06/09/2022
সংসারে সুখের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ-
প্রায় সময় কিছু মা/বোনের মেসেজ আসে - প্রশ্নটা এমন হয় যে হুজুর আমার স্বামী বাসায় আসতে চায়না, অন্য মেয়েদের সাথে কথা বলে, চ্যাট করে, সে বিবাহ করতে ইচ্ছুক, বা আগের মত আমাকে ভালোবাসো না, এখন কিভাবে আমার স্বামীকে আমার কাছে ফিরিয়ে আনতে পারি?
আমি আমাদের সে সকল মা-বোনদের সবসময় বলবো পুরুষরা নিজের পরিবারের জন্য নিজের যতটুকু সুখ ত্যাগ করে ইচ্ছে থাকতেও নিজের সমস্ত চাহিদাকে বিসর্জন দিয়ে ভবিষ্যতের চিন্তা মাথায় রেখে আজীবন নিঃস্বার্থ ভাবে সংসারের জন্য পরিশ্রম করে যায় - এটা আসলে কেউ করতে পারে না। নীরব কান্নার নামই হলো পুরুষ জাতি।
সেই পুরুষ জাতির কষ্টগুলো মুছে দিয়ে কাছে ভালোবাসার আড়ালে আগলে রাখার নামই হলো নারী।
আর যার ঘরের নারী হয় আল্লাহ ওয়ালা, নম্র,ভদ্র, বিনয়ী,মহীয়সী,সেই পুরুষের ঘরটা হয় জান্নাত এর মতো।
আর যাদের ঘরের নারী হয় বদমেজাজি,অভদ্র,বিলাসী, গলার আওয়াজ হয় পুরুষের ন্যায়- সেই পুরুষদের ঘরটা একটা জাহান্নাম এর মতো।
৯৬% পুরুষরা সাংসারিক জীবনে অন্য নারীদের প্রতি দুর্বল হয় নিজেদের স্ত্রীর নিরব নির্যাতনের শিকার ও দুর্ব্যবহারের কারণে।
বাকি ৪% পুরুষরা নারীদের প্রতি আসক্ত হয় যৌবনের স্বভাব ও সঙ্গদোষে।
যাইহোক বোনদের বলব এখন আপনাদের করণীয় কি?
উত্তরঃ-
আমি আপনাদের মত আরো কয়েকজনকে এমন কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছিলাম আলহামদুলিল্লাহ অনেকেই সুফল পেয়েছেন।
১)স্বামীর সাথে অতিরিক্ত রাগ
এবং কড়াকড়ি নজরদারি ছেড়ে দিন।
(কখনও অল্পতে রাগারাগি বা সাংসারিক ছোটখাটো যেকোনো কোন বিষয় নিয়ে ঝগড়া ফাসাদ করবেন না)
২)স্বামী যেটা চায় বা পছন্দ করে চাওয়ার আগেই তাকে উপস্থাপন করে দিন।
৩)স্বামীকে মাঝে মাঝে নিজের পক্ষ থেকে ছোট ছোট জিনিস হাদিয়া দিন।
৪)স্বামীকে প্রতিনিয়ত সন্দেহ করা ছেড়ে দিন।
(খারাপ সন্দেহ হলো সংসার ভাঙ্গার মূল কারণ এবং সেটা শয়তানের আবিষ্কার, যার কারণে হজরত আদম আঃও হাওয়া(আঃ)কে জান্নাত থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল)
৫)স্বামীর আগের থেকে মায়া মহাব্বত এবং ভালোবাসা বাড়িয়ে দিন।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া স্বামীর অফিস ও কাজের সময় মোবাইল ফোনে বিরক্ত করা থেকে বিরত থাকুন।
৬)প্রতিদিন মাগরিবের পরে দু'রাকাত হাজতের নামাজ পড়ে স্বামীকে নিজের মহাব্বতে ফিরিয়ে আনার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।
স্বামীর জন্য সালাতুল হাজত নামাজ পড়ে দোয়া করা অনেক উত্তম কাজ। এতে সংসারে বরকত হয়।
৭)স্বামীকে নিজের আয়ত্তে আনার জন্য কবিরাজি/ফকিরী যাদুটোনা ও আশেপাশের মহিলাদের কানপড়া থেকে বিরত থাকুন। ( এতে লাভ হবে না বরং নিজেরই ক্ষতি হবে)
৮)নামাযের সময় হলে স্বামীর সামনে জায়নামাজ নিয়ে নামাজের প্রস্তুতি নিয়ে দাঁড়িয়ে যান এবং মোনাজাতে কান্নাকাটি করুন-
(দেখবেন নিজের মধ্যেই অনেকটা পরিবর্তন এবং রহমতের প্রশান্তি চলে এসেছে)
এই টিপস গুলো কাজে লাগান।
দেখবেন আপনার স্বামী অবশ্যই যদি খারাপ কিছু করে থাকে সে নিজের ভুল বুঝতে পেরে আপনাকেই উত্তম সঙ্গী হিসেবে অন্তরে যায়গা করে নেবে ইনশাআল্লাহ।