27/04/2023
আমরা যখন নতুন নতুন দ্বীন চর্চা শুরু করি, যখন নফল ইবাদাতে, সুন্নাহ পালনে, দ্বীনের যাবতীয় খুঁটিনাটি কঠোরভাবে মেনে চলতে শুরু করি, আমাদের অন্তরে তখন একধরনের উৎফুল্লতা কাজ করে। তখন আমরা একটি ইবাদত করলেই নিজেকে অনেক আত্মম্ভরির মনে করি।যা অহংকার, [নিজের সম্পর্কে বড়াই বা গর্ব, অহমিকা; আত্মম্ভরিতা]
বিষয় টা এমন হয়েছে যে আমরা যখন দ্বীনের উপর জোড় দেই অনেক সময় অহংকারী হয়ে যাই,
যে আজকে আল্লাহর ইবাদত করলাম,নামাজ পড়লাম,সাদকাহ দিলাম,কোরআন পড়লাম আমার মতো আর কেউ নাই।আহা– আজকের দিনে আমার মতো উত্তম আমলদার আর ক'জন আছে? ক'জন আছে যারা ফযরে জামা'আতে এসেছে, কুরআন তিলাওয়াত করেছে, যাবতীয় সুন্নাহ-নফল আমল করেছে?'
একটু আমল বাড়লেই আমরা নিজেদের অন্য উচ্চতায় ভাবতে শুরু করে দিই। আশপাশের লোকজনকে দেখলে মনে হয় — "এই লোক নিশ্চয় লোক দেখানোর জন্য নামাজ কালাম পড়ছে, রোজা রাখছে" ,'এই লোক হয়তো আজ ফযরটাও পড়ে নাই'। 'এই লোকের আজ কি কুরআন হাতে নেওয়ার সুযোগ হয়েছে আমার মতো?এই লোক শেষ কবে তাহাজ্জুদ পড়েছে মনে করতে পারবে?এই লোক কি নিয়মিত সাদাকা করে?'
এসব ভেবে নিজেকে বড় কিছু মনে করি যা বলতে গেলে আমরা অহংকার করি,
আর যেহেতু আমরা জানি না আমাদের কোন আমল আল্লাহ কবুল করছেন আর কোন আমল প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে, তাই কোন আমলই, হোক সেটা বড় কিংবা ছোট— আমাদের অন্তরে তা যেন আত্মতৃপ্তি না এনে দেয়। মনে রাখতে হবে— ইবলিশ ছিলো সবচেয়ে আমলওয়ালা এক নেককার জ্বীন। তার ধ্বংসের কারণ একটাই— আত্মম্ভরিতা।
হজরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করার পর তাঁকে সেজদা করার নির্দেশ প্রদান করা হয় ফেরেশতাদেরকে। তাদের মধ্যে একজন জ্বীনও ছিল। যে আল্লাহর এ আদেশকে মানতে পারেনি। যে কাজটি তাকে আদেশ পালনে বিরত রেখেছে, তাহলো আত্ম-অহংকার। যা সৃষ্টির মধ্যে প্রথম পাপ। কুরআনুল কারিমের সুরা বাক্বারার ৩৪নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلاَئِكَةِ اسْجُدُواْ لآدَمَ فَسَجَدُواْ إِلاَّ إِبْلِيسَ أَبَى وَاسْتَكْبَرَ وَكَانَ مِنَ الْكَافِرِينَ অর্থাৎ এবং যখন আমি আদমকে সেজদা করার জন্য ফেরেশতাগণকে নির্দেশ দিলাম, তখনই ইবলিস ব্যতিত সবাই সিজদা করলো। সে (নির্দেশ) পালন করতে অস্বীকার করল এবং অহংকার প্রদর্শন করলো। ফলে সে কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেল।
অত্র আয়াতে অহংকার বলতে وَاسْتَكْبَرَ শব্দটিকে বুঝিয়েছেন। ইবলিস আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করার ভিত্তি কোনো ভুল ধারণা কিংবা