22/06/2023
একটা অভিজ্ঞতা এর কথা বলি,বিষয় টা হচ্ছে গেলো ১৮ তারিখ এর ঘটনা,এক জরুরি কাজ যেতে হয়েছিল চট্টগ্রাম এ,তো আগের দিন রাতে রওনা দিয়ে সারা রাত সফর করে পরের দিন ভোরে পৌঁছানোর পর ভোর এর মৃদু হাওয়া আর ফাঁকা চট্টগ্রাম শহর ভালই লাগতেছিলো।কিছুক্ষন হাটছিলাম,আর সাথে ছিল কিছু চিপস্ আর পানি সেগুলোই খাচ্ছিলাম।
শহর টা অনেক ঢাকা শহর এর মতোই,আর হবেই না বা কেনো এ দেশ এর দ্বিতীয় বড় শহর,
যাই হোক আমাকে ভোর ৬ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো ব্যাংক খোলা আগ পর্যন্ত।একবার ভাবলাম হোটেল নিয়ে 4 ঘণ্টা ঘুম দিবো,আবার মনে হলো সকাল এই মনোরম চট্টগ্রাম শহর ঘুমালে তো উপভোগ করাই হবে,যা ভাবলাম সেটাই করলাম ৪ ঘন্টা শহর ঘুরে দেখব। কিন্তু একটা সময় আর সময় কাটছিল না।
যাইহোক এটা সেটা করে সময় পার করলাম।
তারপর দশটা বেজে গেল সব কাজ শেষ করে তখন বাজে সাড়ে বারোটা ,যেহেতু আমার ঢাকা পৌঁছাতে হতো তিনটার মধ্যে সেহেতু আমি ১.২৫ এর চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী US bangla এটা অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে টিকেট কেটেনেই।
এখানেই শুরু হয় সে এক না ভোলার মতন ভীতিকর অভিজ্ঞতা।
কাজ শেষ এ আমি একটা সিএনজি নিয়ে নেই দ্রুত এয়ারপর্ট পৌছানোর জন্য,
আবহাওয়াটা মোটামুটি ভালই ছিল আকাশ পরিষ্কার ছিল। প্রায় ৪৫ মিনিট সময় লেগে গেল আমার এয়ারপোর্ট পৌছালাম।
টাইম মতই পেছাতে পেরেছিলাম, চেক ইন করে সব ঠিক থাক ।
এবার বিমান এর ওঠার পালা,
এটা ছিল আমার অভ্যন্তরীণ বিমান যাত্রার প্রথম ফ্লাইট,, এক্সাইটেড ও ছিলাম।
একটা সময় আমাদের যাত্রা শুরু হলো প্রথম দিকে সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল,কিন্তু ১০ থেকে ১৫ মিনিট যাবার পর হঠাৎ আকাশ তার রঙ পাল্টালো।একদম অন্ধকার
বিমানের মধ্যকার অবস্থা যদি বলি আমার পাশে বসা ছিল এক হজ যাত্রী পিছন সিট এ ছিল দুইজন মেয়ে যারা অনবরত কথা বলে যাচ্ছিল,সামনে ছিল কয়েকজন বিদেশি...
তো হঠাৎ পাইলটের সতর্কবাণী শোনা গেল,,: আপনারা সিটবেলট শক্ত করে বাঁধন আবহাওয়া পরিস্থিতির বেসামাল।
হঠাৎ আবহাওয়ার পরিস্থিতি সামাল দিতে বিমান এর উচ্চতা এমন ভাবে বাড়িয়ে দিল,তখন মনে হচ্ছিল রোলার কোস্টার এ বসে আছি,,,,
একবার ডান দিকে দুলতেছিল আর একবার বাঁদিকে দুলটেছিল,
বিমান ছোট হওয়ায় প্রতিটা হাওয়ার ধাক্কা যেন বড় মনে হচ্ছে,
বিমানের কাপুনিতে আমার হৃদয় ও কেপে উঠতেছিল কেমন যেনো...
স্বভাবত আমি ভয় খুব কমই পাই কিন্তু এই অবস্থায় আমার ভয় ও মনের মধ্যে বড় আকারে উকি দিচ্ছিলো।
এদিকে আমার পাশে বসা হজ্জ গামী যাত্রী চোখ বন্ধ করে সিট শক্ত করে ধরে ছিল,
পিছনে বসা মেয়ে দুটোর আর কোনো সাড়া শব্দ পাচ্ছিলাম নাহ,
বিদেশি গুলা বারে বারে এদিক সেদিক তাকাচ্ছিলো,,,
আমি ভয় তাও উপভোগ করতেসিলাম।
আর মাথায় ঘুরছিল নানান চিন্তা, যদি আজ এই প্লেনটা ক্রাশ হয় তাহলে কতজনের কত উদ্দেশ্য গুলো মাটিতে মিশে যাবে, কত জনের এই জীবনযাত্রা এখানেই থেমে যাবে।আল্লাহ আল্লাহ করতে করতে একটা সময় প্ল্যান অস্থির হয়ে ল্যান্ড করলো ,অনেক বড় জোর বেছে গেলাম
সে এক দারুণ অভিজ্ঞতা আপনারা সন্মুখীন না হলে বুঝতে পারবেন না।
তবে দোয়া করি এমন পরিস্থতিতে যেনো করো না পড়তে হয়☺️
Be Happy and Safe Journey....