02/05/2024
লিড জেনারেশান স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন (Lead Generation Step By Step Guideline)
১. টার্গেটেড অডিয়েন্স আইডেন্টিফাই করুন (Define Your Target Audience):
আপনার আইডিয়াল কাস্টমার কারা? কাদের কাছে আপনার প্রোডাক্টের ভ্যালু বেশি। অথবা কাদের এই মুহুর্তে এই পণ্য বা সেবার প্রয়োজন বেশি? এই জিনিস টি সর্বপ্রথম খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য অডিয়েন্সের বেসিক ডেমোগ্রাফিকস, ইন্টারেস্ট, বিহেভিয়ার ট্র্যাক করতে হবে। এরপরই আইডিয়াল অডিয়েন্স ডিটেক্ট করা যাবে।
২. কম্পেইলিং কনটেন্ট তৈরি করুন (Create Compelling Content):
এরপরই যে কাজটি সবচেয়ে বেশি জরুরি তা হল কন্টেন্ট ক্রিয়েশন। এজন্য হাই কোয়ালিটি কনটেন্ট তৈরি করুন যেগুলোর সাথে আপনার টার্গেট করা অডিয়েন্স রা রিলেট করতে পারবে। মোট কথা, অডিয়েন্স কে কনভিন্স করাতে হবে যে আপনি তাদের প্রয়োজন বুঝেন। এবং আপনার পণ্য বা সেবা তাদের চাহিদা পুরন করতে সক্ষম।
৩. লিড ম্যাগনেট ব্যবহার করুন (Choose Lead Magnets):
বিভিন্ন ধরনের ইনসেন্টিভ যেমন, ই-বুক, webinars, ফ্রী ট্রায়াল, অফার বা প্যাকেজ, ডিসকাউন্ট ইত্যাদির মাধ্যমে অডিয়েন্স কে আকৃষ্ট করার ট্রাই করুন। ফলে, অডিয়েন্স রা পণ্য বা সেবা নেয়ার আগেই নিজেদের কে benefited মনে করবে। পাশাপাশি আপনার বিজনেস সার্ভিসের ওপর আস্থা তৈরি হবে।
৪. ওয়েবসাইট অপটিমাইজ করুন (Optimize Website):
এটা নিশ্চিত করুন যে আপনার ওয়েবসাইট একদম ইউজার ফ্রেন্ডলি, দ্রুত লোড হয় এবং মোবাইল ইউজ এর জন্যও একদম পার্ফেক্ট। কারণ আপনার বিজনেসের সেবা নিতে যখন কেউ আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে তখন অতিরিক্ত পেজ লোডিং, বাফারিং ইত্যাদি কারনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে। তাই ওয়েবসাইটের ইমপ্রেশনস ঠিক রাখুন।
৫. ইমপ্লিমেন্ট ফর্ম (Implement Forms):
আপনার ওয়েবসাইটে এমন কিছু রিলেটেড ফর্ম, সার্ভে কিংবা রিসার্চের আয়োজন করুন। এতে করে ভিজিটরদের কিছু বেসিক ইনফরমেশন যেমন নাম, ইমেইল, ফোন, সোশ্যাল মিডিয়া, preferences ইত্যাদি কালেক্ট করা যায়। এই ইনফরমেশন গুলো ব্যবহার করেই পরবর্তীতে লিড জেনারেশান অপারেশন করা হবে।
৬. সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুন (Utilize Social Media):
আপনার কনটেন্ট, কন্টেন্ট রিলেটেড ভিডিও, শর্টস, ছবি কিংবা পোস্ট গুলো আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় আপডেট করুন। যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়া গুলো এখন কাস্টমার টার্গেটিং এর সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম তাই একে ইউটিলাইজ করুন।
৭. ই-মেইল মার্কেটিং (Email Marketing):
লিড জেনারেশান এর অন্যতম ফাস্ট এবং পুরাতন স্ট্র্যাটেজি কিন্তু ই-মেইল মার্কেটিং। কারণ ওয়েবসাইট ভিজিটর, সার্ভে কিংবা রিসার্চ ডাটা কালেকশনের সময়ে ই-মেইল ব্যবহার করা হয় এবং খুব সহজেই ট্র্যাক করা যায়। আর ই-মেইল মার্কেটিং প্রফেশনাল পর্যায়ে লিড জেনারেশান এর জন্য একদম পার্ফেক্ট একটি স্ট্র্যাটেজি।
৮. পেইড বিজ্ঞাপন (Paid Advertising):
গুগল এডস, সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব কিংবা ওয়েবসাইট গুলোতে পেইড বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা করুন। এতে করে খুব অল্প সময়ে ওয়াইড রেঞ্জের অডিয়েন্স রিচ করা সম্ভব।
৯. এসইও স্ট্র্যাটেজি (SEO Strategies):
লিড জেনারেশানে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ রোল হলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। ওয়েবসাইটের ট্রাফিক ও ভিজিবিলিট বাড়াতে ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর কোনো বিকল্প নেই।
১০. নেটওয়ার্কিং এবং পার্টনারশিপ (Networking and Partnerships):
বিজনেসের গ্রোথ এবং রিচ বাড়াতে প্রয়োজন নেটওয়ার্কিং। তাই ইন্ডাস্ট্রি ইনফ্লুয়েন্সার দের সাথে collaborate করুন। পার্টনারশিপ ও ডিলিং এর মাধ্যমে ব্রান্ড কে আরো বেশি পরিচিত ও পাওয়ারফুল করে তুলুন।
১১. সিআরএম সিস্টেম (CRM System) :
Customer Relationship Management (CRM) টুলস ব্যাবহার করুন। এবং এগুলোর সাহায্য আপনার বিজনেসের লিড জেনারেশান কে আরো বেশি অর্গানাইজড এবং ইফেক্টিভ করে তুলুন। এছাড়াও মার্কেটিং অটোমেশন টুলস এর মাধ্যমে লিড স্ট্রিমলাইন করুন।
১২. A/B টেস্টিং (A/B Testing):
ফাইনালি, বিভিন্নি মার্কেটিং স্ট্র্যাটিজি, কনটেন্ট এবং এপ্রোচ Continuously এপ্লাই করতে থাকুন এবং আপনার লিড জেনারেশান স্ট্যাটাস test করুন। এতে করে আরো বেশি ইফেক্টিভ জেনারেশন পসিবল।
মার্কেটিং কে আরো বেশি এডভান্স ও ইফেক্টিভ করার উদ্দেশ্যেই লিড জেনারেশান এর মত স্ট্র্যাটেজি ব্যবহার করা হচ্ছে। এবং সৌভাগ্যক্রমে মার্কেটিং এর বিস্তারে লিড জেনারেশান অতুলনীয়
সাফল্য নিয়ে আসছে। এবং খুব শীগ্রই আধুনিক প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, অটোমেশন , ডাটা এনালাইসিস টুলসের সাথে লিড জেনারেশানের জার্নি অনেক দূর এগিয়ে যাবে। তবে, লিড জেনারেশান একটি অনগোয়িং প্রোসেস। তাই, কন্সট্যান্ট refinement এবং Adaptation এর মাধ্যমে লিড জেনারেশানে সাফল্য লাভ করা সম্ভব।