Hill Documentary

Hill Documentary ভুবন দৃষ্টিতে আমাদের চোখ,
দৃষ্টিগোচরে যা প্রকাশ করছি তা। সত্য সমাগত, মিথ্যা পরাভূত।

খ্রিষ্টান ত্রিপুরাদের বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায়, জড়িত স্বজাতি, ৪ গ্রেফতার।অন্তত অসীম, পার্বত্য চট্টগ্রাম: বান্দরবানের লা...
26/12/2024

খ্রিষ্টান ত্রিপুরাদের বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায়, জড়িত স্বজাতি, ৪ গ্রেফতার।

অন্তত অসীম, পার্বত্য চট্টগ্রাম: বান্দরবানের লামা উপজেলার টংগঝিরি পাড়ায় বড়দিন উপলক্ষ্যে গীর্জায় প্রার্থনা করতে গেলে মঙ্গলবার দিবাগত রাত্রে দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ১৭টি বসতঘর। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তিন খ্রিষ্টান ত্রিপুরাসহ ৪জনকে গ্রেফতার করে।

অগ্নিকাণ্ডের পর বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে গঙ্গাং মনি ত্রিপুরা নামে একজন ব্যক্তি লামা থানায় ৭জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। পরে রাতেই পুলিশ লামার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে উক্ত মামলার ৪ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের পূর্ব বেতছড়া পাড়ার বাসিন্দা স্টিফেন ত্রিপুরা (৫০), মইশৈ ম্যা ত্রিপুরা (৪৮), টংগঝিরি পাড়ায় বাসিন্দা জোয়াতিং ত্রিপুরা (৫২) এবং টংগঝিরি পাড়ায় বাসিন্দা মো. ইব্রাহিম (৬৫)। তাদের আদালতে প্রেরণের কাজ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

বান্দরবানের লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. এনামুল হক জানান, ঘটনার পর লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের পূর্ব বেতছড়া পাড়ার গঙ্গাং মনি ত্রিপুরা মামলা দায়ের করার পর পুলিশ ৪ আসামিকে গ্রেফতার করে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোছাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী জানান, লামার ঘটনায় এই পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। তিনি আরো জানান, ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের কয়েক পরিবার নতুন ভাবে বসতি করে ওই এলাকায় বসবাস শুরু করায় তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বে এই ঘটনা হয়েছে বলে ধারণা করছি।

গত তিন মাস পূর্বে লামা উপজেলা ও পাশের আলীকদম উপজেলা থেকে ১৯টি ত্রিপুরা পরিবার উপজেলার সরই ইউনিয়নের পূর্ব বেতছড়া পাড়ায় বসতি শুরু করেন। বড়দিন উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে এসব পরিবারের লোকজন পাশের টংগঝিরি পাড়ার গীর্জায় প্রার্থনা করতে যায়, এই ফাঁকে দুর্বৃত্তরা পাড়ার কাঁচাঘরগুলোতে আগুন লাগিয়ে দেয়, এতে ১৭টি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এদিকে এই ঘটনার পর ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

পাড়ার বাসিন্দা গুংগা মনি ত্রিপুরা জানান, গত নভেম্বর স্টিফেন ত্রিপুরা সহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী গ্রুপ তৈরি করে দীর্ঘদিন যাবৎ অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করেন, অর্থ না দেওয়াই পাড়াবাসীকে হুমকিও দেন। এ প্রেক্ষিতে আমরা হুমকি দাতাদের বিরুদ্ধে গত ১৭ নভেম্বর লামা থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। বড়দিনের আগের রাত্রের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমি কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করি। মামলায় ইতোমধ্যে পুলিশ আমাদের স্বজাতি ৩সহ মোট ৪জনকে গ্রেফতার করে।

সূত্র জানায়, গত তিন মাস আগে উপজেলা ও পাশের আলীকদম উপজেলা থেকে ১৯টি ত্রিপুরা পরিবার উপজেলার সরই ইউনিয়নে বসতি শুরু করেন। পাড়ার নাম দেন পূর্ব বেতছড়া পাড়া। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানায়, পূর্ব বেতছড়া পাড়ায় বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজিপি পলাতক বেনজির আহমেদের একটি বাগান বাড়ি ছিল, যা এসপি’র বাগান নামে পরিচিত। বেনজির আহমেদের সেই জায়গায় বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কিছু ত্রিপুরা পরিবার গিয়ে ছোট ছোট কাঁচা জুমঘর করে বসবাস শুরু করেন। ওই জায়গার দখল কর্তৃত্ব নিয়ে ত্রিপুরা সম্প্রদায় নিজেদের মধ্য দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন একটি বিশেষ মহল।

খ্রিষ্টান ত্রিপুরাদের ১৭ ঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আঞ্চলিক সন্ত্রাসীগোষ্ঠী ও একটি বিশেষ মহল সাম্প্রদায়িক ঘটনা হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটিয়ে দেয়। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে এমনভাবে প্রচার করে, সম্পূর্ণ দায়ভার মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার নির্লজ্জ চেষ্টা করে। দেশের চলমান পরিস্থিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে খ্রিষ্টানদের বড়দিনের আগের রাত্রে ত্রিপুরা খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করে!

বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পর প্রধান উপদেষ্টা, পার্বত্য উপদেষ্টা, বাম ধারার গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ নিন্দা জানান। জানা গেছে, আঞ্চলিক সন্ত্রাসী সমর্থিত উগ্র উপজাতিরা বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে কোনো একটি ঘটনা ঘটলে সাম্প্রদায়িক রং দিয়ে তার জন্য বাঙালি ও সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করা হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামে ছনের ঘর পুড়ে গেলে সরকারিভাবে পাকা ঘর তুলে দেওয়ার উদাহরণ আছে। এই কারণে এখানে অনেক সময় পাহাড়িরা আঞ্চলিক সন্ত্রাসীদের খপ্পরে পড়ে নিজেদের ঘরে নিজেরা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়ে তার দায়ভার বাঙালি ও সেনাবাহিনীর উপর দেয়। কিন্তু এই ঘটনার পর ভুক্তভোগী খ্রিষ্টানদের শক্ত অবস্থান এটিকে সাম্প্রদায়িক ঘটনার রূপ দিতে পারেনি। না হয় এটি নিয়ে পার্বত্য বাঙালি মুসলমানদের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধারসহ এসব ঘটনা নিয়ে দেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জবাবদিহির মুখামুখি করতেন ষড়যন্ত্রকারীরা।

26/12/2024

কাপ্তাই হ্রদ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের কারনেই এর আরেক নাম রুপের রাণী। ইচ্ছে করলে ঘুরে আসতে পারেন এবং উপভোগ করতে পারেন এর অপরুপ সৌন্দর্য্য

26/12/2024

মিরিঞ্জা হিল,চৈক্ষং ইউনিয়নের আবাসিক স্কুলের পার্শ্ববর্তী এলাকা,আলীকদম বান্দরবান পার্বত্য জেলা।

26/12/2024

খাগড়াছড়ি আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র বৈচিত্র্যের অনন্য নিদর্শন

25/12/2024

স্থানীয় প্রতিনিধি: আজ, বুধবার (২৫ ডিসেম্বর ২০২৪) রুমা সেনা জোন (৩৮ ই বেঙ্গল) এর ক্যাপলংপাড়া, পাইক্ষ্যংপাড়া, খামবাংপা...

25/12/2024

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতা ও নিরাপত্তায় সাজেকভ্যালী ভ্রমণ করছেন পর্যটকরা।

সাজেকে যে ভাবে পর্যটকদের কে নিয়ে যাওয়া হয়

২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত 'চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ ও প্লাস্টিক দূষণ রোধ' শীর্ষক মতবিনিময় স...
25/12/2024

২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত 'চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ ও প্লাস্টিক দূষণ রোধ' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দিয়েছেন সরকারের উপদেষ্টা।

তিনি জানান, পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে সাইনবোর্ড স্থাপন এবং টহল বাড়ানোর মাধ্যমে কঠোর নজরদারি শুরু হবে। পাহাড় মালিকদের সতর্ক করে চিঠি পাঠানো হবে এবং আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম এর কক্সবাজার,  বান্দরবান, রাঙ্গামাটি,  খাগড়াছড়ি  এইসব অঞ্চলগুলো হাজার হাজার একর জমি অনাবাদি পড়ে রয...
25/12/2024

পার্বত্য চট্টগ্রাম এর কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এইসব অঞ্চলগুলো হাজার হাজার একর জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে,, যাহা আপেল আঙ্গুর চাষের জন্য উপযুক্ত জমি, এটার জন্য পদক্ষেপ নিলে আফগানিস্তানের মতো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আপেল রপ্তানিকারক দেশ হতে পারে বাংলাদেশ

25/12/2024

ছাত্রদল নিয়ে ছাত্র শিবিরের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ঢাবি শিবির সেক্রেটারি জেনারেল।

কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী নদীর সীতার ঘাট এলাকায় গোসলে নেমে দুইজন পর্যটক নিখোঁজ 🥹কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নদীর সীতার ঘাটে  নিখোঁজ দু...
24/12/2024

কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী নদীর সীতার ঘাট এলাকায় গোসলে নেমে দুইজন পর্যটক নিখোঁজ 🥹

কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী নদীর সীতার ঘাটে নিখোঁজ দুই যুবকের নাম
প্রিয়ন্ত দাশ (১৬)🥹
শাওন দত্ত (১৭)🥹

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় দিন উদযাপন উপলক্ষে সেনাবাহিনীর উপহার সামগ্রী বিতরণ। আজ, সোমবার (২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ) বাংল...
24/12/2024

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় দিন উদযাপন উপলক্ষে সেনাবাহিনীর উপহার সামগ্রী বিতরণ।

আজ, সোমবার (২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯৭ পদাতিক ব্রিগেড কর্তৃক রুমা সদরের খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীদের মাঝে উপহার বিতরণ করা হয়। এ সময়ে মেজর আ ন ম শাকিল নেওয়াজ, এসবিপি, ওএসপি, এসইউপি, পিপিএম, পিএসসি, ব্রিগেড মেজর, সদর দপ্তর ৯৭ পদাতিক ব্রিগেড কর্তৃক সর্বমোট ৩০ জন খ্রিষ্টান ধর্মলম্বীদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করেন। এছাড়াও, ৪০ জন শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী, খেলনা ও চকলেট বিতরণ করা হয়।

উপহার বিতরণের সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জিএসও-৩ (অপস), সদর দপ্তর ৯৭ পদাতিক ব্রিগেড, বম সোশ্যাল কাউন্সিলের সভাপতি রেভা লালজার লম বম, সাবেক সভাপতি লাল দহ সাং বম, সহ সভাপতি লাললিয়ান সম বম, সহ সভাপতি লাল সাং তন বম এবং বিভিন্ন এলাকার কার্বারীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। All Piersy শীতবস্ত্র বিতরণ কালে মেজর শাকিল বলেন, দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় রাতে অধিক শীত পড়ে।

রুমার মত প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসরত জনসাধারণের পাশে থাকার জন্য এই তীব্র শীতে যেন কেউ কষ্টে না থাকে সেই চিন্তা চেতনা থেকে এই ধরণের উদ্যোগে মানবিক সহায়তার মাধ্যমে নিরাপত্তা বাহিনী শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও বলেন, খ্রিষ্টানদের এই ধর্মীয় উৎসব বড়দিন শান্তি, ভালবাসা এবং সহমর্মিতার বার্তা বহন করে। জনসাধারণের সহায়তা এবং একতা, উন্নয়ন ও সম্প্রীতির পথকে আরও সহজ করবে। সেনাবাহিনী সব সময় দেশের ও মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে থাকে এবং ভবিষ্যতে এ কাজের ধারবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। উক্ত কর্মসূচি আগামী ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ক্রমন্বায়ে এই ব্রিগেডের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় পরিচালনা করা হবে।

এইসব প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেনাবাহিনী কর্তৃক বড়দিন উৎসবকে সামনে রেখে এই ধরণের সৌহার্দপূর্ণ কার্যক্রমের সকল স্তরের মানুষের মাঝে ইতিবাচক মনোভাব পরিলক্ষিত হয়। এই কার্যক্রমরে ফলে স্থানীয়রা সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগের প্রশংসা ও কর্তৃজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এ ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্থানীয় মানুষদের আসন্ন বড় দিনের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানোর জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর এ ধরণের উদ্যোগকে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ স্বাগত জানায়।

24/12/2024

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২‚০০০ ফিট উচ্চতায় বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার ত্রিপুরা‚ তঞ্চঙ্গ্যা‚ মুরং‚ বৌদ্ধ‚ খ্রিস্টান‚ ক্রামা ও নওমুসলিমদের মাঝে চলছে শীতবস্ত্র বিতরণ।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সর্বশেষ শহীদ মো. আরাফাত এর গায়েবানা জানাজা রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিতআজ (২৩ ডিসেম্বর) সোমবার দুপুরে বৈষ...
23/12/2024

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সর্বশেষ শহীদ মো. আরাফাত এর গায়েবানা জানাজা রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত

আজ (২৩ ডিসেম্বর) সোমবার দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলার উদ্যোগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সহযোদ্ধা ও সর্বশেষ শহীদ মো. আরাফাত (১২) এর রুহের মাগফেরাত কামনায় রাঙামাটি শহরের কোর্ট বিল্ডিং প্রাঙ্গণে দুপুর গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয় ।
শহীদ মো. আরাফাত (১২) মাদরাসার শিক্ষার্থী ছিলেন। মাদরাসা থেকে নাজেরা শেষ করেন আরাফাত। পবিত্র কোরআন শরীফের তিন পারা মুখস্থ করেছিলেন তিনি। এরপর কিতাব বিভাগের এবতেদিয়ায় অধ্যয়নরত ছিলেন।
গত ৫ আগস্ট উত্তরার আজমপুর পূর্ব থানার সামনে আন্দোলনে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। এরপর তাকে প্রথমে আধুনিক হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে ফেরত দিয়ে দেয়া হয়। এরপর নেয়া হয় কুর্মিটোলায়। সেখান থেকেও তাকে ফেরত দিলে পরবর্তীতে তাকে সিএমএইচে ভর্তি করানো হয়। তিন মাস হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসাধীন থাকার পর ২২ ডিসেম্বর তিনি মৃ'ত্যুবরণ করেন। শহীদী মিছিলে যোগ দেন আমাদেরকে ছেড়ে।
ঘাতক বুলেট শহীদ আরাফাতের বাম পাজরের দিক দিয়ে ঢুকে পাজরের হাড্ডি ও মেরুদণ্ড ভেঙে ডান পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। এতে তাঁর একটি কিডনিও নষ্ট হয়ে যায়। উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ আরাফাতকে আগামীকাল ২৪ ডিসেম্বর এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে দেশের বাইরে নেয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিলো। তার আগেই অনন্ত মহাকালের যাত্রায় অসীম মহাকাশের অন্তে শহীদী মিছিলে তিনি যোগ দিয়েছেন।
উক্ত আয়োজনে বক্তব্য রাখেন ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মো: হাবীব আজম ও মিনহাজ মুর্শিদ । এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম পরিকল্পনাকারী ০৯ দফার রচয়িতা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখার সেক্রেটারী এস.এম.ফরহাদ হোসাইন । বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলার অন্যতম সমন্বয়ক ওয়াহিদুজ্জামান রোমানের সঞ্চালনায় আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয় ।

বান্দরবান ও রাঙ্গামাটিতে পানীয় জলের সংকট নিরসনে এডিবির ১০৭৫ কোটি টাকার প্রকল্পবান্দরবান ও রাঙ্গামাটি জেলার দীর্ঘদিনের প...
23/12/2024

বান্দরবান ও রাঙ্গামাটিতে পানীয় জলের সংকট নিরসনে এডিবির ১০৭৫ কোটি টাকার প্রকল্প

বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি জেলার দীর্ঘদিনের পানীয় জলের সংকট নিরসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০৭৫ কোটি টাকা, যা এই অঞ্চলের পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার আধুনিকায়নে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে।

প্রকল্পের আওতায় বান্দরবান পৌরসভায় ৩৫০ কোটি, লামা পৌরসভায় ২৭৫ কোটি এবং রাঙ্গামাটি পৌরসভায় ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এই অর্থায়নের মাধ্যমে তিনটি আধুনিক ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করা হবে। এছাড়াও ৪৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ সঞ্চালন লাইন, একাধিক ওভারহেড টাংকি এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা হবে।

প্রকল্পের সম্ভাব্য সুফল
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি জেলার তিন লাখেরও বেশি মানুষ বিশুদ্ধ পানীয় জলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারবে। এর পাশাপাশি স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নতি স্থানীয় জনগণের স্বাস্থ্য এবং জীবনমানে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।

সরকারি ও স্থানীয় প্রতিক্রিয়া
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, এই প্রকল্পটি শুধু পানীয় জলের সংকট নিরসন নয়, বরং এই দুই জেলার সার্বিক অবকাঠামোগত উন্নয়নেও বড় ভূমিকা রাখবে। স্থানীয় বাসিন্দারা আশা প্রকাশ করেছেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের মান আরও উন্নত হবে।

এডিবির সহযোগিতায় পরিচালিত এই প্রকল্পটি পাহাড়ি অঞ্চলের অন্যতম একটি বৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পটি শেষ করতে সবধরনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে।

বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির জনসাধারণের জন্য এটি এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যা তাদের ভবিষ্যতকে আরও নিরাপদ ও উজ্জ্বল করবে।

পার্বত্য প্রতিটি সেক্টরে চাকমা আধিপত্য।পার্বত্য চট্টগ্রাম জলবায়ু সহিষ্ণু জীবিকা উন্নয়ন ও জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনা সেক্টর ...
23/12/2024

পার্বত্য প্রতিটি সেক্টরে চাকমা আধিপত্য।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জলবায়ু সহিষ্ণু জীবিকা উন্নয়ন ও জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনা সেক্টর প্রকল্প। এই প্রকল্প ব্যবস্থাপনা কার্যালয় রয়েছে রাঙ্গামাটিতে। তার আওতায় গত ০১/১০/২০২৪ খ্রি : পদায়ন সংক্রান্ত একটি স্মারক নং: Two-20/CRLIWM/-CHT/2024-154 হাতে এসেছে।
এতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিম্নোক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীগণকে প্রকল্পের স্বার্থে নিম্নোক্ত ছক মোতাবেক পদায়ন করা হল।

জলবায়ু সহিষ্ণু জীবিকা উন্নয়ন ও জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনা সেক্টর প্রকল্প পদায়নকৃত ২৬জনই উপজাতি। এর মধ্যে ভাগ্যক্রমে মাত্র ২ জন মারমা আর বাকী ২৪ জনই চাকমা! এটা কীভাবে সম্ভব? একটা অঞ্চলের ৫০.০৬% বাঙালি জনগোষ্ঠী হওয়ার স্বত্বেও কীভাবে ২৪.৬৮ চাকমা জনগোষ্ঠীর সিংহভাগ পদায়ন হয় বা নিয়োগকৃত হলেন? এখানে অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর চাকরি, বিভিন্ন সুবিধা গিলে খাচ্ছেন চাকমারা।

স্থানীয় পার্বত্যবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে ১২টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস। চাকমা নেতাদের আগ্রাসনে নিমজ্জিত ১১টি জনগোষ্ঠীর মানুষ। পাহাড়ে এই ভয়ংকর, বৈষম্য অনিয়ম প্রতিরোধ করার যেন কেউ নেই। একের পর এক বের হয়ে আসছে প্রতিটি সেক্টরে একতরফা চাকমা নিয়োগ ও পদায়নের খবর। ডিসি অফিস, ইউএন অফিস, হাসপাতাল, সোনালি ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক ও সরকারি আরো অন্যান্য ৩৫ টি দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান আছে। সেসব প্রতিষ্ঠানের চিত্র আরো ভয়াবহ হতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালি ও অন্যান্য উপজাতি জাতিসত্তার প্রতিনিধিরা। সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রাম যেন চাকমাদের গ্রাসে পরিণত হয়েছে। এ অঞ্চলের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রবেশ করলে মনে হচ্ছে চিন, ভিয়েতনাম বা সিঙ্গাপুরের মত দেশে আছি। চাকমারা গত কয়েক দশক সময় ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামকে পৃথক আলাদা জুম্মল্যান্ড নামক রাষ্ট্র গঠনের জন্য সশস্ত্র আন্দোলন ও বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছে। তাদের এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে অনগ্রসর জাতির তকমা মেখে উপজাতি কোটা সুবিধা গ্রহণ করে আজ শিক্ষার ক্ষেত্রে ৭৬% যোগ্যতা অর্জন। দেশের মূল জনগোষ্ঠী ৭৩% শিক্ষার হার। সেখানে পাহাড়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী হিসেবে দেশের মূল জনগোষ্ঠী থেকে শিক্ষা ও নানান সুযোগ-সু্বিধায় এগিয়ে থাকার বিষয়টি অদৃশ্য কোন শক্তি কাজ করছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। আরো জানা গেছে, দেশি-বিদেশি দাতা সংস্থা, এনজিও, মিশনারি সংস্কার পৃষ্ঠপোষকতায় চাকমারা শিক্ষা, চাকরি, কর্মসংস্থান, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও বিভিন্ন সেক্টরে পাহাড়ে অন্যান্য উপজাতিদের পিছিয়ে ফেলে নিজেদের সর্বক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তার প্রতিষ্ঠা করেছে৷

পার্বত্য চট্টগ্রামের রোয়াংছড়ি উপজাতি বাসিন্দা থুলাইপ্রু মারমা বলেন, পাহাড়ে ৬ টি আঞ্চলিক দল আছে। এর মধ্যে ৪টি চাকমাদের! পাহাড়ে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন-গুম, অরাজকতা, অস্থিতিশীলতা সবই চাকমারা করে থাকে৷ পাহাড়ে মারমা, ত্রিপুরাসহ আরো যে-সব বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠী আছে। মানে যারা একদম প্রান্তিক তাদের সকল সুবিধা চাকমারা লুটেপুটে খাচ্ছে। এটি পার্বত্য চট্টগ্রামে অসমতা তৈরি করছে৷ পার্বত্য চট্টগ্রামে সমবণ্টন নীতি প্রয়োগ না করলে চাকমাদের উত্থান থামানো সম্ভব নয়।

স্থানীয় বাঙালি ও অন্যান্য উপজাতি জাতিসত্তা বলছেন, চাকমাদের এই আধিপত্য আর সামনে এগিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। তাদের আগ্রাসন বন্ধ করতে হলে চাকমা নিয়োগ, পদায়ন ও রাজনৈতিক সুযোগ সুবিধা বন্ধ করতে হবে। যে-সব ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা চাকমা প্রীতি দেখান বা বৈষম্যের সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে হবে। এবং তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এজন্য সকলকে কঠোর হতে হবে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিটি সরকারি দপ্তর, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, এনজিও, দাতাসংস্থা, ব্যাংক, বিমাসহ প্রত্যেক সেক্টরে একতরফা চাকমা নিয়োগ ও পদায়ন পার্বত্য চট্টগ্রামে চরম বৈষম্য ও অসন্তোষ তৈরি করেছে। এই বৈষম্যের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে দিনদিন চাকমা আধিপত্য বাড়ছে। একইসাথে চাকমা বিদ্বেষী বাড়ছে। চাকমা ব্যতীত অন্যান্য উপজাতিরা একতরফা চাকমা নিয়োগের ফলে নিজেরা অনগ্রসরে পরিণত হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের ভারসাম্য রক্ষার্থে বিষয়টি নিয়ে সকলকে দৃষ্টি দিতে হবে।
অনন্ত অসীম, পার্বত্য চট্টগ্রাম।

রাণীরহাট রাঙামাটি প্রবেশদ্বার।
23/12/2024

রাণীরহাট রাঙামাটি প্রবেশদ্বার।

23/12/2024

বান্দরবানের দুর্গম জনপদে বড়দিনের আনন্দ পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম

পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বাধীনতা চায়, কিছু উগ্র উপজাতি।বাংলাদেশ তথা বাঙালিরা কখনো অন্যান্য  জাতি, ধর্মাবলম্বী বা উপজাতি জাত...
23/12/2024

পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বাধীনতা চায়, কিছু উগ্র উপজাতি।

বাংলাদেশ তথা বাঙালিরা কখনো অন্যান্য জাতি, ধর্মাবলম্বী বা উপজাতি জাতিসত্তার উপর বিদ্বেষমূলক আচরণ, হিংসাত্মক আক্রমণ, অধিকার হরণ ও ভাষা-সাংস্কৃতিক পালনে বাধা প্রদান করেনি, এমনকি ধর্ম পালনের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেন নি। বাঙালিরা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা উপজাতি জনগোষ্ঠীর প্রতি সর্বদা আন্তরিক ছিল, উদারতা ও মানবিকতা প্রদর্শন করেছে; ১৯৭২ সাল থেকে ৯৭ সাল পর্যন্ত উপজাতি সংগঠন বিচ্ছিন্নতাবাদের মাধ্যমে বৈরী আচরণ করার পরও এখনো সহনশীল নীতি প্রয়োগ করে আসছে। ১৯৭২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি উপজাতীয়দের অধিকারের দাবিতে সৃষ্ট পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (জেএসএস) সংগঠন। এই উপজাতি সংগঠনটি ১১টি উপজাতি জনগোষ্ঠীর স্বঘোষিত প্রতিনিধি হিসেবে তৎকালীন রাষ্ট্র প্রধানের কাছে মোট ৪ দফা দাবি পেশ করেন আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের লক্ষ্যে। দীর্ঘ ২০ বছর রাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরী আচরণ করেন। যা ছিল ক্ষমার অযোগ্য বিবেচিত অপরাধ। ১৯৯৭ সালের ২-রা ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার উপজাতীয়দের দাবিদাওয়া পূরণের অংশ হিসেবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা রাজনৈতিক উপায়ে সমাধানের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদিত করেন জেএসএস এর সাথে। উপজাতি সংগঠনের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরা, বাঙালি হত্যা, আলাদা স্বাধীনতার দাবিসহ রাষ্ট্রদ্রোহীতামূলক সকল অপরাধ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মাধ্যমে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়। এরপরও উপজাতিদের একটি উগ্রবাদী অংশ ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগ কালে পার্বত্য চট্টগ্রামকে পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তকে অ্যাকসিডেন্ট বা ভুল বলে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বাধীনতা চায়! উগ্রবাদী অংশ বরাবরই বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সংবিধানকে অস্বীকার ও অবজ্ঞা করে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির সুফলভোগী উপজাতিদের একটি অংশের এই অকৃতজ্ঞতা ও বিশ্বাসঘাতকতা সময়ে সময়েই স্পষ্ট হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি জাতিসত্তার অধিকার, নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও সংস্কৃতি বিকাশে সবসময় আমাদের নীতিনির্ধারণী মহল আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। উপজাতিদের বৈরী আচরণ সবসময় উদাসীনভাবে এবং ক্ষমার চোখে দেখেছে। এসবকে উপজাতি সন্ত্রাসী ও তাদের সমর্থক এবং পৃষ্ঠপোষকরা রাষ্ট্রের নমনীয়তা হিসেবে দেখেছে। যার কারণে তারা আজ পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বাধীন চাচ্ছে।

করানালঙ্কার ভিক্ষু বা মনোগিত জুম্ম প্রকাশ জেএসএস-এর স্বঘোষিত কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও কল্পিত জুম্মল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিগত কয়েক বছর ধরে ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থান করে বাংলাদেশ বিরোধী মিথ্যা প্রচারণার পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বাধীনতার দাবিতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে আসছেন। এই করাণালঙ্কার একজন বৌদ্ধ ধর্মীয় ধর্মগুরু। লাল কাপড় বা লেবারের আড়ালে সে প্রতিনিয়ত ধর্মীয় উসকানি, জাতিগত ভেদাভেদ সৃষ্টি, মুসলিম বিদ্বেষমূলক আচরণ, বাঙালি বিরোধী মনোভাব পোষণ, এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসবাদ প্রসারিত করার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই বৌদ্ধ ভিক্ষুর উগ্রবাদী চেতনা, সাম্প্রদায়িক মনোভাব দিনদিন পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি-সম্প্রীতি, উন্নয়ন, নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় যুব সমাজকে উগ্র জাতীয়তাবাদ লালনে ধাবিত করছে। মোটিভেট করে বিপ্লবের বাণী শুনিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনে যোগদান করতে বাধ্য করছে।

স্থানীয় অধিবাসীরা বলছেন, এই বিতর্কিত ধর্মগুরু বাঙালি, সেনাবাহিনী তথা বাংলাদেশ তীব্র বিরোধিতা থেকেই প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে একের পর এক উসকানিমূলক স্ট্যাটাস দিচ্ছে৷ যার ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগত সংঘাত, ধর্মীয় সংঘাত বেড়েই চলছে। উপজাতি যুবকের একটি উগ্র অংশ এই ধর্মগুরুর খপ্পরে পড়ে পার্বত্য চট্টগ্রামকে রাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড থেকে পৃথকীকরণে আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনে যুক্ত হচ্ছে। গেরিলা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ ভেঙে আলাদা 'জুম্মল্যান্ড' নামক রাষ্ট্র গঠনের হুংকার দিচ্ছে।

সচেতন মহল ও বিশ্লেষকরা বলছেন, করুনালঙ্কার ভিক্ষু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাঙালি, সেনাবাহিনী সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এমন সব কুরুচিপূর্ণ তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে। মুসলিম বাঙালিরা সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতন, বাড়িঘরে হামলা, মন্দির ভাঙচুর ও উপজাতিদের ভূমি দখল, নারী ধর্ষণ, ভাষা- সংস্কৃতি পালনে বাধা ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরিতকরণ করছে! এসব কুৎসা, বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার করে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক তথা কূটনৈতিক মহলকে ব্যবহার করে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠন এবং জাতিসংঘের সহযোগিতা কামনায় স্বপ্নের জুম্মল্যান্ড গঠনের প্রচেষ্টা করছে। এজন্য বাংলাদেশ বিরোধী নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তার এই রাষ্ট্রদ্রোহীতামূলক কর্মকাণ্ড দিনদিন পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তির অন্তরায় বাধা হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

জানা গেছে, এই বৌদ্ধ ভিক্ষু খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা উপজেলার বাসিন্দা৷ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে যান। পরবর্তীতে সেখানকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন৷ ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল বিজেপির নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে আন্তর্জাতিক সভা, সেমিনারে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ বিরোধী কাজে সম্পৃক্ত হন। মানবাধিকার সংস্থা ও কূটনৈতিক মহলের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা, পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ বাংলাদেশের সঙ্গে থাকতে চায়না, পৃথকভাবে রাষ্ট্র গঠন করতে চায়, এমন উদ্ভট দাবি পেশ করে জুম্মল্যাণ্ড গঠনে কাজ করছে।

বুধবার ১৮-ই ডিসেম্বর করুনালঙ্কর ভিক্ষু ফেইসবুকে একটি পোস্ট করে। পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হল:

"“Those who forget history cannot make history” (যারা ইতিহাস ভুলে যায়, তারা ইতিহাস তৈরি করতে পারেনা) -- ভারতের সংবিধান রচয়িতা ডঃ বি আর আম্বেদকর

ঐতিহাসিক কাল থেকে ১৮৫৯ পর্যন্ত পার্বত্য চট্রগ্রাম একটা স্বাধীন দেশ ছিল। ১৮৬০ সালে বৃটিশরা এই দেশ দখল করে নেয় আর তাকে বৃটিশ শাসিত ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেয়। এটা অবৈধ এবং মেনে নেওয়া যায়না।

১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে বৃটিশ শাসিত ভারত বিভাজন হয়েছিল আর পাকিস্তান ও ভারত স্বাধীনতা লাভ করেছিল। অর্থাৎ বৃটিশ শাসিত ভারত বিভাজনের নীতি হল ধর্ম। এই নীতি অনুসারে বৃটিশ শাসিত ভারতের মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল নিয়ে পাকিস্তান আর অ-মুসলিম (অর্থাৎ হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ, খ্রীষ্টান ইত্যাদি) অধ্যুষিত অঞ্চল নিয়ে ভারত গঠিত হল।

১৯৪৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসংখ্যার ৯৮.৫% ছিল বৌদ্ধ, হিন্দু ও খৃষ্টান।

বৃটিশ শাসিত ভারতের বিভাজন নীতি অনুসারে এবং সঙ্গত কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ স্নেহ কুমার চাকমার নেতৃত্বে ১৯৪৭ সালে ১৫ আগস্টে ভারতের সঙ্গে যোগ দেয় এবং রাঙামাটিতে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে।

কিন্তু বেঙ্গল বাউন্ডারী কমিশনের চেয়ারম্যান রেডক্লিফের ভুল বা অজ্ঞতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামকে পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। এটা বৃটিশ শাসিত ভারত বিভাজন নীতি ও আইন অনুসারে অবৈধ। এটাও কোন মতে মেনে নেওয়া যায়না।

এর প্রতিবাদের স্নেহ বাবুরা দিল্লীর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু যোগাযোগ ও অন্যান্য অসুবিধার কারণে তাঁরা ব্যর্থ হন। আজ স্বাধীনতাকামী স্নেহ বাবুরা আমাদের পাশে নেই -- কালগত হয়েছেন, কিন্তু তাঁদের চেতনা ও স্বপ্ন এখনো আমাদের সঙ্গে আছে এবং চিরকালই আমাদের সঙ্গে থাকবে।

এখন দিল্লী আমাদের থেকে দূরে নয়, আমাদের থেকে দূরে নয় লন্ডনও। প্রয়োজন হলে দিল্লী ও লন্ডনে গিয়ে আমরা দাবী করবো : আমরা অত্যাচারী বাংলাদেশের অধীনে থাকবনা। আমাদের স্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম চাই। আমাদের স্বাধীন পার্বত্য চট্রগ্রাম লাগবে। এটা আমাদের আইনসঙ্গত ও ন্যায়সঙ্গত প্রাপ্য।"

বিতর্কিত ধর্মগুরুর আদিবাসী শব্দ প্রচার, অবিরত বাংলাদেশ বিরোধী বেপরোয়া কর্মকাণ্ড পার্বত্য চট্টগ্রামের সাধারণ উপজাতিদেরও চিন্তার কারণ। সাধারণ উপজাতিরা বাংলাদেশের সঙ্গে থাকতে চায়, তারা উপজাতি পরিচয়ে বাঁচতে চায় আদিবাসী হিসেবে নয়; তাদের অবস্থান পাহাড়ি বাঙালি সংঘাতের বিপক্ষে; সন্ত্রাসবাদ, হানাহানি ও সাম্প্রদায়িক হামলার পক্ষেই নয় তারা। বাংলাদেশ তথা বাঙালিরা যে তাদের প্রতি আন্তরিকতা, উদার মানবিকতা ও সহনশীল নীতি বরাবরই অবলম্বন করেন তা তারা অকপটে স্বীকার করেন। শুধু উপজাতিদের একটি উগ্রবাদী অংশ সাম্প্রদায়িক মনোভাব থেকে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা ও পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করছে৷ উগ্রবাদী সন্ত্রাসী করানালঙ্কার পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে জুম্মল্যান্ডের রাষ্ট্রের মানচিত্র, পতাকা, মুদ্রা ও প্রশাসনিক কাঠামো ঠিক করে আছেন! নিজেকে কল্পিত জুম্মল্যান্ডের স্বঘোষিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। অস্ত্র, গোলাবারুদ ও জনবল সংগ্রহ করার তাগিদ দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অদূর ভবিষ্যতে যুদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন। বাংলাদেশ সরকারের অস্ত্রভান্ডার ও নিজেদের শক্তিসামর্থ্য নিয়ে নিয়ে বিচার- বিশ্লেষণ করছেন।ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব তিমুর ও দক্ষিণ সুদানের রেফারেন্স দেখাচ্ছেন!

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবেশ করলে দেখা যাচ্ছে, উগ্র উপজাতি সন্ত্রাসীরা অস্ত্র হাতে ছবি, ভিডিও শেয়ার করছে। এবং স্বপ্নের জুম্মল্যান্ডের গঠনে উপজাতি যুব সমাজকে বিপথগামী করতে তৎপরতা চালাচ্ছে৷

গত ১৬-ই ডিসেম্বর তথাকথিত ধর্মগুরু পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বাধীন চেয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন। তার হুবহু:

"আমরা স্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম চাই
স্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাড়া আমাদের মুক্তি নাই

আমাদের চিন্তা, চেতনা, জাতি, ধর্ম, ভাষা, আচার-আচরণ, রীতি-নীতি, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সভ্যতা বাঙ্গালী মুসলমানদের চিন্তা, চেতনা, জাতি, ধর্ম, ভাষা, আচার-আচরণ, রীতি-নীতি, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সভ্যতা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। আমরা বৌদ্ধ, হিন্দু ও খ্রিষ্টান ধর্ম পালন করি। তারা ইসলাম ধর্ম পালন করে। তারা শিক্ষা-দীক্ষা, চাকরি, অফিস-আদলত, ব্যবসা-বাণিজ্য, সরকারি সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি সর্বক্ষেত্রে আমাদের বিরূদ্ধে বৈষম্য করে। শুধু তাই নয় -- তারা জোরপূর্বক আমাদের ভূমি দখন করে, আমাদের বাড়ি-ঘরে, গ্রামে-গঞ্জে, মন্দিরে-গির্জায়, দোকানে, অফিসে আক্রমণ করে, আগুন লাগিয়ে দেয়, আমাদের উপর নির্যাতন চালায়, আমাদের নারী ধর্ষণ করে, আমাদের মানব ও মৌলিক অধিকার লংঘন করে। তাদের সঙ্গে থাকলে আমাদের নিরাপত্তা নেই, উন্নয়ন নেই, শান্তি নেই, ভবিষ্যৎ নেই। তাই আমাদের অধিকার, উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য আমরা তাদের সঙ্গে থাকবনা। আমাদের স্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম দরকার। আমরা স্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম চাই। এখন আমরা তাদের অধীনে আছি। এটা একটা কলোনিয়াল এক্সিডেন্ট বা ভুল। এটা আমাদের কপাল বা ভাগ্য বা নিয়তি নয়। আমাদের কপালে আইনত যা লেখা আছে যা হল স্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম।"

জেএসএস বিরোধী চুক্তি পক্ষ ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর লোকজনকে মাঝেমধ্যে ধর্মীয় লেবারের আড়ালে পার্বত্য চট্টগ্রাম সংঘাত বাঁধানোর জন্য করুনালঙ্কার জড়িত বলে তার সমালোচনা করতে দেখা যায়। তবে অধিকাংশ উপজাতিরা এই বৌদ্ধ ভিক্ষুকে ভণ্ড প্রতারক হিসেবে চিনেন।

জানা গেছে, বিতর্কিত ধর্মগুরু করুণালঙ্কার রং বস্ত্রের আড়ালে একজন সন্ত্রাসবাদী সংগঠক। ভারত থেকে জেএসএস-এর প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করেন।

গত ২০১৭/২০১৮ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্লগারদের একটি প্ল্যাটফর্ম 'হিল ব্লগার ফোরাম' এই বৌদ্ধ ভিক্ষুকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ব্যান করার দাবি তোলে সোচ্চার হলে সরকার তার ফেইসবুক অ্যাকাউন্টটি ব্লক করে দেন।

পরবর্তীতে নামে-বেনাম অসংখ্য আইডি পেইজ ও Monogget Jumma নামক একটি ফেইসবুক আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবিরত মিথ্যাচার রটাতে থাকে। বর্তমানে চলছে বাংলাদেশের মুসলিম বাঙালি ও সেনাবাহিনী বিরোধী প্রচারণা, যা বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। এই ব্যাপারে বাংলাদেশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, উপজাতি রাষ্ট্রদ্রোহীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে বাংলাদেশের সরকারের সহনশীল পার্বত্য নীতি মূল্যায়নের সময় এসেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় এর বিকল্প নেই। তথ্য সন্ত্রাস বন্ধ করতে আইনের প্রয়োগ প্রয়োজন।

অনন্ত অসীম, পার্বত্য চট্টগ্রাম।

Address

Rangamati
Khagrachhari
4555

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hill Documentary posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Hill Documentary:

Share

Category