নিহত হয় এবং তিনজন অপহৃত হয়। নিহত এবং অপহৃতরা হলেন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা ও খাগড়াছড়ি জেলা সহ-সভাপতি লিটন চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুনীল ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফ সংগঠক রুহিন ত্রিপুরাকে হত্যা এবং ইউপিডিএফ-এর সংগঠক হরি কমল ত্রিপুরা, নীতি দত্ত চাকমা, মিলন চাকমাকে অপহরণ করা হয়।

উপরোক্ত ঘটনার প্রতিবাদে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা নিম্ন কর্মসূচী ঘোষণা করে। এই কর্মসূচীর মাধ্যমে তারা নিরাপত্তা বাহিনীর নামে বিভিন্ন কুৎসা এবং অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্য জনমতে ছড়াতে পারে। এরই মধ্যে নানান কুৎসা রটিয়ে আসছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি।

কর্মসূচী সমূহ- ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর প্রতিবাদ সমাবেশ ও শোক সভা। বিভিন্ন স্থানে কালো পতাকা উত্তোলন।

১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত পানছড়ি বাজার বয়কট। প্রয়োজনে বয়কটের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে বলে জানা যায়।

১৭ ডিসেম্বর পানছড়ি উপজেলাব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট।

১৮ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ি জেলাব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ সড়ক অবরোধ।

এর আগেও ইউপিডিএফ হরতাল অবরোধের নামে নাশকতা করে মানুষদের জানমাল ধ্বংস করেছে। ইউপিডিএফ এর মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারে।

রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর, রাঙামাটি সদর কতুকছড়ি এবং কাউখালীতে ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর এর মধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী করতে পারে বলে জানা যায়। ইউপিডিএফ সমর্থিত সহযোগী অঙ্গসংগঠন পিসিপি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন এবং গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের লোকজনের আনা-গোনা রাঙ্গামাটি জেলার বর্ণিত উপজেলা গুলোতে লক্ষণীয়৷ বিক্ষোভ মিছিল এবং কালো পাতা উত্তোলনের মত কর্মসূচী ইউপিডিএফ করতে পারে।

এছাড়াও চট্টগ্রাম চেরাগীপাহাড় তারা নানান কর্মসূচী করতে পারে বলে জানা যায়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজি এবং খুন-গুমে এবং দলীয় কোন্দলের পরিপ্রেক্ষিতে ইউপিডিএফ এর একটি অংশ ইউপিডিএফ ত্যাগ তপন জ্যোতি বর্মার নেতৃত্বে ২০১৭ সালে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠা করে। এর পর থেকে দুইটি সন্ত্রাসী সংগঠন চাঁদাবাজি এবং আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘাতে লিপ্ত হয়। ২০১৭-২০১৮ সালে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠাতাসহ ৬জনকে ইউপিডিএফ প্রসিত মূলদল হত্যা করে। এরপর হতে এক পক্ষ অন্যপক্ষের সদস্যদের চোরাগোপ্তা হামলার মাধ্যমে হত্যা করে আসছে।

বাঙ্গালী শিক্ষক আব্দুর রহিমকে নিয়ে যতটা সোচ্চার ছিল আঞ্চলিক দলগুলো ততোটা কিন্তু স্বজাতি সুনীতি চাকমাকে নিয়ে নয়!রাঙ্গামাট...
11/12/2023

বাঙ্গালী শিক্ষক আব্দুর রহিমকে নিয়ে যতটা সোচ্চার ছিল আঞ্চলিক দলগুলো ততোটা কিন্তু স্বজাতি সুনীতি চাকমাকে নিয়ে নয়!

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার লংগদু উপজেলায় গত বুধবার ৬ ডিসেম্বর রাত ৮টায় বিবাহিত এক স্বজাতি নারীকে ধর্ষণ করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হন লংগদু উপজেলা প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক সমিতির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি ও ফোরেরমুখ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনীতি চাকমা। উক্ত শিক্ষকে গণপিটুনি দিয়ে এলাকাবাসী আটক করেন।

এর আগেও শিক্ষক সুনীতি চাকমা রাঙ্গামাটি মোটেল জজ থেকে নারীসহ হাতেনাতে ধরা পড়েন। তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ অহরহ। স্বজাতি এই ধর্ষককের বিরুদ্ধে উপজাতীয় আঞ্চলিকদল ইউপিডিএফ ও জেএসএস এবং তাদের নারী সংগঠনসহ তথাকথিত সুশীল ও প্রগতিশীলদের বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। যেমনটি দেখা গিয়েছিল লংগদুর বাঙ্গালী শিক্ষক আব্দুর রহিমের বেলায়।

একই জেলার লংগদু উপজেলার কল্যাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম কর্তৃক নিজ স্কুলের এক সাবেক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছিল ২০২০ সালের শেষের দিকে। উক্ত ঘটনার সত্য মিথ্যা নিয়ে আলোচনা করবো না। শুধু এতটুকু আলোচনা করবো- এই মামলায় শিক্ষককে আদালত উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ লক্ষ্যটাকা জরিমানা করেছে৷ বলা যায়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জাতি-ধর্ম বিবেচনা না করে আসামীকে বিচারের মুখামুখি করেছে। তারপরও উপজাতীয় আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদীতভাবে শিক্ষক আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, মানববন্ধন এবং অবরোধ কর্মসূচী পালনের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাঙ্গালীকে ধর্ষক সাব্যস্ত করতে মরিয়া। লংগদু তথাকথিত এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২০২০ সালের দিকে। যদিও শিক্ষক বলেন, "ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়েছে এবং তিনি ছাত্রীর ভরণপোষণ এবং পড়াশোনার খরচ বহন করেন। আঞ্চলিকদল হুমকি-ধামকি দিয়ে ছাত্রী ও তার পরিবারকে মামলা চালানোর জন্য চাপ দিচ্ছে এবং ছাত্রীকে অপহরণ করার চেষ্টা করছে। যদিও স্থানীয়রা বলছে, "স্কুল থেকে শিক্ষককে সরাতে এই মিথ্যা ধর্ষণ মামলা।"

শিক্ষক আব্দুর রহিমকে নিয়ে যতটা সোচ্চার ছিল আঞ্চলিকদলগুলো ততটাই কিন্তু স্বজাতি শিক্ষক সুনীতি চাকমার ব্যাপারে নয়। সুনীতি চাকমারা ধর্ষণ করলে তা নিয়ে তাদের প্রতিবাদ এবং চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ থাকে না। যত দোষ বাঙ্গালীর অথাৎ যত দোষ নন্দ ঘোষ।

পার্বত্য বাঙ্গালীদের চরম দুঃখদুর্দশা কবে গোছবে?সরকার ১৯৭৯ সনে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী পুর্নবাসন করার পর বাঙ্গালীদের...
11/12/2023

পার্বত্য বাঙ্গালীদের চরম দুঃখদুর্দশা কবে গোছবে?

সরকার ১৯৭৯ সনে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী পুর্নবাসন করার পর বাঙ্গালীদের জাতিগতভাবে নিধন করার অংশ হিসেবে গণহত্যা চালায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি বা জেএসএস। এই নিধন হত্যাযজ্ঞের শিকার হয় হাজার হাজার বাঙ্গালী। অপ্রস্তুত বাঙ্গালীদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। নির্বিচারে নির্যাতন-অত্যাচার, হামলা লুটপাট, খুন-গুম এবং গণহত্যা চালানো হয়। রাষ্ট্রের স্বপক্ষের শক্তি বাঙ্গালীরা পাহাড়ে হয়ে যায় অসহায়। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৯৭ সনের ২-রা ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীর উপর আক্রমণ। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সনের ২-রা ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদিত হয় সরকার এবং জেএসএস মধ্যকার। এই চুক্তির পূর্বে পাহাড়ের বাঙ্গালীদের জীবন ছিল অনেক বিষাদময়। ১৯৯৭ সালের পরে নবাগত বাঙালিরা দেখেনি পাহাড়ে বাঙালি টিকে থাকার সংগ্রাম, তারা দেখেনি সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগ! নবাগত বাঙালির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আদু বাঙালি এবং সমতলের সুশীল সমাজ। যারা সবসময় ১৯৭৯ সনের পার্বত্য বাঙালিকে সেটেলার বাঙালি হিসেবে সম্বোধন করে! কি করে বুঝবে তারা এখানকার দুঃখদুর্দশা করুণ চিত্র ও প্রকৃত বাস্তবতা? তারা তো সুশীল এবং সন্ত্রাসীদের পদলেহনে ব্যস্ত। আজ যে বাঙ্গালী এবং সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগ এবং রক্তের বিনিময় পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস করার অধিকার পেয়েছে সে বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীর প্রতি তাদের বিন্দুমাত্র শ্রদ্বা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ নেই।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালীরা কতটা বৈষম্য এবং অন্যায় ও অবিচারের শিকার তা অনুধাবন করতে অক্ষম নবাগত বাঙ্গালীরা। পাহাড়ের পরিস্থিতি দিনদিন খারাপের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যার প্রধান সমস্যা ও কারণ গুলো শনাক্ত হলেও বাঙ্গালী নেতৃত্ব না থাকায় এর থেকে পরিত্রাণ সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের সংবিধানে এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা থাকলেও আঞ্চলিকতার ঠাঁই নেই। কিন্তু পার্বত্যাঞ্চলে আঞ্চলিকতার ঠাঁই বৈধতা পেয়েছে ১৯৯৭ সনের পার্বত্য চুক্তির পর! এ আঞ্চলিকতা এখানকার জনগোষ্ঠীকে বিভক্ত করে দিয়েছে৷ জাতি বর্ণ- নাগরিক শনাক্ত, কোটা, সুযোগ-সুবিধা, আধিপত্য বিস্তার সবকিছু একটি গোষ্ঠীকে দিয়েছে৷ যার কারণে এখানকার বাঙালি জনগোষ্ঠী চরমভাবে নাগরিক অধিকার হতে বঞ্চিত হয়েছে। বসবাসরত জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিভক্তি, বৈষম্য, হানাহানি ও ক্ষোভ সৃষ্টি শুরু হয় ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে সম্পাদিত পার্বত্য চুক্তির মাধ্যমে৷ চুক্তিতে একতরফাভাবে উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর আধিপত্য বিস্তার নিশ্চিত করে! চুক্তির বেশিরভাগ ধারা বাংলাদেশ সংবিধান বিরোধী৷ এর ফলে বাঙালিদের প্রতি চরম অবহেলা ও বৈষম্য সৃষ্টি করে চুক্তির ফলে গর্জে ওঠা প্রতিষ্ঠান গুলো সহ এখানকার সংশ্লিষ্ট মহল। বৈষম্য, অনিয়মের মাধ্যমে বাঙালিকে অবজ্ঞা করার নীল নকশা তৈরি হয়েছে। এর থেকে পরিক্রাণ পেতে হলে চুক্তির বৈষম্যমূলক অসাংবিধানিক ধারা গুলোর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তা না করে রাজনৈতিক ব্যক্তি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর অধীনস্থ ব্যক্তি ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপর দোষারোপ করে লাভ হবেনা৷ যেমনটা করা হচ্ছে জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন এর বন্টন নিয়ে।

পার্বত্য চট্টগ্রামকে উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে পার্বত্য চুক্তিতে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সুশীল, সচেতন বা বাঙ্গালীর মাথা বিক্রি করে চলা ব্যক্তিরা পার্বত্য চুক্তির বৈষম্যমূলক অসাংবিধানিক ধারা গুলো সংশোধন করার জোর দাবী কিংবা আন্দোলন করছে না। আইনী প্রক্রিয়াও গ্রহণ করছে না। মাঝেমধ্যে জেলা পরিষদ ও উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে দুই-চারটা কথা বলে সীমাবদ্ধ থাকছে। যে কোন সমস্যা থেকে উত্তরণ হতে হলে গোড়ায় যেতে হয় সেটা বাঙ্গালীরা করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

হাজার হাজার বাঙ্গালী ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মৃত্যুর পর এবং দীর্ঘ পার্বত্য সংঘাত ১৯৯৭ সনে শেষ হওয়ার পর সমতল হতে সুযোগ সন্ধানী বাঙালি এবং ভারতীয় চাকমারা আগমণ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি নাজুক করেছে। এর ফলে এখানকার জীববৈচিত্র্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও উপজাতি বাঙালি উভয় সম্প্রদায়ের উপর প্রবল চাপ পড়েছে। পূর্বের পুরাতন বাঙ্গালীদের পার্বত্য জীবন কত কঠিন এবং দুঃখদায়ক ছিল তা অনুভব করেনা নবাগত বাঙ্গালীরা। তারা বাঙ্গালীদের স্বার্থে বা রাষ্ট্রের স্বার্থে কথা বলেনা। সুযোগ সন্ধানী, মীরজাফর, বেইমান, মোনাফেকি মার্কা বাঙালি পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা সংকটময় করে তুলছে। এ প্রকৃতির বাঙালি পার্বত্য পরিস্থিতি নাজুক করেছে। তারা আঞ্চলিক সন্ত্রাসীদের সোর্স হিসেবে কাজ করছে। ১৯৭৯ সনের বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে গীবত করছে। তাদের বাঙ্গালীর প্রতি বিন্দুমাত্র আবেগ মায়া নেই৷ তারা স্বার্থপর এবং অকৃতজ্ঞ প্রকৃতির। পার্বত্য চুক্তির পরে সেসকল বাঙালি গুলো এসেছে। পার্বত্য নিয়ে তাদের অবদান কি?? নিশ্চিত বলা যায় তাদের কোন অবদান নেয়। বরং তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে এসে এখানকার উপজাতি বাঙালি ফারাক সৃষ্টি করেছে। ১৯৭৯ হতে ১৯৯৭ সময়কালের বাঙালি আর পরবর্তী সময়ে অনুপ্রবেশকারী বাঙালির চিন্তা চেতনা পাহাড় নিয়ে এক নয়। তারা উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হত্যাযজ্ঞ, হামলা, নারীদের গণধর্ষণ ও মায়ের কোল হতে সন্তানকে হত্যা করার নির্মমতা দেখেনি। তারা দেখেনি তৎকালীন পাহাড়ে বাঙালির টিকে থাকার সংগ্রাম এবং দুঃখদুর্দশা। তারা দেখেনি পাহাড়ের সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগ। কত বাঙালি, সেনাবাহিনী সন্ত্রাসী হামলা এবং ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ দিয়েছে তার সঠিক হিসাব নেই। পাহাড় জুড়ে শান্তিবাহিনীর সন্ত্রাসীদের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ৭১ সালকেও হার মানিয়েছে! বিভিন্ন ভাবে আসা ও সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি করতে আসা বাঙালিরা পাহাড়ে জায়গা জমি ক্রয় করে এ অঞ্চলের উপজাতি বাঙালির মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করেছে৷ এরা হচ্ছে চাটুকার এদের ২০০ টাকা দিয়ে কেনা যায়৷ ডিসি অফিস ও ইউএনও এবং অন্যান্য অফিসে চাকরি করতে এসে এরা অবৈধভাবে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে উপজাতি বাঙালিদের ভূমি গুলো হাতিয়ে নিয়েছে৷ সুযোগ বুঝে উপজাতি ও বাঙালি নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে নিজের ছেলে সন্তানদের প্রতিষ্ঠিত করেছে৷ উপজাতি বাঙালি কোন ঝামেলা সৃষ্টি হলে তারা বলে পাহাড়ে সমস্যার মূল সেটেলার বাঙালিরা! বাহরে বাহ! সেটেলার বাঙালি পাহাড়ের সমস্যা আর তারা উড়ে এসে জুড়ে বসে সুশীল! ১৯৯৭/২০০০ সালের পরে এসে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাসিন্দা হয়ে যাওয়া বাঙালি গুলোর কি অবদান রয়েছে পার্বত্য নিয়ে? ১৯৭৯ সালের বাঙ্গালীরা এখনো তারা তাদের ভূমি গুলো দখলে নিতে পারেনি। প্রায় ভূমি উপজাতি কর্তৃক বেদখল। গুচ্ছগ্রামের বন্দিশালায় কাটছে তাদের জীবন। তো এই বাঙ্গালীদের উপজাতি সন্ত্রাসী বা উপজাতিদের প্রতি ক্ষোভ থাকাটাই তো স্বাভাবিক৷ এই নিয়ে প্রতিবাদ করলে নবাগত বাঙ্গালীরা বলে পার্বত্য বাঙ্গালীরা খারাপ এবং সেটেলার! এদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সমতলের সুশীল সমাজ। সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালীরা উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী ৫/৬টি সন্ত্রাসী সংগঠন কর্তৃক হামলা, মামলা, চাঁদাবাজি এবং অপহরণ ও খুন-গুমের শিকার। ভূমি হারা বাঙ্গালী গুলো চরম দুঃখদুর্দশার মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের এই দুঃখদুর্দশা ঠিক কবে গোছাবে তা বলা কঠিন৷ কারণ তাদের পক্ষে সাফাই গাওয়া লোক পাওয়া দুষ্কর।

পার্বত্য বাঙ্গালীরা এক নয়। তাদের মধ্যে বিভাজন এবং হানাহানি ও অনৈক্য বিদ্যমান। পূর্বের বাঙ্গালীরা আন্দোলন সংগ্রামে কিছু টা যুক্ত হতে চাইলেও কাছে নবাগতদের খুঁজে পাওয়া যায়না। বৈষম্যমূলক, অসাংবিধানিক ধারার পার্বত্য চুক্তির বিরুদ্ধে নবাগত বাঙ্গালীদের কোন আন্দোলন সংগ্রামে পাওয়া গেছে? বলবেন কি? পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিকে টিকে থাকতে হলে কর্মসূচী, হরতাল, অবরোধ, মানববন্ধন ও লেখালেখি করার প্রয়োজন হয়। এসকল কাজে সুশীল নবাগত বাঙালিদের খুজে পাওয়া যায় কী? এই প্রকৃতির বাঙালির সঙ্গে আবার পূর্বের কিছু বাঙালিও মিলিত হয়েছে। তারা এখন সুশীল। বেশ করে কিছু বাঙালি রয়েছে তারা নাকি পাহাড়ে 'আদু!' এরা সব সময় উপজাতিদের পদলেহন করে থাকে আবার বাকি বাঙালিদের সেটেলারও বলে! নবাগত বাঙালি আর এরা এ অঞ্চলে কোন ঘটনা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বা মন্তব্য করেনা, কারণ, যদি উপজাতি নেতারা মনে কষ্ট পায়! কিন্তু এরা সংগোপনে উপজাতীদের পদলেহন করে! এরা পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃত ঘটনা, অনিয়ম ও বৈষম্য গুলো অনুভব করতে পারে না! পার্বত্য চুক্তির উপজাতি কোটা, চাকরিতে উপজাতিদের অগ্রাধিকার দেওয়া, সবকিছুতে উপজাতি আধিপত্য বিস্তার এসব চোখে দেখেও না দেখার ভান করে।
যেমন; পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হতে পারেনা, আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান হতে পারে না এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হতে পারেনা। কিন্তু তার পরেও তাদের লজ্জা বোধ হয়না!

স্থানীয় বাসিন্দা সনদ এবং জায়গা ক্রয়-বিক্রির জন্য যে, হেডম্যান রিপোর্ট প্রয়োজনীয়তা যে বাঙালিকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে তা তারা অনুভব করেনা! কিন্তু এরমধ্যেই একটা অংশ ডিসি ও ইউএনও এবং অন্যান্য অফিসে চাকরি করার সুবাদে হেডম্যান রিপোর্ট এবং ডিসি সনদ নিয়েছে। এখানকার বাঙ্গালীদের ছেলেমেয়েরা তথাকথিত নিয়মের অজুহাতে হেডম্যান রিপোর্ট এবং ডিসি সনদ না পেলেও নবাগত বাঙ্গালীরা হেডম্যানকে টাকা দিয়ে রিপোর্ট সংগ্রহ করে ডিসির স্থানীয় বাসিন্দা সনদের মাধ্যমে জায়গা কিনেছে। বাকি বাঙালির সঙ্গে কি করা হচ্ছে তা তারা দেখেনা! বাঙালিকে দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ মনে করে অবজ্ঞা করা এবং বাঙালির মৌলিক অধিকার হরণ করা কখনো (আদু) বাঙালি ও নবাগত বাঙালিরা অনুভব করবে না; রাষ্ট্রও বাঙালিকে দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে পাহাড়ে রেখেছে মৌলিক অধিকার বঞ্চিত করে; এ নিয়ে কেউ জোর প্রতিবাদ করেনা; কেউ যদি প্রতিবাদ করতে যায় তার জীবন তেজপাত করে দেওয়া হয়!

১৯৭৯ ও ১৯৯৭ পূর্বেকার বাঙালির সঙ্গে চুক্তির পরবর্তী সময়ে অনুপ্রবেশকারী সুযোগ সন্ধানী চাটুকার, চোগলখোর টাইপ মার্কা বাঙালিকে একত্রিত করে বাঙালিকে পার্বত্যাঞ্চলে সংখ্যাগরিষ্ঠ বলা হাস্যকর! আপনারা পাহাড়ে বাঙ্গালী সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখাতে গিয়ে সুশীল, প্রগতিশীল ও বামদল গুলোকে সুযোগ করে দেন, তারা যেনো বলতে পারে পার্বত্য চট্টগ্রামে ইসলামীকরণ হচ্ছে৷ দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে ইসলামীকরণ হচ্ছে বলে মিথ্যা ও বানোয়াট প্রোপ্রাগান্ডা রটিয়ে আসছে। আঞ্চলিকদল গুলো কূটনীতিক মাধ্যমে উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চলকে চুক্তি লঙ্ঘনের ধুয়ো তুলে পার্বত্য চট্টগ্রামে ইসলামামীকরণে হচ্ছে বলে প্রতিবেদন পাঠাচ্ছে। আর হুজুগে বাঙ্গালী প্রচার করছে পার্বত্য চট্টগ্রামে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙ্গালী৷ সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙ্গালী হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজেলা পরিষদ এর কয়জন চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদের কয়জন চেয়ারম্যান-মেম্বার বাঙালী আছে? সে পরিসংখ্যান কী কখনো দেখেছেন? চারের এর একাংশ আছে কীনা তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

আর যদি পার্বত্যাঞ্চলে সরকারী অনুদান কিংবা সাহায্য সহযোগীতা পেতে চান কিংবা সকল প্রকার বৈষম্যের অবসান চান তাহলে সর্ব প্রথম পার্বত্য চুক্তির অসাংবিধানিক ধারা গুলো সংশোধন করার জন্য তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলুন৷ বৈষম্য সৃষ্টির মূল জায়গাতে হাত না দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তা বিতরণে বৈষম্য, পার্বত্য জেলা পরিষদে নিয়োগে বৈষম্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের উন্নয়নমূলক প্রকল্প বিতরণে বৈষম্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের বিভিন্ন পদক্ষেপ বৈষম্য হিসাব কষে লাভ কি? এ অনিয়ম বৈষম্য গুলোর সৃষ্টি কোথায় থেকে হয়েছে তা আগে খুজে বাহির করুন৷ যেখান থেকে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে সেখানে গিয়ে বৈষম্য অবসানের চেষ্টা করুন৷ শুধু শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের কার্যক্রম নিয়ে অভিযোগ তুলে বিন্দুমাত্র লাভ হবে না৷ আপনাদের এ ধরনের অভিযোগের জবাব না দিয়েও উল্লেখিত কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ থাকতে পারবে। কারণ রাষ্ট্র তাদের সে ধরনের অধিকার, ক্ষমতাবল প্রদান করেছে৷ যে কারণে তারা বাঙালিদের প্রতি বৈষম্য, অনিয়ম করার সুযোগ পেয়েছে৷ আগে মূল গোড়া উপড়ে ফেলুন দেখবেন বৈষম্য সৃষ্টি করার প্রতিষ্ঠান গুলো এমনিতেই বিলুপ্ত হবে৷ সবকিছুতে সুস্থ বন্টন নিশ্চিত হবে এবং নিশ্চিত হবে সমঅধিকার।

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদে মোট ২২ জন সদস্যের মধ্যে ৭ জন তো বাঙালি সদস্যও আছে। তারা কি কখনো বাঙালির প্রতি যে বৈষম্য মূলক আচরণ করা হয় তা নিয়ে প্রতিবাদ করেছে? একইভাবে বাকি প্রতিষ্ঠান গুলোতেও বাঙালি সদস্যরা আছে তারা কি কখনো বাঙালির প্রতি যে অন্যায়, অবিচার, নিয়োগে বৈষম্য ও বিতরণে বৈষম্য করা হয় তার ব্যাপারে প্রতিবাদ করেছে?
নিশ্চিত ভাবে বলা যায় বাঙালিদের প্রতি যে বৈষম্য হয় তা নিয়ে তারা কখনো কোন প্রতিবাদ করেনি। বরং তারা নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে প্রতিষ্ঠান গুলোতে অবস্থান নিয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে অবৈধ অস্ত্রধারীরা প্রতিনিয়ত সাধারণ উপজাতি বাঙালির রক্ত চুষে খাচ্ছে। নিত্যপণ্য সকল প্রকার প্রয়োজনীয় জিনিস হতে চাঁদা আদায় করে অবৈধ অস্ত্রধারী উপজাতি সন্ত্রাসীরা। পাহাড়ের অনাচে কানাচে সর্বত্র অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়না। সড়কে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করে। কেউ যদি চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে তাকে হত্যা করা হয়! পার্বত্য চট্টগ্রামে চুক্তির পূর্বে যেমন হত্যা করা হত মানুষদের সেসময়কার ন্যায় এখনো মানুষ হত্যা করা হয়। এর কোন বিচার হয়না। রক্তাক্ত পাহাড়, চারদিকে মানুষ মানবেতরে জীবনযাপন করছে তবুও বাঙালিরা নিশ্চুপ। এসমস্ত বিষয় গুলো নিয়ে কোন পক্ষই কথা বলেনা উপজাতি দাদা বাবুরা অখুশি হবে বলে! পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকরি বাকরি সহ সবকিছুতে উপজাতীয়দের আধিপত্য। তবুও ঘুম ভাংগে না বাঙালিদের। বৈষম্য অনিয়ম আর কত?

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান পরিস্থিতি হতে উত্তীর্ণ হতে হলে চুক্তির সংবিধান বিরোধী ধারা গুলো সংশোধন করতে হবে। চুক্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালীদের যুক্ত করতে হবে। দেশের সংবিধান যেখানে বাঙ্গালীদের পরিচয় স্বীকৃতি দিয়েছে সেখানে পার্বত্য চুক্তি বাঙ্গালীদের অ-উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বাঙ্গালীদের পরিচয় মুছে চরম অবজ্ঞা করতে পারেনা।

সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক গিলে খাচ্ছে বাঙ্গালীদের।হেডম্যান এর দায়িত্ব ও কর্তব্য-সার্কেল চীফ জেলার প্রশাসন সংক্রান্ত বিষ...
10/12/2023

সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক গিলে খাচ্ছে বাঙ্গালীদের।

হেডম্যান এর দায়িত্ব ও কর্তব্য-
সার্কেল চীফ জেলার প্রশাসন সংক্রান্ত বিষয়ে ডেপুটি কমিশনারকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তিনি একটি উপদেষ্টা কাউন্সিল গঠন করেন এবং কাউন্সিলের সুপারিশ অনুসারে তিনি ডেপুটি কমিশনারকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন (বিধ নং-৩৯)।
তিনি মৌজা হেডম্যান নিয়োগ ও অপসারণে ডেপুটি কমিশনারকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন, যদিও ডেপুটি কমিশনার তাঁর পরামর্শ মেনে নিতে বাধ্য নন। তবে তাঁর পরামর্শ সর্বোচ্চ বিবেচনার দাবি রাখে (বিধি নং ৪৮)।

মৌজা হেডম্যান কর্তৃক খাজনা আদায় ও এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখাসহ অপরাধ দমনে তাদের প্রতি আদেশ, নির্দেশ ও পরামর্শ প্রদান তাঁর দায়িত্বের আওতাধীন (বিধি নং-৩৮)।

মৌজা হেডম্যান কর্তৃক আদায়কৃত খাজনা সরকারি কোষাগারে জমাদান নিশ্চিত করা তাঁর অন্যতম প্রধান দায়িত্ব (বিধি নং-৩৮)।

এলাকার জনগণের মধ্যে শান্তি- শৃঙ্খলা ও স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি তার একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব (বিধি নং-৩৮)।

ডেপুটি কমিশনারের আদালতে বিচারাধীন মামলায় প্রথাগত আইন সামাজিক রীতিনীতির কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজনে ডেপুটি কমিশনার সংশ্লিষ্ট সার্কেল চীফ এর নিকট মতামত আহবান করলে তিনি তাঁর ব্যাখ্যা ও মতামত দিয়ে থাকেন (বিধি নং-৪০)।

তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী প্রাপ্তক্ষমতা-
১৯৮৯ সানের তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনে (১৯, ২০ ও ২১ নং আইন) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সংশ্লিষ্ট সার্কেল চীফ পরিষদের যে কোন সভায় যোগদান ও সভার আলোচ্য বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করতে পারবেন- (ধারা নং-২৬)।

মৌজা গঠন ও হেডম্যান নিয়োগ প্রথা-

১৮৯২ সনের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন বিধির ৪নং বিধিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩৩টি তালুককে ১.৫ থেকে ২০ বর্গমাইল এলাকা নিয়ে মৌজায় বিভক্ত করার ব্যবস্থা রাখা হয়। এই বিধি মোতাবেক মৌজা ব্যবস্থায় উদ্ভব ঘটে। ১৯০০ সনের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধির (হিল ট্রাক্টস ম্যানুয়েল) ৩৭ নং বিধিতে তিনজন সার্কেল চীফ ৩টি সার্কেলকে মৌজায় বিভক্ত করার পুনঃবিধান করা হয়। সেই একই বিধিতে প্রত্যেক মৌজায় ১ জন করে মৌজা হেডম্যান নিয়োগের বিধান রাখা হয়। তিন পার্বত্য জেলার তিনটি সার্কেল বর্তমানে ৩৯০ টি মৌজায় বিভক্ত।

ব্রিটিশ প্রণীত পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি (হিলট্র্যাক্স ম্যানুয়েল ১৯০০) প্রথার অন্তর্ভুক্ত তিনটি সার্কেল। জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট সার্কেল চীফের সুপারিশক্রমে হেডম্যান নিয়োগ করেন৷ জেলা প্রশাসক সার্কেল চীপ এর সুপারিশে হেডম্যানকে নিয়োগ দেন। মূলত সার্কেল চীফ এবং হেডম্যানরা জেলা প্রশাসকের কর্মচারী। দেশের প্রচলিত ভূমি আইনের আওতায় তসিলদারের যে কাজগুলো রয়েছে সে কাজ বা তার চেয়ে অধিক কাজ পার্বত্য জেলার হেডম্যানগণ করে থাকেন। তারা ভূমির খাজনা আদায় করেন এবং ভূমির বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করেন। এই অসাংবিধানিক সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঘুস বাণিজ্য করেন হেডম্যানরা। কিন্তু এর হয়রানির হচ্ছে বাঙ্গালীরা। এই পার্বত্য শাসন বিধির হেডম্যান প্রথা বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় ক্ষমতার দাপটে হেডম্যানরা বাঙ্গালীদের থেকে ভূমির খাজনা গ্রহণ করেন না এমনকি বিভিন্ন প্রয়োজনে হেডম্যান প্রতিবেদনও দেননা৷ যারা দালালদের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা দিতে পারেন তারা পেয়ে থাকে হেডম্যান প্রতিবেদন। বাকীরা বৈষম্য ও হয়রানির শিকার হয়। খাজনা পরিশোধে ব্যর্থ হলে ভূমির মালিকানা নিয়ে আইনী জটিলতা তৈরি হতে পারে। পার্বত্য চট্টগ্রামে অনেক মৌজাতে হেডম্যান অসাংবিধানিক প্রথার বাহানা দিয়ে বাঙ্গালীদের থেকে খাজনা গ্রহণ করেন না।

সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণকে দেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধান থেকে দূরে রাখছে। এই হেডম্যান নেটওয়ার্ক এর রয়েছে বিশাল ক্ষমতা এবং দাপট। পাহাড়ে তাদের রাজস্ব কায়েম চলে। দেশি-বিদেশি এনজিও, মিশনারী ও দাতাসংস্থা এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান গুলো তাদের অর্থের মূল জোগানদাতা। পাহাড়ের হেডম্যান এবং কার্বারিরা রাজা বাহাদুরের মত আচরণ করে। তারা মনে করে পাহাড়ের মানুষ তাদের প্রজা বা দাস! মূলত এই হেডম্যানরা জেলা প্রশাসকদের কর্মচারী।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি মৌজার হেডম্যান শুভ রঞ্জন রোয়াজার বিরুদ্ধে ঘুস লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। জমির রেকর্ড সংশোধন, খাজনা আদায় ও অন্যান্য ভূমি সংক্রান্ত সেবার ঘুস না দিলে তিনি প্রতিবেদন দেন না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। অবৈধ আর্থিক লেনদেন করতে হয় সেবাগ্রহীতাকে। সহকর্মীদের থেকেও ঘুস আদায় করেন তিনি। এই নিয়ে ৮ ডিসেম্বর যুগান্তর পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংক্রান্ত একটি অডিও ও ভিডিও ক্লিপ এসেছে খাগড়াছড়ি জেলার যুগান্তর পত্রিকার প্রতিবেদকের হাতে। অডিও ক্লিপে শোনা গেছে, ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি নামজারির পরিপ্রেক্ষিতে রেকর্ড সংশোধনের জন্য হেডম্যানের নিকট গেলে তিনি তার কাছে রশিদ সংগ্রহ ও অন্যান্য খরচের কথা উল্লেখ করে ঘুস দাবি করেন এবং অর্থের পরিমাণ নিয়ে দর কষাকষি করেন। এছাড়া অন্য একটি ভিডিও ক্লিপে হেডম্যান শুভ রঞ্জন রোয়াজাকে ভুক্তভোগী ব্যক্তির কাছ থেকে ঘুস নিয়ে টাকা গুনতে দেখা যায়। আরেকজনকে বলতে শোনা যায়, ভূমি অফিসে চাকরি করা স্বত্বেও নিজ নামজারির জন্য তার বাড়ি থেকে ঘুস নিয়ে আসেন হেডম্যান। এ সময় বিষয়টি স্বীকারও করেন হেডম্যান শুভ রঞ্জন রোয়াজা।

ভুক্তভোগী মো. আসমাউল হোসেন জানান, 'আমি একটা হেডম্যান প্রতিবেদনের জন্য শুভ রঞ্জন রোয়াজার কাছে গেলে তিনি আমার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি প্রথমে ৫ হাজার টাকা দেই বাকি ৫ হাজার টাকা দিতে দেরি হওয়ায় তিনি আমার কাগজপত্র রেখে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে আরও ৫ হাজারসহ মোট ১০ হাজার টাকা দিয়ে হেডম্যান প্রতিবেদন পাই। আবার নুটিং শেষে খাজনা দাখিলা আনতে গেলে হেডম্যান আরও ২ হাজার টাকা ঢায়। টাকা না দিলে তারা কোন কাগজ দিতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়।' মাটিরাঙ্গা ভূমি অফিসের এক কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন বলেন, 'প্রতিবেদনের জন্য আমি হেডম্যানের কাছে গেলে তিনি ১০ হাজার টাকা দিতে বলেন। আমি টাকা কেন দেব বললে, আমাকে বলেন যে ঘর থেকে বের করে দেয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে হেডম্যান শুভ রঞ্জন রোয়াজার বলেন, আমি প্রতিবেদন নেওয়ার জন্য কারও কাছ থেকে কোন ধরনের অর্থ লেনদেন করিনি। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, 'হেডম্যানের অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।'

পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় মৌজাতে হেডম্যানের ঘুস বাণিজ্যের শিকার হয় বাঙ্গালীরা। ভূমি কেনা-বেচা ও অন্যান্য কাজে হেডম্যান প্রতিবেদন পেতে বাঙ্গালীদের মোটা অংকের ঘুস দিতে হয় মৌজা হেডম্যানকে। এই ঘুস বাণিজ্য প্রকাশ্যে-গোপনে চললেও জেলা প্রশাসকদের এই নিয়ে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। যার কারণে হেডম্যানরা বেপরোয়াভাবে ঘুস বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়ছে। এর শিকার হচ্ছে বাঙ্গালীরা। হেডম্যান প্রথা অসাংবিধানিক। এটি চলছে পার্বত্য শাসন বিধি ও ১৯৮৯ সানের তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনে (১৯, ২০ ও ২১ নং আইন) প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এবং পার্বত্য চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়েই৷

Address

Rangamati
Khagrachhari
4555

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hill Documentary posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Hill Documentary:

Videos

Share

Category