25/11/2022
মানুষ মানুষের জন্য এই কথাটা ভেবে আমার পেইজের সকল বন্ধুদের উদ্দেশ্যে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি,অন্তত কোন সাহায্য করতে না পারলে ও পোস্ট টি শেয়ার করে সহযোগিতায় প্রার্থনা করছি।।🥀❤️
একবিংশ শতাব্দীতে এসে মেয়েরা ছেলেদের থেকে পিছিয়ে নেই। কিন্তু তারপরও যখন কোন মেয়ের কাছে পরিবারের সকল দায়িত্ব এসে পড়ে তাও আবার গ্রাজুয়েশন শেষ না করতেই। তখন সেই বুঝে কী কষ্ট আর কতো মানসিক চাপ। এতো মানসিক চাপ সহ্য করার ক্ষমতা কারোরই থাকেনা। জীবন সে ক্ষমতা তৈরী করে দেয়। কিন্তু আর কতোদিন আর কতোদূর। অর্থের কাছে যে সব সহ্য ধৈর্য্য হেরে যায়🥺🥺।
বলছি আমাদের পাহাড়ি কন্যা পিংকি চাকমার কথা। পরিবারের বড় মেয়ে। তার বাবার দীর্ঘদিনের অসুস্থটায় পুরো একটি পরিবারের হাল ধরতে হয় তাকে। তাও কলেজে পড়া অবস্থা থেকেই! কলেজ শেষে নিজের কামানো টাকায় অনার্স পড়ার পাশাপাশি পরিবারের সকল কাজ করে যেতে হচ্ছে।💢 💢
এদিকে তিন কন্যা সন্তান ও এক পুত্র সন্তানের পড়াশুনার খরচ, স্বামীর ঔষধের টাকা আর পরিবারের খাওয়া দাওয়া! একজন বাতরোগী মায়ের পক্ষে যোগান দেওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। তাই পরিবারের সকল কাজ যেমন আদা, হলুদ চাষ, ধান চাষ করা এবং এগুলোর চুড়ান্ত ভোগের উপযোগী করে তোলা সহ ইত্যাদি কাজ তাকেই(চার-তিন বোন মিলে) করতে হয়! তার পাশাপাশি নিজের সমাজ এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যাশায় গ্রামের স্বল্প সম্মানির বিনিময়ে নারীদের জন্য একটি ক্লাব পরিচালনা করে যাচ্ছেন। নিজের মা ও মাতৃভাষাকে ভালোবেসে বিনা সম্মানিতে চাকমা ভাষা প্রশিক্ষণের শিক্ষক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। মানুষকে সুশিক্ষা দেওয়ার জন্য কবিতা লিখছেন।🤜🤜
"চাঙমা সাহিত্য বাহ্" সংগঠনে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে একসময় উপলব্ধি করেছি তিনি নারী হয়েও যে কাজগুলো করে সেগুলো আমি করি না। অনেকবার ভেবেছিও এতো কাজ করার সাহস পেয়েছে কিভাবে। আজ বুঝতে পেরেছি। পায়ের নীচের মাটি সরে গেলে মানুষকে অনেককিছু করা লাগে। কিন্তু তাতেও কি সুফল মেলেছে? 🤔🤔
নাহ্,😪 পরিবারের বড় মেয়ে হাওয়ায় বাবার উন্নত চিকিৎসার জন্য কী সিদ্ধান্ত নেবেন তা তাকেই নিতে হয়। কিন্তু পরিস্থিতি তাকে সে জায়গায় রাখেনি যে কোনটা করলে ভালো হবে বুঝতে পারবে। নানাজনে নানা মতামত দিলেও আর্থিক অসচ্ছলতার বেড়াজালে পড়ে কোনভাবেই সঠিক সিদ্ধান্ত কী হবে তা বুঝতে পারেননি।😔 বাধ্য হয়েই একটা সর্বোচ্চ চেষ্টা হিসেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের আগরতলায় গিয়ে চিকিৎসা করানোর।💢💢
গৃহপালিত পশু বিক্রি, চাষের জমি বন্দক ও যাদের থেকে পারেন ধার নিয়ে পরিবারে থাকা দুই বোনের পড়াশোনা করার সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে পাড়ি জমিয়েছেন আগরতলায়😪। আগরতালায় আজ তাদের ১০ দিন। নানান পরীক্ষা নীরিক্ষা করে এখন ডাক্তার বলছেন অপারেশন করা লাগবে।
হার্টের সমস্যা। একটি বাল্ব নষ্ট আরেকটিও নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে। ডাক্তার বলেছেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা করাতে। দেরী হলে আরো সমস্যা হবে। চিকিৎসা করানোর জন্য ৪-৬ লক্ষ টাকার প্রয়োজন।
কিন্তু এতো টাকা এই সময়ে এসে কন্যা নির্ভর এই পরিবারের পক্ষে যোগার করা সম্ভব হচ্ছেনা।🥺 তাই বাধ্য হয়েই তাকে সহযোগিতার জন্য হাত পাততে হচ্ছে। আপনাদের মতো সহৃদয়বান মানুষের সহযোগিতা তার জন্য এখন খুবই প্রয়োজন। 🙏🙏🙏
আমরা হয়তো অনেক মুমূর্ষু রোগীকে সহযোগিতা দিয়ে থাকি যাদের বাঁচার সম্ভাবনা প্রায় ক্ষীণ। কিন্তু তারপরও নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে হলেও আমাদের যুদ্ধ করতে হয় যাতে ব্যর্থ হলেও অন্তত আপসোস করার জায়গা না থাকে।
তবে কেন নয়, পিংকির বাবার মতো তরুণ বয়সের রোগিকে সাহায্য করা? আমরা কি পারিনা, পিংকির বাবার মতো মানুষকে সাহায্য করতে? যার বয়স এখনো অর্ধেকে, যার এখনো সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা অনেক, যার পরিবারে পিংকির মতো একজন সংগ্রামী মেয়ে আছে। যার পরিবার শিখিয়ে যাচ্ছে ভাই-বোন কীভাবে মিল বন্ধনে একসাথে কাজ করে। আসুন আমরা একজন ব্যক্তিকে নয়, পুরো একটি পরিবারকে বাঁচাই। পিংকি চাকমার মতো কন্যা আমাদের সমাজে পুনরায় ফিরে আসুক আরো বেগবান হোক আমাদের পথচলা।
🙏🙏🙏
বিকাশ/নগদ করুন
১। রনজিত চাকমা, 👉01556533724 (বিকাশ)
২। প্রজ্ঞা আলো তালুকদার,👉 01571243403 (বিকাশ/নগদ)
৩। লব্দ চাকমা, 👉01558913751 (বিকাশ)
★সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক মানবিক দাতারা সহযোগিতা করতে চাইলে উপরের নাম্বারসমুহে বিকাশ/নগদ করতে পারবেন। বিকাশ/নগদ করার পূর্বে অবশ্যই ফোন করার জন্য অনুরোধ করা গেল।
# # অন্তত শেয়ার দিয়ে সহযোগিতা করবেন🙏🙏🙏
বিস্তারিত 👉👉👉 https://www.facebook.com/100007933755964/posts/3367513046856454/?app=fbl