17/03/2022
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর মোহনা সংলগ্ন সাগরের জলসীমা থেকে চারটি নৌকাসহ বাংলাদেশি ১৮ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি)। এ ঘটনায় বিজিপির কাছে চিঠি পাঠালেও এখনো কোন সাড়া পায়নি বলে জানিয়েছে বিজিবি।
টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস সালাম জানান, মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বিকালে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপের নাফ নদীর মোহনা সংলগ্ন সাগরের জলসীমা থেকে এসব জেলে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়।
ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা হলেন, টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা মো. জসীম (২৫), একই এলাকার সাইফুল ইসলাম (২৩), মো. ফায়সেল (২৩), আবু তাহের (২২), মো. ইসমাইল (২০), মো. ইসহাক (২৪), আব্দুর রহমান (২৪), নুর কালাম (২৬), মো. হোসেন (২২), হাসমত (২৫), মো. আকবর (২৩), নজীম উল্লাহ (১৯), রফিক (২০), সাব্বির (২৫), মো. হেলাল (২৫), রেজাউল করিম(১৮), রমজান (১৬), জামাল (২১)।
ট্রলারগুলোর মালিক টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা মো. জসিম, নুর কালাম, মো. ইসলাম ও নুর কালাম।
ধরে নিয়ে যাওয়া জেলের স্বজনদের বরাতে ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, মঙ্গলবার বিকালে সাগর থেকে চারটি নৌকা যোগে মাছ ধরে ফিরছিল তার এলাকার ১৮ জেলে। এ সময় টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ সংলগ্ন নাফ নদীর মোহনার নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় ওইসব জেলের কাঠবোঝাই একটি ট্রলারকে ডুবে যেতে দেখে। এ সময় তারা ট্রলারটির উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। পরে বাংলাদেশি জেলেরা ফিরে আসার সময় স্পীড বোট যোগে এসে মিয়ানমারের বিজিপি ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে অস্ত্রের মুখে এসব জেলেদের জিন্মি করে ধরে নিয়ে যায়।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের স্বজনরা মৌখিকভাবে অবহিত করেন বলে জানান স্থানীয় এ ইউপি সদস্য। আব্দুস সালাম জানান, বাংলাদেশি জেলেদের মিয়ানমারের বিজিপি কর্তৃক ধরে নিয়ে যাওয়া খবর পাওয়ার পরপরই মঙ্গলবার রাতে টেকনাফের ইউএনওকে অবহিত করা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী বলেন, নৌকাসহ ১৮ জন বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনেছেন। এ ব্যাপারে বিজিবিকে অবহিত করা হয়েছে।
বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার বলেন, সাগর থেকে বাংলাদেশি জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তিনিও শুনেছেন। তবে জেলেদের পরিবারের স্বজনদের কাছ থেকে লিখিত বা মৌখিক কোনো অভিযোগ পাননি। তারপরও ঘটনার ব্যাপারে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে বুধবার রাত পৌনে ৯ টা পর্যন্ত কোনো ধরণের সাড়া পাননি বলে জানান বিজিবির এ কর্মকর্তা।