Hill Film

Hill Film A publisher group Hill Film (A Film & Cultural Group) it's establish 7 June 2015. We are few Students of College, University.

We think our need a Cultural Group so establish this cultural group for practic own culture & own history. we want to make nice world where every parson have to right.The aim and objects of our organization are-
1. To protect, preserve and promote our indigenous culture, traditions and spirit.
2. To make short film, drama and documentary for making people aware of own culture, tradition and scienc

e minded.
3. To provide free tution and guidelines to students from poor families.
4. To help the children be well educated by teaching them story- telling, drawing, acting, music, writing and reciting poem etc.

05/06/2020
চাকমা জাতিগোষ্ঠীর ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সেমিনার

সকলকে দেখার অনুরোধ করছি

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট, খাগড়াছড়ি কর্তৃক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সে...

01/06/2020
Chakma language unknown history

Chakma language unknown history

You will know or learn from this channel:- - how to Develop Chakma Language in modern technology. - How to connect with Social media and digitize, rivive, re...

01/06/2020
জুম সাহিত্যের জন্য কবি ম্যাকলিন চাকমার শুভেচ্ছা বাণী: - Jum literature-জুম সাহিত্য

শুভেচ্ছা বাণী

একটি জাতির প্রাণ সাহিত্য। সাহিত্য যেমন স্ব স্ব জাতির ভাষা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ঠিক তেমনি সে জাতির নিজস্ব সংস্কৃতি, কৃষ্টি রক্ষায় অসামান্য অবদান রাখতে সাহায্য করে।
মোটকথা সাহিত্যকে একটি জাতির চালিকাশক্তি বলা যায়।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন ভাষাভাষী আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস।তাঁদের রয়েছে নিজস্ব ভাষা,নিজস্ব সংস্কৃতি, নিজস্ব কৃষ্টি। পাহাড়, জুমকে ঘিরেই তাঁদের বেঁচে থাকা।পার্বত্য চট্টগ্রামে বিগত কয়েক দশকে কয়েকজন হাতেগোনা সাহিত্যিক থাকলেও তাঁদের হাত ধরে বর্তমানে অসংখ্য লেখক,কবি,সাহিত্যিক সৃষ্টি হয়েছে।
তাঁরা নিজ নিজ জায়গা থেকে বেশ প্রতিষ্ঠিত।
এবং সাহিত্য চর্চার মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
আবার অনেকেই সবে সাহিত্য চর্চা শুরু করেছেন। তাই বর্তমান সময়ের পার্বত্য চট্টগ্রামের সাহিত্যকে সোনালী যুগ বলা যেতে পারে।
আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি উদীয়মান কবি লেখকরা যদি নিয়মিত অধ্যয়নের মাধ্যমে জুম,পাহাড়, সমাজ,পরিবার,বিশ্ব সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করতে পারে তাহলে আদিবাসী সাহিত্য আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
যারা সবে মাত্র লেখালেখি শুরু করেছেন তাদের আমি আদিবাসী সাহিত্যের চারা বলব।
আমার বিশ্বাস আমরা যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে আদিবাসী সাহিত্যের চারাগুলোকে নিয়মিত পরিচর্যা করতে পারি তাহলে আদিবাসী সাহিত্যে একদিন অনেক অনেক প্রতিষ্ঠিত কথাসাহিত্যিক, গল্পকার,কবি সাহিত্যিকের দেখা পাব।
আমি মনে সেই সুদিন খুব বেশি দূরে নয়।

পার্বত্য চট্টগ্রামে কলেজপড়ুয়া কয়েকজন উদীয়মান কবি সাহিত্যিকের হাত ধরে অনলাইন প্লাটফর্ম “জুম লিটারেচার” কয়েকদিন আগে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অনেক প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যেক এবং উদীয়মান কবি, সাহিত্যেকরা জুম লিটারেচারে নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন।
এবং সবশেষ তাঁরা একটি ব্লগ খুলেছে।
এত কম সময়ে এতকিছু করা যা আদিবাসী সাহিত্যের জন্য আশীর্বাদ বলা যায়। তাঁরা অবশ্যই এসব কাজের জন্য প্রশংসার দাবি রাখে।
আমি তাঁদের কাজের জন্য অভিনন্দন জানাই।
তাঁদের এই কর্মকাণ্ড আরও বেগবান হোক এই প্রত্যাশা রাখি।

ম্যাকলিন চাকমা
কেন্দ্রীয় সদস্য
পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী লেখক ফোরাম,পার্বত্য চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ।
Email: [email protected]

জুম পাহাড়ে কবি ম্যাকলিন চাকমা মহোদয় জুম সাহিত্যের জন্য শুভেচ্ছা বাণী পাঠিয়েছেন।নিচে হুবুহু তুলে ধরা হলো:   শুভেচ....

29/05/2020
প্রয়োজনীয় ইংরেজী শব্দ অর্থ ভান্ডার BBC janala Spoken English BD Online page

প্রয়োজনীয় ইংরেজী শব্দ অর্থ ভান্ডার BBC janala Spoken English BD Online page

গুরুত্বপূর্ণ ১০০ টি Translation! যা প্রায় পরীক্ষাতেই আসে।..........................................................................
০১. যার কোন গুণ নাই তার কপালে আগুন
= It is a pity, he is good for nothing.
০২. আপন গায়ে কুকুর রাজা।
= Every dog is a lion at home.
০৩. ডোল ভরা আশা আর কুলো ভরা ছাই।
= Extravagant hopes lead to complete disappointment.
০৪. নিজের পায়ে কুড়াল মারা ।
= To dig one’s own grave.
০৫. উঠন্ত মুলো পত্তনে চেনা যায় ।
= Morning shows the day.
০৬. উলুবনে মুক্তো ছড়ানো ।
= Pearls before swine.
০৭. উৎপাতের কড়ি চিৎপাতে যায়।
= Ill got, ill spent.
০৮. একবার না পারিলে দেখ শতবার ।
= If at first try you don’t succeed, try, try again!
০৯. কত হাতি গেল তল, মশা বলে কত জল ।
= Fools rush in where angels fear to tread.
১০. কম পানির মাছ বেশ পানিতে উঠলে ও মাছে বেশ লাফালাফি করে ।
= Being unnecessarily flashy is pointless
১১. কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা ।
= Using a thorn to remove a thorn.
১২. কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে ।
= To add insult to injury.
১৩. কানা গরুর ভিন্ন পথ ।
= The fool strays from the safe path.
১৪. কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ ।
= One’s harvest month, is another’s complete devastation.
১৫. বিপদ কখনও একা আসে না।
= Misfortune never comes alon.
১৬. আয়ের অধিক ব্যয় করো না।
= Do not live above your means.
১৭. কিনতে পাগল বেচতে ছাগল
= Necessity never makes a bargain.
১৮. কুকুরের পেটে ঘি মজে না।
= Habit is the second nature.
১৯. কুমিরের সঙ্গে বিবাদ করে জলে বাস
= It is hard to sit at Rome and strike with the Pope.
২০. ঘষতে ঘষতে পাথরও ক্ষয় হয়।
= Constant dripping wears out the stone.
২১. গাইতে গাইতে গায়েন
= Practice makes a man perfect.
২২. ঘরে পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ডরায়
= A burnt child dreads the fire.
২৩. গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না
= A prophet is not honoured in his own country.
২৪. অধীনতা অপেক্ষা মৃত্যু শ্রেয়
= Even death is preferable to bo***ge.
২৫. সে হাড়ে হাড়ে দুষ্ট
= He is wicked to the backbone.
২৬. ভাই ভাই ঠাঁই ঠাঁই
= Brothers will part.
২৭. ঘুঘু দেখেছ, ফাঁদ দেখ নি।
= You must not see things with half an eye.
২৮. চেনা বামুনের পৈতার দরকার হয় না।
= Good wine needs no bush.
২৯. চোখের আড়াল হলেই মনের আড়াল হয়।
= Out of sight, out of mind.
৩০. চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে।
= To lock the stable when the mare is stolen.
৩১. চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী।
= The devil would not listen to the scriptures.
৩২. চোরে চোরে মাসতুত ভাই।
= Birds of a feather flock together.
৩৩. টাকায় টাকা আনে।
= Money begets money.
৩৪. ঠাকুর ঘরে কেরে, অামি কলা খাই না।
= A guilty mind is always suspicious.
৩৫. গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল।
= To count one’s chickens before they are hatched.
৩৬. মরা হাতি লাখ টাকা।
= The very ruins of greatness are great.
৩৭. জলে কুমির ডাঙায় বাঘ।
= Between the devil and the deep sea.
৩৮. মশা মারতে কামান দাগা।
= To break a butterfly on a wheel.
৩৯. দুধ কলা দিয়ে কালসাপ পোষা।
= To cherish a serpent in one’s bossom.
৪০. এক মাঘে শীত যায় না
= One swallow does not make a summer.
৪১. এক হাতে তালি বাজে না
= It takes two to make a quarrel.
৪২. ওস্তাদের মার শেষ রাতে
= All’s well that ends well.
৪৩. কর্জ নাই, কষ্ট নাই
= Out of debt, out of danger.
৪৪. কত ধানে কত চাল বুঝবে
= you will know now what’s what.
৪৫. কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ পাকলে করে ট্যাশ ট্যাশ
= To strike the iron while it is hot.
৪৬. কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ
= What is sport to the cat is death to the rat.
৪৭. কান টানলে মাথা আসে
= Given the one, the other will follow.
৪৮. অতি চালাকের গলায় দড়ি
= Too much cunning over reaches itself.
৪৯. অতি লোভে তাতি নষ্ট
= Grasp all,lose all.
৫০. ভাবিয়া করিও কাজ
= Look before you leap
৫১. অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট
= Too many cooks spoil the broth
৫২. অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ
= Too much courtesy, too much craft.
৫৩. অভাবে স্বভাব নষ্ট
= Necessity knows no law
৫৪. অতি দর্পে হত লংকা।
= Pride goes before its fall.
৫৫. আপনি বাঁচলে বাপের নাম
= Self preservation is the first law of nature.
৫৬. অহিংসা পরম ধর্ম
= Non-violence is a supreme virtue
৫৭. অসারের তর্জন গর্জনই সার
= Empty vessels sound much.
৫৮. আয় বুঝে ব্যয় কর
= Cut your coat according to your cloth.
৫৯. আসলের চেয়ে সুদ মিষ্টি
= Interest is sweeter than principal.
৬০. যেমন কর্ম তেমন ফল।
= As you sow, so you reap.
৬১. সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।
= Honesty is the best policy.
৬২. সব ভাল তার শেষ ভাল যার।
= All’s well that ends well.
৬৩. দশের লার্ঠি একের বোঝা।
= Many a little makes a mickle.
৬৪. বিপদ কখনো একা আসে না।
= Misfortune never comes alone.
৬৫. নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল।
= Something is better than nothing.
৬৬. মানুষ মাত্রই ভুল করে।
= To err is human.
৬৭. সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়।
= A stitch in time save nine.
৬৮. নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা।
= A bad workman quarrels with his tools.
৬৯. উঠন্ত মুলো পত্তনেই চেনা যায়।
= Morning shows the day.
৭০. ভিক্ষার চাল কাঁড়া আকাঁড়া।
= Beggars must not be choosers.
৭১. ঢিলটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়।
= Tit for tat.
৭২. মন্ত্রের সাধন কিংব শরীর পতন।
= Do or die.
৭৩. বাপ কা বেট।
= Like father, like son.
৭৪. নানা মুনির না পথ।
= Many men, many minds.
৭৫ প্রয়োজনই আবিষ্কারের প্রসূতি।
= Necessity is the mother of invention.
৭৬. যত গর্জে তত বর্ষে না।
= Barking dogs seldom bite.
৭৭. যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ।
= While there is life there is hope.
৭৮. এক মাঘে শীত যায় না।
= One swallow doesn’t make a summer.
৭৯. টাকায় টাকা আনে।
= Money begets money
৮০. চকচক করলেই সোনা হয় না।
= All that glitters is not gold.
৮১. জোর যার মুলুক তার।
= Might is right
৮২. ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।
= Where there is a will, there is a way.
৮৩. চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।
= Birds of the same feather flock together.
৮৪. গাছ তার ফলে পরিচয়।
= A tree is known by its fruits.
৮৫. চাচা আপন প্রাণ বাঁচা।
= Every one for himself.
৮৬. আয় বুঝে ব্যয় কর।
= Cut your coat according to your cloth.
৮৭. জ্ঞানই শক্তি।
= Knowledge is power.
৮৮. একতাই বল।
= Unity is strength.
৮৯. অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী।
= A little learning is a dangerous thing.
৯০. অসময়ের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু।
= A friend in need is a friend indeed.
৯১. একতায় উত্থান, বিভেদে পতন।
= United we stand, divided we fail.
৯২. অপচয় করো না, অভাবও হবে না।
= Waste not, want not.
৯৩. অসারের তর্জন গর্জন স্যার।
= Empty vessel sounds much.
৯৪. আপন চরকায় তেল দাও।
= Oil your own machine.
৯৫. কষ্ট বিনা কেষ্ট মেলে না।
= No pains, no gains.
৯৬. কয়লা ধূলে ময়লা যায় না।
= Black will take no other hue.
৯৭. আপন ভাল তো জগত ভালো।
= To the pure all things are pure.
৯৮. উপদেশের চেয়ে দৃষ্টান্ত ভালো।
= Example is better than precept.
৯৯. এক হাতে তালি বাজে না।
= It takes two to make quarrel.
১০০. উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে।
= One doth the scathe, another hath the scorn

20/05/2020
Dhamma dāna

Like this page.

Yo dhammaṃ passati so buddhaṃ passati. Yo buddhaṃ passati so dhammaṃ passati

20/05/2020
আধুনিক সিঙ্গাপুরের স্থপতি লি কুয়ান ইউ’র নেতৃত্বের ধরণ

আধুনিক সিঙ্গাপুরের স্থপতি লি কুয়ান ইউ’র নেতৃত্বের ধরণ

সিঙ্গাপুর নামক রাষ্ট্রটি ক্ষুদ্র দ্বীপখন্ড বা দ্বীপখন্ডসমূহের সমষ্টি। প্রায় ৫৫ লাখ জনঅধ্যুষিত এই রাষ্ট্রটি বিশ্বের আর ২০০টি রাষ্ট্রেরই মতো একটি রাষ্ট্র। ১৯৬৫ সালের ০৯ আগস্ট এই রাষ্ট্রটি মালয় ফেডারেশন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। স্বাধীনতা ঘোষনার সময় এই রাষ্ট্রটি বলতে গেলে একটি জেলে পল্লী মাত্র ছিল। লি কুয়ান ইউ তখন ছিলেন সেই জেলেপল্লীসম দ্বীপখন্ড বা দ্বীপখন্ডসমূহের ২০ লাখ মানুষের নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী। তার নেতৃত্বে সেই রাষ্ট্রটি মাত্র কয়েকবছরের মধ্যে উন্নতশীল ও বর্তমানে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে চলে আসে।সিঙ্গাপুরকে তিনি যেমন ন্যায়সংগত শাসন ব্যবস্থার মাধ্যমে পুঁজিবাদী বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড় করান তেমনি তিনিও পরিচিতি লাভ করেন বিশ্বের মাঝে শক্তিশালী একজন রাষ্ট্রনায়ক তথা সরকার পরিচালক হিসেবে।
তাঁর সরকার পরিচালনার ধরণ বা তাঁর নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্য বা নেতৃত্বের ধরণ নিয়েই এই আলোচনা। এই আলোচনার মাধ্যমে আমরাও যদি কিছুটা শিক্ষা অর্জন করতে পারি তবে নিশ্চয়ই এই প্রচেষ্টা সার্থক হবে বলে আশা।
এখানে আমি মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক কর্তৃক ভাষান্তরকৃত লি কুয়ান ইউ’র আত্মকথা ‘ফ্রম থার্ড ওয়ার্ল্ড টু ফাস্ট ফাস্ট; সিঙ্গাপুরের ইতিহাসঃ ১৯৬৫-২০০০’ বই থেকে লেখার সারবস্তুসমূহ সংগ্রহ করেছি এবং তথ্যসহ উদ্ধৃতিসমূহও এই বই থেকেই গ্রহণ করা হয়েছে।

বয়োকনিষ্ঠ নেতা থেকে সুযোগ্য রাষ্ট্র পরিচালক
লি কুয়ান ইউ যখন সিঙ্গাপুর রাষ্ট্রের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তখন তার সাথে থাকা সহযোগীদের চেয়ে বয়সে কনিষ্ঠ ছিলেন।
তিনি ১৯৫৯ সালের দিকে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে স্বায়ত্তশাসিত সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৬৫ সালে যখন সিঙ্গাপুর মালয় ফেডারেশন থেকে স্বাধীন হয় তখন তার বয়স ছিল ৪২ বছর। তিনি ছিলেন তার সহকর্মীদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী। দায়িত্ব গ্রহণ বিষয়ে তিনি লিখেছেন স্মৃতি কথায় লিখেছেন- ‘আমি তাঁদের সকলের চেয়ে বয়সে কনিষ্ঠ ছিলাম। তারপরেও তাঁরা কখনো আমার কোনো বিষয়ে বাধা দেননি, নিজেদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেননি। এমনকি আমি যখন কোনো ভুল করেছি তখনও তাঁরা আমার বিরোধিতা করেননি। তাঁরা সবসময় আমাকে ভারসাম্যপূর্ণ ‍অবস্থানে অবস্থান করতে সহায়তা করেছেন এবং আমার ভেতরে যেন ‘মুই কি হনু রে’ জাতীয় ঝুঁকিপূর্ণ আত্মম্ভরিতার বিকাশ না ঘটে সে বিষয়ে সচেতন থেকেছেন।’(পৃ:২৯৪)
তিনি সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলোর উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন তার কিছু কিছু আমি নিচে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

সুশাসনের জন্য সুনেতৃত্ব অত্যাবশ্যক
তিনি সরকার বা রাষ্ট্র বা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে একই সাথে ভালো লোক ও সুনেতৃত্বের উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলছেন- ‘আমি দেখেছি, সুগঠিত সরকার কাঠামোও যদি মন্দ লোকের দ্বারা পরিচালিত হয় তাতে করেও জনগণের ক্ষতিই সাধিত হয়। অন্যদিকে আমি অনেক সমাজে সরকারের কাঠামোগত দুর্বলতা সত্ত্বেও সুনেতৃত্বের বদান্যতায় সুশাসন প্রতিষ্ঠা হতে দেখেছি।’
এদিক থেকে তিনি ভালো একজন প্রশাসক ও সুনেতা অবশ্যই ছিলেন। প্রশাসন পরিচালনার সময় তিনি যেমন দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি করেননি তেমনি তার প্রশাসন বা সরকারে যেন সে ধরণের কিছু চলতে না পারে সে ব্যবস্থা তিনি করার চেষ্টা করেছেন। এক্ষেত্রে তাকে আপাতভাবে নানা ‘বিতর্কিত’ সিদ্ধান্তও অনেক ক্ষেত্রে নিতে হয়েছে।
তিনি বলছেন- ‘… আমাদের মন্ত্রীপরিষদের সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী ছিলাম। অফিসের বাইরে আমাদের কোনো বৃত্তিগ্রহণের প্রয়োজন হয়নি। আমাদের সকলের স্ত্রী উপার্জন করতেন, আমরা জেলে গেলে কাছাকাছি না থাকলে তাঁদের অর্থেই সংসারের খরচাপাতি মেটানো হত। এভাবেই আমাদের মন্ত্রী এবং তাঁদের স্ত্রীদের মানসিক গঠন গড়ে উঠেছিল। এ ধরণের পরিবেশে মন্ত্রীগণ যখন জনতার প্রতি আস্থাশীল থেকে তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করত তখন আমলারাও নির্ভীক চিত্তে মাথা উঁচু করে আস্থার সাথে সিদ্ধান্ত প্রদান করতেন।’(পৃঃ১৯৭)
তাঁর এবং তাঁর সহকর্মীদের এই ক্লিন ইমেজের কারণে তারা জনগণের মাঝে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন।
তিনি মন্ত্রীদের বেতন বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। এছাড়া একনাগারে যারা ১০ বছরের মতো সংসদ সদস্য থাকতেন তাদের জন্য তনি পেনশনের ব্যবস্থা করেছিলেন।
একইসাথে তিনি দেখেছেন, সাধারণভাবে নির্বাচনে বিজয়ী হতে প্রার্থীদের বিস্তর খরচ করতে হত। এতে তারা নির্বাচিত হবার পরে সেই অর্থ আবার তুলে আনতে নানা ধরণের অনিয়মে জড়িত হতেন।
তিনি বলছেন- ‘বিশুদ্ধ সরকারের একটি অপরিহার্য শর্তই হচ্ছে নির্বাচনে অধিক ব্যয় না করা, কারণ ব্যয়িত অর্থ পুনরূদ্ধারের জন্য দুর্নীতির চক্রে আবর্তিত হতে হয়। এশিয়ার অধিকাংশ দেশের ধ্বংসের মূলে রয়েছে নির্বাচনে বেপরোয়া ব্যয়।’(পৃঃ ২০৩)
তিনি বলছেন- ‘নির্বাচনে অনাহুত ব্যয় করে কোনো সরকারই সততা রক্ষা করতে পারে না, এক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর একটি পরিচ্ছন্ন পদ্ধতি প্রবর্তন করে সততার নজির স্থাপন করেছে।’(পৃঃ২০৩)

সঠিক ব্যক্তিকে সঠিক দায়িত্ব সমর্পন
প্রশাসন বা সরকার বা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে সঠিক বা দক্ষ যোগ্য ব্যক্তিকে সঠিক দায়িত্ব প্রদান করা সম্ভব হলে সকল কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদিত হয়। তিনি এই দৃষ্টিভঙ্গিকে তাঁর নেতৃত্বের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছেন। তিনি বলছেন- ‘যখনই আমি সঠিক ব্যক্তিকে কোনো দায়িত্বে ন্যস্ত করতাম তখনেই আমার ঘাড় থেকে একটি বোঝা নেমে যেত। আমি দায়িত্ব অর্পণকারীদের শুধু বিষয়বস্তু এবং কতদিনের মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজটি সম্পন্ন করতে হবে সে-সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা প্রদান করতাম, কাজটি সম্পাদনের তরিকা তারাই উদ্ভাবন করে তা সম্পন্ন করতেন।’
এভাবে তিনি সতর্কতার সাথে তার সহকর্মীদের বিভিন্ন দায়িত্বে নিযুক্ত করতে দক্ষতা দেখিয়েছিলেন।কোন ব্যক্তি কী ধরণের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন এ বিষয়ে সম্ভবত তাঁর সুচারু ধারণা বা জ্ঞান ছিল বলা যায়।

যোগ্য ব্যক্তিকে খুঁজে বের করা
লি কুয়ান ইউ তার এক সহকর্মী’র গুণবাবলী সম্পর্কে বলছেন- ‘আমার মন্ত্রীদের মধ্যে হোন সুই সেন উপযুক্ত লোকবল অনুসন্ধানের কাজে সবচেয়ে দক্ষ ছিলেন।’(পৃঃ ২৭৫)
তিনি গোহ চক তং-এর মতো একজন করিৎকর্মা নির্বাহীকে খুঁজে বের করেছিলেন। পরে গোহ চক তং প্রধানমন্ত্রী পদ অলংকৃত করেছিলেন।তিনি সুই সেন ও ডঃ তনি তান-এর মতো ব্যক্তিত্বকেও রাজনৈতিক কাজে সম্পৃক্ত করেছিলেন। এই দুইজন পরবর্তিতে উপপ্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হন।
এছাড়া সংযুক্ত করেছিলেন এস ধনবালানের মতো প্রজ্ঞাবানকেও। যিনি পরে সিঙ্গাপুর উন্নয়ন ব্যাংকসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

নেতৃত্বের জন্য মেধার সাথে আরো যা কিছু প্রয়োজন
নেতৃত্ব প্রদানের জন্য মেধা অবশ্যই প্রয়োজন। তবে তার অতিরিক্ত আরো বেশি কিছুরও প্রয়োজন রয়েছে।
লি কুয়ান উই জানাচ্ছেন- ‘অচিরেই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যে নেতৃত্বের জন্য মেধার বাইরেও অনেক কিছুর আবশ্যকতা অপরিহার্য। একজন মেধাবি ব্যক্তি তার প্রজ্ঞা দিয়ে যত সহজে ঘটনাপ্রবাহের বিশ্লেষণ করতে পারে, যত সহজে একটি পিএইচডি থিসিস লিখতে পারে তত সহজভাবে গণনেতৃত্বে সফলতা অর্জন করতে পারে না। জনগণকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য আরো অনেক কিছু প্রয়োজন। এর জন্য প্রয়োজন সাহসিকতা, আত্মপ্রত্যয়, দায়বদ্ধতা, সুচরিত্র এবং সক্ষমতা।
যেসব গুণের কারণে জনগণ নেতার পদাঙ্ক অনুসরণে অনুপ্রাণিত হয় সেসব গুণের অধিকারী হওয়া একজন নেতার জন্য অতীব জরুরি। এজন্য আমাদের এমন লোকের প্রয়োজন ছিল যিনি রাজনৈতিক কর্মকান্ডে তৎপর, সুবিবেচক এবং মানুষের সাথে মেলামেশায় দক্ষ।’

মনস্তাত্ত্বিক সক্ষমতাও নেতৃত্বের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় গুণাবলী
১৯৭০ সালে আমেরিকার মহাকাশযান এপোলো-১৩ মহাকাশে যায়।এই ঘটনাপ্রবাহ তখন টেলিভিশনে দেখানো হচ্ছিল। লি কুয়ান ইউ তা দেখছিলেন। তিনি দেখলেন, পৃথিবী থেকে তিন লক্ষ মাইল দূরে থাকা মহাকাশযানটি কার্যকরভাবে কাজ করছিলো না। নভোচারীদের একজন সামান্য ভুল করেছিল এবং এতে সকলে বিপদের মধ্যে পড়ে। কিন্তু মহাকাশযানে থাকা সবাই একটুও বিচলিত না হয়ে পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণকক্ষের নির্দেশনা অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় পালন করে যাচ্ছিল। শেষে তারা বিপর্যয়ের কবল থেকে রক্ষা পায়। মহাকাশে প্রেরণের আগে আমেরিকার মহাকাশ সংস্থা নাসা নভোচরাদিদের মনস্তাত্ত্বিক সক্ষমতারও পরীক্ষা গ্রহণ করতো।

লি কুয়ান ইউ এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে তার সরকারে যারা নিযুক্ত হতেন তাদের তিনি মনস্তাত্ত্বিক সক্ষমতার পরীক্ষার ব্যবস্থা করতেন। তিনি লিখেছেন- এ ঘটনা পর্যবেক্ষণের পর আমি আমাদের সকল পর্যায়ের প্রার্থীদের মানসিক সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য মনোবিজ্ঞানী এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলাম।

মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষায় চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, বুদ্ধিমত্তা, মূল্যবোধ ও জীবনাচার ইত্যাদি সম্পর্কে প্রতিবেদন লেখা হতো। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিশ্লেষণ ক্ষমতা, তার দূরদৃষ্টি ও বাস্তব-সম্পর্কিত জ্ঞান এই গুণাবলী বিষয়েও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষায় পর্যবেক্ষণ করা হতো।

নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব গড়ে তোলার কাজ
১৯৭৪ সালে কোনো একদিন তিনি অর্থমন্ত্রী সুই সেন-এর সাথে আলাপ করছিলেন। সুই সেন তার কাছে আশংকা প্রকাশ করছেন যে, তাকে সম্ভবত আগামী সাধারণ নির্বাচনের পরে সরে দাঁড়াতে হতে পারে। কারণ তার বয়স বেড়ে যাচ্ছে। তখন পর্যন্ত সুই সেনের বয়স ছিল ৬৫ বছর। লি কুয়ান ইউ জানাচ্ছেন সুই সেনের সাথে সেদিনের আলোচনা তার উপর প্রচন্ড প্রভাব পড়েছিল। তারপর থেকে তিনি নেতৃত্বের উত্তরাধিকারী নির্বাচনের দিকে নজর দিতে থাকেন।

এরপর তিনি বলছেন- ‘আমাদের চূড়ান্ত কাজ ছিল শক্তিশালী উত্তরাধিকার গড়ে তোলা। মাও সেতুং এ সমস্যা উত্তরণের নিমিত্ত যোগ্য উত্তরাধিকার বিকাশের স্বার্থে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ছত্রছায়ায় লং মার্চের ডাক দিয়েছিলেন। আ্মাদের পক্ষ থেকে এমনটা করা সম্ভব ছিল না। সঠিক চরিত্রের নেতৃত্বের মাধ্যমে আমাদেরকে সমাধানের পথ খুঁজতে হয়েছিল, যারা সংকট মোকাবেলার মধ্য দিয়েই পরীক্ষিত নেতা হিসেবে বিকশিত হবে।’

তিনি বলছেন- ’আমাদের উদ্দেশ্য ছিল নেতৃত্বের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি না করে নতুন রক্তের সঞ্চালন করা। এ প্রক্রিয়াতে প্রতিষ্ঠাপন প্রাক্কালে আমার অনেক পুরাতন সহকর্মীকে নিজেদের পদ ছেড়ে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল।’

তিনি নিজেকে তখন থেকেই ‘বয়স্কদের কাতারে ধাবিত’ হচ্ছিলেন বলে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলছেন, নিজেকে প্রতিদিন আয়নাতে দেখে আমিও আমার অবস্থান বুঝতে পারতাম। আমাকে আমি আর আগের মতো সপ্রতিভ, ক্লান্তিহীন এবং উদ্দীপ্ত ভাবতে পারতাম না। তার চেয়েও বড় কথা, প্রকাশিত প্রতিবেদন, ছবি ও ভিডিও-র প্রতি আমি আস্থাশীল ছিলাম এবং বয়সের ব্যাপারটি বুঝতে পারতাম।

তবে এই সময়ে নতুন নেতৃত্ব গড়ে তোলার ধরণ বা কৌশল কী ধরণের হবে নিয়ে তিনি তার সহকর্মীদের কাছ থেকে নানা বাধা বিপত্তিরও সম্মুখীন হচ্ছিলেন। তার পুরাতন বয়স্ক সহকর্মীরা নতুনদের জায়গা ছেড়ে দেয়ার ক্ষেত্রে তারা যেভাবে ‘তৃণমূল পর্যায় থেকে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে উঠে এসেছেন’ সেভাবেই তাদের উত্তরসূরীদের উঠে আসা দরকার বলে মনে করতেন।

কেউ কেউ মনে করতেন নতুনদের এত সহজভাবে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হতে দেয়াটা ঠিক হবে না, তাদের আরো শেখা উচিত ও অপেক্ষা করা উচিত।

কিন্তু লি কুয়ান ইউ ভিন্নমত পোষন করতেন এবং সেভাবে্ই তিনি সিঙ্গাপুর পরিচালনার জন্য পরবর্তী নেতৃত্বকে গড়ে তুলেছেন। দেশ থেকে ও বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষিত মেধাবীদের যোগ্যতার ভিত্তিতে তিনি নির্বাচিত করেছিলেন এবং তারা পার্টিতে যোগদানের তিন চার বছরের মাথায় গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ করেছিলেন। তিনি বলছেন- ‘… আমি মনে করতাম নতুন জমানার মেধাবী ছেলেদের অপেক্ষা করবার মতো অবকাশ নেই, পার্টিতে রাখতে হলে ওদেরকে যথাযথ সুযোগ করে দিতে হবে, অন্যথায় ওরা ওদের পছন্দের পথে চলে যাবে।’

এভাবে তিনি সিঙ্গাপুরের যোগ্য উত্তরসূরী প্রশাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে এক কথায় বলা যায় ঝুঁকি নিয়েছিলেন। তবে উত্তরাধিকার নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি যোগ্যতর নেতৃত্ব খুঁজতেও কড়া ধরণের পরীক্ষণ নিরীক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন।
রাষ্ট্রীয় বা সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লোকবল নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘ধান্ধাবাজিতে অনভ্যস্ত মেধাবী, আন্তরিক, কর্মদক্ষ এবং গতিশীল তরুণ কর্মকর্তাদের উপর’ তিনি ও তাঁর সরকার আস্থা রেখেছিলেন।’(পৃঃ ১০৭)

তিনি আরো বলছেন- ‘… নবনিযুক্তদের জন্য রাজনৈতিক সচেতনতা এবং তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের সাথে সম্পৃক্ততার গুণাগুণ অর্জন করাটা ছিল অত্যাবশ্যক। যাদের ভেতর এ সমস্ত অতিরিক্ত গুণাবলী পরিদৃষ্ট হত আমি শুধু তাদেরকেই মন্ত্রীসভায় স্থান করেদিতাম।’

তিনি নিজেও নতুনদের জন্য তার দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি জানাচ্ছেন- ‘আমি ৩১ বছর প্রধানমন্ত্রী ছিলাম। ইচ্ছে করলে আরো এক টার্মের জন্য প্রধানমন্ত্রীত্বের পদে বহাল থাকতে পারতাম। কিন্তু তাতে আমার সক্ষমতা ও কার্যকারিতার প্রমাণ ব্যতিরেকে তেমন কিছুই অর্জিত হত না, অন্যদিকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে আমি যদি আমার উত্তরসূরিদের গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারি তা হলে তা-ই হবে সিঙ্গাপুরের জন্য অধিকতর কল্যাণকর, এ ধরণের চিন্তাভাবনা থেকেই আমি আর প্রধানমন্ত্রীত্বের পদ ধরে রাখিনি।’
১৯৯০ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রীত্বের পদ ছেড়েছিলেন।তবে তারপরও তিনি সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে পরোক্ষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

লি কুয়ান ইউ’র ন্যায়সংগত সমাজ গঠনের কাজ
লি কুয়ান ইউ জানাচ্ছেন যে, তারা সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে সমঅংশীদারিত্ব ভিত্তিক সমাজতান্ত্রিক একটি সমাজ গড়াতে বিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু অর্থনীতির বিকাশের জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগের বিকাশ ও প্রণোদনার প্রয়োজন ছিল। তবে তিনি বলছেন- ‘সকলের কর্মক্ষমতা এবং দক্ষতা সমান নয়, এক্ষেত্রে যদি কর্মদক্ষতার আলোকে বাজার ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রাপ্যতা নির্ধারিত হয় তাহলে কেউবা অধিক লাভবান হবে, কেউ বা মাঝারী লাভবান হবে এবং ব্যাপক সংখ্যক লোক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। এতে করে সামাজিক অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে এবং ন্যায়সংগত সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ বাধাপ্রাপ্ত হবে।’(পৃঃ ১৩৫)

লি কুয়ান ইউ তাই রাষ্ট্রের অর্জিত সম্পদ সমভাবে বন্টনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি বলেন- ‘আমরা যদি আমাদের অর্জিত সম্পদ ‍বিতরণে সমবন্টনের নীতি অনুসরণ না করতাম, তাহলে আমাদের জাতীয় সংহতির অনুভূতি দুর্বল হয়ে পড়ত এবং একটি সুনির্দিষ্ট অভীষ্টে চলার পথে হোঁচট খেত। আমি ব্যক্তি বিশেষের প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে গোষ্ঠী সংহতির স্বার্থে তাওইজমের প্রতীক তথা দুটি মাছের মাধ্যমে একটি চক্রসদৃশ সমাজিক বন্ধন গড়ে তুলেছিলাম। এর একটি মাছ ছিল পুরুষসদৃশ এবং অন্যটি নারী। এক্ষেত্রে পরুষ মাছটি যদি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে সকল কিছু অর্জন করে নিত, তা হলে সামাজিক সংহতি দুর্বল হয়ে যেত, যে কারণে ভারসাম্য তথা সামাজিক সংহতি রক্ষার্থে আমরা নারী মাছটির অনুকূলেও সম্পদের অংশবিশেষ বিতরণ করেছিলাম।’ (পৃঃ ১৪৭)
লি কুয়ান ইউ’র নেতৃত্বের ধরণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে তাঁর রাজনৈতিক জীবনী পাঠ করা প্রয়োজনীয়। তিনি কিভাবে সমস্যার মীমাংসা করেছিলেন, কিভাবে তিনি বাস্তব পরিকল্পনা করেছিলেন এবং বাস্তব সমস্যাসমূহ বাস্তবে বাস্তবিকভাবে একে একে সমাধান করতে পেরেছিলেন এ বিষয়গুলো তার লিখিত বই বা তাকে নিয়ে লেখা বই থেকে জানা সম্ভব হবে। যারা নেতৃত্ব দিতে চান বা যারা সমাজের জন্য কিছু একটা করতে চান তারা লি কুয়ান ইউ’র এই নেতৃত্বের ধরণ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবেন এই প্রত্যাশা থাকলো।

সিঙ্গাপুর নামক রাষ্ট্রটি ক্ষুদ্র দ্বীপখন্ড বা দ্বীপখন্ডসমূহের সমষ্টি। প্রায় ৫৫ লাখ জনঅধ্যুষিত এই রাষ্ট্রটি বি�...

20/05/2020
chakma natok bhooth

২০১৫ সালে আমাদের খাগড়াছড়ি কালচার ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত নাট্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। সেদিন মঞ্চায়নকৃত নাটকটির নাম ছিল "ভূত"। নাটকটি সমাজে বিত্তশালীদের কুকর্মগুলিকে ও বৈদ্যদের কুসংস্কারচ্ছন্ন চিকিৎসা পদ্ধতির সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে। নাটকটির লেখক ও পরিচালক ছিলেন নয়ন দা (স্বর)। আজ চুপসে গেছে, আমরা সকলে যার যার কর্মে ব্যস্ত। এখন আর আগের মত সময় দেয়া হয় না। তবে আশা করি পরবর্তী সময়ে আমরা জেগে উঠবো। সেদিনের নাটকটি ভিডিও করেছেন বাপ্পী দা। আজ ইউটিউব ঘাটতে গিয়ে নাটকটি চোখে পারল তাই শেয়ার দিলাম। সকল বন্ধুদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করার জন্য অনুরোধ করছি।।

chakma natwk,hill film https://m.youtube.com/watch?v=uYqNGmab6-c&feature=youtu.be

15/05/2020
National Professor Anisuzzaman no more

National Professor Anisuzzaman no more

National Professor Anisuzzaman passed away this afternoon at Combined Military Hospital in Dhaka, his son Ananda Zaman has confirmed.

08/05/2020
করোনা প্রতিরোধে পার্বত্য নাগরিক সমাজের কার্যক্রমে অধিক সমন্বয় আনয়নের আহ্বান | Hill Voice

করোনা প্রতিরোধে পার্বত্য নাগরিক সমাজের কার্যক্রমে অধিক সমন্বয় আনয়নের আহ্বান | Hill Voice

আদিবাসী অধিকার করোনা প্রতিরোধে পার্বত্য নাগরিক সমাজের কার্যক্রমে অধিক সমন্বয় আনয়নের আহ্বান By Hill Voice - মে 2, 2020 0 186 Facebook...

Address

Dighinala, Khagrachhari
Khagrachari
4420

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hill Film posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Hill Film:

Share

Category