Nurulislam

23/10/2024

একবার, জালালউদ্দিন রুমি এক বনের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় একটি বিশাল কালো তিতির পাখি ধরেন। তিনি ভাবতে শুরু করেন, কীভাবে পাখিটিকে রান্না করবেন— আগুনে ঝলসে খাবেন, নাকি তরকারি করে? ঠিক তখনই পাখিটি বলে ওঠে, "রুমি, তুমি তোমার জীবনে অনেক মাংস খেয়েছো, কিন্তু তবুও তোমার ক্ষুধা মেটে না। তুমি যদি আমাকে ছেড়ে দাও, আমি তোমাকে তিনটি উপদেশ দেব, যা তোমার জীবনকে শান্তি ও সন্তুষ্টিতে পূর্ণ করবে।"

রুমি কিছুটা বিস্মিত হয়ে বলেন, "প্রথম উপদেশটা আমার হাতে বসেই দাও। যদি পছন্দ না হয়, সঙ্গে সঙ্গে তোমাকে মেরে ফেলব।"

পাখিটি রাজি হয়ে প্রথম পরামর্শ দেয়, "তুমি প্রায়ই তোমার বন্ধুদের উদ্ভট কথায় বিচলিত হয়ে পড়ো। তাদের তাদের মতো থাকতে দাও; এতে তোমার জীবন অনেক শান্তিপূর্ণ হবে।"

রুমি কিছুক্ষণ ভেবে দেখেন এবং বুঝতে পারেন যে পাখির কথায় সত্যতা আছে। তিনি তখন দ্বিতীয় পরামর্শ চাইলে পাখিটি বলে, "আমাকে ছেড়ে দাও, আমি ওই গাছের ডালে বসে দ্বিতীয় পরামর্শ দেব।"

রুমি তাকে ছেড়ে দেন, এবং পাখিটি কাছের একটি গাছের ডালে গিয়ে বসে। পাখিটি তখন বলে, "অতীতকে বদলানো সম্ভব নয়, তাই বর্তমানকে উপভোগ করো এবং ভবিষ্যতের জন্য বাঁচো। তবে তুমি বড় বোকামি করেছ। আমার পেটের মধ্যে তিন কেজি হীরা আছে। তুমি যদি আমাকে না ছাড়তে, তবে তুমি তিন প্রজন্ম ধরে সেই হীরা দিয়ে আরাম করে চলতে পারতে।"

এটা শুনে রুমি ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ে যান এবং রেগে গিয়ে পাখির পেছনে ধাওয়া করেন। পাখিটি তখন উচ্চস্বরে বলে, "রুমি, তুমি আমার পরামর্শ মানছো না। আমি তো বলেছি, অতীতকে বদলানো যায় না। দ্বিতীয়ত, আমার নিজের ওজন যেখানে দুই কেজির কম, সেখানে আমার পেটে কীভাবে তিন কেজি হীরা থাকতে পারে? তুমি এখনো উদ্ভট কথায় প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছো!"

রুমি অবশেষে থেমে যান এবং তৃতীয় পরামর্শের জন্য অনুরোধ করেন।

পাখিটি এবার বলে, "রুমি, শোনো, সবাইকে উপদেশ দিতে যেও না। উপদেশ দাও শুধু তাদের, যারা তা শোনে ও মেনে চলে। মনে রেখো, কিছু কাপড় এতটাই পুরনো হয়ে যায় যে তা আর সেলাই করা যায় না।

Send a message to learn more

23/10/2024

খাওয়ার পূর্বে দো‘আ #১

যখন তোমাদের কেউ আহার শুরু করে তখন সে যেন বলে:

بِسْمِ اللّٰهِ
আল্লাহর নামে।
বিসমিল্লাহ।

আর যদি শুরুতে বলতে ভুলে যায়, তখন যেন বলে:

بِسْمِ اللّٰهِ فِيْ أَوَّلِهِ وَآخِرِهِ
এর শুরু ও শেষ আল্লাহর নামে।
বিসমিল্লাহি ফী আওওয়ালিহী ওয়া আখিরিহী।

হাদীসটি সংকলন করেছেন আবূ দাঊদ ৩/৩৪৭, নং ৩৭৬৭; তিরমিযী, ৪/২৮৮, নং ১৮৫৮। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ২/১৬৭।

23/10/2024

দুঃখ ও দুশ্চিন্তার সময় পড়ার দো‘আ:

اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ

উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা ইন্নি আ‘ঊযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়াল ‘আজযি ওয়াল কাসালি, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া দালা‘ইদ দ্বাইনে ওয়া গালাবাতির রিজা-লি।

অর্থ: হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।

তথ্যসূত্র:
রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দো‘আটি বেশি বেশি করতেন।
(সহিহ বুখারী, ৭/১৫৮, হাদিস নং ২৮৯৩; ফাতহুল বারী সহ ১১/১৭৩)

23/10/2024

হিসনুল মুসলিম

দোআ: [৩৪.১] দুঃখ ও দুশ্চিন্তার সময় পড়ার দো‘আ #১

اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ عَبْدُكَ، اِبْنُ عَبْدِكَ، اِبْنُ أَمَتِكَ، نَاصِيَتِيْ بِيَدِكَ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ، أَسْأَلُكَ بِكُــــلِّ اِسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ، أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِيْ كِتَابِكَ، أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ، أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِيْ عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ، أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْآنَ رَبِيْعَ قَلْبِيْ، وَنُوْرَ صَدْرِيْ، وَجَلَاءَ حُزْنِيْ، وَذَهَابَ هَمِّيْ

হে আল্লাহ! আমি আপনার বান্দা, আপনারই এক বান্দার পুত্র এবং আপনার এক বাঁদীর পুত্র। আমার কপাল (নিয়ন্ত্রণ) আপনার হাতে; আমার উপর আপনার নির্দেশ কার্যকর; আমার ব্যাপারে আপনার ফয়সালা ন্যায়পূর্ণ। আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি আপনার প্রতিটি নামের উসীলায়; যে নাম আপনি নিজের জন্য নিজে রেখেছেন অথবা আপনি আপনার কিতাবে নাযিল করেছেন অথবা আপনার সৃষ্টজীবের কাউকেও শিখিয়েছেন অথবা নিজ গায়েবী জ্ঞানে নিজের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছেন—আপনি কুরআনকে বানিয়ে দিন আমার হৃদয়ের প্রশান্তি, আমার বক্ষের জ্যোতি, আমার দুঃখের অপসারণকারী এবং দুশ্চিন্তা দূরকারী।

আল্লা-হুম্মা ইন্নী ‘আবদুকা ইবনু ‘আবদিকা ইবনু আমাতিকা, না-সিয়াতী বিয়াদিকা, মা-দ্বিন ফিয়্যা হুকমুকা, ‘আদলুন ফিয়্যা কাদ্বা-য়ুকা, আসআলুকা বিকুল্লি ইসমিন্ হুয়া লাকা সাম্মাইতা বিহি নাফসাকা, আও আনযালতাহু ফী কিতা-বিকা আও ‘আল্লামতাহু আহাদাম্-মিন খালক্বিকা আও ইস্তা’সারতা বিহী ফী ‘ইলমিল গাইবি ‘ইনদাকা, আন্ তাজ‘আলাল কুরআ-না রবী‘আ ক্বালবী, ওয়া নূরা সাদ্‌রী, ওয়া জালা’আ হুযনী ওয়া যাহা-বা হাম্মী

আব্দুল্লাহ ইবনু মাস’ঊদ (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন: “যে কোনো ব্যক্তি যদি কখনো দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠাগ্রস্ত অবস্থায় বা দুঃখ বেদনার মধ্যে নিপতিত হয়ে উপরের বাক্যগুলি বলে দু‘আ করে, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তার দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠা দূর করবেনই এবং তার বেদনাকে আনন্দে রূপান্তরিত করবেনই।” উপস্থিত সাহাবীগণ বলেন : তাহলে আমাদের উচিত এ বাক্যগুলো শিক্ষা করা। তিনি বললেন : “হাঁ, অবশ্যই, যে এগুলো শুনবে তার উচিত এগুলো শিক্ষা করা।” হাদীসটির সনদ গ্রহণযোগ্য। বি. দ্র. মহিলারা এ দুআ পাঠ করলে দুআর শুরুতে বলবেন: “আল্লা-হুম্মা ইন্নী আমাতুকা, ওয়া বিনতু আবদিকা ওয়া বিনতু আমাতিকা ...”, অর্থাৎ: হে আল্লাহ আমি আপনার বান্দী, আপনার (একজন) বান্দার কন্যা, আপনার এক বান্দীর কন্যা ....।

আহমাদ ১/৩৯১, নং ৩৭১২ আর শাইখ আলবানী তাঁর সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহাহ গ্রন্থে ১/৩৩৭ একে সহীহ বলেছেন।

23/10/2024

হিসনুল মুসলিম

দোআ: [২৭.১] সকাল ও বিকালের যিক্‌রের ফযীলত
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি হাদীসটিকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মারফূ‘ হিসেবে বর্ণনা করেছেন,

“কোনো গোষ্ঠী যারা যিক্‌র করছে, তাদের সাথে ফজরের সালাতের পরে সূর্য উঠা পর্যন্ত সময় বসা আমার কাছে ইসমাঈলের বংশধরদের চার জন দাস মুক্তির থেকেও বেশি প্রিয়।

অনুরূপভাবে কোনো গোষ্ঠী যারা যিক্‌র করছে, তাদের সাথে আসরের সালাতের পরে সূর্য ডুবা পর্যন্ত সময় বসা আমার কাছে চার জন দাস মুক্তির থেকেও বেশি প্রিয়।”

আবূ দাউদ, নং ৩৬৬৭। আর শাইখ আলবানী, সহীহ আবি দাউদ ২/৬৯৮ তে হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। হাদীসটি হাকিম সংকলন করেছেন, ১/৫৬[২] আর শাইখ আলবানী একে সহীহুত তারগীব ওয়াত-তারহীবে সহীহ বলেছেন ১/২৭[৩] আর তিনি একে নাসাঈ, তাবারানীর দিকে সম্পর্কযুক্ত করেছেন এবং বলেছেন, তাবারানীর সনদ ‘জাইয়্যেদ’ বা ভালো।

নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় সহীহ দোয়া ও যিকির

22/10/2024

_প্রসঙ্গ যখন মানসিক শান্তির 🌺🥰
তখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সেরা!🥀❤️
আলহামদুলিল্লাহ😍❤️

18/10/2024

Big shout out to my newest top fans! 💎 Māsum Billāh

Drop a comment to welcome them to our community,

06/10/2024

02/09/2024

26/08/2024

সরাসরি বন্যা কবোলিত এলাকায় গিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাড়াতে হলে অবশ্যই আপনাকে একটি বড় তহবিল নিয়ে যেতে হবে।আপনার তহবিল যদি ২-৩ লাখের কম হয় তবে তা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনে দিয়ে দিন।এতে করে সুষ্ঠু ভাবে ত্রান সহায়তা পৌছাবে।বড় তহবিল নিয়ে নিজেরা গেলেও অবশ্যই ২-৩ জন এর বেশি না গিয়ে স্থানীয় মানুষদের সহায়তায় টিম গঠন করুন।অবশ্যই মনে রাখবেন আপনি সেখানে সাহায্যের জন্য যাচ্ছেন কোনো পিকনিকে নয়। আল্লাহ পাক সকল বানভাসি মানুষের দু:খ দূর করুক..