30/05/2022
নাগরিক টিভির মাধ্যমে তারেক জিয়ার চাঁদবাজি ফাঁস
বাংলাদেশবিরোধী ভয়ংকর অপতৎপরতায় নেমেছে স্বাধীনতাবিরোধী সাইবার সন্ত্রাসী চক্র । দণ্ডিত পলাতক ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মিনি-বস তারেক রহমানসহ একদল অপরাধীর চাঁদাবাজি মেশিনে পরিণত হয়েছে ‘নাগরিক টিভি’নামের একটি ইউটিউব-ভিত্তিক অবৈধ প্রতিষ্ঠান। নাগরিক টিভির নাজমুস সাকিব ও টিটু রহমান ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনের কাছে ৬০ মিলিয়ন টাকা দাবি করেন। জানা গেছে, নাগরিক টিভির মালিকরা দাবিকৃত চাঁদাবাজির অর্থ প্রদানের জন্য স্থানীয় ব্যবসায়িক সংগঠনকে বেশ কয়েকটি ব্যক্তি এবং একটি সত্তার নাম এবং বিবরণ সরবরাহ করেছিলেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাজ্যে বসে তারেক রহমান গড়ে তুলেছেন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, অপরাধী ও সন্ত্রাসের অর্থায়নকারী চক্র। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বরখাস্ত সামরিক কর্মকর্তা রয়েছেন, যাদের ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের গ্যারিসন এলাকায় ব্যক্তিত্বহীন ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন শহীদ উদ্দিন খান নামের একজন ইন্টারপোলের ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে এসব অপরাধী চক্র ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দেশের বেশ কয়েকজন সম্মানিত ব্যক্তি তথা বাংলাদেশের বিচার বিভাগ, গোয়েন্দা সংস্থা ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তথ্য অনুযায়ী, এটি মিজান নামে একজন ব্যক্তিকে ৪ মিলিয়ন টাকা দিতে বলেছে; এএসএম শফিউল হককে ২ মিলিয়ন টাকা ইসলামী ব্যাংক বিডি লিমিটেড, হাসপাতাল মুর শাখা, ফেনী, বাংলাদেশ থেকে ২ মিলিয়ন টাকা।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, নাগরিক টিভির অন্যতম প্রধান এজেন্ডা হলো বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ব্ল্যাকমেইলিং এর মাধ্যমে নগদ অর্থ হাতিয়ে নেওয়া এবং পরবর্তীতে সরকার বিরোধী ও নাশকতামূলক কর্মকান্ডে ব্যবহার করা। নেপথ্যে থেকে নাগরিক টিভির গডফাদারের ভূমিকায় অভিনয় করছেন তারেক রহমান।
টিটু রহমান ওরফে মুস্তাফিজুর রহমান টিটু ওরফে টিটু বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার ইটগাঁও আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। তিনি ১৭ আগস্ট, ২০০৫-এর ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত। কুখ্যাত জিহাদি সংগঠন জামাআতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি), যেটি পরবর্তীতে আল কায়েদার ফ্র্যাঞ্চাইজ হয়ে আনসার আল ইসলাম নামে পুনরায় নামকরণ করা হয় এই সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের পিছনে ছিল। টিটু রহমান আনসার আল ইসলামের সদস্য এবং বিএনপির পলাতক মিনি বস তারেক রহমান এবং হরকাতুল জিহাদের কিংপিন মাওলানা আবদুস সালামের মূল সহযোগী। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনাকে হত্যার ঘৃণ্য এজেন্ডা নিয়ে ২০০৫ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানোর জন্য তারেক রহমান হরকাতুল জিহাদকে দায়িত্ব দেন।
বাংলাদেশবিরোধী ভয়ংকর অপতৎপরতা নতুন কিছু নয়। অনেক বছর আগে থেকেই স্বাধীনতাবিরোধী সাইবার সন্ত্রাসী চক্র নেমেছে এই অপতৎপরতায় । একাজের মূল হোতা হিসেবে রয়েছে দূর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান। বাংলায় একটি প্রচলিত প্রবাদবাক্য আছে - “কয়লা হাজার ধুলেও যেমন রঙ বদলায় না তেমনিই কুলোক কখনো কুপ্রবৃত্তি ছাড়ে না” । কুলাঙ্গার তারেকও এমনই একজন যার কুপ্রবৃত্তি ছাড়ছে না বরং বাড়ছে। বিদেশে বসে তারেক রহমান বিশাল অর্থ ব্যয়ে ভাড়া করেছে সাইবার সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। এই চক্র প্রযুক্তির অপব্যবহার করে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
এভাবেই তারেক তৈরি করেছে তার নতুন এজেন্ডা, যার মাধ্যমে এভাবে টাকা উপার্জন ছাড়াও সরকারী অপ-তৎপরতা করে যাচ্ছে। আর এর জন্য বেছে নিয়েছে এরকম ভূঁইফোঁড় টাইপ নাগরিক টিভি আর তাদের সরকারবিরোধী লোকজনেরা।