06/04/2022
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে ইন্ডিয়া বাই রোড বর্ডার ওপেন করেছে৷
যারা সিকিম বা দার্জিলিং যাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন তাদের জন্য গাইড লাইন -
সিকিম বা দার্জিলিং যেখানেই যান না কেন আপনাকে প্রথমে শিলিগুড়ি যেতে হবে।
বর্তমানে পঞ্চগড়ের, বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি বর্ডার দিয়ে পার্মিশন দিচ্ছে না ।
তাই লালমনিরহাটের বুড়িমারী-চেংড়াবান্ধা বর্ডার দিয়ে ঢুকতে হবে।
যশোরের বেনাপোল-হড়িদাশপুর বর্ডার দিয়ে ঢোকা যাবে তবে সেটা সময় সাপেক্ষ ও খরচ বেশি।
➤ ঢাকা টু লালমনিরহাট বুড়িমারী বর্ডারঃ
রাতে কল্যানপুর থেকে হানিফ, এস আর ট্রাভেলস, বরকত, মানিক সহ বেশ কিছু বাস বুড়িমারী ছেড়ে যায়।
এ্যাভারেজ ভাড়া এসি ১১০০ আর নন এসি ৯০০ টাকা৷
➤বর্ডার ফর্মালিটিসঃ
সকাল ৯ টায় বর্ডার ওপেন করে।
ইচ্ছা করলে সোনালি ব্যাংকের যে কোন কর্পোরেট শাখা থেকে আগেই ট্রাভেল ট্যাক্স বাবদ ৫০০/- পরিশোধ করে ট্যাক্স পেপার সাথে রাখতে পারেন৷ বা বর্ডারে গিয়েও দিতে পারেন৷
#ইমিগ্রেশন_লিগাল_পদ্ধতি -
সকালে ফ্রেস হয়ে ইমিগ্রেশনের জন্য বুড়িমারী স্থলবন্দর অফিসে দাড়িয়ে যান। কর্তবর্যর অফিসারের কাছ থেকে ডিপার্টচার ফর্ম নিয়ে নিজেই ফিল-আপ করে, পাসপোর্ট জমা দিয়ে ছবি তোলার জন্য অপেক্ষা করুন৷
সবার শেষে আপনার ডাক আসবে যত তারাতারি-ই পাসপোর্ট জমা দেন না ক্যানো!
#ইললিগাল_পদ্ধতিঃ
যে গাড়িতে যাবেন তাদের কাউন্টারের ম্যানেজারকে ট্রাভেল ট্যাক্স বাবদ ৫০০/- এবং সাহায্যের (ঘুস) ১৫০/২০০ টাকা দিয়ে দেন, তারাই আপনার সব ব্যাবস্থা করবে।
সবার আগেই খুব দ্রুত ইমিগ্রেশন পার হতে পারবেন৷
ইন্ডিয়ান পাশে ওদের লোক থাকে তারা চেংড়াবান্ধা পাশে সব ফর্মালিটিস-এ সাহায্য করবে, বিনিময়ে বাধ্যতামূলক ১০০ রুপি দিতে হবে।
➤মানি এক্সচেঞ্জঃ (ডলার বা টাকা কনভার্ট)
ইন্ডিয়ার চেংড়াবান্ধা বর্ডারে প্রচুর মানি এক্সচেঞ্জের দোকান রয়েছে৷
কয়েকটিতে কথা বলে সর্বোচ্চ দামে ডলার বা টাকা, রুপিতে কনভার্ট করে নিন৷
প্রয়োজনে গুগোল থেকে ঐ দিনের রুপি রেট জেনে নিন৷
➤চেংড়াবান্ধা-শিলিগুড়িঃ চেংড়াবান্ধা থেকে সরাসরি জীপ রিজার্ভ নিয়ে শিলিগুড়ি যেতে পারেন।
৪ জনের গ্রুপে ১০০০ থকে ১২'শ রুপি লাগবে।
বিকল্প হিসবে- প্রথমে, জন প্রতি ৩০ রুপিতে অটোতে চেংড়াবান্ধা বাইপাস মোড়ে যাবেন। সেখান থেকে ১৫ মিনিট পর পর ছেড়ে আসা সরকারি বাসে ৮০ রুপিতে ২ ঘন্টায় শিলিগুড়ি ।
মনে রাখবেন সরাকারি বাস মানে আমাদের দেশের মত লক্কর ঝক্কর বাস না!
➤শিলিগুড়ি টু সিকিম(গ্যাংটক)/দার্জিলিংঃ
শিলিগুড়ি দালালে ভরপুর!
কারো সাথে কথা না বলে জীপ স্টান্ড থেকে #দার্জিলিং যেতে চাইলে ২৫০ রুপি আর #সিকিমের গ্যাংটক যেতে চাইলে ৪০০ রুপিতে শেয়ার জীপে উঠে পরুন৷
দার্জিলিং থেকে সিকিম যেতে চাইলে নিচের লেখাগুলা ধৈর্য্য ধরে পড়ুন৷
(সিকিমের অংশ পড়তে চাইলে দার্জিলিং এর অংশ স্কিপ করে নিচে চলে যান)
সাপের মত আঁকাবাকা পাহাড়ি রাস্তার ৩ ঘন্টার একটা এক্সসাইটিং জার্নি শেষে আপনাকে নামিয়ে দিবে দার্জিলিং এর চকবাজারে।
দুই পা হেটে কারো কাছে জিজ্ঞেস করে বিগ বাজারের আশ পাশে ১২০০/১৫০০ রুপিতে ভাল মানের একটা হোটেল নিয়ে নেন৷
হোটেলে ২৪ ঘন্টা WIFI ও গরম পানির সুব্যস্থা না থাকলে মুশকিলে পরবেন।
রাতে ১২০/১৫০ রুপিতে ভরপুর খেয়ে রাস্তায় থাকা কোন একটা জীপের ড্রাইভারের সাথে কথা বলে নিন। আগামিকাল দার্জিলিং সিটি ঘুরে দেখার জন্য৷
৪ জনের জন্য তিন হাজার রুপিতে একটা জিপ পেয়ে যাবেন (জন প্রতি ৭৫০ রুপি) ৷ গ্রুপ মেম্বার কম হলে শেয়ার জীপ স্টান্ড থেকে সেইম খরচে শেয়ারে ঘুরতে পারবেন৷
জীপ খুঁজে না পেলে হোটেলে কথা বলুন, তারা ম্যানেজ করে দিবে একই টাকার মধ্যে৷
স্পট হিসাবে প্রথমে নিয়ে যাবে টাইগার হিল যেখান থেকে পাহাড়ের বুক চিড়ে সূর্যাদয় ও স্বপ্নের কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাবেন, এর পরে ধারাবাহিক ভাবে, জাপানিজ ট্যাম্পেল, পিচ গ্যাগোডা, রক গার্ডেন (ঝর্ণা), ঘুম মনেস্ট্রি, বাতাসিয়া লুপ, চা-বাগান, তানজিং রক, জু ও সর্বশেষ রোপ ওয়ে বা ক্যাবেল কার।
স্পট ফি হিসাবে, বাতাসিয়া লুপে ২০ রুপি, জু তে ৬০ রুপি ও ক্যাবেল কারে উঠতে চাইলে ২৫০ রুপি লাগবে৷
সারা দিন ঘোরাঘুরি শেষে সন্ধায় দার্জিলিং এর কিছু স্ট্রিড ফুড ট্রাই করতে পারেন। বিশেষ করে মমস এবং ঝাল চিকেন ফ্রাই মিস করবেন না।
কেনাকাটা করতে চাইলে দার্জিলিং থেকে করে নিবেন কারন গ্যাংটকের তুলনায় দার্জিলিং-এ জিনিস পত্রের দাম সস্তা৷
☞দিন-৩ঃ দার্জিলিং টু গ্যাংটক
ভোরে দার্জিলিং হোটেল ছেড়ে সিকিমের গ্যাংটকের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যান৷
দার্জিলিং এর চকবাজার থেকে শেয়ার ৪০০ রুপিতে জীপে উঠে পারুন।
৫ ঘন্টায় পাহাড়ি রাস্তা ধরে চলে যান ইন্ডিয়ার বরফের রাজ্য সিকিম!
পথিমধ্যে 'রং পো' থেকে ১ কপি ভিসা ও পাসপোর্টের ফটোকপি সাথে ২*২ একটা ছবি জমা দিয়ে ৫ মিনিটে সিকিম ঢোকার পার্মিশন পেপার নিয়ে নিন৷
জীপ ড্রাইভার আপনাকে সর্বোচ্চ সাহায্য করবে চিন্তা নাই৷
কেউ সরাসরি শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক যেতে চাইলেও একই ভাবে 'রং পো' থেকে পার্মিশন নিতে হবে৷
সিকিম ইনার পার্মিট পেপার বাংলাদেশের ইন্ডিয়ান হাইকমিশনার অফিস বা ভিসা অফিস থেকেও নেয়া যায় তবে তা সময় সাপেক্ষ সাথে ৩০০ টাকা এক্ট্রা খরচ।
বিকাল বা সন্ধার আগে আপনাকে গ্যাংটকের দেওর আলী জীপ স্টান্ডে নামিয়ে দিবে৷ সেখান থেকে শেয়ার ট্যাক্সি বা জীপ থেকে জন প্রতি ৩০ রুপি দিয়ে গ্যাংটকের MG মার্গ চলে আসেন৷
MG মার্গের আসে পাশের হোটেল গুলোতে গলাকাটা দাম চায় তাই একটু কষ্ট করে রাস্তা ধরে উপরে উঠবেন। ১২০০/১৫০০ রুপিতে ভাল হোটেল পেয়ে যাবেন।
দরদাম করতে হবে, নয়তো ঐ একই রুম চার/ পাঁচ হাজার রুপিতে ধরিয়ে দিবে।
রাতের গ্যাংটকের একটা আলাদা সৌন্দর্য আছে ঘুরে ঘুরে দেখে নিন৷
১২০/১৫০ রুপিতে রাতের খাবার শেষ একটা ফ্রেস ঘুম৷
দিন-৪ঃ সকালের নাস্তা শেষে MG মার্গের থাকা কিছু এজেন্সি থেকে কথা বলে আগামি কালের লাচুং যাওয়ার প্যাকেজ ঠিক করে নিন৷
ফরেনারদের জন্য ২ দিন ১ রাতের প্যাকেজ ২৫০০/- এর মত লাগবে।
প্যাকেজে যা যা থাকবে- লাচুং যাওয়া আসা , যাওয়ার সময়ে বিভিন্ন স্পট ও লাচুং সাইট সিয়িং ( ইয়ামথাম ভ্যালি, জিরো পয়েন্ট), ৪ বেলা খাবার, রাতে হোটেলে থাকা।
৮ জনের গ্রুপ হলে ২০/২৫ হাজারের মধ্যে রিজার্ভ জীপ পেয়ে যাবেন এজেন্সি থেকে৷
লাচুং যাওয়ার জন্য এজেন্সিকে, আপনার ছবি, পাসপোর্ট ও ভিসার ফটোকপি সাথে সিকিম ইনার পার্মিশন পেপারের ফটোকপি দিতে হবে।
লাচুং প্যাকেজ হয়ে গেলে, গ্যাংটক সিটি টুর দেয়ার জন্য একটা জীপ রিজার্ভ করে নিন ১৪০০/১৫০০ এর মধ্যে।
গ্যাংটক শহরে বেশ কিছু জায়গা রয়েছ ঘোরার জন্য, প্রথমে নিয়ে যাবে চিতেনস্তুপা এর পরে মিউজিয়াম, প্যারাগ্লাইডিং পয়েন্ট, রোপ ওয়ে, রুমটেক মনেস্ট্রি, গনেষ টক, তাসি ভিউ পয়েন্ট, অর্গানিক ভিউ পয়েন্ট, বাঞ্ঝাক্রিরি ঝর্ণা, হ্যান্ডিক্রাফ্ট সহ বেশ কিছু জায়গা।
সারাদিন ঘোরাঘুরি শেষে রাতে ফ্রেস ঘুম দিয়ে রেডি হয়ে যান বরফে ঝাঁপাঝাপির জন্য লাচুং!
দিন-৫ঃ সকালে জন প্রতি ২০ রুপি দিয়ে এজেন্সির কথা মত চলে যান বাঝড়া টেক্সি স্টান্ডে, যেখান থেকে গাংটক থেকে লাচুং এর জীপ গুলো ছেড়ে যায়।
আবারো পাহাড়ি রাস্তার হার হিম করা ঠন্ডায় কাঁপতে কাঁপতে চলে যান স্বপ্নের লাচুং।
লাচুং যাওয়া পথে আপনারা ঘুরতে পারবেন, বাটারফ্লাই ওয়াটার ফলস, নাগা ওয়াটার ফলস, অমিতাভ বচ্চন ওয়াটার ফলস, তিস্তা ভিউ পয়েন্ট, বাকথাং ওয়াটার ফলস সহ বেশ কিছু জাগয়া৷
বিকেল নাগাদ পৌছে যাবেন সমভূমি থেকে প্রায় ২৯০০ মিটার উচ্চতায় বরফের রাজ্যে৷
এজেন্সির ঠিক করা হোটেলে উঠে, আসে পাশের জাগয়া ঘুরে দেখতে পারেন৷
কপাল ভাল থাকলে যে কোন সময়ে স্নো ফল পেতে পারেন ( আমি পেয়েছিলাম)।
বরফের মধ্যে গরম গরম একটা কফি সেই স্বাদ এনে দিতে পারে, চেষ্টা করে দেখতে পারেন৷
রাতে ডাবল কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুময়ে পরুন কারন রাতে তাপমাত্রা মাইনাসে নেমে যায়৷
দিন-৬ঃ সকালের নাস্তা শেষে যাত্রা ইয়ামথাম ভ্যালি ও জিরো পয়েন্টের উদ্দেশ্যে। যে জীপে এসেছেন সেই জীপে করেই ঘুরবেন৷
অতিরিক্ত বরফে রাস্তা আটকে থাকলে কপালে জিরো পয়েন্টে বা ইয়ামথাম ভ্যালি জুটবে না৷ যে পর্যন্ত যাওয়া যায় ঐ পর্যন্ত যেতে পারবেন৷
বরফের লাফালাফি, ঝাঁপাঝাপি করে দুপুরের খাবার শেষে আবার রওয়ানা হয়ে যান গ্যাংটকের উদ্দেশ্যে।
রাতে সেই আগের হোটেলে উঠবেন।
এ ভাবেই কথা বলে যাবেন হোটেল ম্যানেজারের সাথে যে, লাচুং এক রাত থেকে আবার এই হোটেলেই আসবো। এবং আপনাদের লাগেজ গুলো এই হোটেলের লকারে লক করে রেখে যাবেন নিরাপদে।
দিন-৭ঃ ইচ্ছা করলে ছাঙ্গু লেক বা গুরু দুম্বার লেক ঘুরে আসতে পারেন। যাওয়া আসা জীপ ভাড়া ২০০০+ রুপি পড়বে৷ সেটাও ঐ এজেন্সির সাথে আগেই কথা বলতে হবে কারন এখানেও পার্মিশনের একটা ব্যাপার রয়েছে।
ছাঙ্গু লেক ঘুরে পরের দিন বা ছাঙ্গু লেক না গেলে ঐ দিনই গ্যাংটকের দেওর আলী জীপ স্টান্ড থেকে ৪০০ রুপিতে শিলিগুড়ি চলে আসেন৷
পথে 'রং পো' থেকে ইনার পার্মিশন পেপার জমা দিয়ে বের হওয়ার মার্মিশন নিয়ে শিলিগুড়ি চলে আসেন।
এর পরে যে ভাবে বাংলাদেশ থেকে শিলিগুড়ি আসছিলেন ঐ একই ভাবে শিলিগুড়ি থেকে বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী বা বেনাপোল বর্ডার দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করুন৷
সিকিম ও দার্জিলিং এর ভিডিও সহ আরো বিস্তারিত দেখতে চাইলে আমার প্রফাইলে ঘুরে আসতে পারেন বা ইউটিউব চ্যানেল Traveller Shahid BD চ্যানেল ঘুরে আসতে পারেন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবেঃ
☞ উল্লেখিত খরচের মধ্যে হালকা ১৯/২০ থাকতে পারে। তাই বলে ৭/১৭ হবে না।
☞ ১২০০/১৫০০ রুপিতে ভাল হোটেল পাওয়া যায় তবে একটু ঘোরাঘুরি আর দরদাম করতে হবে।
☞ শীতের কাপড় নিয়ে একদম কিপ্টামি না, কারন আপনি বরফে যাচ্ছেন।
☞ ভিসা করার সময় যে ল্যান্ডপোর্ট উল্লেখ করবেন সেইখান থেকেই ঢুকতে হবে এবং বের হতে হবে অন্য ল্যান্ডপোর্টে গিয়ে সারা দিন কান্না করলেও কাজ হবে না৷
তবে যে ল্যান্ড পোর্ট উল্লেখ করেন না কেনো, বেনাপোলের-হরিদাশপুর ও বাই এয়ার সবার জন্য ওপেন থাকে৷
☞ ১২০/১৫০ রুপিতে ভাল খাবার খেতে পারবেন সাথে ৫০ রুপিতে সকালের নাস্তা।
যদি তিন বেলা ফাইভ স্টার মানের খাবার চান সেটা আলাদা হিসাব৷
☞ ভিসা, পাসপোর্ট ও ২*২ ছবি মিনিমাম ১০ সেট পেপার সাথে রাখবেন।
☞ ইনার পার্মিশন পেপার ছাড়া সিকিমে ঢোকার মত ভুল করবেন না। এর ফলে জেলে গেলে কতৃপক্ষ দায়ী না৷
☞ পেটের ইঞ্জিন দূর্বল হলে স্ট্রিট খাবার পরিহার করুন৷ এক জনের পেট খারাপ মানে গ্রুপের সবার জার্নি মাটি৷
☞ সাথে কিছু ইমারজেন্সি ম্যাডিকেল এইড, যেমন ঠান্ডার সিরাপ, পর্যাপ্ত নাপা, জ্বর, কাশি, ব্যান্ডেজ সহ প্রয়োজনীয় ঔষধ রাখুন৷
☞ গ্রুপে ৪/৬/৮ জন হলে ভাল হয়।
গ্রুপ মেম্বার বেশি হলে খরচ কিছুটা কমে (হোটেল + জীপ ভাড়া)।
☞ যে কোন প্রয়োজনে পুলিশের সাথে কথা বলুন তারা অনেক হেল্পফুল৷