08/06/2022
চার নিমিত্ত দর্শন
রম্য, সুরম্য ও শুভ—এই তিনটি প্রাসাদে ঋতুভেদে পালাক্রমে অবস্থান করে চল্লিশ হাজার নর্তকী-পরিবৃতা হয়ে ভদ্রকাঞ্চনা যশোধরা বিভিন্ন কলাকৌশল প্রয়োগ করে সিদ্ধার্থের মনোরঞ্জন করতে লাগলেন। এভাবে ক্রমে উনত্রিশ বছরে পদার্পণ করলে সিদ্ধার্থ একদিন নগর ভ্রমণে অভিলাষী হলেন।
তাই তিনি সারথি ছন্দককে ডেকে বললেন, ‘বন্ধু ছন্দক, উত্তম উত্তম যান প্রস্তুত করো, উদ্যানভূমি দেখতে যাব।’
‘দেব, ঠিক আছে’ বলে সারথি সিদ্ধার্থকে প্রত্যুত্তর দিয়ে উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট যানগুলো প্রস্তুত করে সিদ্ধার্থের কাছে জানাল, ‘দেব, আপনার জন্য যান প্রস্তুত, এখন আপনার যেরূপ অভিরুচি।’
তারপর সিদ্ধার্থ উৎকৃষ্ট যানে উঠে রাজবাড়ি হতে বের হলেন।
১. জরা : সিদ্ধার্থ উদ্যানভূমিতে যাবার সময় দাঁতভাঙা, চুল পাকা, ভাঙা শরীরবিশিষ্ট একজন মানুষকে যেতে দেখলেন। মানুষটি ছিল বুড়ো, তার যৌবন চলে গেছে, পিঠ বাঁকা হয়ে গেছে, হাতে একটি লাঠি নিয়ে কম্পমান অবস্থায় চলছে। এটা দেখে তিনি ছন্দককে বললেন, ‘হে ছন্দক, এটা কীরকম মানুষ? তার চুল অন্যের মতো নয়, শরীরটাও অন্যের মতো নয়।’
‘দেব, এটা বুড়ো মানুষ।’
‘ছন্দক, বুড়ো মানুষ কীরকম?’
‘দেব, এই হচ্ছে বুড়ো মানুষ। সে আর বেশি দিন বাঁচবে না।’
‘ছন্দক, আমিও কি বুড়ো হবো? এটা কি আমারও অনিবার্য নিয়তি?’
‘দেব, আপনি, আমি এবং সবাই বুড়ো হবো, এটা আমাদের অনিবার্য নিয়তি।’
ছন্দক, তা হলে আজ আর উদ্যানে যাবার প্রয়োজন নেই, এখান হতেই রাজবাড়িতে ফিরে যাও।’
‘দেব, ঠিক আছে’ এ কথা বলে সিদ্ধার্থকে রাজবাড়িতে নিয়ে গেলেন। সিদ্ধার্থ রাজবাড়িতে গিয়ে দুঃখগ্রস্ত হয়ে ও মন খারাপ করে চিন্তা করতে লাগলেন, ‘জন্মকে ধিক্কার দিই, যেহেতু যে জন্মেছে সে বুড়ো হবে।’
তারপর রাজা শুদ্ধোদন ছন্দককে ডেকে বললেন, ‘ছন্দক, কুমার উদ্যানভ্রমণ উপভোগ করেছেন তো? উদ্যানভূমি কুমারের প্রীতিকর হয়েছে তো?’
‘দেব, কুমার উদ্যানভ্রমণ উপভোগ করেননি, উদ্যানভূমি তাঁর প্রীতিকর হয়নি।’
‘ছন্দক, কুমার উদ্যানে যাবার সময় কী দেখেছিলেন?’
দেব, কুমার উদ্যানে যাবার সময় দাঁতভাঙা, চুল পাকা, ভাঙা শরীরবিশিষ্ট এক বুড়ো, পিঠ বাঁকা, নত, হাতে লাঠি, কম্পমান, রুগ্ণ, যৌবন চলে যাওয়া এমন মানুষ দেখেছিলেন। সেটা দেখে তিনি আমাকে এরূপ বলেছিলেন, “ছন্দক, এটা কীরূপ মানুষ? এর চুল অন্যের মতো নয়, দেহও অন্যের মতো নয়।” “দেব, এটা বুড়ো মানুষ।” “ছন্দক, বুড়ো মানুষ কীরকম?” “দেব, এটাই বুড়ো মানুষ-মানুষটি আর বেশি দিন বাঁচবে না।” “ছন্দক, আমিও কী বুড়ো হবো? এটা কি আমার অনিবার্য নিয়তি?” “দেব আপনি, আমি এবং সবাই বুড়ো হবো, এটা আমাদের অনিবার্য নিয়তি।” “ছন্দক, তা হলে আজ আর উদ্যানে যাবার প্রয়োজন নেই, এখান হতেই রাজবাড়িতে ফিরে যাও।” “দেব, ঠিক আছে” এই কথা বলে আমি কুমারকে রাজবাড়িতে নিয়ে গেলাম।’ কুমার রাজবাড়িতে গিয়ে দুঃখগ্রস্ত হয়ে ও মন খারাপ করে চিন্তা করতে লাগলেন, ‘জন্মকে ধিক্কার দিই, যেহেতু যে জন্মগ্রহণ করেছে সে বুড়ো হবে।’
তখন রাজা শুদ্ধোদন এরূপ চিন্তা করলেন, ‘সিদ্ধার্থ রাজত্ব করবেন না এরূপ যেন না হয়, তিনি গৃহত্যাগ করে গৃহহীন প্রব্রজ্যা-আশ্রয় করবেন এরূপ যেন না হয়, জ্যোতিষী ব্রাহ্মণদের কথা যেন সত্য না হয়।’
এরপর রাজা শুদ্ধোদন সিদ্ধার্থকে বেশি করে সব ভোগের ব্যবস্থা করলেন, যাতে কুমার রাজ্যভোগ করেন, গৃহত্যাগ করে গৃহহীন প্রব্রজ্যা-আশ্রয় না করেন, যাতে জ্যোতিষী ব্রাহ্মণদের কথা মিথ্যে হয়। এভাবে সিদ্ধার্থ সর্বভোগের আনন্দে ব্যাপৃত রইলেন।
এর পর, সিদ্ধার্থ আবার একদিন ছন্দককে বললেন, ‘বন্ধু ছন্দক, উত্তম উত্তম যান প্রস্তুত করো, উদ্যানভূমি দেখতে যাব।
‘দেব, ঠিক আছে’ এই বলে ছন্দক সিদ্ধার্থকে প্রত্যুত্তর দিয়ে উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট যান প্রস্তুত করে সিদ্ধার্থকে জানাল, ‘দেব, আপনার জন্য যান প্রস্তুত, এখন আপনার যেরূপ অভিরুচি।’
তারপর সিদ্ধার্থ উৎকৃষ্ট যানে উঠে রাজবাড়ি হতে বের হলেন।
২. ব্যাধিগ্রস্ত : ‘এর পর, সিদ্ধার্থ উদ্যানভূমিতে যাওয়ার সময় একজন মানুষকে দেখলেন, মানুষটি পীড়িত, আর্ত, কঠিন রোগগ্রস্ত, নিজের মলমূত্রের মধ্যে শায়িত, উঠতে-শুতে অপরের সাহায্যাপেক্ষী। এই দৃশ্য দেখে কুমার ছন্দককে জিজ্ঞেস করলেন, ‘বন্ধু ছন্দক, এই মানুষটি কী করেছে? এর চোখও অন্যের চোখের মতো নয়, স্বরও অন্যের স্বরের মতো নয়।’
‘দেব, মানুষটি ব্যাধিগ্রস্ত।’
‘ছন্দক, ব্যাধিগ্রস্ত কাকে বলে?’
‘দেব, যে রোগে সে আক্রান্ত, ওই রোগ হতে তার অব্যাহতির সম্ভাবনা অতি সামান্য।’
ছন্দক, আমিও কি ব্যাধির অধীন? আমিও কি ব্যাধির অতীত নই?’
‘দেব, আপনি, আমি এবং আমরা সবাই ব্যাধির অধীন, আমরা ব্যাধির অতীত নই।’
‘তা হলে, বন্ধু ছন্দক, আজ আর উদ্যানে যাবার প্রয়োজন নেই, এখান হতেই রাজবাড়িতে ফিরে যাও।’
‘দেব, ঠিক আছে’—এ কথা বলে ছন্দক ফিরে গেল। সিদ্ধার্থ রাজবাড়িতে গিয়ে দুঃখগ্রস্ত হয়ে ও মন খারাপ করে চিন্তা করতে লাগলেন, ‘এই জন্মকে ধিক্কার দিই, যেহেতু যে জন্মগ্রহণ করেছে সে রোগগ্রস্ত হবে।’
তারপর রাজা শুদ্ধোদন ছন্দককে ডেকে বললেন, ‘ছন্দক, কুমার উদ্যানভ্রমণ উপভোগ করেছেন তো? উদ্যানভূমি কুমারের প্রীতিকর হয়েছে তো?’
‘দেব, কুমার উদ্যানভ্রমণ উপভোগ করেননি, উদ্যানভূমি তাঁর প্রীতিকর হয়নি।’
‘ছন্দক, কুমার উদ্যানে যাবার পথে কী দেখেছিলেন?’
‘দেব, কুমার উদ্যানে যাবার সময় একজন মানুষকে দেখেছিলেন, মানুষটি পীড়িত, আর্ত, কঠিন রোগগ্রস্ত, নিজের মলমূত্রের মধ্যে শায়িত, উঠতে-শুতে অপরের সাহায্যাপেক্ষী। এই দৃশ্য দেখে কুমার আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, “ছন্দক, এ মানুষটি কী করেছে? এর চোখও অন্যের চোখের মতো নয়।” “দেব, মানুষটি ব্যাধিগ্রস্ত।” “ছন্দক, ব্যাধিগ্রস্ত কাকে বলে?” “দেব, যে-রোগে সে আক্রান্ত, সেই রোগ থেকে তার অব্যাহতির সম্ভাবনা অতি সামান্য।” “ছন্দক, আমিও কি ব্যাধির অধীন? আমিও কি ব্যাধির অতীত নই?” “দেব, আপনি, আমি এবং আমরা সবাই ব্যাধির অধীন, আমরা ব্যাধির অতীত নই।” “তা হলে, বন্ধু ছন্দক, আজ আর উদ্যানে যাবার প্রয়োজন নেই। এখান হতেই রাজবাড়িতে ফিরে যাও।” আমি সম্মত হয়ে ফিরে আসলাম।’ কুমার রাজবাড়িতে গিয়ে দুঃখগ্রস্ত হয়ে ও মন খারাপ করে চিন্তা করতে লাগলেন, ‘এই জন্মকে ধিক্কার দিই, যেহেতু যে জন্মগ্রহণ করেছে সে রোগগ্রস্ত হবে।’
তখন রাজা শুদ্ধোদন এরূপ চিন্তা করলেন, ‘সিদ্ধার্থ রাজত্ব করবেন না এরূপ যেন না হয়, তিনি গৃহত্যাগ করে গৃহহীন প্রব্রজ্যা-আশ্রয় করবেন এরূপ যেন না হয়, জ্যোতিষী ব্রাহ্মণদের কথা যেন সত্য না হয়।’
এরপর রাজা শুদ্ধোদন সিদ্ধার্থকে আরও বেশি করে সমস্ত ভোগের ব্যবস্থা করলেন, যাতে কুমার রাজ্যভোগ করেন, গৃহত্যাগ করে গৃহহীন প্রব্রজ্যা-আশ্রয় না করেন, যাতে জ্যোতিষী ব্রাহ্মণদের কথা মিথ্যে হয়। এভাবে সিদ্ধার্থ সর্বভোগের আনন্দে ব্যাপৃত রইলেন।
‘এর পর সিদ্ধার্থ আরও একদিন ছন্দককে বললেন, ‘বন্ধু ছন্দক, উত্তম উত্তম যান প্রস্তুত করো, উদ্যানভূমি দেখতে যাব।’
‘দেব, ঠিক আছে’—এ কথা বলে ছন্দক সিদ্ধার্থকে প্রত্যুত্তর দিয়ে উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট যান প্রস্তুত করে সিদ্ধার্থকে জানাল, ‘দেব, আপনার জন্য যান প্রস্তুত, এখন আপনার যেরূপ অভিরুচি।’
তারপর সিদ্ধার্থ উৎকৃষ্ট যানে উঠে রাজবাড়ি হতে বের হলেন।
৩. মৃত ব্যক্তি : সিদ্ধার্থ উদ্যানভূমিতে যাবার সময় দেখলেন, সম্মিলিত বড়ো জনসমাবেশ রং-বেরঙের কাপড়ের দ্বারা চিতা নির্মাণ করছে। সেটা দেখে তিনি ছন্দককে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ছন্দক, সম্মিলিত এই জনসমাবেশ রং-বেরঙের কাপড়ের দ্বারা কী নির্মাণ করছে?’
‘দেব, চিতা নির্মাণ করছে।
কীজন্য চিতা নির্মাণ করছে?
‘দেব, যেহেতু এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।’
‘তা হলে, ছন্দক, ওই মৃতের দিকে রথ চালাও।’
‘ঠিক আছে’—এ কথা বলে ছন্দক মৃতের দিকে রথ চালাল। সিদ্ধার্থ মৃতদেহ দেখলেন এবং ছন্দককে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ছন্দক, মৃত কাকে বলে?’
দেব, মৃতের মাতাপিতা অথবা অন্যান্য জ্ঞাতি কেউই আর তাকে দেখতে পাবে না। সে-ও মাতাপিতা অথবা অন্যান্য জ্ঞাতিকে আর দেখতে পাবে না।’
‘ছন্দক, আমিও কি মরণধর্মবিশিষ্ট? আমিও কি মরণের অতীত নই? আমাকেও কি রাজা, রানি অথবা অপরাপর জ্ঞাতিগণ আর দেখতে পাবে না? আমিও কি তাঁদের আর দেখতে পাব না?’
‘দেব, আপনি ও আমি এবং আমরা সবাই মরণধর্মযুক্ত, মরণের অতীত নই। আপনাকেও রাজা, রানি অথবা অপরাপর জ্ঞাতিগণ দেখতে পাবেন না, আপনিও তাঁদের দেখতে পাবেন না।’
‘তা হলে, ছন্দক, আজ আর উদ্যানে যাবার প্রয়োজন নেই, এখান হতেই রাজবাড়িতে ফিরে যাও।’
‘ঠিক আছে’ বলে ছন্দক সেখান থেকেই ফিরে আসল। সিদ্ধার্থ রাজবাড়িতে গিয়ে দুঃখগ্রস্ত হয়ে ও মন খারাপ করে চিন্তা করতে লাগলেন, ‘জন্মকে ধিক্কার দিই, যেহেতু যার জন্ম হয়েছে সে বুড়ো, রোগ ও মরণগ্রস্ত হবে।’
এর পর রাজা শুদ্ধোদন ছন্দককে আগের মতো প্রশ্ন করলেন এবং আগের মতো সিদ্ধার্থকে বেশি বেশি করে সমস্ত ভোগের ব্যবস্থা করলেন। এভাবে সিদ্ধার্থ সর্বভোগের আনন্দে ব্যাপৃত রইলেন।
এর পর, সিদ্ধার্থ আবার একদিন ছন্দককে বললেন, ‘বন্ধু ছন্দক, উত্তম উত্তম যান প্রস্তুত করো, উদ্যানভূমি দেখতে যাব।’
‘দেব, ঠিক আছে’—এই বলে ছন্দক সিদ্ধার্থকে প্রত্যুত্তর দিয়ে উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট যান প্রস্তুত করে সিদ্ধার্থকে জানাল, ‘দেব, আপনার জন্য যান প্রস্তুত, এখন আপনার যেরূপ অভিরুচি।’
তারপর সিদ্ধার্থ উৎকৃষ্ট যানে উঠে রাজবাড়ি হতে বের হলেন।
৪. সন্ন্যাসী : সিদ্ধার্থ উদ্যানভূমিতে যাবার সময় এক ন্যাড়া মাথা, কাষায় বস্ত্র পরিহিত প্রব্রজিত মানুষকে দেখে ছন্দককে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ছন্দক, এই মানুষটি কী করেছে, যার জন্য তার মাথা অন্যের মাথার মতো নয়, বস্ত্রও অন্যের মতো নয়?’
‘দেব, মানুষটি প্রব্রজিত।’
‘ছন্দক, প্রব্রজিত কাকে বলে?’
‘দেব, যিনি প্রব্রজিত তিনি ধর্মচর্যা, শমচর্যা কুশলক্রিয়া পুণ্যকর্ম অহিংসা এবং সব প্রাণীর প্রতি অনুকম্পায় পূর্ণতা প্রাপ্ত।’
‘ছন্দক, যিনি প্রব্রজিত তিনি সাধু, সাধু ধর্মচর্যা, সাধু শমচর্যা, সাধু কুশলধর্ম, সাধু পুণ্যকর্ম, সাধু অহিংসা, সাধু সকল প্রাণীর প্রতি অনুকম্পা। ছন্দক, এবার ওই প্রব্রজিতের কাছে রথ চালাও।’
‘ঠিক আছে’ বলে ছন্দক প্রব্রজিতের কাছে রথ চালাল।
তারপর সিদ্ধার্থ সেই প্রব্রজিতকে এরূপ বললেন, ‘সৌম্য, কীজন্য আপনার মাথা অন্যের মাথার মতো নয়, বস্ত্রও অন্যের মতো নয়?’
‘দেব, আমি প্রব্রজিত।’
‘সৌম্য, এর অর্থ কী?’
‘দেব, যিনি প্রব্রজিত তিনি ধর্মচর্যা, শমচর্যা, কুশলকর্ম, পুণ্যকর্ম, অহিংসা এবং সর্বপ্রাণীর প্রতি অনুকম্পায় পূর্ণতাপ্রাপ্ত।’
‘সৌম্য, সাধু আপনার মতো প্রব্রজিত, সাধু ধর্মচর্যা, সাধু শমচর্যা, সাধু কুশলকর্ম, সাধু পুণ্যকর্ম, সাধু অহিংসা, সাধু সকল প্রাণীর প্রতি অনুকম্পা।’—মহাপদান-সূত্র, মহাবর্গ, দীর্ঘনিকায়।